ঢাকা থেকে পালিয়ে

১.
‘আপনি বাস থেকে নামবেন কিনা বলেন!’ – বাস ছাড়ার আধাঘন্টার মাঝেই এই হুমকী শুনতে হল। ভয়েই ছিলাম – শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঢাকা থেকে পালিয়েছি, শান্তির গুষ্ঠিতে মড়ক লাগলো না তো!

২.
আড়াইশ টাকার হোটেল রুমে অ্যাটাচড টয়লেটের দরজা আটকায় না। ঠেসে লাগালে কোনভাবে আটকে থাকে। সেভাবেই আটকে দিয়ে চিন্তা করতে বসলাম। হঠাৎ দেখি দরজা আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে। কোন পেত্নীর অতৃপ্ত প্রেতাত্মা ঢুকে পড়বে কিনা সেই চিন্তা না, বরং খোলা দরজা দিয়ে ইজ্জত বের হয়ে যায় কিনা এই ভয়ে খাঁচা থেকে আত্মাটাই বের হয়ে যাচ্ছিল প্রায়!

৩.
সারা বাংলাদেশে এত এত মসজিদ না থাকলে শুধু টয়লেট ব্যবহারের জন্যই হোটেল ভাড়া দিয়ে ফকির হয়ে যেতাম – আমাদের মত ভ্রমণকারীদের জন্য মসজিদ একটা বড় ব্লেসিংস!

৪.
দুই দিনে চার জেলা – প্রায় ১০০০ কিলো – মাত্র ১৫৯১ টাকায়!

৫.

ম্যাপের সাদা অংশগুলো পূরণ করতে আরও তিন থেকে চারবার ঢাকা থেকে পালাতে হবে। বেস্ট অব লাক টু ইউ দারাশিকো!

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *