জ্বী হুজুর সিনেমা দেখার আগ্রহ তৈরী হয়েছে এর পোস্টার দেখে। ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী-পাজামা, মাথায় টুপি আর মুখে সুন্দর শশ্রুমন্ডিত এক সুদর্শন যুবকের অ্যাকশন দৃশ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সপ্তাহ দুয়েক আগে। একই সিনেমার আরেকটি পোস্টারেও এই যুবকের ছবি প্রাধান্য পেয়েছে যেখানে কালো রং এর কাবলী, মাথায় কালো পাগড়ী পরিহিত তরুনের হাতে একটি একে-৪৭ বন্দুক।
একে অপরিচিত, তার উপর শাকিব খানের আধিপত্যের সময়ে এরকম সুশ্রী নায়ক সিনেমার পোস্টারে দেখে আগ্রহ তৈরী হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া কাহিনীকার-চলচ্চিত্রকার জাকির হোসেন রাজুর সাক্ষাতকার থেকে জানা গেল ‘জ্বী হুজুর’ তারই পরিচালিত সিনেমা এবং এ সিনেমায় তিনি বেশ পরিকল্পনা করে নতুন ধরনের গল্পে নতুন এক ঝাক মুখ হাজির করার চেষ্টা করেছেন।
আগ্রহ থেকেই সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার শো-তে ‘জ্বী হুজুর’ দেখা হল। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এই সিনেমার চিত্রনাট্যকারও তিনি। গল্পের প্রধান চরিত্র মাদ্রাসা থেকে দাখিল-আলীম-ফাজিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করা আবদুর রহমান। তার বাবা সারাজীবন একজন সৎ মানুষ হিসেবে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। বাবার মৃত্যুর পরে আবদুর রহমান জীবিকার সন্ধানে সে ঢাকা শহরে এসে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, বাবার বাল্য বন্ধুর বাড়িতে থাকার সুযোগ পায়। এই বাড়ির-ই দুই মেয়ে বান্টি আর বাবলি, পোষাকে আশাকে আধুনিক, আচার-ব্যবহারে ধনীর দুলালী। তাদের বিদ্রুপ আর দুষ্টামীর শিকার হয় আবদুর রহমান, মেয়েদের পোশাকে হয় বিব্রত।
ভিন্ন এক গল্পে সৎ পুলিশ অফিসার এসপি সুজনের পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয় আরেক সৎ ও দেশপ্রেমিক যুবক এসআই ফারুক। কানা সেলিম নামের এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার এবং ক্রসফায়ারে হত্যার ফলে সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমনে দিনে দুপুরে খুন হয়ে যায় এই যুবক। ঘটনাচক্রে এই হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যতম প্রধান সাক্ষী হয়ে যায় আবদুর রহমান। সাক্ষীকে পৃথিবীকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টায় একের পর এক আক্রমন হতে থাকে আবদুর রহমানের উপর। সাধ্যমত প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে আবদুর রহমান।
এ ধরনের একটি গল্পে শেষটা সম্পূর্ণই ভিন্নরকম। আবদুর রহমানকে সমাজের জন্য একটি আদর্শ ও অনুসরনীয় চরিত্র হিসেবে তৈরী করেছেন জাকির হোসেন রাজু। এই চরিত্র নির্মানে তাই তিনি বেশ সচেতনতার সাথে সকল নেতিবাচক দিক এড়িয়ে গিয়েছেন। দেশপ্রেম এবং সততার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করে সিনেমার কাহিনীকে এগিয়ে নিয়েছেন পরিচালক।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এদেশের সিনেমার দর্শক হলেও সিনেমার গল্পে তারা সবসময়ই উপেক্ষিত ছিল। সম্ভবত এই প্রথম দেশের জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে সিনেমার প্রধান চরিত্রে ভালোভাবে উপস্থাপন করা হল। এছাড়া, ঐতিহ্যগতভাবেই দাড়ি-টুপি পরিহিত চরিত্রগুলো সাধারণত কমেডি নির্ভর কিংবা অপরাধপ্রবণ হয়। ফলে, ঘটক কিংবা মুখোশধারী শয়তানের ভূমিকায় চরিত্রায়নের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা তৈরী করতেও সহায়তা করেছে। ‘জ্বী হুজুর’ এই দিক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি সিনেমা। এবং নিজ নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালনের অনুপ্রেরণা এই সিনেমা থেকে গ্রহণ করা সম্ভব বলে মনে হয়েছে।
তবে, আবদুর রহমান চরিত্রে সাইমন সাদিক-কে খুজে বের করার জন্য পরিচালক বিশেষ ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। প্রথম সিনেমা হিসেবে জ্বী হুজুর-এ সাইমন সাদিক বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। অবশ্য তার চরিত্রকে আরোও একটু জড়তামুক্ত করার সুযোগ ছিল এবং করা হলে আরও বেশী গ্রহনযোগ্য হত। এসআই ফারুক চরিত্রে জেমি বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। তার স্মার্ট প্রাঞ্জল অভিনয় সিনেমায় তার স্বল্প সময়ের উপস্থিতিকে স্মরনীয় করেছে।
বান্টি চরিত্রে নবাগত নায়িকা সারা জেরিন মোটামুটি অভিনয় করেছে। তার চরিত্রটি আবদুর রহমান চরিত্রের কারণে খুব বেশী বিকশিত হবার সুযোগ পায়নি। গল্প গঠনের জন্য বরাদ্দকৃত সময়ের তুলনায় সমাধান বেশ ভারসাম্যহীন এবং অপরিকল্পিত। প্রধান ভিলেন চরিত্রটি গঠন এবং অভিনয় আরও রসদ দাবী করে। কিন্তু এই সব দুর্বলতাকে ছাপিয়ে উঠেছে সিনেমার মজবুত সংলাপ এবং প্রধান চরিত্র আবদুর রহমানের উপস্থিতি, তার অভিনয় এবং পাজামা-পাঞ্জাবী-টুপিতে অ্যাকশন দৃশ্যগুলো। আবদুর রহমান চরিত্রটি এখানে মেদহীন বাস্তব।
সব মিলিয়ে জ্বী হুজুর
সব মিলিয়ে ‘জ্বী হুজুর’ গতানুগতিকের বাইরে বেশ ভালো উপভোগ্য সিনেমা। শিল্পী সংকটের এই সময়ে জাকির হোসেন রাজু যে সাহসিকতার সাথে এক ঝাক নতুন মুখ নিয়ে ‘জ্বী হুজুর’ তৈরী করেছেন তার জন্য তিনি ধন্যবাদ প্রাপ্য। দর্শকরা কেমন ভাবে গ্রহণ করেছে তা জানার আগ্রহে কথা বলেছিলাম কয়েকজনের সাথে। কেউই বিরূপ মন্তব্য করেনি।
শাকিব খানের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারবে কি সাইমন সাদিক? একজন সরলমনে বললেন – শাকিব খান তার প্রথম সিনেমায় এত ভালো কাজ করে নি। শুনে আশার সঞ্চার হল অন্তরে। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে নতুন নতুন অভিনেতারা এগিয়ে এলে উন্নতি ত্বরান্বিত হবে। জাকির হোসেন রাজুর আবিস্কার সাইমন সাদিক যেন খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে সফল এবং পরিচিত মুখ হিসেবে জায়গা করে নিতে পারেন সেই শুভকামনা।
vi.bapok liksen..dekte iccha kortese..koi chole ..
আমি আনন্দ সিনেমায় দেখছি। শাহীনে চলতেসে, সম্ভবত বলাকায়ও চলতেসে।
মন্দ লাগবে না আশা করি। 🙂
আমিও আনন্দতে দেখেছি। যেদিন দেখতে গেলাম সেদিন দেখলাম একজন টোকাই মত ছেলে আরেক টোকাইকে বলছে। “কাইল দেকছি, তার আগের দিনও দেকছি, আইজও দেকমু” তার মানে দেখার আগেই বুঝেছিলাম ভাল হবে। দেখেও বুঝলাম সত্যি ভাল হয়েছে। এমন ছবি-ই চাই।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম তিনু 🙂 (বানান ঠিক আছে তো?)
সাইমন সাদিকের জন্য শুভকামনা। আরও ভালো করার অফুরন্ত সুযোগ তার সামনে। বুঝে শুনে কাজ করলেই হবে।
ভালো থাকুন সবসময় 🙂
ধন্যবাদ আমার নামের সঠিক বানান লেখার জন্য। কারন, বেশিরভাগ জায়গাতেই যারা আমার নামের ইংরেজি থেকে বাংলা করে তারা টিনু’ই লিখে। আর মোবাইল-এ শুনলে বলে টিনু, কিনু, পিনু আরও কত কি! যাহোক, সাইমন সাদিক এর পাশাপাশি আপনার জন্যও শুভকামনা। আরও অনেক ভাল কিছু পেতে চাই আপনার কাছে।
laltip dekhar somoy ei movietar trailer dekhesilam……hassokor legese…..but apnar lekha pore dekhte icche korse.
আমার লেখা এমন কিছু না যে দেখতে হবে ভাই। আমার কাছে কেন ভালো লেগেছে তা আমি বলেছি। আমি এই সিনেমার খুত দেখতে চাই নি – নাহয় প্রত্যেকটা দৃশ্য নিয়ে বলা যায়। তাছাড়া, দেখার সময় আমি মনে রাখি যে আমি বাংলাদেশী সিনেমা দেখছি, ভারতীয় বা উন্নত বিশ্বের সিনেমা নয়। সুতরাং, অনেক দুর্বলতা সত্ত্বেও এই সিনেমা আমি এনজয় করতে পারছি।
আশা করছি আপনারও ভালো লাগবে। না লাগলে গোপনে গালমন্দ কইরেন 😉
ভালো থাকুন দীপন 🙂
হলে গিয়ে দেখতে হবে…
স্বাগতম রাহাত 🙂
এবং ধন্যবাদ – এইটাই সিদ্ধান্ত। হলে গিয়েই দেখতে হবে। নতুন নায়ক ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে গেলে কিছু পরিবর্তন হবে আশা করি।
ভালো থাকুন …
দেখিতে হইবেক!!!
সিনেমাটা বাংলাদেশী – এটা মাথায় রেখে দেখবেন। খারাপ লাগবে না আশা করি ..
হুম। বাংলা ছবি নয়। বাংলাদেশি ছবি।
keep it up
Thanks vaia 🙂
সিনেমার পোষ্টার টি দেখে মনে হইসে গতানুগতিক হাস্যরস সৃষ্টিকারী বাংলা ছবি…।কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে কিছুটা ভিন্ন।।সাইমন সাদিক কে ভেবেছিলাম কলিকাতার নায়ক।।যাইহোক, দেখবো। দেখলে ভালো লাগবে আশা করি…।
কেন জানি এই সিনেমার পোস্টার দেখে আমার সেইরকম হাস্যকর মনে হয় নি। অবশ্য পুরো পোস্টারে ভিন্ন শুধু দাড়িওয়ালা ছেলেটার উপস্থিতি।
একটু খেয়াল রেখে চলতে হবে তার। তবেই ভালো করার সুযোগ থাকবে।
ভালো থাকুন সাঁঝের মায়া 🙂
মনে হয় অন্যরকম কিছু
হুম … 🙂
valo laagse……ekta shomoy khuv dekhtam…..
apnar lekha pore ichchata abar nara dilo
হলে গিয়ে দেখে আসার মত সুযোগ করা যায় কি?
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম হায়দার মামুন 🙂 ভালো থাকুন সবসময় …
আপনার লেখাটা পড়ে মন ভরে গেল। ছবিটা আমার দেখার ইচ্ছা ছিল,কিন্তু পরিক্ষা চলছে বলে পারছি না। আশা করছি পরিক্ষা শেষে দেখতে পারবো।
আর আপনি একটা জায়গায় লিখেছেন সায়মনকে আরও সাবলীল হলে ভাল লাগতো। সেক্ষেত্রে আপনাকে বলি; সায়মনকে আমি বেশ কয়েক বছর ধরে চিনি। এই ছবিতে ওর এমন ইম্প্রুভমেন্ট আমি চিন্তাও করতে পারি নাই। ও ভাল করে,সাবলীল ভাবে কথাটা পর্যন্ত বলতে পারতো না। কিন্তু এই ছবিতে সায়মনের কিছু দৃশ্য দেখে আমি সত্যিই অনেক অবাক হয়েছি। এত উন্নতি!!
যাইহোক,আবারও বলছি লেখাটা খুব ভাল লেগেছে। 🙂
সায়মনকে আপনি চিনেন? ইন্টারেস্টিঙ … আমি আরও ভাবছি তার সাথে একবার যোগাযোগ করা দরকার। ছেলেটা অনেক সুন্দর এবং স্মার্ট। এখন সে যদি ডায়লগ থ্রো-এ এক্সপার্ট হতে পারে, প্রয়োজনীয় মাত্রায় এক্সপ্রেশন দিতে পারে এবং সিনেমায় কাজ করার সময় চিন্তা ভাবনা করে বেছে কাজ নেয়, প্রয়োজনে ভালো ছবি করবে কিন্তু সময় নিয়ে – তবে ইন্ডাস্ট্রিতে সে টিকে যেতে পারে এবং এমন কাজও করতে পারবে যার জন্য তাকে মনে রাখবে লোকে।
ভেসে যেন না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। এই ধরনের কিছু কথা তাকে বলার দরকার বোধ করছিলাম। তার ইমেইল, ফেসবুক বা অন্য কোন উপায় কি সংগ্রহ করে দিতে পারেন? ইমেইল করলেই চলবে।
ধন্যবাদ সৌরভ ভাই 🙂 ভালো থাকুন 🙂
এই আশাবাদ আমাদের ইন্ড্রাষ্টিকে অনেক দূর নিয়া যাইবে।
ইনশাল্লাহ 🙂
লেখাটা পড়ে চমৎকার লাগলো… বর্ণনা শুনেই দেখতে ইচ্ছা করছে… কিন্তু, যতদূর জানি, রাজশাহীতে এখনো আসেনি… নতুন স্মার্ট এই নায়ক রুচিশীল দর্শকের চাহিদা পূরণ করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শক্ত আসন গাড়বে বলে সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি {আপনার বর্ণনা মোতাবেক}… সায়মন সাদিকের জন্য শুভ কামনা… সুন্দর এই লেখাটার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ… পরিচালককে ধন্যবাদ দেব সিনেমা দেখার পরে…
Naxmul Vai,
Aapnar theke kahinee shune dekhar aagroho hoyeche. But ekhon-o dekhte pari ni. Aapnar somalochona pore aagroho aar-o bere geche. Somoy manage kora kothin hoye poreche. Tobe asha rakhi, dekhbo…..
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম আছিম ভাই 🙂
অবশ্যই দেখবেন। দেখলে খারাপ লাগবে না শিওর। শাহীন ভাই কিন্তু আপনারে ফাকি দিয়া দেখে আসছে 🙂 🙂
মামা সাব্বির হোসেন (ঢাবির ধর্মতত্ত্ব) মুখে আপনার কথা শুনে চলে আসলাম। রিভিউটা অনেক ভালো লেগেছে। আচ্ছা এটার কি নেট কপি পাওয়া যাবে ?
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম মুহাম্মদ কাউছার আহমেদ 🙂
নেটে কোন কপি বোধহয় পাওয়া যাবে না। সাদিক খুব হিট কেউ নন, তার মুভি ভালোবেসে আপ করবে এমন মানুষ কম হবে।
তবে পাড়ার দোকানে ভিসিডি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে – অন্তত পাইরেটেড ভার্সন।
ভালো থাকুন কাউছার আহমেদ। আবার আসবেন 🙂
ভাল লাগ্ল আপনার পোস্ট টা । আমি মনে করলাম ও ি যসু সেন কিনা…। ভ
দারাশিককো’র ব্লগে স্বাগতম মুনিম সুমন 🙂
আপনার মন্তব্যটা কি অসম্পূর্ণ?
ভালো থাকুন, আবার আসবেন 🙂
আপনাকে না বলে আপনার এই রিভিউ টা আমার পেজ এ আজ শেয়ার করলাম।
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=229772873811786&set=a.103575153098226.4301.103546753101066&type=1&theater
জানি না আপনি আমার পরিচিত কিনা। আপনার কল্যানে অন্তত: ১০৫ জন পাঠক এই সিনেমাটা সম্পর্কে জেনে গেল, হয়তো তাদেরই কেউ কেউ এই সিনেমাটা দেখার জন্য খুজে বের করবে।
এভাবেই সবার এগিয়ে আসা উচিত। বাংলা সিনেমা অবশ্যই বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাড়াবে।
ধন্যবাদ পেইজ অ্যাডমিন 🙂
বাংলা সিনেমা অবশ্যই বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাড়াবে এই আশায় আছি। না আমি আপনার পরিচিত নয়। রিপ্লে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
review pore interesting lagtese.thanks for the review.
simon shadik
cell no: 01711448702
স্বাগতম হাসান সাফেয়ী 🙂
নাম্বার টা দিয়ে অনেক ভালো করলেন।
খুবই ইন্টারেস্টিংলি তার সাথে কদিন আগে দেখা হয়ে গেল টিএসসি-তে। বেশ কিছুক্ষন কথা হয়েছে। নতুন সিনেমার কাজ শুরু করবে বলল।
আপনি কিভাবে চিনেন?
ভালো থাকুন। আবার আসবেন 🙂
বাংলায় আমার নামের বানান ‘হাসান শাফিঈ’। এমন বানান আগে দেখেছেন কখনও? সায়মনকে চিনি, কারণ ‘জ্বি হুজুর’র নায়িকা সারা জেরিন আমার কাজিনÑ সেই সূত্রে। আলাপ-পরিচয় আছে। এখন সায়মন ‘পোড়ামন’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত বলে জানি।
যখন লিখছিলাম তখনই সন্দেহ হচ্ছিল – বোধহয় নামের বানান ভুল করতেসি 🙁
স্যরি হাসান শাফিঈ। ইমাম শাফিঈ – এর নামের বানানও কি এরকম? আর কখনো শুনি নাই 🙁
জেরিন আপনার কাজিন জেনে ভালো লাগল। উনার আপডেট কি? আর কোন ছবিতে কাজ করছেন? তার জন্যও শুভকামনা থাকলো, পৌছে দেবেন 🙂
ভালো থাকুন হাসান শাফিঈ – সবসময় 🙂
পুরাই সিনেমাখোর এক ব্লগারের ব্লগ। সত্যি দারাশিকো ভাই আপনি পারেনও। এভাবে আর কতদূর। আমি আপনার লেখাগুলোর উপর নির্ভর করে সিনেমা না দেখেই জেনে নিতে পারি বাংলা সিনেমার হালচাল।
ট্যাপ বন্ধ করেন, উপচায়া পড়তেছে :/
খুব ই ভাল লাগলো, কিন্তু ঝামেলা হল আপনি যেসব বাংলা ছবির রিভিউ লেখেন, সেগুলো নেট এ পাওয়া যাবে না। আর আপনার মত এখন হল এ যাওয়া ও আমার পক্ষে সম্ভব না। ফলে লিস্ট এ রাখতে হবে। কোথাও পেলে নামিয়ে নেব। 🙂
জাজ মিডিয়ার ছবি ‘অন্য রকম ভালবাসা’র কাজ শেষ করেছে। অচিরেই রিলিজ হবে ছবিটি। শাহীন সুমনের পরিচালনা। তবে সারা দুই নায়িকার একজন। তাই রিলিজ পর বোঝা যাবে এটি তার ক্যারিয়ার এগিয়ে দেবে না পিছিয়ে!!!
dekhbo………….
আজ পাড়ার এক ভিসিডি এর দোকানে জ্বি হুজুর ছবির পোস্টার দেখে দোকানে খোঁজ করলাম এবং ভাগ্যক্রমে পেয়েও গেলাম । খুব আক্ষেপ হচ্ছিলো গত ২০১২ এর এপ্রিল এ মুভিটা পেক্ষাগৃহে দেখতে পারিনি বলে । কিন্তু তাই বলে আমি যে হলে গিয়ে মুভি দেখিনা তা নয় । গত বছর আমি হলে গিয়ে ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, লাল টিপ, চোরাবালি, টেলিভিশন , ভালবাসার রঙ ছবিগুলো দেখেছি । যাই হোক আজ জ্বি হুজুর মুভিটা ঘরে বসেই উপভোগ করলাম । খুব ভালোই লেগেছে । সারা জেরিন কে আমি প্রথম দেখি এই বছর জাজ এর অন্যরকম ভালবাসা ছবিতে । সেখানেও সারা জেরিন কে খুব ভালো লেগেছে। আমার মতে জ্বি হুজুর মুভি তার প্রমোশন ঠিকঠাক হয়নি । নইলে গত বছরের ব্যবসা সফল ছবির একটি হত জ্বি হুজুর । আর হিন্দি এবং কলকাতার বাংলা ছবিতে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন দিক খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয় । কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় আমাদের ছবিগুলোতে আমরা ইসলাম ধর্মের ইতিবাচক দিকগুলো সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারি না । কিন্তু জ্বি হুজুর ছবিতে একজন মাদ্রাসা ছাত্রকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।
প্রিয় দারাসিকো ভাই, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রখ্যাত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান পরিচালিত “এবাদত” ছবিটি নিয়ে একটা রিভিউ করুন প্লিজ । আজ দেখলাম মুভিটা । খুব ভালো লেগেছে ।
করবো ইনশাআল্লাহ 🙂
ami ei movie ta online dekhte chai but onek vabe try korci parina karo jodi kono link jana thake den pls
আমি মুভিটা দেখেছি অনেক ইনজয় করেছি। ভাল একটা মুুুভি।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম হাদী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।