সোনা দিয়া বান্ধায়াছি বিমান বন্দর – ও মনরে ..
ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে পাওয়া গেল –
ভারতের বিশাল স্বর্ণের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশকে সোনা চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য বানানো হয়েছে। যে পরিমান স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে তার সিকিভাগও চাহিদা নেই বাংলাদেশে। আর যেগুলো ধরা পড়ছে তা আইওয়াশ ছাড়া কিছুই না। কারন এরছেয়ে কয়েকগুণ সোনা নিয়মিত বিমানবন্দর দিয়ে বিনা শুল্কে প্রবেশ করাচ্ছে অসাধু কিছু কর্মকর্তা। ভারতের বিমানবন্দর সম্পুর্ণ ডিজিটাল হওয়ায় সেখানে চোরাচালান সম্ভব না হওয়ায় বাংলাদেশকে ট্রানজিট পয়েন্ট বানানো হয়েছে।
সোনা চোরাচালানের সমস্যাটা কি? কালেরকন্ঠের সম্পাদকীয়তে উত্তর পাওয়া যাবে –
এই চোরাচালানের সঙ্গে ভারতের ৩০টি এবং বাংলাদেশের ৪০টি গ্রুপ জড়িত। সাধারণত সোনা চোরাচালানের অর্থ পরিশোধ করা হয় হুন্ডির মাধ্যমে। আবার দেশে চোরাচালান হয়ে আসা অস্ত্রের দাম মেটানো হয় চোরাচালানের সোনা দিয়ে। ফলে এর সঙ্গে অস্ত্র চোরাচালানেরও একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবেও বাংলাদেশ যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে। এই চোরাচালানি গ্রুপগুলো যে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নয়, তা কে বলবে। আবার রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী যেসব ব্যক্তি এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তাদের পক্ষে অবৈধ অর্থ উপার্জনের জন্য যেকোনো ধরনের অপরাধকর্মে যুক্ত হওয়া অবাস্তব কিছু নয়। ফলে দেশ দ্রুত হত্যা, গুমসহ নানা ধরনের অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ ও শৃঙ্খলার জন্যও অচিরেই তা হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই এমন একটি জঘন্য অপরাধকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা না গেলে তা একসময় দেশের স্থিতিশীলতা, এমনকি সার্বভৌমত্বের ওপরও আঘাত হানতে পারে।