সাম্প্রতিক সময়ে আয়রন ম্যান ছবির দ্বিতীয় পর্ব বেশ আলোড়ন তৈরী করেছে। প্রথম পর্বের সাফল্যের পরে দ্বিতীয় পর্বটিও যথেষ্ট সাড়া পেয়েছে। আয়রন ম্যান আরেকটি সুপার হিরো মুভি এবং এর পরিচালনায় আছেন জন ফ্যাভ্রু। পরিচালক হিসেবে ফ্যাভ্রু খুব একটা পরিচিত নন, এর আগে তার কোন ছবি এতটা আলোড়ন তুলতে পারে নি।
আয়রনম্যান নামের মার্ভেল কমিকসের চরিত্রকে সিনেমায় রূপ দিয়েছেন এই পরিচালক। আয়রনম্যান একজন সাধারণ মানুষ মাত্র, কিন্তু নিজের উদ্ভাবনী শক্তি এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেকে আয়রন ম্যানে রূপান্তর করেন। প্রকৃতপক্ষে, আয়রনম্যান লোহার তৈরী বর্ম পরিধান করে যা তাকে উড়তে সাহায্য করে। আয়রন ম্যান চরিত্র টনি স্টার্ক একজন ধনকুবের। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি একটি কোম্পানীর মালিক হন যেখানে বিভিন্ন রকমের সামরিক অস্ত্রপাতি তৈরী করা হয়।
এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে তার বাবার বন্ধু ওবাদিয়া স্ট্যান। আফগানিস্তানে স্টার্কের কোম্পানী নির্মিত একটি মিসাইল বিক্রী করতে গিয়ে সন্ত্রাসী গ্রুপের নিকট বন্দী হয়ে তাদের অন্যায় অভিযোগ থেকে বাচার উদ্দেশ্যেই স্টার্ক এবং সহকারী বিজ্ঞানী তৈরী করে ফেলেন উড়তে সক্ষম আয়রনম্যান, কিন্তু এদিকে তারই বাবার পুরানো পার্টনার স্ট্যান তাদের কোম্পানীর তৈরী অস্ত্রপাতি বিক্রি করে সন্ত্রাসীগোষ্ঠির নিকট। আর এই নিয়েই এগিয়ে চলে আয়রন ম্যান ছবির কাহিনী।
মার্ভেল স্টুডিও মুভিটির কাজ শুর করে ২০০৬ সালে যদিও সেই ১৯৯০ সাল থেকে মুভিটির ডেভলপমেন্টের কাজ করেছে বিভিন্ন স্টুডিও। অন্যান্য সুপারহিরো সিনেমার সাথে পার্থক্য রাখার জন্যই এই মুভির কাহিনীক্ষেত্র নিউইয়র্ককে বাদ দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আয়রনম্যান সিনেমার ক্ষেত্রে কাহিনী তৈরীতে এতটা মনযোগ দেয়া হয়েছিল যে সংলাপ নির্বাচনে অভিনেতাদের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছিল। মুভিতে আয়রন ম্যান স্টার্কের ভূমিকায় অভিনয় করেছে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ভিলেন স্ট্যান চরিত্রে জেফ ব্রিজেস এবং আয়রন ম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে লাস্যময়ী নায়িকা গিনেথ প্যালট্রো।
আয়রন মুভিতেও অন্যান্য সুপার হিরো সিনেমার মতো আয়রন ম্যান সিনেমাতেও প্রচুর স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে। স্পেশাল ইফেক্টের জন্য আইএমএল নামক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল, তারা এর পূর্বে ট্রান্সফর্মারস, পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান মুভির মতো ছবিতে ইফেক্ট তৈরী করেছে। ১৪০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত এই মুভিটির প্রচারণার জন্য প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছিল।
মুক্তি পাবার পরে ছবিটি সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়, অনেক সমালোচকই একে সফল মুভি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। মুভিটি ২০০৮ সালের অস্কারে সেরা শব্দ সম্পাদনা এবং সেরা ভিজ্যূয়াল এফেক্টের জন্য মনোনীত হলেও দ্য ডার্ক নাইট এবং কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন মুভির কাছে পরাজয় বরণ করে। এই সাফল্যই আয়রন ম্যান ২-কে বর্তমানে বাজারে নিয়ে এসেছে এবং সফলতার সাথে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরন করছে।
আয়রন ম্যান এক ভাল্লাগেনাই।হয়তো সুপার হিরো ম্যুভি ভাল্লাগেনা সেজন্যেই।তবে সুপার হিরো ম্যুভি হিসেবেও আয়রন ম্যান আমার ভাল্লাগেনাই।তাই আয়রন ম্যান টু দেখিইনাই।