ঈদ-উল-ফিতরের স্ট্যাটাস ২০২৩

ঈদ-উল-ফিতরের স্ট্যাটাস

ছেলেটার বয়স পঁচিশ হয়েছে কি হয় নাই। স্ট্রেচারে শুয়ে আছে। ডাক্তার ঝুঁকে পড়ে এক মিনিট পরীক্ষা করে জানিয়ে দিলেন – ডেড। শুনে তার সঙ্গী দুইজন কান্না চেপে বের হয়ে গেল।

জরুরী বিভাগের ডাক্তার কাগজে লিখে দিলেন, বললেন, ‘লাশ রাতে মর্গে থাকবে, কাল সকালে নিয়ে যাবেন’। সেই সঙ্গী দুইজন ডাক্তারকে অনুরোধ করতে লাগলো যেন লাশ এখনই রিলিজ করে দেয়। তারা আগেই বুঝতে পেরেছিল সে মরে গেছে, কিন্তু নিশ্চিত হওয়া দরকার ছিল, তাদের কোন দাবী নেই, কিন্তু লাশ যেন এখনই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

মটর সাইকেল দুর্ঘটনা। ঈদের চাঁদ দেখার আনন্দ করতে গিয়েই হয়তো। পরে জানলাম – বাইকে তিনজন ছিল, তিনজনই ডেড। সত্যি কিনা কে জানে!

গতকাল রাত সাড়ে নয়টার ঘটনা। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা।

ঈদ-উল-ফিতরের স্ট্যাটাস
ঈদ-উল-ফিতরের স্ট্যাটাস

ছেলেটাকে রাব্বুল আলামীন রমজান পর্যন্ত হায়াত দিয়েছিলেন কিন্তু ঈদ উদযাপনের সুযোগ দেননি। মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ছেলেটাও কি জানতো!

মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাকে ঈদ উদযাপনের সুযোগ দিয়েছেন, আপনারা যারা পড়ছেন তাদেরকেও। আলহামদুলিল্লাহ।

সীমার মধ্যে থেকে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। ঈদ মোবারক সবাইকে।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *