ঘুম থেকে উঠেই সান চিপ্সের একটা না-খোলা প্যাকেট পাওয়া গেল। মধ্যরাতে রেস্টুরেন্টে নামিনি বলে ভাগেরটা জমা ছিল। পাঁচ মিনিট বাদে বাস থেকে নামতেই ছিন্নমূল এক শিশুর আবদারে সান চিপ্সের হাত বদল হয়ে গেল। সিএনজিতে রওয়ানা হওয়ার আগমুহূর্তে বাসে রেখে আসা মানিব্যাগটা ফেরত পাওয়া গেল, আলহামদুলিল্লাহ।
এখানে দিনরাতই কিছু মানুষ থাকে। নিয়মিত এবং অনিয়মিতভাবে রাত কাটায় এমন লোকের সংখ্যাও কম না। দানবাক্স এখনো ভরে উঠেনি, কবুতরগুলোর অর্ধেক এখনো নিচে নেমে আসে নি, দিঘীর নোংরা বদ্ধ সবুজ জলে কোন মাছ দেখা গেল না। নারীরা সংখ্যায় বেশি কিন্তু তাদের প্রবেশাধিকার সিড়ির নিচ পর্যন্তই। কচি একটা ছাগল আর দুটো ছেলেকে নিয়ে আসা মহিলাটি তাই চললেন ছাগল দান করতে, মান্নত পূরনের দোয়া হবে তারপর।
এই হল সিলেট, ভোরের সিলেট। গুড মর্ণিং সিলেট।