সুজন ভাইয়ের সাথে দেখা করবো বলে মতিঝিল পৌছে গিয়েছি সাইকেল নিয়ে, সুজন ভাই অফিসের নিচে দাড়িয়ে ছিলেন। তিনি ক্ষুধার্ত। মুর্গি ভাজা খেতে চান! শনিবার – তার উপর প্রায় আটটা বাজে – মুর্গির দোকান বন্ধ পাওয়া গেল। বাধ্য হয়ে ফুটপাথের দোকান থেকে অলটাইম বাটারবন, কিন্তু তাতেও পেটপূর্তি না হওয়ায় চললাম পিঠার দোকানে। মোড়ে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের ঠিক বিপরীতে দুটো মহিলা চিতই পিঠা বানাচ্ছে – নানা রকম ভর্তা সহযোগে সেই পিঠা খাচ্ছে লোকের দল। চিতই পিঠা আমার পছন্দের না, ভর্তা সহযোগে আরও অপছন্দ। ফলে সুজন ভাই একাই অর্ডার দিলেন।
পাশাপাশি দুই মহিলা – একজন একটু বয়স্ক। কিন্তু পাশের মহিলাটিকে দেখেই দপ করে আপনার কথা মনে পড়ে গেল! মনে হচ্ছিল – আপনার একটু বয়স্ক ভার্সন বসে বসে পিঠা বানাচ্ছেন! ঠান্ডার এই সময়ে তার নাকের গোড়ায় বিন্দু বিন্দু ঘাম – চুলার লাল আগুনে সেখানে লালচে আভা! সুজন ভাই পিঠা খায় ফু দিয়ে, ভর্তায় ভিজিয়ে – আমি আড়াল থেকে সেই মহিলাকে দেখি। আসলে দেখি না, মিলাই – আপনার সাথে তার মিল কোথায় কোথায়। নাকে, আর কপালে! আর বোধহয় মাথা নিচু রেখে কাজে ডুবে যাওয়ার মধ্যে। ওইদিন তো আপনাকে দেখতে পারি নাই – মুখোমুখি বসার সময় আপনি ডুবে গিয়েছিলেন ঘোমটায়, ব্যস্ত ছিলেন নখ খুটায়! (নাকি পরোটায়?)। পাশে বসে আর কতটুকু দেখা যায়?
আপনাকে একটা গল্প বলার জন্য মুখিয়ে আছি – সেই গল্পে একটা সংলাপ এরকম – ‘তার নামটা কি হবে বলেন তো? একটু ভাবলেই পারবেন নিশ্চিত!’ কবে বলবো জানি না – গল্প শেষ হোক আগে, তারপর বলার দিনক্ষণ সম্পর্কে ভাবা যাবে। গল্পের শেষটা অনিশ্চয়তায় পরিপূর্ণ – কবে শেষ হবে তা জানা নেই!