আজ সালমান শাহের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে ‘এলাম-দেখলাম-জয় করলাম’- এর সবচে ভালো উদাহরন বোধহয় সালমান শাহ। ২৮ টি চলচ্চিত্রে সাড়ে তিন বছরের অভিনয় জীবন তার।
১৯৯৩ সালের ২৫শে মার্চ তারিখে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে শুরু করে ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বরের ‘বুকের ভেতর আগুন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শেষ করা ক্যারিয়ারে মোট সিনেমার সংখ্যা ২৮টি। সময় সাড়ে চার বছর। চলচ্চিত্র মুক্তি পাবার সময় হিসাব করলে চার বছর হলেও ক্যারিয়ার জীবন সাড়ে তিন বছর, কারণ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে সালমান শাহ দেহ রাখেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় সব চলচ্চিত্রের কাজই অসমাপ্ত ছিল তার, নতুন নায়ক দিয়ে, গল্পে সামান্য পরিবর্তন করে পরিচালকরা তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করেন এবং মুক্তি দেন।
সালমান শাহ অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মুক্তির সময়
কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ), তুমি আমার ছবিটি (১৯৯৪ সালের ২২ মে), অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪ সালের ১০ জুন), সুজন সখী (১৯৯৪ সালের ১২ আগস্ট), বিক্ষোভ (১৯৯৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর), স্নেহ (১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর), প্রেমযুদ্ধ (১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর), কন্যাদান (১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ), দেনমোহর (১৯৯৫ সালের ৩ মার্চ), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৫ সালের ১১ মে), আঞ্জুমান (১৯৯৫ সালের ১৮ আগস্ট), মহামিলন (১৯৯৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর), আশা ভালোবাসা (১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর),
বিচার (১৯৯৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি), এই ঘর এই সংসার (১৯৯৬ সালের ৫ এপ্রিল), প্রিয়জন (১৯৯৬ সালের ১৪ জুন), তোমাকে চাই (১৯৯৬ সালের ২১ জুন), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬ সালের ১২ জুলাই), জীবন সংসার (১৯৯৬ সালের ১৮ অক্টোবর), মায়ের অধিকার (১৯৯৬ সালের ৬ ডিসেম্বর), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬ সালের ২০ ডিসেম্বর), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭ সালের ১৮ এপ্রিল), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই), শুধু তুমি (১৯৯৭ সালের ১৮ জুলাই), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭ সালের ১ আগস্ট) ও বুকের ভেতর আগুন (১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর)।
সালমানের প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চরম ব্যবসা সফল একটি সিনেমা। হিন্দী ‘ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক’ এর অনুকরণে বাংলা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ এর পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান একটি বিশাল জুয়া খেলেছিলেন নি:সন্দেহে। ভিসিপি/ভিসিআর এর কল্যানে আমির খান ও জুহি চাওলা তখন বেশ পরিচিত মুখ – বিশেষত: মধ্যবিত্ত দর্শকশ্রেনীর কাছে। বলিউডে প্রচুর কাটতির চলচ্চিত্র ‘ক্যায়ামত সে ক্যায়ামত তক’ দেশীয় দর্শকদের কাছে অপরিচিত ছিল না, অন্তত: পত্রিকার বিনোদন পাতার কল্যানে। পুরো নতুন নায়ক নায়িকা সালমান শাহ এবং মৌসুমীকে জুটি করে এ ধরনের একটি প্রচুর দর্শকপ্রিয় হিন্দি চলচ্চিত্রের বাংলা সংস্করণ তৈরী করেছিলেন সোহান।
সালমান শাহ এবং মৌসুমীর জন্যও কাজটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, আমির খানের ভাবমূর্তি ছাড়িয়ে সালমান শাহ’কে প্রতিষ্ঠিত করা খুব সহজসাধ্য ছিল না। প্রতিভাবান অভিনেতা সালমান শাহ সাফল্যের সাথে এই কাজটি করতে পেরেছিলেন, আমির খানকে অনুকরণ নয়, সালমান শাহ’র স্বকীয়তাই মূর্ত হয়ে উঠে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রে।
চলচ্চিত্র জীবনে সালমানের অভিনীত মোট সিনেমা ২৮টি, যার ২০টিই ব্যবসা সফল সিনেমা। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দায় কিছু কিছু কাজ করেছিলেন সালমান, করেছেন মডেলিং। সালমান শাহ স্টাইলে কপালে রুমাল বাধা, সানগ্লাস, নিদেনপক্ষে একটা ভিউকার্ড – হার্টথ্রব বলতে যা বোঝায় সালমান শাহ অল্প কদিনে ঠিক তাই হয়ে উঠেছিলেন। এ প্রজন্মের তরুন তরুনীদের হৃদয়ে বাংলাদেশী কোন নায়কের অবস্থান হয়তো নেই, কিন্তু সালমান শাহ’র জন্য একটি কোমল স্থান এখনো পাওয়া যায়। সালমান পরবর্তী যেসব তরুন চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছেন তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সালমানকেই অনুসরন করেছেন, তার জনপ্রিয়তায় ভাগ বসানোর চেষ্টা করেছেন।
সালমানের পরবর্তী সময়
সালমান শাহ পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ের চলচ্চিত্রের ক্রান্তিকালের বিপরীতে সালমান শাহ’র ভূমিকা উল্লেখ করেন কেউ কেউ। সালমান শাহ পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পে যে ধ্বস নেমেছে, তার সাথে সালমান শাহকে যুক্ত করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ। সালমান শাহ চমৎকার অভিনেতা ছিলেন, কিন্তু এক সালমান পুরো চলচ্চিত্র শিল্পকে কতটা সহায়তা করতে পারতেন?
তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোতে গল্প বেশ, চিত্রনাট্য মজবুত, সংলাপ প্রাণবন্ত এবং কারিগরি মানও উন্নত; যেমন- দেনমোহর, সুজন সখি, স্বপ্নের ঠিকানা- কিন্তু বাদবাকী কাজগুলোতে কি গড়পরতা ঢাকাই ছবির ঢং এর উপস্থিতি নেই? সালমানের সময়ে বছরে গড়ে ৭০-৭৫ টি চলচ্চিত্র বাজারে আসতো, সালমান পূর্ব সময়েও এর পরিমান তাই ছিল, পরবর্তীতে বরং নব্বই দশকে এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ৯০-৯৫ এ পৌঁছে। একজন প্রতিভাবান অভিনেতার প্রস্থানে চলচ্চিত্র সংখ্যা কিম্বা দর্শক কমে নাই। বৈচিত্রপূর্ণ বিষয় ও ধরনের গল্পে যদি উন্নত কারিগরী ব্যবহার করে উপস্থাপন করা যায় তবেই চলচ্চিত্র শিল্প উন্নত হতে পারে, অন্যথায় কোনঠাসা হয়ে পড়তে বাধ্য।
এক নজরে সালমান শাহ
জন্ম : ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭০
বাবা : কমর উদ্দিন চৌধুরী
মা : নীলা চৌধুরী
আসল নাম : শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন
স্ত্রী : সামিরা
প্রথম চলচ্চিত্র : কেয়ামত থেকে কেয়ামত
শেষ ছবি : বুকের ভেতর আগুন
প্রথম নায়িকা : মৌসুমী
সর্বাধিক ছবির নায়িকা : শাবনূর (১৪টি)
মোট ছবি : ২৭টি
বিজ্ঞাপনচিত্র : মিল্ক ভিটা, জাগুরার, কেডস, গোল্ড স্টার টি, কোকাকোলা, ফানটা।
ধারাবাহিক নাটক : পাথর সময়, ইতিকথা
একক নাটক : আকাশ ছোঁয়া, দোয়েল, সব পাখি ঘরে ফেরে, সৈকতে সারস, নয়ন, স্বপ্নের পৃথিবী।
মৃত্যু : ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬এখন শাকিব খান নির্ভর হয়ে আছে বাংলা চলচ্চিত্র। শাকিব খান মাত্রই বাজার-পাওয়া চলচ্চিত্র, ব্যবসা সফল। প্রোডিউসাররাও শাকিব খানের শিডিউল পাওয়ার পরেই চিত্রনাট্য তৈরীর কাজ শুরু করেন। সালমান বেঁচে থাকলে বর্তমানের শাকিব খানের মতই একচেটিয়া সালমান নির্ভর শিল্প যে হত না- তার কোন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না, বরং তার জীবিতাবস্থায়ই এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ২৮ চলচ্চিত্রের পুরা অর্ধেক- ১৪ টিতেই সালমান শাহ’র সাথে নায়িকা শাবনূর, এখন যেমন শাকিব খানের সাথে অপু বিশ্বাস।
এই অবস্থা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়। একটি সফল শিল্পখাত গড়ে তোলার জন্য সালমান ’র মতো প্রতিভাবান সুদর্শন অভিনেতার প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে, কিন্তু সেই সাথে অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপাদানগুলোর সুসামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নও চাই। বর্তমানের প্রযোজক-পরিচালকরা গতানুগতিক ‘সামাজিক-অ্যাকশন’ সিনেমার গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসে বিভিন্ন ধারার চলচ্চিত্র নির্মান শুরু করলে একাধিক সালমান শাহ গড়ে উঠতে পারে, চলচ্চিত্র শিল্পও একটি নির্দিষ্ট গতিপথ ধরে এগোতে পারে।
রাজনৈতিক সম্পাদিত-প্রকাশিত
Still I become surprised when I see his dashing smartness in the songs he acted… He introduced so many styles and trends which still the young generation of Bangladesh is following… may be, they are doing it in unconscious or subconscious mind, but they don’t know who started these trends in this country…. Salman was a world class actor in Bangladesh… I am pretty much sure that Bangladesh won’t get this type of prodigy again….
Minhaj brother, you are absolutely right. Salman is a real hero and his style is also fascinating!.. we miss him aabundantly
সালমানরে এখনো অনেক মিস করি 🙁
He was my favourite hero in Bangla cinema. I still remember the day when I got the news of his death. I was only around fifteen then. An emotional age indeed. Factually I gave up watching bangla movies after his death and still I have not got into the havit. I am damn sure our cinema culture would not decline so much if he were alive with his blazing style and capacity. I still consider him to be the only hero of our movies. I pray to God that he might rest in peace.
Unfortunately I don’t think like that our cinema industry wouldn’t fall if he wouldn’t have died. During that period, we didn’t have satellite channels like today’s, as a result, people’s taste were satisfied through BTV and commercial films, VCP/VCR in some cases.
Undoubtedly Salman Shah was the most handsome and a very good actor, but this is not all for a cinema industry. Shakib Khan is much neglected to the middle class society now a days. I am sure, if Shakib Khan died two years back – we wouldn’t get the opportunity to speak ill of him. One Salman Shah did much to get the golden days of cinema industry back, but it would ultimately ruined if other sides like story, technology, good actresses weren’t available.
In my opinion, Shakib Khan should retire now to save the film industry.
সালমানকে মিস করাটা স্বাভাবিক; তিনিই মনে হয় প্রমাণ করেছেন, চেহারার পাশাপাশি অভিনয়টাই আসল একজন অভিনেতার জন্য।
আমার অনেক অনেক অনেক অ-নে-ক প্রিয় নায়ক সালমান শাহ । তার সবগুলো ছবিই আমি কয়েকবার দেখেছি । এখনো দেখতে মনচায় , কিন্তু আমাদের দেশের পুরনো মুভিগুলোর যে প্রিন্ট কান্দন আসে । প্রিয় নায়ককে নিয়ে প্রিয় দারাশিকো র লেখাটা অতীব সুখপাঠ্য হইছে । শুভকামনা আপনার জন্য । 🙂
ধন্যবাদ বস।
ভুলগুলো শুধরে দিলাম, তবে ‘বিচার’ এর ব্যাপারটা ধরতে পারলাম না, এট্টু বুঝায়া দেন 🙂
Movitar nam hoba “বিচার হবে”
প্রেমশক্তি = প্রেমযুদ্ধ হবে । যে ছবিতে সালমান শাহ র নিজ কন্ঠে গাওয়া একটা গানও আছে ।
বিচার = বিচার হবে , প্রেম পিয়সী = প্রেম পিয়াসী এটা দুটা মনেহয় টাইপো ।
ঠিক কইরা দেন ।
good.. well said brother
ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ বস 🙂
My Style Icon…
লেখাটা ভালো লাগল।।
great
যদিও আমি সালমান শাহের ফ্যান না কিন্তু দেশী চলচ্চিত্রের কোন শিল্পীকে নিয়ে এত উন্মাদনা কখনো কাউকে নিয়ে দেখিনি। বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা মহাতারকা বলা যায় তাকে যার গ্রহণযোগ্যতা ছিলো দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে।
বুঝলেন রুশো ভাই, আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করি সালমান শাহকে নিয়ে এত উন্মাদনা কেন, তার মধ্যে বিশেষ কি গুনটা ছিল যে প্রায় সব শ্রেনীর দর্শক গ্রহন করে ফেললো – উত্তরে আমি তার স্মার্টনেস আর দারুন আকর্ষনীয় চেহারা ছাড়া কিছু পাই না – কিন্তু সমস্যা হলো এই উত্তরে আমি নিজেও সন্তুষ্ট হতে পারি না। কারণ এরকম সুন্দর চেহারা আর স্মার্টনেস নিয়ে এর আগেও অনেক নায়ক এসেছে, পড়েও – কিন্তু এতটা নয়। তবে কি তার স্বল্পায়ূই তাকে এইরকম গ্রহনযোগ্য করে তুলেছিল? আল্লাহ মালুম 🙂
“তবে কি তার স্বল্পায়ূই তাকে এইরকম গ্রহনযোগ্য করে তুলেছিল?” এরকম সন্দেহযুক্ত প্রশ্ন ভালো লাগল না …
“এরকম সুন্দর চেহারা আর স্মার্টনেস নিয়ে এর আগেও অনেক নায়ক এসেছে, পড়েও” ??
হয়তো আপনার কাছে আরও কয়েকজনকে সালমান শাহের মত সুন্দর মনে হতেই পারে, কিন্তু তিনি শুধু সুন্দর ও স্মার্টই ছিলেন না, একজন খুব ভালো অভিনেতাও ছিলেন ।
ভারতে খানেরা যেরকম একাই ফিল্ম টেনে নিতে পারেন, সেইরকম একটা ব্যাপার তাঁর মাঝে ছিল …
মতামতের জন্য ধন্যবাদ মাসুদ পারভেজ।
আমার দৃষ্টিতে সালমান শাহের মত সুন্দর এবং ভালো অভিনয় করে এমন অভিনেতা আরও এসেছে, এখনো ইন্ডাস্ট্রিতে আছে – স্বীকার করা না করা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
দ্বিতীয়ত, সালমান শাহ-র অভিনয়েও অনেক ত্রুটি চিহ্নিত করা সম্ভব। কিন্তু তার প্রতি মোহ তার এই ত্রুটিগুলোকে চিহ্নিত করতে উৎসাহিত করে না। পক্ষান্তরে তার পরবর্তী সময়ের বাংলা সিনেমার প্রতি উন্নাসিকতা ভালো দিকগুলোর চেয়ে মন্দদিকগুলো খুজে পেতে বেশী সাহায্য করে।
এরকম কয়েকজনের নায়কের নাম ও সিনেমার নাম দেন সময় করে দেখার চেষ্টা করবো 🙂
দারশিকো, ভাই এক্ষেত্রে অামি নিজের সালমান ফ্যান হয়ে উঠার কথা যদি বলি তাহলে বলব তার অভিনয় দক্ষতা,স্টাইল ও ফ্যাশন সচেতনতা এই দিকগুলো বড় নিয়ামক।এছারা তিনি গিটার বাজিয়ে সুন্দর গান গাইতে পারতেন যা তার অভিনিত ইতিকথা নাটকে লক্ষ করেছি।সালমান মুভিগুলোতে যেভাবে রোমান্স ও ইমোশন প্রকাশ করত সেটাও অসাধারণ। তার এই বিষয়গুলো দর্শকবৃন্দের চোখে অালাদাভাবে পড়ত যা তাকে অন্যান্য নায়ক থেকে ঐ সময়ে পৃথক করতে সক্ষম হয়েছিল। অামার মনে হয় উনি বেচে থাকলে ভালো গায়ক ও হতে পারতেন।এটা সত্যি যে সালমানের মৃত্যুতে বাংলা চলচিত্র শিল্প একজন মহানায়ক কে হারিয়েছে অার অামি হারিয়েছি অামার প্রিয় নায়ককে; দুই বছর ছয় মাস অাগেও যার মাত্র ২-৩ টি মুভি দেখেছি!! উনার ফ্যান ও হলাম এতদিনে এবং বর্তমানে তার সবগুলো মুভি ও নাটক দেখা শেষ!!!
লেখা টা ভাল্লাগসে।আরো ভাল্লাগসে শাকিব খান রে রিটায়ার করার সাজেশন দেওার লাইগা।সালমান শাহ রে আমার বহুত ভাল লাগে।উনি বেহেস্তবাসি হউন।
তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট তাই ভালো লাগলো। সাল্মান শাহের পর স্মার্ট নায়ক এখনও দেখিনি বাংলা সিনেমায়। অপেক্ষায় আছি যখন আরো অনেকেই সিনেমা বানাবে অর্থ বানাতে নয়,শিল্পকে মাথায় রেখে। আপনার স্বপ্ন সফল হোক। কোনো একদিন হয়তো দারাশিকোর সিনেমা আমরা আগ্রহ নিয়ে টি,ভি পর্দায় বা সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে পাবো। শুভেচ্ছা।
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম আনোয়ার ছোটন। বাংলাদেশী সিনেমার উন্নয়নগতি কিন্তু এখন দারুণ। বছরে প্রায় ১৫টা ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে – সমস্যা একটাই, প্রায় সব সিনেমাই আর্ট ফিল্ম হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে – গনমানুষের সিনেমা হচ্ছে না। এই মেধাবী পরিচালকরা যদি মাঝে মাঝে দু একটি ভালো মানের সিনেমা নির্মান করেন (সাধারণভাবে যা কমার্শিয়াল সিনেমা নামে পরিচিত), তাহলেই ইন্ডাস্ট্রিটা ঘুরে দাড়াবে।
স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে আকাশ সমান পার্থক্য – তাই নিজেরই অবিশ্বাস হওয়া শুরু করছে – চেষ্টা থাকবে – দোয়া করবেন। শুভেচ্ছা আপনাকেও 🙂
চির নবীন এই নায়ক আমাদের বাংলা সিনেমা জগতের স্বপ্ন দ্রষ্টা, যিনি সব নায়কদের কাছেই অনন্য উদাহরণ হিসেবে রয়ে যাবেন। ধন্যবাদ দারাশিকো।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম আরজুপা 🙂
সালমান শাহ অনুসরনীয় হোক, কিন্তু অনুকরনীয় যেন না হয় – সেই প্রার্থনা আমাদেরও 🙂
ভালো থাকুন আরজুপা – আসবেন আবারও 🙂
lekhok bhai boss salman er “saitter mittro nei” chobita kothai?
খুবই ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। খুবই তথ্য বহুল লেখা। মনে আছে সালমান শাহ্ আর শমী কায়সারের একটা নাটকে সালমান শাহ্ চোখ বেঁধে হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ছুরি চালাইত। স্কুলে কলম দিয়া কত যে চেষ্টা করতাম । আমার মনে হয় তার অভিনয় আর স্মার্টনেস এই দুয়ে মিলে সে ছিল অনন্য।
সালমানের পুরো ব্যাপারটিতে চলচ্চিত্র শিল্পের উপকারের চেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেশি।