ধরেন, আমেরিকার এক মরুভূমিতে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হঠাৎ দেখতে পেলেন কিছু একটা ধ্বংসস্তূপ। সামনে এগিয়ে দেখলেন – একটা স্পেসশিপ। কোন একসময় হয়তো মহাকাশ ভ্রমণে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় পরে ধ্বংস হয়ে এখানে পড়েছিল, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেয়ার পর খোলটা পরে আছে শুধু। আপনার এবং আপনার সাথের মানুষদের কি আগ্রহ হবে না এই ভাঙ্গাচোরা পুরানো স্পেসশিপের দুই চারটা ছবি তোলার। দুই একজন হয়তো স্পেসশিপের চালকের অবস্থানে বসে পড়ে ছবিও তুলে ফেলবেন। তুলবেন না?
সেই একই কাজ কিন্তু বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের আশে পাশের সাধারণ কিছু মানুষ করেছে। তারা বিখ্যাত একটা হেলিকপ্টারে চড়েছে। বিখ্যাত দুই কারণে, প্রথমত: এই হেলিকপ্টারটা ধ্বংস হয়েছে এবং দ্বিতীয়ত: (যে কারণে ধ্বংসের ঘটনাটাও বিখ্যাত হয়েছে) এই হেলিকপ্টারে সাকিব আল হাসান চড়েছিল দূর্ঘটনার আগেই। এইরকম বিখ্যাত হেলিকপ্টারের সামনে গিয়া আমি আপনি নিজেরাই সেল্ফি তুলবো, তুলতেছিও, অথচ লুঙ্গি পড়া স্থানীয় কিছু লোক হেলিকপ্টারে বসে ছবি তুলছে, হোক তাদের একজনের মাথায় হেলমেট, তাতে আপনি হেসে কুটিকুটি হচ্ছেন?
হাসি থামায়ে একটু ভাবেন, স্বাভাবিকভাবে নেয়ার প্র্যাকটিস করেন, নাহয় স্পেসশিপের সাথে ছবি তুলতে দেখে আপনারে নিয়াও কিছু লোক হাসাহাসি করবে, তখন কেমন লাগবে সেইটা একটু ভাবেন।