আলফ্রেড হিচককের খুব বেশী মুভি দেখার সৌভাগ্য হয়নি। কিছুদিন আগে দুটো মুভি পেলাম, তার একটি ভার্টিগো অন্যাটি স্পেলবাউন্ড। গ্রেগরি পেক এর কোন মুভি এর আগে দেখা হয়নি, স্পেলবাউন্ড সেই দিক থেকে বন্ধ্যাত্ব মোচন করেছে।
একই সাথে প্রেম এবং ডিটেকটিভ কাহিনীর এক অপূর্ব সমাবেশ স্পেলবাউন্ড মুভিতে। এই ঘটনা বোধহয় হিচককের প্রায় মুভিতেই আছে, ভার্টিগোতেও দেখলাম। কিন্তু এই মুভির বৈশিষ্ট হল এখানে সমস্যাগুলো সাইকোলজিক্যাল। কিছু সাইক্রিয়াটিস্টকে নিয়েই এই মুভি যেখানে আছে প্রেম, হত্যা, পলায়ন, পুলিশ, সমাধান এবং শাস্তি। ড: কনস্ট্যান্স পিটারসেন নামের এক সুন্দরী সাইক্রিয়াটিস্ট যেখানে কাজ করেন ‘গ্রীন মরেন’ সেখানে ডিরেক্টর হয়ে আসেন ড: এডওয়ার্ডস। যিনি কিনা ‘গিল্ট কমপ্লেক্স‘ নিয়ে বই লিখে ইতিমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছেন। গিল্ট কমপ্লেক্স হল অতীতের কোন ঘটনার জন্য নিজেকে সর্বদা দোষী সাব্যস্ত করা, বিশেষত কোন খুনের কারন হিসেবে নিজেকে দায়ী করা যদিও তিনি এর সাথে জড়িত নন। সাধারনত গিল্ট কমপ্লেক্স এ ভোগা মানুষরা পরবর্তীতে আরও একই রকম ঘটনায় নিজেকে দায়ী করতে থাকেন।
কিন্তু ড: এডওয়ার্ডস রূপী গ্রেগরি পেকের সমস্যা অনুভুত হয় সাদার মধ্যে কোন রেখা দেখলে, সে নায়িকার গাউনে হোক, কিংবা বিছানার চাদরে। এডডয়ার্ডস এর সাথে ভালোলাগার সম্পর্ক তৈরী হয় কনস্ট্যান্স এর। সেই রাতেই সে জানতে পারে এই এডওয়ার্ডস আসল নন, তবে সে নিজেও তা জানে না। অর্থ্যাৎ রোগী নিজেই উপস্থিত। এডওয়অর্ডস পালায়, তবে কন্সট্যান্সের কাছে ঠিকানা জানিয়ে। এবার দুজনে মিলে সেই অতীতকে উদ্ধার করায় মগ্ন হয় যা থেকে প্রমান হবে ড: এডওয়ার্ডস খুন হেয়েছেন কিনা? আর খুন হলে গ্রেগরি পেক যার আসল নাম জন ব্যালেন্টাইন ই খুনি কিনা?
সাইক্রিয়াটিস্টরা কিভাবে সমস্যার সমাধান করে তা বোঝা যায় মুভিটি থেকে। বিশেষত্বের মধ্যে জন ব্যালেন্টাইনের স্বপ্নের ভিজ্যূয়ালাইজেশন দেখানো হয়েছে যা পুরোটাই এবস্ট্রাক্ট এবং সালভাদোর ডালির পেইন্টিং থেকে সহায়তা প্রাপ্ত।
যেহেতু ১৯৪৫ সালের মুভি এবং অনেকটাই সেটে নির্মিত, তাই একটু জড়তা অনুভুত হয়। আর কনস্ট্যান্স রূপী ইনগ্রিড বার্গম্যান হিচককের সব নায়িকার মতই জোস্!
হিচকক এর মোটামুটি সব মুভি দেখছি।হিচকক পুরাই জটিল