সৃজিত মুখার্জীর প্রথম সিনেমা ‘অটোগ্রাফ‘ নিয়ে লিখেছিলাম, ‘রাজনৈতিক’ নামে বর্তমানে বিলুপ্ত এক অনলাইন পত্রিকায় সেটা প্রকাশিত হয়েছিল, তার শেষ কথায় বলেছিলাম – সে যা-হোক, এই সামথিং ইজ মিসিং কাহিনীর মধ্যেই অটোগ্রাফ মাধ্যমে কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে সফল পরিচালক হিসেবে শ্রীজিতের যাত্রা শুরু হয়ে গেল। এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক এই শুভকামনা। আমার শুভকামনাকে সত্যি করে সৃজিত তার তৃতীয় সিনেমা ‘হেমলক সোসাইটি’ মুক্তি দিয়েছে এবং তার বাকী দুটো সিনেমার মতই এই সিনেমাটিও বেশ আলোড়ন তুলে ইন্ডাস্ট্রিতে তার শেকড় আরও একটু গভীরে প্রোথিত করেছে।
সক্রেটিসের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল হেমলক পানের মাধ্যমে। হেমলক সোসাইটির কাজও আত্মহত্যায় আগ্রহী লোকদেরকে সফলভাবে আত্মহত্যার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান দান করে প্রশিক্ষিত করে তোলা। তিনদিনের ক্রাশ কোর্সে বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আত্মহত্যার বিভিন্ন পদ্ধতির সম্পর্কে শিক্ষিত করে তোলা হয় যেন আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যার্থতায় পর্যবসিত না হয়। ভারত হল সেই দেশ যেখানে বছরে প্রায় পনেরো হাজার (সূত্র: বিডিটুডেনিউজ) কৃষক দারিদ্র্যের যাতনা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে এবং ২০১০ সালের এক হিসেবে ষোল বছরে আত্মহত্যার মোট সংখ্যা আড়াই লাখ (সূত্র: রেডিও তেহরান)। আত্মহত্যার সংখ্যা থেকে আত্মহত্যায় ব্যর্থ লোকের সংখ্যা সম্পর্কে ধারনা করা যায়। সুতরাং, এমন একটি দেশে হেমলক সোসাইটির মত প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি প্রয়োজনের তাড়না। কিন্তু ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হেমলক সোসাইটি সিনেমার প্রতিষ্ঠানের ক্লায়েন্ট দরিদ্র কৃষক নয়, বরং তার একদম বিপরীত প্রান্তে বসবাসকারী উচ্চবিত্ত পরিবারের হতাশাগ্রস্থ চাকুরীজীবী মেয়ে মেঘলা (কোয়েল মল্লিক)। বয়ফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপের রাত্রেই আত্মহত্যার চেষ্টায় সে যখন ঘুমের অষুধ খাবে তখনই হেমলক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক আনন্দ কর (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) তাকে বাঁচিয়ে তার কোর্সে ভর্তি করে নেন।
সৃজিতের এই সিনেমায় স্টোরীটেলিং দুর্দান্ত, অন্তত শুরুর দিকে। মূল গল্পে পৌছুতে কাহিনীকার সৃজিত একটুও দেরী করেন নি। হয়তো এই বেচে যাওয়া সময়ই সিনেমার শেষে গল্পকে অনর্থক দীর্ঘায়িত করেছে – দৈর্ঘ্যে প্রায় পনেরো মিনিট। মেঘলার কোর্স শেষ হবার মধ্যেই যেখানে সিনেমার সমাপ্তি হতে পারতো, সেখানে আনন্দ করের শারীরিক অসুস্থ্যতা গল্পকে আরেকটু দীর্ঘ করেছে, দর্শককে হঠাৎ কোন বাঁক এর প্রত্যাশী করে তুলেছে। দর্শক হিসেবে আমার মনে প্রশ্ন উঠেছে – আনন্দ করের প্রেমে মেঘলার পতন কতটা যৌক্তিক? আনন্দ করকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত করার প্রয়োজনীয়তাই বা কতটুকু? ব্রেক-আপ হয়ে যাওয়ার তিনদিনের মধ্যেই নতুন একজনের প্রেমে পড়া কি গ্রহনযোগ্য? সর্বোপরি, এই প্রেমের আদৌ কোন প্রয়োজন ছিল কি? সিনেমার শুরুতে আনন্দ কর যে গার্লফ্রেন্ডের কথা উল্লেখ করেছিল, সে গার্লফ্রেন্ড কোথায়? যদি কল্পিতই হয়, তবে জন্মনিরোধক কেনার জন্য ডিসপেন্সারিতে কেন গিয়েছিল আনন্দ কর?
মেঘলা চরিত্রে কোয়েল মল্লিক বেশ ভালো অভিনয় করেছে, কিন্তু শতভাগ নয়। ইমশোনাল (কান্নাকাটি) অংশে তার অভিনয় দৃষ্টিকটু লেগেছে, আরোপিত মনে হয়েছে। শতভাগ উজার করে দিয়ে প্রাণবন্ত অভিনয় করেছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। দিনকে দিন পরমব্রত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। সব্যসাচী চক্রবর্তী যথাযোগ্য অভিনয় করেছেন বটে কিন্তু হেমলক সোসাইটির স্কুলের তাবৎ চিত্রায়ন একে যতটা না স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে তার চেয়ে অনেক বেশী মানসিক রোগীদের আশ্রম হিসেবে ফুটে উঠেছে এবং এর জন্য স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনয়ই দায়ী। মেঘলার বাবা-মা চরিত্রে দীপঙ্কর দে ও রূপা গাঙ্গুলি চমৎকার অভিনয় করেছেন।
সৌমিক হালদারের ফটোগ্রাফিকে ভালো বলবো না মন্দ – সে জ্ঞান এখনো হয় নি। তবে, সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফি গতানুগতিকের বাইরে আলাদা। অবশ্য এই ‘আলাদা’ সৃজিতের পূর্বের মুভিগুলোর তুলনায় সত্যিই আলাদা, ওটা তার নিজস্ব স্টাইল বলে মনে হয় নি। হয়তো তিনি এখনো এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্লাসরুমের দেয়াল তার সেই চেষ্টাকেই প্রতিফলিত করে।
অবশ্যই বলতে হবে – সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর এবং গানের কথা। ‘অটোগ্রাফ’, ‘বাইশে শ্রাবন‘ এবং ‘হেমলক সোসাইটি’ – তিনটি সিনেমারই লিরিক এবং সুর শ্রুতিমধুর – হৃদয়ে দাগ কেটে যায়। আরও বলতে হবে চিত্রনাট্যের সংলাপের কথা। শব্দচয়ন ও ছন্দ অন্যরকম দ্যোতনা তৈরী করে।
সব মিলিয়ে হেমলক সোসাইটি কেমন? বেশ ভালো। উপভোগ্য। যে বক্তব্য নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত তা পুরোপুরি দর্শকের উপলব্ধিতে পৌছে যায়। তুলনামূলক বিচারে ‘হেমলক সোসাইটি’ অনেক বেশী সফল। ‘বাইশে শ্রাবন’-এর গল্পে যে গলদ ছিল তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন সৃজিত, ‘হেমলক সোসাইটি’র সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারলে সৃজিত মুখার্জি-ই কোলকাতার বাংলা সিনেমা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পারবেন। ইতোমধ্যেই তিনি তার যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। শুভকামনা তার জন্য।
আমার রেটিং: ৪/৫
দেখি নাই। আপনার লেখা ভাল লাগল..
ধন্যবাদ লেকি ডন 🙂
ভালো থাকুন সবসময় 🙂
খাসা রিভিউ। 🙂
হ!
না ভালো লাগেনি এই কারণে বলছি যে আমি মন থেকে এখনও কোথাও যেন বড্ড কনজারভেটিভ।বাঙালী কালচারে যে আজকাল পারিবারিক বন্ধন এ আজকাল সূক্ষ সুঁতোর সুতোটা ছিঁড়তে শুরু করেছে বটে,তবে তা এখনও এমন পর্যায়ে যায়নি যেখানে সম্পর্ক গুলোর ভিত্তি কে প্রশ্নের সম্মুক্ষিন করে তোলে।সেই সাথে মদ গেলার উদ্দাম সংস্কৃতি হয়তো বাঙালিয়ানার নতুন এক সংযোজন বটে যা কিনা নিজেদের স্বকিয়তার প্রমানকে ও আরো একবার তর্জনী দেখায়।আর্ট ফিল্ম মানে আজকাল কলকাতায় শুরু হয়েছে সফট পর্ণ আর বাংলা ইংলিশ মিলিয়ে ভারী ভারী বুলি আওরানো।সাথে যোগ হয়েছে কিছুটা বাণিজ্যিক ধারণা তাতে আছে শুধু অনুকরণেরই ছায়া।আর ভালো লেগেছে গান গুলো,সিনেমাটোগ্রাফি,প্রিন্ট,অভিনয়।গল্পটার থিম ভালো কিন্তু প্রেজেন্টেশন ভালোনা কিন্তু প্রজেন্টেবল করা হয়ছে রং সং মেখে। অগভীর ভাবে ভাবলে অবশ্য এগুলো এড়ানো যায় বটে।
দারুন বলেছেন পুশকিন 🙂
আমি অনেক আনন্দিত যে হেমলক সোসাইটি-তে কোনই বেডসিন-বাথসিন-কিসিন দেখায় নাই। সাম্প্রতিক সময়ের কোলকাতার সিনেমাগুলো আধুনিক কোলকাতাকে রিপ্রেজেন্ট করে এবং সেই আধুনিক কোলকাতা কতটা ভঙ্গুর আর ভিত্তিহীন তার কিছু চিত্র হেমলক সোসাইটিতে পাওয়া যাবে। ব্রেক আপের তিনদিনের মধ্যে আরেকজনের প্রেমে পড়ার সাথে জিন্সপ্যান্ট পাল্টে ট্রাউজার পরার সাথেই বেশী মিলে যায়। সেই হিসেবে – মেঘলার আত্মহত্যার ইচ্ছে রোমান্টিসিজমের আরেকটা পর্যায়। অন্যদিকে, অক্ষম জননাঙ্গ নিয়ে শান্তনু যেভাবে একের পর এক প্রেম করে যাচ্ছে, এমনকি সংসার শুরু করছে – তা হাস্যকর, অযৌক্তিক এবং নোংরা ও পশুবৃত্তীয়।
জানি না, হয়তো এটাই ওখানকার বাস্তবতা। আপনার কনজারভেটিভ দৃষ্টিভঙ্গী যদি এই নোংরামি ঠেকিয়ে রাখতে পারে – তবে তাই চাই।
দেখেছি।
কলকাতার সিনেমায় মেঘলার প্রেমে পড়ার মত অনেক অযুক্তিক জিনিসই থাকে।
এই সিনেমায় আরেকটি জিনিস এর বেপারে দৃষ্টিআকর্ষন করছি। প্রথম দিকে বুঝান হয় আনন্দকর এরও গার্ল ফ্রেন্ড আছে এবং তারা লিভ টুগেদার করে। পরে এর কোন কন্টিনিউশোন দেখি নাই।
কলকাতার সাম্প্রতিক সিনেমাগুলো থেকে লিভ টুগেদার কালচারটা যাচ্ছেই না। কলকাতায় জিনিসটা কি এতোই প্রতিষ্ঠিত।
গুড পয়েন্ট মারুফ। ওটা এই কাহিনীর প্লট হোল। সিনেমা দেখার সময় এই প্রশ্নটা খচখচ করছিল, লেখার সময় হারিয়ে গেল।
কোলকাতায় ব্যাপারটা প্রতিষ্ঠিত কিনা সে সম্পর্কে ধারনা নেই। প্রতিষ্ঠিত হোক বা না হোক, একে স্বীকৃতি দেয়ার চেষ্টা যে সিনেমাগুলোয় করা হচ্ছে সেটা প্রতিষ্ঠিত। কোলকাতার সিনেমা আরও একটা বিষয়কে প্রমোট করে যাচ্ছে – সেটা হল হোমোসেক্সুয়ালিটি।
ডিসেনসিটাইজেশনের কাজটা সিনেমাই করে দিচ্ছে – বাকী থাকে আইনের স্বীকৃতি।
ভালো থেকো মারুফ 🙂
দারাশিকো,
হেমলক সোসাইটি নিয়ে তোমার রিভিউ ভালো লাগলো।
আমার মুভি দেখে যামনে হয়েছে তা আমি একটু বলি,—
-সাধারণভাবে বিচার করলে, বাব-দাদার অনেক টাকা আছে দেখে যে কেউ মিউজিককে ভালোবেসে ব্যান্ডদল করবে বা সিনেমা বানানোর স্বপ্ন থেকে শুট্যিং স্পট বানাবে এইটুকু ভেবে নেওয়াই যায়। কিন্তু কারো অঢেল টাকা আছে বলেই সে ছকের বাইরে গিয়ে কিছু করবে তা আসলে অনেক সময় সহজে মেনে নেওয়া যায় না। তাই হেমলক সোসাইটি গড়ে তোলার পেছনে একজন তরুণের কেন ইচ্ছে হলো? মিউজিক, সিনেমা, ডেটিং বা দারুন ফাস্ট জীবনে থাকা একজন তরুনের মধ্যে হুট করে কেন এত তীব্র ইচ্ছে অনুভব করবে, যে সে অন্য মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্যে কিছু করতে চাইবে? কেনই বা এত ডেস্পারেট হবে? উত্তরটা খুব সহজ- তোমার মৃত্যু তোমাকে তোমাকে তোমার জীবনের এবং অন্য সবার জীবনের মর্ম বোঝাবে। তোমার হাতে সময় কম থাকলেই তুমি সময়ের কদর বুঝবে- ঠিক এই কারণটা বোঝাতেই হয়তো আনন্দকরের এই ব্যাধি দেখানো হয়েছে।
-কলকাতা বা আমাদের দেশের সিনেমাগুলো মধ্যে (অনেক গল্প উপন্যাসের ক্ষেত্রেও) একটা প্রবণতা দেখা যায় যে, কাহিনী বা সিনেমার প্লট যাই হোক না কেন প্রেম – ভালোবাসা তাতে মেলাতেই হবে। যেন প্রেমিক প্রেমিকার ভালোবাসা বাদে কোন গল্প পরিপুর্ন হয় না। হেমলক সোসাইটির কাহিনীতে যদি মেঘলা আর আনন্দের ভালোলাগা মধ্যেই তাদের অনুভূতির ব্যাপ্তি রাখা হত তাহলেই ভালো হতো। কিন্তু সৃজিত হয়তো ভেবেছেন ডিফ্রেন্ট কন্সেপ্টের মুভি। সাধারণ দর্শক কীভাবে নেবে কে জানে!!! নায়কের সাথে নায়িকার কিছুটা প্রেম দেখানো তো উচিৎ…তবে তিন দিনের মাঝেই আনন্দকে মেঘলার প্রোপোজ করাটা মেঘলা চরিত্রকে হালকা করে দিয়েছে। ১৪ বছরের যে সম্পর্কের জন্যে সে আত্নহত্যা করতে চায় তা থেকে উঠে আসতে বা তারপর অন্য কারো প্রেমে ধুপ করে পরে যেতে ১৪ দিনও লাগে না এমন হতে পারে কী!!!
যাই হোক সব মিলিয়ে আমার কাছে মুভিটা ভালো লেগেছে তাই পরে আর কিছু ভাবিনি।
-সৃজিত যদি দেখাতেন সিনেমার শেষ দিকে (মানে কমপক্ষে মাস দুয়েক পরে, যেভাবে ওখানে দেখানো হয়েছে আর কী) মেঘলা অনুভব করেছে যে আনন্দ তার মনে জায়গা করে নিয়েছে সেটাই বরং কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্য হত।
যাই হোক সব মিলিয়ে আমার কাছে মুভিটা ভালো লেগেছে তাই পরে আর কিছু ভাবিনি।
-গোল্ডেন গেটের ছোট্ট কাহিনীটা আমাকে ভীষণ স্পর্শ করেছিলো। আহা! কোন মানুষ যদি ভুল করেও হেসে দিতো তবে একজন মানুষের জীবন বেঁচে যেত।
অনেক লম্বা মন্তব্য করে ফেললাম। :-S ভালো থেকো। 🙂
একুপুউউউউ ! আমার ব্লগে!! স্বাগতম !!! 😀 😀
আনন্দ করের কেন মরনব্যাধি হল তার উত্তরে আপনি যা বলেছেন সেটা আমিও ভেবেছি, রিভিউ লেখার আগে একই প্রশ্ন একটা গ্রুপে করেছিলাম, সেখানেও একই উত্তর পেয়েছি, এমনকি সিনেমাতেও পরমব্রত এই উত্তরটা দিয়েছেন। উত্তরটা খুবই গ্রহণযোগ্য, কিন্তু প্রেমে পড়ার বিষয়টা এমন জায়গায় উপস্থাপিত হয়েছে যে উত্তরটা হালকা মনে হয়েছে। আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিল, আমিও বললাম – উহু, হবে না, আমার অসুখ। এই সিকোয়েন্সটা অন্য জায়গায় অন্য সময়ে প্লেস করা যেতে – আপনি যেটা বলেছেন – দু’মাস পরে হলে মন্দ হতো না।
সিনেমাটা দারুন, যে সকল দোষ দেখিয়েছি সেগুলো সবার চোখে পড়ার নয়। এ কারণেই বাইশে শ্রাবন, হেমলক সোসাইটি – দুটো ছবিই প্রবল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এখন পর্যন্ত অটগ্রাফই বেস্ট, তারপরে হেমলক সোসাইটি – আমার দৃষ্টিতে।
ভালো থাকবেন একুপু। মাঝে মধ্যে ঢুঁ দিয়ে যাবেন 🙂 🙂
সুন্দর রিভিউ। মুভিটাও অনেক ভালো লেগেছে আর হ্যা পরমব্রত আসলেই দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। ভুল ত্রুটি কিছু উল্লেখ করেছেন যেগুলা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে অসাধারণ একটি মুভি। 🙂
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম বর্ষণ বায়েজিদ।
ত্রুটিগুলো অবশ্যই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কারন সব শেষে সিনেমাগুলো আমদর্শকের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। কিন্তু পরিচালক সহ সিনেমা নির্মাতাদের ত্রুটিগুলো সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার দরকার আছে।
ভালো থাকুন 🙂
ভালো লেগেছে, মুভি এবং রিভিউ, দুটোই। সৃজিতের কাছ থেকে বোধহয় আমরা অন্য রকম একটা গল্প বলার ভঙ্গি পাচ্ছি। ভালো লেগেছে সি-সো এর সিন টা। অশ্লীল হলেও সুন্দর, গল্পের প্রয়োজনেই। সৃজিত তার এই নতুন গল্প বলার ভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাক শুভকামনা।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম যান্ত্রিক দৃক 🙂
সি-সো এর সিন কোনটা? ঠিক ধরতে পারলাম না। আরেকটু হিন্টস দেন প্লিজ।
আর হ্যা, সৃজিত সত্যিই নতুন ভঙ্গিতে গল্প বলতে পারছে। এর ফলে তার সিনেমার প্রতি আকর্ষনও বাড়ছে। তিনি আরও অনেক ভালো করবেন সেই শুভকামনা 🙂
ভালো থাকুন যান্ত্রিক দৃক। আবারও আসবেন 🙂
Si so er scene ta holo, jokhon koyel first class sheshe ekta meyer sathe suicide plan niye discus kore, tokhon meyetar lifestory 3 ta scene er maddhome dekhano hoi, tar e shesh sceneta cilo si so er ekpashe ekta chele khali gaye ar onnopashe meyeta. Ekjon uthse, onnojon namse. Rupok vabe bedscene bojhanor khetre idea ta chorom. Najmul vai, valo thakben. Beshi beshi review chai apnar kas theke.
আবার দেখে নিলুম 🙂
তখনই বুঝেছিলুম কি বোঝাচ্ছে। আপনার কথায় ঠিক মনে করতে পারছিলুম না 🙂
ভালো থাকুন যান্ত্রিক দৃক, আবার আসবেন 🙂
কাল রাতে ছবিটা দেখলাম। কয়েকটি দৃশ্য এতই ভাল লেগেছে যে ছবি শেষ করার পরে ঐ দৃশ্যগুলো ৪/৫ বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলাম। সন্দেহ নেই সৃজিত তাঁর তৃতীয় ছবিতে আগের দুটোকে ছাড়িয়ে গেছেন। হলে গিয়ে ছবিটা দেখতে পারলে আরো ভালো লাগত হয়তো।
আজ উইকিপিডিয়া ঘেঁটে দেখলাম ৩ কোটি রুপি বাজেটের ছবি ৬৫ কোটি তুলে এনেছে। বাংলা ছবির জন্য এটা নিশ্চয়ই বিশাল ব্যাপার।
আপনার রিভিউতে ঢুকে পড়েছি গুগলের হাত ধরে। ভাল লাগল আপনার নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম নিলয় নন্দী, গুগলের প্রতিও কৃতজ্ঞতা 🙂
মুনাফার ব্যাপারটা জানা ছিল না। সৃজিত হলেন সেই পরিচালক যিনি আর্ট ও ইন্ডাস্ট্রিকে এক সুতোয় গাঁথতে পারছেন। যে কোন ইন্ডাস্ট্রিতেই এ ধরনের পরিচালকের প্রয়োজন অনেক বেশী। সৃজিত আরও ভালো কাজ করবেন এই আশা করছি।
ভালো থাকবেন, এবং, আবারও আসবেন 🙂
কলকাতা তথা ভারতের সমস্ত বড় বড় শহরে “লিভিং টুগেদার” বা “সহ বাস” অবশ্যই ১টা স্পষ্ট বাস্তব! ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মুম্বাই বাসী এবং “সহ বাস”-এর বিশাল ভক্ত! “ইয়ে” অব্দি ঠিক আছে; বিয়ে’র কথা ভাবছি না!
কলকাতা তথা ভারতের সমস্ত বড় বড় শহরে “লিভিং টুগেদার” বা “সহ বাস” অবশ্যই ১টা স্পষ্ট বাস্তব! >>> সিনেমার পাশাপাশি চেতন ভগতের বই পড়েও এই স্পষ্ট বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে পারছি। আপনার এই সাক্ষ্য ধারনাকে বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠিত করল।
আপনি সহ অনেকেরই ইয়ে অব্দি-তেই আটকে যাওয়ার পেছনে কোন্ কারনটা বেশী প্রভাব ফেলছে বলুন তো? একটু জানার আগ্রহ বোধ করছি – এর বেশী কিছু নয়।
আপনার ‘ইয়ে’ জীবন সুখময় হোক। 🙂
সোসাইটির কোনো এক্সপেরিমেন্টাল ইকুইপমেন্ট হিসেবে জন্মনিরোধক কেনার জন্য ডিসপেন্সারিতে গিয়েছিল আনন্দ কর হয়তো। জানিনা এইটা আমার মতামত শধুমাত্র।