প্রত্যেকটা ‘গ্রেট’ ভালোবাসার পেছনে থাকে একটি করে ‘গ্রেট’ গল্প – এমন একটা ট্যাগলাইন নিয়ে যে সিনেমা সেটাকে খুব একটা গ্রেট বলতে পারছি না যদিও সিনেমাটা অনেকের কাছেই ‘গ্রেট’ রোমান্টিক মুভি। সিনেমার নাম দ্য নোটবুক। অনেকের কাছে ‘দেখার মতো ভালো মুভি’ এমনটি শোনার পরে আর আইএমডিবি’র রেটিং দেখে ‘গ্রেট’ মুভি দেখতে বসেছিলাম। সিনেমাটা সত্যিই অসাধারণ তবে সেটা তার গল্পের জন্য নয় বরং তার চিত্রায়নের জন্য।
গল্পটা বলা যাক। এক বুড়ো আর এক বুড়ি, বুড়ো বুড়িকে একটা গল্প পড়ে শোনায় – অ্যালি এবং নোয়া’র প্রেমের গল্প। সময়টা অনেক আগে, ৪০ এর দশকে। ধনীর দুলালী অ্যালি সিব্রুক নামক শহরে বেড়াতে এলে উচ্ছ্বল তরুন নোয়া তার প্রেমে পতিত হয়, নানান বীরত্ব প্রকাশ করে প্রেম নিবেদন করে, অ্যালীও ফিরিয়ে দেয় না। যৌবনের একদম প্রারম্ভে উদ্দাম প্রেমে মাতোয়ারা হয় দুজন।
বাঁধ সাধে বড়লোক বাবা-মা। কন্যাকে বোঝানোর চেষ্টায় নোয়া’র সাথে অ্যালীর সাময়িক বিচ্ছেদ ঘটে এবং পরদিন অ্যালী তার বাবা-মা সহ সীব্রুক ছেড়ে চলে যায়। তারপরের সময় কেটে যায় দ্রুত। নোয়া পুরো একটি বছর চিঠি লিখলেও তার একটিও পৌছায় না অ্যালীর মায়ের কারণে। সাতটি বছর কেটে যায়। আবার দেখা হয় নোয়ার সাথে অ্যালীর, কিন্তু তখন অ্যালী লন নামক এক ধনী সম্ভ্রান্ত ছেলের বাগদত্তা। নোয়ার সাথে দেখা করতে যায় অ্যালী, কিন্তু ফিরতে পারে না, পুরোনো সেই প্রেমের বাঁধনে বাধা পড়ে আবার। সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকে তারা।
গল্প এটুকুই। সিনেমার মাঝেই জানা যায় শুরুতে যে বুড়ো-বুড়িকে দেখা গেল তারাই অ্যালী এবং নোয়া – বয়সের কারণে অ্যালী স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছে, গল্পটা শুনলে কিছুটা মনে পড়ে এবং এই কারণেই নোয়া প্রতিদিন তাকে একবার করে গল্পটা পড়ে শোনায়। মূলত: গল্পের আগ্রহ মরে যায় সেখানেই কারণ শেষ পর্যন্ত অ্যালী এবং নোয়া’র মিল হলো নাকি বিচ্ছেদ – সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায় এখানেই। কিন্তু তারপরেও দর্শকের আকাঙ্খা – কিভাবে মিল হলো? লন কি বিনা প্রতিবাদেই ছেড়ে দিল অ্যালীকে?
দর্শকের এই আগ্রহকে ধরে রেখেছে সিনেমাটোগ্রাফার। দারুন সব লোকেশনে অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি। রোমান্সের প্রতিটি মুহুর্তই অসাধারণ। আর আকর্ষনীয় চেহারার নোয়া এবং অ্যালীর কথা না বললেই নয়। পরিচালকের নাম নিক ক্যাসাভেটস।
রোটেন টমাটোস জানিয়েছে ৫২ শতাংশ ক্রিটিক এ্ই সিনেমা সম্পর্কে পজেটিভ মন্তব্য করেছেন। যদিও রজার এবার্ট দ্য নোটবুককে চারের মধ্যে সাড়ে তিন দিয়েছেন এর ফটোগ্রাফির জন্য, আমি বলবো আইএমডিবির ওভাররেটেড সিনেমাগুলোর মধ্যে দ্য নোটবুক আরেকটি নাম।
আমার কাছেও এই সিনেমাটি ভালো লাগার প্রধান কারণ এর অসাধারণ চিত্রায়ন এবং Ryan Gosling এবং Rachel Madams এর অভিনয়। লেকের মধ্যে নৌকার সেই দৃশ্য অতুলনীয়।
🙂
অনেকেই এই মুভিটারে পুরনো দিনের বাংলা সিনেমার সাথে তুলনা দিয়ে থাকে।কিন্তু আমার বেশ ভাল লেগেছে।চমতকার চিত্রগ্রহন,সংলাপ।এক কথায় দারুন রোম্যান্টিক মুভি।
কি আশ্চর্য, দুটো কমেন্ট.. দুজনেই ইসতিয়াক 🙂
সিনেমাটার গল্পে নতুনত্ব নেই বললেই চলে, কিন্তু সিনেমাটোগ্রাফি দর্শককে পর্দার সাথে আটকে রাখে নি:সন্দেহে
ধন্যবাদ সাজিদ 🙂
হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা ………………………
আমি এখন কমেন্ট করলে তো আবার বলবেন ” কি আশ্চর্য, তিনটে কমেন্ট.. তার মধ্যে দুজন ইসতিয়াক আবার দুজন সাজিদ !!!!!!!!!!!!!!!!!! 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
মুভিটা মুটামুটি লাগছে । কারণ মুভির শুরুতেই বুঝছি যে বূড়া বূড়ীকে নিজেদের স্টোরি শোনাচ্ছে !!!!!!!!!!!!!!!!!
😀
মুভিটা কেমন কেমন বলিউড ধাঁচের মনে হল । বাট যেটা নিয়ে আপনি লিখলেন ” চিত্রায়ন ” খুবই ভালো লাগছে ।
আর কিছু বোল্বো না বললে পাবলিক মাইরা লাশ বানাইয়া দিবে । 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀 😀
ভালো থাকবেন ………………।। আল্লাহ হাফী্য ……………
বুড়া বুড়ি … নট বূড়া বূড়ী
পাবলিককে ডরাইলে চলবে না, স্বাধীন দ্যাশ। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে 🙂
ভালো থেকো সাজিদ 🙂