কামরুজ্জামান ভাই

খুবই কম বাজেটে যদি একটি সিনেমা বানাতে হয়, তবে একজন নিজস্ব ক্যামেরাম্যান থাকা চাই – এটা আমার মনে গেঁথে যাওয়ার পর থেকেই আমি একজনকে খুজে বেড়াচ্ছি যে হবে একজন ভালো সিনেমাটোগ্রাফার এবং আমার ও বন্ধুদের চিন্তাভাবনা পড়ার যোগ্য – কামরুজ্জামান ভাই সেই লোক।

গ্রীন ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের ছাত্র তিনি, বাড়ি সাতক্ষীরা। দুর্ভাগ্যক্রমে উনি যখন আমাদের নিয়মিত আড্ডায় যোগ দিলেন, তখন আমি বের হয়ে এসেছি – মাঝে মধ্যে যাই। কামরুজ্জামান ভাই লাইট-ক্যামেরা ইত্যাদি সম্পর্কে আমার তুলনায় অবশ্যই ভালো জানেন কিন্তু আমাকে সেটা বুঝতে দেন নি কখনো। সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান এর সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করা শুরু করেছেন – এই খবর আমাদের জন্য অনেক বেশী প্রেরণাদায়ক। বলা যায় এসব কারণেই ক্যামেরা সংক্রান্ত কিছু হলেই কামরুজ্জামান ভাইয়ের খোঁজ পড়ত। মেজ ভাইয়ের জন্য ডিএসএলআর কেনা হবে – কামরুজ্জামান ভাই তখন অসুস্থ্য, সাতক্ষীরায় – পরামর্শ দিয়ে দিলেন। গত অক্টোবরে একটা শর্ট ফিল্ম শ্যূট করা হবে বলে ওয়াইড লেন্স দরকার – কামরুজ্জামান ভাইকে ফোন – তিনি ইন্ডিয়া থেকে ফিরে এসেছেন – ফোনেই নির্দেশনা দিয়ে দিলেন।

কামরুজ্জামান ভাইকে সাথে নিয়ে আমি মাত্র একটা কাজ করেছি। একটা কর্পোরেট ডকিউমেন্টারী – গত বছর রমজানে। তারপর আরও কয়েকবার পরিকল্পনা হয়েছে – কাজ হয় নি। ছবিটা গত ২৫ ডিসেম্বর তারিখে তোলা, পেছনে ডিএমসি-র বিল্ডিং দেখা যায়। স্মার্ট লোক।

আমাদের সিনেমাটোগ্রাফার কামরুজ্জামান ভাইয়ের সাথে আর কখনো কাজ করা হবে না। গতকাল রাত সাড়ে ন’টায় তিনি জান্নাতের পথে রওয়ানা হয়ে গেছেন। বলে গেছেন, দেখা হবে।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *