অনেকদিন আগে একবার এইরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম – তখন তোমাকে কিচ্ছু জানাই নি। নিজের সিদ্ধান্তে নিজেই কাজ করেছি, দীর্ঘদিন তোমার সাথে যোগাযোগ হয় নি। তুমি মন্দ ছিলে না এই দীর্ঘ সময়।
অনেকদিন বাদে তোমার সাথে যোগাযোগের পরে তুমি বারবার বলেছিলে যে তুমি পাল্টেছো, কথাবার্তায় আমিও আগের সেই তোমার অনেকটা পেলাম না, কিছু ব্যাপার ঠিক রয়ে গেছে। আমি আস্বস্ত হলাম, আশংকামুক্ত হলাম।
চট্টগ্রামে গেলে তোমাদের বাসায় যাবো এমনটা ঠিক করে ফেলেছিলাম, কিন্তু চট্টগ্রামেই যাওয়া হচ্ছিল না, আর তাই তোমার বাসায়ও। তোমার বাসায় গেলে কি করবো, কি বলবো, কি খাবো ইত্যাদি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছি অলস সময়ে, জানি এটা সেই বয়স নয়, বয়সের বারণ মানতেই হবে নাকি? কদিন আগে তুমি যখন সেই পুরানো কথাটা আরও একবার বললে যা বলেছিলে আরও ৯ বছর আগে, তখনই বুঝলাম – আর নয়। অনেক অল্প সময়েই তুমি সজীব হও, ৯ বছর আগেরকার সবকিছু সতেজ হয়ে উঠছে, ডালপালা মেলে ধরবার আগেই গোড়ায় পানি ঢালা বন্ধ করতে হবে। তরতাজা হবার এই সুযোগ দেয়ার নয়, দেয়া উচিত নয়।
এ যুগে মিরাকল খুব বেশী ঘটে না। তোমার আলাদা সংসার হবে, সেই সংসার যেন সুখের হয় সেটা মনে প্রানে কামনা করি। তুমি যা ভয় পাচ্ছো তার আশংকা আমিও করি, তাই সমাধানের রাস্তা হিসেবে এটাকেই বেছে নিচ্ছি। ভালো থেকো।
এ যুগে ডাকবিভাগের হলুদ খামের ভেতরে চিঠি পাঠানোর মানে হয় না, ইমেইল-ফেসবুকের যুগে সে রোমান্টিকতার বাড়াবাড়ি। সুতরাং, ছেলেটা তাকে ফেসবুকেই মেইলটা পাঠিয়ে দিল, তারপর মেয়েটার প্রোফাইলের সেটিংসে গিয়ে তাকে ব্লক করল। নিজের জন্য তার যতটা খারাপ লাগছিল, তার চেয়ে বেশী মেয়েটার জন্য, একটু ভয়ও হচ্ছিল – মেইলটা সে গ্রহণ করতে পারবে তো?