সিনেমাটা ১৯৭৫ সালের। নাম শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা।
ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুক্কুস নেস্ট– জ্যাক নিকলসনের অভিনীত মুভি। মাইলোস ফোরম্যানের পরিচালনা।
সিনেমার কাহিনী এক মানসিক হাসপাতালকে ঘিরে। ম্যাকমারফি ওরফে নিকলসন একজন মানসিক রোগী হিসেবে চিকিৎসার জন্য আসে অথচ তার কথাবার্তা কিংবা আচরনে কোন অসুস্থতার ছাপ নেই। অথচ সে অসুস্থ। এখান থেকে যদি প্রমাণ করা যায় সে অসুস্থ তবে পাওনা শাস্তি ভোগ করতে হবে তাকে। হাসপাতালের মানসিক রোগীদের নিয়ে তার কান্ডকারখানা- সে এক অসাধারন মুভি।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ চেষ্টা করে কঠোর নিয়মাবলীর মাধ্যমে সবাইকে সুস্থতা এনে দেয়ার। কিন্তু ম্যাকমারফির ভিন্ন পদ্ধতি রোগীদের মধ্যে এক ভিন্ন আমেজ এনে দেয়। রোগীদের মাঝে আছে চিফ, সে একজন ইন্ডিয়ান এবং বোবা। জড়বস্তুর মত আচরনকারী চিফকে ম্যাকমারফি সচল করে তোলে। প্ল্যান করে দুজনে মিলে পালাবে এই জেলখানা থেকে। সেই যে বাচ্চাদের ছড়া…’ওয়ান ফ্লিউ ইস্ট, ওয়ান ফ্লিউ ওয়েস্ট, ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুক্কুস নেস্ট‘ – ঠিক তেমনি চিফ পালাতে পারলেও পারলনা ম্যাক!
এখন পর্যন্ত আমেরিকার ওয়ান অব দ্যা বেস্ট মুভির তালিকায় এই মুভির অবস্থান অনেক আগে থেকে। মানসিক হাসপাতালের কাহিনী হলেও এই মুভিটি রূপক। হাসপাতালের কঠিন এবং নিষ্ঠুর নিয়মাবলীর মাধ্যমে ৫০ এর দশকে দেশের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছিল একই নামের উপন্যাসে। অবশ্য উপন্যাসের অনেক কাটছাট হয়েছে সিনেমায়, তবে মূল বিষয়গুলো একই।
বাচ্চাদের জন্য ছড়া থেকে নামটি সংগৃহিত এবং শেষ পর্যন্তু অবশ্য কবিতার মতই দুজন মৃত্যুবরন করে এবং তৃতীয় জন কুক্কুস নেস্ট থেকে পালিয়ে যায়। এই তৃতীয় জন ছিল ‘চিফ’ যে বোবা এবং কালা র ভাব নিয়ে থাকত এবং মূল উপন্যাসে সেই কাহিনীকার।
সাড়ে চার মিলিয়ন ডলার ব্যায় করে তৈরীকৃত এই মুভিটি সেই সময়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। জিতে নিয়েছিল একাডেমি এওয়ার্ডস এর প্রথম সারির পাচটি পুরস্কার।
স্যালুট করার মত একটি মুভি! মাস্ট সি
দারুন মুভি ++++++++++
অনেকদিন ধরে পরে আছে। আলসেমী করে দেখি নাই। আপনার কথাতে সিধা হইলাম।
সিধা হওয়ার জন্য ধইন্যবাদ, এইবার আরেকটা সিনেমার নাম বলি – কুল হ্যান্ড লিউক। এইটাতে পল নিউম্যান অভিনয় করছে। দুইটা সিনেমা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এই দিক থেকে যে দুটো সিনেমাই এক্সিস্টিং সিস্টেমকে প্রতিবাদ করেছে নিজ নিজ ভংগিতে। এক সাথে দেখতে পারলে উপলব্ধিটা সহজতর হবে। 🙂
মাথা নষ্ট সিনেমা এক খান!
ছোটবেলায় যখন দেখেছিলাম মাথামুন্ডু কিছুই বুঝিনি, শুধু পাগলদের পাগলামি দেখে মজা পেয়েছিলাম।
পরে যখন আবারো দেখলাম, তারপর আবার দেখলাম! মাথা নষ্ট!!!
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম স্বর্ণমৃগ 🙂
আবার আসবেন সময় করে, মাঝে মাঝে ‘মাথা নষ্ট’ টাইপ মন্তব্য করে যাবেন 🙂
Ai muvi sob dik dia shank redmtioner theke valo.
By the way, movita awesome .
1st prostitute ta josh cilo. Pore seirokom kono film kore ni.
70s decade holywooder akta matha nosto dosok. Ai 10 bochore ja beriache ar konodino ber hobe na.
Tnx for the review.
Acca apni ki lord of the ring sobgulo dekhecen.
Tahole akta review den.
Ami dekhc, but otota moja pai nai. Notun kore dekhteo icce hocce na.
Ami taholo imdb top 250 er review soho download link post korte partam.
Amr 250 complete.
সত্তর দশক সত্যিই খুব উজ্জ্বল এক সময়। পরে এরকম কোন দশক আসে নি, তবে ২০০৬ সালটা এরকম একটা বছর গিয়েছিল।
রিং ট্রিলজি দেখছি কিন্তু বেশ আগে। কিন্তু ভাই রিভিউ লেখা তো আমার পক্ষে সম্ভব না। অতটা যোগ্য হতে পারি নাই এখনো। আপনার ২৫০ মুভির পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম (ভারতীয় সিনেমাটার রিভিউ ও থাকবে তো?)
বেস্ট অব লাক ডিপ 🙂
মুভিটা দেখেছি। জ্যাক নিকলসন অসাধারণ। মাইলোস ফোরম্যানের মুভি কি স্যাটায়ারকেন্দ্রিক? তার amadeus দেখেছিলাম অনেক আগে।
কুল হ্যান্ড লিউক নামাতে হবে। 😀