গত ২১শে মার্চ ২০১২ তারিখে সরকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১০ ঘোষনা করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ২০১০ সালের সেরা অভিনেতা শাকিব খান। ‘ভালোবাসলেই ঘর বাধা যায় না’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শাকিব খান এই পুরস্কার পেয়েছেন। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অপু বিশ্বাস এবং রোমানা অভিনয় করেছেন। ১৯৯৯ সালের ২৮ মে সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালিত সিনেমা ‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করার এক যুগ পরে তিনি রাষ্ট্রীয় ও সর্ব্বোচ্চ খেতাব জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। শাকিব খানকে অভিনন্দন।
শাকিব খানের এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে প্রশংসার পাশাপাশি নিন্দা ও ব্যঙ্গাত্মক বিভিন্ন মন্তব্য আলোচনা পড়ার সুযোগ আমার হয়েছে। শাকিব খানের নামের সাথে অপরিহার্য অংশ হিসেবে ‘হিজড়া’ যোগ করে বিভিন্ন মন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি বিষয়ই বেশ ভালো ভাবে ফুটে উঠেছে, তা হল – শাকিব খান এই পুরস্কারের যোগ্য ছিলেন না, এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রে দুর্দশার চিত্র আরেকটু স্পষ্টভাবে ফুটে উঠল ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ধরনের মন্তব্যগুলোর বিপরীতে চিন্তা ভাবনা করতে গিয়ে কিছু প্রশ্ন মাথায় আসল। তাদের মধ্যে সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ হল –
১. শাকিব খানকে কেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া যাবে না?
২. শাকিব খানকে বাদ দিয়ে কাকে পুরস্কার দেয়া যেত?
৩. শাকিব খানকে বাদ দিয়ে যদি অন্য কাউকে চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া যেত তবে কেন দেয়া হল না?
৪. শাকিব খানের কোন ভূমিকা কি বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে আদৌ আছে?
৫. শাকিব খান কি ভালো সিনেমার অন্তরায়?
৬. শাকিব খান যদি ভালো সিনেমার অন্তরায় হয় তবে সমাধানের উপায় কি?
এই প্রশ্নগুলোর কিছু উত্তর আমি নিজেই খুজে নিয়েছি, কিন্তু আমি এতে সন্তুষ্ট নই। তারপরও আমার প্রশ্নগুলোর ব্যাখ্যা করতে আগ্রহ বোধ করছি।
শুরুতেই বলে রাখা ভালো, যে সকল মানুষ শাকিব খানের নামের সাথে ‘হিজড়া’ অপরিহার্য অংশ হিসেবে যুক্ত করেন আমি তাদের মধ্যে নই। শাকিব খানকে আমি সিনেমার একজন কুশলী হিসেবে দেখি – তিনি হয়তো অভিনেতা নন, কিন্তু তিনি নায়ক। শাকিব খানকে হিজড়া হিসেবে ট্যাগ করার ফলে একটা জিনিস ফুটে উঠে। সেটা হল- আমরা মানবতা, মানবিক অধিকার ইত্যাদির কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও হিজড়াদেরকে এখনো ক্ষুদ্র এবং নিকৃষ্ট জ্ঞান করি এবং কাউকে গালি দেয়ার সময় সমাজেরই আরেকটি অংশের দিকে আঙ্গুল তুলে দিই।
শাকিব খানকে কেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া যাবে না – তার উত্তর হতে পারে শাকিব খান চলচ্চিত্র পুরস্কারের যোগ্য ছিলেন না। অধিকতর যোগ্য কেউ এই পুরস্কার পেতে পারতেন। শাকিব খান অভিনয় ভালো করেন না, শাকিব খানের সিনেমার গল্প ভালো না, শাকিব খান আগে অনেক নোংরা সিনেমায় অভিনয় করেছেন, শাকিব খান এখন এক প্রকার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কন্ট্রোল করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি কারণগুলো আমার মনে এসেছে। এর মধ্যে একমাত্র – শাকিব খান ভালো অভিনয় করেন না এই যুক্তিটিকে গোনার মধ্যে আনা যায়।
যদি তাই হয়, তবে সেক্ষেত্রে শাকিব খানের দোষ কোথায়? দোষ হবে এর নির্বাচক গোষ্ঠীর। যারা আরও ভালো অভিনেতাদেরকে মূল্যায়ন করেন নি। অন্য কারণগুলোও অনেকটা এই যুক্তিতে বাদ পড়ে। শাকিব খান একসময় নোংরা সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলে ২০১০ সালের সিনেমাগুলো বিচারের সময় বাদ দেয়ার মানে হল ইনজাস্ট করা। ২০১০ এর সিনেমার বিচার করার সময় কেন ২০০২ এর সিনেমার প্রসঙ্গ আসবে?
শাকিব খানকে বাদ দিয়ে কাকে পুরস্কার দেয়া যেত সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় সব সিনেমা দেখেছেন এমন দর্শকরা হয়তো ভালো মন্তব্য করতে পারবেন।
শাকিব খানকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে পুরস্কার দেয়ার সুযোগ থাকার পরেও না দেয়ার একটি কারণ হতে পারে এই পুরস্কার প্রদানে প্রচন্ড দুর্নীতি হয়েছে। চাষী নজরুল ইসলাম এই পুরস্কার ঘোষনার পরে মন্তব্য করেছেন এখানে ‘শুধু দলীয়করণ নয়, চূড়ান্ত দলীয়করণ করা হয়েছে’। শাকিব খান লবিইং করে তার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এমন অভিযোগও আছে। সেক্ষেত্রে, তার পুরস্কার প্রাপ্তির বিরোধিতা এই বলে করা উচিত যে এখানে নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত পাওয়া যায় নি। এ জন্য শুধু শাকিব খান নয়, পুরো জুরী কতৃপক্ষের বিচারের সম্মুখীন হওয়া উচিত।
শাকিব খান বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। কিভাবে? ইন্ডাস্ট্রির চাকা সচল রেখে। শাকিব খানকে কেন্দ্র করে হলেও সিনেমা নির্মান হচ্ছে। একটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে তার অস্তিত্ব পুরোটাই হুমকীর মুখে ঠেলে দেয়া। বসে পড়া একটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে দাড়া করানো মোটেও সোজা কাজ নয়। বোধহয়, ৪০ বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম বিবেচনা করলে এটা বোঝা যাবে। আরও যুক্তির জন্য আমার “ভারতীয় সিনেমা আমদানী কি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন ঘটাবে?” শীর্ষক লেখাটি পড়া যেতে পারে।
শাকিব খান অবশ্যই ভালো সিনেমা অন্তরায় নয়। হলে, ‘গহীনে শব্দ’ পুরস্কার পেত না। ভালো সিনেমা হচ্ছে না কারণ এখানে ভালো পরিচালকরা আসছেন না, এখানে ভালো চিত্রনাট্যকাররা আসছেন না, এখানে ভালো সিনেমার জন্য লগ্নিকারক পাওয়া যাচ্ছে না (যদি ভালো সিনেমা বলতে বিকল্প ধারা-কে বোঝানো হয়, তবেই এই পয়েন্ট)।
তারপরও ধরা যাক শাকিব খান ভালো সিনেমার অন্তরায়, সেক্ষেত্রে সমাধানের উপায় কি? শাকিব খানকে জোর করে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। শাকিব খান ইন্ডাস্ট্রিতে আছে তার কারণ তার বিশাল এক ভক্তগোষ্ঠি আছে যারা শাকিব খানকে মন দিয়ে ভালোবাসে, যারা শাকিব খানকে অনুসরন করে, যারা শাকিব খানের সিনেমা দেখে। এই ভক্তগোষ্ঠির আকাঙ্খা পূরনের জন্য আছেন লগ্নিকারক, যারা শাকিব খানের সিনেমায় লগ্নি করলে তা ফেরত পাওয়ার আশা করেন। সুতরাং, আমাদের-ই ‘বেটার অলটারনেটিভ’ তৈরী করতে হবে। এই বেটার অলটারনেটিভ তৈরী করার জন্য শুধু নতুনদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে না, শাকিব খানকে দিয়েও ভূমিকা রাখানো যেতে পারে।
শাকিব খানকে দিয়ে যদি আরও ভালো সিনেমা তৈরীর উদ্যোগ কেউ নিতেই চায়, তবে সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াবে কে? শাকিব খান? প্রশ্নই আসে না। আমি জানি না, তবে বিশ্বাস করি, শাকিব খান আরও ভালো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আপত্তি করবে না কিন্তু আরো ভালো সিনেমা নির্মানে যারা দক্ষ এবং আগ্রহী তারাই হয়তো তাদের সিনেমায় শাকিব খানকে কাষ্ট করার ব্যাপারে আগ্রহী হবেন না। যদি সত্যিই তাই হয়, তবে সমস্যা কিন্তু আমাতেই। শাকিব খানকে দোষারোপ কেন? এই পর্যায়ে পাঠক আপনি পড়া বন্ধ করুন, বুক ভরে শ্বাস নিন, তারপর বলুন – আপনি পরিচালক হলে শাকিব খানকে নায়ক হিসেবে আপনার সিনেমায় নেবেন? – উত্তর আমাকে দেয়ার দরকার নেই। হ্যা হোক – না হোক, আপনি যেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করতে পারেন সেই শুভকামনা জানিয়ে রাখলাম।
আগোছালো ভাবে কিছু কথা বললাম। আমার প্রশ্নগুলোই চূড়ান্ত নয়। আরও প্রশ্ন আছে, হয়তো আমার ভোঁতা মাথায় এর বেশী কিছু তৈরী সম্ভব ছিল না। সুতরাং এই মাথা থেকে আরও সূক্ষ যুক্তি আসবে তেমন আশা করাও বোকামী হবে। আমার প্রশ্ন এবং উত্তরে আপনার আপত্তি থাকলে আপনার যুক্তিসমূহ তুলে ধরুন। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের লড়াকু সৈনিকরা আমার পাঠকদের মধ্যেই আছে- এই বিশ্বাসে তাদের জন্য শুভকামনা।
শাহ্রুখ খান ল্যাংটা দৃশ্যের নায়িকার সাথে অভিনয় করার পরবর্তি সময়ে অনেক ভাল মুভি করেছে এবন পুরষ্কার ও পেয়েছে…বলিউডে শাহ্রুখকে কখনোই ভাল অভিনেতা বলা হয়না।তাকে নায়ক ই মানা হয়।সেখানে আমির খান কে যে কোন সমালোচক ই অভিনেতা হিসেবে মেনে নেন।
সেই হিসেবে শাকিবের আরো আগেই জাতীয় পুরষ্কার পাওয়ার দরকার ছিল।শাকিব কে নিয়া চাষী নজরুল বলেছিলেন,ছেলেটা অভিনয় জানে কিন্তু ভাল পরিচালকরা তাকে সুযোগ না দিলে কিভাবে সে তা দেখাবে?যখন তাকে নিয়ে তিনি সুভা মুভিটি বানিয়েছিলেন তখনকার কথা। তারপর কিন্তু শাকিব ভাল ভাল মুভি করা শুরু করেছিল।সুভা মুভিটি দেখে আমার ভাল ই লেগেছিল।
বর্তমান সময়ে জাতীয় পুরস্কারের হিসেব করলে শাকিবের সেই সময়েই এই পুরষ্কার পাওয়া উচিৎ ছিল।কিন্তু তার সেসময়ের ব্যাড ইমেজের কারনে হয়ত জুরিদের মনে জায়গা করতে পারেনাই।
এখন অনেকেই শাকিবের সমালোচনা করেন…হলিউডের মুভি দেখে যারা পেকে গেছেন তারা তা করতেই পারেন।কারন ডিভিডি আর ইন্টারনেটের জমানায় এইসব সম্ভব।অনেকের কথা শুনলে মনে হয় আলপাচিনো’র সাথে শাকিব/মান্না/কাঞ্চন দের পাল্লা দেয়া জরুরী হইয়া পরছে…কেন??
তাদের দেশের কালচার আর আমাদের দেশের অবস্থা তো দেখেন একবার…সিনেমা হলে গিয়ে মুভি দেখার প্র্যাকটিস যাদের নাই তাদের সমালোচনা আমি অবশ্য গোনায় ধরিনা…তারা বিদেশি মুভি দেখে অনেক জ্ঞাণী হয়ে গেছেন।
আমি আমজনতা…সেই ৯২/৯৩ থেকে বাংলা মুভি সিনেমা হলে গিয়ে দেখি…ভিসিয়ার/ডিভিডিতে বিদেশি মুভি দেখে মজা পাইতামনা।হলে গিয়ে বাংলা মুভি দেখা ই ছিল আমাদের জন্য বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম।মুভি তো আপনি বিনোদনের জন্য ই দেখেন?সপ্তাহে এক দুইবার সিনেমা হলে না গেলে মনে হত এই সপ্তাহে কি যেন মিস করলাম।
কিন্তু এখন ছেলেপিলেরা যেভাবে বলে বিনুদুন…সেটা আমার ভাল লাগেনা আসলে।
১৬ কোটি মানুষের দেশে বর্তমানে একজন ই সুপারষ্টার।
আপনি মানেন আর না মানেন।
ভাল অভিনয়ের ব্যাপারে আপনি যা বলেছেন তাতে খুব দ্বিমত নেই।কিন্তু সামাজিক একশন(বাংলা মুভির এই একটা ই ধারা বর্তমানে চালু)মুভিতে শাকিবের যে ধরনের অভিনয় দরকার সেটুকু সে করে বলেই আমার মনে হয়।
বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি অনেক আগায়া গেছে…আর আমাদের সিনেমায় প্রযুক্তির ছোয়া নেই বললেই চলে…কলিকাতারা সাউথ রিমেক বানায়া বানায়া দর্শকদের এখন হিন্দি সিনেমা থেকেও মুখ ফিরানের ব্যাবস্থা করে ফেলেছে…আর আমরা তো হিন্দি সিনেমা আনার ব্যাবস্থা ই করে ফেলেছি!
এই বিষয় নিয়ে কিছু লিখে ড্রাফট করে ফেলেছিলাম।আপনার পোষ্ট আবারড্রাফটকে জীবিত করে তুলল!!
স্যালুট বস। একটু আগেও একটা গ্রুপে একজন পাঠক বলে গেলেন, রুচিশীল ও শিক্ষিত মানুষ শাকিবের ছবি দেখে না। এই মন্তব্য বেশ অপমানজনক বটে। এটাও সত্যি – আমাদের হীনমন্যতাবোধ আমাদের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে দমিয়ে রাখার একটা কারণ। আবারও উপলব্ধি হল আজকে।
আপনার ড্রাফটটি এখনো অক্ষত থাকলে বাচিয়ে তুলুন, এটা পাঠকের দাবী 🙂
ভালো থাকুন বিবাহিত ব্যাচেলর 🙂
Apni Kivabe Bollen Bollywood Shahrukh k Ovineta hishebe mane na??????????????? Shahrukh Record 8bar Filmfare Award for Best Actor paiche…..abong ta shudhu nayoker jonno na,tar acting er jonno…..Filfare award jodi just Hero er vittite deowa hoito,tahole Amitav Bacchan er bura boyoshe best actor er award paito na…….Apni Shahrukh er Devdas,My Name Is Khan,Shawdes,Chakh De India! etc movie gula deikhen.tarpor boilen she Just hero na Actor……Ebar shakib er bepare kotha boli……apni bolche jara Hollywood er movie dekhe tara Shakib er name ulta-palta kotha bole……….Shakib tar jibone ‘Shuva’ bade r kon movie ta korche jar jonno take respect korte hobe???????? R shunen amra Bangla Movie dekhi,tobe valo gula like Guerrilla,Third Person Singular Number,Monpura,Dui-Duyari,Jaago etc……Shakib eirokom movie koruk,tahole amrao Shakib er fan hobo……R akta kotha………thak pore bolbo..emnei lekhata onk boro hoye gache
Shakib is the best
আমি আপনার সাথে একমত ,উনি হয়ত অত ভাল অভিনয় করেন না,আর আমাদের দেশে ভাল অভিনয় করে এমন কেউ কমার্সিয়াল ছবি তে অভিনয় করতে চান না,আমরা আমাদের দেশের ছবির সাথে পাশের দেশের ছবির তুলনা করে বলি যে আমাদের দেশের সব ছবি ই নকল,অথচ আমরা তারেক মাসুদ,তানভীর মোকাম্মেল এর মত পরিচালক দের ছবি টাকা দিয়ে দেখতে চাইনা,তাদের ছবি বানাতে হয় অনুদানের জন্য অপেক্ষা করতে হয় নয়তো নিজের জমি বিক্রী,আমরা এটাও ভাবি না আমাদের বাজার ছোট,পাইরেসির কারনে অনেক কিছুই করা সম্ভব হয়না।শাহ রুক,সালমান,আমির রাও যে পরিমান নকল কমার্সিয়াল ছবিতে হাস্যকর অভিনয় করে তাদের টা কি বলবেন? এমন তো না যে তারা অভিনয় পারেন না?
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম সাইফুল 🙂
আপনার মন্তব্যটা খুব নির্মম সত্যিটাকেই রিপ্রেজেন্ট করছে। হয়তো এই নাক উচু ভাব দূর করতে পারলেই আমরা এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারবো – শুভকামনা আমাদের প্রতি। ধন্যবাদ সাইফুল 🙂
দারাশিকো ভাই বেশ ধারালো প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্নগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
গহীনে শব্দ- নামক যে মুভিটি পুরষ্কার পেলো, সেটা আসলে কি? এতো বাজে ন্যাকা ন্যাকা মুভির তুলনায় শাকিব খানের এন্টারট্রেনিং মুভি বলা যায় হলে যাওয়া দর্শকদের জন্য আর্শিবাদ। আমরা কেন সেইসব মুভিকে এপ্রোসিয়েট করব যেগুলো হলে চলার যোগ্যতা রাখে না।
নিজের নির্মিত হীনমন্যতা নিয়ে নিশ্চয় আরো কথা হবে।
সরি, লাইনটা হবে-
নিজেদের নির্মিত হীনমন্যতা নিয়ে নিশ্চয় আরো কথা হবে।
হীনমন্যতাবোধ – এইটা বিশাল একটা কারণ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থার জন্য। রুচি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এই ভয়ে আমি সিনেমা দেখি না – এর বিপরীতে কি তবে এই দাড়ায় যে – লোকে আমার রুচির প্রশংসা করবে তাই আমি হলিউড, কোরিয়ান, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ সিনেমা দেখি?
আমি জানি না, তবে এই অবস্থা যেন দূর হয় সে কামনা করতেও ভুলি না 🙁
Boss………..Gohine Shobdo apner valo lagbe na..karon er movie dekhar r bujhar moto joggota apner akhono hoy nai…Apni borong apner Janer Jan,Praner Pran Shakib Khan er Bap-Mayer mrittur protishodh neoya type movie gulai dekhen……..
জয়, আপনি বড়ই আক্রমনাত্মক শব্দ ব্যবহার করছেন। ওয়াহিদ সুজন গুনী লোক, তার লেখা এবং সিনেমা দেখার রুচিবোধের সাথে আমার বেশ ভালোই পরিচয় আছে। ইনফ্যাক্ট, গহীনে শব্দ নিয়ে আমার একটি রিভিউ তিনি সম্পাদনা করেছেন, যা অতি শীঘ্রই দারাশিকো’র ব্লগে প্রকাশিত হবে। আমি আশংকা করছি সেই রিভিউ প্রকাশের পরে আপনি আমাকেও এক্ব্ই মন্তব্য করে যাবেন, কারণ গহীনে শব্দ সম্পর্কে আমি খুব কমই পজেটিভ লিখেছি।
কারও মন্তব্য/সিনেমার রুচিবোধ আপনার পছন্দ না হলে আপনি যুক্তি সহকারে প্রতিবাদ করুন, এতে আলোচনার সুযোগ তৈরী হয়। কিন্তু এভাবে আক্রমনাত্মক শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধ থাকল। ধন্যবাদ জয়, ভালো থাকুন।
অভিনন্দন শাকিব খান।
অভিনন্দন 🙂
Shakib khaner valo film korar agroho ache bole mone hoy na.Tar bebohar o bodhoy khrap.Chashi najrul islam ghoshona diechen uni shakip khaner sathe jibone r kaj korben na.
Apni ‘ek bindu valobasa’ gaantay or expression deikhen.
Somalochona chara kichu korte parchi na bole dukkhito.Protibar oi beta tvte eshe bole jay,”amar notun chobikhana dekhun.Maggi sauce .Its diffrent.”
Tekatuka khroch kore hall a giye dekhi……..Nah…..Ki dekhi r bolbo na.Apni bhai hall a giye shakiber 10ta movie dekhen.Tarpor asha kori apni take deffend korte ashben na.Shakiber chobi ami kom to dekhlam na.
Porichalok nai eita bhul kotha amar m0te.Prishthoposhok nai bodhoy.
Onek kotha bolar chilo.Kintu r ki bolbo.Ektu valo kotha diye syash k0rar chesta kori .0 indrustite onek bochor struggle kore star hoise.Eta 0sweekar kora jabe na.Kintu bochore ekta val0 film korar iccha ki or nai!Jatio puroskar ei chobir jnn0 ami mante parlmna.0nek pkpek korlam.Vobissote o valo chobi k0rbe ei ashay…..
sourav ভাইয়ের সাথে একমত ……… আর তেমন কিছু বলার নাই ।
কে না জানে টিভিতে বা পত্রিকায় কোন নায়ক বা নায়িকা যখন বলে এই সিনেমাটা ভিন্ন – সেটা আর কিছুই নয়, প্রচারণা। সিনেমাটা ব্যবসাসফল হলে আরেকটা সিনেমার সুযোগ বাড়ে। বলিউড/হলিউডের মত প্রচারণার জন্য বিশাল বাজেট থাকলে হয়তো এই এক রেকর্ড বারবার বাজাতে হত না।
শাকিবের আগ্রহ আছে কিনা সে ব্যাপারে বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে কখনো পত্রিকায় তার মতামত পাই নি, ব্যক্তিগত কথা বার্তাও হয়নি। ভালো করার সুযোগ থাকলে কেউ খারাপ করতে চায় – এটা মানুষের ফিতরাতের বাইরে। আর ব্যবহার খারাপ হবার সম্ভাবনা আছে। সে এখন খ্যাতির চূড়ায়। সুতরাং তার তীব্র অহঙবোধ জাগ্রত হওয়া স্বাভাবিক। তবে চাষী নজরুলের করা সুভা সিনেমাটাও কিন্তু শাকিবের ভালো সিনেমাগুলোর অন্যতম।
ভালো লাগল আপনার মন্তব্য সৌরভ। ধন্যবাদ 🙂
সাকিব খান একজন ব্যক্তিত্বহীন ও নীচুপ্রকৃতীর লোক!
কয়েকবছর আগে বিটিভির “ইচ্ছে পূরন” (যে অনুষ্ঠানে পথ-শিশুদের ইচ্ছা পূরন করার চেষ্টা করা হয়) অনুষ্ঠান থেকে পথ-শিশুদের ইচ্ছা পূরনের জন্য এফ,ডি,সি তে নিয়ে যাওয়া হল। ইলিয়াস কাঞ্চন কে কাছে পেয়ে পথ-শিশুরা আনন্দে মেতে উঠল। ইলিয়াস কাঞ্চন ও স্যু্টিং বন্ধ করে তাদের সাথে মজা করলেন, সময় দিলেন এবং যাওয়ার সময় তাদের কিছু টাকাও দিয়ে দিলেন।
এরপর সাকিব খানের পালা। উপস্থাপিকা সাকিব খানকে গিয়ে অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলে তার কাছে কিছুটা সময় চাইলেন। কিন্তু আমাদের সাকিব খান সময় তো দিলেন ই না বরং তাদের পাশ কাটিয়ে Neglect করে স্যুটিং করতে চলে গেলেন।
পথ-শিশুদের আনন্দ বিরহে পরিণত হল!!:(
বিশ্বাস করেন, ঐ দৃশ্য দেখার পর থেকে সাকিব খানের প্রতি আমার ভক্তি উঠে গিয়েছে। মানুষ এতোটা নির্দয় হতে পারে!
ছি! ধিক্কার সাকিব খান! থু!!!!
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম জাহিদ হাসান 🙂
শাকিব খানের এই ঘটনা জানা ছিল না …
শাকিব খানকে দেখেই বোঝা যায় বাংলা সিনেমার হালহকিকত 😐
আপনার কথা ভাল্লাগছে “পাল্টে দেবার স্বপ্ন আমার এখনো গেলনা…”
বাংলাদেশী সিনেমার হাল হকিকত যে ভালো না সে আমরা ছাড়া আর কে ভালো জানে। কিন্তু এই অবস্থাটাকে পাল্টে দিতে হবে, আর পাল্টে দেয়ার জন্য গালিগালাজ উত্তম পন্থা হতে পারে না 🙂
কে বলবে না, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তি শাকিব খানকে আরও ভালো সিনেমা করার জন্য উৎসাহিত করবে না?
ভালো থাকুন অর্পন 🙂
মন্তব্যে সহমত জানালাম!
Amar mone hoy na.she bodlabe…….akhon Shakib mone korbe She Tar Faltu marka movie gular jonnoi to Jatiyo Purushkar paiche……so eigula koirai aro award paower try korbe
আমাদের দেশে আদা-রসুন-পেয়াঁজের মত নায়ক/নায়িকাদের একটা কৃত্রিম সংকট সব সময়েই দেখা যায়। শাকিব খানের আগে কিংবা তার সমসাময়িক অনেকেই আছেন যারা পরিচালকদের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ ফেরদৌসের কথা বলা যেতে পারে (তার টলিউডি ছবি ছাড়াও আরো কিছু ছবি দেখে মন্দ লাগে নাই)
এদেরকে পেছনে রেখে যেই ভদ্রলোক একা একা একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে যাচ্ছেন, এবং এদেশে এককালে সিনেমা হত সেটা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সেটার জন্য পুরস্কার দেয়া যেতে পারে।
কেন জানি মনে হয়, দেশের সুশীল সামাজিক পরিচালকরা আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের চাহিদা কখনই বুঝে উঠতে পারেন নাই।
অসাধারণ লেখা।
স্বাগতম রুবায়েত 🙂
আমি জানি আপনি জানেন, তারপরও একটু বলছি। শাকিব খানের চেয়ে ভালো অভিনেতা তো অবশ্যই আছে। রিয়াজ কি মরে গেছে? কিন্তু দর্শকরা, যারা সিনেমার ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করছে, রিয়াজ অপেক্ষা শাকিবকে গ্রহন করছে বেশী। এটাকে তো শাকিবের দোষ দেয়া যায় না। আমাকে যদি আমার কলিগদের চেয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রমোশন এবং ইনক্রিমেন্ট দেয়া হয়, আমি কেন আপত্তি করবো – শাকিবের জন্যও ব্যাপারটা বোধহয় তাই।
সুশীল সামাজিক পরিচালকদের নিয়ে মন্তব্যে সহমত।
এবং ধন্যবাদ। আবার আসবেন 🙂
সত্য,সত্য,কঠিন সত্য!!!ভালো লাগিলো
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম শাহ ফাতেমা সুলতানা অ্যানি 🙂
কিপ কামিঙ …. ভালো থাকুন 🙂
যদিও বলা চলে ফাঁকা মঠে গোল তারপরেও,একা মাঠে খেলে গিয়ে মাঠটাকে এখনও সিনেমার ক্ষেত্র হিসেবে ধরে রাখার জন্য ভবিষৎতে ইতিহাসে হয়তবা তাকেই মনে রাখবে দূর্দিনের নায়ক হিসেবে।
.
আমাদের যাদের কাছে ইনাকে ভাল লাগে না তাদের জন্য চলচ্চিত্র তৈরী করার জন্য খুউবই বড় অংকের টাকা প্রয়োজন, কারণ তারা চাইলেই ডাউন লোড করে হিন্দী বা হলিউড এর মুভি দেখতে পারেন, সুতরাং তাদের জিহবা লম্বা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তারা ভুলে গেছেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা। কতটুকু শহর আর কতটুকু গ্রাম ।
স্বাগতম বিপ্লব।
এক সময় শাকিবকে ধন্যবাদ দেবে এই আশা আমিও করি। কিন্তু উল্টোটাও ঘটতে পারে – এখানে কোন কিছুই অসম্ভব না।
আপনার মন্তব্যটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লগাস্ফিয়ার আর ফেসবুকে বাংলাদেশের মোট দর্শকের খুব সামান্যই আছে। যারা সিনেমা নির্মান করছেন তারা এদের জন্য সিনেমা নির্মান করেন না – এই কথাটা উপলব্ধি করা দরকার। তবেই হয়তো নেগেটিভ মন্তব্য থেকে দূরে সরে আসা সম্ভব।
ভালো থাকুন, আবার আসবেন 🙂
boss….sakib re sotti bolte ami bangladeshi cinemar star mone kori….ami akhon bissas kori akmatro ai loktar karonei bangladesi film industry akhnono jototukui ase tike ase……se oporipokko ba mota dager ovinoy koren mani…kintu ata vulle cholbena tar pichone nirmatara koti taka khoroch kore tule ante shokkhom hocche…..amar khali valo cinema makerder kache akta request apnara sakib khan ke thik vabe tule anlei……..amra abaro sopno dekht6e pari..akta example dei…redwan rony chorabali banacchen…nilen indrenil sengupta k……chobir trailor dekhlam valo laglo …mone hoilo ai chobita te sakib re nileo kintu josh hoito….tobe boss cinema bananor sopno jodi kono din puron howar chance ase …ami kintu sakib re nlead actor hisebe nite chai…..obosso sakib khaner budjet to abar akas chumbi………..take aktu teka poisa kom niya valo directorder bises kore notunder sathe kaj korte kon…..
শাকিব খান প্রসেনজিত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। হয়তো তাতে কিছুটা উন্নতি হবে।
শাকিব খানের গলায় একটা ঘন্টা বাধতে হবে – এই যা 🙂
শাকিব খানের দোষ দিয়ে কি লাভ। আমাদের বিচার-বুদ্ধি ও মনমানসিকতা অত্যন্ত নিম্নমানের হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে হিংসা বেড়ে গেছে। ভাল এবং সুস্থ টিম ওয়ার্ক আজকাল কেউ করতে চায় না। সবার ইগোতে লাগে। কারো কোনকিছু শিখার প্রতি আন্তরিকতা নেই। আর এদিকে সুশীল সমাজ কাজে দেখানোর চাইতে সমালোচনা ভাল পারে। বাংলাদেশে আর যাই হোক, ডাক্তার আর সমালোচকের অভাব নাই।
আপনার এই লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ শিমুল।
নিজ নিজ জায়গা থেকে ভালো করার চেষ্টা করলে আউটপুট মন্দ হবে না। শাকিব খান ভালো কি মন্দ, অভিনেতা না হিরো, পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য না অযোগ্য – এই আলোচনার চেয়ে – সবাই-ই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির জন্য কম বেশী কাজ করছে – এমনটা ভাবা বোধহয় ভালো
ইউনাইটেড উই উইন, ডিভাইডেড উই লুজ 🙁
সাকিব খানের উপর মানুষ বিরক্ত অন্য কারণে। আমি একবার ওর একটা ইন্টারভিউ দেখলাম। সেখানে সে দুই কানে দুল পরে এসেছে। ঠোটগুলা লাল মনে হচ্ছিল লিপস্টিক দেয়া। আরো অনেক ব্যাপার আছে। তার ড্রেস চয়েস করা। একজন নায়ক হতে হবে নায়কের মত, পুরুষালী। এমন লুতুপুতু করে থাকে কেন তাকে একবার জিগেস করবেন। নায়ক রাজ্জাক, আলমগীর এরপরে মান্নাও কিন্তু অভিনয় করে গেছে। তাদেরকে কিন্তু কেউ এমন খারাপ কথা বলেনি আজকে সাকিব খানকে নিয়ে যা বলছে। আপনার পোস্ট পরে মনে হচ্ছে সাকিব খানের দোষ নেই বললেই চলে, সে ভাল সিনেমা পাচ্ছে না বলে করছে না। ঠিক আছে মেনে নিলাম, কিন্তু সিনেমার বাইরেও একজন মানুষের চালচলনের একটা ব্যাপার আছে।
স্বাগতম আরাফাত 🙂
সম্পূর্ন পোস্টা পড়ার পরেও আপনি শেষে যা লিখলেন (আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে …) আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমি তো ব্যক্তি শাকিব খান কিংবা সিনেমায় শাকিব খান সম্পর্কে কিছু বলি নি। আমি শাকিব খানের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সম্পর্কে বলেছি। শাকিব খান সিনেমার অভিনেতা হওয়ার কারনে সে এক প্রকার পাবলিক প্রোপার্টি – সুতরাং তার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা যেতে পারে। শাকিব খান একটা অনুষ্ঠানে লিপিস্টক দিয়ে দুল পড়ে এসেছেন বলে কি আপনি তার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তিকে বিরোধিতা করবেন? এলটন জন একজন সমকামী বলে কি আপনি তার গানগুলোকে খারাপ বলবেন? শাকিব খান আমার প্রিয় কেউ নন, তা প্রতি আমার বিন্দুমাত্র দুর্বলতা নেই। আমি শুধু একটা বিষয়েরই প্রতিবাদ করছি- শাকিব খান যদি যোগ্য না হওয়ার পরেও পুরস্কার পায় তবে তার জন্য গালি সে খাবে কেন, বরং যারা দিয়েছে তারা বেশী হকদার। অযোগ্য ব্যক্তির হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার জন্য তাদের সমালোচনা তো কেউ করল না ।
ভালো থাকুন আরাফাত 🙂
shakib khan valo ovinoy janena kothata thhik na , ashole fame jokhon chole ashe tokhon manush chinta shokti hariye fele, shakib ekhon joyare chhutchhe kintu kokhono or vetor je nijeke tule dhorar ba joggota proman korar icchhe jagbe na ke bolte pare! jodio or beshir vag cinemar kahini eki dharar kintu ajkal dorshok otai khacchhe…..r ekta bishoy holo shakib er moddhe ekta heroism achhe jeta dorshok der khub tane, shakib jotoi power full hok na keno dorshok takey na chaile or kichhu ki korar chhilo ? shakib to jor kore ba nijer pocket er tk diye boleni amake hit korao ,taina? emonta shunechhi film course e je shakib script pore na ba puro kahinio janena r producer o jane kahini jai hok shakib achhe to film hit. highest pement nen shakib 30 lacs(goto bochhorer jana , ekhon berechhe kina janina) ! ei tk te full length 3 ta digital film hoye jabe ! ashole amader deshe film er majhe besh kichhu dondo achhe bhinno dharar nirmata ,commercial nirmatader ghrina kore ,tele jole meshena type! bhinno dhara tara ami mani na film maneto film. tobe FDC te ekhon je film make hocchhe ta film format e pore na , eta joggota ba gyaner ovab bola jete pare..shudhu shakiber dosh keno dei? amader desher bhinno dhara nirmata shakib ke niye ki film banabe? na tara vabtei pare na ! amar bisshash shomoy bodlabe r amader desheo bhalo cinema hobe, fooltoosh commercial but with a good scrinplay ,great story and rich casting ………..shopno puron hobei………
ভালো বলেছেন সুমা ইসলাম। দর্শকরাই আসল কথা। আমি হয়তো শাকিব খানের দর্শক না, তার সিনেমাকে আমি ব্যবসাও এনে দিই না, আমার না দেখায় তার সিনেমা মুখ থুবড়ে পরে তাও না – সুতরাং শাকিব খানকে গালি দিলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে না। বরং, যদি সত্যিই উন্নতি করতে হয়, তবে দর্শক হিসেবে আমার উচিত হবে শাকিব বাদে অন্য সিনেমাগুলো হলে গিয়ে দেখে আসা, ব্যবসায়ে বিন্দু হলেও অবদান রাখা। তবেই শাকিব খানের আধিপত্য কমতে পারে এবঙ অন্য অভিনেতারা এগিয়ে আসতে পারে।
ভালো থাকুন সুমা ইসলাম।আবার আসবেন। 🙂
যদি কিছু মনে না করেন, আপনি কি বিএফআই’র সাথে জড়িত কেউ? কোন প্রোডাকশন হাউস …. ?
ami BFI 22nd batch er student chhilam ,echharao BFI er praay workshop gulo korechhi tai jaowa ashata thakei ebong BFI Alumni Association er member . Amar naam matro ekti production house achhe jar kaaj gulo pre-production ei atke achhe…. hahahah. Dhonnobaad apnake.
ভাইয়েরা, আমাদের একটা কথা মনে রাখা উচিত, “industry” কথাতার মুলে হল ব্যবসা। এর সেই ব্যবসার জন্য সাকিব-এর বিকল্প তৈরি না করতে পারাটা আমাদের ই বেরথতা। সো সাকিব-কে মেনে নিতেই হবে।
আমি ভাই এই ব্লগ-এ আনকোরা। তবে এর মধে্ই দারাশিক ভাই- পসিটীভ লেখা ভাল লেগেছে।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম সাফায়েত কাদির (বানান ঠিক আছে তো?)
আপনি যে পয়েন্টা বলেছেন এইটাই মূল কথা। শাকিব যে ব্যবসা দিচ্ছে সেই ব্যবসা যদি অন্য কেউ দিতে পারতো তবে তো শাকিবমুখী হতে হতো না। তাছাড়া, দর্শকের একটা বিশাল অংশ শাকিবকে যতটা গ্রহন করেছে ততটা অন্য কাউকে করে নি এখনো। এত বিশাল পরিমান দর্শকের মানসিকতাকে হুট করে পাল্টে দেয়া চাট্টিখানি কথা না।
ভালো থাকবেন সাফায়েত। আবার আসবেন, ধন্যবাদ 🙂
ধন্যবাদ ভাইয়া। ‘সাফায়াত’ বানান টা ঠিক।
bollywod industry ব্যাপারে আপনার একটা পুরনাঙ্গ পোস্ট আশা করছি। কারন আমরা যারা সাধারন দর্শক তারা ইহার সব কিছু ভাল বলিয়া মানিয়া লইয়াছি। খারাপ টা ও আমাদের জানা উচিত।
অনেক কঠিন অনুরোধ করেছেন গো সাফায়াত ভাই। ভারতের সিনেমা (বাঙলা বাদে অন্যগুলো) দেখা হয় খুবই কম। গত দেড়বছরের তালিকায় সব মিলিয়ে ৪/৫টা হবে। বাংলা দেখি যেগুলো খুব হিট হয়, আলোচনা ছড়ায়, সেগুলো। ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে ধারনা দেয়া আমার পক্ষে এখন সম্ভব না। যদি এ নিয়ে পড়াশোনা-জানাশোনা হয় তবে শেয়ার করবো ইনশাল্লাহ।
ভালো থাকুন সাফায়াত 🙂
কিন্তু এটা আপনাকে মানতেই হবে, Bollywood এ অনেক কাজ হয় যার ভিতর ভাল কাজ, চমকে দেয়ার মত কাজও হয়। সম্প্রতি ‘কাহানি’ তে বিদ্যা যা করছে, মাথা নষ্ট। দেখতে পারেন। যেখানে পুরা industry প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও নারীর ভূমিকা আগের মতই নগণ্য। আর ওরা experimental কাজ ও করে।
ধন্যবাদ ভাই।
ভাই সাফায়েত, ইন্ডিয়ায় মানুষ সংখ্যা ১৩০ কোটির বেশী, বিশ্বের সবচে বেশী সিনেমা নির্মিত হয় ইন্ডিয়ায়। সেই তুলনায় কি তাদের সিনেমাগুলো বেশী গতানুগতিক নয়? ওদের আরও ডায়নামিক হওয়ার সুযোগ আছে, সেই পরিমান বানিজ্য আছে কিন্তু হচ্ছে না। বলিউডে সত্যিই ভিন্ন ধরনের অনেক কাজ হয় এবং এটাও সত্যি আমরা তাদের বানিজ্যিক সিনেমাগুলোর ব্যতিক্রমগুলো সম্পর্কে যতটা জানি, বিকল্প ধারার ইন্ডিপেন্ডেন্ট সিনেমা সম্পর্কে তা জানা হয়ে উঠে না 🙂
কাহানী দেখা হয় নি, দেখার ইচ্ছা আছে 🙂
(মূল মন্তব্য ইংরেজী অক্ষরে লেখা। পাঠকের সুবিধার্থে বাংলায় কনভার্ট করে দেয়া হল – দারাশিকো)
দারাশিকো ভাই কে ধন্যবাদ।
আসলে ভাই আমরা নিজেরাই চাইনা আমাদের দেশের মুভি সারা পৃথিবীতে চলুক, কতজন আছে যারা নিয়মিত হলে গিয়া মুভি দেখে? অনেক বিদেশী মুভিও তো বাংলাদেশে আনা হল কিন্তু কত টাকা আয় হল?
শাকিব খান ছাড়া আর হিরো আছেই বা কে? (আমি বর্তমানের কথা বলছি) অনেকে আবার কিছু হঠাৎ হিরোর নাম বলে বসবেন, বা রিয়াজের নাম ও বলতে পারেন, কিন্তু একবার ভাবুন তো রিয়াজ এক বছরে ২/১টা মুভির বেশী করে না। এই ২/১টা মুভিতে কি একটা ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে?????
এর পর আসুন ডিপজল, অণন্ত, মারুফ এর কথায়। ডিপজল এর আগের কথা বাদই দিলাম, হিরো হিসেবে কাজ করার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন মুভি তে কি ডিপজল সেকেন্ড কোন ভাষা ব্যবহার করেছে???????
মারুফের চাইতে আমার মনে হয় আফজাল বা কাবিলা ভালো অভিনয় জানে।
অনন্তকে নিয়া দ্য সার্চ মুভি এর পর অনেক আশা ছিল কিন্তু আজ পর্যন্ত কে অন্যের প্রোডিউস করা ফিল্মে কাজ করতে পারলো না তাকে হিরো বলা যায় কিনা এটা আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন রইল …
এবার আসুন শাকিব খানের কথা, এবারের ঈদেও শাকিব খান অভিনীত এক হালি (৪টি) মুভি মুক্তি পাইছে। আর অনন্তর মাত্র একটা, তারপররও শাকিব এর সব মুভিই সফল হল। যারা হিন্দি মুভির ফ্যান আছেন তাদের কাছে প্রশ্ন ইন্ডিয়ান কোন হিরো কি পারবে বাংলাদেশে শুধু বাংলাদেশে তার অভিনিত চারটা মুভি একসাথে মুক্তি দিয়ে সব গুলা ব্যবসায়িক ভাবে সফল করতে?????
ইন্ডিয়ার কথায় আসি। কিছুদিন আগে এক থা টাইগার মুক্তি পেল এবং রেকর্ড করল। আচ্ছা এই মুভীটা শুধু বাংলাদেশের হলে মুক্তি দিয়া কি ওই প্রোডিউসার তার হিরোর পারিশ্রমিক এর টাকাটাও তুলতে পাবরতো?????? সালমান, শাহরুখ, আমির …………………… যাকে খুশি আনুন এবং শাকিব খান এর মত সেম বাজেট, ক্যামেরা, লোকেশন এবং এডিটিং ইউজ করে একটা মুভি করুন আমার মনে হয় অর্ধেক টাকাও তুলতে পারবেন না।
বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ড এর ব্যাপারে শুধু এটুকুই বলবো যে জিসম ২, ডার্টি পিকচার, মার্ডার ২ এর মত মুভি আমরা ঘরে বসে সপরিবারে দেখতে পারি আর বাংলা মুভির বেলায় সাধারন কিছু ব্যাপার নিয়া দেবদাস এর মত মুভিটা আটকে আছে কেন???????
“”””আমি আসলে শুধু আমার মন্তব্য গুলা তুলে ধরলাম আমার মত করে, কারো মনে কষ্ট গেলে ক্ষমা করে দিবেন”””””””””
I Agree@rashed vai.
অাপনার কমেন্টটা সবচাইতে ভাল্লাগছে ,,,,,
GOOD
তোদের সাথে তর্কে গিয়ে আমার আর কাজ নেই কারন তোদের মাথায় মগজ নেই। তোরা আসলেই দেশদ্রোহী। দেশের কোন নায়ক স্টার থেকে সুপার স্টার হলে তোদের ঘুম হয়না। একজন মানুষকে তুর ভাল না লাগতেই পারে
তাই বলে বদনাম করবি কেন? দেশের কাউকে তোদের ভাল লাগেনা তোদেরত ভাল লাগে তোদের বাপ কি জানি নাম জিত,দেব,অঙ্কুস এদের। আসলে তোদেরকে নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।
Shakib is the great