হোয়াই সাইক্লিঙ

আমার একটা সাইকেল আছে।
সাইকেলের ডাক নাম ফনিক্স সাইকেল, ভালো নাম ফিনিক্স সাইকেল। আসলে এটা সাইকেলের নাম না, সাইকেলের পদবী বলা যায়। এই সাইকেলকে আমি বলি গাড়ি, আর রুহুলকা বলে ঘোড়া।

ফিনিক্স পদবীতে ‘ঘোড়ার’ নানা রকম আছে, আমি যেটা চালাই সেটা আদি ডিজাইন। বুচ ক্যাসাডি অ্যান্ড দ্য সান্ডেন্স কিড ছবিতে বুচ ক্যাসাডি সুন্দরী এটা-কে যে ধরনের সাইকেলের সামনে বসিয়ে চালিয়েছিল – সেরকম একটা সাইকেল।

এই বয়সে এই ধরনের মান্ধাতার আমলের সাইকেল চালাই বলে আমার কোন কষ্ট হয় না, আশে পাশের লোকজন আপত্তি করে। আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির এক ছোটভাই একদিন বলে – “ভাই! আগে ফিটফাট অবস্থায় সাইকেল চালাইতে দেখলে মনে করত সেলসম্যান …”। বেচারা! প্রশংসা করতে গিয়ে গুবলেট পাকায়া ফেলছে।

সিইও-রা এখনো সাইকেল চালায় না, কিন্তু যদি চালানো শুরু করে তাহলে কি হবে বলেন তো? যেদিন সারা ঢাকা শহর রাস্তায় দাড়ায়া থাকে সেদিন আমি রাস্তার রাজা (বাঁশবাগানে শেয়ালই বাঘ 😉 )। আগে অফিসে যেতে কোনদিন লাগত ৪০ মিনিট কোনদিন দেড়ঘন্টা। এখন প্রতিদিনই ৪০ মিনিট লাগে।

সবচে বড় কথা, নিচের ছবিটা দেখুন, গাড়িওয়ালারা ট্রাফিক জ্যামে পড়ে না, তারা ট্রাফিক জ্যাম লাগায় – সাইক্লিস্টরা সেটা কখনোই করে না। আম্মা, বউ আর বান্ধবী (যদি থাকে)-কে একটু বুঝিয়ে সাহস করে নেমে পড়ুন। দুই সপ্তাহ পরে আপনিও বাঁশ বাগানের বাঘ হয়ে যাবেন 🙂

হ্যাপী সাইক্লিং।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *