টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখা হয় না। ওয়েবে বা রেডিও-তেও যে খুব ফলো করা হয়, তাও না। তবে খেলা চলাকালীন সময়ে ফেসবুক কিংবা টুইটারের হোমপেজ ঘুরে ঘুরে ক্রিকেট খেলা পড়া হয়। বিশেষ করে, টুইটারে ক্রিকেটের ধারাভাষ্য খুবই চমৎকার হয় – ধুর!, াল, মাইর! ইত্যাদি। পাশাপাশি – ফেসবুক এবং টুইটার – দুই জায়গাতেই এক্সপার্ট মন্তব্য পাওয়া যায় দর্শকদের কাছ থেকে।
ওরে নিছে ক্যান আজকে?অমুকরে বোলিং দিছে, এইবার ৩৬ রান দিবে!তমুকরে দল থেকে বাদ দেয়া উচিত!এই শালা খেলতে পারে না, লবিং এ দলে টিকে আছেব্যাটিং অর্ডারে অমুককে তমুকের আগে নামালে আজকের ম্যাচটা ঠিকই জিততো।
ব্যাপারটা অস্বাভাবিক না। এইসব মন্তব্যের পেছনে ক্রিকেট দলের প্রতি প্রত্যাশা-ভালোবাসা ইত্যাদি টের পাওয়া যায়। তাসত্ত্বেও – এই মন্তব্যগুলো কেবলই মন্তব্য, গঠনমূলক কিছু নয়। একটু ভিন্নরকম কিছু চিন্তা করা যায়?
উপরের মন্তব্যগুলো রিঅ্যাকটিভ, ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তারপর মন্তব্য করা হচ্ছে। যদি সেরকম না ঘটতো, তবে? মন্তব্যগুলো উল্টে যেতে পারে সেক্ষেত্রে। যেমন –
অমুকরে আবারও বল দেয়া উচিত, সেই পারবে আরও দুইটা উইকেট ফেলতে।তমুককে আগামী ম্যাচেও ফিক্স করে ফেলা উচিত।এই ব্যাটিং অর্ডারটাই ঠিক আছে, আগেরটা ভুল ছিল
প্রোঅ্যাকটিভ মন্তব্য কি করা যায়? খেলা শুরুর আগেই একজন ভালো দর্শক হিসেবে আমার চিন্তাভাবনাটা শেয়ার করতে পারি। আমি বলতে পারি –
যে মাঠে খেলা হচ্ছে সেই মাঠের জন্য কিরকম বোলিং-কে গুরুত্ব দেয়া উচিত এবং কেনটিম সিলেকশন করার ক্ষেত্রে কোন কোন প্লেয়ারকে রাখা উচিত এবং উচিত না, এবং কেনআজকের খেলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তার বিবেচনায় বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং স্টাইল কিরকম হতে পারে এবং কেন
একটা কমন প্লাটফর্ম – যেমন কমিউনিটি ব্লগ, এমনকি সেটা বিসিবি-র ওয়েবসাইটেও হতে পারে – তৈরী করে সেখানে যদি এ ধরনের আলোচনা শুরু করা যায়, তবে একসময়, সেটা হয়তো খুব শীঘ্রই নয়, ক্রিকেটের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষন করবে। কে বলবে না, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই ধরনের গঠনমূলক বক্তব্যগুলোও অনেক বেশী সহায়তা করবে।
এই লেখাটাও একটি রিঅ্যাকশনারী লেখা, জানি, তারপরও বলছি – শুরু করলেই এক সময় বড় কিছু হয়ে উঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়। আমাদের ক্রিকেটের জন্য আমরা তো এরকম কিছু করতেই পারি, নাকি?