আজকের কাঠগড়ায় ব্লগার দারাশিকো। আমার এবং ব্লগের অধিকাংশ মুভিখোরদের প্রিয় ব্লগার। দারাশিকো আর ১০ টা মুভি ব্লগারদের মতো না। কি যেন একটা ধারন করে ব্লগার দারাশিকো, আর সিনেমা রুচি, রেকমেন্ড, তার লেখনী সব কিছুতেই কেমন যেন অন্যরকম একটা মাধুর্য। তথাকথিত বাংলা ফিল্ম নিয়ে নাক সিটকানো যেখানে একটা ধর্ম হয়ে গেছে সেখানে ব্লগার দারাশিকো একের পর এক বাংলা ফিল্মগুলোর পজেটিভ রিভিউ দিয়ে আমাদের ব্লগারদের হল মুখি করছে।
আমি ঠিকভাবে ব্লগার দারাশিকোকে কখনোই বুঝতে পারেনি, ফেসবুকে ব্যক্তিগত চ্যাটে দারাশিকোর সাথে আমার যতবার কথা হয়েছে ব্লগার দারাশিকো নিজেকে রহস্যময় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। যেদিন আমাদের দেখা হয় সেদিন অনেক কথা হলেও আমি ঠিক সঠিকভাবে তার রুচিবোধটাকে আয়ত্ত্ব করতে পারিনি। একদিন বললাম, আমাকে কিছু মুভি সাজেষ্ট করুন, ভেবেছিলাম, এখান থেকেও ব্লগার দারাশিকোর রুচিবোধ ও চিন্তা-ভাবনা সম্বন্ধে একটা ধারনা পাব। কিন্তু সেখানেও রহস্যময় রয়ে গেল ব্লগার দারাশিকো। এতোগুলো কথা বলার একটাই মানে, সেটা হলো, ব্লগার দারাশিকোকে ভালোভাবে না বুঝতে পারার কারনে তাকে ঠিক সেভাবে প্রশ্ন করতে পারিনি। তার জন্য আমি আগে থেকেই সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যতটা ঘাটতি রয়ে গেল, তা পূরণের দ্বায়িত্ত্ব আপনাদের হাতে তুলে দিলাম।
ব্লগার দারাশিকোর ইন্টারভিউ
দিন কাল কেমন যাচ্ছে?
দারাশিকোঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালোই যাচ্ছে। বাসায় পিসি-তে নেট কানেকশন পাচ্ছে না বলে ঝামেলায় আছি। নতুন কেনা কোয়েল পাখিটা পুরাতনদের আক্রমনে মৃতপ্রায় অবস্থা। তার জন্য টেনশনে আছি। আর দিপের সাথে ইন্টারভিউ – এইসব ছাড়া বাকী সব ভালো। আলহামদুলিল্লাহ।
বর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ত?
দারাশিকোঃ বিশেষ কিছু নিয়ে ব্যস্ততা নেই। সপ্তাহে পাচদিন অফিস করি। বাকী দুইদিন সিনেমা-লেখালিখি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি। ডিজিটাল মাল্টিপ্লেক্স নিয়া লিখতে চাইছি বলে পড়াশোনা করছি টুকটাক। এই তো।
নিজেকে নিয়ে কিছু বলুন ?
দারাশিকোঃ নিজেকে নিয়ে বলার কিছু নাই।
আচ্ছা,ফিল্ম বিষয়ক আপনার ভাবনাটা খোলাশা করুন ?
দারাশিকোঃ ফিল্ম বিষয়ে খোলসা করে বলার কিছু নাই আসলে। এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিটা পাল্টে দিতে চাই। এই পাল্টে দেয়া সব দিক থেকে। সিনেমাহলে দর্শক গিয়ে বিনোদিত হবে আবার শিক্ষিতও হবে। চিন্তার খোড়াক নিয়ে ঘরে ফিরবে, আন্দোলিত হবে, সমাজকে পাল্টে দেয়ার আগ্রহে উদ্দীপ্ত হবে – এমন একটা স্বপ্ন আছে। কিন্তু আমার যোগ্যতা কিছুই নাই। এইসব কোন কাজই আমার পক্ষে করা সম্ভব হবে কিনা সন্দেহ। এ কারণে আমি একটু ভিন্ন রাস্তা বেছে নিয়েছি। আমি লিখছি।
কেন লিখছি? কারণ যারা পড়ছে তাদের অনেকের মধ্যে এই যোগ্যতাটুকু আছে। কিন্তু জেগে উঠার চেতনাটুকু হয়তো নেই। আমি দুইটা ভালো কথা লিখে যদি দুইজন মানুষকে জাগিয়ে দিতে পারি, তাহলে দশ বছর বাদে বিশটা লোক তৈরী হয়ে যাবে। এই বিশটা লোক শুধু সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি না পুরো দেশটাকেই পাল্টে দেয়ার নেতৃত্ব দেবে তখন। এমন না যে আমি সেইরকম লিখতে পারছি। সত্যি হলো যারা লিখতে পারেন তারা লিখছেন না, অথবা লিখলেও অনেক মানুষের কাছে পৌছুতে পারছেন না। আমার লেখা দেখে হয়তো তারা লিখতে আগ্রহী হবেন, তাদের লেখা পড়ে জেগে উঠবে আরও কিছু মানুষ। এতেই হবে। আর যে লোকগুলো তৈরী হবে তারা যদি কিছু করার সুযোগ করে দেয়, তবে তাদের পাশে বা পেছনে দাড়িয়ে কাজ করবো।
লেখালেখির ব্যাপারে ব্লগ ও ফেসবুক কেমন দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন?
দারাশিকোঃ ব্লগ ও ফেসবুক লেখক তৈরীর একটা বিশাল প্ল্যাটফর্ম। যখন এই সুযোগ ছিল না তখন অনেকেই লিখেছে, তাদের সেই লেখা তাদের ডায়রীর পাতায়ই থেকে গেছে। প্রকাশের জায়গা ছিল পত্রিকাগুলো কিন্তু সেখানে পৌছুনো সহজ ছিল না। এখন এই সমস্যা নাই। ১০/২০ জন হলেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছে, একজনের চিন্তা দশজনের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে। এইটা বেশ ভালো। তবে এই কথাগুলো ব্লগের জন্য বেশী সত্য, ফেসবুকের জন্য এতটা না। ফেসবুক বিনোদনের জায়গা। কাজ নাই তো ফেসবুকে বসে থাক – ব্লগ যতটা পজেটিভ, ফেসবুক ততটাই নেগেটিভ। এইটা একটা অ্যাডিকশন।
বাংলাদেশের মত দেশে ইয়াং জেনারেশন এই দিকে বেশী ব্যস্ত থাকার ফলে তার মধ্যে যে রিসোর্স সেইটা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। এই ব্যাপারটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু অ্যাডিকশন তো- এড়াতে পারছি না। কাটিয়ে উঠার কোন রাস্তাও দেখছি না এখন। সচেতনতা ছাড়া বোধহয় আর কিছু সম্ভব না।
প্লানেট অফ ফিল্মে আসার হাতেখড়ি কে বা কিভাবে ?
দারাশিকোঃ ফিল্ম দেখার দুনিয়ায় কিভাবে আগমন সেইটা বলতে চাচ্ছি না। ঢাকায় আসার আগে সিনেমা নয়, মিউজিক ভিডিও নির্মানে আগ্রহ ছিল। ঢাকায় আসার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ- এ সদস্য হবার চেষ্টা করলাম। ধারণা ছিল, ওদের সাথে যুক্ত হতে পারলে সিনেমানির্মান জগতের সাথে যুক্ত হতে পারবো। কিন্তু ওরা আমাকে রিজেক্ট করলো। ভাইভায় যে প্রশ্নগুলো করেছিল তা বেশ অপমানজনক। খুব কষ্ট লেগেছিল সেই সময়।
পরে এক বন্ধুর মাধ্যমে একটা গ্রুপের সাথে পরিচিত হলাম, তাদের সাথে থাকতে থাকতেই অনেক কিছু শিখলাম, তাদের সহায়তায়ই কোর্স করা হলো কিছু। দেখা যাক ভবিষ্যতে কি আছে কপালে।
লেখালেখির খাতিরে নাকি ভালোলাগা থেকে বাংলা ফিল্ম দেখেন?
দারাশিকোঃ হা হা হা – ট্রিকি কোশ্চেন। ভাইরে, আমি সিনেমা নিয়ে লেখালিখি শুরু করার অনেক আগে থেকে সিনেমা দেখতেসি। বাংলা ফিল্ম দেখি অনেকগুলো কারণে – এই সিনেমাগুলো খুবই সোজা, কোনই ঝামেলা নাই সিনেমায়।
বাংলা সিনেমা দেখি, কারণ এর মাধ্যমে দেশীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কতটা পরিবর্তিত হচ্ছে সেইটা বোঝা যায়।
বাংলা সিনেমা নিয়ে লিখি কারণ আমি আমার পাঠকদের সিনেমার দর্শক বানাতে চাই – সিনেমার দর্শক বাড়লে সিনেমা ব্যবসাসফল হবে, ইন্ডাস্ট্রি আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে এগোবে।
শাকিব তথা সমগ্র বর্তমান বাংলা ব্যানিজিক ফিল্ম বিষয়ক আপনার দৃষ্টকোণটা একটু খোলাশা করুন?
দারাশিকোঃ বোধহয় খোলসা করে বলার কিছু নাই। শাকিব খান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পরে ব্লগ-ফেসবুকে বেশ কিছু আলোচনা দেখার সুযোগ হয়েছিল। শাকিব খানকে ধুয়ে ফেলেছেন সবাই। এরকম একটা আলোচনায় তোমাকে দেখেছিলাম একাকী প্রতিবাদ করতে। আমি শাকিব খানের ভক্ত না। আমি শাকিব খানকে শাহরুখ খান/আমির খান কিংবা লিওনার্দো দ্য ক্যাপ্রিও/টম হ্যাংকস এর সাথে তুলনা করি না। শাকিব খানের তুলনা হবে বাংলা সিনেমায় যারা অভিনয় করছে তাদের সাথে। সুতরাং একা শাকিব খানকে গালি দেয়ার ঘোর বিরোধী আমি। আমি শাকিব খানকে শ্রদ্ধা করি এই কারণে যে অন্তত তার জন্য হলেও অনেক দর্শক এখনো সিনেমা হলে যায়, অনেক প্রোডিউসার সিনেমা নির্মান করে। অন্তত এখনো নির্মান প্রক্রিয়া চালু আছে।
বাণিজ্যিক বাংলা সিনেমা অনেকদিন ধরে একইভাবে চলছে। পরিবর্তন আসছে এখন – গত ২/৩ বছরে বেশ। শাহীন-সুমন তাদের সিনেমা ‘ভালোবাসার রং’ এর জন্য ওয়েবসাইট বানাবেন, রেড ক্যামেরায় সিনেমা নির্মান করবেন – এই চিন্তা আমি কখনোই করি নাই। কিন্তু হচ্ছে । তার মানে কি? মানে হল, পরিবর্তন আসছে। আসবেই। সুতরাং আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ভালো সিনেমা নির্মিত হলে ভালো অভিনেতারাও আসবে, শাকিব খান টিকে থাকতে পারলে থাকবে, নাহয় বিদায় নেবে। ব্যাস।
আচ্ছা,বর্তমান কলকাতায় যেমন হচ্ছে,এমন হলেই কি বাংলা মিডিয়া স্যাটিসফাই হবে বলে মনে করেন ?
দারাশিকোঃ ধুর। কলকাতাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরবো ক্যান। দর্শকের একটা অংশ খুশি হবে এইটা স্বাভাবিক। সুন্দর ছবি আর গল্প থাকলে যে কেউ পছন্দ করবে। টেকনিক্যাল দিক থেকে দেখলে কোলকাতার সিনেমার এই দিকগুলোকে আমরা গ্রহন করতে পারি। কিন্তু কাহিনীর বিষয়বস্তুর জন্য কোলকাতার দিকে তাকানোর কোনই প্রয়োজন নাই। ওদের সমাজ-চিন্তা ভাবনা ইত্যাদি থেকে আমাদের সমাজ ও চিন্তা ভাবনা অনেক আলাদা। কোলকাতার সাম্প্রতিক সিনেমাগুলোর মধ্যে লিভিং টুগেদার, এক্সট্রা মেরিটাল রিলেশনশীপ, অ্যালকোহল এই বিষয়গুলো বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে এখন। আমি জানি না ওদের সমাজ এরকম কিনা। আমাদের সমাজ তো এরকম না।
তাছাড়া, আমি মনে করি সিনেমা নির্মাতাদের নৈতিকতার জায়গা থেকেও এ ব্যাপারে স্বচ্ছ থাকা প্রয়োজন। এইসব উপাদান থাকলে আমি খুব ভালো সিনেমা বানাই, সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে আনি, না হলে না – আমি এইরকম চিন্তায় বিশ্বাসী না। কাহিনী বিষয়বস্তুর জন্য বাংলাদেশ বাংলাদেশই – কলকাতা বা মুম্বাই এর আদর্শ হতে পারে না, হওয়া উচিতও না।
বাংলা ফিল্মে ইংরেজি নাম,বা অতিরিক্ত ইংরেজি ব্যবহারটাকে ঠিক কিভাবে দেখেন ?
দারাশিকোঃ বাংলা ফিল্মে ইংরেজি নাম ব্যবহার নিয়া আমার আপত্তি তেমন নাই যদি সেই নামের ব্যবহারে যৌক্তিকতা থাকে। এখন যারা সিনেমা নির্মান করছে তাদের প্রায় সবারই চোখ তৈরী হয়েছে বিদেশী সিনেমা দেখে। সুতরাং তারা ওইভাবে নাম সিলেক্ট করতে বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করতেই পারে। এতে দোষের কিছু নাই। একই ভাবে সিনেমায় যদি ইংরেজি শব্দের ব্যবহার প্রয়োজনীয় হয় তবে আপত্তি কিসের। দ্য স্পিড সিনেমায় নাম কিংবা ডায়লগে শব্দের ব্যবহার যথাযথ ছিল না – অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় ছিল। সুতরাং আপত্তি করছি এক্ষেত্রে।
আবার এইটা এক দিক থেকে আশাব্যাঞ্জকও। আমি দেখছি এভাবে – আওয়ার সিনেমা ইজ গোয়িং গ্লোবাল। এইটা একটা ইন্ডিকেটর। কে বলবে না আর দশ বছর বাদে আমাদের ছেলেরাই হলিউড থেকে সিনেমা বানাবে না? সুতরাং যথাযথ হলে ব্যবহার চলতেই পারে, এমনকি বাংলা সিনেমার পুরোটাই ইংরেজিতে হতে পারে। তবে, আমি আরও সাপোর্ট করি যদি কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলকে কেন্দ্র করে তৈরী সিনেমায় অরিজিনাল আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করা – প্রয়োজনে বাংলা সাবটাইটেল ব্যবহার করা।
ছবিয়াল তথা এ-ধরনের কাজগুলোতে আপনার দৃষ্টকোন?
দারাশিকোঃ ছবিয়াল গ্রুপের সিনেমার কন্টেন্টে আমার আপত্তি আছে। কিন্তু আমার আপত্তির কোন গুরুত্ব নাই, কারণ আমি বেটার কিছু তৈরী করতে পারি নাই। যতক্ষন আমি বেটার কিছু করতে না পারি, ততক্ষন তাদের সম্পর্কে কিছু বলা আমার সাজে না।
ঠিক কোন বিষয়টার উপর আরো প্রচুর ফিল্ম হওয়া দরকার বলে আপনার মনে হয়?
দারাশিকোঃ ঠিক কোন বিষয়ের উপর ফিল্ম হওয়া দরকার সেইটা আমার পক্ষে বলা সম্ভব না। এটা রিসার্চ করে হয়তো বলা যাবে। তবে আমি মনে করি সব ধরনের সিনেমা হওয়া উচিত। শুধু ড্রামা বা সামাজিক অ্যাকশন সিনেমা না। অ্যাকশন, থ্রিলার, মিস্ট্রি, হরর, কমেডি, এপিক ইত্যাদি। আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশী সিনেমা নির্মাতা হলিউডে ব্যবসা করছে। সুতরাং সেইভাবে তৈরী তো হতে হবে।
স্যাটায়ার মুভি রিভিউ সম্নধে আপনার মতামত কি ?
দারাশিকোঃ দূর্যোধনের বিপরীতে ব্লগার দারাশিকোকে দাঁড়া করানোর চেষ্টা করছেন দেখি। স্যাটায়ার রিভিউ দূর্যোধন যে নিয়্যতে করছে তা ভালো কিন্তু সমস্যা আছে ওখানে। তিনি চাচ্ছেন নেগেটিভ দিকগুলো তুলে ধরবেন, এতে পরিচালক-অভিনেতা ভুলগুলো শুধরে নেয়ার সুযোগ পাবেন। চিন্তাটা ভালো। কিন্তু আমাদের পরিচালকরা তো এখনো এই লেভেলে আসেন নাই। স্বপন সাহেব সারাদিন ফেসবুকে থাকেন বলে তিনি হয়তো লালটিপের রিভিউ পড়েছেন – কিন্তু অনন্ত সাহেব কি এই রিভিউ পড়ে দেখবেন? আমার সন্দেহ হয়। স্যাটায়ার রিভিউ বলে এই রিভিউ কোথাও ছাপাও হবে না, ফলে এই রিভিউ শুধু আনন্দই দেবে পাঠককে। আরেকটা ব্যাপার. আমি ঠিক শিওর না স্যাটায়ার রিভিউ পড়ে কারও সিনেমা দেখার আগ্রহ তৈরী হয় কিনা। সেক্ষেত্রে এই সময়ে এটা একটা থ্রেট বটে।
তবে নিরুৎসাহিত করতেও পারছি না। স্যাটায়ার রিভিউ সারা বিশ্বে চলছে। স্যাটায়ার মুভিও রিলিজ পায় প্রতিবছর। সুতরাং এই দেশে সমস্যা কই? এখন আমি স্যাটায়ার রিভিউয়ের বিরোধিতা করি, কারণ আমার একটা ভয় আছে। কোনদিন যদি আমি একটা সিনেমা নির্মান করেই ফেলি, সেক্ষেত্রে সেই সিনেমার স্যাটায়ার রিভিউ যদি লালটিপের রিভিউয়ের মত ব্লকবাস্টার হয়, তবে আমি তো ঝুকিতে পড়ে যাবো, তাই না? সুতরাং আমার বিরোধিতা করা স্বাভাবিক। সমালোচনা হয়তো পরিচালক সহ্য করতে পারবেন, কিন্তু বিদ্রুপ সহ্য করা সম্ভব হবে কি?
পরিমিত অর্থ এবং যোগ্য টেকনিশিয়ান পেলে কি ধরনের ফিল্ম বানাবেন ?
দারাশিকোঃ পরিমিত শব্দের অর্থ মনে পড়ছে না।আমার আগ্রহ আছে পিরিয়ড ফিল্ম বানানোয়। অন্তত দুইটা টপিক আছে সিনেমা বানানোর জন্য। আবার স্বল্প ব্যয়ে নির্মান করবো বলে একটা স্ক্রিপ্টের প্রথম ড্রাফট তৈরী হয়ে দ্বিতীয় ড্রাফটের কাজ চলছে – গল্পটা একটা থ্রিলার। আপাতত এই চিন্তা। অন্তত একটি সিনেমা নির্মান করা হলে বাকীগুলো কি হবে সে দিকে নজর দেয়া যাবে। এখনই গোফে তেল দেয়ার কোন মানে নেই ।
রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আপনি ঠিক কোন বিষয়টাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন?
ব্লগার দারাশিকোঃ রিভিউয়ের জন্য দুই ভাবে গুরুত্ব দেয়া যায়। একটা হল নির্মান সংক্রান্ত। কাহিনী, চিত্রগ্রহন, সম্পাদনা, অভিনয় ইত্যাদি ইত্যাদি। আরেকরকম হল, কোন সিনেমাকে কেন্দ্র করে জীবনদর্শন। আমি প্রথমটা সম্পর্কে আগ্রহী কারণ এইটা নিয়া কিঞ্চিত কথা বলতে পারি, কিন্তু জীবন দর্শন সম্পর্কে আমার কিছুই বলার ক্ষমতা নাই, কারণ আমি এইটা নিয়া কিছুই পড়ি নাই, আন্দাজে কিছু বলে পাবলিকে ধরাও খাইতে চাই না। সুতরাং আমি প্রথম স্টাইল ফলো করি।
আবার নির্মান সংক্রান্ত ব্যাপারে সিনেমাটোগ্রাফি, সম্পাদনার চেয়ে কাহিনী ভালো বুঝি – সিনেমাটোগ্রাফি বুঝতে চেষ্টা করছি, পড়ছি। সম্পাদনা বোঝার চেষ্টা এখনো শুরু করিনি। এ কারণে এখন গুরুত্ব বেশী পাচ্ছে কাহিনী। এইটা আমার ইচ্ছার ব্যাপার না, যোগ্যতার ব্যাপার। এই অযোগ্যতা নিয়া লিখতে পারতেছি কারণ পাঠক ধরতে পারতেছে না, অথবা পড়তেছে না। যেদিন বুঝবে সেইদিন আপনার ব্লগার দারাশিকো-কে নিয়া স্যাটায়ার পোস্ট হবে।
কোন জেনারের মুভি সব থেকে পছন্দ করেন ? কেন ?
ব্লগার দারাশিকোঃ এপিক আর থ্রিলার। কেন? সম্ভবত ছোটবেলা থেকেই এপিক কাহিনীর সাথে পরিচয় বলে। একটু বড় হওয়ার পর থেকে থ্রিলার আর মিস্ট্রি-র সাথে পরিচয়। ওয়েস্টার্ন বইও পড়েছি প্রচুর। ফলে এই সিনেমাও খুব ভালো লাগে। সিনেমা দেখতে দেখতে ড্রামা পছন্দ হয়ে গেছে এবং ধুন্দুমার অ্যাকশন সিনেমা দেখতে মোটেই ভালো লাগছে না। সময় নষ্ট বলে মনে হচ্ছে।
সেরা ছবি,পরিচালক,নায়ক,নায়িকা ?
ব্লগার দারাশিকোঃ উত্তর দেয়ার যোগ্যতা হয় নাই।
এককথায় উত্তর
রিভিউ লেখা না পড়া?
ব্লগার দারাশিকোঃ দুটোই। রিভিউ তো বেশী মানুষ লিখছে না। রিভিউ পেলে মিস করি না। চুপিসারে প্রায় সব রিভিউ-ই পড়া হয়।
মৃনাল না মানিক ?
ব্লগার দারাশিকোঃ আপাতত মানিক ই পছন্দের। মৃণালের সব দেখার পর এই প্রশ্নের জবাব পাল্টাতে পারে।
সেরা ব্লগার কে ?
ব্লগার দারাশিকোঃ আমি সবার ব্লগ পড়ি নাই, পড়ি না। সুতরাং এই প্রশ্নের জবাব দেয়া আমার কম্ম না।
রিমেক করার ডাক এলে কোনটা করবেন ?
ব্লগার দারাশিকোঃ রিমেক করার যোগ্যতা নাই
সেরা বাংলা ফিল্ম ?
ব্লগার দারাশিকোঃ আপাতত ‘জাগো‘
++++++++++++++++++++++++++++++++++
জুবায়েদ দিপ অল্প কিছু মেধাবী ও সম্ভাবনাময়ী সিনে ব্লগারদের অন্যতম। দারাশিকো’র ব্লগে এটাই তার প্রথম পোস্ট। সিনেব্লগারদের সাক্ষাতকার নিয়ে সে একটা সিরিজ করছে – ব্লগার দারাশিকো’র সাক্ষাতকার তার তৃতীয় পর্ব। এই আমি ব্লগার দারাশিকো ইন্টারভিউ দেয়ার মতো কেউ হই নি, কিন্তু এই সাক্ষাতকার হয়তো দিপকে তার স্বপ্ন পূরনের দিকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে – এমন একটা ধারনা থেকে উৎসাহ দেয়ার নিমিত্তে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিলাম। এদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে দিপ অনেক অনেক বড় ভূমিকা রাখবে সেই শুভকামনা।
প্রথম পিলাচ 😛
জিনিসটা কি অপ্রাকিশত সাক্ষাতকার নাকি?? আমরা কি প্রশ্ন এই হায়গায় করুম না সামুতে লেখা প্রকাশ হইলে করুম? 😀
হায়গায় না বস। জায়গায় 😛
প্রশ্ন যেখানে খুশী করেন। তবে দিপের ইচ্ছা বোধহয় সামুতে করা। আমি অবশ্য ইন্টারোগেশনে বসব কিনা ঠিক করি নাই, তাছাড়া – এখন আর সারাদিন ইন্টারনেটে পড়ে থাকতে পারি না। সুতরাং প্রশ্নের উত্তর যদি পানও, পাইতে সময় লাগতে পারে।
পিলাচের জন্য ধইন্যা 🙂
হায়গায় না বস। জায়গায় 😛 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
ভাই রে ভাই হাসতে হাসতে পেটে ব্যথা হৈয়া গেছে ।
ভালো লাগলো সাক্ষাৎকারটা । 🙂
সাজিদ, এই যে তুমি হাসলা – এইটা যে একটা নিরীহ কমেন্টকে কতটা ইন্সাল্টিং হিসেবে তুলে ধরতে পারে আইডিয়া আছে?
মাস্টার, আপনি এই পিচ্চির হাসিতে মাইন্ড কইরেন না। আমি এইরকম ফান করার জন্য বলি নাই – তবে সামান্য ফান করার ইচ্ছা সত্যিই ছিল।
ভালো থাকেন 🙂
জুবায়েদ দিপ-কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দারাশিকো ব্লগের ‘পেছনের কথা’ জানা গেলো।
দুইজনের জন্যই শুভ কামনা।
পেছনের কথা না ঘোড়ার ডিম। দিপের প্রশ্নগুলা সোজা ছিল (কয়েকটা বাদে) আমি আবার বরাবরই ফুল আন্সার করতে পারি না 😛
ধন্যবাদ বস। একটা প্রশ্নের উত্তরে কিন্তু আপনার নাম বলি নাই, কিন্তু উত্তর দেয়ার সময় আপনার কথাই মনে পড়তেছিল 🙂
দিপ@ বরাবরের মতই দারুন ইন্টারভিউ। ধন্যবাদ তোমাকে
তবে দারশিকো ভাইয়ের নিজেকে বারবার অযোগ্য প্রমাণ করার চেষ্টা এই ইন্টারভিউয়ের একমাত্র বিরক্তিকর অংশ।
দারাশিকো @ কলকাতার মুভি নিয়ে আপনার মতামতের সঙ্গে আমিও একমত। দেশীয় চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার পজিটিভ মনোভাব সব সময়ই ভালো লাগে। সেই সঙ্গে ভাল্লাগে আপনার লেখা। আপনার জন্য শুভকামনা 🙂
এবার কিছু প্রশ্ন:
১. সেরা ছবি,পরিচালক,নায়ক,নায়িকা-র জায়গায় আমার প্রশ্ন থাকলো প্রিয় ছবি,পরিচালক,নায়ক,নায়িকা।
২. শাকিব খান আর এম এ জলিল অনন্তের প্রশংসা করলেই দেশী চলচ্চিত্র জাতে উঠবে বলে মনে করিনা। স্পিড আমি অর্ধেকের বেশি দেখতে পারি নাই। এই মুভিতে পজিটিভ কিছু পাই নাই আমি। এটার আমার রুচিগত দোষ নাকি অন্য কিছু?
৩. প্রয়াত অভিনেতা মান্নাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন।
প্রিয় রুশো ভাই, বিরক্তিকর অংশের জন্য ক্ষমা চাই, দারাশিকো সম্পর্কে এমনিতেই অনেক ভুল ধারনা, এইটা বাড়াতে চাই না। হাজার হলেও আমি সবার প্রিয় কাউসার রুশো হতে পারবো না। কিন্তু ‘আপনিই দারাশিকো !!!’ – এটাও হতে চাই না। এজন্যই বিরক্তিকর অংশের পুন: পুন: উপস্থাপন।
১ নং প্রশ্নের উত্তর আসলে আমার জানা নাই। আমার প্রিয়ের তালিকা অনেক বড় – তাই এখানে বলার কিছু নাই
২. আপনার রুচিগত দোষ তো অবশ্যই না। সিনেমাটা খুব ভালো হয়েছে তা না। কিন্তু এই সিনেমায় আমি যে পজেটিভ দিকগুলোর কথা বলেছি সেগুলোকে উপেক্ষা করা যাবে কি? আমি দ্য স্পিড এর গল্প নিয়া পজেটিভ তেমন কিছুই বলি নাই, যদিও সাধারণ দর্শকদের জন্য গল্পটাই মূল বিষয়। অনন্তর অভিনয়, যেটা সাধারন দর্শকদের জন্য গল্পের পরেই বিবেচ্য সেটা নিয়েও পজেটিভ বলি নাই। আমি পজেটিভ বলেছি নির্মান সংক্রান্ত কিছু ব্যাপার নিয়ে। এখনো সেই ব্যাপারগুলোকে আমার পজেটিভই মনে হয়।
সম্ভবত বিবাহিত ব্যাচেলর ভাই আপনার স্পিড নিয়ে মন্তব্যের পরেই বলেছিলেন – দূর্যোধনের রিভিউ পড়ার পর ভালো লাগবে এমনটা সম্ভাবনা কম। আমি এই মন্তব্যকে সমর্থন করি। আমি জানি স্পিড নিয়া আপনি যতগুলা রিভিউ পড়েছেন তার সবই হাস্যরসাত্মক, এতগুলা রিভিউ পড়ার পরে আপনি স্পিড দেখতে যাবেন সেইটাই তো বিস্ময়কর। সিনেমাটা বাজে এইটা মানি, কিন্তু এইটাও মানতে হবে আপনাকে যে, সিনেমা সম্পর্কে আপনার একটা ধারনা তৈরী হয়ে আছে আগেই। অথচ আমি সিনেমাটা দেখেছি প্রথম শো-তে। কারণ আমি চাই নি, অন্য কোন রিভিউ পরে বা ফেসবুকে স্ট্যাটাস পড়ে একটা নেগেটিভ ধারনা নিয়ে তারপর সিনেমা দেখতে বসি।
৩. আমি যদি বলি মান্নাকে মূল্যায়ন করার যোগ্যতা আমার নাই, তাহলে হয়তো আপনি আবারও বিরক্ত হবেন। কিন্তু কথাটা সত্য। আমি মান্নার অনেক সিনেমা দেখি নাই। মান্নার কাবুলিওয়ালা দেখে চোখে পানি চলে এসেছিল, মান্নার ‘আম্মাজান’ দেখে অনেক কিছু অবাস্তব বলে মনে হলেও ভেবে দেখেছি – এইটা কাহিনীকারের ফ্যান্টাসি চিত্র। আমি বাস্তবে যেটা পারবো না, সেইটা করেছি সিনেমায় মান্নার মাধ্যমে। এই মান্না অশ্লীল সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন, আবার অশ্লীলতা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য প্রশংসিতও হয়েছেন। মান্না সম্পর্কে আমার বক্তব্য হবে – তার ট্যালেন্ট ছিল, সময়ের সাথে সাথে সে অনেক পরিণত হয়েছিল, কিন্তু পরিচালকরা তাকে সেভাবে ব্যবহার করতে পারে নি। মান্না বেচে থাকলে, আজকের প্রসেনজিতের মত সেরা চরিত্রাভিনেতা হতে পারতো সে। যোগ্যতা হয়তো প্রসেনজিতের চেয়ে কিছুটা কম ছিল, কিন্তু যা ছিল সেটাও মোটেই কম ছিল না।
ধন্যবাদ রুশো ভাই। ভালো থাকুন
আপনার সাথে একমত- মান্নাকে পরিচালক’রা ব্যবহার করতে পারেন নাই।
৪. ’আর্ট ফিল্ম’ নামে যে জিনিসটা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে, সে সম্পর্কে আপনি কি ধারণা পোষণ করেন?
ভাইরে, আর্ট ফিল্ম বলতে আসলে কি বোঝায় সেইটা আমি জানি না। আর্ট ফিল্ম কি সেই ফিল্ম যেইটা নরম্যালি একটু স্লো যায়, এবং সব দর্শক দেখে না? আমি আসলে জানি না। বাংলাদেশের কনটেক্সটে আর্ট ফিল্ম বলতে আমি আসলে ড্রামাকে বোঝানো হয়েছে বলে দেখেছি। সম্ভবত সিনেমার দর্শক যারা আসলে বিশ্ব সিনেমা সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা রাখতেন না এমন কোন শ্রেনী থেকে আর্টফিল্ম শব্দটার উৎপত্তি ও প্রয়োগ। সত্যিকারের আর্ট ফিল্ম যদি বলতেই হয় তাহলে এক্সপ্রেশনিস্ট মুভমেন্টের সিনেমাগুলোকে বরং আর্ট ফিল্ম বলবো।
কিছুদিন পরে যখন শুধু হরর, শুধু কমেডি, শুধু এপিক সিনেমা তৈরী হবে, তখন কোনটা আর্ট ফিল্ম হবে আর কোনটা হবে না, আমি জানি না। দর্শকরা শিক্ষিত হলেই আর্ট ফিল্মের প্রয়োগ কমবে – এটাই বিশ্বাস 🙂
দর্শকরা শিক্ষিত হলেই আর্ট ফিল্মের প্রয়োগ কমবে – এটাই বিশ্বাস 🙂
ভেতরের অনেক কিছু জানা হলো।
কিছু জ্ঞান আহরন ও হলো!
জুবায়েদ দীপকে ধন্যবাদ।
জ্ঞান দেয়ার জন্য মাফ চাই স্বর্ণমৃগ। যা বিশ্বাস করি তাই বলার চেষ্টা করেছি।
এই যে মাঝে মধ্যে এসে ঘুরে যান, মন্তব্য করেন – সেজন্য কৃতজ্ঞতা 🙂 ভালো থাকুন স্বর্ণমৃগ 🙂
ভালোই একটা বাশ দিলেন। আগে জানলে কথাটা কইতাম না।
স্পিড নিয়ে দারাশিকো আর দূর্যোধন এই দুজনের রিভিউ পড়েছি আমি। দুইজনের লেখার স্টাইল আর চিন্তা-ভাবনটাকে এতদিনে কিচুটা হলেও ধরতে পেরেছি। তাই দূর্যোধনের রিভিউ যদি আমার উপর প্রভাব ফেলে দারাশিকোর রিভিউও প্রভাব ফেলবে। সত্যি কথা বলবো? একটাও ফেলে নাই। জানি বাংলা সিনেমাকে পচাতে দূর্যোদার জুড়ি মেলা ভার। এটাও জানি দারাশিকোর বাংলা সিনেমার ব্যাপারে কিছুটা হলেও সফট কর্নার আছে। আমি বরং তুলনামূলক ভালো কিছু হবে সেই আশা নিয়েই গিয়েছিলাম দেখতে। চলচ্চিত্রের নির্শাণশৈলী নিয়ে আমার জনাশোনা একবারেই কম। তাই নির্মাণশেলীতে কোন পজিটিভ পরিবর্তন এসছে কিনা সেটা বোধগম্য হচ্ছেনা। গড়পড়তা আর ৫টা বাংলা সিনেমার মতই মনে হয়েছে।
যাই হোক এ প্রসঙ্গে আরকেটা সিনেমার কথা বলি। জাগো সিনেমাটা আমি দেখেছি কিছুদিন আগে। স্বাভাবিক চোখেই সিনেমাটাতে অসংখ্য ত্রুটি ও অসংলগ্নতা চোখে পড়ে। তারপরও ছবিটাতে আবেগের জায়গাটা এত বিশাল ছিলো যে শেষ পর্যন্ত আমার ছবিটা খুব ভালো লেগে যায়।
রুশো ভাই, আমার দৃষ্টিতে পজেটিভ দিকগুলো আরেকবার বলছি। এটা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য, বিতর্কের উদ্দেশ্যে নয়।
আর ভাই, সত্যি হল আপনাকে বাশ দেয়ার কোন ইচ্ছাই নাই, আপনারে বড় ভালো পাই 🙂
দারাশিকো ভাইয়ের কাছে আমার প্রশ্ন –
১। বাংলা মুভিকে প্রতিযোগীতায় ফেলে তাকে জাতে তোলার জন্যে আমাদের নীতিনির্ধারকরা মনে করলেন ইন্ডিয়ান মুভি আমদানি করা দরকার। কিন্তু আমার মতে, পুরোনো যেসব মুভি আছে তাঁদেরকে আর্কাইভে বছরের পর বছর ফেলে না রেখে তাদের রিপ্রিন্ট করে হলগুলোতে প্রদর্শন করা উচিত। আর হল মালিকদের জন্যেও এমন কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করা উচিত – যারা সপ্তাহে ৩ টি পুরানো মুভি শো করবে তাঁদের কর একেবারে নামমাত্র হবে। আপনার কি মত?
২। আপনার একটা লেখায় পড়েছিলাম আপনি বলেছেন ইউনিভার্সিটিতে মুভি বিষয়ক কোর্স বা সাবজেক্ট চালু করা দরকার। কিন্তু যদি ক্লাস ৬ থেকেই বাচ্চাদেরকে সপ্তাহে একদিন ক্লাসেই এমিলের গোয়ন্দাবাহিনী, দিপু নাম্বার টু, পুরষ্কার টাইপের মুভিগুলা দেখানো হয় এবং পরবর্তীতে তাঁদেরকে ছোটখাট ক্যামেরা দিয়ে স্টিল পিকচার তুলে তা জোড়া দিয়ে স্টোরি মেক করতে উতসাহিত করা তাহলে কি আরো ভালো হয়না? কি মত আপনার?
বস, আপনার প্রবাসকালীন কথাগুলো অনেক গভীরে গিয়ে লাগে। এই উপলব্ধি বাংলাদেশে থেকে হওয়া সম্ভব কিনা বুঝতেসি না 🙂
১. রিপ্রিন্ট করার উদ্দেশ্য কি সেটা ঠিক স্পষ্ট না। যদি ব্যবসাই উদ্দেশ্য হয় এবং ইন্ডাস্ট্রিকেই মুনাফা অর্জনকারী করতে হয় তবে রিপ্রিন্ট করে কর অবকাশ দিয়ে চালানো খুব একটা লাভজনক হবে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সাথে এক সময় যোগাযোগ ছিল, তখন দেখেছি, সিনেমা নির্মাতারা সিনেমা সংরক্ষনের জন্য খুব একটা আগ্রহী থাকেন না। অনেক পুরানো সিনেমা খুজে পাওয়া যায় বিভিন্ন হলের ভল্ট থেকে। নেগেটিভ ছাড়া রিপ্রিন্ট করা সম্ভব না বলেই জানি, নতুন প্রযুক্তিতে সম্ভবপর হতে পারে।
তবে হ্যা, পুরানো সিনেমাও হলে বসে দেখার সুযোগ আমিও চাই। সেটা কর অবকামের মাধ্যেমে হতে পারে, আবার বিভিন্ন ফেস্টিভ্যাল বা অন্য ব্যবস্থায়ও হতে পারে 🙂
২. অবশ্যই ভালো হয়। কিন্তু এটা কি আদৌ সম্ভব এবং বাস্তবসম্মত? কত শতাংশ বাবা মা তাদের সন্তানকে নিয়ে এরকম একটা জুয়া খেলতে চান? যদি চাইতেন, তবে বাচ্চাদের কাধের ব্যাগ দিনকে দিন বড় হতো না।
যদি সিনেমা নির্মানই উদ্দেশ্য হয়, তবে বরং ছোট থেকে সিনেমা দেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করা উচিত। নির্মান পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখার সুযোগ থাকলেই যথেষ্ট 🙂
একান্তি নিজস্ব মত। দ্বিমত করার সুযোগ আছে 🙂
ভালো থাকুন বস। গার্মান জীবন সুন্দর হোক 🙂
১। রিপ্রিন্ট করার কথা বললাম, কারণ আমার নিজের কাছের লোকদেরকেই যখন বলতাম অমুক পুরানো বাংলা মুভিটা দেখা উচিত, তখন তারা বলে প্রিন্ট ভালো না। ইট’স এ ওয়ান্ডারফুল লাইফ মুভিটাও দেখছি তারা সাদাকালো ভার্সঙ্কে কালারড রিমাস্টারড করেছে – যদিও আমি নিজে সবসময় সাদাকালোটাকেই অনেক বেশি আপন মনে করতে পারছিলাম। দরকার হলে মুখ ও মুখোশকেও কালার করে প্রদর্শন করা হোক – যদি তাতে বৃহত্তর স্বার্থ থাকে।
২। ছোটকালে বস আমরা কিন্তু ড্রয়িং করতাম, আমাদের বাবা-মারা কিন্তু কখনোই চিন্তা করতেন্না যে তাদের সন্তানেরা চিত্রশিল্পী হবে। এখনো সেই ধারণাই আছে। আমার কথা হলো অন্তত ফটোগ্রাফীটা সামান্য হলেও যদি হাতেখড়ি করে দেয়া যায়… গাইতে গাইতে যেমন গায়েন হয় আরকি।
ফোর্ড কাপলা অসুস্থ হয়ে সারাদিন যখন ঘরে একলা থাকত তখন তার একমাত্র বন্ধু ছিলো ক্যামেরা। এভাবেই তিনি সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সেরা একজন ফিল্মমেকার হয়েছেন। ছবি আঁকার মেধাটাও আমার মতে বাড়বে তাতে। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ যদি অভিভাবকদের সাথে কাউন্সেলিং করে তাতে আমার মনে হয়না তারা খুব বেশি গাঁইগুঁই করবে তাতে।
অনেক ভালো লাগলো বাংলা সিনেমা নিয়ে একজন স্বপ্নবাজ ব্লগার ‘দারাশিকো’ ভাইয়ের ইন্টার্ভিউ পড়ে। বাংলা ব্লগে আমি বাংলা সিনেমা নিয়ে যে কজন মানুষকে পেয়েছি ভালবাসতে, বর্তমান প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে তাঁদের মধ্য সেরা একজন হলেন দারাশিকো ভাই। যার জন্য আমার মতো মানুষ আবারো স্বপ্ন দেখে আবারো বাংলা সিনেমা জেগে উঠবে। আবার আমরা দল বেঁধে হলে ছবি দেখতে যাবো, ঠিক যেমনটি গিয়েছিলাম ৮০ ও ৯০ দশকে। আমার জীবনের সেরা সব বিনোদন ও আনন্দের স্মৃতি এই সিনেমা দেখা নিয়ে যার কারনে আজো বাংলা সিনেমা ছাড়া অন্য কিছুতেই মনে তৃপ্তি পাইনা।
Dip vai k dhonnobad…asole blog jogot ta somporke amar dharanota kom….darashiko boss apni dakhi valoi boss manus…heavy popular ami to a apnare shadaron type mone kortam ….tobe boss apnar bangla comercial chobir unnotir jonno je abedon seita amar khub vallage…boss cinema banaya felen dakhi amra aktu inspire hoi….
সেলিব্রেটি হয়া গেলা মিয়া তুমিও। 😀
তোমাগো সবার লগে এখন এপয়েন্টমেন্ট কইরা দেখা সাক্ষাত করা লাগে
হ সেলিব্রেটিই তো – এইজন্যই ডাকায় আসলে জানানও না।
আপনি থাকেন কই? সিলেট, না মৌলভীবাজার? আমি এখন সিলেট। কালকে ঢাকা ব্যাক করবো ..
হইলো কিসু এইটা! একটা ফোনও তো দিতে পারতা মিয়া
valo vaia, Bangla cinema k hate kore tarai jara hall e giye kokhono cinema dekhe nai, jara r history jane na tarai, ami jodi bangladsh k valobasi tahole sobaro i ucit industry k jagiye tolar.
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম সুব্রত বিশ্বাস দাস (বানান ঠিক আছে তো?)
আপনার মন্তব্যে দ্বিমত করার সুযোগ নেই, কারন এটাই সত্যি। ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে শুধু পরিচালক, প্রযোজক আর অভিনেতার ভূমিকা থাকে না, দর্শকেরও ভূমিকা থাকে এবং এই ভূমিকাকে উপেক্ষা করে উন্নয়ন সম্ভব না – এই সত্যিটা সবার উপলব্ধি করা প্রয়োজন।
ভালো থাকুন সুব্রত। আবার আসবেন 🙂
ভাই… বিনয় একটা মহৎ গুণ! এক্কেরে সেইরাম ভাবে প্রমাণ দিলেন। 😀
যাই হোক, ইন্টারভিউ টা ভাল লাগল। তবে আপনার সম্পর্কে তেমন পরিষ্কার ধারণা আসলেই পেলাম না। পুরাই enigma!
হঠাৎ একটা জিনিস মনে পড়ল… আপনার কারণে আমার অভ্র বাংলা টাইপিং এ fluency আসছে… কারণ প্রথম দিকের কমেন্ট এর সময় অনুরোধ করেছিলেন বাংলায় লিখতে। কখনো থ্যাঙ্কস দিয়ে আপনাকে ছোট করা হয় নাই । থ্যাঙ্কু বস ! 😀
সত্যি কথাকে বিনয় হিসেবে দেখলে তো সমস্যা, বিনয়কে বাদ দিতে গিয়ে সত্যি-কে বাদ দেয়া লাগবে তখন।
আমার সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা দিতে না পারায় দু:খিত পুস্পিতা। পাবলিক পোস্টে সব বলে দেয়া ঠিক হবে না বোধহয়। আপনার কোন প্রশ্ন আছে?
ধন্যবাদ অভ্র-কে। আমি কিছুই করি নাই 🙂
আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা ব্লগ সৃষ্টি করার জন্য। প্রায় সবগুলো পোস্ট ইতোমধ্যে কপি করে নিয়েছি। ফিল্ম নিয়ে একটু আধটু পড়াশোনা করার বদ অভ্যাস(!!!) আছে । ফিল্ম বিষয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা আমাকে আলোড়িত করেছে। আরও অনেক পর্যবেক্ষণ পাবো বলে আশাবাদী । অনেক বেশি ভালো থাকবেন।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম রাহাত মুস্তাফিজ 🙂
কপি করে নিয়েছেন শুনে একটু টেনশন লাগছে – ভুলে কোথাও পেস্ট করে নিয়েন না যেন 🙂
আমিও চেষ্টা করছি দিনকে দিন আরও ভালো হয়ে উঠতে। পড়াশোনা করার চেষ্টা করছি, যদিও তার পরিমান খুব কম এবং সন্তোষজনক নয়। আরও অনেক পড়াশোনার প্রয়োজন বোধ করি কিন্তু হয়ে উঠে না।
আপনার বদঅভ্যাস সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলবেন কি? ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। ঈদ মোবারক 🙂
প্রিয় দারাশিকো,
রিপ্লাই দেবার জন্য ধন্যবাদ !!! অহেতুক টেনশন করার কোনও কারণ দেখিনা। যে কেউ এখান থেকে কপি করে নিতে পারে, কারণ আপনি এমন কোনও প্রটেকশন এর ব্যবস্থা করে রাখেন নি, তাছাড়া আপনার লেখা পড়ে যতটুকু বুঝেছি সেরকম কোনও ইচ্ছে আপনার আছে বলে মনে হয়না। কপি করে রেখেছি কারণ ফিল্ম বিষয়ে লেখা সংগ্রহ করা আমার মূল্যবান অভ্যাস, তবে সে লেখাকে অবশ্যই জাতের হতে হয় । ফিল্ম নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু মূল্যায়ন, পর্যবেক্ষণ থাকে, সুতরাং অপরের লেখা কপি পেস্ট করার আমার কোনও প্রয়োজন নেই। আসলে আপনার মতো লেখা লেখির মাধ্যমে বাঙলা সিনেমার ইতিবাচক মূল্যায়ন করা এবং বাঙলা চলচ্চিত্রের হারানো দর্শককে পুনরায় হলমুখী করার মহান ব্রত আমি নেইনি। লেখালেখি করার অভ্যাস আমার নেই, আমি সেটা পারিও না । কেবল প্রিয় কিছু মানুষের সাথে চা এর কাপে গরম বিতর্ক করতে পারি ।
আপনার হিরন্ময় লেখনীর মধ্য দিয়ে বাঙলা চলচ্চিত্রের নবজাগরণ ঘটুক এবং ফিল্ম ও দর্শকের মনোজগতে বিপ্লবী পরিবর্তন সূচীত হোক এই প্রত্যাশা করি ।
প্রিয় রাহাত মুস্তাফিজ, আপনি নিশ্চয়ই কপি করার বিষয়ে রাগ করেন নি, নাকি করেছেন? প্রটেকশন এর ব্যবস্থা করি নি ইচ্ছে করেই, বাংলা ভাষায় এক সচলায়তন ছাড়া আর কাউকে এই প্রটেকশন নিতে দেখি নি। তাছাড়া, আমার ডেভলপার বন্ধুও আগ্রহী নয়।
তবে এই সাইট থেকে লেখা কপি করে অন্য ব্লগে পেস্ট করে চালানো হয়েছে বেশ কবার। মাঝে মাঝেই খুজে বের করে রিপোর্ট করতে হয়। আপনি পেস্ট করুন, সমস্যা নেই, কোন ওয়েবে না থাকলেই হল। আশা করছি বুঝতে পারবেন 🙂
আপনার নিজস্ব মূল্যায়ন পর্যবেক্ষনগুলো জানার সুযোগ পেলে ভালো লাগত। ভালো থাকুন রাহাত মুস্তাফিজ, আবার আসবেন 🙂
দিপ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ দারাশিকো ভাইয়ের সাথে এরকম একটা ওয়ান-টু-ওয়ান ইন্টারভিউ এর কার্বন কপি আমাদের সবার সাথে শেয়ার করার জন্য। প্রশ্ন করার ধরনেও বেশ পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন আপনি।
আর দারাশিকো ভাই এর ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ অনুযোগ নেই। তবে কাউসার রুশো ভাই এর সাথে আমিও শুধু এতটুকুই বলব – “নিজেকে বারবার অযোগ্য প্রমান করার ব্যর্থ চেষ্টা কেন করেন? “। সামুতে আপনাকে সেই প্রথম থেকেই অনুসরন করে আসছি। তাই আপনার কোন লেখা সহজে মিস হয় না। আপনার মুভি রিভিউ পড়েই অনেক মুভি দেখেছি। প্রথম যেদিন আপনাকে আমার ব্লগে (একজন নিশাচর) দেখেছি সেদিন আপনার ব্যাপারে সত্যিই কোন ধারনা ছিল না। তবে ধীরে ধীরে আমি আপনার লেখার ফ্যান হয়ে গিয়েছি।
কাউসার রুশো ভাইয়ের মান্না সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরটা আমার কাছে অসাধারন লেগেছে। কোন রাখঢাক না রেখেই বলেছেন। কাবলিওয়ালা মুভি টা দেখে আপনার মত আমার চোখেও পানি এসে গিয়েছিল। কয়েকদিন আগে কোন একটা চ্যানেল এ মুভিটা দিয়েছিল (সম্ভবত mytv তে)। কাবলিওয়ালা সেই মান্না বেঁচে নেই সেটা ভেবে তখন সত্যি চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি।
আমি মুভি দেখতে অসম্ভব পছন্দ করি। আপনার হাতে সময় থাকলে CRASH (2004) http://www.imdb.com/title/tt0375679/ মুভিটা দেখার অনুরোধ রইল। এই মুভিটা দেখার পড়ে আমি বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি রিভিউ লেখার। এমনকি আমার সামুতে ড্রাফট বক্সে এখনো আধা সম্পুর্ন একটা রিভিউ ঝুলছে। কোথা থেকে শুরু করব কিংবা কোথায় গিয়েই বা শেষ করব বুঝে উঠতে পারি নি। আশা করি আপনার কাছে মুভিটা ভাল লাগবে (যদি না দেখে থাকেন)। আপনি, রুশো ভাই, নাফিজ ভাই এর মত কেউ এই মুভিটা নিয়ে রিভিউ লিখলে ভাল হত। আপনারা সুন্দর করে বুঝিয়ে বলতে পারতেন। রিভিউটা হয়ত আমিই লিখতে পারতাম, কিন্তু আপনারা লিখলে যতটা ভাল হবে আমি লিখলে ততটা হবে না। আমি সবসময়ই চাই একটা ভাল মুভি সবাই দেখুক। সেটা কোন দেশের কিংবা কোন ভাষার তা আমার কাছে মুখ্য নয়।
সব শেষে বলব “সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমরা আপনার গল্প/ডিরেকশনে মুভি দেখব”
খুব ভাল থাকুন। সবসময়……
ধন্যবাদ