বাংলাদেশী সিনেমায় এক ধরনের খরাভাব বিরাজ করছে প্রায় দেড়দশক ধরে। গতানগতিক ধারার সিনেমা নির্মানের জোয়ার বয়েছে দীর্ঘসময়, অশ্লীল সিনেমার জোয়ারও দৃষ্ট হয়েছে কোন বছরে। তারপর যথারীতি ভাটার টানে গত দুই বছরে এফডিসি থেকে ছবি নির্মান প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে ভারতীয় সিনেমাকে অবদান রাখার জন্য আমদানীর অনুমতি দেয়া হয়েছে, ইতিমধ্যে তিনটি কোলকাতার সিনেমা এদেশে প্রদর্শিত হয়েছে যা মানের দিক থেকে গতানুগতিক বাংলা সিনেমার চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।
চলচ্চিত্রকর্মীদের দাবীর মুখে বেশ কিছু দিকের উন্নয়নও সম্ভবপর হয়েছে। ডিজিটাল সিনেমা স্বীকৃতি পেয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিস প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে, এ বছরের ঘোষিত বাজেটে সিনেমায় কর মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তরুন সিনেমা নির্মাতারাও এগিয়ে এসেছেন, গতানুগতিকের বাইরে বিভিন্ন কাহিনী নিয়ে সিনেমা নির্মান করছেন। সবদিক মিলিয়ে, বর্তমান সময়ে বাংলা সিনেমার এই নবজাগরনকে হয়তো চলচ্চিত্র গবেষকরা একটি আন্দোলন (বাংলা নবজাগরন?) হিসেবে চিহ্নিত করবেন। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর ভিন্নতার জন্য নোমান রবিনের চলচ্চিত্র ‘কমন জেন্ডার‘কে তারা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রাখবেন, সে নিঃসন্দেহ।
হিজড়াদের নিয়ে কোন পূর্নাঙ্গ সিনেমা এই দেশে আগে নির্মিত হয় নি, অল্প যা কিছু হয়েছে সেখানে হিজড়ারা সাধারণত কমেডি চরিত্র হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে শারীরিকভাবে ভিন্ন এই গোষ্ঠী এই সমাজের গুরুত্বপূর্ন কিন্তু বিচ্ছিন্ন ও বঞ্চিত অংশ। এই হিজড়াদের নিয়েই নোমান রবিন তার চলচ্চিত্র ‘কমন জেন্ডার’ নির্মান করেছেন। হিজড়াদের বাল্যকাল, হিজড়াগোষ্ঠীতে অন্তর্ভূক্তি, জীবন-জীবিকা পদ্ধতি, হাসি-কান্না-বঞ্চনা, প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদির আখ্যান এই সিনেমা।
বাবলি, সুস্মিতা, টুশি এরা সবাই হিজড়া, বস্তিতে এক মাসির তত্ত্বাবধানে থাকে। এক হিন্দু বিয়েতে দলবেধে নাচতে গিয়ে সুস্মিতাকে সাধারন মেয়ে ভেবে পছন্দ করে সঞ্জয়। পরবর্তীতে হিজড়া পরিচয় পেয়েও বন্ধুত্বের আহবান ফিরিয়ে নেয় না এবং সঞ্জয়ের এই ইতিবাচক দৃষ্টিভংগী সুস্মিতার নারী মানসিকতাকে জাগ্রত করে তোলে, স্বপ্ন দেখতে শেখায়। কিন্তু সঞ্জয়ের বাবা-মা একজন হিজড়াকে প্রেমিকা নয়, বন্ধু হিসেবেও গ্রহন করতে আপত্তি জানায়, প্রশ্ন তোলে সমাজের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে। এইরকম একটি কাহিনীর মধ্য দিয়েই হিজড়াদের জীবনের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে চলচ্চিত্রে।
সম্ভবত হিজড়াদের জীবনের এই বিশাল অধ্যায় তুলে আনার প্রচেষ্টাই কমন জেন্ডার সিনেমার কাহিনীকে অনেক জায়গায় বাধাগ্রস্থ করেছে, সিনেমাকে অহেতুক দীর্ঘতা দিয়েছে। ছোট ছোট ঘটনা হিসেবে সবগুলোই কম বেশী গুরুত্বপূর্ন, কিন্তু সামষ্টিকভাবে কাহিনী খুব মজবুতভাবে গাথা নয়। কাহিনীকার নোমান রবিন দর্শকের অন্তরে নাড়া দিতে চেয়েছেন, কিন্তু কাহিনীর গতি ধরে রাখতে পারেন নি।
তাই, সুস্মিতার গল্পের শেষে বাবলির গল্পের উপস্থিতি আরেকটি নতুন গল্প হিসেবে হাজির হয়। সমাজের মুসল্লী চরিত্রের উপস্থিতিও অনেকটাই অপ্রয়োজনীয়, এ যেন মন রক্ষার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে সুস্মিতার পরিবারে অন্তর্ভূক্তি বিচ্ছিন্নভাবে এসেছে, অথচ একে বাদ দিলেও কাহিনী খুব বেশী বাধাগ্রস্থ হতো না। যে সকল বিষয়কে তুলে ধরা হয়েছে সিনেমায়, তার সবই আরও গোছালো, মজবুতভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হত। এই যুতবদ্ধতার অভাবে সিনেমাটির গতি অনেকখানি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। কমন জেন্ডার সিনেমায় কাহিনীর তুলনায় চিত্রনাট্য অনেক পরিণত, সংলাপ আকর্ষনীয় ও চিন্তা উদ্রেককারী।
হিজড়া সুস্মিতা চরিত্রে অভিনয় করেছে সাজু খাদেম, বুবলি চরিত্রে দীলিপ চক্রবর্তী, তাদের মাসি চরিত্রে সোহেল খান। সাজু খাদেম ও দীলিপ চক্রবর্তী অসাধারণ অভিনয় করেছেন, বিশেষত: দিলীপের শেষ দৃশ্যের অভিনয় হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মত। যোগ্যতার চেয়ে নিম্নমানের অভিনয় করেছেন শহিদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী। মাসি চরিত্রে সোহেল খানের খুব বেশী কিছু করার ছিল না, তিনি তার চরিত্রে উতরে গেছেন ভালোভাবে। অন্যান্য হিজড়া চরিত্রেও অভিনেতারা বেশ শক্তিশালী অভিনয় করেছেন। সঞ্জয় চরিত্রে (নাম ভুলে গেছি)ও বেশ ভালো অভিনয় করেছেন। তোতা চরিত্রে রাশেদ মামুন অপু বেশ সফল, দর্শককে নির্ভেজাল বিনোদন দিয়েছেন কিন্তু মৃত্যুদৃশ্যের অহেতুক দৈর্ঘ্য দর্শককে বিরক্ত করে। কমন জেন্ডারের বাকী চরিত্ররা গল্পের প্রয়োজনে খুব স্বল্প সময়ের জন্য পর্দায় উপস্থিত থেকেছেন।
এই সিনেমায় একটি আইটেম সং রয়েছে, গানের কথা ও সুর উপভোগ্য, যদিও আইটেম সং এর বৈশিষ্ট্যানুসারেই অপ্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে। সিনেমার বাকীগানগুলোও বেশ চমৎকার এবং উপভোগ্য। আরেফিন রুমি এবং বালামকে এ জন্য ধন্যবাদ। আবহসঙ্গীত যথাযথ ভূমিকা রেখেছে যদিও বিভিন্ন দৃশ্যে শব্দ বেশ উচ্চকিত, এ জন্য দায়ী কি প্রেক্ষাগৃহ নাকি শব্দ-প্রকৌশলী তা জানা নেই।
ডিজিটাল মাধ্যমে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিবেশনের দায়িত্বে আছে ইআর সিনেমা। চিত্রগ্রহনে জাহেদ নান্নু, সম্পাদনায় হাসান মেহেদী ত্রুটিমুক্ত নন। সব মিলিয়ে কমন জেন্ডার অবশ্যই দর্শক মনকে নাড়া দিয়ে যাবার মত একটি সিনেমা, কিন্তু সমাজের সামষ্টিক আচরণকে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারে, পরিবর্তন করতে পারবে কিনা সে প্রশ্নসাপেক্ষ। ডিজিটাল মাধ্যমে নির্মিত হওয়ার কারণে সকল ধরনের দর্শকের কাছে পৌছুতে পারাও একটা বাধা। কাহিনীর ছোটখাটো ত্রুটিগুলোকে উপেক্ষা করে সিনেমার শেষ পর্যন্ত পৌছুতে পারলে ‘কমন জেন্ডার’ অবশ্যই উপভোগ্য একটি সিনেমা এবং এ ধরনের বিষয়কে সাধারণ জনগনের সামনে নিয়ে আসার জন্য পরিচালক নোমান রবিন অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। হিজড়ারা মানুষ হিসেবে যথাযথ অধিকার পাক, বাংলা সিনেমার এই ‘বাংলা নবজাগরন’ দীর্ঘস্থায়ী হোক। শুভকামনা।
দাউন লিখছেন।দেখতেই হবে মুভিটা
ধন্যবাদ ঘুমরাজ আপনার ‘দাউন’ মন্তব্যের জন্য 🙂 🙂
আপনি পজেটিভ ল্যাখেন বাংলা মুভি নিয়া। এইটা ভাল জিনিস।
কিন্তু কমন জেন্ডার হিট হবে বইলা মনে হয় না।
আপনার লেখা ভাল লাগছে। সময় পাইলে দেখতে যাব।
হুম। এই ধরনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাতে চাই, বাংলা সিনেমাকে একটা পজিশনে আসা পর্যন্ত পজেটিভই লিখতে চাই। নিন্দা করা সহজ এবং সহজে গ্রহনযোগ্য, আপাতত এই কাজটা করতে চাচ্ছি না 🙂
দেখবেন, মন্দ লাগবে না আশা করি। ভালো থাকুন বস 🙂
ইকরাম ভাই, মনে হয়না খুব একটা হতাশ হবেন। এটলিস্ট আমার এটা মনে হচ্ছে কারণ কমন জেন্ডার টেলিফিল্মটা দেখে মনে মনে একটা ধাক্কা খাইছিলাম। এদেরকে কখনোই স্বাভাবিক চোখে দেখতামনা… শেষ দৃশ্যে বাবু-র অভিনয় দেখে খুবই কষ্ট হইছিলো।
বাংলা মুভি রকস।
বেশ আগেই এই নামের একটা টেলিফিল্ম দেখেছিলাম।
রিভিউ টা পেয়ে ভালই হলো।
…আপনার বাংলা সিনেমা নিয়ে লেখার এই উদ্যোগকে স্যালুট দারাশিকো ভাই!
একটা সিনেমার পজিটিভ/নেগেটিভ দুইটা দিক ই থাকতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য যদি হয় বাংলা সিনেমার (নাকি ভাল সিনেমা বলবো?) প্রসার তাহলে পজিটিভ রিভিউঁ তেই মনে হয় বেশি উপকার হবে।
খুব বেশী নেগেটিভ বলে ফেললাম নাকি বস? দেখায়া দেন, শুধরে নিই। আমি নেগেটিভের চেয়ে পজেটিভ বেশী বলতে চাই – ট্রাস্ট মি।
ভালো থাকুন স্বর্ণমৃগ 🙂
ধন্যবাদ গরম গরম রিভিউয়ের জন্য। বেশ সুস্বাদু হইছে।
আরেকটু গভীরতা আশা করেছিলাম- সচরাচর যেভাবে লিখেন আর কি!!!
অবশ্যই সময় বড়ো ফ্যাক্টর।
আশা করছি এই তরতাজা রিভিউ অনেককেই মুভিটি দেখতে আগ্রহী করবে।
ভালো থাকুন। এভাবে বাংলা মুভির সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ ওয়াহিদ সুজন। আপনি আরেকটু দেরীতে নক করলে বোধহয় আজ লেখাই হত না, কৃতজ্ঞতা। 🙂
বেশী গভীরে যাওয়ার সাহস হয় না বস। নোমান রবিন ভালো হোক মন্দ হোক একের পর এক সিনেমা নির্মান করতেসে। পারফেক্ট সিনেমা বানানোর কষ্ট কিরকম আমি হয়তো তার মত বুঝি না, কিন্তু কিছু তো বুঝি। নিন্দা করা সহজ এবং সহজে গ্রহনযোগ্য, কিন্তু সিনেমার ভালো দিক তো কম নয়। নিন্দার চেয়ে ভালো দিক উল্লেখযোগ্যভাবে ফুটে না উঠলে দর্শক সিনেমার ব্যাপারে আগ্রহ হারাবে – একজন নির্মান প্রয়াসী হিসেবে আমি কিভাবে এই কাজ করতে পারি বলেন?
তাছাড়া যোগ্যতার প্রশ্নও থাকে, তাই এইটুকুই থাক। হয়তো সামনে অল্প কথায় আরও গভীরে যাওয়ার যোগ্যতা হবে, নোমান রবিনের মত সিনেমার নির্মানেরও। তখন নাহয় বলা যাবে 🙂
বাংলা মুভির সাথে আছি, থাকবো। ভালো থাকুন ওয়াহিদ সুজন 🙂 🙂
🙂
তড়িৎ উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।
গভীরতা বলতে আমি নিন্দা বুঝায় নাই।
নিন্দা করলেই বোদ্ধা হওয়া যায় না। তাইলে তো আমার দেশ-এর মুভি রিভিউগুলা খুব উচ্চ মানের!!!!
কিন্তু আমরা আপনার রিভিউগুলায় পছন্দ করি।
‘জীবনে তুমি মরনে তুমি’ – আমার দেশের রিভিউয়ের সাথে আপনারটা পড়ে দারুন শিক্ষা হইছে।
আমি আসলে গভীরতা বলতে কাহিনীকে আরেকটু ব্যাখ্যার বিষয়টা বলতে চেয়েছিলাম।
এই কাজটা করিনি আমি ইচ্ছে করেই। আজই যে সিনেমাটা মুক্তি পেল তার কাহিনী বলতে গেলে পরতে পরতে যে মজা সেটা নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশংকা করছি। বিশেষ করে সিনেমা দুটি এন্ডিং আছে, মাথা নষ্ট করে দেবে শেষেরটি। এটুকুই বলতে পারি, আর কিছু বলতে গেলে পুরো সপ্তাহের সিনেমার বাজার নষ্ট করে দিতে পারি – এই আশংকা থেকেই যায় 🙂
আপনার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বস। শব্দের গভীরতা, অনুধাবনের গভীরতা। এইরকম ধরায়া দিয়েন সবসময় 🙂
🙂
ভালো ভালো।
আমার কথা আমার হাতেই ধরাইয়া দিলেন।
এ মুভিটা দেখার জন্য স্টার সিনেপ্লেক্সে আজ হাজির হয়ে বোকা বনে গেছি।
পরে দেখতে বসে গেলাম দি স্পিড। বস মাফ করবেন। দি স্পিডে আমি কোন পজিটিভি কিছু পাইনাই। পুরোপুরি অখাদ্য। অর্ধেক দেখেই বাসায় ফিরতে বাধ্য হয়েছি।
কমন জেন্ডার নিয়ে আশাবাদি আমি। এটা অব্যশই দেখবো।
দি স্পিড এখনো দেখা হইলো না।
আশা করছি, কমন জেন্ডার দুইজনেরই কমন পড়বে।
আজকে টিভিতে একটা গান দেখেছিলাম। দি স্পিডেরই মনে হয়।
বাঁশি বাজাইয়া নায়িকা গান গাইতেছে। বারে। ভালোই লাগল।
আফটার অল কোন মহিলারে এই প্রথম বাঁশি বাজাইতে দেখলাম।
অখাদ্যরে যিনি সুস্বাদু বলেন তার রুচি কেমন এইবার বোঝেন 🙂
স্যরি হওনের কিছু নাই – মাঝে মাঝে আমার নিজেরই নিজেরে নিয়া সন্দেহ জাগে :p
সিনেপ্লেক্সে কি প্রচুর লোক ছিল? বলাকায় ডিসি-তে কিন্তু অর্ধেক ফাকা ছিল। বোধহয় প্রথম শো, এই কারণে। বাকীগুলার অবস্থা জানি না
দেখার পরে আপনার মন্তব্যটা জানায়া যাইয়েন। রিভিউ-র যাবতীয় দুর্বলতা খুশীমনে গৃহীত হবে ইনশাল্লাহ 🙂
চমৎকার রিভিউ লিখেছেন দারাশিকো ভাই– ছবিটা দেখা খায়েশ জাগলো-
সিনেমাখোরদের আড্ডা-র কেউ বাদ দিলে অন্যায় হপে। কভারে ছবি ঝুলতেসে চোখের সামনে, না দেখলে কেমনে কি 🙂
দেখার পরে মন্তব্যটা জানতে চাই। ভালো থাকুন ইউসুফ খান 🙂
undoubtedly it is a great step to entertain the spectator…………in a different style……go head…….hizra group is the part and parcel of our society.we respect them…thanks for making this movie.and go head.we r with u………..
Welcome to Darashiko’s blog, Shamim 🙂
I don’t know how many people really feel for the Hizra group in our country, but it should be changed. Also, ine thing, the behavior of the Hizra group is not truly depicted in the film, specially their negative side is fully absent here. Ignorance among them is the main cause, we know this. Govt and others should come forward to work for this particular segment. Then it will surely bring a desired change.
Keep coming Shamim, sta with Darashiko’s blog. Thanks 🙂
খুব সুন্দর লিখেছেন!!!পড়েই মুভিটি দেখতে ইচ্ছা করছে!:)
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম তামান্না 🙂
মুভিটা ভালো, সুযোগ থাকলে অবশ্যই দেখে নিন। এটা নোমান রবিনকে ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করার সাহস জোগাবে 🙂
ভালো থাকুন। আবার আসবেন 🙂
khub valo laglo review .dekhar opekkhay roilam.
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম চেয়ারম্যান 🙂 🙂
কিপ কামিং 🙂
আমাদের উন্নতি হচ্ছে সেটা আপনাদের লেখা পড়লে বুঝতে পারি…
জীবনে তুমি মরনে তুমি’র আমারদেশের রিপোর্টটা কে লিখছে? সেটার ট্রেলারে অনেক নতুনত্ব ছিল…নকল সুরের গান আর থিম কিছুটা নকল হলেও আমার তেমন কোন সমস্যা নাই!
কলিকাতার দেব জিৎ যখন পুরা কপিপেষ্টের উপরে তারকা বনে যায় সেখানে আমাদের এইসব ছোটখাট ভুলকে আমি মাফ ই করে দেব!
#রূশো ভাই এতদিন এত্তকিছু পড়ার পর গিয়েছেন স্পিড দেখতে…দূর্যোধনের রিভিউ পড়ার আগে মুভি দেখতে হবে…ব্লগ আর ফেসবুক বাসির জন্য এইটা আমার নসিহত…
বিষয়বস্তুর ভিন্নতা আমাদের চলচিত্রের জন্য খুব ই জরুরী ছিল…এইটার সাথে ঘেটুপুত্র কমলা মুভিও আসতেছে…আশাকরি দর্শকরা এই মুভিগুলো সিনেমা হলে গিয়ে দেখবেন…এবং আমাদের চলচিত্রের প্রসারে ভুমিকা রাখবেন…কেউ কোন লিঙ্ক খুঁজে বেড়াচ্ছেন ডাউনলোডের জন্য দেখতে খুব সুন্দর দেখায়না…আমাদের ইন্ডাষ্ট্রিটা খুব বড় নয়…আপাতত সিনেমাহলে গিয়ে বড় হতে সাহায্য করুন…২০বছর না হয় লিঙ্ক খুজলেন!
সপ্তাহ কয়েক পড়ে এর বিস্তারিত আরেকটি রিভিউ চাচ্ছি বস!!
অঃটঃকোটি টাকার প্রেম আর মনের জ্বালা দেখলাম আজ…দেখেছেন কি এই মুভির কোন একটি?
দুইটার একটাও দেখি নাই বস। এক মন এক প্রান সিনেমার কথা শুনলাম আজকে। এইটা নাকি সবচে ব্যবসাসফল সিনেমা। শুনে আগ্রহ হচ্ছে। দেখার সুযোগ খুজতেসি 🙂
আপনার রিভিউ পড়তে সবসময়ই ভালো লাগে কিন্তু এইটা কেমন যেন খাপছাড়া লাগলো।মুভিটা দেখার ইচ্ছা আগে থেকেই ছিল।আশা করি দেশের মুভি জগতের ই নবযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
ধন্যবাদ তানভীর। যদি একটু ধরিয়ে দিতেন, তাহলে শুধরে নিতাম।
মুভিটা খারাপ লাগবে না আশা করছি। ভালো থাকুন 🙂
ভালো লাগসে!! কমন জেন্ডার ব্যবসায়িকভাবে সফল হোক তা অবশ্যই চাই !! সুন্দর লিখেছেন!!
দারাশিকোর ব্লগে স্বাগতম সাইমন 🙂
ভালো থাকুন 🙂
এটার নাটক ভার্শনটা আমি দেখেছি, কিন্তু আগ্রহ পাইনি কিছুটা সামনে গিয়ে।
বাংলা চলচিত্রের এই নবজাগরণ যেন বাংলা চলচিত্রের কটুক্তিকারিদের হিংসার কারন হয় সেই কামনা করছি।
এমনিতে ছবি দেখার সুযোগ কম পাই, আপনি যে কোটি মুভির রিভিউ লেখেন, সেগুলো দেখার চেষ্টা করি, ভাল থাকবেন।
নাজমুল ভাঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈঈ !!!!!!!!!!!!!!!!!!!
বহুদিন পর আপনার রিভিউ পড়লাম । বরাবরের মতই খুব খারাপ !!!!!!!!!!!!!!!!!! ; 😀
পইড়া ভালো লাগলো
বহুদিন পর কোন মুভি দেখা পর চোখের পানি আটকে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার।আজ মধুমিতাতে দেখলাম, দর্শক সারিতে চোখে পড়ার মত হিজড়ারাও উপস্থিত ছিল।
এদের প্রতি আমাদের সমাজের যে দৃষ্টি ভঙ্গি তার হয় তো এখনই পরিবর্তন সম্ভব নয়, তার কারন আমাদের পূর্বে প্রজন্মের সামাজিক দৃষ্টি ভঙ্গি। তবে বর্তমান প্রজন্ম যখন সমাজ পরিচারনা দ্বায়িত্ব হাতে নেবে তখন আর তাদের প্রতি এধরনে নিচুমানের দৃষ্টি ভঙ্গি থাকবে না।
অতি আশ্চর্যে বিষয় দুপুরে বাসায় ফিরলে দেখি আমার মা আমার জন্য ভাত বাড়ছেন তারপর যখন উনার সাথে এক টেবিলে বসে ভাত খাচ্ছিলাম, তখন “কমন জেন্ডার” মুভির শেষ দৃশ্যে “বাবলির” কথা মনে পরে গেল।
দি স্পিড চলার সময় হাইজফুল ছিলো!!
Valo laglo…kintu dukkho aktai …ai cinemagula ki dhaka chara r kothao release hoy na naki….amon ki ami chittagong ao ai chobi gula dakhte pai na…district level to bad dilam…boss nirmata ghosti der bujhan dhaka charao onnanno jaygai valo bangla cinemar dorshok ache
রিভিউ এর জন্য ধন্যবাদ। আশা রাখছি ঢাকায় গিয়ে দেখে ফেলবো। বলাকাতেই মনে হয় দেখতে হবে।
আপনার রিভিউ এর নেগেটিভ দিক তুলে ধরার দুঃসাহস আমার নেই দারাশিকো ভাই! 😀
তবে হ্যা, আমার দৃষ্টিতে কিছু জায়গাতে নেগেটিভ এ্যাপ্রোচ পেয়েছি।
তবে কথা হল কি, সাদাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য কালোর ও দরকার আছে! 😀
ঐ সামান্য নেগেটিভ লাইন ক’টি না থাকলে পজিটিভ দিকগুলি অতটা বাজতো না।
…আসল কথা খুলেই বলি!
নেগেটিভ বলতে আপনার রিভিউ এর কথা বলিনি।
আপনার রিভিউ গুলোতে পজিটিভ দিকগুলোই বেশি উঠে আসে।
বাংলা মুভি নিয়ে আরো অনেকে লিখছেন, তাদের সার্বক্ষনিক নেগেটিভ এ্যাপ্রোচ টা ভাল্লাগে না।
এটা ক্ষতিকর। অনেকটা ধুমপায়ীদের মত।
তার আশে পাশে যারা থাকছে তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে…
মাহবুব ভাইয়ের সাথে সহমত…
অনেকে সেটা এমনভাবে করে যেন প্রতি ভুলে ভুলে নেকি হাসিল হয়!!!
নাটকটা দেখার পর থেকে এই ছবিটার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করতে করতে ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ আপনি মনে করিয়ে দিলেন, ধন্যবাদ। কবে রিলিজ হল ?
আমি দেশের বাইরে থাকি তাই ইচ্ছা থাকলেও হলে গিয়ে দেখা সম্ভব না। কোন ডাউনলোড লিঙ্ক ?
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম লিলুয়া বাতাস 🙂
গত শুক্রবার মাত্র মুক্তি পেল, সুতরাং খুব শীঘ্রই সিনেমাটা অনলাইনে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন অপেক্ষা করুন, পেয়ে যাবেন।
ভালো থাকুন, আবার আসবেন। ধন্যবাদ 🙂
ভিন্ন ধাঁচের কিছু উপহার দেয়ার জন্য পরিচালক অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য।
সেই সাথে আপনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা, দারুণ ভাবে উপস্থাপনের জন্য।
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম মোহাম্মদ করিম। এবং ধন্যবাদ। এবং, আবার আসবেন 🙂
বস, এই সিনেমাটা দেখার উপায় কি? অনলাইনেতো নাটকটা ছাড়া আর কিছু পাইলামনা। ইংলিশ সাবটাইটেল থাকলে আরো ভালো হয়। যদি কপিরাইট আইন ভংগ না হয় 1channel.ch – এ আপ্লোড দিতাম।
নাটক দেখেছি হিজড়া আসলে শারীরিক পরিবর্তনের ফল বলে জানি। যারা পুরুষ ও মহিলার physical character একই সাথে বহন করে । কিন্তু নাটকে মানসিক পরিবর্তনটা প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে । সিনেমাতে কি আবার ও একই বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে? আমরা চাই সবাই সঠীক বিষয় জানুক।
রিপ্লাইটা দিলে কি সিনেমাটা দেখার আগ্রহ থাকবে? সিনেমার একজন দর্শক কমে যাক এমন রিপ্লাই দেয়া ঠিক হবে না। 🙂
নাটকটা আমার দেখা হয় নি। তবে হিজড়ারা কেন হিজড়া সে বিষয়ে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা সিনেমায় ছিল না, ধরেই নেয়া হয়েছে সিনেমার দর্শকরা হিজড়াদের শারীরিক পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়াদি জানেন। সিনেমায় গুরুত্ব পেয়েছে – হিজড়াদের মানবিক অধিকার। হিজড়ারাও মানুষ – পরিবারে সবার সাথে মিলে মিশে থাকার অধিকার তাদেরও আছে – এই বিষয়গুলো উপলব্ধি করা সম্ভব সিনেমা থেকে।
সিনেমাটা এখনো বিভিন্ন হলে চলছে – দেখে ফেলুন 🙂
দেখা হয় নাই। তবে পড়ে ভালো লালো ………।
আমাদের মানুসিকতার পরিবর্তনের জন্য অসাধারণ একটি মুভি 🙂 । অনেকবার দেখেছি এই মুভিটি!
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম যোদ্ধাবাজ।
আবার আসবেন। ধন্যবাদ।