‘সম্প্রতি কী সিনেমা দেখলাম’ শীর্ষক পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। এই পোস্ট প্রথম প্রকাশ করেছিলাম ২০১০ সালে। তখন কমিউনিটি ব্লগগুলোতে স্টিকি পোস্টের চল ছিল। সাইটে প্রবেশ করলেই স্টিকি পোস্ট দেখা যেতো, ফলে সেই পোস্টগুলো প্রচুর পাঠক পড়তো। তাই আমিও সাম্প্রতিক দেখা সিনেমাগুলো সম্পর্কে ভাবনা শেয়ার করা এবং পাঠকের সাথে আড্ডাবাজির উদ্দেশ্যে এই পোস্টটি লিখে স্টিকি করে রাখি। বেশ অনেকদিন জনপ্রিয় ছিল পোস্টটি।
এই পোস্টটি পাঠকদের জন্য অন্যান্য পোস্টদের তুলনায় বেশী উন্মুক্ত। কারণ আপনারাও আপনাদের প্রিয় সিনেমা সম্পর্কে বলে যেতে পারেন এখানে, যে কোন সময়। সিনেমা দেখা নিয়ে সাজেশন-পরামর্শের আদান প্রদান চলতে পারে। পরে অবশ্য পোস্টটিকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে আবারও দৃষ্টিগোচর স্থানে রাখা যেতে পারে। তবে সবসময় আপডেট করা যাবে কিনা নিশ্চিত নই – আপডেট করা হয় আইএমডিবি-তে, সেখানেও চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।
অতএব, আপনিও আপনার সাম্প্রতিক সময়ে দেখা সিনেমাগুলো নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। টুকটাক আলোচনাও চলবে হয়তো।
জুলাই ২০২৩
Red River (1988)
একই নামে আরেকটি সিনেমা আছে, সেটা ১৯৪৮ সালের এবং গ্রেট জন ওয়েইন অভিনীত। এই সিনেমাটা নাকি সেই সিনেমারই রিমেক। জন ওয়েইনের সিনেমাটা দেখি নাই – তবে ধারণা করি সেই সিনেমাটাও এই সিনেমার মত গ্রেট সিনেমা হবে।
টম ডানসন নামের এক র্যাঞ্চার আর তার পালকপুত্র ম্যাট গার্থ বিশাল এক পাল গরুর ক্যাটল ড্রাইভ শুরু করে। এই যাত্রা কতটা সংবেদনশীল এবং ঝুঁকিপূর্ণ তার বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে এই সিনেমায়। কাউবয় লাইফ নিয়ে এই ধরণের সিনেমা কমই হয়।
এই সিনেমা দেখার সময় আরেকটি সিনেমার কথা বারবার মনে পড়ছিল – দ্য কালপিপার ক্যাটল কোং – সেটিও ক্যাটল ড্রাইভ নিয়ে সিনেমা। ওয়েস্টার্ন বই এবং সিনেমা নিয়ে আপনার বিশেষ ভক্তি-ভালোবাসা থাকলে এই সিনেমাগুলো আপনার জন্য মাস্ট সি।
রেটিং: ৫/৫
Rooster Cogburn (1975)
ট্রু গ্রিট যেই মার্শাল রুস্টার কগবার্নকে নিয়ে নির্মিত, সেই রুস্টার কগবার্নই এই সিনেমার হিরো। অভিনয় করেছেন জন ওয়েইন। সাথে আছে একজন ইন্ডিয়ান বালক এবং বয়স্ক একজন সিস্টার। এই অভিযানে একদল ডাকাতের কাছ থেকে নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরক উদ্ধার করতে হয়।
কমেডি ঘরানার এই সিনেমা অন্যান্য ওয়েস্টার্নের তুলনায় একটু আলাদা, এ্যাডভেঞ্চার বেশি। এমনকি খরস্রোতা নদীতে নৌকাভ্রমণও আছে।
রুস্টার কগবার্ন এবং ট্রু গ্রিট বিষয়ে আলাদা একটি পোস্ট আছে, আগ্রহীরা দেখতে পারেন।
রেটিং: ৪/৫
True Grit (1969)
অরিজিনাল ট্রু গ্রিট, অভিনয় করেছেন দ্য গ্রেট জন ওয়েইন। যদি রিমেক দেখে থাকেন, তাহলে কাহিনী মোটামুটি একই, নির্মানে কিছু পার্থক্য আছে৷ রুস্টার কগবার্ন এবং ট্রু গ্রিট সংক্রান্ত লিখায় একটু বিস্তারিত লিখেছি।
রেটিং: ৫/৫
True Grit (2010)
অসাধারণ ওয়েস্টার্ন। রিমেক, কিন্তু প্রথমটার চেয়েও ভালো। পরিচালনায় কোয়েন ব্রাদার্স, রুস্টার কগবার্ন চরিত্রে জেফ ব্রিজেস।
রেটিং: ৫/৫
The Shadow Riders (1982)
দুই ভাই – সিভিল ওয়ারের দুইজন দুই পক্ষে যুদ্ধ করেছে। যুদ্ধ শেষে ফিরে দেখে পরিবারের মেয়েদের সহ খাদ্যভান্ডার লুট করে নিয়ে গেছে পরাজয় মেনে নিতে না পারা এক মেজর ও তার দল। দুই ভাই মিলে উদ্ধার করতে যায়।
সুন্দর টাইম পাস টিভি মুভি। আমি দেখেছি অবশ্য ক্যাথেরিন রস এর কারণে। বুচ ক্যাসেডি এন্ড দ্য সানড্যান্স কিড সিনেমার অসাধারণ সুন্দরী সেই নারী আরকি। অবশ্য দুই ভাই চরিত্রের টম সেলেক আর স্যাম ইলিয়ট থাকায় সিদ্ধান্ত নেয়া আরও সহজ হয়েছে৷ টম সেলেক এর ওয়েস্টার্ন সিনেমাগুলো ভালো লাগে।
রেটিং: ৪/৫
Two Rode Together (1961)
এই সিনেমাটার কাহিনী একটু ব্যতিক্রম।ইন্ডিয়ানরা হামলা চালিয়ে সাদা চামড়ার যে সব বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে যায় তাদের কয়েকজনকে উদ্ধার করার জন্য টেক্সাস মার্শাল ম্যাককেবকে নিয়োগ দেয় আর্মি, সাথে থাকবে তার বন্ধু জিম গ্যারি।
ঘটনাপ্রবাহের তুলনায় সাদা চামড়ার লোকদের নিকৃষ্ট ভূমিকা বোঝার জন্য এই কমেডি ধাঁচের সিনেমাটা দেখা যায়। মার্শালের চরিত্রে জেমস স্টুয়ার্ট অভিনয় করেছেন।
রেটিং: ৩.৫/৫
Minnesota Clay (1964)
স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন। সার্জিও করবুচ্চির পরিচালনা।
জেল থেকে পালিয়ে মিনিসোটা ক্লে নিজেকে শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য তার সাক্ষীর সামনে উপস্থিত হয়, অথচ সাক্ষী আর তার দল তখন পুরো শহরকে কব্জা করে রেখেছে। শহরের বাহিরের অংশ দখল নিয়ে রেখেছে এক দস্যুদল।
সিনেমার কাহিনী বাংলা সিনেমার মত। নষ্ট করার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকলে দেখতে পারেন।
রেটিং: ২/৫
Troublemakers (1994)
দুই ভাই। একজন ফাস্টেস্ট শ্যুটার, অন্যজন বিশাল শরীর নিয়ে খালি হাতেই কুপোকাত করে ফেলে। স্টোন নামের এক আউটল-কে ধরে চার হাজার ডলার কামাতে চায়।
কমেডি ওয়েস্টার্ন। ইতালির সিনেমা। অভিনয় করেছে টেরেন্স হিল এবং বাড স্পেন্সার। পারিবারিক সিনেমা। হালকা বিনোদনের জন্য উপযুক্ত। হেরা-ফেরি টাইপের হিন্দি সিনেমাগুলো আর ট্রাবলমেকারস একই মডেলে নির্মিত।
রেটিং: ৩/৫
The Train Robbers (1973)
জন ওয়েইনের ওয়েস্টার্ন কাম এ্যাডভেঞ্চার সিনেমা। এক বিধবা নারী তার ট্রেইন রবার স্বামীর লুকিয়ে রাখা সম্পদ উদ্ধারের জন্য ভাড়া করে লেনকে। লেন তার দলবল নিয়ে এগোয়ে, পিছু নেয় ট্রেইন রবারদের বিশাল একটা দল।
বেশ চমৎকার সিনেমা। শেষে একটা টুইস্ট সিনেমার দর্শককে বিভ্রান্ত করে দেয়। রেকমেন্ডেড।
রেটিং: ৪/৫
The Last Outlaw (1993)
কর্নেল গ্রাফ যুদ্ধের পর একটি বিশ্বস্ত আউট-ল দল গঠন করে ব্যাংক লুট আর হতাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু ঘটনাচক্রে দলেরই এক সদস্যের গুলিতে আহত হয়ে পসি দলের সাথে যোগ দেয় গ্রাফ। লুটের টাকা চাই না তার, বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দিতে চায় সে।
গ্রাফ চরিত্রে অভিনয় করেছে মিকি রুর্ক। দারুণ অভিনয়। কিন্তু প্রোটাগনিস্ট চরিত্রটা আকর্ষণীয় ছিল না। সিনেমাটা ভালো লাগবে। রেকমেন্ডেড।
রেটিং: ৪/৫
Skin Game (1971)
সাদা চামড়ার কুইন্সি তার কৃষ্ণাঙ্গ দাস জেসনকে নতুন নতুন শহরে নিয়ে যায়, তারপর নিলামে বিক্রি করে দেয়। রাতে জেসন পালিয়ে আসে, তারপর দুজনেই নতুন শহরের দিকে যাত্রা শুরু করে। একদিন আরেক কৃষ্ণাঙ্গ দাসীকে কিনে নেয়, কিন্তু ঘটনাচক্রে জেসন সত্যিই দাস হিসেবে বিক্রি হয়ে যায়। কুইন্সি কি তাকে উদ্ধার করবে?
এই হলো স্কিন গেম সিনেমার গল্প। কমেডি ওয়েস্টার্ন কিন্তু গল্পটা চমৎকার। কৃষ্ণাঙ্গদের উপর শ্বেতাঙ্গদের বর্বরতার সামান্য একটু চিত্র পাওয়া যাবে এই সিনেমায়। রেকমেন্ডেড।
রেটিং: ৩/৫
Last of the Dogmen (1995)
ঘটনাটা বর্তমান সময়ের। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কয়েকজন অপরাধীর পিছু নেয় একজন বাউন্টি হান্টার। খুঁজেও পায়, কিন্তু কে যেন আগেই তাদেরকে মেরে লাশ গোপন করে ফেলে। ঘাঁটতে গিয়ে খোঁজ মেলে বহু বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া একদল ইন্ডিয়ানের।
সুনির্মিত আজগুবি কাহিনীর সিনেমা। ঘুরে ফিরে সেই আমেরিকানদের মহত্ত্ব প্রকাশের চেষ্টা। টাইম পাসের জন্য বা বাচ্চাদের নিয়ে দেখার জন্য চলনসই। নট রেকমেন্ডেড।
রেটিং: ২/৫
The Legend of Molly Johnson (2021)
অস্ট্রেলিয়ান ওয়েস্টার্ন সিনেমা। পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং প্রধান চরিত্র একই – একজন নারী। সিনেমাটাও কতকটা নারীবাদী, তবে বিরক্তিকর নয়।
সন্তান সম্ভবা একজন সাহসী নারী তিন সন্তানকে নিয়ে বাস করেন লোকালয় থেকে বেশ দূরে। একদিন তার ঘরে উপস্থিত হয় জেল পলাতক এক দাগী আসামী যে কিনা আদিবাসী। ওদিকে নতুন শহরে পশ্চিমা আইন বাস্তবায়নের জন্য এসেছে সাদা চামড়ার লোক নেট।
সিনেমার কাহিনী খুবই দারুণ। মলি চরিত্রে অভিনয় দুর্দান্ত। অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের তৎকালীন অবস্থা বোঝার জন্য বেশ ভালো সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
জুন ২০২৩
The Contractor (2022)
চিকিৎসার জন্য নেয়া ড্রাগের কারণে আর্মি থেকে চাকরি ছাড়তে হয় জ্যাককে, অর্থের প্রয়োজনে যোগ দেয় মার্সেনারি সৈন্যদলে, তারপর স্পেশাল অপারেশনে ফ্রান্সে গিয়ে বিপদে পড়ে যায় সে। এমনকি পরিবারের কাছে ফেরাও তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
গল্পটা পুরাতন। এর বেশি বললে আগ্রহ হারাবে। তবে সিনেমাটা উপভোগ্য, নির্মানও ভালো। অল্প কিছু ফাঁকফোকড় আছে, সেগুলো উপেক্ষা করতে পারলে সময় মন্দ কাটবে না।
রেটিং: ৩/৫
The Trap (1966)
ভিন্ন রকমের একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা। একটি বোবা মেয়েকে অর্থের বিনিময়ে বউ বানিয়ে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায় স্বভাবে বুনো ধরণের একজন শিকারি। একদিন নিজের পাতা ফাঁদে আটকে পড়ে শিকারি। মেয়েটি তাকে সেবা করলেও গ্রহণ করতে পারে না। দেড় ঘন্টার এই সিনেমাটি রোমান্টিক ঘরানার। মোটামুটি।
রেটিং: ৩/৫
American Hustle (2013)
আপনার প্রিয় কুকুরকে যদি কেউ মেরে ফেলে তাহলে এই যুগে আপনি হয়ে যাবেন জন উইক, কিন্তু দেড়শ বছর আগে আপনি কি হবেন? ইন আ ভ্যালি অব ভায়োলেন্স সিনেমায় সেই গল্পই দেখানো হয়েছে।
Surrounded (2023)
ওহ! এরকম অসাধারণ ওয়েস্টার্ন সিনেমা কমই দেখার সুযোগ হয়। সিনেমার প্রধান চরিত্র নারী, কিন্তু বেশভূষায় পুরুষ। সদ্য দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভাগ্য বদলের যাত্রাপথে এক ভয়ঙ্কর খুনে ডাকাতের পাহারার দায়িত্ব নিতে হয় তাকে – একাকী। অথচ ডাকাত দলের বাকী সদস্যরা চলে আসবে শীঘ্রই।
সীমিত জায়গা এবং চরিত্রকে নিয়ে নির্মিত সিনেমা। অ্যাকশন বেশ ভালো। সবচেয়ে ভালো হলো সেই সময়কার নির্মমতার উপস্থাপন। আই রেকমেন্ড!
রেটিং: ৪/৫
Guns for San Sebastian (1968)
আপনার প্রিয় কুকুরকে যদি কেউ মেরে ফেলে তাহলে এই যুগে আপনি হয়ে যাবেন জন উইক, কিন্তু দেড়শ বছর আগে আপনি কি হবেন? ইন আ ভ্যালি অব ভায়োলেন্স সিনেমায় সেই গল্পই দেখানো হয়েছে।
১১ মে ২০২০
The Eken Ruddhaswas Rajasthan (2023)
জগাখিচুড়ি। গল্পে এত বড় বড় গর্ত। রহস্য সমাধানের প্রক্রিয়াটাও গোলমেলে এবং হতাশাজনক। বইটা পড়া হলে বুঝতে পারতাম গলদটা গল্পে নাকি চিত্রনাট্যে। একেনের অভিনয় যথারীতি উপভোগ্য ছিল, সিনেমাটা একাই টেনেছেন।
রেটিং: ৩/৫
I… For Icarus (1979)
আপনার প্রিয় কুকুরকে যদি কেউ মেরে ফেলে তাহলে এই যুগে আপনি হয়ে যাবেন জন উইক, কিন্তু দেড়শ বছর আগে আপনি কি হবেন? ইন আ ভ্যালি অব ভায়োলেন্স সিনেমায় সেই গল্পই দেখানো হয়েছে।
Where the Spies Are (1965)
আপনার প্রিয় কুকুরকে যদি কেউ মেরে ফেলে তাহলে এই যুগে আপনি হয়ে যাবেন জন উইক, কিন্তু দেড়শ বছর আগে আপনি কি হবেন? ইন আ ভ্যালি অব ভায়োলেন্স সিনেমায় সেই গল্পই দেখানো হয়েছে।
মিতিন মাসি (2019)
বাংলা গোয়েন্দা চরিত্র মিতিন মাসি অবলম্বনে কলকাতার গোয়েন্দা সিনেমা। মিতিন মাসিকে নিয়ে এটাই প্রথম সিনেমা, অভিনয় করেছে কোয়েল মল্লিক।
স্কুল থেকে ধনী পরিবারের সন্তান কিডন্যাপ হয়ে গেলে মিতিন মাসিকে অনুসন্ধানের জন্য ডাকা হয়। পেশায় গৃহিনী মিতিন মাসি রহস্য ভেদ করেন।
গড়পড়তা সিনেমা। অহেতুক দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে এবং মিতিনের সহযোগী নারীর কাপড় সংক্ষেপ করা হয়েছে যা বিরক্তিকর। ভালো কিছু আশা করেছিলাম।
রেটিং: ৩/৫
ব্যোমকেশ ও পিঁজরাপোল (2023)
এই একই গল্পে আরও কয়েকটি সিনেমা হয়েছে। এই গল্পে ব্যোমকেশ হয়েছেন অনির্বান। প্রায় পুরো সিনেমায় তার পেট খারাপ ছিল বলে বেশ ভালো অভিনয় করেছে। তবে ব্যোমকেশের বউয়ের সাথে অজিতের সম্পর্কটা কনফিউজ করে দিয়েছিল – কার বউ সেটা বুঝতে প্রায় অর্ধেক সিনেমা শেষ। সিনেমাটা মন্দ নয়।
রেটিং: ৪/৫
John Wick: Chapter 4 (2023)
এই সিনেমাটা আগের সবগুলো সিনেমার চেয়ে আরও বেশি ভয়ংকর এবং এ্যাকশন দৃশ্যে পরিপূর্ণ। জন উইককে একটা আর্মির সাথে লড়াই করতে হয়েছে। অন্ধ এসাসিন হিসেবে ডনি ইয়েনকেও বেশ ভালো লেগেছে৷ যদি জন উইকের এটাই শেষ পর্ব হয়, তাহলে মন্দ হবে না। সিরিজটা উপভোগ্য ছিল। কিয়ানু রিভসের জন্য ভালোবাসা।
রেটিং: ৪/৫
মে ২০২৩
Mafia (1968)
মাফিয়াদের নিয়ে যত সিনেমা দেখা হয়েছে এটা সম্পূর্ণই তার ব্যতিক্রম। মাফিয়াদের রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা কি ধরণের এবং সেই ভূমিকার বাইরে গেলে কি ঘটে তার আংশিক একটা চিত্র পাওয়া যাবে এই সিনেমায়। মাফিয়া দমনে পুলিশের বীরোচিত যেই ছবি আমাদের সামনে বারবার উপস্থাপন করা হয়, এই সিনেমা সেরকম না। খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা, কারণ সিনেমার এই মাফিয়ারা বিলুপ্ত হয় নাই, রূপ পাল্টেছে কেবল, বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নিতে সহজ হবে৷
রেটিং: ৪/৫
মহানগর-২ (2023 )
সবাই দেখে ফেলেছে, আমিও বাদ রইলাম না। মুগ্ধ হয়েছি এবং তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় রয়েছি।
রেটিং: ৫/৫
মার্চ ২০২৩
Personal Assistant (1959)
কলকাতার বাংলা সিনেমার বিখ্যাত অভিনেতা ভানু। অনেকবার নাম শুনলেও এবারই প্রথম দেখলাম। খুব নারীবাদী এক তরুণীর পার্সনাল এসিস্ট্যান্টের চাকুরি পেয়ে যান ভানু। পুরুষ হওয়ায় চাকুরির যোগ্যতাই ছিল না, কিন্তু নাম পড়ে নারী মনে করে চাকুরীর পরীক্ষায় ডাক পেয়েছিল সে। ওদিকে তার লিখা কবিতা নারীর নামে প্রকাশিত হচ্ছে, পাঠকও পছন্দ করছে। নারীবাদী বসও আকৃষ্ট হচ্ছে তার প্রতি, আবার প্রকাশক নারী কবির প্রেমে মগ্ন। সব মিলিয়ে বেশ মজাদার জটিল পরিস্থিতি। উপভোগ করেছি।
রেটিং: ৪/৫
My Ordinary Love Story (2014)
ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Inception (2010)
জানুয়ারী ২০২৩
Glass Onion (2022)
How I Became a Gangster (2019)
Amsterdam (2022)
নভেম্বর ২০২২
Byomkesh Hatyamancha (2022)
Tirandaj Shabor (2022)
The Hunter Will Get You (1976)
Warning Shot (1967)
মে ২০২০
In a Valley of Violence, USA, 2016
আপনার প্রিয় কুকুরকে যদি কেউ মেরে ফেলে তাহলে এই যুগে আপনি হয়ে যাবেন জন উইক, কিন্তু দেড়শ বছর আগে আপনি কি হবেন? ইন আ ভ্যালি অব ভায়োলেন্স সিনেমায় সেই গল্পই দেখানো হয়েছে।
দুজন তারকা অভিনেতা রয়েছেন। একজন ইথান হক, অন্যজন জন ট্রাভোল্টা। উপভোগ্য সিনেমা, তবে অসাধারণ নয়। পরিচালক আসলে এই সিনেমার মাধ্যমে ক্ল্যাসিক ওয়েস্টার্ন সিনেমাকে আবারও পর্দায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন।
রেটিং: ৪/৫
How the West was Won, USA, 1962
একটি পরিবারের তিন প্রজন্মের গল্প বলার মাধ্যমে পশ্চিমের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। কিভাবে পশ্চিমে লোকজন আসতে শুরু করলো, কিভাবে রেলরোড ইন্ডিয়ানদেরকে হটিয়ে দিয়ে জায়গা দখল করে নিলো, কিভাবে শহরগুলো গড়ে উঠলো, কিভাবে একসময় আউটলদের দখলে চলে গিয়েছিল অনেক শহর, আমেরিকার সিভিল ওয়ার এবং সবশেষে আধুনিক সভ্য আমেরিকার পত্তন – বিশাল এক গল্প তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
প্রায় তিন ঘন্টার এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন অনেক তারকা অভিনেতা। যেহেতু লম্বার একটি সময়কে উপস্থাপন করা হয়েছে তাই হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোরিং লাগবে। যারা পশ্চিমের ইতিহাস সংক্ষেপে দেখতে চান, তাদের জন্য আদর্শ সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
Ferdinand, USA, 2017
স্পেনের একটি খামারের অনেকগুলোর গরুর একটি ফার্ডিনান্ড। ছোটবেলা থেকে খামারের সকল গরুর একটাই স্বপ্ন, বড় হয়ে বিশাল লড়াকু হবে, লড়াই করবে ম্যাটাডোরের সাথে, হারিয়ে দিবে ম্যাটাডোরকে। ব্যতিক্রম কেবল ফার্ডিনান্ড। সে ফুল ভালোবাসে, ভালোবাসে প্রকৃতি। অথচ কিনা সেই খামারের সবচেয়ে বিশালকায় ষাড়।
ছোটবেলায় কিভাবে খামার থেকে পালিয়ে দূর গ্রামে নিনার সাথে ফার্ডিনান্ডের বন্ধুত্ব হয়, সেখান থেকে কিভাবে আবার সেই খামারে ফিরে আসে এবং ম্যাটাডোরের মুখোমুখি হয় সেই অসাধারণ গল্প দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই অ্যানিমেশন সিনেমায়।
বাচ্চারা তো অবশ্যই বিনোদিত হবে, আপনি হবেন আরও বেশি। গ্যারান্টেড!
আমার রেটিং: ৫/৫
এপ্রিল ২০২০
Appaloosa, USA, 2008
এড হ্যারিস এবং ভিগো মর্টেনসেন ২০০৫ সালের A History of Violence সিনেমায় একত্রে অভিনয় করেছিলেন। দুর্দান্ত সেই সিনেমার সূত্রেই তারা আবার ২০০৮ সালের এই ওয়েস্টার্ন সিনেমায় অভিনয় করেন। তবে এই সিনেমাটির পরিচালক এড হ্যারিস নিজেই।
ছোট্ট অ্যাপালুজা শহরে র্যাঞ্চার ব্র্যাগ এবং তার গ্যাং-এর জ্বালায় সবাই অস্থির। শহরের মার্শাল এবং তার দুই ডেপুটি দুজন খুনীকে ধরতে তার র্যাঞ্চে গিয়েছিল, কিন্তু ব্র্যাগ তিনজনকেই খুন করে। শহরে শান্তি নিয়ে আনার চুক্তিতে দুই বন্ধু ভার্জিল কোল এবং এভারেট হিচ অ্যাপালুজা শহরে আসে। ভার্জিল কোল-এর আইন রক্ষার পদ্ধতি অবশ্য একটু ভিন্নরকম।
এড হ্যারিস নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি ক্ল্যাসিক ওয়েস্টার্ন নির্মান করতে চেয়েছেন, হালের রিভিশনিস্ট ওয়েস্টার্ন নয়। ফলে, এই সিনেমায় খুব গতি আশা করা উচিত হবে না। তবে, চমৎকার দুটি ডুয়েল রয়েছে এই সিনেমায়। ক্ল্যাসিক ওয়েস্টার্ন সিনেমার মতো এখানেও চমৎকার একটি গল্প রয়েছে এবং এই গল্পটিই আপনাকে পর্দায় আকৃষ্ট করে রাখবে।
জানিয়ে রাখি, আইএমডিবি রেটিং খুব বেশি না হলেও রোটেন টম্যাটোস এর সেরা ৭৫টি ওয়েস্টার্ন সিনেমার তালিকায় অ্যাপালুজা রয়েছে।
আমার রেটিং: ৪/৫
3:10 To Yuma, USA, 2007
এই সিনেমাটা আগেই একবার দেখা হয়েছিল। আবার দেখার উদ্দেশ্য হলো অরিজিনাল সিনেমাটার সাথে তুলনা করে দেখা। দুই সিনেমার মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়। এক কথায় বলতে গেলে, অরিজিনাল সিনেমাটি অনেক বেশি মানবিক, অন্যদিকে রিমেক সিনেমাটি অনেক বেশি উপভোগ্য, গতিময়, তবে মানবিক নয়। বিস্তারিত পাওয়া যাবে এই পোস্টে।
রেটিং: ৫/৫
3:10 To Yuma, USA, 1957
বেন ওয়েড নামের কুখ্যাত গ্যাংস্টার এবং তার গ্যাং এর স্টেজকোচ ডাকাতির চাক্ষুষ সাক্ষী হলেন বৃষ্টিহীন খরা আর দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত র্যাঞ্চার ড্যান ইভান্স। বেন ধরা পড়লে টাকার বিনিময়ে পরের দিনের ৩টা ১০ এর ইউমাগামী ট্রেনে তুলে দেয়ার দায়িত্ব নেয় ড্যান। আর বেনকে ছিনিয়ে নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা শুরু করে তার দল, তাদের নেতৃত্বে আছে চার্লি। এই হলো ৩:১০ টু ইউমা ছবির গল্প।
সাদা-কালো সিনেমার দৈর্ঘ্য দেড় ঘন্টা। সেখানে, ড্যান ইভান্স চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ভ্যান হেলফিন, বেন ওয়েড চরিত্রে গ্লেন ফোর্ড। দুজনেই খ্যাতিমান অভিনেতা। সিনেমার পর্দায়ও তারা চরিত্রের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী অভিনয় করে গিয়েছেন। আসলে গল্পটিই এমন যে, দুটো চরিত্রের মধ্যে কাকে বাদ দিয়ে কার পক্ষ নিবেন – এ নিয়ে আপনাকে ভাবনায় পড়তে হবে।
রেটিং: ৫/৫
Blackthorn, Spain, 2011
১৯৬৯ সালের সিনেমা বুচ ক্যাসাডি এন্ড দ্য সানড্যান্স কিড এর শেষ দৃশ্যের কথা মনে আছে? গুলি করতে করতে দুজন বেরিয়ে এসেছিল আর সেই দৃশ্যতে স্থির হয়ে গিয়েছিল? ১৯০৮ সালে বলিভিয়ান আর্মির সাথে লড়াইয়ে এই দুই কুখ্যাত আউটল নিহত হয়েছিল বলে জানা যায়। কিন্তু কেমন লাগবে যদি জানতে পারেন তাদের লাশ পাওয়া যায়নি?
ব্ল্যাকথোর্ন (২০১১) সেই ঘটনার বিশ বছর পরের কাহিনী যেখানে বুড়ো বুচ ক্যাসাডি নাম পরিবর্তন করে বলিভিয়ার এক নির্জন স্থানে একাকী বসবাস করছে। বুচ এবং সান্ড্যান্সের প্রেমিকা মারা যাওয়ার খবর শুনে তার ছেলের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে আমেরিকায় ফেরার উদ্যোগ নেয় বুচ। ঘটনাচক্রে দেখা হয়ে যায় এদুয়ার্দোর সাথে, দুজনে মিলে এদুয়ার্দোর লুকিয়ে রাখা নগদ অর্থ উদ্ধার করে, কিন্তু তাদেরকে তাড়া করে ফেরে দুর্ধর্ষ একদল লোক।
সেই যুগের কুখ্যাত আউটলদের নিয়ে এরকম আরও ঘটনা রয়েছে না? বিলি দ্য কিড মরেনি, বহু বছর বাদে তাকে দেখা যাওয়ার একটি দৃশ্য সম্ভবত ইয়াং গানস টু সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। বিলি দ্য কিড রিটার্নস নামের একটি সিনেমাও রয়েছে যা ১৯৮৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল। সুতরাং, বুচ ক্যাসাডিকেও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা থাকা স্বাভবিক।
যেহেতু সিনেমার প্রেক্ষাপট বলিভিয়া, তাই গতানুগতিক ওয়েস্টার্ন সিনেমার রুক্ষ প্রান্তর এখানে একদমই দেখতে পাওয়া যাবে না। তাই বলে ওয়েস্টান সিনেমা হিসেবে নিরসও নয়। দারুন সব লোকেশনের কারণে খুবই উপভোগ্য সিনেমা। কাহিনীর সময়কাল ১৯২৮ হলেও বুচ ক্যাসাডি এবং সানডেন্স কিড-এর শেষের সময়গুলো ফ্ল্যাশব্যাকে তুলে ধরা হয়েছে। গোলাগুলি, ধাওয়া ইত্যাদি মিলে খারাপ লাগবে না মোটেও।
তবে সেটা সমস্যা নয়। সমস্যা হলো – ১৯৬৯ সালের লিজেন্ডারি সিনেমার পরে বুচ ক্যাসাডিকে ফেরত আসতে দেখে আপনার কি ভালো লাগবে?
আমার রেটিং: ৪/৫
No Name on the Bullet, USA, 1959
জন গ্যান্ট একজন উঁচুদরের ভাড়াটে খুনী। সে যখন কোন শহরে উপস্থিত হয় তখন বুঝতে হবে সেখানে কাউকে খুন করতেই এসেছে। ড্র করতে বাধ্য করে সে, ফলে খুন করলেও জন গ্যান্ট ধরা পড়ে না। সেই জন গ্যান্ট যখন এক শহরে উপস্থিত হলো তখন তার বাসিন্দারা সকলেই শঙ্কিত হয়ে পড়লো, কারণ জন গ্যান্ট বলেনি কাকে খুন করতে উপস্থিত হয়েছে সে।
এই গল্প ১৯৫৯ সালের ওয়েস্টার্ন সিনেমা ‘নো নেম ইন দ্য বুলেট’-এর। মাত্র সোয়া এক ঘন্টা দৈর্ঘ্যের এই সিনেমায় জন গ্যান্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন অডি মারফি। টিপিক্যাল ওয়েস্টার্ন সিনেমার মতো নয়, বরং এখানে জন গ্যান্টের উপস্থিতিতে শহরের লোকদের মানসিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া, এত আগের সিনেমা বলে প্রচুর স্টুডিও দৃশ্য রয়েছে।
গল্পটা চমৎকার। একটা নির্ধারিত সময়ের আগ পর্যন্ত কাকে খুন করার জন্য জন গ্যান্ট উপস্থিত হয়েছে সেটা দর্শকও টের পাবে না। তাছাড়া, চল্লিশ-পঞ্চাশ-ষাটের দশকের সিনেমাগুলোতে যেরকম সংলাপ ছিল সেগুলো এখানেও পাওয়া যাবে। বাংলা সিনেমার সংলাপ কেন এরকম হয়, সেটা বুঝতে পারবেন এই ধরণের সিনেমাগুলো দেখলে।
নির্ভেজাল একঘন্টা বিনোদনের জন্য এমন সিনেমা বেশ চমৎকার। আমার রেটিং: ৩/৫
The Physician, Germany, 2013
দ্য ফিজিশিয়ান সিনেমার প্রেক্ষাপট মধ্যযুগ, যে সময়টা ইউরোপের অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ হিসেবে চিহ্নিত অথচ ইসলামের স্বর্ণযুগ একই সময়ে বিদ্যমান। জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানরা তখন শীর্ষে, পারস্য তার কেন্দ্রস্থল। ইবনে সিনার অবস্থানও সেখানে। সিনেমার ভাষায়, তিনি সেখানে একটি বিশাল প্যালেস-এ রোগীদের চিকিৎসা করেন, রোগীরা সুস্থ্য হবার আগ পর্যন্ত সেখানেই থাকে। এছাড়া রয়েছে আরেকটি প্যালেস, যাকে বলে মাদ্রাসা, যেখানে তিনি তার ছাত্রদেরকে জ্ঞানদান করেন। সিনেমার প্রধান চরিত্র রব কোল, যে কিনা একজন খ্রীষ্টান যুবক এবং পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক (বার্বার), ইহুদী যুবকের বেশ ধরে সুদূর ইংল্যান্ড থেকে ইস্পাহান (বর্তমান ইরান)-এ গমন করে ইবনে সিনার নিকট হতে চিকিৎসা বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের জন্য। তার এই চিকিৎসক হবার গল্পই তুলে ধরা হয়েছে দ্য ফিজিশিয়ান সিনেমায়।
যাহোক, যারা রিডলি স্কট পরিচালিত কিংডম অব হ্যাভেন দেখে পছন্দ করেছেন, কিংবা তুরস্কের সিনেমা ফেতিহ ১৪৫৩, অথবা যারা বেন কিংসলে-কে পছন্দ করেন, তারা হয়তো দ্য ফিজিশিয়ান দেখে পছন্দ করতে পারেন। তবে, অবশ্যই মনে রাখা উচিত, দ্য ফিজিশিয়ান কেবলই একটি সিনেমা, যেখানে ইবনে সিনাকে অনর্থক একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ইতিহাসের সাথে এই সিনেমায় বর্ণিত ঘটনার খুব সামান্য মিলই রয়েছে।
আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই পোস্টে (https://bit.ly/2z9bQmC)।
রেটিং: ৪/৫
The Sisters Brothers, USA-France, 2018
দুই ভাই – ইলাই সিস্টার্স এবং চার্লি সিস্টার্স – দুজনে মিলে দ্য সিস্টার্স ব্রাদার্স। তারা ভাড়াটে খুনী। জন মরিস একজন ডিটেকটিভ, খুজেঁ ফিরছে হারম্যান কারমিটকে, তার দেখা পেলে তুলে দিবে সিস্টার্স ব্রাদার্সের হাতে, বাকী কাজ তারাই করবে। হারম্যান কারমিট একজন স্বর্ণসন্ধানী, জানে তাকে হত্যা করার জন্য পেছনে ঘুরছে লোক।
চার্লি চরিত্রে জোয়াকিন ফিনিক্স, জন মরিস চরিত্রে জেক জিলেনহাল। পুরো সিনেমাটাই একটা অভিযাত্রার মতো- চলছে আর চলছে। তবে এই সিনেমায় গতানুগতিক ওয়েস্টার্ন সিনেমার রুক্ষতা পাওয়া যাবে না একবিন্দুও। সান ফ্রান্সিসকো শহরের রমরমা অবস্থার এক চিলতে রূপ দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে, যা সাধারণত ওয়েস্টার্ন সিনেমায় পাওয়া যায় না।
অসাধারণ সিনেমা। খুব মন দিয়ে দেখার মতো সিনেমা। হাইলি রেকমেন্ডেড। রেটিং: ৫/৫
Rio Bravo, USA, 1959
১৯৫৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাকে রোটেন টম্যাটোস ১০০% ফ্রেশ বলে রায় দিয়েছে, আইএমডিবি-তে রেটিং ৮/১০। ওয়েস্টার্ন সিনেমায় অভিনয় করে বিখ্যাত হওয়া অভিনেতা জন ওয়েইন এর প্রধান চরিত্র।
শহরে একজন নিরীহ ব্যক্তিকে খুন করার জন্য জো-কে গ্রেফতার করেছে শেরিফ চান্স। কিন্তু জো-র ভাই নাথান অত্যন্ত কুখ্যাত এবং প্রভাবশালী লোক। ভাইকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য সে যে প্রচেষ্টার অন্ত রাখবে না তা নিশ্চিত জানে শেরিফ চান্স। মার্শালের হাতে জো-কে তুলে দেয়ার আগ পর্যন্ত ধরে রাখাই তার প্রধান চ্যালেঞ্জ।
ছোট প্রেক্ষাপট কিন্তু চমৎকার সিনেমা। সেই সময়ের সিনেমায় একালের সিনেমার মতো এত গতি ছিল না, ফলে অহেতুক দৈর্ঘ্য কিছুটা বিরক্তিকর মনে হতে পারে। বিশেষ করে সুন্দরী ফিদার্স-এর চরিত্রটা দর্শককের বিনোদনের জন্য রাখা হয়েছে বলেই মনে হয়।
যাহোক, বেশ উপভোগ্য সিনেমা। রেটিং: ৪/৫
Dolittle, USA, 2020
ডাক্তার ডুলিটলের একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে – তিনি প্রাণীদের কথা বুঝতে পারেন। তার হাসপাতালে রাজ্যের পশু-পাখির চিকিৎসা হয় কিন্তু স্ত্রীর হঠাৎ মৃত্যুতে হতাশ হয়ে তিনি হাসপাতালটি বন্ধ করে দেন। বন্ধ হাসপাতালে হাজির হয় একটি ছেলে, কোলে গুলিবিদ্ধ কাঠবিড়ালি। আরও আসে একটি মেয়ে, রানী ভিক্টোরিয়া মৃত্যুশয্যায়, ডাক পড়েছে ডুলিটলের।
ডুলিটল চরিত্রটি বেশ পুরাতন। তাকে নিয়ে বেশ কিছু সিনেমাও নির্মিত হয়েছে। এবার ডিজনি বানিয়েছে Dolittle সিনেমাটি, মুক্তি পেয়েছে এ বছরই।
যেহেতু ডিজনির সিনেমা, তাই বেশ আমোদজনক। বাচ্চাদের সাথে নিয়ে দেখার জন্য চমৎকার সিনেমা।
রেটিং: ৩/৫
The Ballad of Lefty Brown , USA, 2015
The Ballad of Lefty Brown নামের ওয়েস্টার্ন সিনেমাটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো – এখানে কোন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রই যুবক নয়, সবাই বুড়ো, পঞ্চাশোর্ধ। আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো – লেফটি ব্রাউন আদতে সিনেমার নায়ক নন, তাকে বড়জোর প্রধান চরিত্র বলা যেতে পারে। বুড়োদের নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি বেশ চমৎকার, দেড় ঘন্টা পর্দায় দৃষ্টি আকড়ে রাখার জন্য যথেষ্ট মশলাদার।
লেফটি ব্রাউনের সদ্য সিনেট সদস্য হওয়া বন্ধু এডওয়ার্ড তার সাথে রাইড করছিল এমন সময় অজ্ঞাত শত্রুর গুলিতে নিহত হয়ে গেলো। লেফটি ব্রাউন একাই সেই অজ্ঞাত শত্রুর সন্ধানে যাত্রা করলো। পরে যোগ দিল তাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু মার্শাল টম এবং হয়তো সহায়তা করবে গভর্নর বন্ধু জিমি।
২০১৭ সালের এই সিনেমায় গল্প বাঁক নিয়েছে একটু পরপরই, ঠিক এ কারণেই বুড়োদের সিনেমা হলেও মনযোগ হারায় না। গল্পের পরিণতির সাথে আপনি একমত হবেন কিনা সেটা আপনার বর্তমান কালের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করবে।
ছবির গল্পে একটা বড়সড় গলদ রয়েছে এবং সম্ভবত এ কারণেই সমালোচকরা ছবিটিকে খুব একটা ভালো রেটিং দেননি। তবে, উইকিপিডিয়ার সাহায্য ছাড়া এই গলদ সম্পর্কে আপনি কিছুই জানবেন না, সুতরাং নিশ্চিন্তে দেখতে পারেন দ্য ব্যালাড অব লেফটি ব্রাউন।
রেটিং: ৫/৫
Slow West, USA, 2015
১৬ বছরে তরুণ জে তার প্রেমিকাকে খুঁজতে স্কটল্যান্ড ছেড়ে পশ্চিমের দিকে চলছে। তার সাথে যোগ দেয় সাইলাস। অথচ, জে জানে না প্রেমিকা ও তার বাবা ‘ওয়ান্টেড – ডেড অর এলাইভ’ এবং তাদের পেছনে ঘুরছে বাউন্টি হান্টারের দল।
মাত্র দেড় ঘন্টা দৈর্ঘ্যের সিনেমা। সিনেমার নামের সাথে সিনেমার ট্রিটমেন্টের বেজায় মিল। তা সত্ত্বেও দুর্দান্ত একটি সিনেমা। সাইলাস চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাইকেল ফাসবিন্দার।
একটি শান্ত ও মধুর দেড় ঘন্টা সময় ব্যয় করতে চাইলে অবশ্যই রেকমেন্ডেড। রেটিং: ৫/৫।
Crossfire Trail, USA, 2001
মৃত্যুশয্যায় বন্ধুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রাফে কভিংটন যে সে বন্ধুর র্যাঞ্চ এবং স্ত্রী-র দেখাশোনা করবে, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে দেখলো র্যাঞ্চটি অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হবার পথে এবং প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ব্রুস বারকো একই সাথে সেই র্যাঞ্চ এবং বন্ধু-পত্নীকে দখল নেয়ার চেষ্টায় রত। সুতরাং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে ব্রুস বারকো’র সাথে বিবাদে জড়াতেই হলো রাফে-কে।
এই হলো ক্রসফায়ার ট্রেইল সিনেমার গল্প। বিখ্যাত আমেরিকান ওয়েস্টার্ন ঔপন্যাসিক লুই লেমিওর একই নামের উপন্যাস থেকে টিভির জন্য সিনেমাটি নির্মান করা হয়েছিল। নির্মান চমৎকার হলেও গল্প বেশ সরল। এমনকি দুয়েকটি বড় ফাঁকফোকরও রয়েছে। তা সত্ত্বেও দেড়ঘন্টার এই সিনেমাটি বেশ তৃপ্তিদায়ক।
রেটিং: ৪/৫
Maverick, USA, 1994
নানা কারণে বহু বছরের পুরাতন এই সিনেমাটা দেখা হয়ে উঠেনি। মেল গিবসন অভিনীত ম্যাভেরিক যে একটি ওয়েস্টার্ণ সিনেমা সেটা না দেখার আগ পর্যন্ত জানা ছিল না।
ম্যাভেরিক একজন পোকার খেলোয়ার। একটি টুর্ণামেন্টে যোগদানের জন্য তার মাত্র তিন হাজার ডলারের ঘাটতি। তার সাথে জুটেছে একজন নারী পোকার খেলোয়ার এবং একজন মার্শাল। টুইস্টে টুইস্টে ভরপুর কিন্তু বেজায় কমেডি সিনেমা। খুবই উপভোগ্য।
রেটিং: ৪/৫
The Sicilian, Italy, 1987
সিনেমাপ্রেমীরা মারিও পূজো-কে চিনেন গডফাদার ট্রিলজির স্রষ্টা হিসেবে। বইপ্রেমীরা গডফাদার ছাড়াও দ্য লাস্ট ডন, দ্য সিসিলিয়ান, দ্য ফ্যামিলি ইত্যাদি বইয়ের জন্যও মারিও পূজো-কে ভালোবাসেন। গডফাদার ছাড়াও তার আরও কিছু উপন্যাস ও গল্প অবলম্বনে সিনেমা নির্মিত হলেও ওগুলো গডফাদারের মতো নাম কামাতে পারেনি। দ্য সিসিলিয়ান সেরকমই একটি।
সালভাদোর জুলিয়ানো টগবগে যুবক। তার স্বপ্ন সিসিলির দরিদ্র মানুষদেরকে জমির মালিক বানানো। এ কারণে সিসিলি’র বুর্জোয়াদের সম্পদ লুট শুরু করে সে। অথচ সে কমিউনিস্ট-ও নয়। ডন মাজিনো তার আনুগত্য কামনা করে কিন্তু জুলিয়ানো তাতেও আগ্রহী নয়। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সে গড়ে তুলে বিশাল বাহিনী। একদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে তার জনপ্রিয়তা, অন্যদিকে শাসকগোষ্ঠীর চক্ষুশূল – জুলিয়ানোর উত্থান ও পতনের ঘটনাবলী নিয়ে দ্য সিসিলিয়ান চলচ্চিত্র যেন একটি মহাকাব্য।
জুলিয়ানো চরিত্রে ক্রিস্টোফার ল্যাম্বার্ট অভিনয় করেছেন। এই ভদ্রলোক টারজান সিনেমায় অভিনয়ের কারণে বিখ্যাত। ল্যাম্বার্ট ভালো অভিনয় করেছেন কিন্তু অজানা কোন কারণে তাকে হিরো হিসেবে গ্রহণ করতে কষ্ট হয়।
এই সিনেমা নিয়ে ছোট্ট একটি পোস্ট পাওয়া যাবে এখানে।
Maigret: Night at the Crossroad, UK, 2017
রোয়ান অ্যাটকিনসন অভিনীত মেইগ্রেট সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের প্রথম এপিসোড, আমার দেখা শেষ। গল্পটা বেশ চমৎকার ছিল। সকালবেলা বাড়ির গ্যারেজে রাখা গাড়ির ভেতরে এক লোকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেল, বাড়িতে বাসিন্দা মাত্র দুই ভাইবোন। পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ল তারা, ভদ্রলোকের পকেটে পাওয়া গেল সেই পিস্তল যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে লোকটিকে। কিন্তু মেইগ্রেটের বিশ্বাস সে খুনী নয়।
মেইগ্রেটের চারটে সিনেমার মধ্যে এই সিনেমাটিই আমাকে হতাশ করেছে। অ্যাটকিনসন যথারীতি দুর্দান্ত। কিন্তু পরিচালনা দুর্বল ছিল। গোড়াতেই বুঝে গিয়েছিলাম কে অপরাধী।
রেটিং: ৩/৫
Maigret in Montmartre , UK, 2017
মেইগ্রেট সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের দ্বিতীয় এপিসোড। এই এপিসোডেও মেইগ্রেটের সহায়তা চায় ভিকটিম, তারপর খুন হয়ে যায়। মেয়েটি একটি নাইটক্লাবের ড্যান্সার। মেইগ্রেট তার দলকে নিয়ে তদন্ত করে।
মেইগ্রেটকে নিয়ে এ পর্যন্ত তিনটি সিনেমা দেখলাম, তার মধ্যে এটিই সেরা। মেইগ্রেটকেও ভালোভাবে চেনা যায় এই এপিসোডে। রোয়ান অ্যাটকিনসন দুর্দান্ত। তার মি: বিন-খ্যাত ইমেজ যে কোথায় হারিয়ে গেল, খুজেঁই পেলাম না।
রেটিং: ৫/৫
মার্চ ২০২০
Maigret’s Dead Man, UK, 2016
মিঃ বিন খ্যাত রোয়ান অ্যাটকিনসন বোধহয় সারা জীবনে হাতে গোনা দুয়েকটি সিরিয়াস সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘মেইগ্রেট’ সেরকম একটি। টিভির জন্য নির্মিত সিনেমা। এ পর্যন্ত দুটি সিজনে মোট চারটি এপিসোড মুক্তি পেয়েছে। মেইগ্রেট’স ডেড ম্যান – হলো দ্বিতীয় সিনেমা।
মেইগ্রেট পুলিশের চীফ। একজন ভদ্রলোক খুনীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য একাধিকবার মেইগ্রেটের সাথে যোগাযোগ করেও বাঁচতে সক্ষম হয়নি। মেইগ্রেট তার দুই সহযোগীকে নিয়ে সেই খুনের তদন্ত করতে শুরু করে।
চমৎকার সিনেমা। মেইগ্রেট পুলিশের চীফ ইন্সপেক্টর হওয়ায় রহস্য সমাধান তার জন্য অপেক্ষাকৃত সহজ। তা সত্ত্বেও ৫০-এর দশকের পটভূমিকায় নির্মিত এই সিনেমাগুলো ভালো লাগার মতো।
রেটিং: ৪/৫
The Mercenary, Italy, 1968
দ্য মার্সেনারি সিনেমা দেখার প্রধান কারণ হলো এনিও মরিকোন। সার্জিও লিওনির সিনেমাগুলোতে অসাধারণ সব ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর গড়েছেন যিনি তিনিই এনিও মরিকোন। দ্য মার্সেনারি সিনেমার একটি ব্যকগ্রাউন্ড স্কোর ইতিহাস বিখ্যাত হয়ে আছে। একই স্কোর কিল বিল সিনেমায় টারান্টিনো ব্যবহার করেছিলেন। মূলত সেই ব্যকগ্রাউন্ড স্কোর শোনার তীব্র আকাঙ্খা থেকেই সিনেমাটি দেখা।
মার্সেনারি ১৯৬৮ সালের স্প্যাগেটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা এবং স্প্যাগেটি সিনেমার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এখানে কাহিনী এবং নির্মান সবগুলোই বৈচিত্র্রময়। এখানে আপনি মেশিনগান পাবেন, এরোপ্লেন পাবেন, বাউন্টি হান্টার পাবেন। সার্জিও করবুচ্চি পরিচালিত এই সিনেমার গল্প একজন মার্সেনারি এবং একদল মেক্সিকান বিপ্লবীকে কেন্দ্র করে।
খুবই বিনোদনমূলক সিনেমা। রেকমেন্ডেড।
রেটিং: ৪.৫/৫
Barking Dogs Never Bite, South Korea, 2000
অস্কারের ইতিহাসে প্রথম নির্মাতা বং জন উ যিনি বিদেশী ভাষার সিনেমা দিয়ে সেরা চলচ্চিত্রের অস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন। তার প্রথম সিনেমা ছিল বারকিং ডগস নেভার বাইট, যা মুক্তি পেয়েছিল ২০০০ সালে। সিনেমাটি দেখে আপনি মাদারস, মেমরিজ অব মার্ডার এই সিনেমাগুলোর সাথে খুব একটা মিল পাবেন না, একই পরিচালক কিভাবে পরের সিনেমাগুলোতে এত দুর্দান্ত নির্মাতা হয়ে উঠলেন, প্রথম সিনেমায় তার ছাপ সামান্য। তবে, বং জন উ-র গল্প উপস্থাপনের ঢংটা পাবেন।
একজন বেকার যুবক, একজন সহৃদয়বান তরুণী আর তাদের প্রতিবেশীদের নিয়ে এই সিনেমার গল্প। এই গল্পের মধ্য দিয়ে দক্ষিন কোরিয়ার নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের দুঃখ কষ্ট দারিদ্র্যের চিত্র ফুটে উঠেছে। সিনেমা শেষে অদ্ভুত এক মন খারাপ জুড়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
রেটিং: ৪.৫/৫
ফেব্রুয়ারী ২০২০
The Handmaiden, South Korea, 2016
দ্য হ্যান্ডমেইডেন সিনেমার পরিচালক পার্ক চ্যান উক। কোরিয়ান এই সিনেমা নির্মাতা ‘ওল্ড বয়’ এর কারণে বিশ্বখ্যাতি পেয়েছেন। দ্য হ্যান্ডমেইডেন তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা।
বিত্তশালী এক নারী লেডি হিডেকো’র সম্পদের দখল নেয়ার জন্য চমৎকার এক উপায় বেছে নিয়েছে ভন্ড কাউন্ট ফুজিয়ারা। দরিদ্র পকেটমার নারী সুক-হি’কে লেডি হিডেকো’র দাসী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করে সে, উদ্দেশ্য সুক-হি লেডি হিডেকোকে প্ররোচিত করবে কাউন্ড ফুজিয়ারাকে বিয়ে করার জন্য। বিয়ে হয়ে গেলে কাউন্ট ফুজিয়ারা লেডি হিডেকো-কে পাগল হিসেবে চিহ্নিত করে পাগলাগারদে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে, তারপর দখলকৃত সম্পদের অর্ধেক ভাগ দেয়া হবে সুক-হি’কে। দ্য হ্যান্ডমেইডেন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গল্প।
পার্ক-এর বাছাইকৃত গল্পগুলো সবসময়ই অসাধারণ হয়, ভরপুর থাকে টুইস্টে। দ্য হ্যান্ডমেইডেনও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তবে এই সিনেমায় কাহিনীর টুইস্টের থেকে মানবচরিত্রের বিচিত্র দিকগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। এই সিনেমার সবচেয়ে দুর্দান্ত দিক হলো এর সিনেমাটোগ্রাফি, বাঁধাই করে রাখার মতো সব ল্যান্ডস্কেপ।
দ্য হ্যান্ডমেইডেন সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, ইরোটিক নেচারের। আইএমডিবি রেটিং ৮.১/১০, রোটেন টম্যাটোসে ফ্রেশ ৯৫%। বিশ্বের বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচকদের অনেকেরই সেরা দশ সিনেমার তালিকায় রয়েছে দ্য হ্যান্ডমেইডেন।
জানুয়ারী ২০২০
Siberia, USA, 2018
জন উইকের চরিত্রে অভিনয় ছাড়াও কিয়ানু রিভস আরও কিছু চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে সেগুলো দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতটাই ব্যর্থ যে তাদের নাম পর্যন্ত শোনা যায় না। আইএমডিবিতে এইসব সিনেমার রেটিং বেশ কম। এইসব কম রেটিং প্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি রেটিং পেয়েছে এমন একটি সিনেমা বেছে নিয়েছিলাম, নাম সাইবেরিয়া।
কিয়ানুর চরিত্র এখানে একজন ডায়মন্ড ব্রোকারের। রাশিয়ার এক গ্যাংস্টারের কাছে এক ডজন দুষ্প্রাপ্য ও অত্যন্ত মূল্যবান সরবরাহের কাজ পায় লুকাস হিল চরিত্রের কিয়ানু রিভস। তার বন্ধু পিয়টর এর কাছ থেকে ডায়মন্ড সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সে সাইবেরিয়া যায় এবং কিন্তু পীয়টর নিরুদ্দেশ। এদিকে কাটয়া নামের এক তরুণীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে লুকাস। পরিস্থিতির মারপ্যাঁচে লুকাসের অবস্থা হয়ে উঠে শিকারির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া ভাল্লুকের মতো।
সিনেমার বিভিন্ন মোড়ে বারবার মনে হচ্ছিল লুকাস বুঝি এবার জন উইকে রূপান্তরিত হবে। সম্ভবত কিয়ানুর সকল ভক্ত একই রকম ভেবেছেন কিন্তু লুকাস কিয়েটর মানসিক দ্বন্দ্বে প্রত্যাশা হতাশায় রূপ নিয়েছে। আসলে কিয়ানু ছাড়া সিনেমায় আর কিছু মনোযোগ আকর্ষণের মতো আর কিছু ছিল না। কিয়ানুও জন উইকের খোলস থেকে বের হতে পারেনি। কাটয়া বরং বিরক্তি তৈরি করেছে।
রেটিং: ৩/৫
The Limits of Control, USA, 2009
জিম জারমুশের কবিতা – দ্য লিমিটস অব কন্ট্রোল। কি বুঝলাম আর কি বুঝলাম না তাই বুঝলাম না
Ab Tak Chappan, India, 2004
২০০৪ সালের জুন/জুলাই মাসে ঢাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানকে গ্রেফতার করলো র্যাব। সব পত্রিকা-টিভিতে বড় সংবাদ হলো। কিন্তু দুয়েকদিনের মধ্যেই পিচ্চি হান্নান মারা পড়লো ক্রসফায়ারে। তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে গিয়েছিল র্যাব, সেখানে তার সঙ্গীদের সাথে গোলাগুলিতে পিচ্চি হান্নান নিহত হয়- এই ছিল র্যাবের ভাষ্য। ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় এই ঘটনায়। কারণ পিচ্চি হান্নানের মাধ্যমে গডফাদারদের নাম বেরিয়ে আসবে এমন আশা করেছিল সবাই। আর ক্রসফায়ারের গল্পও কেউ বিশ্বাস করেনি। বিশ্বাস না করার পেছনে সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল বলিউডের একটি সিনেমা – নাম আব তাক ছাপ্পান।২০০৪ সালেই সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল, ফেব্রুয়ারী মাসে। নানা পাটেকার অভিনীত এই সিনেমাতে নানা পাটেকার সাধু নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করে যে কিনা এভাবে ক্রসফায়ারে ক্রিমিনাল হত্যার জন্য নিয়োজিত একটি দলের নেতা। অসাধারণ গল্প এবং দুর্দান্ত উপস্থাপনা। নানা পাটেকারের অভিনয় সিনেমাটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। পরে ২০১৫ সালে এই সিনেমার দ্বিতীয় পর্বও মুক্তি পেয়েছিল কিন্তু সাড়া তুলতে পারেনি। গতরাত্রে ইউটিউবে আবারও আব তাক ছাপ্পান দেখলাম। প্রায় ১৫ বছর পরে দেখলেও প্রতিটি মুহুর্ত উপভোগ্য ছিল।
ডিসেম্বর ২০১৯
The King, USA, 2019
১৫ শতকে ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরি দায়িত্ব গ্রহণের পর ফ্রান্সের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং একসময় যুদ্ধে লিপ্ত হন। এই নিয়ে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারে নাটক অবলম্বনে এ বছর নেটফ্লিক্স নির্মান করেছে দ্য কিং। হিস্ট্রিক্যাল ড্রামা। সিনেমাটোগ্রাফি এবং পারফরম্যান্স – অসাধারণ। হেনরীর চরিত্রে টিমথি অত্যন্ত গ্ল্যামারলেস কিন্তু কি দারুণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হাইলি রেকমেন্ডেড!
Badland, USA, 2019
ইন্ডি সিনেমা শব্দটা এই দেশে বেশ অপ্রচলিত। যারা একটু আধটু সিনেমা নির্মানের আশেপাশে থাকেন, তারা জানেন। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় যেখানে সিনেমা নির্মান মানেই মিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট, সেখানে ইন্ডি সিনেমা নির্মাতার সংখ্যাও নেহায়েত কম না। প্রচুর বিখ্যাত নির্মাতা ইন্ডি সিনেমা দিয়ে শুরু করে বড় হয়েছেন। এই ভূমিকার কারণ হলো এ বছর মুক্তি পাওয়া ওয়েস্টার্ন সিনেমা ‘ব্যাডল্যান্ড’। সিনেমার পরিচালক জাস্টিন লি। সাথে আছেন কেভিন মেকলি। ব্যাডল্যান্ড এই জুটির চতুর্থ সিনেমা। এর আগে ‘বিগ লিজেন্ড’, ‘আ রেকনিং’ এবং ‘এনি বুলেট উইল ডু’-তে একত্রে কাজ করেছিলেন, বিগ লিজেন্ড বাদে বাকী দুটি ওয়েস্টার্ন জনরার সিনেমা।
ব্যাডল্যান্ড সিনেমায় কেভিন মেকলি একজন ডিটেকটিভ। সিভিল ওয়ারের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কয়েকজনকে শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব তার ঘাড়ে। অবশ্য, এই ঘর-দুয়ারহীন জীবন তার ভালোও লাগছে না, বরং পকেটে সে এক টুকরো জমি কেনার বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এক পর্যায়ে সে উপস্থিত হয় এমন এক শহরে যেখানে কুখ্যাত এক শেরিফ এবং তার ডেপুটি বাহিনীর অত্যাচারে নগরবাসী অতিষ্ঠ। মিশন শেষে কিভাবে ডিটেকটিভ তার কাঙ্খিত জীবনে পদার্পন করে তার চিত্রায়ন এই সিনেমায়।
ওয়েস্টার্ন সিনেমার রুক্ষতা এই সিনেমায় পাওয়া একটু কষ্টকর। তবে, সাধারণ দর্শকের জন্য ব্যাডল্যান্ড চমৎকার। লোকেশন এবং সিনেমাটোগ্রাফি যেমন ভালো লাগার মতো, তেমনি গল্পের উপস্থাপনা এবং অ্যাকশন দৃশ্যাবলী।
বহুদিন মনে রাখার মতো সিনেমা হয়তো নয়, এক বসায় তৃপ্তিসহকারে দেখার মতো সিনেমা অবশ্যই।
সেপ্টেম্বর ২০১৯
Sicario: Day of the Soldado (2018)
সিনেমার এই দৃশ্যটা আমার বেশ পছন্দের। ক্যামেরা ওয়ার্ক এবং অ্যাকশন দেখুন – তাহলেই বুঝবেন।
John Wick: Chapter 3, USA, 2019
জন উইক ট্রিলজির পরিচালক Chad Stahelski-র পেশা কী সেটা জানা থাকলে তার সিনেমাগুলো বুঝতে অত্যন্ত সুবিধা হবে। চাদবাবু মূলত একজন স্টান্টম্যান। তার জন উইক সিনেমায় তিনি স্টান্টবাজির যতরকম কারিগরি রয়েছে তার সবই দেখাচ্ছেন। চ্যাপ্টার থ্রি-তে গল্প শুধু ডালপালা মেলেনি, আমেরিকার গন্ডিও ছাড়িয়েছে। অ্যাকশন দৃশ্যগুলোর কথা আর কি বলবো – আগের দুটো পার্টকে তো ছাড়িয়েছেই, সামনের পর্ব একে ছাড়িয়ে যেতে পারবে কিনা সন্দেহ! কিয়ানু গোলাগুলি তো করেছেনই, ছোঁড়াছুড়ি করেছেন দুর্দান্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি বিরক্ত হয়েছি হ্যালি বেরীর ঢং-এ। ফোর্থ চ্যাপ্টার বানাবেন বলে নির্মাতা এবং গল্পলেখকগণ যেভাবে গরুকে গাছে তুলেছেন তা দেখেও না দেখার ভান করেছি বলে চ্যাপ্টার থ্রি আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। আপনাদের কি মত?
আগস্ট ২০১৯
Carlito’s Way, USA, 1993
Scarface এবং Carlito’s Way – এই দুই সিনেমার কমন দিক হলো আল পাচিনো এবং ব্রায়ান ডি পালমা। ড্রাগ আন্ডারওয়ার্ল্ডের এই দুই সিনেমা নিয়ে আপনি তুলনা করতে বসে যাবেন নিশ্চিত। কার্লিতো’স ওয়ে-র স্টোরি এত টানটান উত্তেজনাকর যে দম ফেলার ফুসরত পাওয়া যায় না। গল্প হয়তো আপনি সহজেই ধারনা করতে পারবেন, যা পারবেন না তা হলো এর বাঁকগুলো, পাচিনোর অভিনয়। আর হ্যা শন পেনের অসাধারণ অভিনয় আপনাকে তাক লাগিয়ে দেবে আরেকবার!
জুলাই ২০১৯
The Boondock Saints, USA, 1999
The Boondock Saints সিনেমায় অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বেশ উপভোগ্য। এই ধরনের গল্প আমাদের মতো সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্খা-রাগ-ক্ষোভের সাথে বেশ মিলে যায় বলে সিনেমাগুলোও খুব উপভোগ্য হয়। এই সিনেমায় দুর্দান্ত হলো উইলিয়াম ড্যাফো-র অভিনয়। বিশেষ করে যে দৃশ্যগুলোতে সে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করে!
মে ২০১৯
Dabbe 3: Bir Cin Vakasi, Turkey, 2012
দাব্বে সিরিজের চতুর্থ সিনেমার তুলনায় কম ভীতিকর এবং অনেক বেশি অযৌক্তিক। কাহিনীর মধ্যে বেশ কিছু প্লট হোল রয়ে গেছে, ফলে সিনেমা শেষেও কিছু প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল না। ইংরেজি সাবটাইটেলসহ সিনেমাটা ইউটিউবেই পাওয়া যায়, আগ্রহীরা দেখতে পারেন।
Dabbe 4: Cin Carpmasi (Curse of the Jinns), Turkey, 2013
ছবির পরিচালকের নাম হাসান কারাসাদাগ (Hasan Karacadag)। তিনি একজন তুর্কি চলচ্চিত্র পরিচালক। হরর সিনেমা নির্মানে তার বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। যুগ যুগ ধরে হরর সিনেমা বলতে খারাপ আত্মা এবং ক্রিশ্চিয়ানিটি অনুযায়ী এক্সরসিজমের যে রীতি তার মুসলিম ভার্সন তৈরী করতে তিনি বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। মুসলিম রীতিতে খারাপ আত্মা নয়, বরং জ্বিনের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়েছে। হাসান কারাসাদাগ তার সিনেমাগুলোতে সেই জ্বীনকেই উপস্থাপন করেছেন এবং ইসলামিক পদ্ধতিতে জ্বীনের প্রভাব দূর করার উপায়কে দেখিয়েছেন। তার Dabbe ফিল্ম সিরিজে মোট ৬টি পর্ব রয়েছে এবং সবগুলোই দারুন জনপ্রিয়। এছাড়া তিনি ইংরেজি ভাষাতেও Magi নামে একটি হরর সিনেমা নির্মান করেছেন।
২০১৫ সালে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেছিলেন, প্রথম সিনেমাটি নির্মান করতে তিনি মাত্র ১.৫০ লক্ষ ডলার ব্যয় করেছিলেন এবং সিনেমাটি থেকে ২০ লক্ষ ডলার আয় করেছিলেন।
এপ্রিল ২০১৯
Alpha, USA, 2013
ছবির গল্পের পটভূমি ২০ হাজার বছর আগের ইউরোপ। কিন্তু কস্টিউম আর অন্যান্য মিলে কোনভাবেই ৩০০ বছরের পুরোনো বলে মনে হলো না। পরিচালক আর তার ভাই মিলে কয়েক বছর আগে দ্য বুক অব অ্যালি পরিচালনা করেছিলেন। তাদের দক্ষতা সম্ভবত সিজি নির্মাণে, পুরো ছবিতে বেশ দক্ষতার সাথেই সব করেছেন। কিন্তু বড্ড সরল আর সাধাসিধে গল্প – তাই খুব একটা উপভোগ করা গেল না। শুধু ছবি দেখে কি আর পেট ভরে?
মার্চ ২০১৯
The Revenant, USA, 2016
একটাই শব্দ – কী অমানুষিক!
জানুয়ারী ২০১৯
Three Billboards Outside Ebbing, Missouri, USA, 2017
একটি টিনেজ মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সাত মাসেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে তার মা উদ্ভট এক কান্ড করে বসলো। শহরের তিনটি বিলবোর্ড ভাড়া করলো সে। সেখানে বিশাল অক্ষরে লেখা – “Raped While Dying”, “Still No Arrests?”, and “How Come, Chief Willoughby? (পুুুলিশ চিফ)”এই দেশে কোনদিন সম্ভব এই দৃশ্য?
২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি সাতটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়ে দুটি অস্কার জিতেছিল। ম্যারম্যারে ঠান্ডা সিনেমা, দেখা না দেখা আপনার ইচ্ছা!
The Girl in the Spider’s Web, USA, 2018
দ্য গার্ল উইথ দ্য ড্রাগন ট্যাট্যু লিসবেথ স্যাল্যান্ডারকে নিয়ে নির্মিত ৪র্থ সিনেমা The Girl in the Spider’s Web. লিসবেথের চরিত্রে নতুন মুখ, ক্লেয়ার ফয় এবং পরিচালনায়ও নতুন ব্যক্তি, ফেড আলভার্জ। হ্যাকার লিসবেথ আমেরিকার সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে একটি প্রোগ্রাম চুরির কন্ট্রাক্ট নেয়, কিন্তু সফল হতে পারলেও হাতছাড়া হয়ে যায়, জড়িয়ে পড়ে দুর্ধর্ষ রাশিয়ান গ্যাঙ এর জালে। তাকে সহযোগিতা করে সাংবাদিক মিকেল ব্লুমভিস্ট।
মূল উপন্যাসের তিন চতুর্থাংশ লিসবেথের স্রষ্টা স্টিগ লারসন লিখে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কতটুকু সত্যি জানি না, তবে, এই সিনেমায় প্রথম তিন পর্বের লিসবেথকে পাওয়া কঠিন, মিকেলকে পাওয়াই যায় না। বড় কথা, সিনেমার গল্পকে চাপিয়ে দেয়া বলে মনে হয়। প্রথম তিন সিনেমায় লিসবেথের মধ্যে জেসন বর্ণকে পেয়েছিলাম, এই ছবিতে পেলাম জেমস বন্ডকে। মোটরবাইক পাল্টেছে, কিছু সময় ব্যাটম্যানের গাড়ির মত একটি গাড়িও পাওয়া গেল। লিসবেথের চরিত্রে ক্লেয়ার ফয়-কে গ্রহণ করতে কষ্ট হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দ সুইডিশ ট্রিলজির নুমি র্যাপেসকে, হলিউডের রুনি মারাকেও অপছন্দ করিনি, কিন্তু এই লিসবেথের মধ্যে রাফনেস তূলনামূলকভাবে কম মনে হয়েছে।
তবে ছবির কাহিনীতে যথেষ্ট গতি রয়েছে। সিনেমাটোগ্রাফি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর – সুপার্ব। ভালো সময় কাটানোর জন্য উপযুক্ত সিনেমা।
রেটিংঃ ৩/৫
The Nun, USA, 2018
গড়পড়তা সিনেমা। দ্য কনজারিং সিরিজের প্রিকুয়্যেল বলে দেখা হলো। কাহিনী দুর্বল, শুধু শুধুই ঠুস ঠাস করে ভয় দেখানো।
The Old Man & the Gun, USA, 2018
পঞ্চাশোর্ধ্ব ভদ্রলোক হাসিমুখে বললেন, আমি একটি বিজনেস লোন নিতে চাই। ব্যাংক ম্যানেজার জানতে চাইলেন, কি ধরনের বিজনেস? বৃদ্ধ লোকটি তার কোটের একপাশ তুলে ভেতরে রাখা পিস্তল দেখালেন। তারপর তার চামড়ার ব্যাগটি বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, টাকা দিয়ে এই ব্যাগটা ভর্তি করে দিন। ম্যানেজার ব্যাগ ভর্তি করে দিলে খুশীমনে ব্যাংক থেকে বের হয়ে গেলেন হাসিমুখের বৃদ্ধ।প্রায় একই কায়দায় প্রায় শ’খানেক ব্যাংক ডাকাতি করেছিলেন তিনি, সারাজীবনে পালিয়েছেন ষোলবার। ‘The Story is mostly True’ ট্যাগলাইনের এই সিনেমার নাম ‘The Old Man & the Gun’, মুক্তি পেয়েছে গেল বছরের নভেম্বরে।
অক্টোবর ২০১৮
Mission Impossible: Fallout, USA, 2018
মিশন ইম্পসিবল ফ্র্যাঞ্চাইজের সবচেয়ে সফল ছবি সম্ভবত মিশন ইম্পসিবল টু। সর্বশেষ সিনেমা মিশন ইম্পসিবল: ফলআউট-এ তাই ইচ্ছা করেই এমন কিছু বিষয় রাখা হয়েছে যেন টু-এর দৃশ্যগুলোর সাথে দর্শক অবচেতনভাবে হলেও রিলেট করতে পারে। যেমন – পাহাড় বেয়ে উঠা, মোটরবাইক, দৌড় ইত্যাদি। আপনাদের কি ধারনা?চূড়ান্ত রকম টানটান উত্তেজনার সিনেমা। বুড়ো হচ্ছি – এই ধরনের সিনেমা আর কতদিন দেখতে পারবো কে জানে!
Investigation of a Citizen Above Suspicion, Italy, 1970
গুগলে ‘বেস্ট ইটালিয়ান ফিল্মস’ লিখে সার্চ করেছিলাম। গুগল যে তালিকা দেখালো সেখানে বেশিরভাগ ছবিই নব্বইয়ের আগে। ‘ইনভেস্টিগেশন অব আ সিটিজেন এবোভ সাসপিশন’ সিনেমার নাম সেভাবেই পাওয়া।
নাম শুনে মিস্ট্রি বা থ্রিলারের গন্ধ পেতে পারেন। শুরুতেই যখন এক ভদ্রলোককে একজন ভদ্রমহিলার সাথে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে গলা কেটে হত্যা করা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন চিহ্ন রাখতে দেখবেন, তখন আশাবাদী হবেন। তারপর যখন জানবেন – ভদ্রলোক নিজেই পুলিশের বড় কর্তা, তখন স্পষ্ট বুঝতে পারবেন – সমস্যা ক্রমশই জটিল হয়ে উঠছে। তবে, তারপর হতাশ হতে পারেন। কারণ, শুরুটা এমন হলেও এই সিনেমা প্রকৃতিতে সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। ইতালির গুরুত্বপূর্ণ এক সময়কে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। তারচেয়েও বড় হয়ে উঠেছে ক্ষমতাধর শ্রেণি কিভাবে অপরাধ করলেও সন্দেহের বাহিরে থেকে যায়।
সিনেমা যারা নির্মান করতে আগ্রহী তারা গল্প খেয়াল করার পাশাপাশি ক্যামেরার কাজটিও দেখবেন। ক্লোজ শটের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে এই সিনেমায়। কম্পিউটারের মনিটরে হয়তো ক্লোজ শটের গুরুত্ব অতটা বোঝা যাবে না, সিনেমার বড় পর্দায় ক্লোজ শট দর্শকের মধ্যে কি ধরনের সাইকোলজিক্যাল ইফেক্ট তৈরী করতো সেটা চিন্তা করে নিতে হবে। এই ছবিটি সেরা বিদেশী ছবির ক্যাটেগরিতে অস্কার জিতেছিল।
The American, USA, 2010
জ্যাক একজন গানস্মিথ, মানে অস্ত্রশিল্পী। তবে সে সকলের জন্য অস্ত্র তৈরী করে না, করে গুপ্তঘাতকদের চাহিদা অনুযায়ী। সুইডিশ গুপ্তঘাতকদের হাত থেকে পালিয়ে রোম থেকে অনেক দূরে ইতালির এক মফস্বলে লুকোয় জ্যাক। নতুন কাজের অর্ডার করে তার কন্ট্রাকটর। এরই মাঝে জ্যাকের সাথে ভাব হয় স্থানীয় এক তরুণীর। জ্যাক সিদ্ধান্ত নেয়, এই কাজেই হবে তার শেষ কাজ।
এই গল্প দ্যা আমেরিকান সিনেমার। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই সিনেমাটি, কেন্দ্রীয় চরিত্রে জর্জ ক্লুনি। সিনেমার গল্পে অনেক গর্ত রয়েছে, তা সত্ত্বেও বেশ উপভোগ্য দ্যা আমেরিকান। কারণ গল্পটা সরল। অনর্থক জটিলতা নেই। ছবির লোকেশন মনকাড়া।
যারা স্বল্প বাজেটে একটি ভালো কমার্শিয়াল ছবি বানাতে চান তারা এই ছবিটি মনযোগ দিয়ে দেখতে পারেন। কোন আর্টিফিশিয়াল সেট ব্যবহার না করে রিয়েল লোকেশনে একটি ভালো গল্প কিভাবে বলা যায় তার ধারণা পাওয়া যাবে এই সিনেমায়। গড় মানের ছবি, আইএমডিবির রেটিং ৬.৫/১০।
সেপ্টেম্বর ২০১৮
American Made, USA, 2017
সিনেমাটিকে কেবল একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী দুঃসাহসী পাইলট যে বিভিন্ন দেশের অনেকগুলো কর্তৃপক্ষের চোখে ধূলো দিয়ে স্পাইয়িং, অস্ত্র, মাদক ইত্যাদি চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল তার জীবনগাঁথা হিসেবে দেখবেন না, প্লিজ। সিনেমার নামটা ভালো করে খেয়াল করুন, তাহলেই বুঝতে পারবেন এটি আরও বড় কিছুকে বোঝাচ্ছে৷ স্নায়ু যুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে আমেরিকা কিভাবে সুপার পাওয়ার হিসেবে আবির্ভূত হলো, আমেরিকাকে এই অবস্থায় নিয়ে আসতে সিআইএ-র ভূমিকা কতটুকু সেটা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ ধারণা দেয়া হয়েছে এই সিনেমায়। যদি এইটুকু বুঝতে পারেন তাহলে পৃথিবীর বড় বড় ক্ষমতাবান দেশগুলোর পাশের দেশগুলোর দূরাবস্থা সম্পর্কে কিছু ধারণা পাবেন। সিনেমা শুধু দেখে যাইয়েন না, ভাবুন, ভাবার প্র্যাকটিস করুন।
Bilal: A New Breed of Hero
ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন হযরত বিলাল (রা) কে নিয়ে একটি অ্যানিশেন চলচ্চিত্র দেখলাম। নাম Bilal: A New Breed of Hero।
প্রথমে ভেবেছিলাম এ অন্য কোন বিলাল। হযরত বেলাল (রা) এবং তার বোন হযরত হুফাইরা (রা) এর ছোটবেলা থেকে শুরু করে রাসূলুল্লাহ (স) এর মক্কা বিজয় পর্যন্ত সময়কে ধারণ করার চেষ্টা হয়েছে এই ছবিতে। মক্কার ইসলাম-পূর্ব জীবনযাত্রা, বিশেষ করে দাসদের যন্ত্রনা, ইসলাম গ্রহণের পরিণাম, হিজরত, বদরের যুদ্ধ ও বিজয়, মক্কা বিজয় ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে হযরত আবু বকর (রা), হযরত হামজা (রা), হযরত সুহাইব (রা), হযরত সাদ (রা) এবং ছোট্ট এক দৃশ্যে হযরত আলী (রা)-কে উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে মক্কার ইসলামের শত্রুদের মধ্যে উমাইয়্যা এবং তার পুত্র সাফওয়ান, তাদের সহযোগী উকবা – এদেরকে পাওয়া যাবে এই ছবিতে।
আগস্ট ২০১৮
Shooter, USA, 2007
মার্ক হোয়েলবার্গ অভিনীত ২০০৭ এর চলচ্চিত্র ‘Shooter’ এর পরিচালক এ্যান্টনি ফুকুয়া’র অনেকগুলো চলচ্চিত্র জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। সবচেয়ে বেশি পপুলার হলো ট্রেনিঙ ডে। ওয়েস্টার্ণ সিনেমা ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন, ডেনজাইল ওয়াশিংটনকে নিয়ে বানানো দ্য ইকুয়ালাইজার ১, ২ – আরও কয়েকটা ভালো সিনেমা।
শ্যুটার সিনেমার স্টোরিটেলিঙ দুর্দান্ত। বব লি সোয়াগার চরিত্রটি মূলত স্টিফেন হান্টারের উপন্যাসের চরিত্র। বব লি সোয়াগার নিয়ে তার আরও অনেকগুলো উপন্যাস রয়েছে। রয়েছে, বব লি সোয়াগারের বাবাকে নিয়েও কয়েকটি উপন্যাস। লেখক ভদ্রলোক অস্ত্র নিয়ে খুবই আগ্রহী এবং তার উপন্যাসগুলোতে অস্ত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা পাঠককে মোহাবিষ্ট করে তুলতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে।
ব্যক্তিজীবনে স্টিফেন হান্টার একজন বন্দুকবাজও বটে, মানে নিজেও গোলাগুলি করেন। কোন এক সাক্ষাতকারে তিনি নাকি বলেছিলেন, গুলি করার মধ্যে যে ‘ইমেন্স প্লেজার’ পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বেশিরভাগ লোকেরই কোন ধারনা নেই! ভদ্রলোকের আরও একটি পরিচয় রয়েছে – তিনি একজন ফিল্ম ক্রিটিক।
জ্যাক রিচার চরিত্র নিয়ে দুটো চলচ্চিত্র হয়ে গেল – বব লি সোয়াগার নিয়ে আরও দুয়েকটা ছবি বানানো হলে মন্দ হতো না। সিনেমা না হলেও টিভি সিরিজ হয়েছে – ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়ে চলছে।শ
্যুটার সিনেমার জন্য আমি ৫/৫ রেটিঙ দিয়েছি। আপনি কত দিবেন?
জুলাই ২০১৮
The Day of the Owl, Italy, 1968
ইতালিয়ান সিনেমা। মাফিয়াদের দ্বারা খুনের এক ঘটনায় তদন্ত করতে নামে তরুণ পুলিশ অফিসার। তার অফিসের বিপরীতেই প্রধান সন্দেহভাজন মাফিয়া কিং এর বাড়ি। পুরো শহর তাদের নিয়ন্ত্রণে। পুলিশও তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যায়।
১৯৬৮ সালের সিনেমা। একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। পুলিশের কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে দারুণ ধারনা পাওয়া যাবে এই সিনেমা থেকে। আর অবশ্যই মাফিয়াদের ক্ষমতা সম্পর্কে। দ্য গডফাদার সিনেমার মার্লোন ব্রান্ডোর মতোই এই সিনেমার মাফিয়া ডন উৎকৃষ্টমানের অভিনয় করেছেন বলে স্বীকৃত।
বেশ ইমপ্রেসড। এই পরিচালকের (Damiano Damiani) আরও কিছু সিনেমা দেখার আগ্রহ তৈরী হয়েছে। কেবলমাত্র হলিউডের দৃষ্টিতে মাফিয়াদের না দেখে ইতালিয়ানদের দৃষ্টিতেও দেখা জরুরী বলে মনে করছি।
এপ্রিল ২০১৮
An Assassin, Japan
জাপানের সাধারণ অ্যাকশন সিনেমা An Assassin। নিতান্ত টাইম পাসের প্রয়োজন না হলে দেখার দরকার নাই
মার্চ ২০১৮
Haywire, 2011
সিনেমার অন্যতম সৌন্দর্য্য এর এ্যাকশন দৃশ্যগুলোয়। দুর্দান্ত স্টান্টবাজি নেই, বরং খুব মানবীয়, দেখতে গেলে একবারও মনে হয় না যে এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।
কেন্দ্রীয় চরিত্র ম্যালরি কেইন একজন নারী এবং বেসরকারী অপারেটিভ। সরকারী লোকজন তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ম্যালরিকে কাজে লাগায় এবং ফাঁসিয়ে দেয়। ম্যালরি কিভাবে এই বিপদ থেকে নিজেকে উদ্ধার করে এবং প্রতিশোধ নেয় তার গল্প সিনেমায়। হালকা কিন্তু উপভোগ্য সিনেমা। পরিচালক স্টিভেন সদারবার্গ। আরও আছেন অ্যান্টনিও বান্দেরাস।
The Curse of the Golden Flower, 2006
মজবুত গল্প আর সুনিপুণ পরিচালনায় মুগ্ধকর চলচ্চিত্র। বিশেষ করে ছবিতে রঙ এর ব্যবহার আর বাহারী রাজকীয় সেট – অসাধারণ! মাস্ট সি।
ফেব্রুয়ারী ২০১৮
The Legend of Tarzan, USA, 2016
এক ছবিতে কত কিছু দেখানোর চেষ্টা করা যায় তার অন্যতম উদাহরণ দ্য লিজেন্ড অব টারজান (২০১৬)। ক্রিস্টোফার ওয়াজ এই সিনেমার অন্যতম আকর্ষণ, তার যোগ্যতার অপচয় দেখে কষ্ট লাগল। এন্টারটেইনিঙ মুভি। বড় স্ক্রিন আর ভালো সাউন্ড সিস্টেমে দুর্দান্ত উপভোগ করা যাবে।
The Gunman, 2015
সিনেমার প্লট খুব শক্তিশালী নয়, কিন্তু কাস্টিং চমৎকার। মূল চরিত্রে শন পেন, আর আছে জেভিয়ার বারদেম। হালকা মেজাজে দেখার জন্য খুব একটা খারাপ সিনেমা নয়।
জুলাই ২০১৭
High Plains Drifter, USA,
এটাও ওয়েস্টার্ন – ক্লিন্ট ইস্টউডের পরিচালনায় এবং অভিনয়ে নির্মিত। আরও অনেকগুলো চলচ্চিত্রের মত এখানেও তার চরিত্রের কোন নাম নেই।
গুগলে ‘Western Films’ লিখে সার্চ করলে কিছু সিনেমার সাজেশন দেয়। সব মিলিয়ে গোটা পঞ্চাশেক ছবি। ‘সিলভারাডো’ ছবির নাম সেভাবেই পাওয়া। বাছাই করার কারণ হল কেভিন কস্টনার। তার অভিনীত ওয়েস্টার্ন জনরার ছবিগুলো আমার বিশেষ ভালো লাগে – ড্যান্সেস উইথ উলভস, ওপেন রেঞ্জ, ওয়াইট আর্প। ফলে বাছাই করে নিতে সময় লাগে নি।
চার যুবকের পরিচয় পথিমধ্যে। এদের মধ্যে দুইজন আবার সহোদর। তাদের গন্তব্য সিলভারাডো। সিলভারাডোয় পৌছানোর আগেই তারা পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নেয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে প্রত্যেকেই আবার একত্রিত হয় সিলভারাডোয় – লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে।
এই চারজনকে ঘিরেই গল্প, ফলে নির্দিষ্ট কোন ঘটনা বড় হয়ে উঠেনি। তবে ছোট ছোট বেশ কিছু ঘটনার সন্নিবেশ ঘটেছে এই ছবিতে। ছবির পরিচালক লরেন্স কাসদান, যিনি পরবর্তীতে ওয়াইট আর্প নির্মান করেছিলেন।
ভালো লাগার মত চলচ্চিত্র সিলভারাডো। তবে বলে রাখি – কেভিন কস্টনার কিন্তু এই ছবির কেন্দ্রিয় চরিত্র নয়। তবে তার চরিত্রটি মজার এবং তার জোড়া পিস্তলের দক্ষতা প্রশ্নাতীত!
From Dusk Till Dawn
পরিচালক হয়, স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কোয়েন্টিন টারান্টিনো-র হাতে গোনা কয়েকটি চলচ্চিত্র আছে। ১৯৯৬ সালে সেরকম একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় যেটি পরিচালনা করেছিলেন রবার্ট রড্রিগুয়েজ।যদি রড্রিগুয়েজকে চিনতে কষ্ট হয় তাহলে মনে করিয়ে দেই – মেক্সিকো ট্রিলজি (এল মারিয়াচি, ডেসপারেডো, ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মেক্সিকো) এবং সিন সিটি তার পরিচালিত সিনেমাগুলোর অন্যতম।
দুই ভাই ব্যাংক ডাকাতি করে মেক্সিকোর দিকে পালাতে শুরু করে। পেছনে পুলিশের তাড়া। কোনভাবে বর্ডার পার হতে পারলেই বেঁচে যাবে এই দুই ভাই। বর্ডার পার হবার জন্য তারা কিডন্যাপ করে এক পরিবারের তিন সদস্য – বাবা, ছেলে এবং মেয়েকে।
টারান্টিনিয়ো স্টাইলেই গল্পের বিল্ডআপ এবং পরিণতি। অভিনয়েও আছেন টারান্টিনো, দুই ভাইয়ের একজনের চরিত্রে। অন্যজন জর্জ ক্লুনি। বিশেষ একসময়ে উপস্থিত হবেন সালমা হায়েক!
জানিয়ে রাখি – এটি ছবিটি মুক্তির পরে খুব বেশি সাফল্য অর্জন না করলেও পরবর্তীতে কাল্ট ফিল্ম হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যদি দেখে থাকেন, তবে কেমন লেগেছে শেয়ার করতে পারেন।
০৩ জুলাই ২০১৭
ক্লিন্ট ইস্টউড যুগের (১৯৮৫) সিনেমা। নির্মাতা যিনি, প্রধান চরিত্রও তিনি – ক্লিন্ট ইস্টউড। খুব সাধারণ ওয়েস্টার্ণ গল্প।স্বর্ণসন্ধানী একদল মানুষকে উৎখাত করে সেই জায়গার দখল নিতে চায় কর্পোরেট স্বর্ণসন্ধানী। এই সময় হঠাৎ হাজির হয়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে আবার হারিয়ে যায় একজন বন্দুকবাজ ‘প্রিচার’। সিনেমার গল্প দেখে এর কোন প্রিকুয়েলের অস্তিত্ব জানান দেয়, তবে এরকম কোন সিনেমা সত্যিই আছে কিনা নিশ্চিত নই। ধীরস্থির গতিতে এগিয়ে চলা ওয়েস্টার্ণ ছবি পেইল রাইডারের জন্য আমার রেটিং: ৪/৫
এপ্রিল ২০১৭
Gone Baby Gone
কিছুদিন আগে কিছু ডিটেক্টিভ সিনেমার একটি তালিকা পেয়েছিলাম যেখানে বলা হয়েছিল এই সিনেমাগুলোর শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সাসপেন্স থেকে যায়। সেই তালিকা ধরে কিছু সিনেমা দেখা হয়েছে – Gone Baby Gone তার একটি। বেন এফ্লেক এই ছবির পরিচালক, আর প্রধান চরিত্রে তার ভাই সেজি এফ্লেক। সম্ভবত এই সিনেমার মাধ্যমেই বেন এফ্লেক পরিচালক হিসেবে আবির্ভূত হন। চার বছর বয়সী একটি মেয়ে হারিয়ে গিয়েছে, পুলিশ কিছুই করতে পারছে না তাই মেয়েটির আন্টি উপস্থিত হয়েছিল ডিটেক্টিভের কাছে। মেয়েটির বাবা নেই, মা ড্রাগ এডিক্টেড। তদন্তে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ধীরে ধীরে গভীরে ঢুকে গেল ডিটেক্টিভ এবং তার সঙ্গী, আর সিনেমার প্রত্যেক পরতে পরতে এক একটা মিস্ট্রির জট খুলতে লাগল। স্টোরিটেলিং একটু ধীরগতির। এই ধরনের সিনেমায় যে গতিময় মজা পাওয়া যায় তা পাওয়া যাবে না কিন্তু পুরো চলচ্চিত্রটি দেখতে পারলে বুঝতে পারবেন অসাধারণ একটি সিনেমা দেখে ফেলেছেন। বেন এফ্লেক এই ছবির জন্য বেশ কতগুলো পুরষ্কার জিতে নিয়েছিলেন। এবং সেই ড্রাগ এডিক্টেড মা-টি জিতে নিয়েছেন অস্কারসহ আরও বেশি পুরস্কার।
মার্চ ২০১৭
Mystic River
এটাও মিস্ট্রি সিনেমা। পরিচালক হলেন ক্লিন্ট ইস্টউড দ্য বস! অভিনয়ে আছেন শন পেন, কেভিন বেকন, টিম রবিন্স এবং লরেন্স ফিশবার্ন।
গল্পের শুরু কৈশোরে। তিনবন্ধুর একজনকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায় দুজন লোক, আটকে রেখে নির্যাতন করে। চারদিন পরে সে পালিয়ে আসতে পারলেও স্থায়ী প্রভাব থেকে যায় জীবনে। অনেক বছর বাদে, যখন তারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের দুরত্ব তৈরী হয়েছে, তিন বন্ধুর একজনের উনিশ বছর বয়সী মেয়ে খুন হয়ে যায়। তিনবন্ধুর তৃতীয়জন যে একজন পুলিশ অফিসার, তদন্ত শুরু করে এবং বহুবছর বাদে তিনজন একত্রিত হয়। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ ধীরে ধীরে সেই বন্ধুটিকেই খুনী হিসেবে নির্দেশ করে যে নির্যাতিত হয়েছিল কৈশোরে।
থ্রিলার নয়, তাই উত্তেজনা খুঁজতে গেলে ভুল হবে। দারুন ড্রামা। ক্লিন্ট ইস্টউডের পরিচালনায় নির্মিত সিনেমাগুলোর গল্প বেশ শক্তিশালী। এই ছবিটির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। শন পেনের অভিনয় এই ছবিতে দেখার মত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রেকমেন্ডেড।
Zodiac
বহুদিন পর বেশ জটিল একটা সিনেমা দেখা হল। একটু পুরানো, দশ বছর আগেই মুক্তি পেয়েছে এই ছবিটি। পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার।
বেশ কয়েকটি সিরিয়াল খুন করে এক লোক। চিঠি লিখে সেই খুনের স্বীকারোক্তি জানায় পত্রিকায়, সাথে প্রমাণস্বরূপ কিছু। কখনো কোডেড চিঠি। কিন্তু কোনভাবেই সেই খুনিকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না। পুলিশ ডিপার্টমেন্ট চেষ্টা চালিয়ে যায় বছরের পর বছর ধরে। সান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকল পত্রিকার দুই সাংবাদিকও চেষ্টা চালিয়ে যায়। কিন্তু সমাধান আর হয় না। তাদের এই প্রচেষ্টা নিয়েই প্রায় পৌনে তিনঘন্টার এই সিনেমাটি।
ধৈর্য্য ধরে রাখা কষ্ট হতে পারে। সমস্যা হবে না যদি চরিত্রগুলোর নাম মনে রাখতে পারেন। মিস্ট্রি জনরা পছন্দ করলে বাস্তব ঘটনার উপর নির্ভর করে নির্মিত এই ছবি দুর্দান্ত ভালো লাগবে।
সাম্প্রতিক সময়ে সবচে আনন্দ পেয়েছি জুটোপিয়া দেখে। ছোট্ট একটা সিন শেয়ার করছি – তাহলেই বুঝতে পারবেন।
ফেব্রুয়ারী ২০১৭
দ্য ম্যাগনিফিশেন্ট সেভেন নামে দুটি চলচ্চিত্র রয়েছে। প্রথমটি ১৯৫৯ সালের চলচ্চিত্র। দ্বিতীয়টি গতবছর মুক্তি পেয়েছে। দ্বিতীয়টি প্রথম সিনেমার রিমেক। প্রথম সিনেমাটি অবশ্য আকিরা কুরোসাওয়ার বিখ্যাত সিনেমা সেভেন সামুরাই অবলম্বনে নির্মিত। আমেরিকান সিনেমাগুলোর দুটোই ওয়েস্টার্ন সিনেমা। নতুন সিনেমার কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডেনজেল ওয়াশিংটন। পরিচালনা করেছেন এন্টনি ফুকুয়া।
১৯৫৯ সালের ছবিটি বেশ পপুলারিটি পেয়েছিল। একটি অস্কারের জন্য নমিনেশনও পেয়েছিল ছবিটি। কিন্তু বর্তমান সময়ের বিবেচনায় এই ছবির কাহিনী খুবই সাধারণ বলে মনে হল। স্বর্ণের খনির মালিক একজন একটি শহর দখল করে নিচ্ছে বলে এক সদ্য বিধবা তরুণী ওয়ারেন্ট অফিসার স্যাম চিজমকে ভাড়া করে। খনি মালিক ও তার বিশাল গ্যাংকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে স্যাম সাতজনের একটি দল তৈরী করে, তাদেরকে নিয়ে শহরে যায় এবং বিশাল এক যুদ্ধের পর বিজয়ী হয় – সংক্ষেপে এই হল কাহিনী।
জটিলতাবিহীন কাহিনীর ছবি হলেও নির্মান চমৎকার। একশন দৃশ্যে ভরপুর এবং ওয়েস্টার্ণ ভক্তদের হতাশ না করার মত ছবি দ্য ম্যাগনিফিশেন্ট সেভেন।
আমার রেটিং: ৬/১০
জানুয়ারী ২০১৭
জেমস বন্ড নয়, জেসন বর্ণ আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র। এই চরিত্রকে নিয়ে নির্মিত পাঁচটি সিনেমার মধ্যে বর্ণ আইডেন্টিটিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মত কোন ছবি হয় নি। ম্যাট ডেমনকে বাদ দিয়ে নির্মিত বর্ণ লিগেসি-কে গ্রহণ করতে বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই চরিত্রকে নিয়ে আর কোন ছবি নির্মিত হবে সেই আশা ছিল না মোটেও, কিন্তু জেসন বর্ণ এর ট্রেলার দেখার পর শান্তিতে পেট ভরে গিয়েছিল। একটু দেরীতে হলেও ভালো প্রিন্টে জেসন বর্ণ দেখার পর শান্তিতে ঘাটতি পড়ে নি একটুও। টানটান উত্তেজনার ছবি। অস্ত্রপাতির ব্যবহার তুলনামূলকভাবে বেশিই, ভয়, শেষ পর্যন্ত বন্ডের দিকে না রওয়ানা শুরু করে। রেটিং: ৫/৫
দি ডা ভিঞ্চি কোড এবং অ্যাঞ্জেলস এন্ড ডিমন্স সিনেমার পরে রবার্ট ল্যাংডন সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ইনফার্নো। মূল উপন্যাস ড্যান ব্রাউনের একই নামের বেস্টসেলার বই, রবার্ট ল্যাংডন চরিত্রেও সেই একই টম হ্যাংকস এবং পরিচালনায় রন হাওয়ার্ড। রহস্য আবর্তিত হয়েছে দান্তে-র ইনফার্নো-কে কেন্দ্র করে। তবে রহস্যের বয়স খুব পুরানো নয়। পৃথিবীর জনসংখ্যাকে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চান এমন পাগলাটে এক বিলিয়নিয়ার মৃত্যুর পূর্বে দান্তের ইনফার্নো-কে ব্যবহার করে কিছু একটা গোপন রেখে যান, তার উদ্ধারেই ডাক পরে রবার্ট ল্যাংডনের। শুধু এই কারণেই ইনফার্নো খুব পূর্বের দুটি সিনেমার ধারে কাছে যেতে পারে নি। সিনেমা থেকে রবার্ট ল্যাংডন-রূপী টম হ্যাংসকে তুলে নিয়ে অন্য কাউকে বসিয়ে দিলে সিনেমার গতি একটুও কমবে না। এ অংশটুকু উপেক্ষা করা গেলে ইনফার্নোও বেশ উপভোগ্য সিনেমা – একাধিক দল রয়েছে, এক শহর থেকে আরেক শহরে ছুটোছুটি রয়েছে, রহস্য রয়েছে, এর সমাধানও রয়েছে, ছোট-মাঝারি-বড় একশনদৃশ্যও রয়েছে। আর হ্যা, আপনাদের পরিচিত অভিনেতা ইরফান খানও রয়েছেন – ছোট চরিত্রে নয়, মোটামুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে।রেটিং: ৪/৫
বহুদিন পরে আপডেট করতে এলাম। সাম্প্রতিক যে সিনেমাগুলো দেখেছি
Jack Reacher Never Go Back, USA, 2016
জ্যাক রিচার সিরিজের দ্বিতীয় সিনেমার নাম জ্যাক রিচার নেভার গো ব্যাক। জ্যাক রিচার চরিত্রে যথারীতি টম ক্রুজ। সিনেমার প্রযোজকও তিনি। প্রথম পর্বে যে জ্যাক রিচারকে পেয়েছি তা বইয়ের জ্যাক রিচারের মত ছিল না, দ্বিতীয় সিনেমায় প্রথম জ্যাক রিচারকেও পাই নি। তবে পাওয়া গিয়েছে মেজর সুসান টার্ণার চরিত্রের নায়িকা Cobie Smulders এবং ভিলেন চরিত্রে Patrick Heusinger। ভিলেন দুর্দান্ত, জ্যাক রিচারকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। জ্যাক রিচারকে পছন্দ করলে ভালো লাগবে এই সিনেমাটিও।
John Wick, USA, 2014
২০১৪ সালের জন উইক সিনেমাটার কথা মনে আছে তো? ওই যে – পোষা কুকুরকে মেরে ফেলার পর যে তার পুরানো পেশায় ফিরে গিয়েছিল, প্রতিশোধ নেয়ার জন্য। দুর্দান্ত একশনে পরিপূর্ণ চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি আর গল্পের এই সিনেমার সিক্যুয়েল জন উইক চ্যাপ্টার টু মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারীর ১০ তারিখে। পরিচালকের ভূমিকায় প্রথম পর্বের সেই চাদ স্ট্যাহেলস্কি।
জন উইক পরিচালকের প্রথম চলচ্চিত্র। এর আগে তিনি স্ট্যান্টম্যান হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করতেন। তারও আগে তিনি ছিলেন কিক বক্সার। ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা দ্য ক্রো-এর শ্যুটিং এর সময় প্রধান চরিত্র ব্র্যান্ডন লি অকালে মৃত্যুবরণ করলে তার ডাবলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্ট্যাহেলস্কি। স্টান্টবাজি করেছেন এরকম অনেকগুলো সিনেমার মধ্য বিখ্যাত হল দ্য ম্যাট্রিক্স। কিয়ানু রিভসের ডাবল ছিলেন তিনি। সেই কিয়ানু রিভসকে নিয়েই নির্মান করেছেন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘জন উইক’। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রে কিয়ানু রিভসের সাথে উপস্থিত হচ্ছেন আরও একজন ম্যাট্রিক্স তারকা – লরেন্স ফিশবার্ন।
আশা করা যায় – প্রথম পর্বের মতই আরেকটি দুর্দান্ত সিনেমা পাওয়া যাবে তার কাছ থেকে। ট্রেলারটি দেখে নিতে পারেন ইউটিউবে
Maigret’s Dead Man, UK
Maigret Sets a trap, UK
রোয়ান অ্যাটকিনসনকে সবাই মি. বিন নামে এক নামে চেনেন। মি. বিন টিভি সিরিজের পাশাপাশি তিনি হাতে গোনা অল্প যে সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেছেন সেগুলোও কমেডি ঘরানার। জনি ইংলিশ সিনেমায় তিনি স্পেশাল এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করলেও হাসিয়েছেন পুরো সিনেমায়। এই মি. বিনকেই সিরিয়াস গোয়েন্দার ভূমিকায় দেখতে কেমন লাগবে?
২০১৬ সালে তিনি মেইগ্রেট নামের গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এই চরিত্রে দুটো ছবি একই বছরে মুক্তি পেয়েছে। প্রথমটি – Maigret sets a trap এবং দ্বিতীয়টি Maigret’s Dead Man। মেইগ্রেট ফ্রান্সের একটি শহরের চিফ অব ইন্সপেক্টর। প্রথম ছবিতে একজন সিরিয়াল কিলারকে খুঁজে বের করেন। দ্বিতীয় ছবিতেও খুনের রহস্যের কিনারা করতে হয় তাকে। প্রথম ছবিটি দেখা হয়েছে – দারুন উপভোগ্য – টানটান উত্তেজনার ছবি।
বলে রাখি – ছবির কাহিনী গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে এবং সংলাপ ইংরেজি। এবং, এই ছবিগুলো মূলত টিভি সিরিজ যা এপিসোড আকারে প্রচারিত হয়েছিল। প্রথম সিজনে দুটো ছবি মুক্তি পেয়েছে, ২০১৭ সালে আরও নতুন দুটো ছবির কাজ চলছে।
মিস্ট্রি পছন্দ করেন যারা দেখতে পারেন!
War Witch, Canada, 2012
চাইল্ড সোলজার বা শিশু সৈনিকদের নিয়ে গত একদশকের সবচে জনপ্রিয় সিনেমার নাম সম্ভবত ব্লাড ডায়মন্ড। এর প্রধান কারণ হল লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও যিনি সিনেমার কেন্দ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ব্লাড ডায়মন্ড সিনেমায় চাইল্ড সোলজার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলেও মূল বিষয় ছিল ডায়মন্ড ফলে শিশুসৈনিকদের বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে ফুটে উঠে নি। অবশ্য যেটুকু পাওয়া গিয়েছিল সেটিও কম নয়, চাইল্ড সোলজারদের অমানবিক জীবনের একটি দৃশ্য পাওয়া যায় সেখানে। এর চেয়েও ভালোভাবে পাওয়া যায় এরকম কয়েকটি সিনেমা নির্মিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। এদের মধ্যে নেটফ্লিক্স নির্মিত বিস্টস অব নো নেশন বেশি জনপ্রিয়, পাশাপাশি ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ওয়ার উইচের নামও বলতে হয়।
Bridge of Spies, USA, 2015
নভেম্বর ২০১৪
J. Edgar, USA, 2011
Rise of the Planet of the Apes, USA, 2011
Samrat & Co, India, 2014
সালেহ তিয়াস এর রেকমেন্ডেশনে বহুদিন বাদে সাবটাইটেলে হিন্দী সিনেমা দেখা হল।
ডিটেক্টিভ স্টোরি – সম্রাট তিলকধারি বা এসটিডি হল দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা। নতুন এক কেস পেয়েছেন হাতে – বিশাল এক বাগানবাড়ির গাছগুলো মরে যাচ্ছে একে একে, ভূত দেখা যাচ্ছে সিসি ক্যামেরায় এবং বাড়ির মালিকও শুকিয়ে যাচ্ছেন গাছের মতই। কেস সলভ করতে গিয়ে সেই বাড়িতে পৌছানোর দিন কয়েক বাদেই জন্মদিনে মারা পড়লেন বাড়িওয়ালা, হত্যার দায়ে গ্রেফতার হলেন বখে যাওয়া ছেলে। কিন্তু সম্রাট নিশ্চিত – চোখে যা দেখা যাচ্ছে তাই সত্য নয়। সুতরাং সত্য সন্ধানে ঘটনার গভীরে ঢুকে গেল সে।
গল্প চলনসই। ডিটেক্টিভ স্টোরিতে হরর জনরার মিশেল মন্দ হয় নি। তবে এই ধরনের গল্পে দর্শকের জন্য দেখে যাওয়া ছাড়া আর কোন কাজ থাকে না। যে ডিটেকটিভ গল্পগুলো গোয়েন্দার পাশাপাশি দর্শকের জন্যও চিন্তা করার সুযোগ করে দেয়, সেই গল্পগুলো অপেক্ষাকৃত বেশী উপভোগ্য। সম্রাট অ্যান্ড কোং এ সেই সুযোগ নেই, গল্পকারের ইচ্ছেয় কাহিনী বিভিন্ন দিকে বাঁক নিয়েছে, ফলে শেষ পর্যন্ত অপরাধী কে সেটা বোঝার জন্য ছক্কা নিক্ষেপ ছাড়া দর্শকের জন্য উপায় থাকে না।
এই ছবির সবচে বড় দুর্বলতা হল – টিভি সিরিজ শার্লক এর শার্লক হোমসকে অনুকরনের চেষ্টা। শুরুর অংশে সম্রাটকে বেনেডিক্টের ভারতীয় সংস্করণ মনে হচ্ছিল। বক্সিং রিং এর দৃশ্য রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের শার্লক হোমসকে মনে করিয়ে দেয়। ভালো দিক হল, ছবির পরের দিকগুলোতে সম্রাট অনেকটাই নিজ রূপে ফিরতে সক্ষম হয়েছিল।
সবচে বাজে ভাঁড়ামো করেছে সম্রাটের ওয়াটসন সিডি। একটা সিনেমাকে নষ্ট করার জন্য এরকম একটা চরিত্র একাই একশ। ডিম্পল চরিত্রের কাজ সৌন্দর্য্য বিকিরণ ছাড়া আর কিছু ছিল না।
শার্লকের ভক্ত দর্শকের জন্য সম্রাট খুব আহামরী গোয়েন্দা না হলেও নিরপেক্ষ বিচারে ভারতীয় শার্লক ‘সম্রাট এন্ড কোং’ বেশ ভালো চলচ্চিত্র।
রেটিং: ৩.৫/৫
Hercules Reborn, USA, 2014
এইরকম ধরা আগে খাই নাই।
হারকিউলিস চরিত্রে দ্য রক অভিনয় করেছে এমন একটা ছবি আসছে, সেটা মুক্তির আগেই ট্রেলার দেখেছিলাম। মাঝে মধ্যে টাইম পাস করার জন্য হালকা কিছু সিনেমা দেখা হয়, সেই উদ্দেশ্যেই এই সিনেমাটা ডাউনলোডের চেষ্টা করেছিলাম। টেকনিক্যাল কোন সমস্যার কারণে ডাউনলোড হয় নি বলে রাতের বেলা ছোটবোন সিনেমা ডাউনলোড করে রাখলো। আজ দেখলাম।
পুরো যন্ত্রনাময় অভিজ্ঞতা। বাজে গল্প, ফালতু অভিনয়, অ্যাকশন দৃশ্যগুলোও সেরকম ফালতু। এইরকম বাজে জিনিস দেখার চেয়ে সাধারণ বাংলা সিনেমা দেখাও ভালো, তাতে এক্সপেক্টেশন বরং অনেক কম থাকে। সবচে বড় কথা – ট্রেলারের সাথে কোনই মিল পাচ্ছি না। কষ্টে মষ্টে সিনেমা দেখা শেষ করে তারপর ট্রেলার দেখলাম – আরেকটা বাংলাদেশী সিনেমা! পুরো সিনেমা আড়াই মিনিটে শেষ করেছে, সেই ট্রেলার দেখা হয়েছে ৬ লক্ষ বার।
এইবার আইএমডিবি-তে গেলাম। রেটিং মাত্র ৪.২। এবং এই সিনেমার নাম Hercules Reborn।
রেটিং: ২/৫
The Salvation, Denmark, 2014
ক্যাসিনো রয়্যাল নয়, ম্যাড মিকলসনকে আমার পছন্দ তার ‘দ্য হান্ট’ চলচ্চিত্রের কারণে। অন্যদিকে, ওয়েস্টার্ণ ঘরানার সিনেমা খুবই আকর্ষণ করে। ফলে, ম্যাড মিকলসনকে যখন ওয়েস্টার্ণ সিনেমা ‘দ্য স্যালভেশন’ এ পাওয়া গেল, তখন দেখার লোভ সামলানো গেল না।
নাম যা প্রকাশ করে, এক ঘন্টা আটাশ মিনিটের রিভেঞ্জ সিনেমা দ্য স্যালভেশন ঠিক তাই। স্ত্রী পুত্রকে হত্যা করে কুখ্যাত গ্যাং লিডার ডালরু’র ভাই, ছেড়ে দেয় না জনও – খুঁজে বের করে প্রতিশোধ নেয়। কিন্তু শান্তিপ্রিয় শহরবাসী ডালরু’র ক্রোধ থেকে বাঁচতে ধরিয়ে দেয় জনকে। তারপর জন কিভাবে ডালরু’র গ্যাংকে গুড়িয়ে দেয় তার গল্প স্যালভেশন।
কাহিনী বড্ড গতানুগতিক – ক্যানভাসটিও বড্ড ছোট। এরকম সাধারণ গল্পে মিকলসন যে কেন অভিনয় করলো বুঝে আসে না। রং এবং সিনেমাটোগ্রাফি চমৎকার, অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দুর্দান্ত না হলেও হতাশ করবে না। ক্ষুরধার চোখের অধিকারিনী ইভা গ্রীন অভিনয় করেছেন – একটিমাত্রও সংলাপ না বলে।
রেকমেন্ডেড নয়, তবে দেড় ঘন্টার বিনোদনের জন্য যথেষ্ট।
রেটিং: ৪/৫
সেপ্টেম্বর ২০১৪
Max Payne, USA, 2008
ম্যাক্স পেইন আমার অন্যতম ফেবারিট কম্পিউটার গেম। দুটো পর্ব খেলেছিলাম। গেম
থেকে সিনেমা নির্মিত হয়েছে জেনেছিলাম আগেই। ইচ্ছে করেই দেখা হয় নি বহুকাল।
একদমই টাইম পাস করার আগ্রহে দেখলাম ছবিটি। গেমসের অনেকগুলো জায়গা
সুন্দরভাবে তুলে এনেছে সিনেমায়। মনে রাখার মত কোন সিনেমা নয়, তবে দেখে সময়
ভালো কাটে।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Client, Korea, 2011
বাসায় ফিরে এক ভদ্রলোক দেখলেন তার স্ত্রী যিনি খুব সম্প্রতি ডিভোর্সের
আবেদন করেছেন তিনি বিছানায় এক সাগর রক্তের মধ্যে ডুবে রয়েছেন, ঘরভর্তি
পুলিশ। ঘরে ফেরা মাত্র পুলিশ তাকেই গ্রেপ্তার করল। ভদ্রলোক সাহায্য চাইলেন
একজন ল-ইয়ারের। ভদ্রলোককে উদ্ধার করার কাহিনী নিয়েই সিনেমার গল্প।
এই সিনেমাকে কোর্টরুম ড্রামা বলার চেয়ে পুলিশ প্রসিডিউরাল সিনেমা হিসেবে বলা যায়। দুর্দান্ত মিষ্ট্রি সিনেমা। রেকমেন্ডেড!
রেটিং: ৪.৫/৫
The Silence, Germany, 2010
এপ্রিল ২০১৪
Hero, China, 2002
দুই হাজার বছর আগের কাহিনী, যখন বিভক্ত চীনে কিন সম্রাট অন্যান্য রাজ্যগুলো
দখল করে নিয়ে অবিভক্ত চীন তৈরীর চেষ্টায় রত ছিলেন। তলোয়ার যুদ্ধে অসাধারণ
নৈপুণ্যের অধিকারী এক যোদ্ধা কিন সম্রাটের কাছে সেরা তিনজন গুপ্তঘাতককে
হত্যা করার গল্প বলে, আমরা দর্শকরা সেই গল্পের ভিজ্যুয়াল দেখি। ২০০২ সাল
পর্যন্ত চীনের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সবচে ব্যয়বহুল এবং সবচে উপার্জনকারী
সিনেমা।
চায়নীজ মার্শাল আর্টের সিনেমাগুলোয় তলোয়ার লড়াইয়ের দৃশ্যগুলো আমার কাছে কেমন হাস্যকর লাগে। উড়ে উড়ে যুদ্ধ করে তারা। ক্রচিং টাইগার, হিডেন ড্রাগন সিনেমায়ও একই ঘটনা। আমি জানি না, ইতিহাসে এর সত্যতা কতটুকু। সম্ভবত সে সময় যোদ্ধারা এতটাই দক্ষ ছিল এবং সাধনার বিনিময়ে নিজেদের এমন স্তরে নিয়ে গিয়েছিল যে বর্তমানে অসম্ভব ঘটনাবলীকে সে সময় সম্ভবপর করেছিল।
হিরো সিনেমায় ফটোগ্রাফি, সেট, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর দুর্দান্ত। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল – হিরো সিনেমায় চায়নিজ সংস্কৃতি দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে – আমাদের বাংলাদেশীদের শেখার প্রয়োজন আছে।
তলোয়ার যোদ্ধার চরিত্রে জেট লি অভিনয় করেছে। অন্যদের মধ্যে ডনি ইয়েন (মুভি: ইপ মান), টনি লিয়াং চিউ (মুভি: দ্য গ্রান্ডমাস্টার) ছিলেন। সিনেমার পরিচালকের নাম ঝ্যাং ইমো।
আই রেকমেন্ড।
রেটিং: ৫/৫
A History of Violence, USA, 2005
দুজন ডাকাত টম স্টলের রেস্টুরেন্টে ঝামেলা পাকাচ্ছিল, আত্মরক্ষার্থে তাদেরই
পিস্তলের গুলিতে টম তাদেরকে মেরে ফেলে এবং হিরো বনে যায়। কিন্তু কালো চশমা
পড়া একজন এসে তাকে ভিন্ন নামের এক ব্যক্তি হিসেবে দাবী করে। টম অস্বীকার
করলেও তার পিছু ছাড়ে না ওরা। সত্যিটা কি?
ছোট্ট কিন্তু দুর্দান্ত গল্পের এক সিনেমা আ হিস্ট্রি অব ভায়োলেন্স। সিনেমার পরিচালক ডেভিট ক্রোনিনবার্গ, তার পরিচালনায় আছে ইস্টার্ণ প্রমিসেস, দ্য ফ্লাই-য়ের মত চলচ্চিত্র। গল্প, বলার ঢং, অভিনয় এবং নির্মান – আমি বেশ ভালোভাবে প্রভাবিত।
আমার দৃষ্টিতে – মাস্ট সি মুভি।
রেটিং: ৫/৫
The Grandmaster, Korea, 2013
মার্শাল আর্ট গুরু ইপ মানের জীবন নিয়ে আরও একটা সিনেমা। এর আগে ডনি ইয়েন অভিনীত ইপ মান সিনেমার দুটো পর্ব দেখেছিলাম। ওগুলা জাতীয়তাবাদী সিনেমা, দেশকে অন্য দেশের তুলনায় বড় করে তুলে ধরা হয়েছে। দ্য গ্রান্ডমাস্টার সে দিক থেকে ভিন্নতর। ইপ-মানের মার্শাল আর্ট কৌশল নয়, বরং তার এক প্রেমিকার সাথে সম্পর্ককে তুলে ধরা হয়েছে, পাশাপাশি তার জীবনের সংক্ষিপ্ত চিত্রও।
এই সিনেমার পরিচালক ওং কার ওয়াই, জেনেছি সিনেমার শেষে ক্রেডিট টাইটেলে। এ ধরনের সিনেমা তার মত পরিচালক নির্মান করবে – ব্যাপারটা আমার জন্য একটু আশ্চর্যজনক, কিন্তু ক্রেডিটে তার নাম দেখে স্পষ্ট হল সিনেমার লাইটিং-ক্যামেরা মুভমেন্ট, মিউজিক এবং অ্যাকশন ইফেক্টের বিভিন্ন দৃশ্যগুলোর মাজেজা। অ্যাকশন দৃশ্যগুলোকে অ্যাকশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে শৈল্পিক রূপ দিয়েছেন ওং কার ওয়াই। তার অন্যান্য সিনেমার সাথে সঙ্গতিপূর্ন ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এবং রং – খোব জোরালোভাবেই তাকে সিনেমায় তুলে ধরেছে।
এই সিনেমাতেও ব্রুস লি এসেছেন – একদম শেষ দিকে। তবে সিনেমার চরিত্র হিসেবে নয়, শিক্ষার্থী হিসেবে। ইপ মানকে নিয়ে আমার দেখা তিনটি সিনেমাতেই ব্রুস লি আগমনের পূর্বেই তার কাহিনীর সমাপ্তি ঘটেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে ইপ মান এবং ব্রুস লি-র সম্পর্ক এবং ঘটনাবলী নিয়ে নির্মিত কোন সিনেমা দেখার সুযোগ হবে।
ওং কার ওয়াই-য়ের কাজের সাথে পরিচয় থাকলে দ্য গ্রান্ডমাস্টার ভালো লাগবে, ডনি ইয়েন অভিনীত ইপ মান সিনেমার সাথে মিল খুঁজতে গেলে পছন্দ হবে না।
রেটিং: ৫/৫
Colombiana, USA, 2011
কলম্বিয়ানা সিনেমা দেখার প্রধান উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশী সিনেমা অগ্নি কি
পরিমান নকল করেছে তা যাচাই করা। অগ্নি মুক্তির পর যতটুকু শুনেছিলাম সে
তুলনায় হতাশ হতে হল।
কলম্বিয়ানাও রিভেঞ্জ মুভি, ক্যাটালিয়া নামের এক মেয়ের বাবা-মা’কে হত্যা করা হয় ছোটবেলায়। বড় হয়ে সে প্রতিশোধ গ্রহণ করে – একে একে সবাইকে হত্যা করে। ছোটবেলার ঘটনাটুকু প্রায় হুবহু কপি-পেস্ট করা হয়েছে অগ্নি সিনেমায়, বাকীটুকু কোথা থেকে সে জানি না। তাছাড়া, অগ্নি সিনেমার ফর্ম নন-ন্যারেটিভ, কলম্বিয়ানা ন্যারেটিভ সিনেমা।
অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দারুন। অন্যান্য অ্যাকশন মুভির মত এখানেও ব্যাখ্যাতীত অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে নির্মান ভালো। সিনেমার স্টোরিরাইটার এবং প্রোডিউসার লুক বেসো – লিও: দ্য প্রফেশনাল সিনেমার জন্য যিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। ভালো টাইম পাস মুভি – এন্টারটেইনিং।
রেটিং: ৪/৫
The Keeper of Lost Causes, Denmark, 2013
ডেনমার্কের সিনেমা, ক্রাইম মিস্ট্রি থ্রিলার। গোমড়ামুখী এক হোমিসাইট পুলিশ ইন্সপেক্টর কার্লকে তার ডিপার্টমেন্ট থেকে সরিয়ে বিশ বছরের পুরানো অমিমাংসীত কেসগুলোর সর্টিং এর কাজ দেয়া হয়, সহকারী মুসলিম আসাদ। সর্টিং নয়, বরং পাঁচ বছর আগে ফেরী থেকে উধাও হয়ে যাওয়া এক নারী রাজনীতিকের কেসকে জীবন্ত করে তোলে তারা।
ছবিতে মেদ বলতে কিছু তো নেই, বরং অনেক কিছু ঢোকানোর সুযোগ থাকলেও বাদ দেয়া হয়েছে। স্টোরি টেলিং ভালো লেগেছে – গোয়েন্দাদের পাশাপাশি পরিচালকের দৃষ্টিতে একটু একটু করে পুরো ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। কার্লের চরিত্রটাও পছন্দ হয়েছে। এ ধরনের ডার্ক এবং আন-ইন্টারেস্টিং চরিত্র নিয়ে খুব বেশী সিনেমা দেখা হয় নি।
রেটিং: ৪/৫
Miracle in Cell No.7, South Korea, 2013
মানসিকভাবে অসুস্থ্য এক বাবা এবং তার ছয় বছর বয়সী কন্যার সম্পর্ক নিয়ে
দক্ষিন কোরিয়ার এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত। বাবা লি ঘটনাচক্রে পুলিশ কমিশনারের
শিশুকন্যা হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত হয়ে জেলে গমন করে এবং নানা ঘটনাপ্রবাহে
কন্যা ইয়ে সাং-ও সাত নাম্বার সেলে বাবার সাথী হয়। তাদেরকে কেন্দ্র করে সাত
নাম্বার সেলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে ছবিতে।
চমৎকার চেহারার পিচ্চি মেয়ে ইয়ে সাং এর অভিনয় বেশ আকর্ষনীয়। বাবা লি-এর অভিনয় সবসময় সত্য ছিল না। কোরিয়ান সিনেমার আলাদা একটা স্টাইল আছে, কিন্তু এই ছবির মধ্যে আমি ভারতীয় উপমহাদেশের সিনেমার ‘অনর্থক লম্বা করার’ ব্যাপারটা খুঁজে পেয়েছি। শন পেন অভিনীত ‘আই অ্যাম স্যাম’ সিনেমাটি দেখে ভালো লাগলে এই ছবিটিও ভালো লাগবে আশা করি। আর হ্যা, টিস্যুবক্স সাথে নিয়ে বসার পরামর্শ দেয়া হল।
রেটিং: ৪/৫
মার্চ ২০১৪
Out of the Furnace, USA, 2013
আউট অব ফার্ণেস ছবিটি প্রোডিউস করেছেন দুজন বিখ্যাত মানুষ – রিডলি স্কট এবং
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। অভিনয় করেছে আরেক বিখ্যাত অভিনেতা ক্রিশ্চিয়ান
বেল, সাথে তার ভাই চরিত্রে সেজি অ্যাফ্লেক। এছাড়া আছে ড্যানিয়েল ডিফো,
ফরেস্ট হুইটেকার, উডি হ্যারেলসন।
গল্পটা দারিদ্রক্লিষ্ট একটি পরিবার বা দুই ভাইয়ের। বড় ভাই কারখানার শ্রমিক,
সাধারণ জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত। ছোট ভাই ইরাক যুদ্ধ ফেরত, জীবিকার্জনের
জন্য স্ট্রিট ফাইটে অংশগ্রহন করে এবং একসময় বড় বিপদের সম্মুখীন হয়। আপাত
নিরীহ বড় ভাই রাসেল (বেল) তখন সামনের দিকে এগিয়ে আসে ভিন্ন এক রূপ নিয়ে।
গল্পটা থ্রিলার ঘরানার। গল্পের সাথে মিলিয়ে পুরো ছবি জুড়ে রয়েছে রুক্ষতার
বিভিন্ন রূপ – লোকেশনে, বর্ণে, পোশাকে, চরিত্রে, সংলাপে। ফলে গল্পের সাথে
মিশে গিয়ে সিনেমা উপভোগ করা সহজতর হয়। স্টোরিটেলিং এতই চমৎকার যে
ক্রিশ্চিয়ান বেলের মানসিক অবস্থা অনুভব করা সম্ভব হয় – তার ক্রোধ দর্শকের
ভেতরেও সংক্রমিত হয়। তবে ছবির পোস্টার দেখে এক্সপেক্টেশন তৈরী হতে পারে,
সেক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
রেটিং: ৪/৫
The Hobbit: An Unexpected Journey, USA, 2012
মন মেজাজ ভালো না, অস্থিরতায় অাক্রান্ত, ঠান্ডা হতে ডুব দিতে চাই, আর ডুব
দেয়ার জন্য পিটার জ্যাকসনের এপিক মুভি খুব ভালো বিকল্প। লর্ড অব দ্য রিংস
সিনেমার চরিত্র হবিটকে কেন্দ্র করে নতুন অভিযানের গল্প নিয়ে দ্য হবিট
সিরিজ। হবিট চরিত্রে অভিনয় করেছেন শার্লক সিরিজের ওয়াটসন সাহেব।
এই ধরনের চলচ্চিত্রগুলোয় যা থাকে – চমৎকার সব লোকেশনে শ্যুটিং, অসাধারণ ব্যকগ্রাউন্ড স্কোর, বিভৎস সব সিজি ক্যারেক্টার আর সেইরকম সব অ্যাকশন দৃশ্যাবলী – সবই আছে এই ছবিতে। খুবই এন্টারটেইন্ড।
রেটিং: ৫/৫
The Hobbit: The Desolation of Smaug, USA, 2013
এই ছবিটা দেখতে শুরু করার আগেই জানতাম সিরিজের তৃতীয় পর্ব মুক্তি পায় নি
এখনো, কিন্তু প্রথম পর্ব দেখার পর আর অপেক্ষা করতে আগ্রহ হল না। দ্বিতীয়
পর্ব দেখে ফেললাম। বি-শা-ল এক ড্রাগনকে হত্যার জন্য হবিট সহ পুরো দলের
যাত্রা। এই পর্বে ড্রাগন পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব হয়েছে। নেক্সট পর্বে ড্রাগন
হত্যা হবে, তবে সেই পর্ব কবে মুক্তি পাবে আর কবে দেখবো কে জানে।
রেটিং: ৪.৫/৫
300: The rise of an empire, USA, 2014
এপিক সিনেমা দেখার রোগে পেয়েছিল, তাই থ্রি হান্ড্রেড এর সেকেন্ড পর্ব দেখে
ফেললাম। থ্রি হান্ড্রেড সিনেমার যে নির্মান বৈশিষ্ট্য তা এখানেও আছে – রং,
অ্যাকশন ইত্যাদিতে। বাড়তি আকর্ষন হিসেবে আছে ইভা গ্রীন। চমৎকার কালো চোখের
অধিকারিনী এই মহিলা কিংডম অব হ্যাভেন ছবির মত এখানেও চমৎকার সেজেছেন –
মোহিত!
রেটিং: ৪/৫
The Thieves, Korea, 2012
বড় আকারে দান মারার উদ্দেশ্যে ভিন্ন ভিন্ন চোরের দল একত্রিত হয় – কিন্তু
প্রায় সকলেই সকলকে চিনে বলে প্রত্যেকের পুরানো ঘটনাবলী বর্তমান সময়কে বেশ
প্রভাবিত করে। একত্রিত হয়ে চুরিই শুধু নয়, একে অপরকে কিভাবে ঠকিয়ে
স্বার্থলাভ করবে সেই চেষ্টাও আছে সকলের মধ্যে।
স্টোরি টেলিং চমৎকার, গল্পটাও খুব কমপ্লেক্স। এই ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যে নতুনত্বের দেখা পাওয়া গেল।
রেটিং: ৪/৫
Wyatt Earp, USA, 1994
ওয়াইট আর্প সিনেমাটি পাঁচটি ক্যাটাগরীতে রেজ্জি অ্যাওয়ার্ড নমিনেশন পেয়েছিল – সবচে বাজে ছবি, সবচে বাজে পরিচালক, সবচে বাজে অভিনেতা, সবচে বাজে রিমেক/সিক্যুয়েল এবং পর্দায় সবচে বাজে জুটি। পাঁচটির মধ্যে দুটি ক্যাটাগরীতে রেজি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে ছবিটি – সবচে বাজে অভিনেতা এবং সবচে বাজে রিমেক/সিক্যুয়েল। ব্লগ লিখেছি।
রেটিং: ৪/৫
Running Man, Korea, 2013
কোরিয়ান অ্যাকশন সিনেমা। একজন খুবই সাধারণ মানুষ যে পেশায় একজন ড্রাইভার
ঘটনাচক্রে একটি হত্যাকান্ডের প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত হয়। তাকে
ধরার জন্য বিভিন্ন দল ধাওয়া করে। অনেকটা বোকাসোকা এই লোকটির সাহায্যে এগিয়ে
আসে তার একমাত্র ছেলে যে বাবার জীবন যাপন পদ্ধতি নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট।
সিনেমার গল্পে গতি দুর্দান্ত। প্রায় পুরো সিনেমাটাই চেজিং – অ্যাকশন দৃশ্যগুলো চমৎকার উপস্থাপিত। এন্টারটেইনিং।
রেটিং: ৪/৫
ফেব্রুয়ারী ২০১৪
The Body, Spain, 2012
দ্যা বডি স্প্যানিশ চলচ্চিত্র। একই সিনেমার মধ্যে মিস্ট্রি, হরর, থ্রিলার,
রোমান্স এর সমন্বয় ঘটানো হয়েছে বলে এই ছবিকে ঠিক কোন জনরার বলবো নিশ্চিত
হতে পারি না। মিস্ট্রি বা ডিটেকটিভ স্টোরি বেশী স্যুটেবল।
মর্গ থেকে এক মহিলার লাশ উধাও হয়ে যাওয়ায় তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য
নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। বিভিন্ন ঘটনাবলী একেক সময় একেক দিকে ইঙ্গিত করে –
রহস্য ঘণীভূত হয়। টুইস্টে ভরপুর স্টোরি, তবে শেষ পর্যন্ত তা কতটুকু
গ্রহণযোগ্য হবে তা দর্শকের উপর নির্ভর করবে। রোটেন টমাট্যোস এই ছবির
বর্ণনায় লিখেছে – A heady mix of classic noir, blood-chilling horror and
high suspense … ভুল বলে নি!
রেটিং: ৫/৫
দত্ত ভার্সেস দত্ত, ভারত, ২০১২
এ বছরের প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র। অঞ্জন দত্তের চলচ্চিত্রের প্রতি আলাদা
পক্ষপাতিত্ব আছে। গত বছরের বেশ আলোচনা শুনেছিলাম এই ছবির। ছবির গল্প ১৯৭২
সালের। কোলকাতায় তখন নকশাল আন্দোলনের চূড়ান্ত সময় – সেই সময়ে কৈশোরের শেষ
প্রান্তে পৌছানো এক দত্ত এবং তার বাবা দত্তের সম্পর্কের উছিলায় রাজনীতি,
ধর্ম আর জীবন দর্শনকে তুলে ধরেছেন অঞ্জন দত্ত। গল্পের শেষটা যেভাবে
টেনেছেন, তাতে দত্ত ভার্সেস দত্ত অটোবায়োগ্রাফি বলে মনে হতে পারে, আবার
গল্পের বাকীটা অঞ্জন দত্তের গল্প হিসেবে গ্রহণ করতে উৎসাহিত করে না। ছবির
শুরুতে যদিও ‘সকল ঘটনা-চরিত্র কাল্পনিক’ ঘোষনা দেয়া আছে, পত্র-পত্রিকা
অবশ্য বলে ওই ছবিতে অঞ্জন দত্তের গল্প আছে, গল্পের মাঝে অঞ্জন দত্ত আছেন –
বোধহয় এটাই অঞ্জনের সফলতা।
অঞ্জনের বাকী সব সিনেমার মত এখানেও নীল দত্তের চমৎকার স্কোর, ১৯৭২ সালের
চিত্রায়নে ফটোগ্রাফি দারুন, লোকেশন বাছাইয়ে সফলতা কিন্তু পোষাক নির্বাচন
নিয়ে অন্তরে খুঁতখুতানি থেকে যায়। চমৎকার চলচ্চিত্র নিঃসন্দেহে – কেউ কেউ
যদিও অঞ্জনের সেরা চলচ্চিত্র বলে দাবী করেছেন – এখনই সেই সিদ্ধান্তে পৌছাতে
পারলাম না।
রেটিং: ৫/৫
দ্য বং কানেকশন, ভারত, ২০০৬
এ বছর দেখা দ্বিতীয় ভারতীয় সিনেমা, এটাও অঞ্জন দত্তের পরিচালনায় সিনেমা।
সিনেমার প্রেক্ষাপট বর্তমান, স্থান কোলকাতা এবং আমেরিকার বাঙ্গালি কমিউনিটি
কিন্তু ভাষা ইংরেজি। সিনেমার বিষয় হল – বাঙ্গালিত্বের টানাপোড়েন। একই দিনে
কোলকাতা থেকে অপু রওয়ানা হয় আমেরিকার উদ্দেশ্যে আর আমেরিকা থেকে অ্যান্ডি
এসে নামে কোলকাতায়। দুজনেই তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে স্থান পরিবর্তন করে –
স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথের বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে বাঙ্গালিত্বের বিভিন্ন
দিককে তুলে ধরেছেন অঞ্জন দত্ত।
ভেরী গুড ফিল্ম।
রেটিং: ৪.৫/৫
Premium Rush, USA, 2012
সারাবিশ্বের সাইক্লিস্টদের টার্গেট করে সিনেমাটা নির্মান করা হয়েছে সম্ভবত।
পুরো গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে সাইক্লিং। হিরো সাইক্লিস্ট, হিরোইন
সাইক্লিস্ট, ভিলেন অবশ্য গাড়িওয়ালা, পুলিশ সাইক্লিস্ট, অ্যান্টিহিরো
সাইক্লিস্ট। উইলি নামের সাইক্লিস্ট কুরিয়ার বয়ের কাছ থেকে একটি
গুরুত্বপূর্ণ ডকিউমেন্ট ছিনিয়ে নিতে চায় ববি মান্ডে। পুরো শহর জুড়ে
ছুটোছুটি – চেজিং। সাইক্লিস্টরা যে অবশ্যই পছন্দ করবে কোন সন্দেহ নেই। টাইম
পাস মুভি। এন্টারটেইনিং। সাইক্লিংকে প্রমোট করার জন্য এ ধরনের মুভির
বিকল্প নেই।
রেটিং: ৩.৫/৫
অগ্নি, বাংলাদেশ, ২০১৪
থাইল্যান্ডের স্মার্ট সুদর্শন যুবক ড্রাগনের মা থাই হলেও বাবা বাংলাদেশী কিন্তু পৃথিবীতে তার একমাত্র আপনজন কাবিলা মামা একজন সিলেটি বাংলাদেশী! পরপর তিন বছর কিক বক্সিং-এ চ্যাম্পিয়ন ড্রাগনের মুষ্টিযুদ্ধ দেখা না গেলেও কয়েক দফা ট্র্যাক-রেস দেখা গেল যার সবক’টিতেই সে পরাজিত। সব ধরনের অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষিত চৌকষ জোয়ান ড্রাগন যখন তখন তার ‘মেশিন’ বের করলেও হত্যাকারীকে তাড়া করার সময় পিস্তলের মুখ নয়, গর্জে ওঠে তার নিজের মুখ, উদগীরন করে – ‘স্টপ!’ চিৎকার।
বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘অগ্নি’র রিভিউ পড়ুন – দারাশিকো ডট কমে।
Perfect Number, Korea, 2012
কোরিয়ার এই ছবিটা একটু ভিন্ন ধাঁচের। মিস্ট্রি এবং ড্রামা – এই দুই
জনরাভুক্ত হলেও পুরোপুরি সেই বৈশিষ্ট্যকে অনুসরণ করে নি ছবিটি, সব শেষে একে
রোমান্টিক জনরাভুক্ত করার দিকেই আগ্রহ বোধ করেছি।
একজন জিনিয়াস ম্যাথমেটিশিয়ানের পাশের ফ্ল্যাটে সুন্দরী তরুণী এবং তার
ভাগ্নী থাকে। কোন এক রাতে সেই তরুণী তার বখাটে, সাবেক স্বামীকে
আত্মরক্ষার্থে খুন করে ফেলে। হত্যাকান্ডকে গোপন করার জন্য প্রচন্ড
অন্তর্মূখি তরুণ গনিতবিদ তাকে সাহায্য করতে থাকে। কিন্তু তদন্তের দায়িত্বে
যে তরুণ পুলিশ অফিসারটি সে গনিতবিদের বন্ধু এবং খুবই চৌকষ। কিন্তু এই সকল
ঘটনা মিলে ছবিতে যে গতি থাকা সম্ভব হত, তা পাওয়া যায় না, আবার টেনশনও
দীর্ঘস্থায়ী হয়।
গনিতবিদের চরিত্রটিও খুবই অনাকর্ষনীয়। সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় সিনেমার শেষ অংশ। ভালো সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
ফুল অ্যান্ড ফাইনাল, বাংলাদেশ, ২০১৩
ম্যাগনাম থার্টি-টু রিভলবার, আমার বন্ধু! গুলি করার পর বুলেটের খোসাগুলো ভিতরেই থাকে, বাইরে ছড়িয়ে পড়ে না। তাই হত্যাকারী শনাক্ত হওয়ার ভয় থাকে কম। যে কোন আততায়ীর জন্য সবচে গুরুত্বপূর্ণ হল তার শিকারকে ভালোভাবে জানা ও বোঝা। তারপর শিকারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে – মাকড়সার মত!”
রোমিও-র ডায়লগ। দুই তিনবার অ্যাটেম্পট নিয়েও গত বছরে মুক্তি পাওয়া বাংলা সিনেমা ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’ দেখতে পারি নি। পরিচালক মালেক আফসারী, শাকিব খান এবং ববি অভিনীত। কোরিয়ান সিনেমা ‘ডেইজি’র নকল জেনেই সিনেমাটা দেখার আগ্রহ ছিল। হলে দেখতে পারি নি, কিন্তু সার্ভারে ভিডিও সিনেমা পাওয়া গেল গতকালকে। দেখতে শুরু করেছি – চল্লিশ মিনিটের মত দেখা হয়েছে – ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, লোকেশন, ডায়লগ, অ্যাকশন, গান সব মিলিয়ে – দুর্দান্ত সিনেমা!
সিনেমার নাম ফুল অ্যান্ড ফাইনাল। ব্লগে বিস্তারিত।
রেটিং: ৪.৫/৫
Knockin’ on Heaven’s Door, Germany, 1997
গান্স অ্যান্ড রোজেস ব্যান্ডের নকিং অন হ্যাভেন্স ডোর গানটা প্রথম শোনা হয়।
মূল গানটা বব ডিলানের, সিনেমার টাইটেলটা সেই গান থেকে নেয়া হয়েছে এবং
থিমটা টাইটেলের সাথে সামঞ্জস্যশীল।
ব্রেস্ট এবং রুডি নামে দুজন একই হাসপাতালে টেস্ট করার পর জানতে পারে –
দুজনেরই ক্যান্সার, বেঁচে থাকা কেবল হাতে গোনা কয়েকদিন। মহাসাগর দেখা হয় নি
রুডির, মৃত্যুর আগে দুজনে মিলে মহাসাগর দেখার জন্য হাসপাতাল থেকে পালায়।
ঘটনাচক্রে, এক মাফিয়া লিডারের গাড়ি এবং টাকা তাদের মালিকানায় চলে আসে।
পুলিশ, মাফিয়া ইত্যাদির বেড়াজাল থেকে ব্রেস্ট-রুডির বের হয়ে আসা নিয়ে
সিনেমার গল্প।
ক্রাইম-কমেডি ধারার সিনেমা। অল্প কটা চরিত্র – সবার কাজকর্মই মজাদার।
কিন্তু হাসির মাঝেও একটা গোপন কষ্ট বেঁধে বুকে – কারণ চরিত্রদুটো মরে
যাওয়ার আগে স্বপ্ন পূরণ করতে ছুটছে – শীঘ্রই মৃত্যু আসবে। দুর্দান্ত কিছু
ফ্রেম আছে সিনেমায়, আর গোটা কয়েক সাউন্ডট্র্যাক। রুডি-ব্রেস্ট দুজন চরিত্রই
দারুন অভিনয় করেছে।
রেটিং: ৪/৫
জানুয়ারী ২০১৪
Despicable Me, USA, 2010
২০১৪ সালে দেখা প্রথম চলচ্চিত্র। মন রিফ্রেশ করার জন্য দেখা ছবি। ফ্যামিলি
টাইজকে মোটিভেট করে এই ছবি। আমোদিত। বেশ কয়েকবার হাসতে হয়েছে। মিনিয়নস কেন
এত জনপ্রিয় বোঝা গেল। চমৎকার ছবি।
রেটিং: ৫/৫
The Iceman, USA, 2013
টাইম ম্যাগাজিন বছরের সেরা দশ পারফরম্যান্সের তালিকায় এই ছবির প্রধান
চরিত্র রিচার্ড কুক্লিনস্কির অভিনেতা মাইকেল শ্যাননের নাম উল্লেখ করায় ছবি
দেখার আগ্রহ তৈরী হয়েছে। রিচার্ড একজন ভাড়াটে খুনী – গ্রেফতার হওয়ার আগ
পর্যন্ত তার পরিবারও জানত না তার এই পেশা সম্পর্কে। বলা হয় সে প্রায় একশ
খুন করেছিল। সত্যি ঘটনার উপর নির্মিত এই চলচ্চিত্রে গুরুত্ব পেয়েছে
পরিবারের কাছ থেকে গোপন করে রাখার বিষয়টি – পাশাপাশি তার এই জগতে প্রবেশ
এবং বের হওয়ার ঘটনাবলী। স্টোরি টেলিং ঠিক পছন্দ হয় নি। শ্যাননের এক্সপ্রেশন
দারুন, কিন্তু বয়সটা ঠিক যথোপযোগী ছিল না সম্ভবত।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Lone Ranger, USA, 2013
জনি ডেপ এবং আর্মি হ্যামার অভিনীত ওয়েস্টার্ণ ফিল্ম। ওয়াল্ট ডিজনী
প্রোডাকশন। লোন রেঞ্জার একজন মাস্ক পরিহিত ওয়েস্টারর্ন ক্যারেক্টার যার
সহযোগী একজন নেটিভ ইন্ডিয়ান এবং দুজনে মিলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে বেড়ায়।
এটা একটা ফিকশনাল চরিত্র। জনি ডেপ ইন্ডিয়ান চরিত্রে অভিনয় করেছে। হালকা
মুডের ছবি – জেনে শুনেই দেখতে বসেছিলাম। কিন্তু ছবিটা যে কমেডি ঘরানার সেটা
জানা থাকলে হয়তো দেখতাম না। ওয়েস্টার্ণ সিনেমার ক্ষেত্রে সিরিয়াস সিনেমাই
পছন্দ – কমেডি নয়। বাচ্চাদের ছবি – নিখাদ বিনোদনের জন্য দেখা যেতে পারে।
রেটিং: ৩/৫
Sherlock S03E01 The Empty Hearse, England, 2014
শার্লককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এই পর্বে। ফিরিয়ে আনার যে প্রভাব পড়ার কথা তার যথাযথ উপস্থাপন।
রেটিং: ৫/৫
Sherlock S03E01 The Sign of Three, England, 2014
জন ওয়াটসনের বিয়ে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানে একটি কেস সলভ। তূলনামূলকভাবে বেশী কমেডি। একটু বেশীই জটিল ছবি।
রেটিং: ৫/৫
Sherlock S03E01 His Last Vow, England, 2014
ব্ল্যাকমেইলিং কেসের সমাধান। সিজন ফোর যে আসছে তার ইঙ্গিত।
রেটিং: ৫/৫
The Hidden Face, Columbia, 2011
কলম্বিয়ার ছবি জেনে এই ছবিটি দেখা। এর আগে কলম্বিয়ান আর কোন ছবি দেখেছি
কিনা মনে করতে পারছি না। একজন স্প্যানিশ অর্কেষ্ট্রা কন্ডাকটর এর এক
গার্লফ্রেন্ড চলে যাওয়া/হারিয়ে যাওয়ার পরে নতুন একজন গার্লফ্রেন্ডের সাথে
রিলেশনশীপ শুরু এবং তার বাড়িতে নতুন গার্লফ্রেন্ডের অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতাকে
নিয়ে এই ছবির কাহিনী। ধাঁচটা হরর, থ্রিলার হলেও এই ছবির বিষয়বস্তু
ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে মানবমনের বিভিন্ন জটিল দিকের উপস্থাপন।
ছবির মিউজিক বেশী ভালো লাগল অন্য দিকগুলোর তুলনায়। চরিত্রের সংখ্যা খুব কম।
এবং বাজেটও বোধহয় বেশী ছিল না – খুব সিম্পল স্টাইলে নির্মান। ছবি দেখার পর
জানা গেল – বলিউডে মার্ডার থ্রি এই ছবির রিমেক। মার্ডার কোনটাই দেখা নেই,
তাই তুলনা করা গেল না।
রেটিং: ৪/৫
Rocky, USA, 1976
এই সিনেমাটি দেখা উচিত ছিল অনেক আগেই, কিন্তু সিলভেস্টার স্ট্যালোনের
সিনেমা বলেই আগ্রহ কম ছিল এবং ডাউনলোড করারও অনেকদিন পরে দেখা হল। রকি
বালবোয়া নামে ফিলাডেলফিয়ার এক বক্সার চরিত্রের উত্থান নিয়ে সিনেমার গল্প।
স্টোরি সিলেভস্টার স্ট্যালোনের, তিনিই প্রধান অভিনেতা। বক্সিং না, বরং একটা
খুব সাধারণ দরিদ্র আমেরিকানের জীবন এবং প্রেম-পারিবারিক সম্পর্ক গুরুত্ব
পেয়েছে এই ছবিতে।
সিনেমার নির্মান ইতিহাসও দারুন। সব মিলিয়ে এক মিলিয়ন ডলারের কিছু বেশী
ব্যয়ে নির্মিত এই ছবিটি ব্যবসা করেছিল ২৫৫ মিলিয়ন ডলার, তিনটে ক্যাটাগরীতে
অস্কার জিতে নিয়েছিল, নমিনেশন পেয়েছিল দশ ক্যাটাগরীতে। স্ট্যালোনের
প্রস্তুতি দৃশ্যের একটি ছিল ফিলাডেলফিয়া মিউজিয়াম অব আর্ট এ। পরবর্তীতে
সেখানে রকি বালবোয়া’র একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। আরও বিস্তারিত জানার
জন্য উইকিপিডিয়া দেখা যেতে পারে।
রেটিং: ৫/৫
ডিসেম্বর ২০১৩
Donnie Brasco, USA, 1997
পরিচয় লুকিয়ে মাফিয়ার একটি দলে ঢুকে পড়ে একজন এফবিআই এজেন্ট। মাফিয়ার একজন
লিডারের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে এই মুভি। সত্য ঘটনার উপর নির্মিত মুভি। জনি
ডেপ এবং আল পাচিনো অভিনীত চলচ্চিত্র।
রেটিং: ৫/৫
The Boondock Saints, USA, 1999
টাইম পাস মুভি। দুই ভাই, পাদ্রী – অন্যায়ের মূলোৎপাটন করতে গিয়ে অস্ত্র
হাতে তুলে নেয়, দলে দলে লোক মারে। আর একজন পুলিশ ডিটেকটিভ ঘটনাস্থলে
উপস্থিত হয়ে ঘটনা বিশ্লেষন করে, তাদের খুজে বেড়ায়। দুজনই জোড়া বেরেটা
ব্যবহার করে শুনে সিনেমাটা দেখা। গল্পের প্রেজেন্টেশন চমৎকার।
রেটিং: ৩.৫/৫
Loft, Belgium, 2008
একটা অ্যাপার্টমেন্ট (বিশেষ ধরনের অ্যাপার্টমেন্ট, Loft বলে) এর পাঁচটা
চাবি পাঁচ বন্ধুর কাছে। তারা তাদের স্ত্রীকে লুকিয়ে গোপন সম্পর্ক বজায়
রাখতে এই অ্যাপার্টমেন্ট ব্যবহার করে। একদিন সেই অ্যাপার্টমেন্টে একটা মেয়ে
খুন হয়ে যায়। একটু একটু করে সেই খুনের কাহিনী জানা যায়। খুবই টুইস্টিং
স্টোরিটেলিং। থুব সাধারণ শুরু থেকে জটিল শেষের দিকে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি
দেখার জন্য গুড ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
Polytechnique, Canada, 2009
কানাডার এক পলিটেকনিকে একজন ছাত্র অটোমেটিক মেশিনগান নিয়ে ঢুকে পড়ে, নির্বিচারে গুলি করে মারে মেয়েদের। সত্যি ঘটনার উপর নির্মিত এই ছবিতে পরিচালক একজন খুনী, একজন আক্রান্ত নারী এবং একজন পুরুষের দৃষ্টিকোন থেকে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন, কোন রকম পক্ষপাত ছাড়াই। চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি। একই ধরনের দুটো চলচ্চিত্র নিয়ে একটি ব্লগ লিখেছি।
রেটিং: ৫/৫
Cold Eyes, Korea, 2013
হংকং এর সিনেমার রিমেক। এক সার্ভেইলন্যান্স টিম কর্তৃক ব্যাংক লুটেরা দলকে
কুপোকাত করার গল্প। চরম উত্তেজনার গল্প, অসাধারণ ক্যামেরা মুভমেন্ট।
প্রত্যেকটা মিনিট উপভোগ্য।
রেটিং: ৫/৫
Most People Live in China, Norway, 2002
কিছু কিছু চলচ্চিত্র মাথার উপর দিয়ে যায় – এটি একটি। একটি ফিলিং স্টেশনকে
কেন্দ্র করে অনেকগুলো টুকরো টুকরো ঘটনার সম্মিলনে এই সিনেমা। ঘটনাগুলো
প্রায় সবই কমেডি, কিন্তু একের সাথে অন্যের সুতো যোগ করতে পারি নাই।
রেটিং: যা বুঝি নাই তার রেটিং কিভাবে দেই?
To The Wonder, USA, 2012
টেরেন্স মালিকের আরও দুটো ছবি দেখেছিলাম। এক, ট্রি অব লাইফ, ডেজ অব হ্যাভেন। দুটো ছবিতেই সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন লুবেজকি। দুজনে মিলে যে স্পিরিচুয়াল সিনেমা বানিয়েছে তা শুধু ‘এক্সপেরিয়েন্স’ করা যায়, বর্ণনা করা যায় না। দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি।
রেটিং: ৫/৫
The Curious Case of Benjamin Button, USA, 2008
একটু দেরীতেই দেখা হল। সে জন্ম নিয়েছে বৃদ্ধ অবস্থায়, তারপর প্রতিদিন একটু
একটু করে যুবক হয়েছে – ঘড়ির কাটা যেন উল্টোদিকে ঘুরছে। তার জীবনের মাধ্যমে
আমেরিকার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায়ের চিত্রন। আনডাউটেডলি – আ ভেরী
গুড পিস। ব্র্যাড পিট অভিনয় করেছে, পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার।
রেটিং: ৫/৫
অক্টোবর ২০১৩
Never Ending Story, South Korea, 2012
রোমান্টিক কমেডি, কিন্তু সিনেমার গল্পে এক চাপা কষ্ট জুড়ে আছে। দুজন
তরুণ-তরুণী হঠাৎই একত্রে আবিষ্কার করে – তারা দুজনেই ব্রেইন ক্যান্সারে
আক্রান্ত এবং খুব শীঘ্রই মৃত্যুবরণ করবে। মৃত্যুর আগের সময়টুকুকে নিজেদের
মত করে উ্পভোগ করার জন্য এই দুজনের কর্মকান্ড নিয়ে হাস্যরসাত্মক কমেডি
সিনেমা নেভার এন্ডিং স্টোরি। তৃপ্তিদায়ক সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
New World, South Korea, 2013
কোরিয়ার আন্ডারওয়ার্ল্ডে ছদ্মবেশী পুলিশ আর ক্ষমতার কাড়াকাড়িকে কেন্দ্র করে
নির্মিত নিউ ওয়ার্ল্ড দুর্দান্ত এক চলচ্চিত্র। খুবই মজবুত গল্পের গাঁথুনি,
সংলাপগুলো ইন্টারেস্টিং, গতিময় এবং চমৎকার সমাপনী – নিউ ওয়ার্ল্ডকে এক
অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
উইকিপিডিয়া বলছে – ছবিটির অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্যে হলিউডে রিমেক নির্মানের প্রক্রিয়া চলছে। মাস্ট সি মুভি।
রেটিং: ৫/৫
Gangster Lover, South Korea, 2010
Hearthbreak Library, South Korea, 2008
Seraphim Falls, USA, 2006
The Conjuring, USA, 2013
ইভটিজিং, বাংলাদেশ, ২০১৩
Confession of Murder, South Korea, 2012
I Saw the Devil, South Korea, 2010
The Berlin File, South Korea, 2013
আগস্ট ২০১৩
New World, Korea, 2013
Anger Management
My Wife is a Gangster
Open Range
Blow
State of Play
Hang’em High
Architecture 101
Never Ending Story
The Man Who Shot Liberty Velance
The Hunt
ভালোবাসা আজকাল, বাংলাদেশ, ২০১৩
অভিযান
Now You See Me
এপ্রিল ২০১৩
The Sniper, Korea, 2009
রেটিং: ৩/৫
Sharp Short Shock, Germany, 1999
রেটিং: ৪.৫
দেহরক্ষী, বাংলাদেশ, ২০১৩
রেটিং: ৩/৫
The Graduate, USA, 1967
রেটিং: ৫/৫
Maltese Falcon, USA, 1941
রেটিং: ৪/৫
Windstruck, Korea, 2004
রেটিং: ৪.৫/৫
Jack Reacher, USA, 2012
রেটিং: ৪/৫
Dances with Wolves, USA, 1990
রেটিং: ৫/৫
যেখানে ভূতের ভয়, ভারত, ২০১৩
সত্যজিত রায়ের দুটো গল্প এবং শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায়ের একটি গল্পের
সম্মিলনে যেখানে ভূতের ভয় সিনেমা তৈরী। খুব প্রশংসা শুনেছিলাম – ভেবেছিলাম
তিনটা গল্পের সমন্বয়ে একটি নতুন গল্পের সিনেমা দেখবো। হতাশ হয়েছি – কারণ
সিনেমাটি তিনটি হরর গল্পের একটি সংকলনে পরিণত হয়েছে মাত্র।
সঙ্গীত, গল্প, সিনেমাটোগ্রাফি, গুটিকয়েক বাদে বাকী সবার অভিনয় – চমৎকার ছবি।
রেটিং: ৩.৫/৫
মার্চ ২০১৩
Hearty Paws, Korea, 2007
এক ভাই, এক বোন আর এক কুকুর নিয়ে কাহিনী। কোরিয়ার সুখী দিকটা আমরা
চলচ্চিত্রে দেখি, প্রাচুর্য দেখি, স্বচ্ছলতা দেখি। এই ছবিতে দেখতে হবে
দারিদ্র্য। খুবই ইমশোনাল ছবি।
রেটিং: ৪.৫/৫
Chilling Romance, Korea, 2011
রোমান্টিক হরর ছবি। এক স্ট্রিট ম্যাজিশিয়ান আর তার প্রেমিকার গল্প।
প্রেমিকা একা থাকে কারণ সে মৃত মানুষদের দেখতে পায় – তার জীবন বিষন্নতায়
ভরপুর। এই বিষন্ন জীবনের সমাপ্তি কিভাবে হল সেই গল্প। দুজনে হাত ধরাধরি করে
বসে দেখার ছবি।
রেটিং: ৫/৫
Super 8, USA, 2010
সায়েন্স ফিকশন ছবি, একদল আর্লি টিনেজ ছেলে মেয়ে মুভি বানাতে গিয়ে
ক্যামেরায় ধারণ করে ফেলে অবিশ্বাস্য কিছু ছবি যেগুলো ফাঁস হয়ে গেলে বিপদ।
এন্টারটেইনিং মুভি।
রেটিং: ৪/৫
Head On, Germany, 2004
ফাতিহ আকিন সম্পর্কে আগ্রহ তৈরী হওয়ায় তার পরিচালিত ছবি দেখা শুরু করেছি।
তুর্কি জার্মান ছবির পরিচালক ফাতিহ আকিন। ছবিগুলো থেকে অনেক কিছু বোঝার
আছে, চিন্তা করার মত বিষয়ও আছে। ফাতিহ আকিন এবং তুর্কি জার্মান সিনেমা
সম্পর্কে একটা লেখা শুরু করে আটকে গেছি। শেষ করতে পারি নাই। এই ছবিটা নিয়ে
আলোচনা থাকবে সেখানে যদি শেষ করতে পারি।
রেটিং: ৪/৫
Soul Kitchen, Germany, 2009
এই ছবিটা রোমান্টিক কমেডি। হেড অনের তুলনায় বেশী ভালো না যদিও ছবিটা ভালো
ব্যবসা করেছিল। একটি রেস্টুরেন্টকে ঘিরে কার্যকলাপ। মন্দ নয়।
রেটিং: ৩.৫/৫
Secret, Taiwan, 2007
সম্ভবত তাইওয়ানের প্রথম ছবি দেখলাম। রোমান্টিক ছবি। পিয়ানোকে কেন্দ্র করে
নির্মিত ছবি। অভিনেতা পরিচালক ছেলেটি সত্যিকারেই একজন মিউজিশিয়ান। ফলে
ছবিতে মিউজিক বেশ গুরুত্বপূর্ণভাবে এসেছে। একটা পিয়ানো কন্টেস্ট আছে –
চমৎকার।
রেটিং: ৪/৫
You are the Apple of my Eye, Taiwan, 2011
তাইওয়ানের দ্বিতীয় রোমান্টিক ছবি। এই ছবিটা আসলেই চমৎকার, বেশ এনজয়েবল।
স্কুল জীবনে একদল ছেলে মেয়ে, একটি মেয়ের উপর কয়েকজনের ক্রাশ, বড় হয়ে
যাওয়ার পর আবার সাক্ষাত – এই গল্প। প্রচুর হাস্যরস, বেশ কিছু অদ্ভুত এবং
অশ্লীল অ্যাকটিভিটিস। দেখা যায়।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Edge of Heaven, Germany, 2007
ফাতিহ আকিনের ছবি। আমি বিউইল্ডারড এই ছবি দেখে। মাস্ট সি ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
Cinema Paradiso, Italy, 1988
শৈশবে টোটোর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল সিনেমা হলের প্রজেকশনিস্ট
আলফ্রেডোর। বয়সের তারতম্য সত্ত্বেও টোটোর জীবনে আলফ্রেডো দারুন ভূমিকা
পালন করে যায়। কাহিনীর শুরুতে আলফ্রেডোর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে টোটো তার
শৈশবের শহরে ফিরে যায়। ফ্ল্যাশব্যাকে তার শৈশব-কৈশোরের কাহিনী বলা হয়।
অসাধারণ এক গল্প, আর সেই সাথে ব্রিলিয়ান্ট সিনেমাটোগ্রাফি। মাস্টারপিস
মুভি, মাস্ট সি।
রেটিং: ৫/৫
কৈলাসে কেলেঙ্কারী, ভারত, ২০০৭
সত্যজিত রায়ের ফেলুদা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। দারুন সব লোকেশনের শ্যূটিং
হয়েছে। কৈলাসে যাবার আগ্রহ তৈরী করার জন্য এই একটি সিনেমাই যথেষ্ট।
রেটিং: ৫/৫
Argo, USA, 2012
ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংগঠিত হয়ে গেছে। আমেরিকান এমবেসির ছয়জন মানুষ
কানাডার এম্বেসিতে লুকিয়ে ছিলেন। তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য একজন এজেন্ট
ছদ্মবেশে ইরানে প্রবেশ করেন এবং উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। ছবির বহুল প্রশংসা
কিন্তু খুব বেশী পছন্দ করতে পারি নি। এত উত্তেজনাময় ছবি ছিল না, তবে
বাস্তব ঘটনার রিপ্রেজেন্টেশনে ভালো লাগবে।
রেটিং: ৪/৫
গোরস্থানে সাবধান, ভারত, ২০১০
এটাও সত্যজিত রায়ের ফেলুদা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। কোলকাতার পরিত্যক্ত
গোরস্থানে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে ফেলুদা রহস্যের সমাধানে
ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গোরস্থানটা দেখতে যাওয়ার আগ্রহ তৈরী হয়েছে সিনেমা
দেখে।
রেটিং: ৪/৫
Charlie Chaplin: The Circus, USA, 1928
চার্লি চ্যাপলিনের ট্র্যাম্প চরিত্রের আরেকটি সিনেমা। ভবঘুরে চার্লি কিভাবে
একটি সার্কাস দলের সদস্য হয়ে যায় এবং সেখানকার ঘটনাবলী নিয়ে সিনেমা।
চার্লির আর সব সিনেমার মতই বেশ বিনোদনময়ী সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
সীমানাহীন, বাংলাদেশ, ২০১৩
স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার যাত্রা শুরু হল এই সিনেমার মাধ্যমে, সিনেমা দেখিয়েছেন ওয়াহিদ সুজন ভাই, দর্শক ছিলাম মোট চারজন।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের দ্বারা এবং নিয়ে নির্মিত সিনেমা। হিন্দু মুসলমানের
প্রেমের সম্পর্ককে কিভাবে বৈধতা দেয়া যায় তার চেষ্টা করা হয়েছে এই
সিনেমার মাধ্যমে। এইসব সিনেমা ভারতে ভালো চলার কথা, কারন তারা এই ধরনের
কালচার প্রমোট করছে দীর্ঘদিন। কিন্তু ইসলাম ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক বিষয়ে
ভরপুর সিনেমা। নির্মাতা হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান রাখলেও ইসলাম ধর্ম
সম্পর্কে জ্ঞান সীমিত। ইসলামকে আচারসর্বস্ব ধর্ম জ্ঞান করে সিনেমা নির্মান
করলে চলে না।
কন্টেন্টে বিরক্ত, তাই সিনেমা সম্পর্কে লিখতে আগ্রহ পাই নি।
রেটিং: ৩.৫/৫
Magnolia, USA, 1999
টম ক্রুজকে চিনতাম মিশন ইম্পসিবল সিরিজের জন্য। এছাড়া আছে মাইনরিটি
রিপোর্ট। বলবো কোলেটারেল এবং দ্য লাস্ট সামুরাই এর কথা। রেইন ম্যান,
ভালকেইরী, আইজ ওয়াইড শাট এর কথাও কেউ কেউ মনে করিয়ে দেবে নিশ্চিত। কিন্তু
ম্যাগনোলিয়ার কথা কি বলবে কেউ? বোধহয় না। ম্যাগনোলিয়া (১৯৯৯) বেশ কঠিন
একটি ছবি। টম ক্রুজের চরিত্রটাও অদ্ভুত। কষ্ট করে যদি কোনভাবে তিনঘন্টা
সিনেমার আড়াইঘন্টা দেখে ফেলতে পারেন তাহলে টম ক্রুজের অভিনয়টা বোঝা যাবে।
দীর্ঘ শটে সংলাপ বলা আর সেই সাথে এক্সপ্রেশনের ভ্যারিয়েশন – কতটা যোগ্যতা
সে রাখে তা প্রকাশ করে। টম ক্রুজের মত এরকম অভিনয় আবিষ্কার করেছিলাম কেট
উইন্সলেটের কাছ থেকে – রিভল্যূশনারী রোড (২০০৮) এ। ম্যাগনোলিয়া-তে
অভিনয়ের জন্য বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর ক্যাটাগরীতে অস্কারের মনোনয়ন
পেয়েছিলেন ক্রজ, হেরে গিয়েছিলেন মাইকেল কেইন এর কাছে, দ্য সাইডার হাউজ
রুলজ ছবির অভিনয়ের কারনে।
রেটিং: ৩/৫
All about my Wife, Korea, 2012
ভালোবেসে সংসার শুরু করার পর বউ-এর ভালোবাসার অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্বামী,
চায় ডিভোর্স করে শান্তি পেতে। কিন্তু সাহসের অভাবে বেছে নিতে হয় ভিন্ন
পদ্ধতি। প্রতিবেশী বিখ্যাত সিডিউসারকে দায়িত্ব দেয় তার স্ত্রীকে সিডিউস
করার জন্য। কিউট রোমান্টিক ছবি। দুইজনে মিলে আরেকবার দেখতে হবে।
রেটিং: ৪/৫
Goal: The Dream Begins, USA, 2005
ফুটবল নিয়ে একটা ট্রিলজি- নাম গোল ট্রিলজি – তার প্রথম পর্ব। মেক্সিকোর
দরিদ্র যুবক কিভাবে ইংল্যান্ডে এসে ক্লাব পর্যায়ের ফুটবলার হয়ে উঠে সেই
গল্প বলা হয়েছে এই ছবিতে। খুবই আগ্রহোদ্দীপক ছবি।
রেটিং: ৪/৫
Goal II: Living the Dream, USA, 2007
গোল ট্রিলজির বোগাস ছবি। এবার আরও ভালো ক্লাবে খেলতে গিয়েছে সেই যুবক।
কিন্তু পাশাপাশি আরও নানা জটিলতার কারণে খেলা আর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেনি
ছবিতে।
রেটিং: ২.৫/৫
14 Blades, Korea, 2010
কোরিয়ান অ্যাকশন সিনেমা, এপিক। ডনি ইয়েন অভিনীত সিনেমা। এন্টারটেইনিইং এবং টাইম পাস মুভি।
রেটিং: ৩.৫/৫
ফেব্রুয়ারী ২০১৩
বাক্স রহস্য, ভারত, ১৯৯৬
ফেলুদার একদম তরুন বয়সের ছবি। জটায়ূ চরিত্রে আছেন রবি ঘোষ।
ট্রেনে বাক্স বদল হয়ে গেল। হারানো বাক্সে ছিল বহু পুরাতন একটি ট্রাভেল
কাহিনীর ম্যানুস্ক্রিপ্ট। ট্রেনের কামরায় ক্লায়েন্ট ছাড়া মানুষ মাত্র
তিনজন। এদের মধ্য থেকে দোষী ব্যক্তিকে খুজে বের করে ম্যানুস্ক্রিপ্ট
উদ্ধারের ঘটনা বেশ উত্তেজনাময়।
রেটিং: ৪.৫/৫
4 Months 3 Weeks 2 Days, Romania, 2007
ছবি দেখতে গিয়ে আমি এর আগে কখনো অস্বস্তিতে পড়িনি। স সিরিজের ছবিগুলো
ভালো লাগে না বলে দেখি না, এই ছবিতে সেরকম কিছু নেই। তাও ছবিটা শেষ করার
জন্য মাঝে প্রায় সাতদিনের গ্যাপ ছিল। বিশ বছর আগের রোমানিয়ার পরিস্থিতি
তুলে ধরা হয়েছে যখন অবৈধ গর্ভপাত নিষিদ্ধ আর স্কুল ছাত্রী এক মেয়ের
গর্ভপাতে সহায়তা করছে তারই রুমমেট। গল্পটা সাধারন একটি ঘটনা মাত্র। কিন্তু
সময় এবং পরিস্থিতিকে বেশ ভালোভাবে তুলে ধরেছে।
রেটিং: ৪/৫
ডাঃ মুন্সীর ডায়রী, ভারত,
সত্যজিত রায়ের ফেলুদা গল্প অবলম্বনে পুত্র সন্দীপ রায়ের ছবি। গতিময় ছবি।
রেটিং: ৪/৫
Un Prophet, France, 2009
ছবিটির ইংরেজি নাম – দ্য প্রফেট। জেলখানার জীবন নিয়ে ছবি। একজন মুসলিম
জেলে যাওয়ার পর ভিন্ন গ্রুপের ব্লকে চাকর থেকে লিডার হওয়া এবং পরবর্তীতে
বাহিরের গ্রুপের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠার কাহিনী। একটু লম্বা সিনেমা, তবে
ভালো লাগবে। বিশেষ করে জেল জীবনের শুরুর পর্যায়টা অসাধারণ।
রেটিং: ৪/৫
দেবদাস, বাংলাদেশ, ২০১৩
চাষী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয়বারের নির্মান। এবারে শাকিব খান, মৌসুমী, অপু বিশ্বাস। বিস্তারিত রিভিউ-তে।
রেটিং: ৩.৫/৫
দেবদাস, বাংলাদেশ, ১৯৮২
বহু কষ্ট করে পুরানো দেবদাস ডাউনলোড করে তারপর দেখা হল। নতুন দেবদাসের তুলনায় পুরাতন দেবদাস ভালো। বিস্তারিত রিভিউ-তে।
রেটিং: ৪.৫/৫
Dial M for Murder, USA, 1954
আলফ্রেড হিচককের মুভি। একজন সাবেক টেনিস খেলোয়ার তার স্ত্রীকে হত্যা করার
জন্য দারুন এক পরিকল্পনা করেন। একদম নিখুঁত। তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ
শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত কতটা সাকসেসফুল হবেন সেটা নির্ভর করছে সে কত
ভালোভাবে তার প্ল্যান এক্সিকিউট করতে পারবে। টানটান উত্তেজনার মাস্টারপিস
মুভি।
রেটিং: ৫/৫
Trade, USA, 2007
মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় পাচারকৃত অন্যান্য নারী ও শিশুদের মধ্যে ছিল
দুইজন। একজন ভেরোনিকা, যুবতী মেয়ে, তার একটি সন্তানও আছে যার মুখ চেয়ে
ভালো আয়ের উদ্দেশ্যে সে এসেছিল আমেরিকায়। আর আছে আদ্রিয়ানা, বয়স মাত্র
বারো। পাচারকৃত নারীরা হারিয়ে যায়, কিন্তু আদ্রিয়ানার ভাই যে একজন কিশোর
মাত্র, পিছু ছুটে চলে বোনকে উদ্ধারের আশায়।
অনেক ভালো হতে পারতো এই সিনেমার গল্প। কিন্তু ততটা ভালো হল না। গল্পে
আরেকটু গতি রাখা যেত, আরেকটু টুইস্টিং করা যেত। যা আছে তা মোটেও মন্দ নয়।
রেটিং: ৩.৫/৫
জানুয়ারী ২০১৩
টেলিভিশন, বাংলাদেশ, ২০১৩
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাম্প্রতিক ছবি। প্রথমদিনই হলে গিয়ে দেখা হল। পরে লেখাও হল এই নিয়ে।
রেটিং: ৩.৫/৫
Midnight Cowboy, USA, 1969
জন শ্লেসিঙ্গার পরিচালিত সিনেমা। রেইনম্যান খ্যাত ডাস্টিন হফম্যান এবং
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বাবা জন ভয়েটের অভিনয় দেখার জন্য এই সিনেমা। হলিউডের
ইতিহাসে এই সিনেমা বিশেষ মাইলফলক। সিনেমার গল্পে একজন কাউবয় শহরে আসে
জীবিকার উদ্দেশ্য নিয়ে, পেশা হিসেবে সে প্রস্টিটিউশনকে বেছে নিতে চায়।
রেটিং: ৪.৫/৫
Tinker Tailor Soldier Spy, USA, 2011
মাঝে মাঝে প্লাস্টিক বা রবার জাতীয় কিছু সিনেমা খাওয়া হয়ে যায়। এগুলো
ভাঙ্গে না, মচকায় না, গলে না। চাবানো যায় না, কামড়ে ছেড়াও যায় না। কোৎ
করে গিলে ফেলা যেতে পারে, কিন্তু হজমও হয় না। বড়ই বিব্রতকর সিনেমা।
টিঙ্কার টেইলর সোলজার স্পাই সেরকম একটি সিনেমা। মোটা দাগে গল্প বোঝা গেলেও
পুরাটা বোঝা সম্ভব হয় নি। হজমও হচ্ছে না, মনে হচ্ছে উগরে দিয়ে আবারও
দেখতে হবে।
রেটিং: ৩.৫/৫
আগন্তুক, ভারত, ১৯৯১
সত্যজিত রায়ের চলচ্চিত্র। যৌবনে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া এক মামা হঠাৎ করে
হাজির হয় তার ভাগ্নীর বাসায়। লোকটা আসল না নকল সে নিয়ে বিস্তর সন্দেহ,
লোকটিও প্রচন্ড বুদ্ধিমান – সব টেকনিকই ধরে ফেলছে। শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে সে
টেনশন থেকে যায়। দারুন ছবি, শিক্ষনীয়ও বটে।
রেটিং: ৪.৫/৫
আবার ব্যোমকেশ, ভারত, ২০১২
অঞ্জন দত্তের পরিচালনায় এই ছবি। স্বাস্থ্য উদ্ধারে জলপাইগুড়ির দিকে কোথাও
বেড়াতে গিয়েছিল ব্যোমকেশ, সেখানে ঘটনাচক্রে রহস্য বেড়িয়ে পড়ে, ঘটে
যায় একটি খুনও। ছবির রং দারুন, গল্পও চমৎকার। তবে, ব্যোমকেশের সব জেনেও
গোপন রাখার বিষয়টা এখানেও ভালো লাগল না, আর শেষ দৃশ্যটি বেশ প্রশ্নবিদ্ধ।
চলায়বল সিনেমা।
রেটিং: ৩/৫
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে, ভারত, ২০০৩
সত্যজিত রায়ের গল্পে পুত্র সন্দীপ রায়ের পরিচালনা। দশ বছর আগে ফেলুদার
বয়সও কম, তোপসে চরিত্রে শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, তবে জটায়ু চরিত্রে বিভু
চক্রবর্তী। নতুন জটায়ুকে ভালো লেগে গেল। ফেলুদার সব গল্পের মতই এই গল্পটিও
দারুন। টোটাল এন্টারটেইনিং।
রেটিং: ৪/৫
Vizontele, Turkey, 2001
বাংলাদেশের টেলিভিশন নাকি তুরস্কের এই টেলিভিশন থেকে নকল করা হয়েছে – এই অভিযোগ থেকে দেখা হল ভিজনটেলে।
তুর্কি ‘টেলিভিশন’ সিনেমার প্রেক্ষাপট সত্তরের দশকে, প্রত্যন্ত একটি গ্রাম,
যেখানে দৈনিক পত্রিকা আসে দুই দিন পর, বিনোদনের মাধ্যম হল রেডিও এবং
সিনেমাহল। গ্রামে সিনেমাহল একটাই, সেটায় একটি সিনেমাই এতদিন ধরে চলছে যে
তার প্রতিটি সংলাপ পাশের তরমুজ বিক্রেতার মুখস্ত। আছে, এমিন নামে একজন
আধপাগলা রেডিও মেকানিক। সেই গ্রামে হঠাৎ সরকারের পক্ষ থেকে একটি টেলিভিশন।
সেই টেলিভিশন চালানোর জন্য ডাক পরে রেডিও মেকানিক এমিনের।
২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমা বাংলাদেশী সিনেমা ‘টেলিভিশন’ এর চেয়ে
অনেক বেশী এন্টারটেইনিং। বাংলাদেশী সিনেমাটি ধর্মীয় সংস্কার-কেন্দ্রিক
হলেও তুর্কি সিনেমায় ধর্ম স্থান পেয়েছে খুব ছোট একটি দৃশ্যে। দারুন
সিনেমাটোগ্রাফি আর কমেডি উপভোগের জন্য ‘ভিজনটেলে’ দারুন একটি সিনেমা।
Skyfall, USA, 2012
বন্ড মুভি। আগ্রহ প্রচন্ড ছিল, ব্লুরে আসার পরপরই দেখে ফেললাম। গল্পের শুরুতেই বন্ডকে মেরে ফেলা হয়েছিল। ভিলেনকে ভালো লাগে নাই।
যে লোকটা কম্পিউটারে বসে এক ক্লিকে লন্ডনে গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, স্টক
মার্কেটে গোলমাল লাগিয়ে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীকে পথে বসিয়ে দিতে পারে,
কাবুলের স্যাটেলাইট কানেকশনে বাধা দিতে পারে , উগান্ডার নির্বাচনকে বানচাল
করে দিতে পারে – সেই লোকটা কেন আরেকটা লোককে নির্জন এক এলাকায় মারার জন্য
বিশটা লোককে সাথে নিয়ে মারতে যায়?
কারণ টার্গেটের লোকটা বন্ড, আর সিনেমাটা স্কাইফল।
রেটিং: ৪/৫
The Conversation, USA, 1974
দি কনভারসেশন সিনেমার কাহিনী একজন সার্ভেইল্যান্স এক্সপার্ট বা প্রাইভেট
গোয়েন্দাকে ঘিরে। জনমুখর একটি এলাকায় একজোড়া মানব-মানবীর গোপন
আলাপচারিতা শক্তিশালী ও আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে রেকর্ড করে গোয়েন্দা
হেনরী কল ও তার সহযোগীরা। তারপর সম্পাদনার মাধ্যমে তাদের কথাবার্তাগুলো
সমন্বয় করে কল। ক্লায়েন্টের কাছে জমা দেয়ার আগে সে বুঝতে পারে – যে
জুটির কথোপকথন রেকর্ড করেছে সে তারা মৃত্যুর ভয় করছে। হেনরী কলের অস্বস্তি
শুরু হয় – কি করবে সে?
গডফাদার ট্রিলজির খ্যাত নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ১৯৭৪ সালের সিনেমা
দি কনভারসেশন। সাইকলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার এই চলচ্চিত্রটি অপেক্ষাকৃত
স্লো, তবে এর ট্রিটমেন্ট দারুন। গল্পকে কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন
পরিচালক – সেটা উপভোগ্য। আর অবশ্যই শুরুর দিককার দৃশ্যটি। দারুন
সিনেমাটোগ্রাফি।
রেটিং: ৪.৫/৫
Days of Heaven, USA, 1978
ট্রি অব লাইফ এর পরিচালক টেরেন্স মালিক পরিচালিত সিনেমা। অ্যামিলি ছবির
সিনেমাটোগ্রাফি সম্পকে পড়তে গিয়ে এই ছবির কথা পেয়েছিলাম। অসাধারণ
ফটোগ্রাফি।
দুটো দরিদ্র যুবক যুবতী ভাই বোন পরিচয়ে একত্রে থাকে, সাথে থাকে ছেলেটির
ছোট একটি বোন। তিনজনে মিলে ফসল কাটার মৌসুমে এক কৃষকের অধীনে কাজ শুরু করে।
সেই কৃষক পছন্দ করে ফেলে মেয়েটিকে। পার্থিব সুখের বিনিময়ে মেয়েটির
বিয়ে হয়ে যায় কৃষকের সাথে, ছেলেটি রয়ে যায় ভাই হিসেবে। কিন্তু
ভালোবাসা কি ভাইয়ের সম্পর্কে বেধে রাখা সম্ভব?
দারুন গল্প। চুপচাপ এইরকম ভালোবাসার ছবি খুবই উপভোগ্য।
রেটিং: ৫/৫
রয়েল বেঙ্গল রহস্য, ভারত, ২০১২
জঙ্গলে এক রাজবাড়িতে হাজির হয় ফেলুদা, তোপসে এবং জটায়ু। সেখানে হাজির
হয় রহস্য। লাশ হয় যুবক কর্মচারী। ফেলুদাকে দায়িত্ব দেয়া হয় একটি ধাধা
সমাধানে। বেশ জমাট গল্প, দারুন টুইস্টিং।
রেটিং: ৫/৫
Frenzy, USA, 1972
হিচকক মুভি। এক শহরে সিরিয়াল খুন হচ্ছে – পরিচিত মেয়েরা হারিয়ে যাচ্ছে,
পরে উদ্ধার হচ্ছে গলায় টাই বাধা অবস্থায় – নেকটাই কিলিং। এরকম একটা খুনের
দায়ে ফেসে যায় রগচটা ব্লেইনি। অথচ খুনি দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রেটিং: ৩.৫/৫
Charade, USA, 1963
হিচকক মুভি মনে করে দেখতে বসেছিলাম, কিন্তু দেখা গেল পরিচালক স্ট্যানলি
ডোনান। এই ছবিকে বলা হয় – সেরা হিচকক মুভি যেটা হিচকক বানাননি। আসলেই
সেরা। এতগুলো হিচকক মুভি দেখার পর এটাই বেস্ট সিনেমা। সাসপেন্স আর
থ্রিলারের মাস্টারপিস মুভি।
রেটিং: ৭/৫
ব্যোমকেশ বক্সী, ভারত, ২০১০
অঞ্জন দত্ত পরিচালিত সিনেমা, শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসের
গোয়েন্দা চরিত্র। হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার সময়ে ঘটে যাওয়া এক
হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চালায় ব্যোমকেশ বক্সি। ভালোই লেগেছে।
কিঞ্চিত বিরক্তও হয়েছি।
রেটিং: ৩.৫/৫
Welcome to the Sticks, France, 2008
বহুদিন পর একটা সিনেমা দেখতে দেখতে হাসলাম। দারুন কমেডি সিনেমা। ফ্রান্সের
একদম উত্তরে একটা শহরে ট্রান্সফার করা হয় এক কর্মকর্তাকে। ভাষার পরিবর্তন
সহ লোকাল সংস্কৃতিকে দারুন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। মনে হচ্ছিল,
সিলেটের কাউকে কক্সবাজারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে 🙂
রেটিং: ৪.৫/৫
পিতা, বাংলাদেশ, ২০১২
পরিচালক মাসুদ আখন্দ হুমায়ূন আহমেদের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন বলে
জেনেছি। পিতা সিনেমার কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ তার, পরিচালনাও তার, এবং,
সিনেমায় কিছুক্ষন পর পর হুমায়ূন আহমেদ এর ছাপ পাওয়া যায় – ঘটনাপ্রবাহ,
সংলাপ, অভিনয়ে। সিনেমার গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। পাকিস্তানি বাহিনির
গনহত্যা থেকে নিজ সন্তানকে রক্ষা করার জন্য একজন বাবা কি করেছেন বা কি করতে
পারেন তার এক অতিপ্রাকৃত গল্প দর্শকদের সামনে নিয়ে এসেছেন মাসুদ আখন্দ।
তার সিনেমায় দশ পনেরোজন পাকিস্তানি সৈন্য একজন বাবার ছুড়ি-দা-কাচির আঘাতে
মারা যান, ক্যাপ্টেন আহত হওয়ামাত্র সৈন্যরা স্বেচ্ছায় লিড দিতে শুরু
করে, জীবন নিয়ে টানাটানির মুহুর্তে প্যান্ট খোলার উপক্রম হয় ধর্ষনের
উদ্দেশ্য, গ্রামের মুসলমানরা হয় মুক্তিযোদ্ধা নয় রাজাকার, এবং আধা সরকারী
বাহিনীর রাজাকাররা বন্দুক নয় বিশাল গরু জবাইয়ের ছুড়ি নিয়ে নির্বিচারে
মানুষ জবাই করে।
মুক্তিযুদ্ধ কোন ফ্যান্টাসি নয়, মুক্তিযুদ্ধ কোন মিথলজি নয়, এটি চরম বাস্তবতা।
রেটিং: ২/৫
The Social Network, USA, 2010
ফেসবুকের নির্মাতা মার্ক জাকারবার্গের কাহিনী নিয়ে ডেভিড ফিঞ্চারের
সিনেমা। মূলত কিভাবে ফেসবুকের তৈরী হল, বিস্তার ঘটল তা মার্ক এবং তার
বন্ধুর বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। মোটামুটি সাধারণ একটা
কাহিনীকে বেশ উত্তেজনাময় হিসেবে তুলে ধরার জন্য পরিচালক ধন্যবাদ পাবেন।
রেটিং: ৪/৫
The Birds, USA, 1963
স্যার আলফ্রেড হিচককের সিনেমা। সমুদ্রের তীরে একটা ছোট্ট শহরে পাখিরা হঠাৎ
আক্রমন শুরু করে মানুষজনের উপর। গল্পটার কোন ফিনিশিং পাইলাম না 🙁
সিনেমাটা দুর্দান্ত।
রেটিং: ৪.৫/৫
Lifeboat, USA, 1957
এইটাও আলফ্রেড হিচককের সিনেমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে
আমেরিকান জাহাজ ধ্বংসের পর বেশ কিছু যাত্রী একটি লাইফবোটে একত্রিত হয়। তার
মধ্যে একটি জার্মান সেনাও আছে। দারুন সিনেমা। পুরোটাই সমুদ্রে এবং বোটের
মধ্যে। বুঝতে একটু কষ্টই হইছে 🙁
রেটিং: ৩.৫/৫
নভেম্বর ২০১২
ভূতের ভবিষ্যৎ, ভারত, ২০১২
পুরানো এক বাড়িতে শ্যুটিং করবে বলে দেখতে এসে দারুন এক জমজমাট কাহিনী
পেয়ে গেল পরিচালক। বিভিন্ন সময়ে মরে যাওয়া ভূতরা যে আস্তে আস্তে তাদের
নিজ নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে কিছু একটা করা দরকার
সেই কাহিনীই তাকে বলে গেল এক ভদ্রলোক। ছন্দে ছন্দে দারুন সব সংলাপ। খুবই
এন্টারটেইনিং মুভি।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Dark Knight Rises, USA, 2012
ক্রিস্টোফার নোলানের ব্যাটম্যান ট্রিলজির থার্ড পার্ট। দারুন এনজয়েবল
সিনেমা, কিছু গাজাখুরি আছে বটে, তবে উপেক্ষা করা যায়। ডার্ক নাইটকে
ছাড়িয়ে যেতে পারে নি
রেটিং: ৪/৫
The Bourne Legacy, USA, 2012
বর্ণ সিরিজের চতুর্থ সিনেমা। এখানে ম্যাট ডেমন নেই, নেই বর্ণ চরিত্রটিও। মোটামুটি লাগছে।
রেটিং: ৩.৫/৫
Yol, Turkey, 1980
এই সিনেমা যখন নির্মিত হয় তখন পরিচালক জেলে ছিলেন – এটুকুই কি সিনেমাটা
দেখার জন্য আগ্রহ তৈরী করে না? জেল থেকে এক সপ্তাহের ছুটিতে বের হয় কিছু
বন্দী। তারা তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলে যাবে, সেখানে পরিবারের সাথে মিলবে
আবার ফেরত আসতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। প্রত্যেকেরই আছে ভিন্ন ভিন্ন
গল্প। অত্যন্ত মানবিক একটা গল্প। অনেক আগের সিনেমা হলেও দেখতে মোটেও বিরক্ত
লাগে নি।
রেটিং: ৫/৫
Pan’s Labyrinth, USA, 2006
ইতাহাসের সাথে ফ্যান্টাসী মিলিয়ে কিভাবে দারুন এক ছবি বানাতে হয় এই ছবি
তার প্রমাণ। সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারন, স্টোরি টেলিং মাইন্ডব্লোয়িং,
মেয়েটার অভিনয় নিয়ে আর কি বলবো। মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
The man who knew too much, USA,
আলফ্রেড হিচককের মুভি। থ্রিলার। মুভি থেকেও অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে।
রেটিং: ৪.৫/৫
Intouchables, French, 2011
সাজিদ রিকমেন্ড করেছিল সিনেমাটা, তাই দেখা। মোটামুটি ভালো লাগছে। একটা
জীবনের সমগ্র ঘটনাপ্রবাহের ট্রেলার নিঃসন্দেহে আকর্ষনীয়, যে জীবন যত
দুর্বিষহই হোক না কেন।
রেটিং: ৩.৫/৫
চোরাবালি, বাংলাদেশ, ২০১২
রেদোয়ান রনি পরিচালিত প্রথম সিনেমা। মুক্তির প্রথম দিন হলে গিয়ে দেখার
সৌভাগ্য হল। ভালো ছবি। অন্তত বানিজ্যিক সিনেমার ধারনাকে পাল্টে দিতে
সাহায্য করবে এই মুভি।
রেটিং: ৪/৫
The Gold Rush, USA, 1925
রেটিং: ৪/৫
Modern Times, USA, 1936
রেটিং: ৪.৫/৫
The Great Dictator, USA, 1940
এই ছবিতে চ্যাপলিন সবাক। একই সাথে দুই চরিত্রে অভিনয় করেছে। হিটলারের প্রতি বিদ্রুপাত্মক। ভালো লাগে নাই তেমন।
রেটিং: ৪/৫
The Kid, USA, 1921
রেটিং: ৫/৫
Exam, USA, 2009
একটা রুম। আটজন প্রতিযোগী। অদ্ভুত সব নিয়মাবলী। পরীক্ষা শূরু হল, কিন্তু
প্রশ্ন লেখা নেই কোথাও। প্রশ্নটা খুজে বের করে উত্তর দিতে পারলেই যোগ্য
ব্যক্তিকে খুজে পাওয়া সম্ভব। দেড়ঘন্টায় একটা রুমের মধ্যে কাহিনী আটকে
রাখার জন্য সবগুলো উপাদানই এখানে বেশ দারুন ভাবে অ্যাকটিভ। স্ক্রিপ্ট বোঝার
জন্য খুব ভালো সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
Identity, USA, 2003
প্রচন্ড বৃষ্টিতে একটা মোটেলে ঘটনাচক্রে একত্রিত হল এগারোজন মানুষ, তাদের
মধ্যে একটি আবার ৪/৫ বছরের ছেলে। একটা খুন হয়ে গেল, একই সাথে দেখা গেল
দশজনের মধ্যের একজন খুনি যাকে নিয়ে যাচ্ছিল এক পুলিশ – সে পালিয়েছে।
তারপর একে একে খুন হতে লাগল অন্যান্যরাও। কাহিনী টিপিক্যাল হরর মুভির মত
হলেও এই সিনেমা সম্পূর্ন ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে ডিল করেছে। টিপিক্যাল হরর
কাহিনীর বৈশিষ্ট্যাকে পুরোপুরি মুছতে পারে নি – ফলে কোথাও কোথাও বেশ
বিরক্তি তৈরী করেছে। তবে, এই সিনেমা বেশ উপভোগ্য।
রেটিং: ৪/৫
Fracture, USA, 2007
ব্রিলিয়ান্ট মুভি।
অ্যান্হনি হপকিস আর রায়ান গুজলিং এর সিনেমা। কাহিনীতে দৌড়ঝাপ নাই মোটেও,
দুইজন তীক্ষ্ণ বুদ্ধির মানুষের খেলা চলেছে পুরো সিনেমায়। কোর্টরুম ড্রামা।
রেটিং: ৪.৫/৫
অক্টোবর ২০১২
The Adventure of Tintin, USA, 2011
স্পিলবার্গের এই সিনেমাটা দেখতে একটু দেরী করলাম ইচ্ছে করেই। যেহেতু
নির্মান প্রযুক্তি এবং কাহিনী সম্পর্কে আগেই ধারনা ছিল, তাই এক্সপেক্টেশনও
কম ছিল এবং, সিনেমাটা ভালো লেগেছে। দারুন এন্টারটেইনিং।
রেটিং: ৪.৫/৫
ডুব সাতার, বাংলাদেশ, ২০১০
নুরুল আলম আতিকের পরিচালনায় বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল সিনেমা। দরিদ্র
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মেয়েটা যে নেশায় আশক্তদের নিয়ে কাজ করে
তার সাথে প্রেম হয়ে গেল একজন শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত স্বচ্ছল মাদকাসক্তের। সেই
মাদকাসক্ত ছেলেটার সাথে প্রেম থেকে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কারনে
সন্তানসম্ভবা হয় মেয়েটা, অন্যদিকে দুর্ঘটনায় ছেলেটা মারা পরে। কি হবে
মেয়েটার?
সিনেমার রং দারুন, কিনউত শেকি ক্যামেরা আর ফোকাসের ক্রমাগত পরিবর্তন
অনভ্যস্ত দর্শকের কাছে ভালো লাগবে না। গল্পটা ভালো লাগবে, গল্প বলার
ভঙ্গিও। নুরুল আলম আতিকের পূর্বেকার কাজগুলোর মতই দারুন।
রেটিং: ৪.৫/৫
হেমলক সোসাইটি, ভারত, ২০১২
সৃজিত মুখার্জীর তৃতীয় সিনেমা। একটি মেয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে তাকে সেই
মুহূর্তে বাচায় একটা ছেলে, তারপর ছেলেটা পরিচালিত হেমলক সোসাইটি-র ক্রাশ
কোর্সে ভর্তি করিয়ে দেয়া হয়। উদ্দেশ্য – ভালো ভাবে শিখিয়ে পড়িয়ে
দেয়া যেন আত্মহত্যার চেষ্টা বিফল না হয়। পরমব্রত চট্ট্রোপাধ্যায় আর
কোয়েল মল্লিক অভিনয় করেছেন। সৃজিতের বাকী দুটো সিনেমার মতই এখানেও
গানগুলো চমৎকার, গল্পটাও ভালো, সামান্য মেদ আছে। তবে বাইশে শ্রাবনের
তুলনায় বেশ ভালো সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
Fetih 1453, Turkey, 2012
তুরস্কের বীর সুলতান মাহমুদ ফাতিহ এর ইস্তাম্বুল (তৎকালীন কনস্টান্টিনোপোল)
জয়ের কাহিনী নিয়ে তুরস্কের নির্মিত সিনেমা। তুরস্কের সবচে ব্যয়বহুল এই
সিনেমা নির্মানের উদ্যোগ নি:সন্দেহে প্রশংসনীয় কম্পিউটার গ্রাফিক্স বেশ
ভালো করেছে, তবে কোথাও কোথাও কাঁচা। কাহিনী মোটামুটি ইতিহাসআশ্রিত, পাশে
একটি প্রেম কাহিনীও রয়েছে। তুরস্ক সহ সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের সাম্প্রতিক
রাইজিং এ যারা উদ্দীপ্ত তাদের কাছে ভালো লাগবে।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Recipe, Korea, 2011
রান্না নিয়ে দারুন একটি সিনেমা। দুর্ধর্ষ ফেরারী এক আসামী মৃত্যুর সময়
খুব আস্তে উচ্চারন করেছিল স্যুপ জাতীয় এক খাবারের নাম। জানা গেল, তাকে
ধরাও হয়েছিল এই খাবারের কারণে – খাবারে এতটাই মগ্ন ছিল যে তার আশেপাশে
পুলিশ ঘিরে ফেলে রুমে ঢুকে পড়লেও খাওয়া শেষ করার আগ পর্যন্ত টের পায় নি
সে। এক রিপোর্টার সেই খাবারের রেসিপি খুজে বের করার মিশন নিয়ে এগিয়ে যায়
– পথে জানা যায় পেছনে আছে এক দারুন প্রেমকাহিনী।
ভিন্নরকম স্টোরীটেলিং স্টাইল ভালো লাগবে। তবে গল্পটা অপেক্ষাকৃত স্লো গতির।
হয়তো এ কারণেই সিনেমাটা উপভোগ করতে মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন হবে।
রেটিং: ৪/৫
সেপ্টেম্বর ২০১২
ঘেটুপুত্র কমলা, বাংলাদেশ, ২০১২
নন্দিত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা। মুক্তির দ্বিতীয় দিন হলে গিয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। যতটুকু সমালোচিত হয়েছিল মুক্তির পূর্বে ততটুকু যোগ্য নয়। আশংকা অমূলক।
গতানুগতিকের তুলনায় ছোট দৈর্ঘ্যের সিনেমা। দ্বিতীয়ার্ধে গল্প ‘ঝুলে’ গেছে। রিভিউ লিখেছি এ নিয়ে।
রেটিং: ৪.৫/৫
Ip Man 2, Hong Kong, 2010
ব্রুস লি’র গুরু ইপ মানকে নিয়ে নির্মিত সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব। ডনি ইয়েন দারুন অভিনয় করেছে। প্রথম পর্বের মতই এ পর্বেও মূল বিষয় হয়ে গেছে মার্শাল আর্ট ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ। মাস্ট সি মুভি। রিভিউ লিখেছি।
রেটিং: ৫/৫
The Raid Redemption, Indonesia, 2012
ইন্দোনেশিয়ার এই মুভির মাধ্যমেই ইন্দোনেশিয়ার মুভির সাথে পরিচয় হল।
ধুন্দুমার অ্যাকশন সিনেমা। আন্ডারওয়ার্ল্ড এর এক বসের আস্তানা বিশাল একটি
বিল্ডিং কমপ্লেক্সে সকাল বেলায় আক্রমন করে পুলিশের একটি ফোর্স। অল্পক্ষনের
মধ্যেই সব পুলিশ মৃত্যুমুখে পতিত, বেচে থাকা অল্প কয়জন কি ফিরে যেতে
পারবে নিজ পরিবার, সংসারে?
রেটিং: ৪.৫/৫
Jonah Hex, USA, 2010
হাতের কাছে পেয়ে গেলাম বলে দেখে ফেললাম এই ওয়েস্টার্ন সিনেমাটা। জোনাহ
হেক্স মূলত একটি কমিক্স চরিত্র। ফ্যান্টাসী আর ওয়েস্টার্নের রিমিক্স। খুব
একটা ভালো লাগে নাই।
রেটিং: ৩/৫
A bittersweet life, Korea, 2005
আন্ডা্রওয়ার্ল্ডের এক সর্দারের ডান হাত ঘটনাচক্রে পুরো দলের শত্রুতে পরিনত
হল। ধীরে ধীরে কিভাবে সে প্রতিশোধ নেয় তার গল্প। এরকম গল্প নিয়ে খোদ
বাংলাদেশেও সিনেমা হয়েছে। কিন্তু কোরিয়ান এই সিনেমায় ভালো লাগবে গল্প
বলার স্টাইল। অনেক অ্যাকশন অনেক মারামারি নাই – কিন্তু সম্ভ্রম জাগায়
অ্যাকশন দৃশ্যগুলা। অনেক বেশী মানবীয় সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
Once Upon a Time in the West, Italy, 1968
ধূলোমাখা এক শহরে উপস্থিত হয় একজন নাম না জানা তরুন, সে কথা বলার চেয়ে
হারমনিকা বাজাতে পছন্দ করে। একই দিন দূরদর্শী এক উঠতি ব্যবসায়ী তার ছেলে
মেয়েদের নিয়ে নিহত হয়ে গেলেন। সেই একই দিনে ওই ব্যক্তির স্ত্রী এসে
হাজির হলেন। হারমনিকা যুবক আর শায়ান নাকে এক আউটল দলের সর্দার ব্যবসায়ীর
স্বপ্ন পূরনে লেগে গেল। যুবকটা এসেছে প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য – সেই ব্যক্তিও
আছে এই শহরে।
সার্জিও লিওনি’র টাইম ট্রিলজি নিয়ে মোট পাঁচবার লেখা শুরু করেছি, চারবার
লেখা হারিয়েছি। প্রথমবার মুছে যাওয়ার পর দেড় বছর গ্যাপ ছিল। রুশো ভাই
বারবার নক করেছে এই লেখার জন্য। নতুন করে লিখতে গিয়ে পুরো ট্রিলজিটাই
দেখলাম। এটা তার প্রথম পর্ব। আমার দেখা সেরা ওয়েস্টার্ন সিনেমার প্রথম
তিনে এর অবস্থান।
রেটিং: ৫/৫
Duck, you Sucker, Italy, 1971
ট্রিলজির দ্বিতীয় পর্ব। ছোট ছোট ছেলে আর বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে তৈরী ডাকাত
দলের সর্দার হুয়ানের সাথে পরিচয় হয়ে যায় জন নামে এক বিপ্লবীর। জনের
পরিকল্পনায় অগোচরেই বিপ্লবী হয়ে যায় হুয়ান। হুয়ানের আগ্রহ ব্যাংক
ডাকাতিতে, জন সহায়তা করলেই সম্ভব হবে।
রেটিং: ৪.৫/৫
Once Upon a Time in America, USA, 1984
ট্রিলজির তৃতীয় পর্ব। প্রায় পৌনে চারঘন্টা দৈর্ঘের এই সিনেমা এক মহা
উপন্যাস। যখন মদ নিষিদ্ধ ছিল সেই সময়ের কিশোর চার বন্ধু গ্যাংস্টার হয়ে
উঠা থেকে শুরু করে শেষ বয়স পর্যন্ত গল্প। রবার্ট ডি নিরো’র অ্যানাদার
মাস্টারপিস। লিওনি’র শেষ সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
সে আমার মন কেড়েছে, বাংলাদেশ, ২০১২
ঈদে মুক্তি পাওয়া এই একটা সিনেমাই শেষ পর্যন্ত দেখা হয়েছে। তিন্নী অভিনয়
করেছে বলে দেখার আগ্রহ ছিল। শাকিব খান আছে নায়ক চরিত্রে, পরিচালক সোহানুর
রহমান সোহান। রিভিউ লিখেছি, বিস্তারিত ওখানে।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Girl with the Dragon Tattoo, Sweden, 2009
একই নামে হলিউডের একটা সিনেমা আছে। মিলেনিয়াম ট্রিলজির প্রথম পর্ব।
ট্রিলজি নিয়ে লিখেছি। প্রধান চরিত্র লিসবেথ স্ল্যান্ডারকে বলেছি সুইডিশ
জেসন বর্ণ।মাস্ট সি ট্রিলজি।
রেটিং: ৫/৫
The Girl Who Played with Fire, Sweden, 2009
দ্বিতীয় পর্ব। এটাও মাস্ট সি 🙂
রেটিং: ৫/৫
The Girl Who Kicked the Hornet’s Nest, Sweden, 2009
ট্রিলজির তৃতীয় পর্ব। যতটা না থ্রিলার তারচে বেশী কোর্টরুম ড্রামা। যেহেতু
তিনটা সিনেমা মিলে একটা গল্প, সেহেতু একেও বাদ দেয়ার সুযোগ নেই। তবে বাকী
পর্বগুলোর তুলনায় এটা একটু কম উদ্দীপক।
রেটিং: ৫/৫
Cache (Hidden), France, 2009
ফ্রান্সের এই সিনেমাকে সম্ভবত ‘উড়াধুরা’ সিনেমা বলা যেতে পারে। কি দেখাইল,
ক্যান দেখাইল বোঝা টাফ। সবশেষে প্রশ্নটা থেকেই যায় – ভিডিওটা করতো কে?
রেটিং: ৩.৫/৫
আগস্ট ২০১২
Ip Man, Hong Kong, 2008
ইপ ম্যান মুভিটা বায়োগ্রাফিক্যাল। ১৯৩০ সালের হংকং-কে তুলে ধরা হয়েছে এই
সিনেমায়। ইপ ম্যান হংকং মার্শাল আর্টে মাস্টার একজন লোক। কিন্তু খুবই
বিনয়ী, পরোপকারী। চায়নীজ আগ্রাসনে অবস্থার পরিবর্তন হয় কিন্তু মানসিকতার
নয়। মার্শাল আর্ট দিয়েই সে চায়নীজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। অ্যাকশন
দৃশ্যগুলো মনে রাখার মত। অসাধারণ সিনেমা। দ্বিতীয় পর্ব দেখা হয় নাই, দেখা
হলে লেখার ইচ্ছা আছে।
রেটিং: ৫/৫
Escape from Alcatraz, USA, 1979
ডন সিজেলের পরিচালনায় ক্লিন্ট ইস্টউড অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা। দুর্ভেদ্য এক
জেল থেকে পালানোর কাহিনী। শশাঙ্ক রিডেমশন দেখার পর এই ধরনের সিনেমা পানসে
লাগে। কিন্তু এর আগে এই সিনেমাটাই খুব বিখ্যাত ছিল।
রেটিং: ৪/৫
Good Will Hunting, USA, 1997
অল্পবয়সী যুবক উইল হান্টিং এমআইটি-তে ক্লিনার হিসেবে কাজ করে। অসাধারণ
মেধাবী এই যুবক খুব গোঁয়ার, অনেক জ্ঞানের অধিকারী। কিন্তু সেই জ্ঞান আর
মেধা সে আর দশটা লোকের মত ব্যবহার করতে চায় না। ঘটনাচক্রে ম্যাথেমেটিক্সের
এক প্রফেসরের সাথে কাজ করতে হয় তাকে। আর কাউন্সিলিং এর জন্য যেতে হয় আরেক
প্রফেসরের কাছে। এদিকে হার্ভাডের এক তরুনীর সাথে তার প্রনয় জমে উঠে।
ম্যাট ডেমন আর বেন অ্যাফ্লেকের কাহিনীতে গাস ভন সান্ত পরিচালিত এই সিনেমায়
অভিনয় করেছে ম্যাট ডেমন, বেন অ্যাফ্লেক, রবিন উইলিয়ামস, মিনি ড্রাইভার।
দারুন সিনেমা। মাস্ট সি।
রেটিং: ৫/৫
The Girl with the Dragon Tattoo, USA, 2011
ডেভিড ফিঞ্চারের পরিচালনা, সুইডিশ সিনেমার রিমেক। চল্লিশ বছর আগে নিহত এক
মেয়ের খোজ করতে গিয়ে ডিটেকটিভ সম্পর্ক খুজে পায় সিরিয়াল কিলিং এর। রিসার্চে
সহায়তা করার জন্য যে মেয়েকে সহযোগী বানায় তার গায়ে ড্রাগন ট্যাট্যু আকা।
এই মেয়েটা ডিফ্রেন্ট – সব ক্ষেত্রেই। এবং বিশাল হ্যাকার। মেয়েটার সহায়তায়
ডিটেকটিভ খুজে পায় খুনিকে।
দারুন সিনেমা। ড্রাগন ট্যাটুওয়ালার জন্য মন পুড়ে 🙁
রেটিং: ৫/৫
Memories in March, ভারত, ২০১১
ঋতুপর্ণ ঘোষের কাহিনী ও চিত্রনাট্যে পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় নাগ। সমকামিতাকে প্রশ্রয়মূলক সিনেমা। পশুবৃত্তিকে সমর্থন করি না।
রেটিং: -২/৫
Kundun, USA, 1995
মার্টিন স্করসিজির সিনেমা। ১৪তম দালাইলামার জীবনভিত্তিক সিনেমা। দর্শককে
সিনেমার মধ্যে দারুন ভাবে গিলে নেয়। অসামান্য ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সেই
সাথে সিনেমাটোগ্রাফি। মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
জুলাই ২০১২
Insomnia, USA, 2002
ক্রিষ্টোফার নোলানের সিনেমা। আল পাচিনো, রবিন উইলিয়ামস, হিলারী সোয়াঙ্ক
অভিনীত। ঘটনাস্থল আলাস্কা, যখন সেখানে ২৪ ঘন্টাই সূর্যের আলো বিদ্যমান।
ডিটেকটিভ আল পাচিনো একটি হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ধার করতে যায়। ঘটনাচক্রে
তার সহকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। যে খুনীকে ধরার জন্য আলাস্কায় আগমন সে
যোগাযোগ করে ডিটেকটিভের সাথে।
দারুন থ্রিলিং সিনেমা। নোলানের অন্যান্য সিনেমার চেয়ে একটু ভিন্ন। হিউম্যান সাইকলজি নিয়েই বেশী ডিল করেছে এই সিনেমা। উপভোগ্য।
রেটিং: ৪.৫/৫
The crime of Father Amaro, Mexico, 2002
পরিচালকের নাম কার্লোস ক্যারেরা। অভিনয় করেছে গার্সিয়া বার্নেল।
একজন তরুন পাদ্রী কিভাবে কর্মকান্ডের মাধ্যমে ধীরে ধীরে দুর্ণীতিগ্রস্থ হয়ে
পড়ে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। এই সিনেমা ধর্মপ্রাণ খ্রীষ্টান ধর্মাবলাম্বীদের
জন্য সহ্য করা কষ্টকর হবে। একটা অন্যায়কে চাপা দেয়ার জন্য কতরকম অন্যায়ের
সাথে মানুষ যুক্ত হতে পারে এবং এই সকল অন্যায়ের পুজি হল সাধারণ মানুষের
বিশ্বাস – এই সিনেমায় দেখিয়েছে।
রেটিং: ৫/৫
Drive, USA, 2011
রায়ান গুজলিং অভিনীত এই সিনেমার পরিচালক নিকোলাস উইন্ডিং রেন। একজন চুপচাপ
প্রকৃতির ড্রাইভার, সে রেস খেলতে পারে, সিনেমায় স্টান্ট অভিনয় করে এবং
গাড়ির মেকানিক। শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডেও জড়িত হয়। পাশের
ফ্ল্যাটের আইরিনের প্রতি তার একটু দুর্বলতা তৈরী হয়। অথচ সদ্য জেল থেকে
মুক্তি পাওয়া আইরিনের স্বামী এক মাফিয়া লিডারের কাছে দায়বদ্ধ। দায়মুক্তির
জন্য একটি ডাকাতি করতে রাজী হয় সে, সহযোগিতা করে ড্রাইভার।
চিত্রায়ন আর কাহিনীর কারণে এটি একটি নিও-নয়্যার সিনেমা। গল্প বলার ঢং-টা
অসাধারণ। সত্যিই অসাধারণ। দেখার আগে মিক্সড রিভিউ পেয়েছিলাম। দেখার পর
তৃপ্তি পেয়েছি।
রেটিং: ৫/৫
The Mission, Britain, 1986
রোনাল্ড জফ পরিচালিত এই সিনেমায় রবার্ট ডি নিরো, জেরেমি আইরন, লিয়াম নিসন
অভিনয় করেছেন। ১৭৫০ বা তার পরের সময়কার কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই সিনেমা।
ঘটনাস্থল দক্ষিন আমেরিকার গহীন জঙ্গল যার অধিবাসীদের খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত
করার কাজ নিয়ে কিছু পাদ্রী কাজ করে। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে জঙ্গল পর্তুগীজ
এলাকাধীন হয়ে যায়, পর্তুগীজ আইনে তখনো দাসবৃত্তি প্রচলিত। জঙ্গলের
বাসিন্দাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে সেখানে কার্যরত পাদ্রিরা।
রবার্ট ডি নিরো অভিনীত সিনেমা হলেও এই সিনেমার গল্প ডি নিরোকে খুব বেশী
ভূমিকা রাখতে দেয়নি। বরং, সিনেমার লোকেশন,সিনেমাটোগ্রাফি এবং অবশ্যই এর
মনমুগ্ধকর সাউন্ডট্র্যাক এই সিনেমাকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মাস্ট সি
ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
Bodyguards and Assassins, Honk Kong, 2010
হংকং এর প্রথম রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে যাওয়ার পাচ বছর পরে ডাক্তার সান
ইয়াট সেন আসছেন মাঞ্চুরিয়ার একটি এলাকায়। উদ্দেশ্য তেরোটি গোত্রের
প্রতিনিধির সাথে আলোচনা করে একত্রিত করা, তবেই গনতান্ত্রিক দেশ তৈরী হবে।
কিন্তু তাকে বাধা দেয়া ও হত্যার উদ্দেশ্যে লেলিয়ে দেয়া হয় গুপ্তঘাতক
বাহিনীকে। আর তাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে বেশ কিছু মানুষ, প্রত্যেকের
কারণ ভিন্ন। হংকং এর মার্শাল আর্ট কি সেটা এই সিনেমায় খুব ভালো ভাবে উপভোগ
করা সম্ভব।
রেটিং: ৫/৫
Incendies, Canada, 2010
মায়ের মৃত্যুর পরে নোটারী জমজ ভাই বোনের হাতে পৃথক দুটি চিঠি ধরিয়ে দিল।
বোনের দায়িত্ব বাবাকে খুজে বের করা, ভাইয়ের দায়িত্ব ভাইকে। অথচ তাদের
বাবাকে তারা দেখেনি কোনদিনও, তাদের কোন ভাই আছে এমনটিও জানেনি কখনো। মায়ের
দাবী পূরণ করতে পথে নামে বোনটি, পরবর্তীতে যোগ দেয় ভাই। প্রতি পদে পদে
নতুনত্ব আর টুইস্ট। অসাধারণ সিনেমা। দেখা শেষে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকতে হবে।
রেটিং: ৫/৫
I spy, ইউএসআ, ২০০২
এতটাই অমনযোগের সাথে দেখেছিলাম যে কাহিনী বিন্দুমাত্র মনে নেই, আইএমডিবি
থেকে দেখে নিতে হল। টাইম পাস কমেডি মুভি। এডি মারফি অভিনয় করেছে।
রেটিং: ২.৫/৫
অনুরণন, ভারত, ২০০৭
এই পরিচালকের দ্বিতীয় সিনেমা অন্তহীন দেখার পর থেকেই অনুরণন দেখার প্রচন্ড
আগ্রহ ছিল। মোটামুটি হতাশ। কেন এই সিনেমা নিয়া লোকজন ভালো কথা বলে জানি
না। সিনেমার শুরুতেই আগ্রহ হারিয়ে গেল যখন দেখলাম পরিচালক ওয়েস্টার্ন
মানি ট্রান্সফারের অ্যাড দিচ্ছে। পুরা সিনেমায় অন্তত: তিনবার। বিরক্তিকর।
রেটিং: ২.৫/৫
Sherlock, England, 2010
এইটা সিনেমা না, টিভি সিরিজ। শার্লক হোমস একেবারে বর্তমান সময়ে। মোবাইল
ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করে। ওয়াটসন ব্লগ লিখে। মাত্র তিনটা পর্ব,
দেড়ঘন্টার ডিউরেশন। দারুন গতি। অসাধারণ। অসাধারণ। সেকেন্ড সিজন দেখতে পারি
নাই এখনো 🙁
রেটিং: ৫/৫
Mother, কোরিয়া, ২০০৯
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক ছেলে খুনের দায়ে ফেসে গেল একদিন। সংসারে তার একমাত্র
মা, অন্য কেউ নেই। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেকে রক্ষার জন্য মা প্রানান্তকর
চেষ্টা চালিয়ে যায়।
দারুন এক সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
জুন ২০১২
The White Balloon, Iran, 1995
জাফর পানাহির পরিচালায় এই সিনেমার গল্প লিখেছেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি।
একটি শিশু তার মা’র কাছ থেকে টাকা নেয় অ্যাকুইরিয়ামে রঙ্গীন মাছ কিনবে
বলে। দোকান পর্যন্ত সে পৌছে যায়, কিন্তু মাছ কেনার জন্য টাকাটা খুজে পায়
না, কোথাও হারিয়ে গেছে। তার টাকা উদ্ধার করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন শ্রেনীর
বিভিন্ন লোক তাকে সহায়তা করে। চমৎকার গল্পের অসাধারণ একটি সিনেমা। পিচ্চি
মেয়েটার অভিনয় চূড়ান্ত রকম সুন্দর। মাস্ট সি মুভি।
রেটিং: ৫/৫
Seabiscuit, USA, 2003
সত্যি ঘটনার উপর নির্ভর করে নির্মিত সিনেমা। গ্যারি রসের পরিচালনায় এই
সিনেমাটি রেসের ঘোড়া নিয়ে। রেস খেলার অনুপযুক্ত একটি ঘোড়া কিভাবে সেরা
রেসের ঘোড়ায় পরিণত হয় এবং এই ঘোড়াটিকে কেন্দ্র করে কিভাবে আরও তিনটা
মানুষের মধ্যে বিশাল পরিবর্তন ঘটে যায় সেই গল্প। হতাশাগ্রস্থ মানুষের জন্য
বিশাল এক টনিক এই সিনেমা। স্পাইডারম্যান খ্যাত টবি ম্যাগুইয়েরা অভিনয়
করেছেন।
রেটিং: ৫/৫
You’ve got Mail, USA, 1998
আহা। ব্যাচেলর বয়সে রোমান্টিক সিনেমা দেখা উচিত নয়। সেই যুগে, যখন
ইন্টারনেটে চ্যাটিং যুগ পুরোদমে শুরু হয় নি, সেই সময় এক বুকস্টোর
মালিকানের সাথে মেইল চালাচালি হতো এক বিলিয়নিয়ার বুক বিজনেসম্যানের।
চিঠিতে একটা রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরী হলেও বাস্তবে তারা একে অপরের শত্রু।
দারুন রোমান্টিক। টম হ্যাংকস অভিনয় করেছেন, আরও আছেন মেগ রায়ান। পরিচালনা
নোরা এফরন এর।
রেটিং: ৪.৫/৫
জীবনে তুমি মরনেও তুমি, বাংলাদেশ, ২০১২
শ্রীমঙ্গলের রাধানাথ সিনেমাহলে দেখা হল। অপূর্ব রানার পরিচালনায় নতুন
নায়ক জেফ এবং নতুন নায়িকা শ্রেয়া। প্রেমিকাকে পাওয়ার জন্য খুব দ্রুত
ধনী হওয়ার আশায় জেফ জুয়া খেলতে থাকে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন তাকে দলে
ভিড়িয়ে নেয়, দেশে বিদেশে খেলতে পাঠায়। কিন্তু যখন দেখঅ গেল শ্রেয়া আর
কেউ নয়, ডনের মেয়ে, তখন জেফকে হত্যার জন্র খুজে বেড়ায় ডন আর তার
সহযোগির লোকজন। ভারতীয় সিনেমা জান্নাতের নকল। অনেকগুলো পজেটিভ দিক পাওয়া
যাবে এই সিনেমায়।
রেটিং: ৩.৫/৫
And your mom too, Mexico, 2001
রেটিং: ৩/৫
কমন জেন্ডার, বাংলাদেশ, ২০১২
নোমান রবিনের পরিচালিত ডিজিটাল সিনেমা। হিজড়াদের জীবনের একটা অংশ তুলে
ধরেছে এই সিনেমায়। মোটামুটি ভালো সিনেমা। বলাকায় দেখার অভিজ্ঞতা ডিভিডিতে
পাওয়া যাবে না।
রেটিং: ৪/৫
Sherlock Holmes: A game of shadows, USA, 2011
গাই রিচির পরিচালনায় শার্লক হোমসকে নিয়ে এটা বোধহয় তৃতীয় সিনেমা।
সবগুলোই দেখেছি এবং যথারীতি গাই রিচিকে স্যালুট জানিয়েছি। শুধু এই সিনেমার
লাস্ট সিনটা বিরক্তিকর।
রেটিং: ৫/৫
Orphan, USA, 2009
এইটা ভৌতিক সিনেমা। উহু, ভুল হল। হরর ভায়োলেন্ট সিনেমা। একদিন ভয় পেতে
ইচ্ছে হল, তাই দেখে ফেললাম। বেশ লেগেছে, যদিও হরর সিনেমায় শেষ পর্যন্ত
সিরিয়াল কিলিং এর কাহিনী বিরক্তিকর, তার উপর যে রিভিউ পরে সিনেমাটা
দেখেছিলাম সেটায় কোন স্পয়লার অ্যালার্ট ছিল না – ভদ্রলোক কাহিনির পুরোটাই
বলে দিয়েছিলেন।
রেটিং: ৩.৫/৫
মে ২০১২
RocknRolla, USA, 2008
গাই রিচি’র গ্যাংস্টার সিনেমা। ব্ল্যাক কমেডি। যথারীতি পাগলামী মনে হয় সিনেমাগুলোকে। ব্ল্যাক কমেডি বোঝার জন্য আমি এখনো শিশু 🙁
রেটিঙ: ৩.৫/৫ (যেহেতু বুঝছি কম)
Thelma & Louise, USA, 1991
রিডলি স্কটের পরিচালিত সিনেমা। বিপ্লবী সিনেমা। দুজন নারী – তারা সম্পূর্ন
ভিন্ন ধরনের, কিন্তু বন্ধু। উইকএন্ডে একজন ধর্ষনের শিকার হলে অন্যজন
ধর্ষককে খুন করে ফেলে। কিন্তু তারপর ফেরারী হয়ে পালিয়ে বেড়ায় দুজন।
বিভিন্ন ঘটনাগুলো তাদেরকে পাল্টে দিতে থাকে একটু একটু করে। অসাধারণ গল্প।
রেটিঙ: ৫/৫
গহীনে শব্দ, বাংলাদেশ, ২০১০
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটা। প্রচন্ড বিরক্ত হয়েছি সিনেমা
দেখে। খুব কড়া একটা রিভিউ লিখেছি, নেগেটিভ। কিন্তু প্রকাশ করতে সাহস
পাচ্ছি না। 🙁
রেটিঙ: ৩/৫
In the Mood for Love, Honk Kong, 2000
আহ। ওং কার ওয়াই। এই ভদ্রলোক সিনেমা নির্মান করেন না, কবিতা লিখেন।
সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজটাই পাল্টে দিচ্ছেন। দুটো পরিবার, একজনের স্বামী
সবসময় বাহিরে থাকেন, অন্যজনের স্ত্রী। দুজনের মধ্যে একটা সম্পর্ক, একটা
আন্ডারস্ট্যান্ডিঙ – এটা ঠিক প্রেম না, এটা যেন অন্য কিছু একটা। দারুন একটা
থিম মিউজিক আছে এই সিনেমায় – পাগল করা।
রেটিঙ: ৫/৫
দ্য স্পিড, বাংলাদেশ, ২০১২
অনন্ত’র তৃতীয় সিনেমা। অনন্তকে আরও পরিপক্ক হতে হবে, নিজের শরীর-চেহারা
নিয়ে চিন্তা করার আগে ব্যবসা বুঝতে হবে। বাংলা সিনেমা হিসেবে খারাপ নয়,
অনেক দিকে বেশ উন্নত। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
রেটিঙ: ৪/৫
Baran, Iran, 2001
মাজিদ মাজিদি’র সিনেমা। অনেক দেরীতে দেখা হল। ইরানে আফগান শরনার্থীদের
দুরাবস্থা খুব সাধারণ একটা প্রেমময় কাহিনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আফগান পরিবারের বাবা পা ভেঙ্গে বিছানায় শায়িত থাকায় তার বড় মেয়ে
ছেলে-সাজে বাবার কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
সেখানেই বোকা মত একটা ছেলে একদিন জেনে ফেলে তার আসল পরিচয়। কোনদিন কথা না
হওয়া সেই মেয়েটার প্রতি তার অব্যক্ত ভালোবাসার জন্ম নেয়।
রেটিঙ: ৫.৫
Hors de Prix, France, 2006
পিয়েরে সালভাদোর এর পরিচালনা, ইংরেজি টাইটেল প্রাইসলেস। দারুন কমেডি,
আন্দ্রে তুতু অভিনয় করেছেন। তার চরিত্রটা দারুন। বিভিন্ন কোটিপতি মানুষের
সাথে প্রেমের ভাব ধরে খুব হাই লাইফস্টাইল লিড করা। ঘটনাচক্রে হোটেলের
ওয়েটারের সাথে জড়িয়ে যায় এই তরুনী। দারুন রোমান্টিক, দারুন কমেডি।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
এপ্রিল ২০১২
Lust, Caution, USA, 2007
পরিচালকের নাম অ্যাঙ লি। তিনি বেশ বিখ্যাত বিশেষত স্ক্রিপ্টের জন্য। লাস্ট,
কশান সিনেমাটি চায়নিজ কর্তৃক হঙকঙ দখলদারিত্বের সময়কার কাহিনী। শৌখিন
মঞ্চ নাটকের কতগুলো তরুন ছেলে মেয়ে দেশের জন্য বিপজ্জনক এক মিশনে নেমে
পড়ে। একজন দেশীয় বিশ্বাসঘাতককে হত্যা করতে হবে। টোপ তাদেরই এক মেয়ে
বন্ধু।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
The Ring, USA, 2002
খুব ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল, হঠাত মনে হল এই সময়ৈ একটা ভূতের সিনেমা দেখলেই
ভালো। তাই এই সিনেমা নামিয়ে ঘর অন্ধকার করে কানে হেডফোন লাগিয়ে একাকী
দেখতে বসলাম। সত্যি হল, আমি শুরুর সামান্য অংশই হেডফোনে দেখতে পেরেছি,
বাকীটা দূরে বসে, ভলিউম কিছুটা কমিয়ে। সাহসে কুলায় নাই। রাতে ঘুমাতে বেশ
সমস্যাও হয়েছিল 🙁
রেটিঙ: ৫/৫
Immortals, USA, 2011
দ্য ফল দেখার পর থেকেই তারসেম সিঙ এর ভক্ত আমি। গ্রীক পুরানের কাহিনী নিয়ে
নির্মিত এই সিনেমা দ্য ফলের মতই ভিজ্যুয়ালাইজেশনের জন্য সুপার্ব। সেই
সাথে আছে মিউজিক এবং অ্যাকশন দৃশ্য। বেশ উপভোগ্য সিনেমা।
রেটিঙ: ৫/৫
The Last Thakur, বাংলাদেশ, ২০০৮
২০০৮ সালে সাদিক আহমেদ নামের এক বাংলােদশী এই সিনেমাটি নির্মান করেছিলেন।
যতটুকু শুনেছিলাম এটি একটি প্রশিক্ষণ ফিল্ম। সাদিক একজন সিনেমাটোগ্রাফার
এবং তিনি তার মেধাকে এই সিনেমায় ব্যবহার করেছেন। সিনেমাটা দেশে মুক্তি
পায়নি কোন কারণে – পাইরেটেড কপি অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে, সেখান থেকেই দেখা।
রেটিঙ: ৩.৫/৫
All About Eve, USA, 1950
আমেরিকান ড্রামা। কিভাবে এক সাধারণ মেয়ে থিয়েটারে প্রবেশ করে তারপর তার
যোগ্যতা বলে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে নিয়ে যায় তার গল্প। খুব ভালো ভাবে
সিনেমাটা দেখা হয়নি, শারীরিকভাবে খুব একটা সুস্থ্য ছিলাম না সেসময়। তাই
হয়তো আসল গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম হই নি।
রেটিঙ: ৩/৫
Dead Poet’s Society, USA, 1989
ছেলেদের আবাসিক এক স্কুলের বেশ কিছু ছাত্র এবং তাদের শিক্ষককে নিয়ে চমৎকার
একটি সিনেমা। কিশোর ছেলেদের মাধ্যমে প্রচলিত নিয়মের ব্যতিক্রম কিন্তু
সঠিক শিক্ষা প্রদানের পদ্ধতি এবং এরই মাধ্যমে সমাজের গোড়ামি এবং অন্ধত্ব
ফুটে উঠেছে।
রেটিঙ: ৪/৫
অন্তরে অন্তরে, বাংলাদেশ, ১৯৯৪
যেখানে দুজনে নিরজনে – গানটা নিয়ে লেখার পরে এই সিনেমার টাইটেল গান
‘অন্তরে অন্তরে’ শোনার সুযোগ হল। গানটি হৃদয় এতটাই ছুয়ে গেল যে বাধ্য
হয়ে সিনেমাটা দেখতেই হল। অল্প গতির ইন্টারনেটে প্রায় সাত ঘন্টা লাগল
সিনেমাটা দেখতে। সালমান শাহ ও মৌসুমী অভিনীত, শিবলী সাদিক পরিচালিত।
রেটিঙ: ৪/৫
জ্বী হুজুর, বাংলাদেশ, ২০১২
জাকির হোসের রাজুর চিত্রনাট্য এবং পরিচালিত সিনেমা। এ সপ্তাহেই
মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমাটি অানন্দ সিনেমা-তে দেখা হল। বাংলা সিনেমার বিচারে
বেশ ভালো সিনেমা। নতুন নায়ক নায়িকা, সেই সাথে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম নায়ক
চরিত্রের চিত্রায়ন। সম্ভবত এই প্রথম মাদ্রাসার কোন ছাত্র সিনেমার প্রধান ও
পজেটিভ চরিত্র হল। নতুন নায়ক হিসেবে সাইমন সাদেক বেশ স্মার্ট এবং
সুদর্শন। তিনি যেন টিকে যান এবং ভালো করেন সেই শুভকামনা। সবারই দেখা উচিত
সিনেমাটা।
রেটিঙ: ৪/৫
২২শে শ্রাবন, ভারত, ২০১১
অটোগ্রাফ সিনেমার পরে সৃজিত মুখার্জী এবার বানালেন ২২শে শ্রাবন। একজন
সিরিয়াল কিলারকে খুজে বের করার গল্প, সেই সাথে আছে গত শতকের ষাটের দশকের
কবিতা নিয়ে হাংরি আন্দোলন। প্রবল জনপ্রিয়তা প্রাপ্ত এই সিনেমা নিয়ে একটি
রিভিউ লেখা হয়েছে, প্রকাশের অপেক্ষায়। বাকী কথা সেখানেই।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Counterfeiter (Die Fälscher), জার্মান, ২০০৭
হলোকাষ্ট নিয়ে নির্মিত মুভি। মাত্র দেড় ঘন্টার এই সিনেমা একজন
কাউন্টারফেইটারকে নিয়ে, জার্মান বাহিনী তাকে দিয়ে পাউন্ড এবং ডলার জাল করার
কাজে নিয়োজিত করেছিল। ইহুদী নির্যাতন নতুন পদ্ধতিতে তুলে ধরা হল এখানে।
সিনেমা হিসেবে বেশ ভালো, যদিও হলোকাষ্ট নিয়ে আমার আপত্তি অনেক।
রেটিং: ৪.৫/৫
Baraka, ইউ্এসআ, ১৯৯২
এটা গতানুগতিক কোন সিনেমার মধ্যে পড়ে না। এই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেম এক একটি
ওয়ালপেপার। কোন চরিত্র নেই, নেই কোন সংলাপ। সিনেমাটোগ্রাফি কি জিনিস তা
দেখার জন্য এই সিনেমা মাস্ট সি। সিম্পলি ড্যাজলিং মাস্টারপিস।
রেটিং: ৫/৫
The Shawshank Redemption, ইউএসআ, ১৯৯৪
বছর চারেক পড়ে আবারও দেখলাম। সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে একটা বই পড়ছিলাম –
সেখান থেকেই নাম পেয়ে আবারও দেখা হল। এবার আরও ভালো করে, আরও বিশ্লেষন
সহকারে। যথারীতি অসাধারণ সিনেমা। আইএমডিবির এক নাম্বার পজিশন থেকে এর নামতে
অনেক সময় লাগবে।
রেটিং: ৫/৫
Secret in their Eyes, আর্জেন্টিনা, ২০০৯
আবারও দেখলাম অস্কার পাওয়া এই সিনেমাটি। স্ক্রিপ্ট এবঙ গল্প বলার ঢংটা
লক্ষ্য করাই উদ্দেশ্য ছিল। চমতকার সিনেমা। কেন এটা আর্জেন্টিনার সেরা
সিনেমা হয়েছে বেশ বোঝা যাচ্ছে।
রেটিং: ৫/৫
মার্চ ২০১২
To Kill a Mockingbird, ইউএসআ, ১৯৬৪
গ্রেগ্ররি পেক অভিনিত সিনেমা। কোর্টরুম ড্রামা, তুলে ধরেছে বর্ণবাদ
সংক্রান্ত মানবীয় আচরন-বোধ-সংস্কার ইত্যাদিকে। সিনেমাকে আনন্দময় করে
তুলেছে বাচ্চাকাচ্চারা আর দর্শককে ভাবাতে সাহায্য করেছে বাবা চরিত্রে
গ্রেগরি পেক। দারুন সিনেমা।
রেটিঙ: ৫/৫
Prison Break, Season one, ইউএসআ, ২০০৬
এটা টিভি সিরিজ। খুবই জনপ্রিয়। নির্দোষ বড় ভাইকে মৃত্যুদন্ড থেকে বাচানোর
জন্য ছোটভাই স্বেচ্ছায় কারাগারে বন্দী হয়। তারপর মুক্তির কাহিনী নিয়ে
মোট ২২ পর্ব। এত বেশী শুনেছি যে না দেখে আর পারা গেল না। বাকী সিজনগুলা
দেখতে চাই না 🙂
রেটিঙ: ৪/৫ (এত লম্বা বলে এক মাইনাস )
একুশ, বাংলাদেশ,
তারেক মাসুদকে চিনতাম, কিন্তু মিশুক মুনীর সম্পর্কে জানলাম যখন তিনি
তারেকের সাথে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন। কিন্তু তার কাজ দেখলাম এইবার। একুশ
তিন মিনিটের একটা তথ্যচিত্র। একুশে ফেব্রুয়ারীর প্রস্তুতিদৃশ্যের সাথে
স্ক্রলে বিিভন্ন ভাষায় ‘আমি আমার মাতৃভাষায় কথা বলতে ভালোবাসি’ লেখা।
অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি। একদম শুরুর দৃশ্যে যেভাবে ক্যামেরাকে ঘুরিয়েছেন –
অ্যামাজিঙ। প্রায় সব দৃশ্যই ডায়নামিক – ক্যামেরা ঘুরেছে এদিক থেকে
সেদিকে। আর সবশেষে রয়েছে একটা হেলিকপ্টার শট – মাই গুডনেস – বাংলাদেশী
সিনেমায় আমার দেখা সেরা শট।
রেটিঙ: ৭/৫
নরসুন্দর, বাংলাদেশ, ২০১০
এটা একটা শর্ট ফিল্ম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরতে
পাকবাহিনী হানা দিলে সে পালিয়ে একটা বিহারী সেলুনে হাজির হয়। শেভ করতে
বসে, পাকিস্তানি সেনা আর বিহারীরা তার চারপাশে ঘিরে – ধারালো খুর গালে
ছোয়াচ্ছে বিহারী – একটু নিচে পোচ দিলেই গলা ভাগ হয়ে যেতে পারে। টেনশন।
তারেক মাসুদ থ্রিলার সিনেমা তৈরী করতে গেলে ভালো করতেন। এই সিনেমাটা তার
প্রমাণ। মিউজিক, ফ্রেম, এডিটিঙ – দারুন টেনশন তৈরী করে। ছোট্ট সময়ের
ফ্রেমে তিনি একই সাথে গোলাম আজম, মুজাহিদ এদেরকে এস্টাবলিশ করার চেষ্টা
করাটা বোধহয় কিছুটা খাটো করেছে এর গুরুত্বকে। সিনেমাটোগ্রাফি যথারীতি
অসাধারণ।
রেটিঙ: ৫/৫
রানওয়ে, বাংলাদেশ, ২০১০
রানওয়ে নিয়ে আমি একটা কথাই বলবো – দুর্দান্ত সিনেমাটোগ্রাফি। মিশুক
মুনীরকে স্যালুট। কিন্তু গল্পের বেলায় বলবো – আমার মনে হয়েছে, তারেক
মাসুদ একটা চেক লিস্ট নিয়ে বসেছেন আর একটা করে দৃশ্য তৈরী করার পরে
চেকলিস্টে টিক মার্ক দিয়েছেন। প্রত্যেক দৃশ্যে রূপক খুজতে গেলে দর্শককে তো
পরীক্ষায় বসতে হবে – সিনেমা দেখা হবে না।
রেটিঙ: ৪/৫
জাগো, বাংলাদেশ, ২০০৫
সিনেমার বিচারে খিজির হায়াত খানের এই সিনেমাটা হয়তো খুব একটা ভালো সিনেমা
নয়। দুর্বল কাস্টিঙ, অপ্রয়োজনীয় বৃদ্ধি, কাচা অভিনয় ইত্যাদি দিয়ে এই
সিনেমাটাকে বিশ্লেষন করা যেতে পারে। কিন্তু আমি করবো না। কারণ – এই সিনেমা
দেখতে গিয়ে আমি এত জোরে চিৎকার করেছি যে পরে চা খেতে হয়েছে, এত জোরে হাত
তালি দিয়েছি যে পরে ক্রিম ঘষতে হয়েছে, আর অন্তত সাতবার কান্নাকাটি করতে
হয়েছে। এই সিনেমা বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলে – একটা
মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার চেয়ে একটা স্পোর্টস সিনেমা কোন অংশে কম নয়। ব্রাভো
খিজির হায়াত খান।
রেটিঙ: ৪/৫/৫
কিত্তনখোলা, বাংলাদেশ, ২০০০
আবু সাইয়িদের প্রথম সিনেমা। সেলিম অাল দীনের একই নামের নাটক থেকে সিনেমায়
রূপান্তর। অনেকগুলো বিখ্যাত মুখ এই সিনেমায় – তারা সবাই-ই মঞ্চে কাজ
করেন। হয়তো এই নামের নাটকেই করেছেন। ৪:৩ স্ক্রিনে সিনেমা দেখা, সেই সাথে
ভয়াবহ সাউন্ড – সিনেমা উপভোগকে বিষ করে তুলেছিল। দ্বিতীয়ত, আমি সিনেমাটিক
ট্রিটমেন্টের তুলনায় মঞ্চের দৃশ্যায়নকে দেখতে পেয়েছি এই সিনেমায়।
গল্পটা দারুন।
রেটিং: ৪/৫
Journey of Hope, Switzerland, 1990
সম্ভবত এই প্রথম সুইজারল্যান্ডের সিনেমা দেখলাম। তুর্কি এক পরিবােরর
স্বামী-স্ত্রী এবং পাসপোর্টবিহীন এক সন্তান আরও স্বচ্ছল থাকার বাসনায় সব
সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে অবৈধভাবে পাহাড় পেরিয়ে সুইজারল্যান্ড যাওয়ার
চেষ্টা করে। চরিত্রগুলো তুর্কি কিন্তু গল্পটা আমাদের বাংলাদেশীদেরই। হৃদয়
ছুয়ে যায়।
রেটিং: ৫/৫
Tandoori Love, Switzerland, 2008
পপকর্ণ সিনেমা। ভারতকে ফোকাস করা হয়েছে। একজন রাধুনী কিভাবে এক সুইস
মেয়ের প্রেমে পড়ে এবং তাকে পায় তাই নিয়ে এই সিনেমা। সিনেমায় দুটো দিক
বেশ ভালো হয়েছে। এক, সিনেমাটোগ্রাফী। রান্নাবান্নার দৃশ্যগুলো ক্লোজআপে
নেয়ার ফলে এবং অসাধারণ ও উজ্জ্বল রং ব্যবহার কারণে ক্ষুধা লেগে যেতে
বাধ্য। দুই, এই সিনেমার মিউজিক স্কোর। চমতকার। পুরো সিনেমায়ই মিউজিকের
তালে তালে কাহিনী এগিয়েছে। এই সিনেমার বিগিনিঙ টাইটেল দৃশ্যটা অতুলনীয়।
কাহিনীতে গভীরতা নেই, হালকাচালে দেখার জন্য বেশ উপাদেয় সিনেমা।
রেটিঙ: ৩/৫
ফেব্রুয়ারী ২০১২
The Classic, Korea,
কোরিয়ান রোমান্টিক সিনেমা। একই সাথে দুটো সময়ের প্রেম তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। সিনোমাটোগ্রাফি দারুন, রোমান্সটাও ছুয়ে যাবে।
রেটিঙ: ৪/৫
Tree of Life, USA, 2011
এই সিনেমাটা দুর্দান্ত, তবে দুর্বোধ্যও বটে। সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারণ, আর
গল্পের ইনার মেসেজটা। ব্রাড পিট অভিনয় করেছে। এরকম সিনেমা ২০-৩০ বছরে
একটা দুটো তৈরী হয়। এতটাই প্রভাবিত যে একটা রিভিউ লেখার চেষ্টা করতেই হল।
রেটিঙ: ৫/৫
The Adjustment Bureau, USA, 2011
ম্যাট ডেমন এর এই সিনেমাটা ভাবাতে সাহায্য করবে। অন্তত: এই সিনেমা থেকে
একটা বিষয় আমি পজেটিভলি নিয়েছি। যোগ্য লোকদের প্রেমে জড়ানোর আগে
স্রষ্টার দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা যেতে পারে।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
Reservoir Dogs, USA,
টরান্টিনোর প্রথম সিনেমা। ডার্ক কমেডি, দারুন ভায়োলেন্স। টরান্টিনো বোঝার চেষ্টা করতেছি।
রেটিঙ: ৪/৫
Chinatown, USA, 1974
এই সিনেমাটা নিয়া ব্লগ লেখার চেষ্টা চলছে, মাস্টারপিস সিনেমা।
রেটিঙ: ৬/৫
জানুয়ারী ২০১২
ইতি মৃণালিননী, ভারত, ২০১০
অপর্না সেনের সিনেমা। মা এবং মেয়ে একই সিনেমায় একই চরিত্রে অভিনয় করেছে।
সিনেমার অভিনেত্রীর জীবনের বেশ কিছু বাক বিশেষত প্রেম নিয়ে এই সিনেমা।
অপর্ণা সেন যথারীতি পরিচালনায় মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। সিনেমাটি নিয়ে
একটি রিভিউ লিখেছি।
রেটিং: ৪.৫/৫
দ্য লিংকন লইয়ার, ইউ এস আ, ২০১১
ব্র্যাড ফারম্যানের পরিচালনা। একজন দূর্নীতিগ্রস্থ লইয়ার কিভাবে একজন
মানুষকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দেন সেই
সিনেমা। দারুন শুরু ছিল সিনেমাটার, কিন্তু শেষটা হতাশাজনক। গল্প যেভাবে
গড়ে উঠেছিল, তাতে শেষটা যেন জোর করে হয়েছে। উকিলের ভূমিকায় ম্যাথু
ম্যাকনটি বেশ দারুন অভিনয় করেছেন।
রেটিং: ৪/৫
দ্য টাউন, ইউএসআ, ২০১১
বেন অ্যাফ্লেকের পরিচালনা এবং অভিনিত সিনেমা। একটি শহর যার কুখ্যাতি রয়েছে
ব্যাংক ডাকাতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে। সেই শহরের কিছু তরুন ব্যাংক ডাকাতি
করে বেড়ায়। একটি ডাকাতির সময় যে মেয়েটিকে জিম্মি করেছিল তারই প্রেমে
পড়ে যায় মূল প্ল্যানার। ঘাঘু এক পুলিশ অফিসার তখন খুজে বেড়াচ্ছে এই
দলটিকে। দুর্দান্ত সিনেমা।
সিনেমার এন্ডিংটা অন্য কোন সিনেমায় ছিল, মনে করতে পারতেসি না, হেল্প করুন প্লিজ।
রেটিং: ৫/৫
কিল দ্য আইরিশম্যান, ইউএসআ, ২০১১
ড্যানি গ্রিন নামের একজন শ্রমিক নেতা থেকে শুরু করে মাফিয়া লিডার হয়ে
যাওয়া এবং তার মৃত্যুর ঘটনা। কিভাবে একের পর এক বাধা দূর করে সে এই
পর্যায়ে উঠে, কিভাবে তাকে হত্যার অনেকগুলো প্রচেষ্টা থেকে বেচে যায় সেই
গল্প এখানে। মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
অপরাজেয় বাংলা, বাংলাদেশ, ২০১১
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক অপরাজেয় বাংলার নির্মান ইতিহাস এবং এর সাথে
জড়িত আন্দোলন চেতনা নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারী। সকল বাংলাদেশীর অবশ্যই
দেখা উচিত। দেশেই ফ্রি শো চলছে। এইনিয়ে রিভিউ দেখতে পারেন।
রেটিং: ৪.৫/৫
ষা ফেমি নিকিতা, ফ্রান্স, ১৯৯০
লুক বেসোর সিনেমা। মাদকাসক্ত এক তরুনীকে গায়েব করে ফেলে সরকারী বাহিনী,
তারপর তাকে প্রশিক্ষন দিয়ে নতুন পরিচয়ে তৈরী করা হয়। তারপর আবার
স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া হয় – শর্ত, নির্দেশ পাওয়ামাত্রই কাজে নেমে
পড়তে হবে। কিন্তু মেয়েটা পড়ে গেল একটি লোকের প্রেমে। এর মাঝে একদিন
বেজে উঠল ফোন – নির্দেশ এসে গেছে।
চমৎকার সাউন্ড ট্র্যাক এই সিনেমায়। লিও দ্য প্রফেশনাল যারা দেখেছেন তাদের অবশ্যই ভালো লাগবে।
রেটিং: ৫/৫
মিউনিখ, ইউএসআ, ২০০৫
স্টিভেন স্পিলবার্গের এই সিনেমাটা মিউনিখ অলিম্পিকের সময় ইহুদী
খেলোয়ারদের হত্যা এবং পরবর্তীতে ইজরায়েল কতৃক হত্যা অভিযান নিয়ে। সত্যিই
খুব দারুন সিনেমা। ইহুদী দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয়েছে বলে ইহুদীদের প্রতি
সহানূভূতি জাগতে পারে। সত্যিটা মাথায় রাখবেন তাহলেই চলবে 🙂
রেটিং: ৫/৫
ডিসেম্বর ২০১১
নিশিযাপন, ভারত, ২০০৫
সত্যজিত রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়ের পরিচালিত সিনেমা বলেই দেখার তালিকায়
অন্তর্ভূক্তি। পাহাড়ী এক এলাকায় হঠাৎ পাহাড়ধ্বস হওয়ায় পরিবারের সবাই একজন
অতিথিসহ আটকা পড়ল। বাহিরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন।
দুর্যোগপূর্ন এই পরিস্থিতি একে একে সকলের চরিত্রের নোংরা দিকটি প্রকাশ করে
দিতে লাগল – এই হলো সিনেমার গল্প। বেশ দুর্বল স্ক্রিপ্ট – বিশেষত: আটকে পড়া
পাহাড় থেকে মুক্তির উপায় সংক্রান্ত অংশটুকু একেবারে যাচ্ছেতাই – এই গল্প
মানুষের হতে পারে না, শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।
রেটিং: ৩/৫
এক মুঠো ছবি, ভারত, ২০০৫
ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন পরিচালকের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর নির্মিত শর্টফিল্ম নিয়ে
এক মুঠো ছবি। অর্ঘ্যকমল মিত্রের পরিচালনায় ‘জন্মদিন’, পার্থ সেনের
পরিচালনায় ‘পক্ষিরাজ’, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ‘তপনবাবু’, প্রভাত রায়ের
‘রাগুনবাবুর গপ্পো’, অঞ্জন দত্তের ‘তারপর ভালোবাসা’ এবং কৌশিক গাঙ্গুলীর
‘প্রগ্রেস রিপোর্ট’। এর মধ্যে জন্মদিন, তপনবাবু এবং তারপর ভালোবাসা তিনটিই
ভালো করেছে। তপনবাবুর গল্পটি দারুন, তারপর ভালোবাসার বর্ণনাভঙ্গি। সব
মিলিয়ে মন্দ নয়।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Hire, ইউএসআ, ২০০০
এইটাও একটা শর্টফিল্ম কালেকশন। বিএমডব্লিউ তাদের গাড়ির প্রচারণার জন্য
২০০০-০১ সালে মোট আটটি শর্টফিল্ম নির্মান করে – সবগুলোই গাড়িকেন্দ্রিক,
ড্রাইভার একজনই, কাহিনী ভিন্ন ভিন্ন এবং সেরা আটজন সিনেমা পরিচালককে দিয়ে।
৮-১০ মিনিটের এই সিনেমাগুলোয় প্রত্যেক পরিচালকের নিজস্ব মুন্সিয়ানা
দারুনভাবে ফুটে উঠেছে। মাস্ট সি ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
The Looser, ভারত, ২০১১
এখনো মুক্তির অপেক্ষায় এ সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। বিষয়বস্তু –
এই সিনেমা শিল্প নাকি পর্ন? এমন কোন সিনেমা নয় যা দেখতে হবে। যার দেখার
মতো কোন সিনেমা বাকী নেই এবং টাইম পাস করার মতো কোন কাজ নেই এবং
উচ্চমার্গীয় নামের ফালতু সিনেমা দেখতে চান তারা দেখতে পারেন।
রেটিং: ০.৫/৫
নভেম্বর ২০১১
বেশী সিনেমা দেখা হয় নি কদিনে। অল্প যে কটা দেখলাম সেগুলোই –
Lock, Stock and Two Smoking Barrels, England (1998)
গাই রিচির ক্রাইম-কমেডি। সম্ভবত হিন্দী ফির হেরা ফেরি এই গল্প থেকে চুরি
করা। কতগুলো ছেলে তাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটি জুয়া খেলে এবং বড় অংকের টাকা
ঋন করে হারে। এই টাকা পরিশোধের জন্য এবার তারা একটি ডাকাতির প্ল্যান করে
তাদের প্রতিবেশীর বাসায়। কয়েকটি ক্রিমিনাল গ্রুপের ক্ল্যাশ। গাই রিচির
চিরপরিচিত গান এবং মিউজিক, সেই সাথে ডার্ক কমেডি, আর অ্যাকশন তো আছেই। তবে
এই সিনেমা আসলে সবার মাথায় ধরবে না।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Man from Nowhere, Korea (2010)
অসাধারন কোরিয়ান সিনেমা। যারা Leon দেখেছেন তারা হয়তো এত মজা নাও পেতে
পারেন। এখানেও একজন ভয়ানক লোকের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় পিচ্চি একটি মেয়ের,
সেই মেয়ের মা আবার ড্রাগ স্মাগলারদের কিছু জিনিস চুরি করে সেই লোকটার কাছে
গচ্ছিত রেখেছে। মা-মেয়ে দুজনেই কিডন্যাপড। কিন্তু লোকটা তার বন্ধুর জন্য
তাদেরকে ছেড়ে দিল না।
কোরিয়ানরা দারুন সিনেমা বানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত তাদের কোন সিনেমাই আমার
খারাপ লাগে নাই। হলিউডকে বাদ দিয়ে তারা নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরী করছে – এটা
আনন্দজনক।
রেটিং: ৪.৫/৫
Taxi Driver, USA (1976)
এই সিনেমা সম্পর্কে কে না জানে। বস ডি নিরো’র বিখ্যাত সিনেমা। পাগলাটে এক
ট্যাক্সি ড্রাইভার যার ইনসমনিয়া আছে তার গল্প। সিনেমার ইতিহাসে এই সিনেমাটা
অনেকদিন টিকে থাকবে।
রেটিং: ৫/৫
Revanche, Austria (2008)
অস্ট্রিয়ার এই সিনেমাটা দেখার কারণ ছিল ২০০৯ এ অস্কার নমিনেশন পেয়েছিল বলে।
লোকটা চেয়েছিল একটা ব্যাংক ডাকাতি করে তার গার্লফ্রেন্ড যে কিনা একজন
প্রস্টিটিউট তাকে নিয়ে অনেক দূরে পালিয়ে যাবে এবং নিরাপদ জীবন যাপন করবে।
কিন্তু যেই পুলিশের গুলিতে বান্ধবী মরে গেল সেই পুলিশের পাশের বাড়িতেই
আশ্রয় নিল লোকটা। বান্ধবী হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায় লোকটা, তার ক্রোধ তাকে
পোড়ায়।
রেটিং: ৪.৫/৫
Memories of Murder, Korea (2003)
অসাধারণ সাসপেন্স আর মিস্ট্রিতে ভরপুর এই সিনেমাটাও কোরিয়ান। সিরিয়াল এক
কিলারকে ধরার চেষ্টা করেছিল দুইজন পুলিশ অফিসার, কিলার খুন করতো মেয়েদেরকে।
সাসপেক্ট ছিল অনেক কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুনীকে ধরা কি সম্ভব?
আমি এই সিনেমাটার জন্য রেটিং বাড়িয়ে দিলাম – ১০/১০
খোজ দ্যা সার্চ, বাংলাদেশ, ২০১০
বাংলাদেশী সিনেমা। সবাই হাসাহাসি করে, আমি করি না। এই সিনেমার মধ্যে অনেক
পজেটিভ ব্যাপার আছে। আমি সেই নিয়ে একটি রিভিউ লিখেছি। তবে সিনেমা হিসেবে
খুব ভালো নয়। আরও ভালো করার দরকার আছে।
রেটিং: ৩/৫
রঞ্জনা আমি আর আসবো না, ভারত, ২০১১
অঞ্জন দত্তের সর্বশেষ সিনেমা। একটি মেয়েকে ধীরে ধীরে স্টারে পরিনত করার
সিনেমা। অনেকগুলো গান আছে সিনেমাটায়, অঞ্জন নিজেই অভিনয় করেছে। তবে
সিনেমাটা এতটা ভালো লাগে নি।
রেটিং: ৪/৫
অক্টোবর ২০১১
The Fall, ইউএসআ, ২০০৬
ভারতীয় পরিচালক তারসেম সিঙ এর দ্বিতীয় সিনেমা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে
সিনেমার স্টান্টম্যান, আপাত পঙ্গু রয় চারবছরের ছোট্ট আলেক্সান্দ্রিয়াকে এমন
একটি গল্প শোনায় যার পাচজন চরিত্রই একজন মানুষৈর উপর প্রতিশোধ নিতে
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রয় এর বলা গল্পের চরিত্রগুলো তৈরী হয় আলেক্সান্দ্রিয়ার
চোখে। অসাধারণ এক সিনেমা, দারুন তার চিত্রায়ন।
রেটিঙ: ৫/৫
The Shining, ইউএসআ, ১৯৮০
স্ট্যানলি কুব্রিকের হরর মুভি। শীতের সময়টা লেখালেখি করে কাটানোর জন্য
জ্যাক টরেন্স তার স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে একটি হোটেলের দায়িত্ব নেয় – পুরো
হোটেলেই মাত্র তিনজন। অনেক আগে সেই হোটেলে এক লোক তার দুই কন্যা সন্তানকে
হত্যা করেছিল – সেই অশুভ প্রভাব এখনো রয়ে গেছে।
খুবই ভয়াবহ সিনেমা – স্ট্যানলি কুব্রিকের আর সিনেমাগুলোর মতোই অসামান্য চিত্রায়ন, মিউজিক। জ্যাক নিকলসনের ভীতিকর অভিনয়।
রেটিঙ: ৫/৫
My Fair Lady, ইউএসআ, ১৯৬৪
জর্জ কুকার এর পরিচালনায় অড্রে হেপবার্নের অসাধারণ অভিনয়। একজন ফোনেটিক
বিশেষজ্ঞ বাজী ধরে একজন ফুলবিক্রেতার উচ্চারণ শুধরে দেয়ার দায়িত্ব নেয়।
কিন্তু রাস্তার সেই ফুল বিক্রেতা যে ধীরে ধীরে অধ্যাপকের প্রতি অনুরক্ত হয়ে
পড়ে তার কি হবে?
অড্রে হেপবার্নের এই অভিনয় দেখে আমি মুগ্ধ – কি চমৎকার তার এক্সপ্রেশন, গানগুলো্ও দারুণ।
রেটিঙ: ৫/৫
Roman Holiday, ইউএসআ, ১৯৫৩
এই কাহিনী নিয়ে সিনেমা হয়েছে অনেক। একজন রাজকন্যা একাকী তার প্রাসাদ থেকে
পালায়, পথে ঘটনাচক্রে দেখা হয়ে যায় একজন সাংবাদিকের সাথে – দারুন রোমাঞ্চকর
আর ঘটনাবহুল একটি দিন কাটে রাজকন্যার। গ্রেগরি পেক আর অড্রে হেপবার্নের
সিনেমা। অড্রে হেপবার্নকে কি নিষ্পাপ মনে হয়েছে বোঝানো যাবে না।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
The Apartment, ইউএসআ, ১৯৬০
সিসি ব্যাক্সটারের একটা গুন আছে, সে দ্রুত চাকরীতে প্রমোশন পায়। তবে গোপন
কারনটি তার কর্মদক্ষতা নয়, তার ফ্ল্যাটের চাবী যা বিভিন্ন অফিসাররা
সুবিধানুযায়ী বুকিঙ দেয়। লিফটের পরিচালিকা মিস কিউবেলিককে ভালো লাগলেও সাহস
করে বলে হয়ে উঠেনি ব্যাক্সটারের। কিন্তু ঘটনাক্রমে একদিন মিস কিউবেলিককে
পা্ওয়া গেল ব্যাক্সটারের রুমেই, কোন এক বসের প্রেমিকা হিসেবে তার আগমন।
চরম রোমান্টিক আর কমেডি সিনেমা। কিন্তু উপভোগের পুরোটা মেরে দিয়েছে হিন্দী
সিনেমা লাইফ ইন আ মেট্রো। হুবহু কপি করার ব্যাপারে তাদের জুড়ি নেই – ফলে
প্রতিটা দৃশ্যের পরেই কি হবে সেটা জানা ছিল 🙁
রেটিঙ: ৪.৫/৫
High Noon, ইউএসআ, ১৯৫২
অলটাইম ক্ল্যাসিক ওয়েস্টার্ন মুভি। মার্শাল উইল কেইন যেদিন বিয়ে করলো
সেইদিনই পুরোনো এক খুনি ছাড়া পেয়ে শহরে হাজির হবে বলে তার সাগরেদরা জড়ো
হলো। এতদিন ধরে যে মার্শাল শহরের সবাইকে রক্ষা করলো, নিরাপত্তা নিশ্চিত
করলো – আজ তাকে শহর ছেড়ে পালানোর জন্য উপদেশ দিলো সবাই, খুনির সাথে এই
বিরোধকে ব্যক্তিগত বলে চালিয়ে দিতে চাইল। নববিবাহিত স্ত্রী-ও উদ্ধুদ্ধ
করলো, অন্যথায় তাকে ছেড়ে যা্ওয়ার হুমকী। কিন্তু মার্শাল কেইন একাই রুখে
দাড়ালো – হারবে না সে।
ফ্রেড জিনেম্যানের সিনেমায় গ্যারি কুপারের অভিনয়। আপনি অবশ্যই ভালোবাসবেন।
রেটিঙ: ৫/৫
The Chaser, কোরিয়া, ২০০৮
বেশ্যাদের দালালে পরিণত হ্ওয়া ডিটেকটিভ পুলিশ জঙ হো তার এক মেয়েকে পাঠায় এক
সাইকো খুনি কাস্টমারের কাছে যে কিনা হিংস্র উপায়ে হত্যা করে নারীদেরকে।
মেয়েটিকে বাচাতেই হবে কারণ তার ছোট্ট একটি মেয়ে রয়েছে, শাস্তি দিতে হবে সেই
সাইকো খুনিকে।
কোরিয়ান সিনেমা বেশ উন্নত হয়েছে বলতেই হবে। গল্প বলার ঢঙটা ভালো লেগেছে,
অভিনয় তো অবশ্যই। এই সিনেমাটা দেখার সময় আমি প্রতি মুহূর্তে বিড়বিড় করে
কামনা করছি খুনিটার যেন কঠিন শাস্তি হয়, অত্যন্ত কষ্টদায়ক মৃত্যূ যেনো হয় –
পরিচালকের সাফল্য তো এখানেই তাই না?
রেটিঙ: ৪.৫/৫
Man of the west, ইউএসআ, ১৯৫৮
গ্যারি কুপার অভিনিত আরেকটা ওয়েস্টার্ন সিনেমা। প্রাক্তন এক আউটল ঘটনাচক্রে
অনেক বছর বাদে তার কুখ্যাত ক্যারিয়ারের শুরু যার হাত ধরে সেই ডক টবিনের
দলে ভিড়তে বাধ্য হলো – একটা ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে হবে এবার। কিন্তু এবার তার
সাথে আছে সুন্দরী এক ড্যান্সার, জিম্মি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সে।
সাম্প্রতিক ওয়েস্টার্নের সাথে তুলনায় খুব এগোতে পারবে না সিনেমাটি, কিন্তু
ভালো লাগবে গল্পের গতি, সাধারণত্ব, আর গ্যারি কুপারের অভিনয়।
রেটিঙ: ৪/৫
Taken, ইউএসআ, ২০০৮
একটু বেশীই বাজে সিনেমা। হিন্দী মারদাঙ্গা সিনেমার সাথে এর একটাই তফাত, এখানে অভিনয় করেছে লিয়াম নিসনের মতো নামী অভিনেতা।
রেটিঙ: ২/৫
Up, ইউএসআ, ২০০৮
আহা চমৎকার একটি এনিমেশন সিনেমা। নির্মল বিনোদন।
৪.৫/৫
Gone Baby Gone, ইউএসআ, ২০০৭
বেন অ্যাফ্লেকের প্রথম পরিচালিত এই সিনেমাটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল,
অভিনয় করেছে তারই ভাই ক্যাসি অ্যাফ্লেক। দুইজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ একটি
শিশুকে খুজে বের করার দায়িত্ব নেয়, শিশুটির মা খুবই উদাসীন সন্তানের প্রতি,
মাদকাসক্ত কিন্তু প্যাট্রিক কেনজি নামের গোয়েন্দা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাকে খুজে
বের করার। আপাত সমাধান হয়ে যা্ওয়া কেসের কেচো খুড়তে সাপ বের হয়ে গেল –
শিশুটি অপহৃত হয়নি, তাকে পরিকল্পনামাফিক অপহরণ করা হয়েছিল।
গল্পের গতিটা অন্যরকম, খুব উত্তেজনাকর নয়। সংলাপের দিকে খেয়াল করে সিনেমা দেখতে হবে, অন্যথায় কাহিনী না্ও বোঝা যেতে পারে।
রেটিঙ: ৪/৫
Mr Bean- the movie
বিট্রিশ মিউজিয়ামে একটি ছবির রক্ষী মি. বিন হাজির হলো আমেরিকায় সদ্য ফেরত
পা্ওয়া বিখ্যাত একটি ছবি উন্মোচন করতে। কিন্তু নানা রকম বিপত্তি রয়েছে
তাতে।
যথারীতি মি. বিনীয় অভিনয়। নির্মল বিনোদন।
রেটিঙ: ৪/৫
Limitless, ইউএসআ, ২০১১
এতবার রিকমেন্ড পেলাম যে দেখতেই হলো। নতুন এক ড্রাগ মগজকে শতভাগ ব্যবহার
করার ক্ষমতা দেয় – ফলে লেখক হতে চা্ওয়া এডি মোরা পরিণত হয় একজন ব্যবসায়ীতে।
ওষুধ ফুরোবার আগেই নিজের অবস্থানকে শক্ত আর টেকসই করে নিতে হবে, কারণ
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
গল্পটা দারুন, সাই ফাই হলেও বিশ্বাসযোগ্য, শুধু শেষটুকু বাদে। ওটা আমার
পছন্দ হয়নি। সাউন্ডট্র্যাকের কারণে ইতিমধ্যেই সিনেমাটি অনেকের প্রিয়
তালিকায় ঢুকে পড়েছে।
রেটিঙ: ৪/৫
আগস্ট ২০১১
JFK (1991)
ডিরেক্টর’স কাট ভার্সনে মোট ৩ ঘন্টা ২১ মিনিট।অথচ আমার সময় লেগেছে প্রায় ৭ ঘন্টা-কারণ ভালো করে সিনেমাটা বুঝতে চেয়েছি।
ইতিহাস স্বীকৃত, জন এফ কেনেডিকে হত্যা করেছে লি অসওয়াল্ড নামের এক
লোক-তিনটে বুলেট খরচ করে।ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জিম গ্যারিসন তার বাহিনী
নিয়ে পেছনের সত্যিটা উদ্ধারে নামলেন। সত্যিটা কি? তিনটে নয়, সাতটি বুলেট,
একজন নয়, অন্তত: তিনজন হিটম্যান, কোন মাফিয়া বা বিদেশী রাষ্ট্র নয়, খোদ
আমেরিকাই হত্যা পরিকল্পনাকারী।
রেটিং: ৫/৫
The Untouchables (1987)
১৯৩০-এ আমেরিকায় যখন মদ নিষিদ্ধ, আল-কাপোন তখন গ্যাংস্টার লিডার। ফেডারেল
এজেন্ট এলিয়ট নেস আরও তিনজনকে নিয়ে একটি দল বানালো প্রায় দুর্ভেদ্য
কাপোনকে ধরতে। তারা আনটাচেবলস।
ব্রায়ান ডি পালমা’র স্কারফেস আর মিশন ইম্পসিবল ভালো লেগেছিল -এই সিনেমাটা
বাকী দুটোকে ছাড়িয়ে গেল। সত্যি কথা হলো আল কাপোন চরিত্রে শুধু নয়, যে
কোন গ্যাংস্টার চরিত্রে রবার্ট ডি নিরো ইজ রিয়েলি আনটাচেবল।
রেটিং: ৫/৫
Kaalbela – Calcutta My Love (2009)
দুরুদুরু বুকে আমি ‘কালবেলা’ দেখতে বসেছি-জানি, সেই কৈশোর থেকে বুকে পুষে
রাখা জীবনের একমাত্র আরাধ্য নারী ‘মাধবীলতা’ ভেঙ্গে যাবে আর একটু পরেই,
তারপরও না দেখে পারি না।
কৈশোরের মাধবীলতার বয়স হয়েছে, যৌবনের মাধবীলতারূপী পাওলী দামের সামনে সেই
ঔজ্জ্বল্য নিয়ে দাড়াতে তার কষ্ট হয়, তারপরও আমি কৈশোরের মাধবীলতাকেই
আরাধ্য মানি – এখনো।
রেটিং: ৪.৫/৫
In Bruges (২০০৮)
দুজন হিটম্যানকে ব্রুজেস নামের এক শহরে আত্মগোপনে পাঠানো হয়, কারণ নতুন
হিটম্যানটি একটি মিশনে একটি ছোট্ট ছেলেকে ভুলক্রমে হত্যা করে। তার সাথীটিই
তাকে হত্যা করা দায়িত্ব পায়। ভুলের শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
পুরা সিনেমাটা ‘ফাক’ শব্দে পরিপূর্ণ। মোট ১২৬ বার, গড়ে ১.৮ মিনিটে একবার
করে। ব্ল্যাক কমেডি। সিনেমার ডায়লগগুলো দারুন। ব্ল্যাক কমেডি যেমন হয়,
একটু পাগলাটে, অভ্যাস না থাকলে এর মর্ম বোঝা কঠিন বৈকি।
রেটিঙ: ৪/৫
The Silence of the Lambs (১৯৯১)
বিখ্যাত উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র ড: হ্যানিবল। একজন উচু মানের
সাইক্রিয়াটিস্ট কিন্তু সিরিয়াল কিলার, তার সাথে কথা বলে আরেকজন সিরিয়াল
কিলারকে খুজে বের করার দায়িত্ব পড়ে ক্ল্যারিস স্টার্লিঙ নামের
শিক্ষানবীশি এফবিআই এজেন্টের উপর। অসাধারন এক থ্রিলার, হ্যানিবল চরিত্রে
অ্যান্থনি হপকিন্সের অভিনয় ভয় লাগিয়ে দেয়।
এই হ্যানিবল চরিত্রটিকে নিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কটি সিনেমা হয়েছে – প্রথমে
মাইকেল মান বানিয়েছেন ‘ম্যানহান্টার’ নামে – ১৯৮৬ সালে।১৯৯১ সালে জোনাথন
ড্যম অ্যান্থনি হপকিন্সকে নিয়ে বানান এই সিনেমাটি, ২০০১ সালে নির্মিত হয়
‘হানিবল’ নামের সিনেমা, ২০০৬ সালে ড: হ্যানিবল রাইজিঙ সিনেমাটি।
বাকীগুলোর কোনটাই দেখিনি, তবে এটা বেশ লেগেছে। জুডি ফস্টার অভিনয় করেছেন ক্ল্যারিস চরিত্রে।
রেটিঙ: ৫/৫
The Black Dahlia (২০০৬)
ব্রায়ান ডি পালমার সিনেমা দেখার একটু আগ্রহ হয়েছিল, তাই এই সিনেমাটা
দেখা। খুব একটা শান্তি পাইনি দেখে। বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই
সিনেমাটা। এলিজাবেথ শর্ট নামের এক মেয়ের বেশ কয়েক খন্ডের লাশ পা্ওয়া
যায়, তদন্তে নামেন দুজন এলএপিডি অফিসার।
সিনেমাটোগ্রাফির জন্য সিনেমাটা ভালো, ফিল্ম নয়ার বলা হয় এই ধরনের সিনেমাকে।
রেটিঙ: ৪/৫
Children of Men (2006)
সাই-ফাই সিনেমা কম দেখা হয়। ২০২৭ সালের পটভূমির এই সিনেমায় পৃথিবীর
শোচনীয় অবস্থা। মানুষের জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নেই। সারা পৃথিবী জুড়ে
দুরাবস্থা, নৈরাজ্য। কি নামের আফ্রিকান মেয়েটি প্রেগন্যান্ট, তাকে পৌছে
দিতে হবে শেষ সভ্য রাষ্ট্র ব্রিটেনে, দায়িত্ব থিও ফারোনের উপর।
সুন্দর কনসেপ্ট। দু’টি বেশ লম্বা টেক আছে সিনেমাটিতে। আলফনসো কারন এর পরিচালনা, ক্লাইভ ওয়েন অভিনয় করেছে।
রেটিঙ: ৪/৫
Daisy (2006)
দক্ষিন কোরিয়ার রোমান্টিক-অ্যাকশন সিনেমা। একই মেয়ের প্রেমে পড়ে দুইজন
ভিন্ন চরিত্রের মানুষ – একজন ছদ্মবেশী পুলিশ অফিসার অন্যজন পেশাদার খুনি।
ঘটনাচক্রে মেয়েটি বোবা হয়ে যায়, এগিয়ে আসে খুনি ব্যক্তিটি। এদিকে বেশ
কিছুদিন পরে ফিরে আসে প্রেমিক পুলিশটি, তার দায়িত্ব খুনিকে ধরার। সুন্দর
সিনেমা, রোমান্সটুকু হৃদয়ছোয়া।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
জুলাই ২০১১
Shallow Grave, ইউএসআ, ১৯৯৪
স্লামডগ মিলিওনেয়ার খ্যাত ড্যানি বয়েলের প্রথম দিকের সিনেমা। দুটো ছেলে
আর একটা মেয়ে যে বাসাটায় ভাড়া থাকে সেখানে একজন নতুন রুমমেট দরকার। নতুন
যে লোকটি উঠল, দুদিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া গেল বিছানায়, আত্মহত্যা।
কিন্তু তার ট্রাঙ্কভর্তি টাকা, অনেক টাকা। সেই টাকা আর লোকটার খোজে এল
পুলিশ, তার দলের সদস্যরা। সেই টাকার দখল আর ভাগ বাটোয়ারা তিনটে মানুষকে
কেমন পাল্টে দিলো। দারুণ সিনেমা। স্বল্প বাজেটে টানটান উত্তেজনা। ড্যানি
বয়েলের প্রথম দিকের সিনেমার সাথে বর্তমানের সিনেমা তুলনা করতে বেশ
প্রয়োজনীয় সিনেমা। রেটিং: ৪.৫/৫
No mans land, বসনিয়া, ২০০১
ঘটনাচক্রে একটি নো ম্যানস ল্যান্ডের ট্রেঞ্চে আটকা পড়ে একজন বসনিয়ান একজন
সার্ব যোদ্ধা। ক্ষমতার লড়াই, মিডিয়ার আধিপত্য আর রক্ষাকারীর অক্ষমতার এক
অপূর্ব সমন্বয় এই সিনেমায়। অসাধারণ এক গল্প, যুদ্ধবিরোধী দারুন এক
সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Juno, ইউএসআ, ২০০৭
বারো বছরের এক মেয়ে সেক্স কি জিনিস সেইটা জানতে চেয়ে সহপাঠির সাথে মিলন
এবং অকাল প্রেগন্যান্সি নিয়ে কাহিনী। আমি বুঝি নাই, এইটা কি খুব কমেডি কোন
সিনেমা নাকি? এই সিনেমা দেখার সময় মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় এই যুগের না,
কোন ভাবে প্রস্তরযুগ থেকে চলে আসছি – কারণ এই স্টোরি মেনে নিতে আমার কষ্ট
হচ্ছিল।
রেটিং: ৪/৫
A walk to remember, ইউএসআ, ২০০২
এই রোমান্টিক সিনেমাটার নাম এত এত শুনছি যে কান ঝালাপালা। সিনেমাটা দেখতে
দেখতে আমি মনে মনে বাংলায় ট্রান্সলেশন করে ফেললাম – এক হুজুরের বোরকা পড়া
মেয়ের সাতে হঠাৎ লাফাঙ্গা টাইপের এক ছেলের প্রেম হয়া গেল। হুজুর কোন
ভাবেই মেনে নিবে না, কিন্তু একদিন হঠাৎ বোরকা পড়া মেয়েটা তারে গিয়া
বুঝাইল – বাবা আমি কি বুঝি না, ডেটিং এ গেলেই কি আমি খারাপ হয়া যাবো? আমরা
দর্শকরা কি সাধারণ, তাই না? সিনেমার পরিচালকরা যাই দেখান, তাই দেখি আর আহা
উহু করি। ডিসগাস্টিং।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Seventh Seal, বেলজিয়াম, ১৯৫৭
ইঙ্গমার বার্গম্যানের বিশ্ববিখ্যাত সৃষ্টি। যম যখন দুয়ারে, নাইট তখন তাকে
প্রস্তাব দেয় দাবা খেলার জন্য। যদি যমদূত জিতে যায়, তবে নিশ্চিন্তে জান
নিয়ে যেতে পারবে, অন্যথায় নয়। শুরু হলো খেলা।
সাদাকালোয় নির্মিত এই সিনেমাটা তার থিমেটিক বক্তব্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। সিনেমা শিক্ষার্থীদের মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Laboratory, ভারত, ২০১০
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ল্যাবরেটরি গল্প অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। পরিচালক
চেষ্টা করেছেন ভালোই, সিনেমার প্রয়োজনে রবীনা টেন্ডনকে দিয়ে ভাঙ্গা
বাংলায় কথা বলিয়েছেন সত্য, কিন্তু নজর টানতে পারেন নাই। আমি হতাশ।
রেটিং: ৩/৫
Mr Bean’s holiday, ইউএসআ, ২০০৭
অলটাইম কমেডি সিনেমা। কার্সন ক্লে রচিত, প্রযোজিত, পরিচালিত, অভিনীত
সিনেমাটার কথা মনে থাকবে সবসময়। আনন্দ দেয়ার যে উদ্দেশ্য নিয়ে সিনেমাটা
নির্মিত, তা শতভাগ অর্জিত হয়েছে।
রেটিং: ৫/৫
Ice Age 3, ইউএসআ, ২০১০
অ্যানিমেশন সিনেমা। এনজয়েবল।
রেটিং: ৪.৫/৫
My Japanese Wife, ভারত, ২০১০
অপর্না সেনের সর্বশেষ সিনেমা। চিঠির মাধ্যমে জাপানী এক মেয়ের সাথে
প্রেম-পরিণয়। অথচ এখন পর্যন্ত মুখ দর্শন হলো না। কঠিন রোগে আক্রান্ত
জাপানী বউ, চলে ভারতীয় চিকিৎসা, অথচ শেষ পর্যন্ত মরে গেল জামাইটা। দারুন
গল্প। অপর্নার অন্যান্য কাজগুলোর মতোই এখানে লোকেশন এবং সিনেমাটোগ্রাফি
দারুন।
রেটিং: ৫/৫
Peepli [live], ভারত, ২০১০
বহুল আলোচিত সিনেমা। দারিদ্রের যাতনা সইতে না পেরে দুই ভাইয়ের একজন
আত্মহত্যায় রাজী হয়, কারণ তাহলে সরকার থেকে পাওয়া যাবে ১ লাখ রূপী।
লোকাল সাংবাদিকের কান থেকে সেই কথা চলে যায় মুম্বাইয়ের টিভি
ইন্ডাস্ট্রিতে। তাদের আগমনে মেলা বসে দরিদ্রের পর্ণকুটিরে, আসে সার্কাস,
খাবার বিক্রেতারা। রাজনৈতিক নেতারাও আসে – এ যে তাদের জন্য বিশাল ইস্যূ।
দারুন পটভূমি। দারুন সিনেমা
রেটিং: ৫/৫
The day of the jackle, ফ্রান্স, ১৯৭৩
গতমাসে দেখা ১৮ টি সিনেমার মধ্যে সবচে’ পছন্দের সিনেমা। ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্য গলকে হত্যা করার জন্য নিয়ে আসা হয় এক ভারাটে
খুনীকে, নিজেকে সে জ্যাকল বলে পরিচয় দেয়। ধীরে ধীরে অত্যন্ত
পরিকল্পিতভাবে প্রেসিডেন্টকে হত্যার জন্য একটু একটু করে এগোয় সে, ওদিকে
তাকে ধরার জন্য পুলিশ ছুটিতে থাকা এক ডেপুটি কমিশনারকে ডেকে পাঠায়।
ফ্রেডারিক ফোরসাইথের গল্প অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। তার এই জ্যাকল চরিত্রটি
পরবর্তীতে এক বাস্তব মানুষের সাথে জড়িত হয়ে যায়, একজন ভারাটে খুনী হবার
অপরাধে সে এখন জেল খাটছে। থ্রিলারপ্রেমিদের জন্য মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Grosse Point Blank, ইউএসআ, ১৯৯৭
দ্য ডে অব দ্যা জ্যাকল দেখার পরে ‘হিটম্যান’ সিনেমা দেখার আগ্রহ জন্মায়।
এই সিনেমাটার হিরো অনেকের সেরা হিটম্যানের তালিকায় রয়েছে, তাই দেখা হলো
সিনেমাটা। এটা যতটা না অ্যাকশন সিনেমা তারচে বেশী কমেডি আর রোমান্টিক
সিনেমা। খুব একটা ভালো লাগে নি, দেখার মতো নয়।
রেটিং: ৩/৫
The Killer, হংকং, ১৯৮৯
মিশন ইম্পসিবল খ্যাত জন উ’র সিনেমা। এটিও একটি হিটম্যান সিনেমা। পেছনে
পুলিশ অফিসার, সামনে একদল মাফিয়া। এই টাইপের কাহিনী নিয়ে বোধহয়
বাংলাদেশেও সিনেমা হয়েছে। জন উ’র পরিচালনায় এটা আরও উপভোগ্য হয়েছে এই
যা। না দেখলেও চলে।
রেটিং: ৩/৫
Tokhon 23, ভারত, ২০১০
সিনেমা নিয়ে লেখার সুবাদে মাঝে মধ্যে রিকোয়েস্ট পাই কোন নির্দিষ্ট সিনেমা
নিয়ে লেখার জন্য। ‘তখন তেইশ’ সেই অনুরোধে দেখা। শৈশব থেকে শুরু করে এক
পুরুষের জীবনে নারীর উপস্থিতি বিভিন্নরকম উপস্থাপন এই সিনেমায়। পাওলী দাম
অভিনীত, আর আছে ইন্দ্রানী হালদার। সাইকোলজিক্যাল সিনেমার দিকে ভারতের এক
ধাপ।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Proposition, অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭
চার ভাইয়ের সম্মিলিথ গ্যাং, পুলিশের কাছে ধরা পড়লো দ্বিতীয় এবং তৃতীয়
ভাই। তৃতীয়জনকে ছেড়ে দেয়া হলো এই শর্তে আগামী ক্রিস্টমাসের আগে বড়ভাইকে
নিয়ে ফিরতে হবে, তাহলে ছেড়ে দেয়া হবে তৃতীয়ভাইটিকে, অন্যথায় ফাসিতে
ঝুলবে। পুরোটাই ভিন্ন ধরনের ওয়েস্টার্ন সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Sting, ইউএসআ, ১৯৭৩
গ্রুপ জালিয়াতি কি জিনিস সেটা বুঝতে হলে এই সিনেমাটা অবশ্যই দেখতে হবে।
নেতা পল নিউম্যান কিভাবে মন্দার সময় কতটা প্রফেশনালভাবে ঠকাতে পারে তার
জন্য এই সিনেমার তুলনা নেই। রবার্ট রেডফোর্ট আছেন নিউম্যানের সাথে।
রেটিং: ৫/৫
August Rush, ইউএসআ, ২০০৭
মিউজিক নিয়ে এই সিনেমাটার কথা এতবার শুনেছি, তার ইয়ত্তা নেই। হয়তো এ
কারণেই কিনা জানি, আমি প্রচন্ড হতাশ সিনেমাটা দেখে। কাহিনীটাই অবাস্তব, তবে
মিউজিক আর গিটার বাজানোর নতুন পদ্ধতি জানতে এই সিনেমা দেখতে হবে।
প্রত্যেকের কাছে জীবন সংক্রান্ত ধারনাটাও বোঝা চাই।
রেটিং: ৩.৫/৫
It’s a wonderful Lifeইউএসআ, ১৯৪৫
এটাও বন্ধুর অনুরোধে দেখা। ফ্রাঙ্ক কাপরার শেষ সময়ের ফ্লপ কিন্তু অন্যতম
সেরা ক্ল্যাসিক সিনেমা। সমাজে ভালো মানুষরা কিভাবে গুরুত্বপূর্ন তার একটা
সুন্দর উদাহরণ এই সিনেমা। দেখার পর আমার উপলব্ধি: সমাজে ভালো মানুষরা হলো
মেয়েদের চুলের কাটার মতো, যাদের অবর্তমানে সবাই অবাধ্য আর উশৃংখল হয়ে
যায়।
রেটিং: ৫/৫
জুন ২০১১
অটোগ্রাফ, ভারত, ২০১১
সত্যাজিতের নায়ক অবলম্বনে শুভব্রত মিত্রের প্রথম পরিচালনা। উঠতি এক যুবক সিনেমা নির্মান করে ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার তরুণ চ্যাটার্জীকে নিয়ে। নায়িকা পরিচালকেরই লিভিং পার্টনার শ্রনন্দিতা। সিনেমা নির্মান শেষ কিন্তু প্রচার হবে কিসে? তরুণ চ্যাটার্জীর গোপন স্ক্যান্ডালটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যের হাতিয়ার।
চমৎকার সব গান। ভালো লাগবে। তরুন চ্যাটার্জি চরিত্রে প্রসেনজিত। লিখেছিলাম এ নিয়ে, রাজনৈতিকে প্রকাশিত: http://goo.gl/HJnpv
রেটিং: ৪.৫/৫
Chalo Lets Go, ভারত, ২০০৮
অঞ্জন দত্তের পরিচালনা। তিন বন্ধু একটা ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বসে। সেখানে
বারোয়ারি যাত্রী। এক এক জনের এক এক রকম চরিত্র। যাত্রাপথে নানা রকম কাহিনী।
মজার সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
Gran Torino, ইউএসআ, ২০০৮
গ্রেট ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালক। একাকী এক বুড়ো যার কাছে দুনিয়ার সব কিছু্ই
প্রচন্ড বিরক্তিকর, বিশেষত টিনএজ জেনারেশন, কিভাবে যেন পাশের বাড়ির জাপানীজ
একটা ফ্যামেলির ছেলেটা এবং মেয়েটার সাথে খাতির হয়ে গেল। কিন্তু ঝামেলা
বেধে গেল উঠতি বয়সের বখাটে ছেলেদের সাথে। ওরাই একদিন রেপ করে পাশের বাড়ির
মেয়েটাকে। প্রতিশোধ নিতে উঠে দাড়ায় বুড়ো লোকটা, তার বয়স প্রায় নব্বুই !
রেটিং: ৪.৫/৫
থানা থেকে আসছি, ভারত, ২০১০
১৯৬৬ তে উত্তম কুমার এর সিনেমার রিমেক। এবার তার জায়গায় সব্যসাচী
চক্রবর্তী। ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর মেয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানের রাতে কোন এক
বস্তিতে আত্মহত্যা করলো একটি মেয়ে, তার কাছে পাওয়া গেল একটি ডায়েরী, সেখানে
ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলের নামই লেখা। ইন্সপেক্টর তিনকড়ি হালদার
এলেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। বেরোতে লাগলো একটি একটি অজানা কাহিনী।
রিমেকে সব্যসাচী সাফল্যের সাথে উতরে গেছেন।
রেটিং: ৫/৫
কালপুরুষ, ভারত, ২০০৫
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরিচালনা। সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ রাহুল বোস জীবনের কোথাও
কোন প্রভাব রাখতে পারে না, কিন্তু তার বাচ্চাকাচ্চাদুটোর সাথে তার ভারী
ভাব। মাঝে মাঝে সে শৈশবের সেই বাশী শুনতে পায়। স্ত্রী সুপ্রিয়া তার সামনেই
পরকীয়া করে আরেকজনের সাথে। সবাইকে ফেলে দুমাস আমেরিকায় কাটিয়ে আছে। অসাধারণ
এক কবিতা।
রেটিং: ৫/৫
বিবর, ভারত, ২০০৮
যৌবনে কমুনিস্ট আন্দোলন করা বিরেশ ঘোষ চাকরী করতে এসে দুর্নীতির পরিবেশে
হাসফাস করে, রাতে মদ খায়, একটা কলগার্লের সাথে সম্পর্ক। এনআরআই হরলাল
ভট্টাচার্যকে ফাসাতে একদিন খুন করে বসে তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হরলাল
আটকা পড়ে না। বড়দের মুভি।
রেটিং: ৩/৫
Conviction, ইউএসআ, ২০১০
অসাধারন এক সিনেমা, বাস্তব ঘটনার উপর নির্মিত। কেনি ওয়াটার্স এর মাথা একেটু
গরম, তাই বলে সে খুন করেনি, কিন্তু সাজা হয়ে গেল সারা জীবনের জন্য। বোন
অ্যানি বেটি ওয়াটার্স সব রকমের চেষ্টা করলো, টাকার অভাবে একজন ভালো
অ্যাটর্নি দিতে পারলো না, তাই নিজেই ল পরা শুরু করলো। ততদিনে আবিস্কার
হয়েছে ডিএনএ টেস্ট। জটিল সিনেমা, হিলারী সোয়াংক অভিনয় করছে।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Truman Show, ইউএসআ, ১৯৯৮
একটা লোকের পুরো জীবনটাই সিনেমার সেটে, সেখানে বাকী সবগুলো মানুষ একএকটি
চরিত্র। আর তাদের কর্মকান্ড দেখছে সারা বিশ্বের মানুষ। দারুন কনসেপ্ট।
ব্রিলিয়ান্ট। জিম ক্যারি অভিনীত।
রেটিং: ৫/৫
Udaan, ভারত, ২০১০
বাবা যদি বাবা না হয়ে অফিসের বস হয় তবে কেমন লাগে? চমতকার এই সিনেমাটা কিছুদিন আগে পুরস্কার পেল। দারুন সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
মে ২০১১
Trainspotting, Britain, 1996
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার খ্যাত ড্যানি বয়েল এর সিনেমা। বিষয় মাদক। যারা রিকুয়েম অব আ ড্রিম দেখেছেন তাদের জন্য আরেকটি ভালো সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Notebook, USA, 2004
রোমান্টিক। সিনেমাটোগ্রাফির জন্য অবশ্যই দেখনীয়। কাহিনী গতানুগতিক।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Devil’s Advocate, USA, 1997
আল পাচিনো আর কিয়ানু রিভস অভিনীত, টাইলর হ্যাকউড পরিচালিত। দারুন সিনেমা। মাস্ট সি।
রেটিং: ৫/৫
12 Angry Man, USA, 1957
অনবদ্য স্টোরী। লিডারশিপ মুভির অন্যতম এই সিনেমা। সাদাকালো যুগে নির্মিত।
রেটিং: ৫/৫
True Grit, USA, 2010
কোয়েন ব্রাদার্সের আরেকটি সিনেমা। ওয়েস্টার্ন ক্যাটাগরী। ছোট্ট মেয়েটির প্রথম অভিনয়, কিন্তু সাফল্য আশাতীত।
রেটিং: ৪.৫/৫
The sea Inside, Spain, 2004
একজন প্যারালাইসড রোগী সম্মানের সাথে মৃত্যুর আবেদন করছেন, কিন্তু উপেক্ষা
করা হচ্ছে সে আবেদন। প্রচন্ড ব্যক্তিত্ব দু-দুজন নারীকে এ অবস্থায়ও তার
প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।
মাস্ট সি ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
Kick Ass, USA, 2010
উড়াধূড়া সিনেমা। দেখে নাইম নষ্ট করা ঠিক হবে না। তবে অ্যাকশন দৃশ্যুগুলো দেখো যেতে পারে। আমিও তাই দেখেসি।
রেটিং: ২/৫
Heat, USA, 1995
রবার্ট ডি নিরো, আলপাচিনো, ভ্যাল কেলমার অভিনীত। দুর্দান্ত সিনেমা। মাস্ট মাস্ট সি সিনেমা।
৫/৫
এপ্রিল ২০১১
I’m a cyborg but that’s ok, Korea, 2006
আরেকটা পার্ক চ্যান উক ফিল্ম। অন্যান্য সিনেমাগুলোর মতোই বেশ ডিস্টার্বিং
সিনেমা, কিন্তু শেষ করার পর বুঝলাম অন্যতম একটা কমেডি সিনেমা দেখলাম।
নায়িকা মানসিক রোগী, নিজেকে সাইবর্গ মনে করে, তার সাথে প্রেম হয় আরেক
রোগীর।
রেটিং: ৪/৫
The last exorcism, USA, 2010
এক ডকুমেন্টারী টিম একটা এক্সরসিজম শ্যুট করার জন্য যায়, উদ্দেশ্য – এখানে
যে জালিয়াতিটা হয় সেটা ফাস করে দেয়া। কিন্তু ঘটনা মোড় ঘুরে যায় যখন দেখা
গেল মেয়েটি সত্যিই অসুস্থ্য এবং প্রেগনেন্ট। তবে কি সে শয়তানের সন্তান
গর্ভে ধারণ করছে?
পুরোটাই ডকুমেন্টারী ট্রিটমেন্টে করা হয়েছে, ফলে আরও বেশী জীবন্ত মনে হয়েছে।
রেটিং: ৪/৫
Requiem of a dream, USA, 2000
ড্যারেন অ্যারোনফস্কির সিনেমা। ড্রাগ অ্যাডিক্ট একটা পরিবার নিয়ে সিনেমা।
এত অসাধারণ সিনেমা আমি খুব কমই দেখেছি। মাস্ট মাস্ট সি সিনেমা
রেটিং: ৫/৫
নটবর নট আউট, কলকাতা, ২০১০
কমেডি সিনেমা। মূল আগ্রহ ছিল এর নায়ক, সে নাকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে
পড়ে। বেশ চমতকার হয়েছে সিনেমাটা, তবে সিনেমা না বলে থিয়েটারের সিনেভার্সন
বললে ঠিক হয়। এনজয়েবল সিনেমা।
রেটিং: ৩.৫/৫
Gunless, Canada, 2010
দেখার পেছনে মূল আকর্ষন ছিল চমতকার কিছু শট, ঝকঝকে ছবি। পরে বুঝলাম এটা কমেডি সিনেমা, এমন কমেডি না দেখলেও চলে।
রেটিং: ৩/৫
There will be blood, USA, 2007
আরেকটা মাস্ট সি সিনেমা। ‘আই অ্যাম আ অয়েলম্যান’ – কিভাবে এক লোক একাই
তেলের ব্যবসা গড়ে তুললো সেটা নিয়ে সিনেমা। চমতকার ফটোগ্রাফি। অস্কারজয়ী
সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Notting hill, USA, 2009
চমতকার রোমান্টিক সিনেমা, হিউ গ্রান্ট আর জুলিয়া রবার্টস অভিনীত। সিজন
চেঞ্জ এর একটা বেশ আকর্ষনীয় উদাহরন আছে এখানে। স্টুডিও সিনেমা যে কতটা
কন্ট্রোলড – সেটা বোঝার জন্য এই সিনেমাটা বেশ পারফেক্ট।
রেটিং: ৪/৫
মার্চ ২০১১
The Ninth Gate, ইউএসআ, ১৯৯৯
আইএমডিবির রেটিং ভালো না, মনে হয় থ্রিলার আর হরর এর মিশেল রোমান পোলানস্কির কাছে থেকে কাম্য ছিল না .. এনিওযে বেটার সিনেমা।
রেটিং: ৩.৫/৫
তিন ইয়ারী কথা, ভারত, ২০০৮
কোলকাতার সিনেমা। সমস্যায় জর্জরিত এক রুমের বাসিন্দা তিন ধরনের তিন বন্ধু
এবং তাদের আশেপাশের পৃথিবী নিয়ে সিনেমাটা। প্রোমাকাঙ্খা, যৌনাকাঙ্খা,
হাসি-কান্না আর সুরা – কিভাবে তিন বন্ধুকে বারবার আলাদা করে আবার এক সূত্রে
বাধে সে গল্প এখানে। স্বপ্নের দৃশ্যায়নগুলো চমৱকার এখানে।
রেটিং: ৩/৫
Sympathy for Mr Vengence,কোরিয়া,২০০২
ওল্ডবয় খ্যাত পার্ক চ্যান উক এর ভেনজেন্স ট্রিলজির প্রথম পর্ব এটি। বোবা
একটি ছেলে তার বোনের চিকিতসার জন্য কিডন্যাপ করে একটি ফুটফুটে সুন্দর
মেয়েকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে মারা যায় মেয়েটি। বোবা ছেলেটিকে খুজছে
মেয়েটির ধনাঢ্য বাবা অন্যদিকে বোবা ছেলেটি একে এক হত্যা করে যাচ্ছে সেই
চক্রটিকে যারা তার কাছ থেকে কিডনী কিনে নিয়েছিল এবং সেই সাথে জমানো অর্থও।
বেশ ভায়োলন্ট সিনেমা এটি।
রেটিং: ৪/৫
Sympathy for Lady Vengeance, কোরিয়া, ২০০৫
ভেনজেন্স ট্রিলজির থার্ড পর্ব। মাঝের পর্ব ওল্ড বয়। এবার মূল চরিত্র একটি
মেয়ে, শিশু হত্যার দায়ে যার ১২ বছরের জেল। কিভাবে সে তার জেলমেটদের
সহযোগিতায় আসল হত্যাকারীকে খুজে বের করে এবং তাকে হত্যা করে তারই গল্প।
বেশ ভায়োলেন্ট সিনেমা, দৃর্বল চিত্তরা না দেখলেই ভালো্ এবং বেশ মনযোগ
সহকারে দেখা উচিত।
রেটিং: ৩.৫/৫
The exorcist, ইউএসআ, ১৯৭৩
এই সিনেমাটা না দেখে হরর সিনেমা দেখাটা বোধহয় এক ধরনের পাপ। ১২ বছরের একটি
মেয়ের মধ্যে বাসা গাড়ে শয়তান, তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এক ফাদার। বাস্তবেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল
ওয়াশিংটনে, ১৯২৪ সালে। মাস্ট সি ফিল্ম
রেটিং: ৪.৫/৫
Exorcist II: The Heretic (1977), ইউএসআ,১৯৭৭
এক্সরসিস্ট সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব যদিও পরিচালক থেকে শুরু করে সবাই
পরিবর্তিত। সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন বড় হয়েছে, কিন্তু পিছু ছাড়েনি
শয়তানের দল। বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে যদিও কিন্তু অশরীরী
বিষয়গুলোতে এখনও কিছু অজ্ঞতা রয়ে গেছে। সমাধানে ফিরতে হলো সেই বাড়িতে,
এবার নতুন একজন ফাদার।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Exorcism of Emily Rose, ইউএসআ, ২০০৫
হরর এবং কোর্টরুম ড্রামা। এমিলি রোজকে চিকিতসা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ
দিয়ে তাকে হত্যা করতে সাহায্য করেছেন ফাদার, তাই তিনি আসামী। তার আইনজীবি
এরিন কে সাহায্য করবেন একটাই শর্তে – এমিলি রোজের কাহিনী সবার সামনে বলার
সুযোগ দিতে হবে তাকে। তবেই পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে, সব কিছুই বিজ্ঞান
দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
রেটিং: ৪/৫
Fight Club, ইউএসআ, ১৯৯৯
ডেভিড ফিঞ্চারের সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। সব দিক দিয়ে ভিন্ন এমন দুই বন্ধু
সামান্য বিনোদনের জন্য মারামারি শুরু করেছিল, দিনে দিনে সেটাই হয়ে গেল
একটা ফাইট ক্লাব, যার সদস্যরা ছড়িয়ে আছে সবজায়গায়, স-ব-খা-নে। কিন্তু
যে দুই বন্ধু মিলে শুরু করেছিল, তারা কি আসলেই দুইজন? নাকি এক ব্যক্তিই?
ডিস্টার্বিং মুভি, মনযোগ দিয়ে না দেখলে বোঝা কষ্ট।
রেটিং: ৪/৫
ফেব্রুয়ারী ২০১১
A moment to Remember, সাউথ কোরিয়া, ২০০৪
এই সিনেমাটা সম্পর্কে এত বার রিকমেন্ড পেয়েছি যে না দেখে থাকা গেল না। অবশ্যই পুরোটাই উসুল হয়েছে। চমতকার একটা রোমান্টিক সিনেমা। মিষ্টি মিষ্টি প্রেম ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত কত দিকেই না গড়িয়ে যায়।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
জানুয়ারী ২০১১
Frida, ইউএসআ, ২০০২:
মেক্সিকান স্যুরয়েলিস্ট পেইন্টার ফ্রিদা কাহলোর বায়োগ্রাফিক সিনেমা। ছবির
সাথে আছে সমকালীন রাজনীতিও। ফ্রিদা চরিত্রে অভিনয় করেছে সালমা হায়েক।
রেটিং: ৩.৫/৫
Duck, You Sucker ইউএসআ, ১৯৭১:
দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি খ্যাত সার্জিও লিওনির টাইম ট্রিলজির
সেকেন্ড পার্ট হলো এই সিনেমা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এক ডাকাত দলের
নেতা হুয়ান, ঘটনাক্রমে পরিচয় হয়ে যায় জন নামের এক বিপ্লবীর সাথে। জনের
ডাইনামাইটকে কাজে লাগাতে চায় হুয়ান, কিন্তু ঘটনাক্রমে সে হয়ে যায় বিপ্লবী।
জটিল সিনেমা।
রেটিং ৪/৫
Once upon a time in America, ইউএসআ, ১৯৮৪:
এটাও সার্জিও লিওনির সিনেমা, টাইম ট্রিলজির থার্ড পার্ট। আমেরিকার জুইশদের কিছু কিভাবে আন্ডারওয়ার্ল্ড এ যোগ দেয়, বন্ধুতা আর প্রতারণার কাহিনী নিয়ে এই সিনেমা। ৩ঘন্টা ২৯ মিনিটের এই সিনেমা একটা মাষ্টারপিস, মাস্ট সি।
রেটিং ৫/৫
Cinderella Man, ইউএসআ, ২০০৫:
এই সিনেমাটা না দেখার কারণে বেশ কয়েকবার গঞ্জনা শুনতে হয়েছে। এবার দেখা হলো, আসলেই বেশ। রাসেল ক্রো যদিও জেমস জে ব্র্যাডক নামে এক বিখ্যাত হেভিওয়েট বক্সারের ভূমিকায় অভিনয় করেছে, আমি এই সিনেমায় দেখেছি মহামন্দার ভয়াবহ চিত্র আর পরিবারের প্রতি আপত্য স্নেহ, ভালোবাসা। রন হাওয়ার্ড পরিচালিত।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
ডিসেম্বর ২০১০
Following, ইউকে, ১৯৯৮
ক্রিস্টোফার নোলানের পরিচালিত প্রথম ফিচার ফিল্ম। সাদা-কালো। লেখক হতে চাওয়া এক ভদ্রলোক তার উপন্যাসের চরিত্র সৃষ্টির জন্য এক চোরের সাথে গাঁট বাধলেন, কিন্তু জড়িয়ে গেলেন ভিন্ন এক ঝামেলায়। একটি বিস্তারিত পোস্ট আছে এই সিনেমা নিয়ে।
স্টোরী টেলিংটা মেমেন্টো, প্রেস্টিজের মতোই। ভালো লাগবে। রেটিং ৪/৫
Angel A, ফ্রান্স, ২০০৫
লুক বেসোর পরিচালনা, মিথ্যা আর দেনায় জর্জরিত আন্দ্রে যখন মুক্তির জন্য
আত্মহত্যা করতে উদ্যত, তখনই এক লম্বু সুন্দরী মেয়ের সাথে পরিচয় এবং সব
ঝামেলা থেকে উদ্ধার করে।কে এই সুন্দরী? সে একজন অ্যাঞ্জেল, কাজ শেষে ফিরতে
হবে তাকে, কিন্তু আন্দ্রে যে তাকে ভালোবেসে ফেলেছে?
সাদা-কালো, দারুন ফটোগ্রাফি.. রেটিং ৪/৫
The Spanish Inn: ২০০২, ফ্রান্স
জেভিয়ার নামে ফ্রান্সের একটা ছেলে বার্সেলোনায় যায় উচ্চশিক্ষার্থে, সেখানে
এমন একটি ফ্ল্যাটে তার জায়গা হয় যেখানে বাসিন্দারা ইংল্যান্ড, স্পেন,
জার্মানী, ইটালী এবং ডেনমার্ক থেকে আগত তার মতোই শিক্ষার্থী। একটা ফ্ল্যাটে
মিলেমিশে থাকা, নানা রকম ঘটনা নিয়েই সিনেমাটা । কমেডি, ড্রামা ধাচের।
রেটিং ৩.৫/৫
Bad Guy, ২০০১, কোরিয়া
আরও একটা কিম কি দুক। একটা নিষ্পাপ মেয়েকে জোর করে বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য
করে যে ছেলেটি তার প্রতিই একটা অন্যরকম আকর্ষন গড়ে উঠে মেয়েটির, কারণ কি?
ছেলেটা তাকে বাধ্য করলেও সে কিন্তু শুরু থেকেই তার প্রতি অনুরক্ত ছিল।
এটা দেখার পরে কিম কি দুকের থ্রি আয়রনের সাথে তুলনা করে দেখছি, কোনটা বেশী রোমান্টিক।
রেটিং ৪/৫
V for vendetta, ২০০৬, ইউএসআ
বহুল আলোচিত এই সিনেমাটা আবারও দেখলাম। ভালোই লাগলো এবারো। প্রতিশোদপরায়নতা নিয়ে একটি ভালো গল্প।
রেটিং ৩.৫/৫
The Ghost Writer: ২০১০, ইউএসআ
রোমান পোলানস্কির আরেকটি ভালো সিনেমা, পলিটিক্যাল ড্রামা। গুড ডেপিকশন, আই
লাইক ইট। টনি ব্লেয়ারের দিকে আঙ্গুল তুলে আছে এই সিনেমাটি … ৪.৫/৫
Valkyrie: ২০০৮, ইউএসআ
জার্মান সৈন্যদের পক্ষ থেকে দেখানো সিনেমা। হিটলারকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল জার্মানিরই কিছু সেনা… টম ক্রুজের অভিনয় … ৪/৫
স্বপ্নের দিন: ভারত, ২০০৪
কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের আরেকটি তৃপ্তিদায়ক সিনেমা। প্রসেনজিত মূল চরিত্র,
গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রজেক্টরে কন্ডম ব্যবহারের সিনেমা দেখানোই তার কাজ।
পথে দেখা হয়ে গেল বেগম আমিনা খাতুনের ((রিমি সেন) সাথে। তাকে বর্ডারে পেীছে
দিতে গিয়ে ঘটনাপ্রবাহে পরেশ নিজেই বর্ডার পাস করে যায়। আমাদের মোর্শেদুল
ইসলামের ‘চাকা’ সিনেমার সাথে দৃশ্যায়নে মিল পাওয়া যায়…রেটিং ৪/৫
The Illusionist: ইউএসএ, ২০০৬
নেইল বার্গারের পরিচালনায় এডওয়ার্ড নর্টনের অভিনয়। ম্যাজিক নিয়ে সিনেমা,
সময়টা শতকের গোড়ার দিকে। বেশ ভালো লাগলো, তবে দ্য প্রেস্টিজের মতোন নয় 😉
রেটিং ৪/৫
দ্য বাটারফ্লাই এফেক্ট:
সাইকোলজিক্যার থ্রিলার, ড্রামা। ২০০৪ সালের সিনেমা। টুইস্টিং, আমাকে কনফিউজ করে দিয়েছে। আ বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমার মতোই। এই সিনেমায় একটা ডায়লগে বাংলাদেশের কথা বললো। রেটিং: ৪/৫
Life In a Metro
ভিন্ন ধরনের স্বাদ আছে হিন্দী এই মুভিতে। জেমস, প্রীতম আর ওই ব্যাটার ব্যান্ডটার আইডিয়া জটিল হৈসে… রেটিং: ৪/৫
আরও দুইটা কিম কি দুক।
Time – একই ফেস দেখতে দেখতে বয়ফ্রেন্ড ক্লান্ত হয়ে যাবে এই ভয়ে মেয়েটা তার ফেস পরিবর্তন করে ফেললো বয়ফ্রেন্ডকে না জানিয়েই … কিন্তু নতুন কোন মেয়েকে ভালো লাগছে না সেই ছেলের, কারণ পুরানো গার্লফ্রেন্ডকেই তার বেশী করে মনে পড়ছে… রেটিং: ৪/৫
Dream – একটা ছেলে স্বপ্নে যা দেখে ঠিক একই সময়ে সেই কাজটাই করে একটা মেয়ে… রেটিং: ৪.৫/৫
নভেম্বর ২০১০
Madly Bangali
জীবনমুখী গায়ক অঞ্জন দত্তের পরিচালনা, অসাধারণ সিনেমা। চারটে ছেলে মিলে একটা বাংলা রক ব্যান্ড গড়েছিল একসময়, তাদের সাথে জুটে গিয়েছিল স্যান নামে এক পাগলাটে লোক। সেই ব্যান্ডটাকে একটা প্রতিযোগিতায় পার্ফম করতে নিয়ে গিয়েছিল …. … জটিল সব গান আছে সিনেমাটায়। রক মিউজিক পছন্দ করেন এমন সবাই সিনেমাটা পছন্দ করবেন এটা বলা যায়।
রেটিং: ৪/৫
The Bow
আরেকটা কিম কি দুক। ১৯৯৯ সালের সিনেমা। এইটাও মাথার উপ্রে দিয়া গেছে। অবশ্য সিনেমাটা দেখছি সাউন্ড ছাড়া, সাউন্ড ইন্সটল করা হয় নাই এখনো।
The Usual Suspects
কেভিন স্পেসি অভিনীত সিনেমা। ১৯৯৫ সালের সিনেমা, কিছু সিনেমা আছে যার এন্ডিং খুব টুইস্টিং। বোধহয় এই সিনেমাটা তার গুরু। সিম্পলি অসাম মুভি। মাস্ট অ্যান্ড মাস্ট সি।
The Isle
কোরিয়ান সিনেমা। কিম কি দুকের প্রেমে পড়ে এই সিনেমাটা দেখা। বিস্তারিত পোস্টে আছে।
Old Boy
এই সিনেমাটাও কোরিয়ান সিনেমা। এই সিনেমাটা নিয়ে আমার সাম্প্রতিক মন্তব্য: “আজগুবি সিনেমা- এমন কমেন্ট করাটা নেহায়েতই আজগুবি হবে।” ক্রাইম আর রিভেঞ্জে এর সিনেমা।
The Usual Suspects:
কেভিন স্পেসি অভিনীত সিনেমা। ১৯৯৫ সালের সিনেমা, কিছু সিনেমা আছে যার এন্ডিং খুব টুইস্টিং। বোধহয় এই সিনেমাটা তার গুরু। সিম্পলি অসাম মুভি। মাস্ট অ্যান্ড মাস্ট সি।
The Isle:
কোরিয়ান সিনেমা। কিম কি দুকের প্রেমে পড়ে এই সিনেমাটা দেখা। বিস্তারিত পোস্টে আছে।
Old Boy:
এই সিনেমাটাও কোরিয়ান সিনেমা। এই সিনেমাটা নিয়ে আমার সাম্প্রতিক মন্তব্য: “আজগুবি সিনেমা- এমন কমেন্ট করাটা নেহায়েতই আজগুবি হবে।” ক্রাইম আর রিভেঞ্জে এর সিনেমা
Ami last dekhsi ’13-the conspiracy’ movie ta. Valo lage nai 🙁
Watched “The Truman show”.
http://www.imdb.com/title/tt0120382/
Just blinded with the acting skill of Jim Carry.
গতপরশু দিন রাতে ‘The Book Of Eli’ সিনামাটা দেখলাম। মানে দেখা শেষ করলাম আর কি। মানে, তার আগের দিন রাতে খাইয়া দেখতে বসছিলাম, বাট, পুরাটা শেষ করতে পারি নাই। তাই গতপরশুদিন বাকিটা জোড়া দিয়া দেখা শেষ করলাম।
কেমন লাগলো? হাতাশ হইছি। ডেন্জাল ওয়শিনটনের এই টাইপ মুভি করার ঠেকা কেন পরলো বুঝলাম না। ওরে আছে দেইখাই মুভিটা দেখতে বইছিলাম।
অভিনয়ের কিছুই নাই। মানে অভিনয় করার মত কিছু এই মুভিতে নাই। কিছু মারা-মারি আছে। আর আছে একটা ফ্লাট কাহীনি। সিনামার মেকিংও সোজা-সাপটা।
কহীনি হলো, ভবিষ্যতের। যখন পৃথিবীতে আবার মধ্য যুগ চইলা আসছে। সভ্যতার পতন হইছে। আর মানুষ হইয়া গেছে বন্য। মানে সাই-ফাইগুলিতে/ফ্যান্টসিগুলি এমন কিছুই দেখাতে চেষ্টা করে। যাই হোক, এ্যালাই (ডেন্জাল), একজন nomad in a post-apocalyptic world; যার কাছে একটা বই থাকে – বিশেষ একটা বই – সে ওই বাইটাকে হেফাজত করে রাখে। কোন এক সময় তার গভীর ঘুমের ভেতরে এক অলৌকিক কন্ঠ তাকে বলে, বইটা নিয়ে ওয়েস্টের দিকে যাত্রা করতে। এবং সে পথে নামে। রুক্ষ, ধুধু প্রান্তরের পর প্রান্তর সে পার হয়। নানান প্রতিকুল অবস্থায় আত্বরক্ষার্থে সে বিশেষ দক্ষতা অজর্ণ করে।
মোটামুটি এই হলো সামারি। তো সেই বিশেষ বইটা কি? The last remaining ‘পবিত্র বাইবেল’।
কেন ‘পবিত্র বাইবেল’ নিয়ে এ্যালাইকে যাত্রা করতে হলো ওয়েস্টে দিকে – সেইটা যে দখতে চান, দেইখা নিতে পারেন।
সিনামার প্রিন্টা ডার্ক টাইপ। না কি আমার প্রিন্টাই এমন – কে জানে? তবে এই সিনামা টাকা তো মনে হয় ভালোই কামাইছে।
Budget: $80 million
Gross revenue: $157,091,718
উইকিপিডিয়া থেকে পাওয়া তথ্য।
যাই হোক, আপনারা দেখেন। আমার ভালো লাগে নাই তো কি হইছে। আমার একার ভালো না লাগায় কার কি আসে যায়।
ভালো থাকেন
এটা ভাই রূপ কথা গল্প আপনি da Vinci code and angle and demon movie দুটি দেখবেন ৫০/৫০ সত্য অধের্ক
আসলে সম্পুর্ন সত্য না দেখার কারন আসে আসল উওর ছবি দেখে বুঝবেন
জসিলা রিভিউ হৈসে তারিক ভাই, চালায়া যান, আছি আপনার সাথে
আমি দেখেছি বেশকিছুদিনের মধ্যে……।।
১। the girl with dragoon tattoo
2. the horse whisperer
3.public enemy
4.the fountain
5. butterfly effect
the more i will update later..
মেঘদূত ভাইয়ের ব্লগ পড়ে দেখলাম মঙ্গোলিয়ান পিংপং । ভালো মুভি । সাতোশি কুন এর দুইটা মুভি দেখবো । জাপানিজ ডিরেক্টর । মুভির নাম মিলেনিয়াম অ্যাকট্রেস এবং পাপরিকা ।
http://www.imdb.com/title/tt0851578/
পাপরিকার আইএমডিবি লিংক পড়ে মনে হইল ইনসেপশান এর কনসেপ্ট অরিজিনাল না । তাই পাপরিকা ডাউনলোড দিসি ।
ধন্যবাদ শুভ, খুব ভালো লাগলো আপনার কমেন্ট দেখে।
আসিফ মুভি পাগলা, বলেন কি? শুনে বেশ রোমাঞ্চ হচ্ছে, ইনসেপশন এর আইডিয়াও ধার করা? না হলেই ভালো
http://toysrevil.blogspot.com/2010/07/paprikas-inception-similarities-between.html
লিঙ্কটি এসম্বন্ধে কিছু বলছে..
ধন্যবাদ বাউন্ডুলে আপনার লিংক সহায়তার জন্য। অন্য মুভিটা দেখার পরে কিন্তু অবশ্যই জানাবেন, ওকে?
দারাশিকো ভাই । কমেন্টগুলা সাবস্ক্রাইব করব কেমনে? মানে যদি কেউ কমেন্ট করে আমি কেমনে টের পাবো?
আসিফ ভাই, একটা ভালো দিক তুলে ধরেছেন। কিভাবে করা যাবে সেটা তো জানি না, তবে ডেভলপার ভাই-র সাথে কথা বলে দেখতে পারি…
আশা করছি খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে।
অনেক ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক।
OLD BOY (2003)
INCEPTION (2010)
থ্রি আয়রন দেখলাম। এককথায় চ্রম মুভি। মাস্ট সি।
দুইদিন আগে দেখলাম far and away. দিত্বীয়বারের মত, অসাধারন সুন্দর প্রেমের ছবি।
টম ক্রুজ আর নিকোল কিডম্যান,চমতকার অভিনয়।
এই দুইজন বাস্তবে কাপল ছিলেন এখন ডিভোসর্ড
ধন্যবাদ এলোমেলো, আইএমডিবি দেখলাম। ক্রুজের বক্সিং নিশ্চয়ই খুব জোস ছিল, তাই না?
the expendables
oti joghonno movie.vai eto baaje sobi ei bosor ey r mone hoy dekhi nai.director s.stalone k police er haate uthaiya dewa uchit.আরে ব্যটা,এক টা মুভি তেই এত মানুষ মারবি………পরের গুলার জন্য কিছু ত রাখ………………।।
ভাই ইস্তিয়াক, জটিল মন্তব্য করেছো দেখি।
এই কমেন্টা জটিল হৈসে .. “আরে ব্যটা,এক টা মুভি তেই এত মানুষ মারবি………পরের গুলার জন্য কিছু ত রাখ………………”
আসলেই.. ব্যটারা যত মানুষ মারে তাতে দুনিয়ায় মানুষ অর্ধেক হয়ে যেত।
আরেকটা কিম কি দুক। নাম দ্য বো, ১৯৯৯ সালের সিনেমা। এইটাও মাথার উপ্রে দিয়া গেছে। অবশ্য সিনেমাটা দেখছি সাউন্ড ছাড়া, সাউন্ড ইন্সটল করা হয় নাই এখনো।
English: Harry Potter and The Deathly Hollows (7/10), Skyline (3/10 – worst sci-fi horrow ever), Due Date (7.5/10), Jack Ass (6.5/10 – too gross), You Again (5.5/10 – sweet comedy), Red (5.5/10), Despicable Me (6/10)
Hindi: Guzaarish (6.5/10), Action Reply (5/10), Golmaal 3 (5/10), Rakht Ch…arit (7.5/10)
ধন্যবাদ ধ্রুবতারা। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য এবং রেটিং দেখে.. নি:সন্দেহে বাজে মুভিগুলো এড়ানো যায় রেটিং অনুযায়ী ..
আবারো আসবেন। 🙂
ঈদের আগেই শেষ মুভি দেখেছিলাম।”Flipped”
http://www.imdb.com/title/tt0817177/
খুব ইন্টারেস্টিং কিছু মনে হয় নাই কিন্তু মেকিং ভালো লেগেছে।
1. Lemon Tree (Israel) মাছুম ভাইয়ের রিকমেন্ডশন। অনেব ভালো লাগছে
2. Gentleman’s Agreement (1947) গ্রেগরি পেক অভিনীত অস্কারজয়ী হলিউড মুভি। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খুবই শক্তিশালি সংলাপনির্ভর মুভি
3. All The King’s Man (1949)অরেকটি অস্কারজয়ী হলিউড মুভি। মুভিটির প্রাণ শক্তিশালী সংলাপ এবং কাহিনী বিন্যাস এবং অভিনয়। দেখেই আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের কথা মনে পড়ে গেছে। রাজনীতির নোংরা দিক চমৱকারভাবেই ফুটে উঠেছে। হলিউডেই এর একটা রিমেক আছে। শনপেন অভিনীত।
@বস রুশো, আপ্নি কি বস সিনেমা ছাড়া আর কোন সিনেমা দ্যাখেন না ? ক্যান দ্যাখেন না? ক্যান? ক্যান? ক্যান?
অট: লাখো ধন্যবাদ, কমেন্টের এই ধারা জারি রাইখেন। 😉
@ ধন্যবাদ ফ্রয়েডের অবচেতনা। আবারও আসবেন।
The Killer(Korian)
21 grams
Up In The Air
The Prestige
All The King’s Men এর রংগিলা ভার্সন(শন পেন চরম অভিনয় করছে,আমি পুরাই টাশকিত বসের অভিনয় দেইখা)
Twelve Monkeys(মেজাজ গরম হয়া গেছে এডা দেইখা)।
@ধন্যবাদ মুনতা, কমেন্টের এই ধারা জারি রাইখেন 😉
Madly Bangali দেখলাম। জীবনমুখী গায়ক অঞ্জন দত্তের পরিচালনা, অসাধারণ সিনেমা। চারটে ছেলে মিলে একটা বাংলা রক ব্যান্ড গড়েছিল একসময়, তাদের সাথে জুটে গিয়েছিল স্যান নামে এক পাগলাটে লোক। সেই ব্যান্ডটাকে একটা প্রতিযোগিতায় পার্ফম করতে নিয়ে গিয়েছিল ….
জটিল সব গান আছে সিনেমাটায়। রক মিউজিক পছন্দ করেন এমন সবাই সিনেমাটা পছন্দ করবেন এটা বলা যায়।
রেটিং: ৪/৫
আমি যেগুলা ভালা পাই মানে সবাই ভালো কয় বা পুরস্কারপ্রাপ্ত বা নমিনেটেড সেগুলো বেশি দেখি। এগুলা ছাড়া দেখি ভাই। তয় কম।
জীবনতো একটাই। আউল-ফাউল মুভি দেখতে গিয়া পরে ভালো মুভি দেখা শেষ হোয়ার আগেই মইরা যাইতে হবে। বিরাট আফসোসের ব্যাপর হইবো। 🙁
গতকাল দেখলাম Ondine (2009)
http://www.imdb.com/title/tt1235796/
সমস্যা করে ফেলছি, মুভিটা টেনে দেখার সময় এর মূল প্যাচটা দেখে ফেলছি, ফলে মজা নষ্ট হয়ে গেছিল। আয়ারল্যান্ডের ব্যাকগ্রাউন্ড মুভিটা খারাপ লাগবে না হয় তো….. একটা ডায়ালগ পছন্দ হইছে..
“This city is sartorially challenged….. what does that mean?….that means this city is a supermodel’s nightmare”
প্রিয় লেখক কেন ফলেটের এপিক ঐতিহাসিক উপন্যাস দ্য পিলার অভ দ্য আর্থ নিয়া ৮ পর্বের এক টিভি মিনি সিরিজ দেখা শুরু করছি। মাত্র ১ম পর্ব শেষ হয়েছে। অসাধারণ মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ কুন্তুল, অনুরোধ রাখার জন্য।
নতুন অনুরোধ করছি, আবারো আসেবন।
ম্যাডিল বাঙ্গালি দেখলাম। প্রথম বাংলা রক মিউজিক্যাল মুভি
রেটিং ৪.৫ / ৫
আরও দুইটা কিম কি দুক।
টাইম – একই ফেস দেখতে দেখতে বয়ফ্রেন্ড ক্লান্ত হয়ে যাবে এই ভয়ে মেয়েটা তার ফেস পরিবর্তন করে ফেললো বয়ফ্রেন্ডকে না জানিয়েই … কিন্তু নতুন কোন মেয়েকে ভালো লাগছে না সেই ছেলের, কারণ পুরানো গার্লফ্রেন্ডকেই তার বেশী করে মনে পড়ছে… ৪/৫
ড্রিম – একটা ছেলে স্বপ্নে যা দেখে ঠিক একই সময়ে সেই কাজটাই করে একটা মেয়ে… ৪.৫/৫
ইদানীং দেখলাম –
Inception
Orphan
A Crismass carrol
Agora
Inception নিয়ে তো অনেক রিভিউ হয়ে গেছে। কারো কাছে দারুণ। কেউ দেখার পূর্বেই অনেক জেনে ফেলায় মুভি দেখে আশাহত। তবে মুভিটি যে একটানে, এক বসায় দেখা যায় এতে সন্দেহ নেই। মেকিং আরো আরো হাই-সাইফাই করতে পারা যেত। তবে মনে হয় মুভিতে স্বপ্ন তত্বেটা বোঝানোর উপরই জোর দিয়েছে বেশী।
Orphan হরর আবহ মনে হলেও এটা সাইকো থ্রিলার মুভি। টান টান উত্তেজনায় দেখার মত।
A Crismass carrol , চার্লস ডিকেন্সের অনবদ্য উপন্যাস , তার এর মুভি সংস্করণে জিম ক্যারী থাকায় সোনায় সোহাগা। দারুণ দারুণ এনিমেশনে দারুণ মুভি।
Agora মুভিটিও বেশ ভাল। ঐতিহাসিক পটভূমির পরিসর আরো বড়। এটার মূল চরিত্র হাইপেশিয়াকে পুরো মাত্রায় তুলে ধরতে পারেনি মুভিটি।
ধন্যবাদ আইরিন সুলতানা। রিকোয়েস্ট রাখার জন্য।
সামনে নিশ্চয়ই আরও মন্তব্য পাবো আপনার কাছ থেকে, কি বলেন?
সম্প্রতি অনেক সিনেমা দেখলাম।
Solomon Kane
Ocean 13
The Town
Despicable Me (Animation)
13 Hrs (হরর গররররররর)
Resident Evil: Afterlife
Green Zone
আরো কি কি দেখেছি। কিন্তু নামতো মনে থাকে না। 🙁
পাপরিকা এবং মিলেনিয়াম একট্রেস দেখলাম । মেঘদূত ভাই ও স্বাধীনতার বার্তার রিকমেন্ডেশন । দুটোই ভাল লেগেছে ।
Escape to victory(pele) daklam.joss.rating r ki dimu,amar to 5/5 e dite icca kortase
Point of No Return daklum(French movie NIKITA er হলিউডি ভার্সর্ন)। মুটামুটি-3/5.
Life In a Metro দেখলাম, ভিন্ন ধরনের স্বাদ আছে হিন্দী এই মুভিতে। জেমস, প্রীতম আর ওই ব্যাটার ব্যান্ডটার আইডিয়া জটিল হৈসে… ৪/৫
Inception দেখছি গত রাতে।ভাল লাগছে
দ্য বাটারফ্লাই এফেক্ট:
সাইকোলজিক্যার থ্রিলার, ড্রামা। ২০০৪ সালের সিনেমা। টুইস্টিং, আমাকে কনফিউজ করে দিয়েছে। আ বিউটিফুল মাইন্ড সিনেমার মতোই।
এই সিনেমায় একটা ডায়লগে বাংলাদেশের কথা বললো।
৪/৫
clerks
keeping mum
12 angry men
the beautiful teacher in torching hell(korean)
রেটিং হইল-
৩
৩
৪.২৫
১.৫
স্বপ্নের দিন: ভারত, ২০০৪
কবি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের আরেকটি তৃপ্তিদায়ক সিনেমা। প্রসেনজিত মূল চরিত্র, গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রজেক্টরে কন্ডম ব্যবহারের সিনেমা দেখানোই তার কাজ। পথে দেখা হয়ে গেল বেগম আমিনা খাতুনের ((রিমি সেন) সাথে। তাকে বর্ডারে পেীছে দিতে গিয়ে ঘটনাপ্রবাহে পরেশ নিজেই বর্ডার পাস করে যায়। আমাদের মোর্শেদুল ইসলামের ‘চাকা’ সিনেমার সাথে দৃশ্যায়নে মিল পাওয়া যায়…রেটিং ৪/৫
The Illusionist: ইউএসএ, ২০০৬
নেইল বার্গারের পরিচালনায় এডওয়ার্ড নর্টনের অভিনয়। ম্যাজিক নিয়ে সিনেমা, সময়টা শতকের গোড়ার দিকে। বেশ ভালো লাগলো, তবে দ্য প্রেস্টিজের মতোন নয় 😉
রেটিং ৪/৫
entrapment(জেটা জনস,শন কনারি)-2.5
p.s. I love you-3.5
The book of Eli-1.5
অন্তহীন-৪.৫(দারুণ লাগল। ইন্ডিয়ান বাংলায় এত সুন্দর ছবি হয়!!!!)
The Ghost Writer: ২০১০, ইউএসআ
রোমান পোলানস্কির আরেকটি ভালো সিনেমা, পলিটিক্যাল ড্রামা। গুড ডেপিকশন, আই লাইক ইট। টনি ব্লেয়ারের দিকে আঙ্গুল তুলে আছে এই সিনেমাটি … ৪.৫/৫
Valkyrie: ২০০৮, ইউএসআ
জার্মান সৈন্যদের পক্ষ থেকে দেখানো সিনেমা। হিটলারকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করেছিল জার্মানিরই কিছু সেনা… টম ক্রুজের অভিনয় … ৪/৫
1.Devil’s Playground-চরম ভুয়া জম্বী মুভি
2.Devil-চলে।
3.Zatoichi-বেশি জোশ। Japan এর মুভি।দেইখেন সবাই
4.Knight and Day- মাসালা মুভি
৫।The Sorcerer’s Apprentice-মাসালা মুভি
The Spanish Inn: ২০০২, ফ্রান্স
জেভিয়ার নামে ফ্রান্সের একটা ছেলে বার্সেলোনায় যায় উচ্চশিক্ষার্থে, সেখানে এমন একটি ফ্ল্যাটে তার জায়গা হয় যেখানে বাসিন্দারা ইংল্যান্ড, স্পেন, জার্মানী, ইটালী এবং ডেনমার্ক থেকে আগত তার মতোই শিক্ষার্থী। একটা ফ্ল্যাটে মিলেমিশে থাকা, নানা রকম ঘটনা নিয়েই সিনেমাটা । কমেডি, ড্রামা ধাচের।
রেটিং ৩.৫/৫
Bad Guy, ২০০১, কোরিয়া
আরও একটা কিম কি দুক। একটা নিষ্পাপ মেয়েকে জোর করে বেশ্যাবৃত্তিতে বাধ্য করে যে ছেলেটি তার প্রতিই একটা অন্যরকম আকর্ষন গড়ে উঠে মেয়েটির, কারণ কি? ছেলেটা তাকে বাধ্য করলেও সে কিন্তু শুরু থেকেই তার প্রতি অনুরক্ত ছিল।
এটা দেখার পরে কিম কি দুকের থ্রি আয়রনের সাথে তুলনা করে দেখছি, কোনটা বেশী রোমান্টিক।
রেটিং ৪/৫
V for vendetta, ২০০৬, ইউএসআ
বহুল আলোচিত এই সিনেমাটা আবারও দেখলাম। ভালোই লাগলো এবারো। প্রতিশোদপরায়নতা নিয়ে একটি ভালো গল্প।
রেটিং ৩.৫/৫
All Good Things (2010)
Clint Eastwood এর Invictus & Gran Torino দেখলাম।
দিনকে দিন ডিরেক্টর Eastwood এর প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে যাচ্ছে।
স্যালুট Clint Eastwood 🙂
কয়েকটা এন্টারটেইনিং মুভি দেখলাম
Inception- ভালো লাগছে
The Sorcerer’s Apprentice- যদিও কিছু কিছু জায়গায় দুর্বল তারপরও মজা পাইছি
Iron Man 2- ১ নংটাই বেশি ভালো লাগছে।
The Last Airbinder- বাজে
Alice in Wonderland- Tim Burton এর মুভিটা বেশ ভালো লাগছে। Fantasy টাইপের এ মুভিটা বার্টনের Charlie & the chocolate factory এর চেয়ে ভালো লাগছে।
A Christmas Carol- Robert Zemeckis
এ লোকটার অ্যনিমেশনগুলো ভালো কিন্তু গ্রেট কিছু না।
Forrest Gump & Cast Away এর মত মুভি যিনি বানাইছেন তার কাছ থেকে এরপর তেমনভাবে আর কোন মুভিই পেলাম না। হতাশাজনক 🙁
Dear John- রোমান্টিক। ভালা পাই নাই।
মুভর নায়িকা অ্যামান্ডারে ইদানিং বেশ ভালা পাইতাছি। 😛
Following, ইউকে, ১৯৯৮
ক্রিস্টোফার নোলানের পরিচালিত প্রথম ফিচার ফিল্ম। সাদা-কালো। লেখক হতে চাওয়া এক ভদ্রলোক তার উপন্যাসের চরিত্র সৃষ্টির জন্য এক চোরের সাথে গাঁট বাধলেন, কিন্তু জড়িয়ে গেলেন ভিন্ন এক ঝামেলায়।
স্টোরী টেলিংটা মেমেন্টো, প্রেস্টিজের মতোই। ভালো লাগবে। রেটিং ৪/৫
Angel A, ফ্রান্স, ২০০৫
লুক বেসোর পরিচালনা, মিথ্যা আর দেনায় জর্জরিত আন্দ্রে যখন মুক্তির জন্য আত্মহত্যা করতে উদ্যত, তখনই এক লম্বু সুন্দরী মেয়ের সাথে পরিচয় এবং সব ঝামেলা থেকে উদ্ধার করে।কে এই সুন্দরী? সে একজন অ্যাঞ্জেল, কাজ শেষে ফিরতে হবে তাকে, কিন্তু আন্দ্রে যে তাকে ভালোবেসে ফেলেছে?
সাদা-কালো, দারুন ফটোগ্রাফি.. রেটিং ৪/৫
আজ দেধলাম মমেনত খুব ভাল বুজলাম না কি হল। ফিনিশিং খুব হথাত করে হয়।
কিম কি দুক এর নিম্নলিখিত মুভিগুলার ডাউনলোড লিঙ্ক চাই দিতে হবে।
Breath
The Coast Guard
Address Unknown
Real Fiction
Birdcage Inn
Wild Animals
Crocodile
Frida, ইউএসআ, ২০০২:
মেক্সিকান স্যুরয়েলিস্ট পেইন্টার ফ্রিদা কাহলোর বায়োগ্রাফিক সিনেমা। ছবির সাথে আছে সমকালীন রাজনীতিও। ফ্রিদা চরিত্রে অভিনয় করেছে সালমা হায়েক।
রেটিং: ৩.৫/৫
Duck, You Sucker ইউএসআ, ১৯৭১:
দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি খ্যাত সার্জিও লিওনির টাইম ট্রিলজির সেকেন্ড পার্ট হলো এই সিনেমা। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এক ডাকাত দলের নেতা হুয়ান, ঘটনাক্রমে পরিচয় হয়ে যায় জন নামের এক বিপ্লবীর সাথে। জনের ডাইনামাইটকে কাজে লাগাতে চায় হুয়ান, কিন্তু ঘটনাক্রমে সে হয়ে যায় বিপ্লবী। জটিল সিনেমা।
রেটিং ৪/৫
Once upon a time in America, ইউএসআ, ১৯৮৪:
এটাও সার্জিও লিওনির সিনেমা, টাইম ট্রিলজির থার্ড পার্ট। আমেরিকার জুইশদের কিছু কিভাবে আন্ডারওয়ার্ল্ড এ যোগ দেয়, বন্ধুতা আর প্রতারণার কাহিনী নিয়ে এই সিনেমা। ৩ঘন্টা ২৯ মিনিটের এই সিনেমা একটা মাষ্টারপিস, মাস্ট সি।
রেটিং ৫/৫
Cinderella Man, ইউএসআ, ২০০৫:
এই সিনেমাটা না দেখার কারণে বেশ কয়েকবার গঞ্জনা শুনতে হয়েছে। এবার দেখা হলো, আসলেই বেশ। রাসেল ক্রো যদিও জেমস জে ব্র্যাডক নামে এক বিখ্যাত হেভিওয়েট বক্সারের ভূমিকায় অভিনয় করেছে, আমি এই সিনেমায় দেখেছি মহামন্দার ভয়াবহ চিত্র আর পরিবারের প্রতি আপত্য স্নেহ, ভালোবাসা। রন হাওয়ার্ড পরিচালিত।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
আজ দেখলাম কোরিয়ান The Housemaid.১৯৬৩ সালের একই নামের ছবির রিমেক এটি।ইম সাং সু হলেন এর ডিরেক্টর।কানাস জয়ী অভিনেত্রী Jeon Do-yeon অভিনয় করেছেন হাউসমেইডের চরিত্রে।ব্রোকেন ওমেন চরিত্রে যিনি এক কথায় অসাধারন।ক্লাস ডিফারেন্স হতে শুরু করে লাভ ট্রায়াংগাল সবই আছে মুভিটিতে।সবাই দেখবেন।আশা করি ভাল লাগবে।
A moment to Remember, সাউথ কোরিয়া, ২০০৪
এই সিনেমাটা সম্পর্কে এত বার রিকমেন্ড পেয়েছি যে না দেখে থাকা গেল না। অবশ্যই পুরোটাই উসুল হয়েছে। চমতকার একটা রোমান্টিক সিনেমা। মিষ্টি মিষ্টি প্রেম ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত কত দিকেই না গড়িয়ে যায়।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
A moment to remember দেখেছি আগেই।এরকম মিষ্টী প্রেমকাহিনী কোরিয়ানরা খুব ভাল বানায়। The classic টি দেখুন।ভাল লাগতে পারবে।আসিফ মুভি পাগলার পাল্লায় পরে আমার পিসিও কোরিয়ানে ভরপুর হয়ে গেছে।
বান্ড বাজা বারাত নামক এক খানা মুভি দেখলুম………কাজ না থাকলে খই না ভেজে এটা দেখতে পারেন………..২ ঘন্টা কাটানর জন্য সেরম জিনিষ………খারাপ লাগ্লে কলাম আমার দোষ নাইক্কা………
50 first date ,my sassy girl দোনোটাই দেখসি…মারাত্তক ভাল লাইগসে………বাংলাদেশ এ অরম ডিরেটর কিম্বা অভিনেতা কিছুই নাই……রমান্টিক সবি এর নামে জা বানায় তা পুরাটাই অখাদ্য
127 hours dekhsi…….must see…………………oshomvob rokom er joss……………
১২৭ ঘন্টা খুব ভাল লেগেছে।শুধু একজন ক্যারেক্টার এবং একটি নির্দিষ্ট সেট নিয়ে নির্মিত এধরনের মুভি খুব কমই ভাল হয়।কিন্তু এই ছবিটি আমার অসাধারন লেগেছি।এক্টর তার চমৎকার অভিনয় দিয়ে মাতিয়ে রেখিছেন পুরো ছবি।
The Ninth Gate, ইউএসআ, ১৯৯৯
আইএমডিবির রেটিং ভালো না, মনে হয় থ্রিলার আর হরর এর মিশেল রোমান পোলানস্কির কাছে থেকে কাম্য ছিল না .. এনিওযে বেটার সিনেমা।
রেটিং: ৩.৫/৫
তিন ইয়ারী কথা, ভারত, ২০০৮
কোলকাতার সিনেমা। সমস্যায় জর্জরিত এক রুমের বাসিন্দা তিন ধরনের তিন বন্ধু এবং তাদের আশেপাশের পৃথিবী নিয়ে সিনেমাটা। প্রোমাকাঙ্খা, যৌনাকাঙ্খা, হাসি-কান্না আর সুরা – কিভাবে তিন বন্ধুকে বারবার আলাদা করে আবার এক সূত্রে বাধে সে গল্প এখানে। স্বপ্নের দৃশ্যায়নগুলো চমৱকার এখানে।
রেটিং: ৩/৫
Sympathy for Mr Vengence,কোরিয়া,২০০২
ওল্ডবয় খ্যাত পার্ক চ্যান উক এর ভেনজেন্স ট্রিলজির প্রথম পর্ব এটি। বোবা একটি ছেলে তার বোনের চিকিতসার জন্য কিডন্যাপ করে একটি ফুটফুটে সুন্দর মেয়েকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে মারা যায় মেয়েটি। বোবা ছেলেটিকে খুজছে মেয়েটির ধনাঢ্য বাবা অন্যদিকে বোবা ছেলেটি একে এক হত্যা করে যাচ্ছে সেই চক্রটিকে যারা তার কাছ থেকে কিডনী কিনে নিয়েছিল এবং সেই সাথে জমানো অর্থও। বেশ ভায়োলন্ট সিনেমা এটি।
রেটিং: ৪/৫
Sympathy for Lady Vengeance, কোরিয়া, ২০০৫
ভেনজেন্স ট্রিলজির থার্ড পর্ব। মাঝের পর্ব ওল্ড বয়। এবার মূল চরিত্র একটি মেয়ে, শিশু হত্যার দায়ে যার ১২ বছরের জেল। কিভাবে সে তার জেলমেটদের সহযোগিতায় আসল হত্যাকারীকে খুজে বের করে এবং তাকে হত্যা করে তারই গল্প। বেশ ভায়োলেন্ট সিনেমা, দৃর্বল চিত্তরা না দেখলেই ভালো্ এবং বেশ মনযোগ সহকারে দেখা উচিত।
রেটিং: ৩.৫/৫
The exorcist, ইউএসআ, ১৯৭৩
এই সিনেমাটা না দেখে হরর সিনেমা দেখাটা বোধহয় এক ধরনের পাপ। ১২ বছরের একটি মেয়ের মধ্যে বাসা গাড়ে শয়তান, তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এক ফাদার। বাস্তবেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল ওয়াশিংটনে, ১৯২৪ সালে। মাস্ট সি ফিল্ম
রেটিং: ৪.৫/৫
Exorcist II: The Heretic (1977), ইউএসআ,১৯৭৭
এক্সরসিস্ট সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব যদিও পরিচালক থেকে শুরু করে সবাই পরিবর্তিত। সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন বড় হয়েছে, কিন্তু পিছু ছাড়েনি শয়তানের দল। বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে যদিও কিন্তু অশরীরী বিষয়গুলোতে এখনও কিছু অজ্ঞতা রয়ে গেছে। সমাধানে ফিরতে হলো সেই বাড়িতে, এবার নতুন একজন ফাদার।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Exorcism of Emily Rose, ইউএসআ, ২০০৫
হরর এবং কোর্টরুম ড্রামা। এমিলি রোজকে চিকিতসা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে তাকে হত্যা করতে সাহায্য করেছেন ফাদার, তাই তিনি আসামী। তার আইনজীবি এরিন কে সাহায্য করবেন একটাই শর্তে – এমিলি রোজের কাহিনী সবার সামনে বলার সুযোগ দিতে হবে তাকে। তবেই পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে, সব কিছুই বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
রেটিং: ৪/৫
Fight Club, ইউএসআ, ১৯৯৯
ডেভিড ফিঞ্চারের সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। সব দিক দিয়ে ভিন্ন এমন দুই বন্ধু সামান্য বিনোদনের জন্য মারামারি শুরু করেছিল, দিনে দিনে সেটাই হয়ে গেল একটা ফাইট ক্লাব, যার সদস্যরা ছড়িয়ে আছে সবজায়গায়, স-ব-খা-নে। কিন্তু যে দুই বন্ধু মিলে শুরু করেছিল, তারা কি আসলেই দুইজন? নাকি এক ব্যক্তিই? ডিস্টার্বিং মুভি, মনযোগ দিয়ে না দেখলে বোঝা কষ্ট।
রেটিং: ৪/৫
I’m a cyborg but that’s ok, Korea, 2006
আরেকটা পার্ক চ্যান উক ফিল্ম। অন্যান্য সিনেমাগুলোর মতোই বেশ ডিস্টার্বিং সিনেমা, কিন্তু শেষ করার পর বুঝলাম অন্যতম একটা কমেডি সিনেমা দেখলাম। নায়িকা মানসিক রোগী, নিজেকে সাইবর্গ মনে করে, তার সাথে প্রেম হয় আরেক রোগীর।
রেটিং: ৪/৫
The last exorcism, USA, 2010
এক ডকুমেন্টারী টিম একটা এক্সরসিজম শ্যুট করার জন্য যায়, উদ্দেশ্য – এখানে যে জালিয়াতিটা হয় সেটা ফাস করে দেয়া। কিন্তু ঘটনা মোড় ঘুরে যায় যখন দেখা গেল মেয়েটি সত্যিই অসুস্থ্য এবং প্রেগনেন্ট। তবে কি সে শয়তানের সন্তান গর্ভে ধারণ করছে?
পুরোটাই ডকুমেন্টারী ট্রিটমেন্টে করা হয়েছে, ফলে আরও বেশী জীবন্ত মনে হয়েছে।
রেটিং: ৪/৫
Requiem of a dream, USA, 2000
ড্যারেন অ্যারোনফস্কির সিনেমা। ড্রাগ অ্যাডিক্ট একটা পরিবার নিয়ে সিনেমা। এত অসাধারণ সিনেমা আমি খুব কমই দেখেছি। মাস্ট মাস্ট সি সিনেমা
রেটিং: ৫/৫
নটবর নট আউট, কলকাতা, ২০১০
কমেডি সিনেমা। মূল আগ্রহ ছিল এর নায়ক, সে নাকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। বেশ চমতকার হয়েছে সিনেমাটা, তবে সিনেমা না বলে থিয়েটারের সিনেভার্সন বললে ঠিক হয়। এনজয়েবল সিনেমা।
রেটিং: ৩.৫/৫
Gunless, Canada, 2010
দেখার পেছনে মূল আকর্ষন ছিল চমতকার কিছু শট, ঝকঝকে ছবি। পরে বুঝলাম এটা কমেডি সিনেমা, এমন কমেডি না দেখলেও চলে।
রেটিং: ৩/৫
There will be blood, USA, 2007
আরেকটা মাস্ট সি সিনেমা। ‘আই অ্যাম আ অয়েলম্যান’ – কিভাবে এক লোক একাই তেলের ব্যবসা গড়ে তুললো সেটা নিয়ে সিনেমা। চমতকার ফটোগ্রাফি। অস্কারজয়ী সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Notting hill, USA, 2009
চমতকার রোমান্টিক সিনেমা, হিউ গ্রান্ট আর জুলিয়া রবার্টস অভিনীত। সিজন চেঞ্জ এর একটা বেশ আকর্ষনীয় উদাহরন আছে এখানে। স্টুডিও সিনেমা যে কতটা কন্ট্রোলড – সেটা বোঝার জন্য এই সিনেমাটা বেশ পারফেক্ট।
রেটিং: ৪/৫
Daisy [2006] কোরিয়ান
The Road Home [2000] চীন
দেখলাম। দুটো মুভিই অসাধারণ।
The Road Home এ Zhang Yimou এর পরিচালনা সত্যিই প্রশংসনীয়।
এখন True Grit দেখতে বসতেছি।
দেখে এসে মন্তব্য করে যাব কেমন লাগল।
Trainspotting, Britain, 1996
স্লামডগ মিলিয়নিয়ার খ্যাত ড্যানি বয়েল এর সিনেমা। বিষয় মাদক। যারা রিকুয়েম অব আ ড্রিম দেখেছেন তাদের জন্য আরেকটি ভালো সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Notebook, USA, 2004
রোমান্টিক। সিনেমাটোগ্রাফির জন্য অবশ্যই দেখনীয়। কাহিনী গতানুগতিক।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Devil’s Advocate, USA, 1997
আল পাচিনো আর কিয়ানু রিভস অভিনীত, টাইলর হ্যাকউড পরিচালিত। দারুন সিনেমা। মাস্ট সি।
রেটিং: ৫/৫
12 Angry Man, USA, 1957
অনবদ্য স্টোরী। লিডারশিপ মুভির অন্যতম এই সিনেমা। সাদাকালো যুগে নির্মিত।
রেটিং: ৫/৫
True Grit, USA, 2010
কোয়েন ব্রাদার্সের আরেকটি সিনেমা। ওয়েস্টার্ন ক্যাটাগরী। ছোট্ট মেয়েটির প্রথম অভিনয়, কিন্তু সাফল্য আশাতীত।
রেটিং: ৪.৫/৫
The sea Inside, Spain, 2004
একজন প্যারালাইসড রোগী সম্মানের সাথে মৃত্যুর আবেদন করছেন, কিন্তু উপেক্ষা করা হচ্ছে সে আবেদন। প্রচন্ড ব্যক্তিত্ব দু-দুজন নারীকে এ অবস্থায়ও তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।
মাস্ট সি ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
Kick Ass, USA, 2010
উড়াধূড়া সিনেমা। দেখে নাইম নষ্ট করা ঠিক হবে না। তবে অ্যাকশন দৃশ্যুগুলো দেখো যেতে পারে। আমিও তাই দেখেসি।
রেটিং: ২/৫
Heat, USA, 1995
রবার্ট ডি নিরো, আলপাচিনো, ভ্যাল কেলমার অভিনীত। দুর্দান্ত সিনেমা। মাস্ট মাস্ট সি সিনেমা।
৫/৫
আজকে একটু আগে দেখলাম French Kiss,অনেক আগের মুভি আজ দেখলাম
মুভি কতটা ভাল লেগেছে তা ব্যাপার না
ব্যাপার হল I just love Meg Ryan
প্রতিদিন রাতে একটা মুভি দেখি, নাম দিয়ে যাবো
অটোগ্রাফ, ভারত, ২০১১
সত্যাজিতের নায়ক অবলম্বনে শুভব্রত মিত্রের প্রথম পরিচালনা। উঠতি এক যুবক সিনেমা নির্মান করে ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার তরুণ চ্যাটার্জীকে নিয়ে। নায়িকা পরিচালকেরই লিভিং পার্টনার শ্রনন্দিতা। সিনেমা নির্মান শেষ কিন্তু প্রচার হবে কিসে? তরুণ চ্যাটার্জীর গোপন স্ক্যান্ডালটি হয়ে উঠতে পারে সাফল্যের হাতিয়ার।
চমৎকার সব গান। ভালো লাগবে। তরুন চ্যাটার্জি চরিত্রে প্রসেনজিত। লিখেছিলাম এ নিয়ে, রাজনৈতিকে প্রকাশিত: http://goo.gl/HJnpv
রেটিং: ৪.৫/৫
Chalo Lets Go, ভারত, ২০০৮
অঞ্জন দত্তের পরিচালনা। তিন বন্ধু একটা ট্রাভেল এজেন্সি খুলে বসে। সেখানে বারোয়ারি যাত্রী। এক এক জনের এক এক রকম চরিত্র। যাত্রাপথে নানা রকম কাহিনী। মজার সিনেমা।
রেটিং: ৪/৫
Gran Torino, ইউএসআ, ২০০৮
গ্রেট ক্লিন্ট ইস্টউড পরিচালক। একাকী এক বুড়ো যার কাছে দুনিয়ার সব কিছু্ই প্রচন্ড বিরক্তিকর, বিশেষত টিনএজ জেনারেশন, কিভাবে যেন পাশের বাড়ির জাপানীজ একটা ফ্যামেলির ছেলেটা এবং মেয়েটার সাথে খাতির হয়ে গেল। কিন্তু ঝামেলা বেধে গেল উঠতি বয়সের বখাটে ছেলেদের সাথে। ওরাই একদিন রেপ করে পাশের বাড়ির মেয়েটাকে। প্রতিশোধ নিতে উঠে দাড়ায় বুড়ো লোকটা, তার বয়স প্রায় নব্বুই !
রেটিং: ৪.৫/৫
থানা থেকে আসছি, ভারত, ২০১০
১৯৬৬ তে উত্তম কুমার এর সিনেমার রিমেক। এবার তার জায়গায় সব্যসাচী চক্রবর্তী। ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর মেয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানের রাতে কোন এক বস্তিতে আত্মহত্যা করলো একটি মেয়ে, তার কাছে পাওয়া গেল একটি ডায়েরী, সেখানে ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলের নামই লেখা। ইন্সপেক্টর তিনকড়ি হালদার এলেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। বেরোতে লাগলো একটি একটি অজানা কাহিনী। রিমেকে সব্যসাচী সাফল্যের সাথে উতরে গেছেন।
রেটিং: ৫/৫
কালপুরুষ, ভারত, ২০০৫
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরিচালনা। সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ রাহুল বোস জীবনের কোথাও কোন প্রভাব রাখতে পারে না, কিন্তু তার বাচ্চাকাচ্চাদুটোর সাথে তার ভারী ভাব। মাঝে মাঝে সে শৈশবের সেই বাশী শুনতে পায়। স্ত্রী সুপ্রিয়া তার সামনেই পরকীয়া করে আরেকজনের সাথে। সবাইকে ফেলে দুমাস আমেরিকায় কাটিয়ে আছে। অসাধারণ এক কবিতা।
রেটিং: ৫/৫
বিবর, ভারত, ২০০৮
যৌবনে কমুনিস্ট আন্দোলন করা বিরেশ ঘোষ চাকরী করতে এসে দুর্নীতির পরিবেশে হাসফাস করে, রাতে মদ খায়, একটা কলগার্লের সাথে সম্পর্ক। এনআরআই হরলাল ভট্টাচার্যকে ফাসাতে একদিন খুন করে বসে তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হরলাল আটকা পড়ে না। বড়দের মুভি।
রেটিং: ৩/৫
Conviction, ইউএসআ, ২০১০
অসাধারন এক সিনেমা, বাস্তব ঘটনার উপর নির্মিত। কেনি ওয়াটার্স এর মাথা একেটু গরম, তাই বলে সে খুন করেনি, কিন্তু সাজা হয়ে গেল সারা জীবনের জন্য। বোন অ্যানি বেটি ওয়াটার্স সব রকমের চেষ্টা করলো, টাকার অভাবে একজন ভালো অ্যাটর্নি দিতে পারলো না, তাই নিজেই ল পরা শুরু করলো। ততদিনে আবিস্কার হয়েছে ডিএনএ টেস্ট। জটিল সিনেমা, হিলারী সোয়াংক অভিনয় করছে।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Truman Show, ইউএসআ, ১৯৯৮
একটা লোকের পুরো জীবনটাই সিনেমার সেটে, সেখানে বাকী সবগুলো মানুষ একএকটি চরিত্র। আর তাদের কর্মকান্ড দেখছে সারা বিশ্বের মানুষ। দারুন কনসেপ্ট। ব্রিলিয়ান্ট। জিম ক্যারি অভিনীত।
রেটিং: ৫/৫
Udaan, ভারত, ২০১০
বাবা যদি বাবা না হয়ে অফিসের বস হয় তবে কেমন লাগে? চমতকার এই সিনেমাটা কিছুদিন আগে পুরস্কার পেল। দারুন সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
the silence of the lamb…ekhon valo mone nei k director,but must seee…oshadharon
Shallow Grave, ইউএসআ, ১৯৯৪
স্লামডগ মিলিওনেয়ার খ্যাত ড্যানি বয়েলের প্রথম দিকের সিনেমা। দুটো ছেলে আর একটা মেয়ে যে বাসাটায় ভাড়া থাকে সেখানে একজন নতুন রুমমেট দরকার। নতুন যে লোকটি উঠল, দুদিন পরে তার মৃতদেহ পাওয়া গেল বিছানায়, আত্মহত্যা। কিন্তু তার ট্রাঙ্কভর্তি টাকা, অনেক টাকা। সেই টাকা আর লোকটার খোজে এল পুলিশ, তার দলের সদস্যরা। সেই টাকার দখল আর ভাগ বাটোয়ারা তিনটে মানুষকে কেমন পাল্টে দিলো। দারুণ সিনেমা। স্বল্প বাজেটে টানটান উত্তেজনা। ড্যানি বয়েলের প্রথম দিকের সিনেমার সাথে বর্তমানের সিনেমা তুলনা করতে বেশ প্রয়োজনীয় সিনেমা। রেটিং: ৪.৫/৫
No mans land, বসনিয়া, ২০০১
ঘটনাচক্রে একটি নো ম্যানস ল্যান্ডের ট্রেঞ্চে আটকা পড়ে একজন বসনিয়ান একজন সার্ব যোদ্ধা। ক্ষমতার লড়াই, মিডিয়ার আধিপত্য আর রক্ষাকারীর অক্ষমতার এক অপূর্ব সমন্বয় এই সিনেমায়। অসাধারণ এক গল্প, যুদ্ধবিরোধী দারুন এক সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Juno, ইউএসআ, ২০০৭
বারো বছরের এক মেয়ে সেক্স কি জিনিস সেইটা জানতে চেয়ে সহপাঠির সাথে মিলন এবং অকাল প্রেগন্যান্সি নিয়ে কাহিনী। আমি বুঝি নাই, এইটা কি খুব কমেডি কোন সিনেমা নাকি? এই সিনেমা দেখার সময় মনে হচ্ছিল আমি বোধহয় এই যুগের না, কোন ভাবে প্রস্তরযুগ থেকে চলে আসছি – কারণ এই স্টোরি মেনে নিতে আমার কষ্ট হচ্ছিল।
রেটিং: ৪/৫
A walk to remember, ইউএসআ, ২০০২
এই রোমান্টিক সিনেমাটার নাম এত এত শুনছি যে কান ঝালাপালা। সিনেমাটা দেখতে দেখতে আমি মনে মনে বাংলায় ট্রান্সলেশন করে ফেললাম – এক হুজুরের বোরকা পড়া মেয়ের সাতে হঠাৎ লাফাঙ্গা টাইপের এক ছেলের প্রেম হয়া গেল। হুজুর কোন ভাবেই মেনে নিবে না, কিন্তু একদিন হঠাৎ বোরকা পড়া মেয়েটা তারে গিয়া বুঝাইল – বাবা আমি কি বুঝি না, ডেটিং এ গেলেই কি আমি খারাপ হয়া যাবো? আমরা দর্শকরা কি সাধারণ, তাই না? সিনেমার পরিচালকরা যাই দেখান, তাই দেখি আর আহা উহু করি। ডিসগাস্টিং।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Seventh Seal, বেলজিয়াম, ১৯৫৭
ইঙ্গমার বার্গম্যানের বিশ্ববিখ্যাত সৃষ্টি। যম যখন দুয়ারে, নাইট তখন তাকে প্রস্তাব দেয় দাবা খেলার জন্য। যদি যমদূত জিতে যায়, তবে নিশ্চিন্তে জান নিয়ে যেতে পারবে, অন্যথায় নয়। শুরু হলো খেলা।
সাদাকালোয় নির্মিত এই সিনেমাটা তার থিমেটিক বক্তব্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। সিনেমা শিক্ষার্থীদের মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Laboratory, ভারত, ২০১০
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ল্যাবরেটরি গল্প অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। পরিচালক চেষ্টা করেছেন ভালোই, সিনেমার প্রয়োজনে রবীনা টেন্ডনকে দিয়ে ভাঙ্গা বাংলায় কথা বলিয়েছেন সত্য, কিন্তু নজর টানতে পারেন নাই। আমি হতাশ।
রেটিং: ৩/৫
Mr Bean’s holiday, ইউএসআ, ২০০৭
অলটাইম কমেডি সিনেমা। কার্সন ক্লে রচিত, প্রযোজিত, পরিচালিত, অভিনীত সিনেমাটার কথা মনে থাকবে সবসময়। আনন্দ দেয়ার যে উদ্দেশ্য নিয়ে সিনেমাটা নির্মিত, তা শতভাগ অর্জিত হয়েছে।
রেটিং: ৫/৫
Ice Age 3, ইউএসআ, ২০১০
অ্যানিমেশন সিনেমা। এনজয়েবল।
রেটিং: ৪.৫/৫
My Japanese Wife, ভারত, ২০১০
অপর্না সেনের সর্বশেষ সিনেমা। চিঠির মাধ্যমে জাপানী এক মেয়ের সাথে প্রেম-পরিণয়। অথচ এখন পর্যন্ত মুখ দর্শন হলো না। কঠিন রোগে আক্রান্ত জাপানী বউ, চলে ভারতীয় চিকিৎসা, অথচ শেষ পর্যন্ত মরে গেল জামাইটা। দারুন গল্প। অপর্নার অন্যান্য কাজগুলোর মতোই এখানে লোকেশন এবং সিনেমাটোগ্রাফি দারুন।
রেটিং: ৫/৫
Peepli [live], ভারত, ২০১০
বহুল আলোচিত সিনেমা। দারিদ্রের যাতনা সইতে না পেরে দুই ভাইয়ের একজন আত্মহত্যায় রাজী হয়, কারণ তাহলে সরকার থেকে পাওয়া যাবে ১ লাখ রূপী। লোকাল সাংবাদিকের কান থেকে সেই কথা চলে যায় মুম্বাইয়ের টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে। তাদের আগমনে মেলা বসে দরিদ্রের পর্ণকুটিরে, আসে সার্কাস, খাবার বিক্রেতারা। রাজনৈতিক নেতারাও আসে – এ যে তাদের জন্য বিশাল ইস্যূ। দারুন পটভূমি। দারুন সিনেমা
রেটিং: ৫/৫
The day of the jackle, ফ্রান্স, ১৯৭৩
গতমাসে দেখা ১৮ টি সিনেমার মধ্যে সবচে’ পছন্দের সিনেমা। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্য গলকে হত্যা করার জন্য নিয়ে আসা হয় এক ভারাটে খুনীকে, নিজেকে সে জ্যাকল বলে পরিচয় দেয়। ধীরে ধীরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রেসিডেন্টকে হত্যার জন্য একটু একটু করে এগোয় সে, ওদিকে তাকে ধরার জন্য পুলিশ ছুটিতে থাকা এক ডেপুটি কমিশনারকে ডেকে পাঠায়।
ফ্রেডারিক ফোরসাইথের গল্প অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা। তার এই জ্যাকল চরিত্রটি পরবর্তীতে এক বাস্তব মানুষের সাথে জড়িত হয়ে যায়, একজন ভারাটে খুনী হবার অপরাধে সে এখন জেল খাটছে। থ্রিলারপ্রেমিদের জন্য মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Grosse Point Blank, ইউএসআ, ১৯৯৭
দ্য ডে অব দ্যা জ্যাকল দেখার পরে ‘হিটম্যান’ সিনেমা দেখার আগ্রহ জন্মায়। এই সিনেমাটার হিরো অনেকের সেরা হিটম্যানের তালিকায় রয়েছে, তাই দেখা হলো সিনেমাটা। এটা যতটা না অ্যাকশন সিনেমা তারচে বেশী কমেডি আর রোমান্টিক সিনেমা। খুব একটা ভালো লাগে নি, দেখার মতো নয়।
রেটিং: ৩/৫
The Killer, হংকং, ১৯৮৯
মিশন ইম্পসিবল খ্যাত জন উ’র সিনেমা। এটিও একটি হিটম্যান সিনেমা। পেছনে পুলিশ অফিসার, সামনে একদল মাফিয়া। এই টাইপের কাহিনী নিয়ে বোধহয় বাংলাদেশেও সিনেমা হয়েছে। জন উ’র পরিচালনায় এটা আরও উপভোগ্য হয়েছে এই যা। না দেখলেও চলে।
রেটিং: ৩/৫
Tokhon 23, ভারত, ২০১০
সিনেমা নিয়ে লেখার সুবাদে মাঝে মধ্যে রিকোয়েস্ট পাই কোন নির্দিষ্ট সিনেমা নিয়ে লেখার জন্য। ‘তখন তেইশ’ সেই অনুরোধে দেখা। শৈশব থেকে শুরু করে এক পুরুষের জীবনে নারীর উপস্থিতি বিভিন্নরকম উপস্থাপন এই সিনেমায়। পাওলী দাম অভিনীত, আর আছে ইন্দ্রানী হালদার। সাইকোলজিক্যাল সিনেমার দিকে ভারতের এক ধাপ।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Proposition, অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭
চার ভাইয়ের সম্মিলিথ গ্যাং, পুলিশের কাছে ধরা পড়লো দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ভাই। তৃতীয়জনকে ছেড়ে দেয়া হলো এই শর্তে আগামী ক্রিস্টমাসের আগে বড়ভাইকে নিয়ে ফিরতে হবে, তাহলে ছেড়ে দেয়া হবে তৃতীয়ভাইটিকে, অন্যথায় ফাসিতে ঝুলবে। পুরোটাই ভিন্ন ধরনের ওয়েস্টার্ন সিনেমা।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Sting, ইউএসআ, ১৯৭৩
গ্রুপ জালিয়াতি কি জিনিস সেটা বুঝতে হলে এই সিনেমাটা অবশ্যই দেখতে হবে। নেতা পল নিউম্যান কিভাবে মন্দার সময় কতটা প্রফেশনালভাবে ঠকাতে পারে তার জন্য এই সিনেমার তুলনা নেই। রবার্ট রেডফোর্ট আছেন নিউম্যানের সাথে।
রেটিং: ৫/৫
August Rush, ইউএসআ, ২০০৭
মিউজিক নিয়ে এই সিনেমাটার কথা এতবার শুনেছি, তার ইয়ত্তা নেই। হয়তো এ কারণেই কিনা জানি, আমি প্রচন্ড হতাশ সিনেমাটা দেখে। কাহিনীটাই অবাস্তব, তবে মিউজিক আর গিটার বাজানোর নতুন পদ্ধতি জানতে এই সিনেমা দেখতে হবে। প্রত্যেকের কাছে জীবন সংক্রান্ত ধারনাটাও বোঝা চাই।
রেটিং: ৩.৫/৫
It’s a wonderful Lifeইউএসআ, ১৯৪৫
এটাও বন্ধুর অনুরোধে দেখা। ফ্রাঙ্ক কাপরার শেষ সময়ের ফ্লপ কিন্তু অন্যতম সেরা ক্ল্যাসিক সিনেমা। সমাজে ভালো মানুষরা কিভাবে গুরুত্বপূর্ন তার একটা সুন্দর উদাহরণ এই সিনেমা। দেখার পর আমার উপলব্ধি: সমাজে ভালো মানুষরা হলো মেয়েদের চুলের কাটার মতো, যাদের অবর্তমানে সবাই অবাধ্য আর উশৃংখল হয়ে যায়।
রেটিং: ৫/৫
ami ai post ti prothome lokkho korini,akhon dekhe khub valo lagche,apnak e dhonnobad j pathokder o likhar sujog kore dewar jonno ami aikhane notun so sob kichui valo lagche.apnar kache akta prosno apni indian films i mean hindi films niye somvoboto kom likhen,ami chai indian parallal abong commercial both types of chobi niye apni likhun,accha arekta prosno ami ki akhane amar dekha chobi niye review likhte pari?
ধন্যবাদ সুমন। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
ভারতীয় সিনেমা বিশেষত: বলিউডের সিনেমার প্রতি আমার সামান্য অ্যালার্জী আছে – এত আবেগঘন আর সব কিছু একটু ‘বেশী বেশী’ দেখতে ভালো লাগে না, তাই দেখা হয় না। তবে – অলটারনেটিভ ফিল্মগুলো দেখি – যেমন পিপলি লাইভ দেখলাম, উড়ান দেখলাম। যেহেতু দেখা হয় না, তাই লেখাও হয় না। লিখতে পারলে সত্যিই ভালো হতো, কিন্তু দেখার আগ্রহই যে পাই না 🙁
সম্ভবত আপনিই প্রথম যিনি এই সাইটে কিছু লেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন – এবং দু:খিত যে আমি এখন পর্যন্ত এই সাইটে পাঠকদের লেখার জন্য আলাদা কোন পেইজ তৈরী করিনি। তবে আপনার মন্তব্য আমাকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করছে – হয়তো এ সপ্তাহের মধ্যেই ‘পাঠকদের জন্য’ একটা আলাদা পেইজ খোলা যাবে যেখানে আপনি এবং আপনার মতো আরও উৎসাহি ব্যাক্তিরা তাদের লেখা শেয়ার করতে পারবে। তবে আপাতত, ‘সম্প্রতি কি সিনেমা দেখলাম’ – পোস্টে মন্তব্য আকারে আপনার রিভিউ প্রকাশ করতে পারেন, যেমনটি এর আগে কয়েকজন পাঠক করে গিয়েছেন। 🙂
আশা করছি – লেখক পাঠকে মিলে একটা সুন্দর সম্পর্ক তৈরী হয়ে যাবে খুব শীঘ্রই। ভালো থাকবেন সুমন 🙂
x men-1st class dekhlam……ei type er mv kokhonoi kharap laage na…r aita mone hoy ai series er best
midnight sun (korean) dekhlam…….deikha kadlam…..
sad movie (korean) dekhlam…..abaro kadlam……protidin raat e korean mv deikha mon kharap koira ghumaite jai r chinta kori aitai ses…..r jiboneo na…..nxt abar ekta dekhi…eki chinta koira ghum dei
Fallen : mv ta besh bhalo lagse….denzel washington ekai jomaya dise
Cholo paltai (tollywood)…..abar kandon disi…..seiram mv
notobor not out…(tollywood) raima sen re dekhlei baki sob painsha laage\
doshor (tollywood)…..valo mv
Games of throne (tv series)………purai jotil…..1 taane dekhar moto
battle royale (Japan) ….last e mathe aulaya gese…..
tell no one (france)…..awsome
let the right one in (swedish)…..best of d best
mindhunter..physco mv…bhaloi
i saw d devil (korean)..bhalo thriller…..kopa samsu
the man from no where (korean)..aidao bhala mv
elephant white…..last 2 years e dekha sobchey kharap mv…..bhalo mv j asole kototuku bhalo seita bujhte eirokom baaje mv sobar e dekha uchit
জিকো ভাইকে স্বাগতম 🙂
আপনার মুভি দেখার লিস্ট দেখে নিজেরই লজ্জা লাগতেসে … বিভিন্ন দেশের ভালো সিনেমাগুলো।
এখন কি করছে বস? নিজের ডিরেকশন কবে?
bhai….ami nitantoi opodartho manush……purai bekar…..khb nogonno cgpa nia pass kora civil engg…chakri pawar kono chance e nai..tai mv dekhi…..prem koira dhora khawar por gf ke vulte mv dekha suru korsilam…..ekhn mv er jnno duniar sob meye ei bhuila gesi…tobe ami shudu viewer…r kono kisu korar joggota nai….r amar nijer collection o kharap na….j gula liksi sob e amar kase ache….karo lagle awaz diyen….r amar o review likhte iccha kore….but bangla type pari na..tai apnar review pori onekdin dhoirai..aijka sahos koira ekkhan coment o dia dilam..ei r ki
বস আপনি কিন্তু দারুন বললেন, এইটাই কয়জন পারে? 🙂
বাংলা লেখা পারেন না এই কথা কিন্তু এখন একদম মানায় না। অভ্র কিবোর্ড ডাউনলোড করে নিলে কোন সমস্যাই হবে না। আপনি এখানে ইংরেজী টাইপে যা লিখলেন, অভ্রে ঠিক সেভাবেই (কিছু এদিক ওদিক হবে, সে্ইটা ব্যাপার না) লিখলে বাংলায় হয়ে যায় – এইটারে বলে ফোনেটিক। ট্রাই করে দেখেন।
বাংলায় লেখা শুরু হয়ে গেলে রিভিউ লেখাও শুরু হয়ে যাবে অটোম্যাটিক্যালী… অপেক্ষায় থাকলাম 🙂
সাজেস্টেড মুভিটা দেখি নাই, এনিমেশন একটু কমই দেখা হয়। এটা দেখার চেষ্টা থাকবে 🙂
o bhai….apnare ekta animated mv recommend kori…..5 centemetres per second…..aita dekhen…..eitar praise korar vhasa amar nai
Mongol dekhlam…(russian mv) chengish khan er chengish khan hoye uthar mv……valo mv……heavy sob dialogue ache
The great reid: war mv……eigula generally bhjaloi hoy…..r eita based on a true story…..kharap howar chance r o kom
Hall pass: owen wilson er comedy……dekhle somoy ta bhaloi kaita jaabe
The bank job: amar mone hoy eita statham er one of d best mv….kin2 manus eita dekhe na…..ajaira action biborjito…..typical statham sulov na…..based on true story
Kisses: Irish masterpiece
Leap year: halka kahinir romantic comedy…..kin2 ken jani mv ta dekhle khb bhalo laage…location o chomotkar
Delli belly: (bollywood)……mv ta chorom lagse……edaning to biroktir karone hindi mv dekhai hoy na……but eitate ektu o birokto hoi nai…….borong mone hoise mv ta r o boro hoile moja paijam
এক ব্যাংক জব ছাড়া আর কোন মুভিই দেখা হয় নাই 🙁
আপনারে হিংসা হৈতেসে।
কোন মুভিটা দেখবেন সেটা ঠিক করেন কিভাবে?
Korean:
The Isle
3 Iron
Samaratian Girl
The Vengeance Trilogy (Old Boy, Lady Vengeance, Sympathy for Mr. Vengeance)
My Sassy Girl
English:
A Clockwork Orange
The Boy in the Striped Payjama
Paper Moon
French:
Au Revoir, Les Enfants (Goodbye, Children) (1987)
Animation:
Spirited Away
Grave of the Fireflies
Swedish:
The Millenium Trilogy
কোরিয়ান সবগুলোই দেখছি। 🙂 🙂
মিলেনিয়াম ট্রিলজি আর গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস 🙂
বাকীগুলো দেখি নাই 🙁
DARASIKO VAI KORIAN MOVIE (DOWNLOAD CHARA) DVD TE KOTHAY PAOWA JABE…
asole non eng mv max bhalo gulai site gulate upload kore…ajaira mv kom kore…..tai dhora khawar chance kom…….r kichu mv khor polapan ache……die hard mv khor ek boro bhai er fb te ekta close grp o ase……seikhane onek bhalo kisur naam jansi…..r er faake to onek baaje mv o deksi…..seigular kotha to likhi na……shudu motamuti bhalo gular naam dei………….r sobar moto imdb o to ektu idea dey
1)Confession (korean)…………..bhalo twist ache
2) Cool hand luke (80’s er mv)…..bhalo mv…prison brk niya
3)Khela (tollywood)………..khb valo lagse mv ta
4) R o ekti prem er golpo…….ami ei mv ta dekhi nai…kin2 ami dekhte chai…..paitesi na….sob dokan khuja ses…..ekhn kew jodi namaya dito
5) Kanchivarma (Tamil)………..orao j bhalo kisu banaite paare dharona chilo na………..chomotkar mv
6) Boys (telegu) ……eita kono masterpiece na……kin2 mv ta dekhle besh bhalo lagar kotha…..amar mv ta prottashar cheye onek besi bhalo lagsilo….tobe onek aage deksi…r o ekbar dekhte monchay
একমাত্র কুল হ্যান্ড লিউক দেখছি, লিখেছিলাম এই নিয়ে: http://goo.gl/pSfcr
ফেসবুকে আমিও একটা গ্রুপের মেম্বার, ক্লোজ গ্রুপ, নাম সিনেমাখোর। প্রচুর মুভি নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু যত নাম পাই তত দেখার সুযোগ পাই না, সময়ও না। তাছাড়া, বিরতি ছাড়া সিনেমা দেখা আমার সয় না 🙁
আপনার গ্রুপের নাম কি?
amar priyo film makerder moddhe akjon rituporno ghosh …gotokal dekhlam tar”noukadubi”….oshadharon cinema……r rabindranath tini to sobsomoy mathar upore……age uponnasta pora hoyni…oshadharon golpo….
ঋতুপর্ন ঘোষের নৌকাডুবি দেখা হয় নি এখনো, লাস্ট দেখেছিলাম আবহমান ।
সম্প্রতি দখলাম, দ্যা এডজাস্টমেন্ট ব্যুরো। ভালই লাগল। ম্যাট ডেমনকে একটু মোটা মোটা লাগল। এরকম আরেকটি ছবির নাম ‘ডার্ক সিটি’। রেটিং- ৩.৫/৫
1. Once Upon a time in the west- sergio leon er arekta western classic
2. Memento- nolan saheber chobi..ghazni j movie ta thke nokol..jodio ghazni o amr kace khrp lage nai
3. Pi- darren arronofosky er 1st cinema..psychological…ekjn mathematician k niye
4. Requiem for a dream- darren arronofosky..drug addiction niye..must see masterpiece
5. The Fountain-darren arronofosky..arekta psychological movie
6. The Wrestler-darren arronofosky..valoi lagce..tobe etai sobcheye weak work darren arronofosky er
Once Upon a time in the west – লা জওয়াব সিনেমা। এই সিনেমাটা তার ‘টাইম’ ট্রিলজির প্রথম পর্ব। দ্বিতীয়টা হলো – Duck, you sucker!, তৃতীয়টা হলো Once upon a TIme in America . রবার্ট ডি নিরো আছে এইটায়, দারুন মাস্টারপিস একটা সিনেমা। পারলে দেখবেন।
মেমেন্টো দেখছি, এত ভালো লাগছে যে গজিনি দেখার আগ্রহই পাই নাই।
ড্যারেন অ্যারোনোফস্কির একটাই দেখলাম, রিকুয়েমে অব আ ড্রিম। 🙂
হুম ‘টাইম’ ট্রিলজি সম্পর্কে শুনেছি। ঐ দুটো এখনো আমার কাছে নাই। তবে দেখে ফেলবো শীর্ঘ্যই 🙂
আপনি তো মহা উপকার করলেন । সামুতে আপনার পোস্ট গুলো খউব ভালো লাগতো । এখন আপনার নিজস্ব ব্লগ! কোরিয়ান মুভির (রোমান্টিক) মুভির ভক্ত হয়ে যাচ্ছি । সময়ের অভাবে পারি না । তারপরও প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা কোরিয়ান মুভি দেখার আশা রাখি । কি আছে জীবনে , বাচুম বা আর ক’দিন ।
নিরন্তর শুভকামনা আপনার জন্য ।
কি আছে জীবনে 😉 🙂 🙂
আপনার জন্যও শুভকামনা, আসবেন মাঝে মধ্যে 🙂
প্রতিদিন একবার আসবোই ।
অ.ট. : টেকটিউনস্ ব্লগ কি বন্ধ হয়ে গেল? কিছু কইতে পারেন?
বস, প্রতিদিন আসার মতো তেমন কিছু এখনো নাই, অবশ্য গেস্ট রাইটাররা যদি লেখা শুরু করেন, এবং নিয়মিত কমেন্টান, তবে সেই সুযোগ তৈরী হয়ে যাবে অবশ্যই 🙂
টেকটিউনস নিয়া কোন আপডেটই জানা যাচ্ছে না, তারাও কোন রিপ্লাই দিচ্ছে না 🙁
দারাশিকো ভাই কোরিয়ান মুভির ডিভিডি কোথায় পাওয়া যাবে ।নির্দিষ্ট কোন দোকান এর নাম দিন ..
ভাইরে, এই জায়গায় তো মাফ করতে হবে। আমি ডাউনলোড ছাড়া সিনেমা দেখি না বললেই চলে। নির্দিষ্ট দোকানের নাম বলতে পারবো না, তবে রাইফেলস স্কোয়ার ডিভিডির কালেকশনের জন্য ভালো জায়গা – এটুকু বলতে পারি।
সহযোগিতা করতে পারলাম না, তারপরও আইসেন মঝে মধ্যে 🙂
ASBO TO OBOSSOI…….
AMI OBOSSO 2I DIN POR POR ASAR CHESTA KORI……
ACCA APNI NET ER KON LINE USE KOREN…AKTU JANABEN……VAI AAPNAR FACEBOOK USER NAME KI DAOWA JABE…IF YOU DON’T MIND
স্যরি বস, উত্তর দিতে এট্টু দেরী হয়া গেল 🙂
নেট লাইন যেটা ইউজ করি সেইটা কোন পরিচিত লাইন না, একটা প্রাইভেট ওয়াই-ফাই থেকে ব্রাউজ করি। ফেসবুক ইউজার আইডি কেন দেয়া যাবে না? নাজমুল হাসান দারাশিকো নামে পাবেন, ইমেইল – দারাশিকো অ্যাট জিমেইল 🙂
ধন্যবাদ বস ।
দারাশিকো ভাই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাইছি অ্যাড করেন ।
TOWHIDUL KARIM নামে ।
অ্যাডানো হইল 🙂
dus experiment…(german)….eitar english remake ase…the experiment..adrian brody r forest whitaker…oita dekhlei cholbe
autograph (indian bangla)….
in the land of women ……meg ryan r kirsten dirnst….valo mv
stepmom….julia roberts……chomotkar mv
addicted to love…..meg ryan…..bhaloi l;agse..comedy mv
swat 2………..joghonno mv
audition (korean mv)….
city of men (brazilian)………..masterpiece
এক অটোগ্রাফ ছাড়া আর কোনটা কমন পড়লো না 🙁
আছেন কেমন?
এক অটোগ্রাফ ছাড়া আর কোনটা কমন পড়লো না 🙁
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা……………………….আমার ও :(:(
JFK (1991)
ডিরেক্টর’স কাট ভার্সনে মোট ৩ ঘন্টা ২১ মিনিট।অথচ আমার সময় লেগেছে প্রায় ৭ ঘন্টা-কারণ ভালো করে সিনেমাটা বুঝতে চেয়েছি।
ইতিহাস স্বীকৃত, জন এফ কেনেডিকে হত্যা করেছে লি অসওয়াল্ড নামের এক লোক-তিনটে বুলেট খরচ করে।ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জিম গ্যারিসন তার বাহিনী নিয়ে পেছনের সত্যিটা উদ্ধারে নামলেন। সত্যিটা কি? তিনটে নয়, সাতটি বুলেট, একজন নয়, অন্তত: তিনজন হিটম্যান, কোন মাফিয়া বা বিদেশী রাষ্ট্র নয়, খোদ আমেরিকাই হত্যা পরিকল্পনাকারী।
রেটিং: ৫/৫
The Untouchables (1987)
১৯৩০-এ আমেরিকায় যখন মদ নিষিদ্ধ, আল-কাপোন তখন গ্যাংস্টার লিডার। ফেডারেল এজেন্ট এলিয়ট নেস আরও তিনজনকে নিয়ে একটি দল বানালো প্রায় দুর্ভেদ্য কাপোনকে ধরতে। তারা আনটাচেবলস।
ব্রায়ান ডি পালমা’র স্কারফেস আর মিশন ইম্পসিবল ভালো লেগেছিল -এই সিনেমাটা বাকী দুটোকে ছাড়িয়ে গেল। সত্যি কথা হলো আল কাপোন চরিত্রে শুধু নয়, যে কোন গ্যাংস্টার চরিত্রে রবার্ট ডি নিরো ইজ রিয়েলি আনটাচেবল।
রেটিং: ৫/৫
Kaalbela – Calcutta My Love (2009)
দুরুদুরু বুকে আমি ‘কালবেলা’ দেখতে বসেছি-জানি, সেই কৈশোর থেকে বুকে পুষে রাখা জীবনের একমাত্র আরাধ্য নারী ‘মাধবীলতা’ ভেঙ্গে যাবে আর একটু পরেই, তারপরও না দেখে পারি না।
কৈশোরের মাধবীলতার বয়স হয়েছে, যৌবনের মাধবীলতারূপী পাওলী দামের সামনে সেই ঔজ্জ্বল্য নিয়ে দাড়াতে তার কষ্ট হয়, তারপরও আমি কৈশোরের মাধবীলতাকেই আরাধ্য মানি – এখনো।
রেটিং: ৪.৫/৫
In Bruges (২০০৮)
দুজন হিটম্যানকে ব্রুজেস নামের এক শহরে আত্মগোপনে পাঠানো হয়, কারণ নতুন হিটম্যানটি একটি মিশনে একটি ছোট্ট ছেলেকে ভুলক্রমে হত্যা করে। তার সাথীটিই তাকে হত্যা করা দায়িত্ব পায়। ভুলের শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
পুরা সিনেমাটা ‘ফাক’ শব্দে পরিপূর্ণ। মোট ১২৬ বার, গড়ে ১.৮ মিনিটে একবার করে। ব্ল্যাক কমেডি। সিনেমার ডায়লগগুলো দারুন। ব্ল্যাক কমেডি যেমন হয়, একটু পাগলাটে, অভ্যাস না থাকলে এর মর্ম বোঝা কঠিন বৈকি।
রেটিঙ: ৪/৫
The Silence of the Lambs (১৯৯১)
বিখ্যাত উপন্যাসের বিখ্যাত চরিত্র ড: হ্যানিবল। একজন উচু মানের সাইক্রিয়াটিস্ট কিন্তু সিরিয়াল কিলার, তার সাথে কথা বলে আরেকজন সিরিয়াল কিলারকে খুজে বের করার দায়িত্ব পড়ে ক্ল্যারিস স্টার্লিঙ নামের শিক্ষানবীশি এফবিআই এজেন্টের উপর। অসাধারন এক থ্রিলার, হ্যানিবল চরিত্রে অ্যান্থনি হপকিন্সের অভিনয় ভয় লাগিয়ে দেয়।
এই হ্যানিবল চরিত্রটিকে নিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কটি সিনেমা হয়েছে – প্রথমে মাইকেল মান বানিয়েছেন ‘ম্যানহান্টার’ নামে – ১৯৮৬ সালে।১৯৯১ সালে জোনাথন ড্যম অ্যান্থনি হপকিন্সকে নিয়ে বানান এই সিনেমাটি, ২০০১ সালে নির্মিত হয় ‘হানিবল’ নামের সিনেমা, ২০০৬ সালে ড: হ্যানিবল রাইজিঙ সিনেমাটি।
বাকীগুলোর কোনটাই দেখিনি, তবে এটা বেশ লেগেছে। জুডি ফস্টার অভিনয় করেছেন ক্ল্যারিস চরিত্রে।
রেটিঙ: ৫/৫
The Black Dahlia (২০০৬)
ব্রায়ান ডি পালমার সিনেমা দেখার একটু আগ্রহ হয়েছিল, তাই এই সিনেমাটা দেখা। খুব একটা শান্তি পাইনি দেখে। বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই সিনেমাটা। এলিজাবেথ শর্ট নামের এক মেয়ের বেশ কয়েক খন্ডের লাশ পা্ওয়া যায়, তদন্তে নামেন দুজন এলএপিডি অফিসার।
সিনেমাটোগ্রাফির জন্য সিনেমাটা ভালো, ফিল্ম নয়ার বলা হয় এই ধরনের সিনেমাকে।
রেটিঙ: ৪/৫
Children of Men (2006)
সাই-ফাই সিনেমা কম দেখা হয়। ২০২৭ সালের পটভূমির এই সিনেমায় পৃথিবীর শোচনীয় অবস্থা। মানুষের জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নেই। সারা পৃথিবী জুড়ে দুরাবস্থা, নৈরাজ্য। কি নামের আফ্রিকান মেয়েটি প্রেগন্যান্ট, তাকে পৌছে দিতে হবে শেষ সভ্য রাষ্ট্র ব্রিটেনে, দায়িত্ব থিও ফারোনের উপর।
সুন্দর কনসেপ্ট। দু’টি বেশ লম্বা টেক আছে সিনেমাটিতে। আলফনসো কারন এর পরিচালনা, ক্লাইভ ওয়েন অভিনয় করেছে।
রেটিঙ: ৪/৫
Daisy (2006)
দক্ষিন কোরিয়ার রোমান্টিক-অ্যাকশন সিনেমা। একই মেয়ের প্রেমে পড়ে দুইজন ভিন্ন চরিত্রের মানুষ – একজন ছদ্মবেশী পুলিশ অফিসার অন্যজন পেশাদার খুনি। ঘটনাচক্রে মেয়েটি বোবা হয়ে যায়, এগিয়ে আসে খুনি ব্যক্তিটি। এদিকে বেশ কিছুদিন পরে ফিরে আসে প্রেমিক পুলিশটি, তার দায়িত্ব খুনিকে ধরার। সুন্দর সিনেমা, রোমান্সটুকু হৃদয়ছোয়া।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
black dahlia dekhi nai…baki gula deksi…..daisy amar khb fav ekta mv……asi bhai motamuti…kete jacche…rokto porche na type…..2 din dhoira war mv dektasi
letters from iwo zima (japan)…..ei mv ta onekei dekse..r jara dekhe nai tader jnno must see mv
downfall….second world war er mv….valo mv
the beast of war
the best fortress (belarus)…oder mv nia age kono idea chilo na….bhalo dharona hoise
ডাউনফল দেখছি, কিন্তু বাকীগুলা না 🙁
আইয়ো জিমা নামায়া রাখছি দেখা হয় নাই এখনো, দেখে ফেলবো
গত তিনদিনে যা দেখলাম:
ইতি মৃনালিনী।মোটামুটি চলে। কংকনা সেন শর্মার অভিনয় ভালো লেগেছে।
রাইজ অব দ্যা এপস। অসাধারণ কাজ।
ব্যাটম্যান বিগিনস। ব্যাটম্যান এন্ড রবিন দেখার ক্ষতি পুষিয়ে গেছে। নোলান । আহা।
গত পক্ষে (১৫দিনে) ছয়টা মুভি দেখছি
১। কালবেলা (ইউটিউব থেকে) উপন্যাস টা পড়া হয় নাই তাই মুভিটা অনেক ভালো লাগছে ।
২ । লিটল ম্যানহাটন (নামানো ছিল) এই মুভিটা আমার মুভি দেখার স্বাদটা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে ।
৩। A Moment to Remember ( কোরিয়ান) তারা এ রকম গল্প যে কোথায় পায় । অসাধারণ গল্পের দারুন একটা মুভি ।
৪। My Little Bride এটাও কোরিয়ান । মুভিটা অনেক ভালো । নাইকাডা ও 🙂
৫ । 3-Iron ( কোরিয়ান) কাহিনীটা এত্য ভাল্লাগছে যে কি বলবো! অমায়িক সুন্দর একটা মুভি ।
৬। Aao Wish Karein (হিন্দী) আমার প্রিয় নায়ক আফতাবের অন্যরকম গল্পের একটা মুভি।
১,৩,৫ দেখা। বাকিগুলো দেখি নাই। লিটল ম্যানহাটন সম্পর্কে লাস্ট দু মাসে অন্তত ছ’বার প্রশঙসা শুনলাম, কিন্তু কেন জানি দেখার আগ্রহ হচ্ছে না।
থ্রি আইরন আসলেই অসাধারণ সিনেমা। কিম কি দুকই অসাধারণ। বাকী সিনেমাগুলো্ও দেখে নিবেন, ঠকবেন না। কিম কি দুক কে নিয়ে আমার একটা বিস্তারিত পোস্ট আছে, দেখতে পারেন
ইদ মোবারক
থেঙ্কু বস্ । অবশ্যই দেখব । সময় বের করা কঠিন । তার পরও কোরিয়ান মুভির ভক্ত অলরেডি হয়ে গেছি তো । আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা 🙂
Roman Polanski er The Apartment Trilogy deklam
(Repulsin, Rosemary’s Baby, The Tenant)
joshhhh!!!
Repulsion is too good
ট্রিলজি যে সেটা জানা ছিল না, তাই রোজমেরির বাবুকে আগেই দেখে ফেলেছি। রিপালসিন এর কথায় গুরুত্ব দিতেই হচ্ছে 🙂
সম্প্রতি অনেক সিনেমা দেখা হয়ে গেছে! বেকারের movie fight!!! যা যা দেখলাম গত এক মাসেঃ
Kick ass, Malena, Once, One flew over cuckoo’s nest, Pirate radio, The time traveler’s wife, Water for elephants, It’s a wonderful life, A beautiful mind, Roman holiday. The notebook. The fall, The illusionist, Love me if you dare, when harry met sally.
Animated:
grave of the fireflies, howl’s moving castle, mary and max, ponyo, spirited away.
সিনেমা দেখার সময় অনেক বাছবিচার করি, যেমনটি মাছ খাওয়ার সময়, তাই অনেক সিনেমা হাতের কাছে পেয়েও দেখা হয় না। কিকঅ্যাস দেখেছিলাম পিচ্চিমেয়েটার অ্যাকশন দেখার জন্য, অ্যাকশনটাই দেখেছি-সিনেমা নয়। অনেকগুলো সিনেমাই দেখা হয় নাই – ওয়ান্স, পাইরেট রেডিও, টাইম ট্রাভেলারস ওয়াইফ (হাতের কাছে পেয়েও আগ্রহ হয় নাই), ওয়াটার ফর ইলিফ্যান্টস, লাভ মি ইফ ইউ ডেয়ার।
এ মাসে দেখা সিনেমার লিস্টি আসছে শীঘ্রই – খুব বেশী দেখতে পারি নি, গোটা তেরো হবে 🙂
ধন্যবাদ ঠিক মনে রেখে কমেন্ট করে যাওয়ার জন্য – আবারও আসবেন 🙂
দেখার অপেক্ষায়ঃ sybil, never let me go, no country for old man, requiem for a dream, the painted veil, the king’s speech, the visitor, the way back, the whistle blower,
before sunset, before sunrise আর এক গাদা animated movie. একটা কমেন্টে দেখলাম animated খুব একটা দেখেন না। recommend করবো studio ghibli-এর মুভিগুলি দেখতে। grave of the fireflies না দেখে থাকলে দেখে ফেলুন 🙂 অসাধারণ! চোখে পানি আসবেই!
হুম, অ্যানিমেটেড মুভি খুব একটা দেখা হয় না – পিওর এন্টারটেইনমেন্টের দরকার হলে তখন এনিম দেখা হয়, ফায়ারফ্লাইস দেখেছি – আমিও একই কথা বলে রিকমেন্ড করি 🙂
রিকুয়েম ফর আ ড্রিম দেখার সাথে ট্রেইনস্পটিং আর বাস্কেটবল ডায়রীস দেখে নিতে পারেন, একই বিষয় নিয়ে হৃদয়কাড়া তিনটি সিনেমা। বাস্কেটবল ডায়রীতে ডিক্যাপ্রিও অভিনয় করেছে – ক্ল্যাসিক সেই অভিনয়।
🙂
irani kichu movie suggest korte paren?
ইরানী মুভি সম্পর্কে বেশী কিছু বলতে পারি না আপু – সবাই যা জানে, বলে আমিও তাই জানি, বলি – ডিরেক্টর ধরে সিনেমা দেখা শুরু করতে পারেন।
আব্বাস কিয়ারোস্তামি, মোহসেন মাখমালবাফ, সামিরা মাখমালবাফ, মাজিদ মাজিদি, জাফর পানাহি ইত্যাদি ইত্যাদি 🙂
The Fall, ইউএসআ, ২০০৬
ভারতীয় পরিচালক তারসেম সিঙ এর দ্বিতীয় সিনেমা। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সিনেমার স্টান্টম্যান, আপাত পঙ্গু রয় চারবছরের ছোট্ট আলেক্সান্দ্রিয়াকে এমন একটি গল্প শোনায় যার পাচজন চরিত্রই একজন মানুষৈর উপর প্রতিশোধ নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রয় এর বলা গল্পের চরিত্রগুলো তৈরী হয় আলেক্সান্দ্রিয়ার চোখে। অসাধারণ এক সিনেমা, দারুন তার চিত্রায়ন।
রেটিঙ: ৫/৫
The Shining, ইউএসআ, ১৯৮০
স্ট্যানলি কুব্রিকের হরর মুভি। শীতের সময়টা লেখালেখি করে কাটানোর জন্য জ্যাক টরেন্স তার স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে একটি হোটেলের দায়িত্ব নেয় – পুরো হোটেলেই মাত্র তিনজন। অনেক আগে সেই হোটেলে এক লোক তার দুই কন্যা সন্তানকে হত্যা করেছিল – সেই অশুভ প্রভাব এখনো রয়ে গেছে।
খুবই ভয়াবহ সিনেমা – স্ট্যানলি কুব্রিকের আর সিনেমাগুলোর মতোই অসামান্য চিত্রায়ন, মিউজিক। জ্যাক নিকলসনের ভীতিকর অভিনয়।
রেটিঙ: ৫/৫
My Fair Lady, ইউএসআ, ১৯৬৪
জর্জ কুকার এর পরিচালনায় অড্রে হেপবার্নের অসাধারণ অভিনয়। একজন ফোনেটিক বিশেষজ্ঞ বাজী ধরে একজন ফুলবিক্রেতার উচ্চারণ শুধরে দেয়ার দায়িত্ব নেয়। কিন্তু রাস্তার সেই ফুল বিক্রেতা যে ধীরে ধীরে অধ্যাপকের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়ে তার কি হবে?
অড্রে হেপবার্নের এই অভিনয় দেখে আমি মুগ্ধ – কি চমৎকার তার এক্সপ্রেশন, গানগুলো্ও দারুণ।
রেটিঙ: ৫/৫
Roman Holiday, ইউএসআ, ১৯৫৩
এই কাহিনী নিয়ে সিনেমা হয়েছে অনেক। একজন রাজকন্যা একাকী তার প্রাসাদ থেকে পালায়, পথে ঘটনাচক্রে দেখা হয়ে যায় একজন সাংবাদিকের সাথে – দারুন রোমাঞ্চকর আর ঘটনাবহুল একটি দিন কাটে রাজকন্যার। গ্রেগরি পেক আর অড্রে হেপবার্নের সিনেমা। অড্রে হেপবার্নকে কি নিষ্পাপ মনে হয়েছে বোঝানো যাবে না।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
The Apartment, ইউএসআ, ১৯৬০
সিসি ব্যাক্সটারের একটা গুন আছে, সে দ্রুত চাকরীতে প্রমোশন পায়। তবে গোপন কারনটি তার কর্মদক্ষতা নয়, তার ফ্ল্যাটের চাবী যা বিভিন্ন অফিসাররা সুবিধানুযায়ী বুকিঙ দেয়। লিফটের পরিচালিকা মিস কিউবেলিককে ভালো লাগলেও সাহস করে বলে হয়ে উঠেনি ব্যাক্সটারের। কিন্তু ঘটনাক্রমে একদিন মিস কিউবেলিককে পা্ওয়া গেল ব্যাক্সটারের রুমেই, কোন এক বসের প্রেমিকা হিসেবে তার আগমন।
চরম রোমান্টিক আর কমেডি সিনেমা। কিন্তু উপভোগের পুরোটা মেরে দিয়েছে হিন্দী সিনেমা লাইফ ইন আ মেট্রো। হুবহু কপি করার ব্যাপারে তাদের জুড়ি নেই – ফলে প্রতিটা দৃশ্যের পরেই কি হবে সেটা জানা ছিল 🙁
রেটিঙ: ৪.৫/৫
High Noon, ইউএসআ, ১৯৫২
অলটাইম ক্ল্যাসিক ওয়েস্টার্ন মুভি। মার্শাল উইল কেইন যেদিন বিয়ে করলো সেইদিনই পুরোনো এক খুনি ছাড়া পেয়ে শহরে হাজির হবে বলে তার সাগরেদরা জড়ো হলো। এতদিন ধরে যে মার্শাল শহরের সবাইকে রক্ষা করলো, নিরাপত্তা নিশ্চিত করলো – আজ তাকে শহর ছেড়ে পালানোর জন্য উপদেশ দিলো সবাই, খুনির সাথে এই বিরোধকে ব্যক্তিগত বলে চালিয়ে দিতে চাইল। নববিবাহিত স্ত্রী-ও উদ্ধুদ্ধ করলো, অন্যথায় তাকে ছেড়ে যা্ওয়ার হুমকী। কিন্তু মার্শাল কেইন একাই রুখে দাড়ালো – হারবে না সে।
ফ্রেড জিনেম্যানের সিনেমায় গ্যারি কুপারের অভিনয়। আপনি অবশ্যই ভালোবাসবেন।
রেটিঙ: ৫/৫
The Chaser, কোরিয়া, ২০০৮
বেশ্যাদের দালালে পরিণত হ্ওয়া ডিটেকটিভ পুলিশ জঙ হো তার এক মেয়েকে পাঠায় এক সাইকো খুনি কাস্টমারের কাছে যে কিনা হিংস্র উপায়ে হত্যা করে নারীদেরকে। মেয়েটিকে বাচাতেই হবে কারণ তার ছোট্ট একটি মেয়ে রয়েছে, শাস্তি দিতে হবে সেই সাইকো খুনিকে।
কোরিয়ান সিনেমা বেশ উন্নত হয়েছে বলতেই হবে। গল্প বলার ঢঙটা ভালো লেগেছে, অভিনয় তো অবশ্যই। এই সিনেমাটা দেখার সময় আমি প্রতি মুহূর্তে বিড়বিড় করে কামনা করছি খুনিটার যেন কঠিন শাস্তি হয়, অত্যন্ত কষ্টদায়ক মৃত্যূ যেনো হয় – পরিচালকের সাফল্য তো এখানেই তাই না?
রেটিঙ: ৪.৫/৫
Man of the west, ইউএসআ, ১৯৫৮
গ্যারি কুপার অভিনিত আরেকটা ওয়েস্টার্ন সিনেমা। প্রাক্তন এক আউটল ঘটনাচক্রে অনেক বছর বাদে তার কুখ্যাত ক্যারিয়ারের শুরু যার হাত ধরে সেই ডক টবিনের দলে ভিড়তে বাধ্য হলো – একটা ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে হবে এবার। কিন্তু এবার তার সাথে আছে সুন্দরী এক ড্যান্সার, জিম্মি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সে। সাম্প্রতিক ওয়েস্টার্নের সাথে তুলনায় খুব এগোতে পারবে না সিনেমাটি, কিন্তু ভালো লাগবে গল্পের গতি, সাধারণত্ব, আর গ্যারি কুপারের অভিনয়।
রেটিঙ: ৪/৫
Taken, ইউএসআ, ২০০৮
একটু বেশীই বাজে সিনেমা। হিন্দী মারদাঙ্গা সিনেমার সাথে এর একটাই তফাত, এখানে অভিনয় করেছে লিয়াম নিসনের মতো নামী অভিনেতা।
রেটিঙ: ২/৫
Up, ইউএসআ, ২০০৮
আহা চমৎকার একটি এনিমেশন সিনেমা। নির্মল বিনোদন।
৪.৫/৫
Gone Baby Gone, ইউএসআ, ২০০৭
বেন অ্যাফ্লেকের প্রথম পরিচালিত এই সিনেমাটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল, অভিনয় করেছে তারই ভাই ক্যাসি অ্যাফ্লেক। দুইজন প্রাইভেট ডিটেকটিভ একটি শিশুকে খুজে বের করার দায়িত্ব নেয়, শিশুটির মা খুবই উদাসীন সন্তানের প্রতি, মাদকাসক্ত কিন্তু প্যাট্রিক কেনজি নামের গোয়েন্দা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তাকে খুজে বের করার। আপাত সমাধান হয়ে যা্ওয়া কেসের কেচো খুড়তে সাপ বের হয়ে গেল – শিশুটি অপহৃত হয়নি, তাকে পরিকল্পনামাফিক অপহরণ করা হয়েছিল।
গল্পের গতিটা অন্যরকম, খুব উত্তেজনাকর নয়। সংলাপের দিকে খেয়াল করে সিনেমা দেখতে হবে, অন্যথায় কাহিনী না্ও বোঝা যেতে পারে।
রেটিঙ: ৪/৫
Mr Bean- the movie
বিট্রিশ মিউজিয়ামে একটি ছবির রক্ষী মি. বিন হাজির হলো আমেরিকায় সদ্য ফেরত পা্ওয়া বিখ্যাত একটি ছবি উন্মোচন করতে। কিন্তু নানা রকম বিপত্তি রয়েছে তাতে।
যথারীতি মি. বিনীয় অভিনয়। নির্মল বিনোদন।
রেটিঙ: ৪/৫
Limitless, ইউএসআ, ২০১১
এতবার রিকমেন্ড পেলাম যে দেখতেই হলো। নতুন এক ড্রাগ মগজকে শতভাগ ব্যবহার করার ক্ষমতা দেয় – ফলে লেখক হতে চা্ওয়া এডি মোরা পরিণত হয় একজন ব্যবসায়ীতে। ওষুধ ফুরোবার আগেই নিজের অবস্থানকে শক্ত আর টেকসই করে নিতে হবে, কারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।
গল্পটা দারুন, সাই ফাই হলেও বিশ্বাসযোগ্য, শুধু শেষটুকু বাদে। ওটা আমার পছন্দ হয়নি। সাউন্ডট্র্যাকের কারণে ইতিমধ্যেই সিনেমাটি অনেকের প্রিয় তালিকায় ঢুকে পড়েছে।
রেটিঙ: ৪/৫
The Fall ,Up, Mr Bean- the movie, High Noon, The Apartment, My Fair LadY, Limitless……..এই গুলা দেখছি । বাকি গুলা দেখি নাই । :'(
দেখতে হবে । রিভিউ দেখে দেখতে ইচ্ছা করছে । খুব তারাতারি দেখবো ইনশাআল্লাহ্ ।দেখে জানাবো ।
darashiko bhai….r zico bhai..apnaderke hajar salam..eto movie dekhar shomoy pan kibhabe??:(
onek guloi dekhechi..onek guloi nam shunechi kintu dekhini..aro onek guloi namano ache dekha hocche na..onek gulor nam o shunini..kobe j dekhbo!!!!january te graduation final er jonno opekkha korchi…shesh hole jhapie porbo inshallah!!
aro beshi beshi movie dekhen..jate amader moto nadan baccha ra khobor pay!!
tana cinema dekha hocche na onekdin…tai apatoto series diei kaj chalate hocche..:S
ekdom recently dekha cinema hocche jane eyre..amar ottonto priyo classic golpo…motamuti legeche..r ekta musical dekhlam.. funny girl(1968)..broadway r film star fanny price er life nie movie…ovinoy korechen Barbra Streisand,Omar Sharif..
limitless er idea ta bhaloi chilo…but eitar kahini expand korar possibility chilo onek..shei stock exchange r russian mafia te golpo atke jawate ektu hotash…
the fall besh kichudin age dekha..oshadharon chobi..
gone baby gone..motamuti legechilo..
audrey hepburn ononno…kicchu bolar nai ei bapare r!!
the apartment age dekha…bhaggish life in a metro dekhini!!!
ro oenkgulo movie nie bolar chilo….kintu apatoto biday nite hocche.
bhalo thakben.
হাজার সালামের লাখো জবাব আপু। কেন লাখো জবাব? হাজার সালামের হাজার জবাব এবং আপনিও যে মোটেও কম সিনেমা দেখেন না তার প্রমান পেয়েই বাকী সালাম 🙂
অনেক সিনেম দেখি ঠিক তা নয়, তবে ভালো সিনেমাগুলো দেখি। ফলে যে সিনেমাগুলো নিয়ে লোকে কথা বলে সেগুলো কমন পড়ে যায় আরকি ! বাজারী সিনেমার তালিকা দেখান, একটাও দেখিনি সেটা তালিকা না দেখেও বলে দিতে পারবো।
ফাইনালের পরে আপনার দেখা সিনেমার লিষ্টি নিয়ে হাজির হয়ে যাবেন কিন্তু। মাঝে মাঝে ঢু তো অবশ্যই দিবেন। আর ভালো থাকবেন সবসময় – দারাশিকো ব্লগে পা দেয়ায় ধন্যবাদ।
হ্যাপি মুভিটাইম 🙂
বেশী সিনেমা দেখা হয় নি কদিনে। অল্প যে কটা দেখলাম সেগুলোই –
Lock, Stock and Two Smoking Barrels, England (1998)
গাই রিচির ক্রাইম-কমেডি। সম্ভবত হিন্দী ফির হেরা ফেরি এই গল্প থেকে চুরি করা। কতগুলো ছেলে তাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটি জুয়া খেলে এবং বড় অংকের টাকা ঋন করে হারে। এই টাকা পরিশোধের জন্য এবার তারা একটি ডাকাতির প্ল্যান করে তাদের প্রতিবেশীর বাসায়। কয়েকটি ক্রিমিনাল গ্রুপের ক্ল্যাশ। গাই রিচির চিরপরিচিত গান এবং মিউজিক, সেই সাথে ডার্ক কমেডি, আর অ্যাকশন তো আছেই। তবে এই সিনেমা আসলে সবার মাথায় ধরবে না।
রেটিং: ৪.৫/৫
The Man from Nowhere, Korea (2010)
অসাধারন কোরিয়ান সিনেমা। যারা Leon দেখেছেন তারা হয়তো এত মজা নাও পেতে পারেন। এখানেও একজন ভয়ানক লোকের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় পিচ্চি একটি মেয়ের, সেই মেয়ের মা আবার ড্রাগ স্মাগলারদের কিছু জিনিস চুরি করে সেই লোকটার কাছে গচ্ছিত রেখেছে। মা-মেয়ে দুজনেই কিডন্যাপড। কিন্তু লোকটা তার বন্ধুর জন্য তাদেরকে ছেড়ে দিল না।
কোরিয়ানরা দারুন সিনেমা বানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত তাদের কোন সিনেমাই আমার খারাপ লাগে নাই। হলিউডকে বাদ দিয়ে তারা নিজস্ব একটি স্টাইল তৈরী করছে – এটা আনন্দজনক।
রেটিং: ৪.৫/৫
Taxi Driver, USA (1976)
এই সিনেমা সম্পর্কে কে না জানে। বস ডি নিরো’র বিখ্যাত সিনেমা। পাগলাটে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার যার ইনসমনিয়া আছে তার গল্প। সিনেমার ইতিহাসে এই সিনেমাটা অনেকদিন টিকে থাকবে।
রেটিং: ৫/৫
Revanche, Austria (2008)
অস্ট্রিয়ার এই সিনেমাটা দেখার কারণ ছিল ২০০৯ এ অস্কার নমিনেশন পেয়েছিল বলে। লোকটা চেয়েছিল একটা ব্যাংক ডাকাতি করে তার গার্লফ্রেন্ড যে কিনা একজন প্রস্টিটিউট তাকে নিয়ে অনেক দূরে পালিয়ে যাবে এবং নিরাপদ জীবন যাপন করবে। কিন্তু যেই পুলিশের গুলিতে বান্ধবী মরে গেল সেই পুলিশের পাশের বাড়িতেই আশ্রয় নিল লোকটা। বান্ধবী হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায় লোকটা, তার ক্রোধ তাকে পোড়ায়।
রেটিং: ৪.৫/৫
Memories of Murder, Korea (2003)
অসাধারণ সাসপেন্স আর মিস্ট্রিতে ভরপুর এই সিনেমাটাও কোরিয়ান। সিরিয়াল এক কিলারকে ধরার চেষ্টা করেছিল দুইজন পুলিশ অফিসার, কিলার খুন করতো মেয়েদেরকে। সাসপেক্ট ছিল অনেক কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুনীকে ধরা কি সম্ভব?
আমি এই সিনেমাটার জন্য রেটিং বাড়িয়ে দিলাম – ১০/১০
খোজ দ্যা সার্চ, বাংলাদেশ, ২০১০
বাংলাদেশী সিনেমা। সবাই হাসাহাসি করে, আমি করি না। এই সিনেমার মধ্যে অনেক পজেটিভ ব্যাপার আছে। আমি সেই নিয়ে একটি রিভিউ লিখেছি। তবে সিনেমা হিসেবে খুব ভালো নয়। আরও ভালো করার দরকার আছে।
রেটিং: ৩/৫
রঞ্জনা আমি আর আসবো না, ভারত, ২০১১
অঞ্জন দত্তের সর্বশেষ সিনেমা। একটি মেয়েকে ধীরে ধীরে স্টারে পরিনত করার সিনেমা। অনেকগুলো গান আছে সিনেমাটায়, অঞ্জন নিজেই অভিনয় করেছে। তবে সিনেমাটা এতটা ভালো লাগে নি।
রেটিং: ৪/৫
ronjona ami r ashbo na,memories of a murder r the man from nowhere gulo bade baki gulo dekha…
lock stock dekhe byapok e legechilo..:)..baki gulo shomporke apnar shathe ekmot..:)
bhai..apni to korean movie dekhe gule kheye felechen..apnake bolteo lojja lage…apni ki castaway on the moon(2009) dekhechen??interesting bhabe weird ekta movie!!
r arekta movie shobaike dekhte onurodh korbo..jarai foreign language movie dekhte bhalobashen..Binjip(2004)….oshadharon legechilo…(ami sure apanr onek agei dekha hoye geche!)
korean romantic jara dekhen..tara shobai mone hoi Innocent Steps dekhe felechen…
oh amar arekta pochonder foreign language movie “After The Wedding” (Danish: Efter brylluppet) (2006)..jara dekhen ni taderke dekhar onurodh korbo..
majhe majhe eshe movie nie smriti charon kore jabo..(notun movie to r dekha hocche na..tai r ki!!)
বিনীত ভাবে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি – আমি আসলে খুব বেশী সিনেমা দেখি নি, বলা যায়, খুব কমই সিনেমা দেখেছি। 🙂
যে কোরিয়ান সিনেমাগুলোর নাম বললেন, প্রথমে ভেবেছিলাম একটাও দেখিনি। পরে দেখা গেল থ্রি আয়রন (বিনজিপ) দেখা হয়েছে। বাকীগুলো নয়। দেখবো আশা করি।
কিম কি দুক কোরিয়ান সিনেমা নির্মাতাদের মধ্যে বেশ প্রিয়। তার নির্মানশৈলীতে এতটাই মুগ্ধ যে তার নির্মিত প্রায় সব সিনেমাই দেখে ফেলেছি, দু-তিনটে বাদে। একটা বিশাল লেখাও লিখে ফেলেছিলাম তাকে নিয়ে। সেলুলয়েড হলো তার ‘যেমন ইচ্ছে তার কবিতার খাতা’।
মাঝে মাঝে এমন মুভির আলোচনা হলে ভালোই হবে – আপনি যে পাড় মুভিখোর – সেটা কিন্তু ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে – বেড়াল আর কতদিন ব্যাগে থাকবে বলুন 😉
oh bhai..apnar kacheo A walk to remember overrated legeche shune ami jar por nai khushi..aj porjonto manush k bujhate parlam na cinema ta koto rokom bhabe lame!r amra shudhu shudhui bangla r hindi cinema k gali dei!!
এক্সাক্টলি। হলিউডে প্রচুর ফালতু সিনেমা তৈরী হয়। ধুমাধুম অ্যাকশন সিনেমার সবগুলোই যে খুব ভালো বেজের উপর নির্মিত তাও নয়। কিন্তু নির্মান শৈলী এতটাই আচ্ছন্ন করে রাখে যে ওসব আর খেয়াল করা হয় না।
ইয়ে – পুষ্পিতা, বাংলা লেখাটা শিখে নিন না – এখন তো খুব সহজ হয়ে গেছে 🙂
শুভকামনা 🙂
ভাই,নেন বাংলা লেখা শুরু করলাম!বিস্তারিত কমেন্ট পরে দেব…একটু দৌড়ের উপরে আছি!আপাতত একটা সিনেমার নাম মনে পড়ে গেল…তাই বলতে আসলাম
spring,summer,fall,winter…and spring..যাদের দেখা নাই অবশ্যই দেখবেন। এইটাও foreign language film..:)
এটাও কোরিয়ান এবং এটাও কিম কি দুক 🙂
অবশ্যই দেখপেন 😉
a quick comment…captain haddock amar oti oti oti priyo character..infact tintin e amar shobcheye priyo character..:D..koti koti jolonto foshka..geri guglir jhak..:D..shutorang bujhtei parchen apnar chobi ta amar koto pochondo hoyeche!!
quick comment korte holo dekhe banglay kora gelo na!!porer bar abaro banglay korbo..:)
আপনিও একটা ফটু যোগ করে নিন। http://en.gravatar.com/ এই লিংকে গিয়া একটা ফটু আপ করে নিন 🙂
‘kama sutra: a tale of love” দেখলাম। নগ্নতা আর sex – এ দুটোকে খুব বড় করে না দেখে থাকতে পারলে আমার মতে এটা খুব জোড়ালো একটা love story!!! জানি না একমত হবেন কিনা…
এই সিনেমাটার নাম দুদিন আগেই পুশকিনের বড়দের সিনেমার তালিকায় দেখলাম। দুদিন পরেই আবার দেখবো – ইন্টারেস্টিং লাগছে।
সিনেমাটা দেখিনি আপু। এখনই আইএমডিবি, উইকিপিডিয়া এবং রোটেনটম্যাটোস সার্চ করে দেখলাম। যদিও পরিচালক মীরা নায়ার এবং তার নেমসেক আমার খুব পছন্দের সিনেমা, সিনেমাটার রেটিং দেখছি বেশ দুর্বল। কি সমস্যা ছিল আল্লাহ মালুম।
স্টোরীটা দারুন এবং টুইস্টিং মনে হচ্ছে, কিন্তু যৌনতাই যেখানে উপজীব্য সেখানে বাদ দিয়ে দেখার কি সুযোগ হবে? বার্নার্দো বার্তালুসির একটা সিনেমা আছে না, দি ড্রিমারস? সিনেমাটা ভাবানোর মতো হয়তো, কিন্তু সামলানোর মত নয়। ব্যক্তিগত মত, দ্বিমত করার সুযোগ আছে।
যদি কখনো দেখি, তবে অবশ্যই নগ্নতা এবং যৌনতাকে বাদ দিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।
ভালো আছেন তো আপু? মাঝে মধ্যে ঘুরে যাবেন প্লিজ 🙂
কয়েকটা মুভি র নাম মনে আসল আজকে…তাও আবার পড়তে পরতে…কি পড়াশোনা হচ্ছে আল্লাহ মালুম! যাই হোক, নাম গুলো হল-
wag the dog- dustin hoffman and robert de niro এর মুভি…আশা করি ভাল লাগবে
about a boy- hugh grant অভিনীত, আমার অত্যন্ত পছন্দের মুভি
vozvrashcheniye(the return)- নাম শুনেই বুঝতে পারছেন বিদেশি ভাষা…এটা সবার ভাল নাও লাগতে পারে!
a pure formality(Una pura formalita)- রোমান পোলান্সকি র মুভি…
don juan de marco- johnny depp এর আজব এবং সুন্দর মুভি র একটা।।আমার খুব পছন্দের…আপনাদের কেমন লাগে জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
edward scissorhand- এটাও johnny depp…আমার দেখা তার প্রথম মুভি…খুব ই পছন্দের
the painted veil- এডওয়ার্ড নরটন এর এই মুভি টা আমার কেন ভাল লাগে আমি ঠিক নিশ্চিত না!
🙁
মাত্র একটা কমন পড়ল – দ্য রিটার্ন। জনিডেপ খুব বেশী দেখা হয়নি, হয়তো এ কারণেই তার সিনেমাগুলো বাদ পড়ে গেছে।
তালিকা লম্বা থেকে লম্বাতর হচ্ছে 🙁 🙁
আছি ভালোই ভাই 🙂 অফিসের যন্ত্রণায় সিনেমা দেখা একদম কমে গেছে। আপনার আর বাদবাকিদের কমেন্ট থেকে নাম নিয়ে বেশ অনেকগুলি সিনেমা নামিয়ে রেখেছি। ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক সব ভরে গেছে! কিন্তু দেখা আর হচ্ছে না 🙁 আবার বেকার হওয়া লাগবে!! তবে বেশ ক’দিন টিভি সিরিয়াল ‘castle’ নিয়ে পড়ে ছিলাম। এখন আবার একটু একটু করে সিনেমার দিকে ফিরে যাচ্ছি! ভালো কিছু দেখা হলে অবশ্যই জানিয়ে যাবো। 🙂
ইস, আপু, আপনাদের মত চাকুরী-করনেওয়ালাদের দেখে আমি তো ভয়ই পাচ্ছি – আমারও কি একই হাল হবে শেষ পর্যন্ত?
আল্লাহ না করুক 🙂
আপনার কাছ থেকে ভালো সিনেমার নামের অপেক্ষায় থাকলুম। ভালো থাকবেন আপু 🙂
হে হে …কি খবর ভাই?দেখা সাক্ষাৎ নাই মেলা দিন তাই একটু ঘুরে গেলাম…কারন এই মুহূর্তে মাথায় কোন ভাল মুভি র নাম আসছে না।
সরি, মনে পড়েছে…:D
valentin…argentine movie..a must see….
mulan..animation movie…those who love animations and japani animes will like this..one of my pesonal fav..:)
lawrence of arabia…কে বলবে এইটা পিটার ও টুল এর প্রথম মুভি!
all the president’s men…redford/hoffaman..it speaks for itself.
the fighter…was amazed by christian bale in this movie..though mark wahlberg plays the lead role..
the hurricane…by denzel washington…
ভালো নাই, ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন দিন দুয়েক হলো – কবে আবার রেগুলার কানেক্টেড হবো জানি না 🙁
bohut din por chobi dekhklam….jeheto ami aktu indian chobir ghoranar tai oiguloi besi dekha hoy…..ja dekhlam KALBELA….goutom ghosher cinema…..valo chobi tobe jodi kew uponnaser sathe melate jan…tobe mone hobe onimesh[main character ] chorittrer dik diye arektu shokti shali hote parto…. SIKKIM….satyajeet ray…muloto documentory…inar somporke r ki bolbo bolun……….MUJHSE FRAANDSHIIP KAROGE……good entertainer …..RA ONE……anuvab sinhar chobi…sobcheye boro kotha shah rukh khan….aita j ki banailo……bujlam na….srk chara kisui nai….
কালবেলা দেখা হয়েছে। দারুন সিনেমা, তবে পাঠকের কাছে হতাশাজনক। উপন্যাসকে অনুসরন করতে চাইলে এমনভাবে অনুসরন করতে হবে যেন উপন্যাসকে ছাড়িয়ে যায়। নতুবা অনুসরন না করে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হবে। এই সিনেমায় দুটো্র কোনটাই হয় নাই। তাই হতাশ।
বাকীগুলা দেখি নাই – হিন্দী দেখা হয় না, আর সত্যজিতেরটা পাই নাই 🙁
bhai,,,,,quick comment…romantic but oshadharon cinema…ralph fiennes,kirsten scott thomas r collin firth er..”the English Patient”..bhalo na lagle comment ferot!!likum e na ar ami!!
ইস, কারো ভালো লাগা না লাগার জন্য কমেন্ট নাকি? :p
সিনেমাটা দেখেছি। ভালো না লাগার মতো কিছু ছিল না 🙂
নিশিযাপন, ভারত, ২০০৫
সত্যজিত রায়ের পুত্র সন্দীপ রায়ের পরিচালিত সিনেমা বলেই দেখার তালিকায় অন্তর্ভূক্তি। পাহাড়ী এক এলাকায় হঠাৎ পাহাড়ধ্বস হওয়ায় পরিবারের সবাই একজন অতিথিসহ আটকা পড়ল। বাহিরের পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন। দুর্যোগপূর্ন এই পরিস্থিতি একে একে সকলের চরিত্রের নোংরা দিকটি প্রকাশ করে দিতে লাগল – এই হলো সিনেমার গল্প। বেশ দুর্বল স্ক্রিপ্ট – বিশেষত: আটকে পড়া পাহাড় থেকে মুক্তির উপায় সংক্রান্ত অংশটুকু একেবারে যাচ্ছেতাই – এই গল্প মানুষের হতে পারে না, শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।
রেটিং: ৩/৫
এক মুঠো ছবি, ভারত, ২০০৫
ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন পরিচালকের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর নির্মিত শর্টফিল্ম নিয়ে এক মুঠো ছবি। অর্ঘ্যকমল মিত্রের পরিচালনায় ‘জন্মদিন’, পার্থ সেনের পরিচালনায় ‘পক্ষিরাজ’, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরীর ‘তপনবাবু’, প্রভাত রায়ের ‘রাগুনবাবুর গপ্পো’, অঞ্জন দত্তের ‘তারপর ভালোবাসা’ এবং কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘প্রগ্রেস রিপোর্ট’। এর মধ্যে জন্মদিন, তপনবাবু এবং তারপর ভালোবাসা তিনটিই ভালো করেছে। তপনবাবুর গল্পটি দারুন, তারপর ভালোবাসার বর্ণনাভঙ্গি। সব মিলিয়ে মন্দ নয়।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Hire, ইউএসআ, ২০০০
এইটাও একটা শর্টফিল্ম কালেকশন। বিএমডব্লিউ তাদের গাড়ির প্রচারণার জন্য ২০০০-০১ সালে মোট আটটি শর্টফিল্ম নির্মান করে – সবগুলোই গাড়িকেন্দ্রিক, ড্রাইভার একজনই, কাহিনী ভিন্ন ভিন্ন এবং সেরা আটজন সিনেমা পরিচালককে দিয়ে। ৮-১০ মিনিটের এই সিনেমাগুলোয় প্রত্যেক পরিচালকের নিজস্ব মুন্সিয়ানা দারুনভাবে ফুটে উঠেছে। মাস্ট সি ফিল্ম।
রেটিং: ৫/৫
The Looser, ভারত, ২০১১
এখনো মুক্তির অপেক্ষায় এ সিনেমাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। বিষয়বস্তু – এই সিনেমা শিল্প নাকি পর্ন? এমন কোন সিনেমা নয় যা দেখতে হবে। যার দেখার মতো কোন সিনেমা বাকী নেই এবং টাইম পাস করার মতো কোন কাজ নেই এবং উচ্চমার্গীয় নামের ফালতু সিনেমা দেখতে চান তারা দেখতে পারেন।
রেটিং: ০.৫/৫
এউকগা ও দেখি নাইক্কা… the hire টা দেখা লাগব…
ki jani movie er nam mone korsilam..bhuile gesi bashay ashte ashte..:S
Bhul na Jana – টাইপের কোন মুভি নাকি? :p
Alfred Hitchcock এর The Birds এবং Vertigo দেক্লাম। পুরাই মাথা নষ্ট অবস্থা।
বার্ডস সিনেমাটা দেখা হয় নাই – ভার্টিগো সত্যিই চ্রম।
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম লালকমল 🙂
porte porte jibon noshto…:S..mathay movie er nam ashtese na..:S
btw bhai..amare kintu apni shagotomo den nai…khelum na!
:p
ভুল হয়া গেসে আফু। পুনরায় স্বাগতম 🙂
মুভির নাম মাথায় না আসলে নাই – জোর করার দরকার কি?
দ্য লিঙ্কন লইয়ার দেখছেন? এইমাত্র দেখে শেষ করলাম – সিনেমাটা আরও জটিল ফিনিশিঙ দেয়া যেত – হতাশ হৈসি 🙁
< <দারাশিকো ব্লগে পা দেয়ায় ধন্যবাদ।>> প্রথম কমেন্টে কিন্তু এই কথা বলসিলাম – এইটাও একরকম স্বাগতবার্তা 🙂
স্লিপ টাইট- গুড নাইট 🙂
GUERRILLA….nasiruddin yousuf bacchu…..khub somvoboto amar dekha kono bangladeshi cinemar moddhe sobcheya best…..according to me the best making bangladeshi film i have ever seen…..cimemar protiti frame jeno 71 a niye jay….director onek nikhoot kore ak ak ti frame shajiyechen…..osomvob valo ovinoy.valo direcrion,aboho songeet,cinematography,,,,specially onimesh aicch er art direction…ba….shimul yousuf er costume khub ee bastob……shudu ferdous er ovinoy aktu dhalliwoody…seita avoid kora jai ochirei…….ak kothai valo cinema…asa jagay…..boro kichur……boss parle guerrila niya akta lekha liikhiyen
গেরিলা – নিয়ে লেখার কথা আরও অনেকেই বলেছে। সিনেমাটা আমি দেখেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা নিয়ে কিছু বলার জন্য ভয়ানক সাহস লাগে। পজেটিভ এর বাইরে কিছু বললেই অবস্থা মেহেরজানের মতো হতে হবে।
সিনেমা হিসেবে গেরিলা সত্যিই দারুন সিনেমা। যদিও একজন মঞ্চনাটক অভিনেতা এবং নির্দেশক সিনেমার নির্দেশক হয়ে উঠতে পারেন নি অনেক ক্ষেত্রে, কিন্তু সে ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে আরেক মঞ্চ অভিনেতা শতাব্দী 🙂
আপনাকে ধন্যবাদ সুমন।
অট: বাংলায় লেখার চেষ্টা করেন – হয়ে যাবে।
To kill a mocking bird
হারপার লি এর উপন্যাস অবমলম্বনে বানানো ও গ্রেগরি পেক অভিনীত এই মুভি টার আগে ও পরে কিছু বলার ধৃষ্টতা আমার নাই…সবাইকে দেখার অনুরোধ করব।
ধৃষ্টতা না থাকলে দেখানোর দর্কার নাই 😉
এর লাইগাই ত দেহাই নাই…কি কমু এই মুভি লইয়া বুঝতাসিলাম না…!!আমি ত মুভি দেইখা কতা কওনের শক্তি হারায়া ফেলসিলাম!! সিরাম!!
ki bapar bhai??apni ki ei sheet e r kombol theke ber hoben na bole protigga korsen???:S…obossho i can imagine..komboler bhitore dhuke laptop e movie dekh shiram lagar kotha..pora kopal amar..porikkha..:S
নাহে ভাই, কম্বলের ভেতরে বসে সিনেমা দেখা হয় না। আমি সবসময়ই চেয়ারে বসে সিনেমা দেখি – শুয়ে বা আধশোয়া হয়ে সিনেমা দেখতে গেলে সিনেমার পর্দা কেমন বাকাচোরা লাগে – শান্তি পাই না 🙂
পরীক্ষা আমারও চলছে, তাই সিনেমাও কম দেখছি। অন্যদিকে ব্যস্ত ছিলাম ক’দিন। তাই রিপ্লাই দেয়া হয়নি – স্যরি ভাই 🙂
পরীক্ষা শেষে পূর্নোদ্যমে ঝাপিয়ে পড়ুন। আপনার জন্য একটা দাওয়াত। আগামী ২৩ তারিখ সামহোয়্যারইনব্লগের সিনেমাখোর ব্লগাররা একত্রিত হচ্ছি টিএসসি-তে। আড্ডাবাজি হবে এবং সিনেমার আদান-প্রদান। হার্ডডিস্ক-পেনড্রাইভ-ফ্লপিডিস্ক যা আছে নিয়ে আসতে পারেন। আর আপডেটের জন্য এই গ্রুপে যুক্ত থাকবেন … শুভকামনা। 🙂
https://www.facebook.com/groups/somewhereinblog.cinemakhor/
ভাই, পরীক্ষা শুরু হবে পহেলা জানুয়ারী থেকে…।মা বাপের বেকার সন্তান হওনের পথে শেষ পরিক্ষা…জান নিয়া টানাটানি অবস্থা। পুরাই মাথার ঘায়ে কুত্তা পাগল হয়ে ঘুরতেসি…কিছুই মনে থাকে না। পরীক্ষা শেষ হতে হতে ফেব্রুয়ারী …আল্লাহ আল্লাহ করতেসি যাতে বইমেলা টা মিস না হয়। :S… যদি ফেব্রুয়ারী র পরে দম থাকে মানে আল্লাহ বাঁচায় রাখে তাহলে পূর্নোদ্যমে ঝাপায় পরব মুভি আর গল্পের বই নিয়ে। ২৩ তারিখের ব্যাপারে বলতে পারতেসি না ভাই…মনে হয় পারবনা আসতে…তার উপরে আমি ত ব্লগার না ভাই, আমি কমেনটার…:P
বহুদিন পর ফ্লপিডিস্ক এর কথা বলল কেউ…হেহেহেহে… ফ্লপিডিস্ক এ মুভি ধরলে তো কাম ই হইসিল… 😛
ফাইনাল প্রফ? তারপর তো ইন্টার্নশীপ না?
ব্লগার কমেন্টার সবাই আসবে। বাধা নাই, শুধু সিনেমা নিতে চাইলে ল্যাপটপ নিয়া চৈলা আইসেন, রাউটারে শেয়ার করার ব্যবস্থা থাকবে আশা করা যায়।
পরীক্ষার জন্য শুভকামনা 🙂
ভাই, কি যে বলেন…পরিক্ষা দিলেই যে পাশ করব এমন কথা কে কবে বলসে! ইন্টার্নশিপ এখন অনেক দূরের কথা! ল্যাপটপ ত নাই ভাই…দুনিয়া আগাইতেসে… মানুষ এখন আইফোনে মুভি দেখে কিন্তুক আমি এখনও ডেক্সটপ এই দেখি…গরিব মানুষ ফড়িং খায়… ইত্যাদি! দেখি ভাই.. আসার চেষ্টা করব। দোয়া রাইখেন।
গতকালেই দেখলাম Real Steel মুভিটি ,ভাল লাগল । বরাবরের মতই আমার প্রিয় অভিনেতার মধ্যে একজন হলেন Hugh Jackman যাকে আমার অসম্ভব ভাল লাগে । Real Steel সম্প্রকে আরো জানতে উইকি থেকে – http://en.wikipedia.org/wiki/Real_Steel
ছবি আমি প্রতিদিন ই দেখি । একদিন ছবি না দেখলে মনে হয় কি যেন মিস হয়ে যাচ্ছে । তবে দেশে থাকাকালিন ছবির এত বড় পোকা আমি কখন ই ছিলাম না । তখন ছিলাম বইখোর । এখানে তো বই পাইনা তাই ছবির উপর চালিয়ে দিলাম । এখানে এসে হল/থিয়েটারে গিয়া অভ্যাসটা বদে পরিনত হয়েছে । যাই হোক তবে ভাল ছবি আমি বরাবরই হলে গিয়ে দেখে থাকি । প্রতি মাসে আমি একটা লিস্ট করে তারপর হল/থিয়েটারে হামলা চালাই। তবে Classic মুভি গুলো বাসায়/রুমে একলা দেখে থাকি তাতে করে ছবির গল্পগুলো স্পস্ট বোঝা যায় । যাক অনেক প্যচাল পারা হল এবার এই সপ্তাহে আমি যে কয়টা মুভি দেখেছি তার একটা তালিকা নিচে দিলাম –
১/ Ladies vs Ricky Bahl- ছবিটি হলে গিয়ে দেখেছি আগে থেকেই আশা ছিল হলে দেখব তাই শুরুর ৫দিন প[র দেখার সুযোগ মিল্লল ।থিয়েটারে আমরা সবমিলে দর্শক ছিলাম মাত্র ২০ জন (এত বড় হলে ) যাক ছবিটি আমার কাছে ভাল লেগেছে । বিশেষ করে নতুন একটা মুখ দেখার পর আরও ভাল লাগল আশা রাখি তার আগামি ছবিটি ও হলে গিয়ে দেখব । কার কথা বলছি উইকি থেকে জানুন -http://en.wikipedia.org/wiki/Ishaqzaade
২/ Horrible Bosses – ছবিটি আমারে বহুত হাসাইছে হাসি থামাইতে পারি নাই । মনে হলে এখন ও হাসি পায় । IMDb rating এখন ও ৭.১।
৩/ Ice.Age.A.Mammoth.Christmas – এনিমেশন মুভি বা কার্টুন যে আমার কত প্রিয় তা এই বড় বাচ্চাটাকে না দেখলে বুঝতে পারবেন না । যাই হোক Ice.Age এর এই ছবিটা ছবি না বলে একটা ছোট্ট গল্প বলা যায় তবে কমিডি আছে যা আপনাকে না হোক আপনার বাচ্চাকে অবশ্যই আনন্দ দেবে ।
৪ এবং ৫ নাম্বার ছবি দুটোর নাম বললাম না কারন ছবি দুটো বেশি ভয়ঙ্ক্রর এবং একটু Erotic মুভি টাইপ যদি এখানের এডমিন প্যনেল অনুমতি দেয় তবে নাম দুটি বলা সম্বভ ।
শেষ ছবিটি দেখলাম যার নাম হল – Real Steel ।
এই সপ্তাহে আর ও যে মুভিগুলো দেখব তা হল – Ice Age3 , Crazy.Stupid.Love ,Animals.United , Conan The Barbarian এবং Raw Meat *1973* ।
(কিছু কথা – দারাশিকো আমি আগে আপনার ব্লগটি দেখিনি যার দরুন লেখাগুলো মিস করলাম। আশা রাখি আরো সুন্দর লেখা পাব আপনার কাছ থেকে । )
সুস্বাগতম বন্ড, জেমস বন্ড 🙂
সামুতে একজন জেমসবন্ড লিখেন, আপনিই কি সেই?
কি কি সিনেমা দেখলেন সে ব্যাপারে কোন মডারেশন নেই, মডারেশন থাকবে যদি কন্টেন্ট আপত্তিকর হয়, বা আক্রমনমূলক হয়। আগের কমেন্টগুলোতে দেখবেন এক আপু মীরা নায়ারের একটা সিনেমার কথা বলেছে যা অ্যাডাল্ট কন্টেন্টযুক্ত, কিন্তু মডারেশন করা হয় নাই – সুতরাং চলতে পারে।
কোন দেশে থাকেন সেটা তো বললেন না বন্ড, সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা শুনে লোভ হয় 🙂
ভালো খাকুন, আবার আসবেন 🙂
জি জনাব সেই আমি যে কিনা Avatar নিয়া একটা লেখা লিখছিলাম সামুতে । কিছু ব্লগে যাওয়া হয়না তবে এখন প্রজন্মেতে বেশি থাকা হয় । সামুতে আগের মানুষজন ও নাই তাই
থাকি – বাহরাইনে ।
বাহ! রাইনে নিশ্চয়ই অনেক মজা 🙂
areh darashiko bhai…..darashikor blog e apnake shagotomo…:P
kal porshu hall e chole jabo…tai bhablam ekbar dhu mere jai…”abar hobe to dekha..e dekhai shesh dekha noi to”..!!
baiche thakle ferot ashbo….btw, “the hobbit” movie r promo amar bapok agroho jagaise.
jwar age koekta cinema r nam bole jai..
cinema paradiso
the boy in striped pyjamas
sleepers
tootsie
the memoirs of a geisha
ektar shathe arektar kono mil nai..ami nishchito apni shob guloi dekhsen…ami ashole jonosharthe comment kori..:P..jara dekhen nai tara dekhle asha kori bhalo lagbe..:)
এইমাত্র আপনি আমার চোখ ভিজিয়ে দিলেন, এত আদর করে কেউ আমাকে আমার সাইটে স্বাগতম জানায় নাই, কোনদিন জানাবে সেইটাও ভাবি নাই, কিন্তু আপনি আমার কল্পনাশক্তিকে দুর্বল প্রমাণ করেছেন – আমার কল্পনাশক্তির দুর্বলতা ফাস হয়ে যাওয়ায় আমার চোখ ভিজে উঠেছে, যে কোন মুহুর্তে কিবোর্ডে পানি পড়ে যেতে পারে …. 🙁 :'(
শুনুন, কালকে আমাদের আড্ডা, টিএসসিতে। সাড়ে তিনটায়। আসবেন কিন্তু।
হলবাস ভালো হোক,পড়াশোনাময় হোক। শুভকামনা 🙂
bhai..kainden na..jibone erokom aro turning point ashbe..protibar pani fele keyboard noshto korle kemne hobe bolen!
5-6 din por por nijer blog e pa dile shagotomo janano chara upay ase!!!
ghum katatite eshe dekhi apni amontron janaisen..ekhon to oporadhbodh jagtese…erokom antorik amontron asholei asha kori nai..kintu kalke mone hoi parbo na bhai…mirpur theke TSC jawa ektu dushkor..adday hoito adha ghonta thakte parbo kintu jawa ashay 2 ghonta shesh.:S…hall e thakle kuno shomossha chilo na..TSC hata poth hall theke..:(
ekdike boltesen hall bash bhalo hok(jeno oita adou konodin possible..:S) ar porashona moy hok..arekdike adda marte daktesen…boroi bichitro obostha!!:(
ইসস, ৫/৬ দিন পর পর আসি এই অভিযোগ তো শত্রুও দিবে না (মিত্ররা দিতে পারে 😉 )
ডাক্তার বিড়ি খাইতে নিষেধ করে নিজেই বিড়ি ধরায় – জানেন তো? 😉
ভালো থাকুন খোড়া হাস 🙂
khora hash!??yeee..mane..apni dekhe felsen eita to jantam na!!
adda kamun hoilo bhai?
প্রথম আড্ডা, অবিস্মরনীয় আড্ডা। টিএসসি-তে হবার কথা থাকলেও হয়নি, সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে হলো শেষ পর্যন্ত। আমি আটটা পর্যন্তু ছিলাম, তখনও চলছে। বোধকরি নটা পর্যন্ত চলেছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/statesman/29508920
http://www.somewhereinblog.net/blog/ANPony/29508858
http://www.somewhereinblog.net/blog/che_hasan/29508818
এই পোস্টগুলায় একটু চোখ বুলাতে পারেন 🙂
dekhlam bhai..purai mardanga obostha..ekdik die bhaloi hoise jai nai..shobai dekhi shobaire virtually chine!!:)
খুব ঠিক হলো না – প্রত্যেক ব্লগারই অল্প কিছু ব্লগারকে চেনে। বাকীদের নাম জানে হয়তো, অনেকেরই নামও জানে না, ব্লগও পড়ে নি। আড্ডা বলেই এসেছে, পরিচিতি একটা উদ্দেশ্য। এটাই আমার প্রথম কোন ব্লগাড্ডায় যোগদান 🙂
ghotona ki??jhimaya porsen naki??:S
একদম না। আপনি তো শুধু একটা পোস্টে নজর রাখেন, এর মাঝে নতুন পোস্ট লিখেছি, সামু ব্লগে সিনেমার বাইরে পোস্ট দিসি 🙂
সিনেমা দেখাও চলতেসে অল্প অল্প 🙂
bhalo thaiken bhai.albida.bachbo na r beshidin…doa koiren.
আলবিদা।
যেভাবে দাম বার্তেছে, তাতে বাচার কথা না 😉
ইয়ে, বেশীদিন বাচবেন না, তারপরও দোয়া করার কষ্ট দিতে চাচ্চেন?
আলবিদা।
আবার আইসেন
ইতি মৃণালিননী, ভারত, ২০১০
অপর্না সেনের সিনেমা। মা এবং মেয়ে একই সিনেমায় একই চরিত্রে অভিনয় করেছে। সিনেমার অভিনেত্রীর জীবনের বেশ কিছু বাক বিশেষত প্রেম নিয়ে এই সিনেমা। অপর্ণা সেন যথারীতি পরিচালনায় মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। সিনেমাটি নিয়ে একটি রিভিউ লিখেছি।
রেটিং: ৪.৫/৫
দ্য লিংকন লইয়ার, ইউ এস আ, ২০১১
ব্র্যাড ফারম্যানের পরিচালনা। একজন দূর্নীতিগ্রস্থ লইয়ার কিভাবে একজন মানুষকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে নিজেকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দেন সেই সিনেমা। দারুন শুরু ছিল সিনেমাটার, কিন্তু শেষটা হতাশাজনক। গল্প যেভাবে গড়ে উঠেছিল, তাতে শেষটা যেন জোর করে হয়েছে। উকিলের ভূমিকায় ম্যাথু ম্যাকনটি বেশ দারুন অভিনয় করেছেন।
রেটিং: ৪/৫
দ্য টাউন, ইউএসআ, ২০১১
বেন অ্যাফ্লেকের পরিচালনা এবং অভিনিত সিনেমা। একটি শহর যার কুখ্যাতি রয়েছে ব্যাংক ডাকাতদের আশ্রয়স্থল হিসেবে। সেই শহরের কিছু তরুন ব্যাংক ডাকাতি করে বেড়ায়। একটি ডাকাতির সময় যে মেয়েটিকে জিম্মি করেছিল তারই প্রেমে পড়ে যায় মূল প্ল্যানার। ঘাঘু এক পুলিশ অফিসার তখন খুজে বেড়াচ্ছে এই দলটিকে। দুর্দান্ত সিনেমা।
সিনেমার এন্ডিংটা অন্য কোন সিনেমায় ছিল, মনে করতে পারতেসি না, হেল্প করুন প্লিজ।
রেটিং: ৫/৫
কিল দ্য আইরিশম্যান, ইউএসআ, ২০১১
ড্যানি গ্রিন নামের একজন শ্রমিক নেতা থেকে শুরু করে মাফিয়া লিডার হয়ে যাওয়া এবং তার মৃত্যুর ঘটনা। কিভাবে একের পর এক বাধা দূর করে সে এই পর্যায়ে উঠে, কিভাবে তাকে হত্যার অনেকগুলো প্রচেষ্টা থেকে বেচে যায় সেই গল্প এখানে। মাস্ট সি সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
অপরাজেয় বাংলা, বাংলাদেশ, ২০১১
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক অপরাজেয় বাংলার নির্মান ইতিহাস এবং এর সাথে জড়িত আন্দোলন চেতনা নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারী। সকল বাংলাদেশীর অবশ্যই দেখা উচিত। দেশেই ফ্রি শো চলছে। এইনিয়ে রিভিউ দেখতে পারেন।
রেটিং: ৪.৫/৫
ষা ফেমি নিকিতা, ফ্রান্স, ১৯৯০
লুক বেসোর সিনেমা। মাদকাসক্ত এক তরুনীকে গায়েব করে ফেলে সরকারী বাহিনী, তারপর তাকে প্রশিক্ষন দিয়ে নতুন পরিচয়ে তৈরী করা হয়। তারপর আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়া হয় – শর্ত, নির্দেশ পাওয়ামাত্রই কাজে নেমে পড়তে হবে। কিন্তু মেয়েটা পড়ে গেল একটি লোকের প্রেমে। এর মাঝে একদিন বেজে উঠল ফোন – নির্দেশ এসে গেছে।
চমৎকার সাউন্ড ট্র্যাক এই সিনেমায়। লিও দ্য প্রফেশনাল যারা দেখেছেন তাদের অবশ্যই ভালো লাগবে।
রেটিং: ৫/৫
মিউনিখ, ইউএসআ, ২০০৫
স্টিভেন স্পিলবার্গের এই সিনেমাটা মিউনিখ অলিম্পিকের সময় ইহুদী খেলোয়ারদের হত্যা এবং পরবর্তীতে ইজরায়েল কতৃক হত্যা অভিযান নিয়ে। সত্যিই খুব দারুন সিনেমা। ইহুদী দৃষ্টিকোন থেকে দেখা হয়েছে বলে ইহুদীদের প্রতি সহানূভূতি জাগতে পারে। সত্যিটা মাথায় রাখবেন তাহলেই চলবে 🙂
রেটিং: ৫/৫
বছরের শেষ দিনে দেখলাম Warrior (2011) এবং এটা আমার দেখা ২০১১ সালের সেরা মুভি। দুঃখজনক হলো, দারাশিকো জানালেন, এই মুভি কোন ধরনের পুরষ্কারের জন্য দৌড়ে নেই।
সামুতে কাউসার রুশো ভাইয়ের বছরের শেষ দুটো পোস্ট দ্রষ্টব্য। হয়তো তালিকার কিছু সিনেমা এটার চেয়েও ভালো 🙂
you dont mess with the zohan
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম সৌরভ 🙂
জোহানকে যদিও আমি চিনতে পারতেসি না, তবে আপনার কথা মনে থাকবে 😉
সাবধান করার জন্য ধন্যবাদ
আবারও আসবেন 🙂
oikhane adam sandler odvut accente english bole.oi accente ekhon amio boli
http://en.wikipedia.org/wiki/You_Don%27t_Mess_with_the_Zohan
ধন্যবাদ।
জনি ইংলিশ রিবরন দেক্সিলাম কিসুদিন আগে।প্রথমটার মত ভাল হয়নাই।তবে শেষ করসে হাসি দিএ।
ডন২ dvdscrদেখলাম।শেষ ৪৫ মিনিত ছরম।মিউজিক চ্রম খ্রাপ। শাহরুখ ভক্তরা অবশ্যই দেখবেন।রা ওয়ানের মত বাল ছালের চেয়ে ভাল।মিউজিক আর প্রোমোশন ভাল হলে আর জমতো।রেটিং ৩/৫।
এক্স ম্যান ফার্স্ট ক্লাস ।এক্স ম্যান চতুরলজির 😉 সবচেয়ে ভাল ছবি। আমি ত ইয়ং ম্যাগনিটোর দিওয়ানা হয়ে গেসি।রেতিং ৪.৫/৫।
অভ্র ফনেটিকের মায়রেবাপ
ফিক্সড কীবোর্ড শিখে ফেলতে পারেন। কাজে দিবে অনেক। আমার পরামর্শ প্রভাত লেআউট শেখেন।
koi
pamu?
জোহান দেখি নাই, এইটাইপের কমেডি সিনেমা খুব একটা ভালো লাগে না।
ডন ২ দেখবো কিনা জানি না, ১ নাম্বারও দেখি না।
এক্সমেন দেখতে হবে
দিনকাল বালা নি বাইজান?
এমন দিনে জিগাইলেন 🙁
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি হার্ডড্রাইভ ক্রাশ করসে। গরীব মানুষ, সামলানো কষ্টকর। ভেতরে যা ছিল সেইগুলার জন্য বেশী কষ্ট।
আপনি কেমন আছেন?
i feel u man..:(…harddrive crash korle ami mone hoi debdash hoye jaitam..:(:|
আমি এখনো বাইচা আছি…কদ্দিন থাকুম কইতে পারিনা…ফেব্রুয়ারী ১৪ এ পরিক্ষা শেষ…ভাইভা র আগে আমাগো ফাযিল স্যার গুলান বলতে গেলে কুন ছুডি ই দেয় নাই…মাবুদ ই জানে কেমন হইব পরীক্ষা…ভ্যালেন্টাইন্স ডে দিয়া আমার কুন কাম নাই…মাছি মারা ছাড়া…হুদাই ফেল মারা লাহান পরীক্ষা না দিয়া আর কদিন ছুডি পাইলে একটা চান্স ছিল…:S
হার্ডডিস্কের ডাটা উদ্ধার প্রক্রিয়া জারি আছে। খুব সম্ভবত হার্ডডিস্কটা এবারের মতো বেচেঁ যাবে 🙂
হ্যালো, কেমন আছো ভাই? সিনেমা দেখার জন্য কলিজা কান্দে আবার ধুমায় সিনেমা দেখতে চাই। ফেসবুক বিরতি দিয়ে দিলাম। দেখি এবার সময় বের হয় কিনা। এর মধ্যে ভালো কোন সিনেমাই দেখা হয়নি! যত্তোসব মুড়িমুড়কি মার্কা জিনিসপাতি দেখে সময় নষ্ট করেছি। তাও তার মধ্যেও কিছু জাতের ছিল। Lolita(1997), 50/50 দেখলাম। প্রথমটা ভালো লেগেছে, পরেরটা মাঝামাঝি। জাপানিজ সিনেমা nobody knows শুরু করেছি। আরো বাকি in july, last tango in paris(সাবটাইটেল-ওয়ালা পেলাম না), the bridge on the river kwai, run lola run, unfaithful.
আপুকে আবারও স্বাগতম, বেশ কিছুদিন পরে এলেন বলে।
ফেসবুক কিন্তু সত্যিই থ্রেট হযে গেছে, অন্যান্য কাজগুলোকে আটকে দিচ্ছে বেশ শক্ত ভাবে। সিদ্ধান্তটা তাই সঠিক হৈসে। আমার ঈমান দুর্বল, এই সিদ্ধান্ত নিয়া বেশী সময় দূরে থাকতে পারি না 🙁
ট্রি অব লাইফ নিয়ে সিনেমাখোর গ্রুপে আপনার আলোচনাটা ফলো করেছিলাম, এ কারণে সিনেমাটা নামাইসিলাম। কিন্তু গতকাল সকালে হার্ড ডিস্ক ক্রাশ করেছে 🙁 পিসি ঠিক হলে দেখে ফেলবো আশা করছি।
রান লোলা রান দেখেছি, দারুন সিনেমা। এই ভদ্রলোকই কিন্তু পারফিউম দ্য স্টোরি অব আ মার্ডারার তৈরী করেছিলেন।
ভালো থাকুন আপু। 🙂
ঈমানে আমারও টান পড়ে যাচ্ছে 🙁 তবে ‘সিনেমাখোর’ গ্রুপটা কাজের! ট্রিভিয়া-ট্রিভিয়া খেলা একটু বিরক্তিকর হয়ে যাচ্ছে! পারফিউম দ্য স্টোরি অব আ মার্ডারার দেখেছি। জটিল!!! আমার কেন জানি পরিচালক ধরে সিনেমা দেখা হয় না। রেটিং দেখে সিনেমা নামাই :s অতি রোমান্টিক, অতি অ্যাকশন টাইপ কম দেখি। আর থ্রিলারের ১০০০ হাত দূর দিয়ে চলাফেরা করি 🙁
যাই হোক, ‘nobody knows’ অসাধারণ। আরেকটা মুড়িমুড়কি মার্কা সিনেমা দেখলাম ‘it’s a wonderful afterlife’. সিনেমা দেখার চেয়ে Sendhil Ramamurthy-কে দেখার আগ্রহ বেশি ছিল এখানে!!! :”> দেখি আজকে লোলাকে নিয়ে বসবো!
ভালো থেকো, পিসি দ্রুত সুস্থ হোক! 🙂
ধন্যবাদ আপু, পিসির পূর্ণ সুস্থ্যতা দেরী হবে। মেজর অপারেশন এন্ড ট্রান্সপ্লান্টেশন দরকার হবে। সে ব্যয়সাপেক্ষ। আপাতত টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। 🙂
সিনেমাখোর গ্রুপটা সত্যিই দারুন কাজ করছে। এখানে সিনেমার রিকমেন্ডেশন বিশ্বাস করা যায়। ট্রিভিয়াটা এনজয় করতেসি, কিন্তু পার্টিসিপেট করতে পারতেসি না – পারি না তো কিছুই 🙁
আপনি নিয়মিত আসছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে আপু 🙂 আপনার জন্য ভোলার কাচা দই 🙂
হিহি! তোমার জন্য বগুড়ার মিষ্টি দই 😀
ওহ! the tree of life-এর কথা তো ভুলে গেলাম! ওটাও দেখেছি!
cinema dekhsi onek gulan….jehetu ami aktu bollywood premi tai cinemagulan o bollywoody…..
DON2….chole tobe farhan akhtarer kase aro asa chilo….
LADYS VS RICKY BAHL…vua…,
SHAITAN…notun director…making a vinnota ase….,
arekta chobir nam bolbo ROCKSTAR…..ami jani darashiko vaier mumbai cinemar proti bod hoy allergy ase tobe ami apnake ai chobi ta dekhte bolbo…..imtiaz alir vokto ami tar…’jab we met’chobi theke……..loktar making a akta jadu ase ……ami janina apnar valo lagbe kina……tobe amar kase ooooshadharon akta chobi rockstar
হিন্দী সিনেমা আসলেই কম দেখা হয়, এত ইমোশনাল সিনেমা ভালো লাগে না, তাছাড়া হিন্দী ভাষাটাও বুঝি না, সাবটাইটেল ছাড়া হিন্দী সিনেমা দেখলে আমি বুঝি না 🙁 হিন্দী সিনেমা না দেখার ফলাফল 🙂
রকস্টার দেখার ইচ্ছে ছিল। কে যেন একটা রিভিউ লিখেছিল রকস্টার নিয়ে, সম্ভবত রাজিন, ওটা পড়ার পর আগ্রহ মিইয়ে গেছে। তাছাড়া, রকস্টার সিনেমার গানগুলো রক হয়নাই বলে আমি বেশ কষ্টিত। সাম্প্রতিক আলোচিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রকস্টার, দিলি বিলি, আমির খানের কি যেন একটা সিনেমা এসেছে ওগুলো দেখার ইচ্ছা আছে, তবে আগ্রহ এত বেশী না যে অন্যগুলো বাদ দিয়ে দেখবো। তবে আপনার কথা মাথায় থাকবে বস।
দেখে ফেললে লাভই বেশী 🙂
পিসি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে বলে রিপ্লাই দিতে একটু দেরী হলো, দু:খিত। ভালো থাকুন সুমন 🙂
derir joinno bepars na…..apnar pc r joinno shuvo kamona…..tobe chobita daikhen….
লিখিত পরীক্ষা শেষ করে বাসায় আসলাম… একটা রবার্ট রেডফোরড এর মুভি দেখি…১৯৭৫ এর…থ্রী ডেইজ অফ দা কন্ডর…স্পাই থ্রিলার হিসেবে খারাপ না।
তো ভাইজান ভালা নি?
ভাইজান পিসি নিয়া একটু ঝামেলায় আছে। হার্ডডিস্ক ক্রাশ করসে, এখন উবন্টু চালাইতে হৈতেসে। ফলে বাংলা লেখাটা একটু ঝামেলার।
ভাইজান ভালোই আছে, কারণ সে এক সপ্তাহ ট্যুর দিয়া আসছে, বাবা মায়ের সাথেও দেখা করছে। এইবারের স্পেশাল ট্যুর হৈল ভোলার চর কুকুরি মুকড়ি – সে খুবই চমৎকার জায়গা। জংগলটা দারুন:)
kobe j jamu!afsus!
প্রফের পরে না বন্ধ? এখনই প্ল্যান করে ফেলুন কোথায় যাবেন কি করবেন .. হতাশা কেটে যাবে 🙂
UNKNOWN…moja paisi deikha,….
22 SHE SHRABON…ai movie tar directorer prothom chobita chilo autograph..valo lagchilo tai ata dekha…atao valoi lagse bangla cinemai serial killing…mone hoi prothombar…tobe arektu teka poisa khoroch korle bod hoi aro valo hoito……
GANDU…aitao bangla cinema….sadakalo…purai paglate chobi…akhon aita normal cinema naki porn seita niye sondeho ase dujon bes porichito tv actress kolkatar …r ki komu kon……..
AGNEEPATH….sompurno dhundumar comercial cinema…boss lagse…bises koira sanjay dutt er acting r look
কি ভাই ডুব দিছো??? সিনেমা দেখা হচ্ছে না। আবার বইও জমা হচ্ছে কতগুলি! কোনটা রেখে কোনটা ধরি? 🙁 এ কয়দিনে দেখলাম The Goonies, The Truman Show, Atonement আর হিন্দি rockstar. তুমি Where the Wild Things Are দেখছো? সিনেমা মেকিংটা সুন্দর, গল্পটা বেশি মাথায় ঢুকে নাই!
ডুব দিতে হল। পারিবারিক প্রোগ্রাম, না থাকলে হয় না – সুতরাং সব কিছু থেকে ডুব। তাছাড়া পিসিটা ঝামেলা করছে কিছুদিন – গরীব মানুষের দুর্বল পিসি – ধুকে ধুকে চলে 🙁
গুনি দেখি নাই, Where the Wild Things Are ও দেখি নাই … দ্বিতীয়টা দেখার আগ্রহ বোধ করছি … তবে কবে যে দেখবো সেইটাই বুঝতে পারতেসি না 🙁
মনে করে কমেন্ট করে গেলেন – তাই ধইন্যা 🙂
ওহ আর আজকে দেখলাম Raise the Red Lantern
🙂
বাইজান…পরিক্ষা শেষ …বাংলাদেশ! এখন কন কি কি মুভি দেখুম…২০১১ এবং ২০১২ এর…গত এক বছরে মুভি দেখার পরিমান খুব আশংকা জনক ভাবে কমে গেসে… সুতরাং সব কটা ভালা ভালা মুভি র নাম দিবেন কইলাম!
গুড। আপনাকে মিস করছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে। আপাতত বিভিন্ন তালিকায় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো দেখে ফেলুন। আমার দেখা হয়নি ওগুলো। আপনার মন্তব্য পড়ে দেখবো 🙂
বাইজান দিকি ফাঁকিবাজ হয়া গেসেন!!আমার উপ্রে দিয়া চালাইতে চান।।আমি আরো কই আশা করসিলাম যে আপনে আমারে শর্ট লিস্ট কইরে দিবেন!হতাশ!!
রানওয়ে নরসুন্দর আর একুশ পাবলিক লাইব্রেরি তে দেখাইতেসে…৫০ টাকা টিকিট। ১৭ তারিখ দেখে আসছি…রান ওয়ে থেকে আরেকটু বেশি আশা ছিল । নরসুন্দর ভালই । তবে আরেকটা মিশুক মুনির আসলেই এই দেশে তৈরি হবে না বহুদিন!
বাইজান…রাই অ্যালবাম টা শুনসেন? না শুনলে অবশ্যই শুনেন…বহুদিন পর আনুশেহ র কাজ অসাধারন হইসে।
শাহবােগ যাওয়া হচ্ছে না বহুদিন – এ কারণেই জানা হয়নি তারেক মাসুেদর সিনেমার কথা। দেখি আজ দেখা যায় কিনা।
আপনােক শর্ট লিস্ট করে দেবো আমার কি সেই যোগ্যতা আছে? আপনি তো আমার চেয়েও বড় সিনেমাখোর 🙂
রাই অ্যালবাম শুনি নাই – শোনার ইচ্ছা রাখছি। দেখি ডাউনলোড করা যায় কিনা 🙂
বাইজান আজকে গেলে ৩ টার শো এ যান, নয়ত ৫ তার শো এর জন্য ৪ টা থেকে লাইন দেওয়া লাগবে, অমানুষিক ভিড় হয় ।
হেহ…আপনিও বললেন কথা, আমিও নাড়লাম মাথা! আমি আপনার থেকে বড় সিনেমাখোর হইতে পারিনি এখনও । দেরি আসে!
রাই মাই স্পেস আর সাউন্ডলোড এ ছাড়সে…ডাউনলোড করতে গেলে একটু ঝামেলা আসে…তবে সব কিছুই তো সিস্টেম করা যায়!
৩টার শো-তে যাওয়ার নিয়ত করতেসি। ইনশাল্লাহ থাকবো সেখানে।
ডাউনলোড করার জন্য অপেক্ষা করতে হয় তবে। পারলে ডাউনলোড লিঙ্ক দিয়েন 🙂
http://www.mediafire.com/?n0s7trajnc3n6er
ব্লগারদের সিনেমাব্লগ নিয়ে ইবুক একমুঠো চলচ্ছবির দ্বিতীয় পর্ব বের হল। আপনি এটা ডাউনলোড করে নিন। ভালো সিনেমাগুলো এখান থেকেই জানতে পারবেন। সাথে রিভিউ। সুতরাং ঠকার কোন আশঙ্কা থাকবে না।
ভালো থাকুন পুষ্পিতা 🙂
The Classic, Korea,
কোরিয়ান রোমান্টিক সিনেমা। একই সাথে দুটো সময়ের প্রেম তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়। সিনোমাটোগ্রাফি দারুন, রোমান্সটাও ছুয়ে যাবে।
রেটিঙ: ৪/৫
Tree of Life, USA, 2011
এই সিনেমাটা দুর্দান্ত, তবে দুর্বোধ্যও বটে। সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারণ, আর গল্পের ইনার মেসেজটা। ব্রাড পিট অভিনয় করেছে। এরকম সিনেমা ২০-৩০ বছরে একটা দুটো তৈরী হয়। এতটাই প্রভাবিত যে একটা রিভিউ লেখার চেষ্টা করতেই হল।
রেটিঙ: ৫/৫
The Adjustment Bureau, USA, 2011
ম্যাট ডেমন এর এই সিনেমাটা ভাবাতে সাহায্য করবে। অন্তত: এই সিনেমা থেকে একটা বিষয় আমি পজেটিভলি নিয়েছি। যোগ্য লোকদের প্রেমে জড়ানোর আগে স্রষ্টার দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করা যেতে পারে।
রেটিঙ: ৪.৫/৫
Reservoir Dogs, USA,
টরান্টিনোর প্রথম সিনেমা। ডার্ক কমেডি, দারুন ভায়োলেন্স। টরান্টিনো বোঝার চেষ্টা করতেছি।
রেটিঙ: ৪/৫
Chinatown, USA, 1974
এই সিনেমাটা নিয়া ব্লগ লেখার চেষ্টা চলছে, মাস্টারপিস সিনেমা।
রেটিঙ: ৬/৫
১. রানওয়ে, নরসুন্দর, একুশ
রানওয়ের ক্যামেরার কাজ দেখে মুগ্ধ
২. ফিরে এসো বেহুলা
বেশ ভালো কাজ। তবে স্ক্রিপ্ট এ গল্প নিয়ে কিছুটা আপত্তি আছে
৩. মিশন ইম্পসিবল ফোর
স্টার সিনেপ্লেক্সে দেখে দুর্দান্ত লেগেছে
৪. কিম কি দুকের ‘ব্যাড গাই’
আস্তে আস্তে কিম কি দুকের উপর বিরক্ত হয়ে উঠছি। এ ব্যাপারে আলোচনার আমন্ত্রণ থাকলো
৫. এ সেপারেশন
দুর্দান্ত
৬. ইমমোর্টালস
জমে নাই।
৭. উডি অ্যালেনের ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা
চিত্রনাট্যের ব্যাপারে উডি অ্যালেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী
৮. উডি অ্যালেনের মিডনাইট ইন প্যারিস
এখন পর্যন্ত ২০১১ সালে দেখা অন্যতম সেরা মুভি
ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন আমেরিকা দেখছি তিন দিন ধরে…
ডাক, ইউ সাকার মুভিটার লিংক থাকলে কাইন্ডলি দিয়েন
রানওয়ে নরসুন্দর একুশ একটাও দেখি নাই 🙁 কই দেখলেন এইগুলা?
বাকীগুলার একটাও দেখি নাই। ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা হাতে পেয়েছিলাম, কিন্তু কোন কারণে পছন্দ হয় নাই, তাই দেখি নাই।
কিন্তু আপনার মন্তব্য পড়ে একটু আফসোসই হচ্ছে। “চিত্রনাট্যের ব্যাপারে উডি অ্যালেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী” – এই লাইনের বিশদ ব্যাখ্যা করলে ভালো হত। বিশেষ করে ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা সিনেমার প্রেক্ষাপটে। আমি ভালো চিত্রনাট্যের ব্যাপারে একটু আগ্রহ বোধ করছি ইদানিং। চায়নাটাউন সিনেমাটা সে কারণেই দেখা। দেখা শেষ, পড়েছি কিছু, এখন লিখার চিন্তা চলছে।
এই প্রশ্নের উত্তর পাবার পর কিম কি দুক নিয়ে আলোচনা শুরু হবে ইনশাল্লাহ 🙂
নরসুন্দর, রানওয়ে ও একুশ দেখে এলুম। একুশ বেস্ট। সিনেমাটোগ্রাফি তাক লাগিয়ে দেয়ার মত – স্যলুট টু মিশুক মুনির।
boss…owe you one.thanks for the list..:)
let us know what u think about runway.
watched Runway, Noroshundor and Ekush while ago. Ekush was the best among the three. Really Exclusive.
You better start about Runway. Then I will in my turn. Saying first is somewhat risky for me 🙂
আমার কাছেও একুশ বেস্ট লাগসে। এরিয়াল ভিউ গুলো ছিল অসাধারণ। হ্যাটস অফ মিশুক মুনির। ইন ফ্যাক্ট ৩ টার ই সিনেমাটোগ্রাফি অসাধারণ লাগসে।
বাইজান তো বিপদে ফালায় দিলেন! আমার মুভি নিয়ে কিছু বলার ধৃষ্টতা নাই। তবে কয়েকটা জিনিস মনে হইসে…তাই শেয়ার করলাম।
১। সিনেমায় তিশার কোন প্রয়োজনীয়তা পেলাম না।
২। এক সাথে অনেকগুলো টপিক তুলে আনার চেষ্টা করা হইসে। এন জি ও, বিদেশে চাকরি, তার সাথে জঙ্গি এবং ইসলাম এর নামে মাথা হোয়াইট ওয়াশ সব গুলো জিনিসে ফোকাস করতে গিয়ে একটু অগোছালো লাগসে।
৩। সবচেয়ে বড় যে জিনিস টা একটু মনে হইসে সেটা হল গল্পটা। আমার কাছে দুর্বল লাগসে গল্প।
ভয়ে ভয়ে পোস্ট দিতেসি…তুলকালাম না লাইগে যায়!!
বাংলাদেশের সিনেমায় আমি হেলিকপ্টারে করে শট নিতে দেখেছি এমন আরেকটি সিনেমা – খোজ দ্যা সার্চ। অবশ্য আমি শিওর না সেই শটটা সত্যিই নেয়া হয়েছিল নাকি স্টক ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এই সিনেমার শেষ দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারন ছিল। শুরুর দৃশ্যটার কথাই বা বলবো না কেন। একুশ – এ ক্যামেরার কাজের জন্য মিশুক মুনীরকে একটা পদক দেয়া যেতে পারে।
তিশার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন পেয়ে আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমার ধারণা ছিল সবাই এই প্রসঙ্গটা ইগনোর করে যাবে। একটু আগে আমি ফেসবুকের স্ট্যাটাসটা দেয়ার সময় এই ঘটনাটাই মনে পড়ছিল। তিশার উপস্থিতির সাথে সাথে হলভর্তি মানুষের মধ্যে আমি হাসির আওয়াজ পেয়েছি, গুঞ্জন শুনেছি। আমি বুঝেছি – এরা তিশার উপস্থিতিকে দেখছে মোটাদাগে। একজন ইসলামিস্ট ব্যক্তিজীবনে প্রেম করছেন তাও আবার বোরকা পড়া মেয়ের সাথে, অথচ মুখে আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা – এটা ভন্ডামির চিহ্ন হিসেবেই দর্শকের কাছে উপস্থাপিত। কিন্তু একটু পরেই বোঝা গেল – তিশা তার প্রেমিকা নন, স্ত্রী। তবে সে কেন?
উত্তরটা পাওয়া যায় দুজনের সংলাপে। একটু খেয়াল করলে বোঝা যাবে এই সিনেমার প্রায় প্রত্যেকটা চরিত্রই সমাজের কোন না কোন অংশকে রিপ্রেজেন্ট করছে। আরিফ যদি উগ্রপন্থী কোন দলের রিপ্রেেজন্টিটিভ হয়, তবে তিশাও অন্য কোন অংশের। যেহেতু তাদের সংলাপটা পলিটিক্সকেন্দ্রিক – বোঝা যায় তিশা কোন একটা পলিটিক্যাল দলের সদস্য। এমন একটা দল যারা গনতন্ত্রের সাথে ইসলামের কথা বলে। নারী সদস্য আছে এরকম একটা দলই আছে বাংলাদেশে – জামাতে ইসলামী – তিশা তাদেরই রিপ্রেজেন্ট করছে। এখন প্রশ্ন হল তিশাকে উপস্থিত করা কেন? কারণ আর কিছুই নয়, ইসলাম নিয়ে যে কটা দল/মত রাজনীতি করছে তাদের একটি জামাত এবং তাদের ভূিমকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাবে। তিশার উপস্থিতিতে সংলাপের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেয়া হল – জামাত হল ভন্ড একটি দল যারা ইসলামের নাম দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চায়।
আমি জানি না এটা তারেক মাসুেদর ইচ্ছাকৃত কিনা – তিশার উপস্থিতি এবং সংলাপের মাধ্যেম তিনি একদিক থেকে জামাতের পক্ষেও কথা বলেছেন। জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তারাই জঙ্গীদলের মদদদাতা, পৃষ্ঠপোষক। অথচ এখানে বোঝা গেল – তা নয়। বরং আদর্শের জায়গায় এক থাকলেও উপায়ে ভিন্নতা থাকায় আরিফ সেই পথ থেকে বের হয়ে নতুন পথে হেটেছে।
আপনার বাকীদুটো পয়েন্টের সাথে আমি দ্বিমত করবো না। তারেক মাসুদের সিনেমাগুলোর মধ্যে আমি প্রোপাগান্ডা গন্ধ পাই বেশ ভালোরকম। এই সিনেমাটাও তার ব্যতিক্রম নয় বরং প্রমাণস্বরূপ। সুতরাং তিনি অনেকগুলো বিষয়কে ফোকাস করার চেষ্টা করবেন সেটাই স্বাভাবিক। ফলে ব্যাপারটা অনেকটা মিস্টির মধ্যে ঔষধের বড়ি খাওয়ানোর মতো হয়ে যায়।
গল্পের দুর্বলতা আমার তেমন লাগে নি। যেটা লেগেছে সেটা হল – উনি বড্ড ছোট টাইমফ্রেমে ঘটনাগুলো আটানোর চেষ্টা করেছেন। এত অল্প সময়ে একটা মানুষের ব্রেন ওয়াশ হয় না, যারা ওয়াশ করে তারাও এত বোকা না যে এত তাড়াতাড়িই তাকে ফিজিক্যাল ট্রেইনিঙ আর মিশনে পাঠাবে। এই জায়গায় গল্পটা তার জায়গা থেকে আলগা হয়ে গেছে – বাস্তবতা নিয়ে দর্শককে সংশয়ে ফেলতে পারে এই ঘটনাবলী।
আরেকটা ব্যাপার। আরিফের উপস্থাপনটা খেয়াল করুন। তাকে দেখে কিন্তু কোথাও ভয়ঙ্কর বলে মনে হয় নি। তার চেহারা, আচরন এইসব ব্যাপারে একটা নিষ্পাপতা আছে, সে একজন ভিক্টিম বলেই হয়তো এই উপস্থাপন, কিন্তু সাধারণ দর্শকের ভেতরে যে ধারনা আছে তার সাথে এই চরিত্র খাপ খায় না। জঙ্গী শব্দটাই এমন যে কল্পনায় আমরা একটি ভয়ঙ্কর লোককে দেখি, যার মাথায় টুপি এবং যে খুনীর দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। অন্তত: বলিউডের সিনেমা এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের সিনেমাগুলো এইরকম একটি চেহারা আমাদের ভেতরে আকতে সাহায্য করেছে। ফলে, চরিত্রটা খুবই বাস্তব হলেও দর্শককে কতটুকু প্রভাবিত করবে সেটা ভাবনার বিষয়।
এই খুতগুলো ঢাকা পড়ে যায় সিনেমাটোগ্রাফি আর নতুন অভিনেতাদের চমৎকার অভিনয়ে। এছাড়াও আছে গুনি পরিচালক হিসেবে তারেক মাসুদের সুনাম। তারেকের সিনেমা হিসেবে রানওয়ে ভালো সিনেমা, তবে অনেক ভালো সিনেমা নয় 🙂
বাইজান কি ভাল অর্থে অবাক হইসেন নাকি আমি এরকম একটা মূর্খের মত প্রশ্ন করসি এইজন্য অবাক হইসেন? 😐
তিশার ব্যাপার টা আমার কাছে এখনও ক্লিয়ার না। ভণ্ড রাজনীতি শুধু না…যাই হোক…খানিক টা বুঝলাম। কারণ জামাতের ব্যাপার টা আমার কাছেও কনফিউজিং। একচুয়ালি কি বুঝানোর চেষ্টা করা হইসে এটা আমি এখনও শিওর না।
আর আরিফ কে আমার অবাস্তব লাগেনি খুব একটা…কারন আমি আমার আশে পাশে মাথা হোয়াইট ওয়াশ মানুষ দেখসি। এরা এরকম ই নিরীহ টাইপ। কয়জনের চেহারা এখন অরিজিনাল জঙ্গি র মত হবে বলেন! আর তার অভিনয় অবশ্যই ভাল হইসে…কিন্তু কতটা ভাল হইসে এটা আসলে বোঝা যাবে যদি মানুষ তাকে জঙ্গি হিসেবে মেনে নিতে পারে!
এ ক্ষেত্রে একটা কথা মনে পড়ল..অপ্রাসঙ্গিক যদিও… .শতাব্দি ওয়াদুদ পুরো বাঙালি একটা চেহারা নিয়েও যে কি চমৎকার অভিনয় করসে গেরিলা তে বলেন!
পৃথিবীতে কেউই মূর্খ নয়, অশিক্ষিত নয় – নিরক্ষর বা স্বল্প শিক্ষিত হতে পারে। অবাক হয়েছি কারণ সিনেমাটা দেখার পর আমি এই বিষয়টা নিয়েই চিন্তা করছিলাম, বুেঝছিলাম – অনেকেই এই উপস্থিতিটা বুঝতে পারবে না। আপনি প্রশ্নটা তুলেছেন বলে আলোচনাটা ভালো হল। ধন্যবাদ।
রানওয়ে নিয়ে একটা রিভিউ পাওয়া গেল – ওয়াহেদ সুজন ভাইয়ের লেখা রিভিউ। যদিও তিনি ভাষায় গুরুচন্ডালী করেছেন, তথাপি রিভিউটা খুবই বিশ্লষনাত্মক। পড়ে দেখুন – ভালো লাগবে।
http://wahedsujan.com/2011/02/19/tareque-masud-runway/
boss aktu kotha koilam…runway niye kisu kotha…..1.ei chobir premier ctg te hoichilo…abong tarek masuder sathe handshake korar souvaggo amar hoichilo…ami tar fan bolte paren…..2.chobir onnotomo akta important scene jokhon chobita shuru hoi…akdom ondhokar vor theke dhire dhire alo fota…sei sathe sathe char paser kaj kormer bestota dhire dhire bara…sei ak oshadharon drisso aita je kemne cinematographar korlen…awesome…3.amar khub priyo akta scene…uronto biman k lokkho kore ak chotto cheler batul marar drisso…jeno dhoni somajer proti ba khomotabander proti doridrer ba osohayder…chorom grina…..4 chobitar mul upojibboi chilo amader deser ak shason amol…ja okkhore okkhore sotti……akta scene….pordar aral theke kono montri type lok jongi der bolchen apnara barabari suru korsen apnader aktu char disi boila adalote boma fataben ate to amader loss….ai type kisu……seiram boss …tarek masud shahosi chilen bote…..runway deikhai aktu likhlam amar khub priyo akta desi cinema
এই সিেনমার সিেনমাটোগ্রাফি বেস্ট – এর বাইরে কোন কথা নাই 🙂
মন্ত্রীটা কোন দলকে রিপ্রেজেন্ট করসে বলে মনে হয় বস?
boss…montrita to bujtei partasen…kon dol jongi go shelter dei…..kon dol koi ai dashe jongi tongi kisu nai…sob mediar sristi……
বাই দা ওয়ে, বাইজান…ভিকি ক্রিস্টিনা বার্সেলোনা দেখতে আমার বড়ই পেইন লাগসে। মতান্তর হইতে পারে।
বোধহয় সে কারণেই আমার দেখা হয়নি সিনেমাটা। উডি অ্যালেন সম্পর্কে আমার তখন খুব ধারণা ছিল না, থাকলে কষ্ট করে হলেও দেখে নিতাম – বোঝার চেষ্টা করতাম। 🙂
বাইজান যে কি জিনিস দিলেন আমারে!!! বইমেলায় কেনা বই ফালায় আমি বসে বসে এক মুঠো চলচ্ছবি পুরাটা পরে ফেললাম। এখন যে পরিমান মুভি আমার নামাইতে হইব দেইখে আমার মাথা ঘুরাইতেসে। জীবনে যে কতো কম জিনিস দেখসি! :@
😀
বাইজান হাইসেন না! গত ২ বইমেলার বই পড়তে এখনও বাকি আসে তার সাথে যোগ হইসে এই বইমেলার বই। এর পরিমান মুভি নামাইলে আমি কিউবি এর ফেয়ার ইউসেজ পলিসি র চক্করে পড়ুম শিওর!
ফেসবুক দিসি বন্ধ কইরে…এখন ধুমায় মুভি দেখতেসি। গতকাল আর আজকে মিলায় ৪তা মুভি দেখলাম।
১। অগ্নিপথ – মানুষের ভূয়সী প্রশংসা শুনে দেখলাম। আমার মুভি দেখার হাতে খড়ি অবশ্য পুরনো দিনের বাংলা আর হিন্দি মাসালা মুভি দিয়েই। পুরনো অগ্নিপথ আমার খুব পছন্দের মুভি আর অমিতাভ আমার ভয়াবহ টাইপ এর পছন্দের নায়ক/ অভিনেতা। তাই খুব ই শঙ্কা নিয়ে দেখতে বসলাম। যাই হোক… সঞ্জয় দত্ত, রিশি কাপুর আর ঋত্বিক রোশান আমাকে হতাশ করেনি। তিনজনের অভিনয় ই দুর্দান্ত।
২। দ্যা আর্টিস্ট – এ বছরের অস্কার নমিনি সিনেমা গুলো দেখতে বসলাম। এক কথায়… অসাধারণ।
৩। দ্যা ম্যান ফ্রম নো হোয়ের… ধুমা মারামারি সিনেমা দেখতে মন চাইসিল আজ সকালে। এক মুঠো চলচ্ছবি থেকে এই মুভি টার নাম পেলাম। ভালই। লিওন দ্যা প্রোফেসনাল এর সাথে মিল আসে।
৪। দ্যা ডিসেন্ডেন্টস… জর্জ ক্লুনি এর অভিনয় অনবদ্য। ভালো লাগসে।
২০১১ সালের খুব বেশী সিনেমা দেখা হয়নি। আর্টিস্ট দেখিনি, ডিসেন্ডেন্টস ও না। অগ্নিপথ নিয়ে কোন আগ্রহ নাই – সুতরাং এইটা দেখার সম্ভাবনাও কম। কোরিয়ান সিনেমাটা দেখছি।
ঢাবিতে চলচ্চিত্র উৎসব চলছে জানেন তো? সব সিনেমা বাংলা- এপার এবঙ ওপার বাংলার। প্রতিদিন ৪টা করে সিনেমা। আমি আগামীকাল সকালে কীর্তনখোলা দেখতে যাবার নিয়ত করতেসি, পরশুদিন জাগো আর ফিরে এসো বেহুলা। আপনার দাওয়াত। টিকেট মাত্র ২০ টাকা 🙂
জানতাম না তো আসলেই! ৪ মাস পড়াশোনা করে আর হল এ থেকে বিতৃষ্ণা জন্মায় গেসে ডিএমসি এর প্রতি… ওই দিকে তাই যাওয়া টা কম হচ্ছে। জাগো দেখসি। কীর্তনখোলা টা দেখতে পারলে ভালো হইত। কাল কয়টা থেকে শো? র ফিরে এসো বেহুলা র টাইম টাও জানায়েন তো বাইজান।
ফেসবুকে দারাশিকো’র ব্লগের ফ্যানলিস্টে আপনি আছেন? শেয়ার দিয়েছি তালিকাটা দেখে নিন। দুপুরের পরের শো গুলোর টিকেট আগে কেটে রাখা ভালো, নচেত না পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আজ কীত্তনখোলা দেখে এলাম। কাল জাগো দেখতে যাবো, টিকেট কিনেছি 🙂
একটাও দেখা হল না! 🙁
কাল শেষ দিন – দেখে আসুন 🙂
২ টা মুভি দেখলাম।
১। extremely loud and incredibly close… ছেলে টা অসাধারণ অভিনয় করসে। আর আমার প্রিয় অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস এর উপস্থিতি তে মুভি টার প্রতি ভালো লাগা আরো বেড়ে গেসে।
২। chinatown…আপনার সাজেশন এ নামালাম এবং দেখলাম। কি্ আর বলব!! সেইরাম!