‘লেখক-হবো’ বাতিকের এক বড় সমস্যা হল নিয়মিতভাবে কিছু না কিছু লিখতে হয়। লিখতে না পারার যে সমস্যা তার নাম ‘রাইটার্স ব্লক’ – প্রায় সকলেই জানে কিন্তু লিখতে না পারার যে যন্ত্রনা সে সকলে জানে না। গেল বছরে নানা ব্যস্ততার কারণে লিখালিখি কমেছে, কিন্তু আগ্রহ থাকার পরও লিখতে না পারার ঘটনা পুরো বছরে দুবার – বছরের শুরুর দিকে প্রায় মাস খানেক এবং শেষের দিকে এসে প্রায় মাসখানেক। ফেসবুক স্ট্যাটাস নয়, একটা দুটো ব্লগ নয়, ডায়রী-তো নয়ই – জিরো জিরো জিরো। শেষে সেই আদিম পন্থায় ফিরতে হল – চিঠি। এ যুগে কে চিঠি লিখে আর কেই বা চিঠি পাওয়ার আশা করে?
চারদিকের জীবনের সমুদ্র সফেনে ক্লান্ত জীবনানন্দকে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন। গেল বছরে আমাকে দু’চারটে চিঠি লিখার সুযোগ করে দিয়ে শান্তি দিয়েছিল মৌলভীবাজারের ফাহমিদা।