The Exorcist: সেরা এক্সরসিজম মুভি

১২ বছরের ছোট্ট বালিকা রিগান এর বাসায়, বিশেষত তার রুমে কিছু একটা উপদ্রব শুরু করেছে।তার বিছানাকে কাপিয়ে দেয়, রিগানের আচরনেও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যেতে থাকে, মাঝে মাঝে পুরুষের কণ্ঠস্বর, গোঙ্গানী শোনা যায়। ডাক্তাররা বয়:সন্ধি এবং ব্রেইনের সমস্যা মনে করে নানান পরীক্ষা করে কিন্তু ফলাফল শূন্য। এক্সরসিজমের জন্য আসেন ফাদার ডেমিয়েন কারাস, যিনি নিজেই কিছুটা বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলায় আছেন। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের  এই প্রিস্ট শুরু করেন এক্সরসিজম – ভূত তাড়ানোর কাজ। একা সম্ভব ছিল না, তাই অভিজ্ঞ লোক ফাদার মেরিন কে নিয়ে আসেন।

১৯৭৩ সালে নির্মিত এই সিনেমাটা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এবং উপন্যাসটি একটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে রচিত। পরিচালক উইলিয়াম ফ্রাইডকিন। এযুগের সিনেমার মতো দ্য এক্সরসিস্টে গ্রাফিক্স আর স্পেশাল ইফেক্টে কাজের বিন্দুমাত্র নেই। সাউন্ড আর অভিনয় – এর মাধ্যমেই সিনেমাটা শতকের সেরা হরর মুভিগুলোর তালিকায় বেশ উল্লেখযোগ্য অবস্থান দখল করে আছে। দুটো শাখায় অস্কার পেলেও সেরা চলচ্চিত্রের অস্কার জয় করা সম্ভব হয় নি কিন্তু উপার্জিত অর্থের পরিমানটা কম নয় মোটেও।সর্বমোট ৪০১,৪০০, ০০০ ডলার।

এই সিনেমার ব্যবসা সাফল্যের পরে বেশ কিছু সিক্যুয়েল এবং প্রিকুয়েল নির্মিত হয়েছে। তবে কোনটাই এতটা সাফল্য অর্জন করতে পারে নি, না অর্থে, না দর্শকপ্রিয়তায়।

দ্য এক্সরসিস্ট উপন্যাসের বেশ কিছু অনুবাদ দেশে পা্ওয়া যায়। সেবা প্রকাশনীর অনুবাদের তুলনায় হুমায়ূন আহমেদের অনুবাদটি চমৎকার। আগেই বলেছি সিনেমাটা একটি বাস্তব ঘটনার উপর নির্ভর করে নির্মিত। এ ধরনের কিছু রিয়েল এক্সরসিজম ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়। যেমন দ্য এক্সরসিজম অব Anneliese Michel, যার উপর নির্ভর করে দ্য এক্সরসিজম অব এমিলি রোজ নামে একটা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ২০০৫ সালে – তার ভিডিও। লিংক দিলাম

মাস্ট সি সিনেমা।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

2 Comments on “The Exorcist: সেরা এক্সরসিজম মুভি”

  1. ভাই, The Exorcism of Emily Rose মুভিটা বেশ ভাল ছিল, আমার মতে।
    হলিউডের হরর মুভি আমার কাছে প্রেডিক্টেবল মনে হয়; এটা একেবারেই হয়নি। ছোটবেলায় এক্স-ফাইল দেখে যেমন ভয় লাগত সেরকম একটা অনুভূতি ফিরে এসেছিল The Exorcism of Emily Rose দেখে । Jennifer Carpenter এর বকট চিৎকারে লোম দাঁড়িয়ে যায়। Jennifer Carpenter এরই আরেকটা ছবি Quarantine ও বেশি চমকপ্রদ এবং প্রচলিত হরর মুভি মাঝে Standout (আমার মতে)।

    Anneliese Michelকে দেখে ভয় পেলুম। 🙁

    The Exorcist পুরানো মুভি মনে করে অবজ্ঞা করছিলাম। এখন দেখা লাগবেই।

    1. এমিলি রোজ দেখে সত্যিই আমিও বেশ ভয় পেয়েছিলাম। হরর মুভি নিয়ে আমার কিঞ্চিত অ্যালার্জি আছে – ভায়োলেন্সে ভরপুর, জোর করে ভয় দেখানোর চেষ্টা। এক্সরসিজম মুভিগুলোতে এই চেষ্টাটা কম। এমিলি রোজের চেয়ে এক্সরসিস্ট বেশী ভয়ংকর, যদিও সিনেমাটা অনেক পুরানো। এক্সরসিস্টের প্রিক্যূয়াল, সিক্যুয়াল কোনটাই এত ভালো হয় নাই 🙁

      ধন্যবাদ ওহী 🙂

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *