বাংলাদেশী সিনেমার অভিনেতাদেরকে ট্যাগ করা প্রসঙ্গে

বাংলাদেশী সিনেমার অভিনেতারা তাদের নিজ নাম ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নামে পরিচিত হন। এদের মধ্যে শাকিব খান সম্ভবত সবচে বেশী পরিচিত। মাত্র চারটে সিনেমায় অভিনয় করে অনন্তও বর্তমানে ‘অনন্তা’ হিসেবে ট্যাগড হচ্ছেন। হাবিবউল্যাহ নামে একজন বাংলা সিনেমাপ্রেমী ব্লগার যিনি বর্তমানে প্রবাসী তার এই ট্যাগিঙ সংস্কৃতি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন – জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহ যদি এতদিন বেচে থাকতেন তবে তিনিও ‘লেডিস শাহ’ নামে পরিচিত হয়ে যেতেন তিনি তার এ মন্তব্যের ব্যাখ্যাও করেছেন যার সাথে দ্বিমত পোষন করে বিভিন্ন রকম মতামত অন্যান্য ব্লগাররা জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশী সিনেমা সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরেছেন।

দর্শকের ট্যাগিং প্রবণতার কারণ চিহ্নিত করতে পারলে উত্তর পাওয়া সহজতর হবে – এমনটা বিশ্বাস করি। এক্ষেত্রে প্রধান প্রশ্ন হল, দর্শক কেন বাংলা সিনেমার অভিনেতাদেরকে ট্যাগে ভূষিত (!) করেন এবং কেন করেন না? মূলত, এই পোস্টে বাংলাদেশী সিনেমার অভিনেতাদের ট্যাগ করার কারণ খুজে বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সালমান শাহ সম্পর্কে প্রায় একই রকম মন্তব্য পূর্বের একটি পোস্টে করেছিলাম। প্রয়োজনে সেই পোস্টটিও পড়ে নেয়া যেতে পারে।

বাংলা সিনেমার দর্শকদের কেউ কেউ অভিনেতাদের বিভিন্ন শব্দে ট্যাগড করেন, কেউ করেন না। কেন করেন? কেন করেন না?

করেন, কারণ অভিনেতারা ট্যাগড হওয়ার মত কাজ করছেন।
করেন না, কারণ অভিনেতারা ট্যাগড হওয়ার মত কাজ করছেন না।

একই অভিনেতার জন্য দুই ধরনের মতামত দেখা যাচ্ছে, এর কারন সেই লোকটা নন, বরং যারা মন্তব্য করছেন তারা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, একই দর্শক একই ব্যক্তিকে একবার ট্যাগড এবং আরেকবার আনট্যাগড করেন না। অর্থ্যাৎ, দর্শক মানসিকতার বিভিন্নতার কারনেই এই ট্যাগড বা আনট্যাগড পরিস্থিতি।

দর্শক মানসিকতার একটা ব্যপক পরিবর্তন ঘটে গেছে গত দশ বছরে, অশ্লীলতা যুগের আগে ও পরের সময়ে। তখনও সিনেমার অভিনেতার সমালোচনা হত, প্রায় নিরীহ কিছু ট্যাগিং ও চলতো, কিন্তু যারা ট্যাগ করতো তাদের নিজেদের পছন্দেরও একজন অভিনেতা থাকত, ফলে ট্যাগিংটা হত অনেকটা প্রতিপক্ষকে আক্রমনের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বর্তমান সময়ে, ট্যাগিংটা হয় গনহারে – প্রায় সব বাংলাদেশী সিনেমার অভিনেতার প্রতি। মাত্রাছাড়া এই ট্যাগিং এ যারা লিপ্ত তারা নিয়মিত বাংলা সিনেমার দর্শক, তা নয়, বেশীরভাগের দৌড়ই ইউটিউবে, টেলিভিশনে, বা ল্যাপটপে সিনেমার ক্লিপ পর্যন্ত, সম্পূর্ন সিনেমাও নয়। প্রশ্ন হল মানসিকতায় কি এমন পরিবর্তন ঘটলো যে ট্যাগিং-করার মত যোগ্য (!) অবস্থানে আসীন হয়েছে বাংলাদেশী সিনেমার অভিনেতারা?

ব্যক্তিগতভাবে কারিগরী দিক, গল্প, অভিনয়, পরিচালনা দক্ষতা ইত্যাদি দৃষ্টিকোন থেকে বিশ বছর আগের সিনেমার সাথে বর্তমান সিনেমার খুব পার্থক্য দেখি না। আগের সিনেমা অনেক ভালো ছিল, এখনকার সিনেমা অনেক খারাপ – এমনটা নয়। আগে সিনেমা দেখতে যাওয়াকে যতটা খারাপ মনে করা হত, এখন বাংলাদেশী সিনেমা দেখতে যাওয়াকে তার চেয়ে অনেক বেশী খারাপ মনে করা হয়। আমার দৃষ্টিতে এই কারনেই দর্শক মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে, ট্যাগিং-প্রীতি বেড়েছে। এবং, মানসিকতার এই পরিবর্তনে ‘অশ্লীল সিনেমার যুগ’ একটা ভালো ভূমিকা রেখেছে।

এমন না যে বেশীরভাগ দর্শক কখনোই, আড়ালে বা প্রকাশ্যে, নোংরা ছবি দেখেন না। অশ্লীল যুগের নোংরা ছবির তুলনায় অনেক বেশী নোংরা ছবিও দেখার সুযোগ বর্তমানে আছে, অনেক দর্শক তা গ্রহণও করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে নোংরা ছবি দর্শনের যে সামাজিক প্রভাব তা একাকী দর্শনের বেলায় খাটে না এবং সিনেমাহলে গিয়ে নোংরা ছবি উপভোগের অভ্যাস-কে স্বাভাবিকভাবেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখা শুরু হয়।

পরবর্তীতে, হলে গিয়ে ‘নোংরা বাংলাদেশী সিনেমা’ নয় বরং হলে গিয়ে ‘বাংলাদেশী সিনেমা’ দেখাটাই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর আওতায় চলে আসে। এই দৃষ্টিভঙ্গী-ই বর্তমান সময়ে গনহারে ট্যাগিং-প্রীতি তৈরী করেছে বলে ধারনা করছি। ফলে, হলে গিয়ে বাংলা সিনেমা দেখাটাই এখন নেতিবাচক, সে সিনেমায় ‘নোংরা দৃশ্য’ কি পরিমান আছে বা নেই, সেটা মূখ্য নয়, বরং, ‘লোকে কি বলবে’ তা এখন অনেক গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে ব্যক্তিমানুষের কাছে।

পুরোপুরি অশ্লীল সিনেমার উপর দোষ চাপিয়ে দেয়াও অন্যায় হবে। প্রযুক্তিগত উন্নতি ও সহজলভ্যতাকে এ ক্ষেত্রে অংশীদার করে নেয়া যেতে পারে। অশ্লীল যুগ শুরু হওয়ার বেশ কয়েকবছর আগেই ডিশ এন্টেনার ব্যবহার শুরু হয়েছিল দেশে এবং অশ্লীল যুগের সময় এর ব্যবহার বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিনেমা দেখার জন্য দর্শকের যে আগ্রহ, তা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, ফলে আগ্রহ পরিতৃপ্তির জন্য ভিন্ন পন্থা টেলিভিশনকেই বেছে নিয়েছে দর্শকরা। বর্তমান সময়ে ডিশএন্টেনা বা কেবল কানেকশন টেলিভিশন সেট থেকে ভিন্ন কিছু নয়।

কেবল কানেকশন ছাড়াও ভিসিপি/ভিসিআর/ভিডিডি প্লেয়ার/ডিভিডি প্লেয়ার এক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রেখেছে। ডিশ এন্টেনা এবং এ সকল প্লেয়ারের মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমার পাশাপাশি ইংরেজি সিনেমাও দর্শক তালিকায় স্থান পেয়েছে। সর্বশেষ, কম্পিউটার ইন্টারনেটের ব্যবহার (সিনেমা ডাউনলোড এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের উদ্ভাবন) দর্শক তালিকা থেকে বাংলা সিনেমাকে প্রায় পুরোপুরি বাদ দিয়েছে, অনেক দর্শকের তালিকা থেকে ভারতীয় সিনেমাও বাদ পড়েছে, সেখানে জায়গা করে নিয়েছে হলিউডের সিনেমার বাহিরে ইউরোপিয়ান ও ওরিয়েন্টাল সিনেমা। ফলে, কোন দিক থেকেই এই সকল সিনেমার সমপর্যায়ে উন্নীত না হওয়া বাংলাদেশী সিনেমা-র প্রতি বিমুখ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না।

শুরুতে বলেছিলাম, বিশ বছর আগেও ট্যাগিং হত এবং যারা করতো তাদের নিজ পছন্দের কোন অভিনেতা থাকতো এবং অনেকটা আক্রমনের উদ্দেশ্যে বা অন্যের তুলনায় নিজ পছন্দের অভিনেতার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে। এই মানসিকতা এখনো বর্তমান – বিশেষ করে রিয়েল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ফুটবল খেলার উদাহরনগুলো দেখলে বোঝা যায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশী সিনেমার বিপক্ষে আছে ভারতীয় সহ প্রায় সকল দেশের সিনেমা। এই ট্যাগিং কর্মের পেছনে আছে পছন্দের সিনেমার শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ, আছে আক্রমণের উদ্দেশ্য।

এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ।

দর্শক হিসেবে আমার চাওয়া যাই হোক না কেন, সিনেমার নির্মাতারা বোঝেন ব্যবসা। প্রায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিতে যদি ব্যবসা সম্ভব হয় তবে কেন বেশী ঝুঁকি নেয়া? অশ্লীল যুগ বলেন আর বর্তমান, ছবিগুলো কম বেশী ব্যবসা করেছে, রোমান্টিক ছবি সামাজিক ছবির তুলনায় বেশী ব্যবসা করেছে এবং করছে – সুতরাং প্রযোজকের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এই পরিবর্তনটা খুব প্রয়োজনীয় নয়। অধিকতর ঝুঁকি নিয়ে ভিন্ন কিছু করার মাধ্যমে যদি কোন প্রযোজক ব্যবসা করে উদাহরণ তৈরী করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে আরও লোক এগিয়ে আসবে – বর্তমান সময়ে ঠিক তাই হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যমে অনেকগুলো সিনেমা তৈরী হচ্ছে যার গতানুগতিক বাণিজ্যিক সিনেমার চেয়ে প্রায় সব দিক থেকেই ভিন্ন। হচ্ছে, কারণ আগের ডিজিটাল সিনেমাগুলো পুজি তুলে এনে ব্যবসার ক্ষেত্র দেখিয়ে দিয়েছে।

সিনেমাহলে পরিবেশ নিয়ে নানা মত আছে। পরিবেশ উন্নত করা দরকার – খুবই যৌক্তিক দাবী। বাস্তবতা হল, সিনেমাহল গুলো এত ব্যবসা করে না যে হলগুলো যত্ন পরিচর্যা চালিয়ে যেতে পারবে। আমি হলেই যাই না, তাহলে ব্যবসা হবে কোত্থেকে? হলে যাওয়া শুরু করি, ব্যবসা হওয়া শুরু হবে, সার্ভিসের মানও উন্নত হতে থাকবে। সুখের বিষয়, সরকার এ ক্ষেত্রে নানা উদ্যোগে সহযোগিতা করছে।

ভালোমানের সিনেমা হলে ভালো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু দর্শক হিসেবে আমি দেখতে যাই নি, যেতে পারিনি – এরকম ঘটনা প্রচুর ঘটে। ভালো সিনেমার সংজ্ঞা নিরূপনে যদি গতানুগতিক বাণিজ্যিক সিনেমার কথা মাথায় রাখা হয়, তবে ভালো সিনেমা চিহ্নিত করা সহজ হবে। কিন্তু ভালো সিনেমার সংজ্ঞায়নে ইউরোপ-আমেরিকা-ভারতীয় সিনেমাকে আদর্শ রাখলে ভালো সিনেমা চিহ্নিত করতে আমাদের আরও এক যুগ অপেক্ষা করতে হতে পারে। সার কথা একটাই, যদি আমি দর্শক হই, তবে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে আমার কর্তব্য হল অপেক্ষাকৃত ভালো সিনেমাগুলো হলে গিয়ে দেখা, বন্ধুবান্ধবকে সাথে নিয়ে দেখতে যাওয়া। আর আমি যদি নির্মাতা হই? আমি তো জানি-ই দর্শক কি চায়।

সবশেষে সেই একই কথা – আগুনের দিন শেষ হবে একদিন, ঝর্ণার সাথে গান হবে একদিন। গুডলাক বাংলাদেশী সিনেমা।

[পোস্ট নয়, হাবিবউল্যাহ ভাইয়ের পোস্টে একটি মন্তব্য হিসেবে লিখেছিলাম, পোস্ট আকারে প্রকাশিত হল]

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

19 Comments on “বাংলাদেশী সিনেমার অভিনেতাদেরকে ট্যাগ করা প্রসঙ্গে”

  1. অপেক্ষাকৃত ভালো সিনেমাগুলো হলে গিয়ে দেখি, বন্ধুবান্ধবকে সাথে নিয়েই দেখতে যাই।
    তবে এই অপেক্ষাকৃত ভালো সিনেমার তালিকার মাঝে শাকিব খান বা অনন্ত জলিলের সিনেমাকে আমি রাখতে পারছিনা। পারছিনা সমসাময়িক আরো অনেক অভিনেতার সিনেমাকে রাখতে।
    অনন্ত জলিলের একটা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাই আমাকে দ্বিতীয়বার তার সিনেমা দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেনি। শাকিব খানের হাতে গোনা কয়েকটা ছবির কিয়দংশ দেখেছি। পদের মনে হয়নি। শাকিব খানের কোন ছবি কী আপনি রেকমেন্ড করতে পারেন?? দেখবো তাইলে।
    আমার মনে হয় শাকিব খান/ অনন্ত জলিল যদি সত্যিই মোটামুটি ভালো মানের ছবি দর্শককে উপহার দিতো তাহলে তারা ট্যাগ খেতোনা।
    রিয়াজ আর ফেরদৌস এ দুজনের বেশ কিছু ভালো মুভি আমার দেখা আছে। তারা কখনও ট্যাগ খাইছে কিনা জানা নাই। তারা তো শাকিবের সমসাময়িকই।

    প্রশ্ন তুললে অনেক কিছুতেই তোলা যায়? আমি ক্রিকেট খেলিনা তাই বলে কী ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না? কেউ ভালো খেললে তাকে বাহবা দিতে আর খারাপ খেললে দুয়ো দিতে পারবো না? নাকি সেজন্য আমাকে ক্রিকেট খেলার স্পেশালিস্ট হতে হবে?ফিল্ডে গিয়ে খেলে আসতে হবে?

    1. আক্রমন হিসেবে ধরি নাই রুশো ভাই – কিন্তু অন্য কেউ আক্রমন হিসেবে ধরতে পারে।
      শাকিব খানের কোন ছবি আমি রেকমেন্ড করি না, করবো না।
      আপনার পোস্টেরও কোন রিপ্লাই আমার দেয়ার নাই, কারণ পোস্টে বলছি – < <<ভালো সিনেমার সংজ্ঞা নিরূপনে যদি গতানুগতিক বাণিজ্যিক সিনেমার কথা মাথায় রাখা হয়, তবে ভালো সিনেমা চিহ্নিত করা সহজ হবে। কিন্তু ভালো সিনেমার সংজ্ঞায়নে ইউরোপ-আমেরিকা-ভারতীয় সিনেমাকে আদর্শ রাখলে ভালো সিনেমা চিহ্নিত করতে আমাদের আরও এক যুগ অপেক্ষা করতে হতে পারে।>>>

      আপনি নিজেও হয়তো গতানুগতিক বাণিজ্যিক সিনেমার কথা মাথায় রেখে সিনেমা বাছাই করেন, এবং এর ফলে যদি আপনি দেখার মত ভালো সিনেমা না পান তো আপনি দেখবেন না, সমস্যা নাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করছি, সিনেমা বাছাইয়ের সময় অপেক্ষাকৃত ভালো সিনেমা বছরে বেশ অনেকগুলাই হয়, তবে তা আমি দেখবো কিনা তা নির্ভর করছে আমি কতটা রেঞ্জের মধ্য থেকে বাছাই করে নিচ্ছি। আপনার রেঞ্জের সাথে আমার পার্থক্য থাকতে পারে, সম্ভবত আছে 🙂

      ক্রিকেট খেলা সংক্রান্ত যা বলেছেন, সত্যি বলছি, কেন বলেছেন বুঝতে পারতেসি না। পোস্টে ঠিক কি বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছেন ধরিয়ে দিলে সুবিধা হত 🙂

    2. আমি ক্রিকেট খেলিনা তাই বলে কী ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না? কেউ ভালো খেললে তাকে বাহবা দিতে আর খারাপ খেললে দুয়ো দিতে পারবো না? নাকি সেজন্য আমাকে ক্রিকেট খেলার স্পেশালিস্ট হতে হবে?ফিল্ডে গিয়ে খেলে আসতে হবে?

      ***এই কথার উত্তরে কিছু বলি আমি।
      মন্তব্য করতে পারবেন অবশ্যই…ভাল খেললে বাহবা দিতে পারবেন অবশ্যই।
      স্পেশালিষ্ট হওয়ার কোন দরকার নাই।
      ফিল্ডে খেলার ও কোন দরকার নাই।

      কিন্তু ক্রিকেটের ব্যাপারে কিছু জানাশোনা তো লাগবে নাকি?
      মাশরাফি একবলে ছক্কা মারল…পরের বলে ছক্কা মারতে পারলোনা…ধুর কি খেলে মাশরাফি…এই বলেও ছয় মারলোনা কেন…

      শেন ওয়ার্ন এর পেস বল খেলতে দারুন লাগব…এরকম ধারনা নিয়া কিছু বলা আর দুয়ো দেয়া ঠিকনা।

      এরকম্ভাবে বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রেও।

      বিন্দুমাত্র ধারনা না নিয়া যেইভাবে হাউকাউ করে সেইটাও ঠিকনা।

      আক্রমন হিসেবে নিয়েন না যেন কেউ।

  2. দারাশিকো ভাই সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা সিনেমা নিয়ে আপনারা অনেক আলোচনা করেন। আমার জ্ঞান কম তাই আমি এ বিষয়ে কথা বলি না বললেই চলে। কোন কিছু বোঝায় বা বলায় ভুল থাকলে শুধরে দিবেন। ব্যাপারটাকে আবার আক্রমণ ভেবে বসবেন না যেন?

  3. আমার কতা শুনে আপনেরা কেউ রাগ হবেনা দয়া করে, কারন আমি বাংলাদেশের মানুষ আমার ভুল হতে পারে তাই আপনাদের সবার কাছে আমার এই অনুরুদ আপনাদের কাছে , আমার ১ নুম্বেররে মনে হয় বাংলাদেশের ফিল্মের সমেহসা হল বাংলা ফিল্ম ভিডিও আর অডিও এখনো আগের মতন মনে হয় এই কারনে কেউ হলে জায়না তাই আমাদের ফিল্মের কালার ইন্টারন্যাশনাল মানে যদি করে তাহলে আবার বাংলাদেশের ফিল্ম সন্দর বাবে চলিবে তাই আমাদের দরকার হল ফিল্মে ভিডিও আর অডিও ভাল করতে হবে আর হল গুল ইন্টারন্যাশনাল বাবে করতে হবে তার পরে বাংলাদেশের ফিল্মম চলবে তাই আমার দাবি হল বাংলাদেশের ফিল্ম জেনো youtube hd ফিল্ম আর গান দেয় তাহলে আমাদের সকল ভাই ও বনেরা দেখে হল মুখি হবে সে দিখেও দেখতে হবে, কারন আপনেরা দেখেন হিদি বলেন, ইংলিস বলে, তারা তাদের ফিল্ম আর গান সব কিছু youtube add করে full HD, আর আমাদের ফিল্ম আর গান দেখেন youtube add করেছে ফিল্মতো দুরের কতা গান গুল ও ভাল ভাবে দাখা জায়না তই আপনেরা ভলুন কেমন করে সকল মানুষ ফিল্ম দেখবে আর হলে যাবে, তাই আমাদের করতে হবে হল মুখি মানুষ, তাহলে আমদের ফিল্ম আর গান জোত কিছু youtube add করা হবে সেগুল সব HD বাবে কোরে তাহলে মানুষ দেখে হোল মূখী হবে,

  4. পুরোপুরি সহমত। আমাদের আসলে বিপুল পরিমাণ দর্শকশ্রেণীর বদলে বেশকিছু শুভাকাঙ্খী দরকার। যারা কিনা সবসময় যত কষ্টই হোক না কেন, ভালো সিনেমার পিছনে থাকবে।

  5. বর্তমান সময়ে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একচ্ছত্র অধিপতি শাকিব খান সবচে বেশী পরিমানে ট্যাগড হন। তার সাজ পোশাক এবং রূপসজ্জার কারনে তাকে ‘হিজড়া খান’ বলে ট্যাগ করা হয়। অবশ্য এই ট্যাগ যারা করেন তারা শাকিব খানের সিনেমার দর্শক কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।

    1. যারা এই কামডা করে তাদের বেশিরভাগের ই শাকিব খানের মুভি সম্পর্কে ধারনা নাই।

      প্রমানিত সত্য এইটা!

      বুয়েট থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জি আর অপুর তাকে রেপের দৃশ্য পর্যন্ত ই তাদের দৌড়!

    2. জবাব তো পোস্টেই দিছিলাম রুশো ভাই, আপনার চোখ এড়ায়া গেল কেন?

      < <<<বাংলা সিনেমার দর্শকদের কেউ কেউ অভিনেতাদের বিভিন্ন শব্দে ট্যাগড করেন, কেউ করেন না। কেন করেন? কেন করেন না? করেন, কারণ অভিনেতারা ট্যাগড হওয়ার মত কাজ করছেন। করেন না, কারণ অভিনেতারা ট্যাগড হওয়ার মত কাজ করছেন না। একই অভিনেতার জন্য দুই ধরনের মতামত দেখা যাচ্ছে, এর কারন সেই লোকটা নন, বরং যারা মন্তব্য করছেন তারা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, একই দর্শক একই ব্যক্তিকে একবার ট্যাগড এবং আরেকবার আনট্যাগড করেন না। অর্থ্যাৎ, দর্শক মানসিকতার বিভিন্নতার কারনেই এই ট্যাগড বা আনট্যাগড পরিস্থিতি।>>>>

      এটা নিশ্চয়ই মানেন, আপনি যদি শাকিব খানকে হিজড়া খান বলেন, তবে এমন লোকও পাওয়া যাবে যারা বলে না এবং তাদের সংখ্যা নেহায়েত কম না? শাকিব খান তো হিজড়া নয়, তাকে যদি আপনি হিজড়া বলেন – তবে অবশ্যই আপনি ব্যঙ্গ করতেসেন, আক্রমন করতেসেন। কেন করতেছেন সেই সম্পর্কে আমার ধারনাটাই আমি ব্যাখ্যা করেছি। শাকিব খানের সব সিনেমাই খারাপ, সব সিনেমার সব দৃশ্যেই তাকে হিজড়ার মত লাগে – তা তো না। সিনেমা হলে বসে একটা সিনেমা পুরো দেখলাম না, কিছু ক্লিপ দেখলাম কম্পিউটারের পর্দায় – এর উপর ভিত্তি করে কি তাকে গনহারে ট্যাগ করা যৌক্তিক?

      মন্দকে মন্দ বলুন, সমস্যা নাই, কিন্তু মন্দকে গালি দিলে কি সেটা খুব ভালো ফলাফল বয়ে আনবে? জানি না, হয়তো আপনার দৃষ্টিতে বয়ে আনবে, আমার দৃষ্টিতে তা না – আমার দৃষ্টিভঙ্গীটাই তাই প্রকাশ করলাম।

  6. আমার কতা সুনে আপনেরা কেউ রাগ হবেনা দয়া করি কারন আমি বাংলাদেশের মানুষ আমার বুল হতেপারে তাই আপনাদের সবার কাছে আমার এই অনুরুদ আপনাদের কাছে , আমার ১ নুম্বেররে মনে হয় বাংলাদেশের ফিল্মের সমেহসা হল বাংলা ফিল্ম ভিডিও আর অডিও এখনো আগের মতন মনে হয় এই কারনে কেউ হলে জায়না তাই আমাদের ফিল্মের কালার ইন্টারন্যাশনাল মানে যদি করে তাহলে আবার বাংলাদেশের ফিল্ম সন্দর বাবে চলিবে তাই আমাদের দরকার হল ফিল্মে ভিডিও আর অডিও ভাল করতে হবে আর হল গুল ইন্টারন্যাশনাল বাবে করতে হবে তার পরে বাংলাদেশের ফিল্মম চলবে তাই আমার দাবি হল বাংলাদেশের ফিল্ম জেনো youtube hd ফিল্ম আর গান দেয় তাহলে আমাদের সকল ভাই ও বনেরা দেখে হল মুখি হবে সে দিখেও দেখতে হবে, কারন আপনেরা দেখেন হিদি বলেন, ইংলিস বলে, তারা তাদের ফিল্ম আর গান সব কিছু youtube add করে full HD, আর আমাদের ফিল্ম আর গান দেখেন youtube add করেছে ফিল্মতো দুরের কতা গান গুল ও ভাল ভাবে দাখা জায়না তই আপনেরা ভলুন কেমন করে সকল মানুষ ফিল্ম দেখবে আর হলে যাবে, তাই আমাদের করতে হবে হল মুখি মানুষ, তাহলে আমদের ফিল্ম আর গান জোত কিছু youtube add করা হবে সেগুল সব HD বাবে কোরে তাহলে মানুষ দেখে হোল মূখী হবে,

    1. ধন্যবাদ শাহজাহান।
      আরেকটু বোধগম্য করে লিখলে ভালো হত।
      আপনার বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আবার আসবেন 🙂

  7. Ami sob comment porsi.pore bujte parlam sobai valo comment korse but 1ta jinis keo bujte try koreni j,SHAKIB KHAN to nijer taka die acting kortesena…projujok ra jerokom film banasse SHAKIB KHAN tate acting korse,ete SHAKIB KHAN er dus ta ki…SHAKIB KHAN jodi oi film gulo na kore big budget er film korte sai taile kuno prujujok manbe na karon tader budget kom…..SHAKIB KHAN jodi ai movie gulo na korte sai taile cinema hall er malikra vat kete parbena,film industry damage hoie jabe,,,,SHAKIB KHAN er acting er moto best acting r keo korte parenai aj porjonto but film industry take valo babe kaje lagate partese na eta tader dus,,,,,,

    1. দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম আতিক।
      আপনার কথায় ভালো যুক্তি আছে। অবশ্যই পরিচালকদের প্রযোজকদের দোষ আছে সিনেমার গল্প তৈরীতে, সিনেমার নির্মানে। কিন্তু শোনা যায়, শাকিব খান নাকি এখন এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছে পরিচালক-প্রযোজকদের। বিশেষ করে তার পোশাক নির্বাচনে তার মতামতই গ্রহণ করতে হয় নির্মাতাদের। এমন হলে সেটা অবশ্যই খুব নিন্দনীয় হবে।
      শাকিব খান তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে আরও ভালো সিনেমা করার সিদ্ধান্ত নিক – সেই শুভকামনা।
      ভালো থাকবেন আতিক। আবারও আসবেন 🙂

  8. আপনারা বিজ্ণজনের ভিতরে আমি কি বলব বুঝতে পারছি না। তবে দারাশিকো ভাইয়ের আগের একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, শাকিব খানকে হিজড়া বলার মানে হল ২টা, ১. একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি কটাক্ষ করে নিজেদের দৈন্যতা ফুটিয়ে তোলা। ২. বাঙলা সিনেমার প্রতি নেতিবাচক মানসিকতা প্রতিষ্ঠিত করা।
    আমি নিজেও শাকিব খানের সিনেমা হলে গিয়ে দেখার ঝুকি নেই না। তবুও প্রতি বছর যে ২/১টা ভালো ছবি গুলো হচ্ছে সেগুলোকে সাধ্যমত উতসাহিত করি। তাই সবাইকে বলব ভাই আমাদের হাজার হলেও ইন্ড্রাষ্টিটা আমাদেরই, তো এটাকে একটা মান পর্যন্ত পেৌছাইতে গেলে অবশ্যই সবার সচেতনতা জরুরী।

    সবার জন্য শুভকামনা।

  9. Vai onek din por ailam….asei akta valo post porlam…khub valo laglo…ai subject a vai amar aktai kotha….amader ai deshe jekhane kono beauty contest a jeta ba sabaner add ar kono model k nimishei taroka bola hoi…sei dik diye chinta korle filmy language a sakib superstar….desher film industryr maximum investment jei loker pichone hoi sei lok boss onek kichu…ami aita bolbona je valo cinema hocche kintu akdin obossoi hobe…boss cinema valo na mondo seita amra hall a giyei judge korina tailei to hoi….akbar kharap hole je porer bar o kharap hobe ata ami mani na…ghore bose felini ,burgman,piter jackson na aaworai…cinema hall a giye at least kothito valo bangla cinema holeo dakhi…ta holeo to bangla cinemar business ta hoi

  10. সমস্যাটা সবার। একজন নায়ক যে নিজের সুন্দর অভিনয়ের চেয়ে পর্দার আকর্ষণীয় লুকের প্রতি গুরুত্ব দেয়, তাকে যদি পর্দায় ম্যানলি না লাগে তবে দর্শকদের বিরক্তি লাগা স্বাভাবিক। কানে দুল, হাতে ব্রেসলেট, মুখে কড়া মেকাপ এবং ঠোঁটে কড়া লিপস্টিক, স্ফীত বক্ষ এই ব্যাপারগুলো একজন নায়ককে ম্যানলিভাবে প্রকাশ করতে পারে না। এই ব্যাপারগুলোর জন্য শাকিব খানকে দোষ দিতেই হবে।
    আমার একটা প্রশ্ন। কেউ কি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে টেক্সটাইল মিলে কাজ করে না? এরকম তো বহুত আছে। ‘পিতার আসন’ সিনেমায় কিন্তু একবারও বলেনি যে শাকিব খান বুয়েটে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। সে পাশ করার পর একটা টেক্সটাইল মিলে যায় কাজ করতে। তো এটা তো খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এটা নিয়ে যে পরিমাণ পচানিটা শাকিব খানকে দেয়া হয়েছে সেটা তো অনুচিত। যারা এগুলো বলেছে তারা শুধু ইন্টারনেটের ক্লিপটাই দেখেছে। সিনেমাটা দেখেনি। এই ব্যাপারগুলোতে দর্শকদের দায়ী করতেই হবে।
    তবে সত্য কথা হচ্ছে অশ্লীল সিনেমার যুগটা আমাদের সিনেমাকে যে কী পরিমাণ ক্ষতির দিকে নিয়ে গেছে সেটা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা অনুধাবন করতে পারছে কি না আমি জানি না। এখন মানুষ কেউ বাংলা সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে গেছে শুনলে তার দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। আমার আম্মু একসময় চিন্তা করত যে আমরা বড় হচ্ছি, সিনেমা হলে যাওয়া কিভাবে ছাড়বে। আর এখন আম্মুকে যদি আমি বলি যে সিনেমা হলে যাব সিনেমা দেখতে তবে বলে এত কিছু থাকতে সিনেমা হলে যাওয়ার দরকার কী। সিনেমা দেখার ইচ্ছে হলে কম্পিউটারে দেখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *