নিজেকে অ্যাকশন হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টারত এম এ জলিল অনন্তর তৃতীয় সিনেমা দ্য স্পিড আজই সারা দেশে মুক্তি পেল। অনন্তর প্রথম সিনেমা ‘খোজ -দ্য সার্চ’ মুক্তির সময় থেকেই এই সিনেমার কথা শোনা যাচ্ছিল। খোঁজ-দ্য সার্চ সিনেমায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও অ্যাকশন দৃশ্যে নতুনত্ব বেশ ভালো লেগেছিল। প্রথম সিনেমার ভিলেন নিনো দ্য স্পিড সিনেমায়ও ভিলেন হিসেবে অভিনয় করবেন বলে ধারনা হয়েছিল – দ্য স্পিড বোধহয় সিক্যুয়েল। তা নয়।
সিনেমার ট্রেলার ও গানগুলো শুনতে ও দেখতে ভালো। প্রথিতযশা অভিনেতা আলমগীর এই সিনেমায় ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কাহিনী ও সংলাপের রচয়িতা অনন্য মামুন যার পরিচালিত সিনেমা ‘মোস্ট ওয়েলকাম’ আগামী মাসেই মুক্তি পাবার কথা রয়েছে। এবং সিনেমাটি চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় আছে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। এই সবগুলো কারণ ‘দ্য স্পিড-ডু অর ডাই’ সিনেমাটি দেখার জন্য আমাকে উৎসাহ জুিগয়েছে, আজ তার সমাপ্তি হল। পরিচালক-কাহিনীকার-নায়িকা-ভিলেন-লোকেশন ইত্যাদির পরিবর্তনে দ্য স্পিড অনন্তর প্রথম সিনেমা ‘খোজ-দ্য সার্চ’কে ছাড়িয়ে গেলেও বেশীদূর যেতে পারে নি। আরও ভালো করার অসীম সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে গতানুগতিক বাংলা সিনেমার চিন্তাধারার গন্ডি পেরোতে ব্যর্থ হয়েছে দ্য স্পিড।
সিনেমার গল্প এজিআই গ্রুপের কর্ণধার অনন্যকে ঘিরে। তরুন এই ব্যবসায়ী সৎ ও নীতিনিষ্ঠ, পরিবারে আছে পিতৃমাতৃহীন ভাইয়ের ৮-১০ বছরের মেয়ে দৃষ্টি। অনন্যর সততা ও নিষ্ঠা একদিকে যেমন তাকে প্রত্রিকার প্রথম পাতায় স্থান দেয়ার মত সফলতা এনে দিয়েছে, অন্যদিকে তেমনি অসৎ ব্যবসায়ী কিবরিয়া খান সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের জন্য হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে। কিবরিয়া খান তাই অনন্যকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু প্রতিদিনি বিভিন্ন রকম ব্যায়াম ও প্রশিক্ষনে অভ্যস্ত এই ব্যবসায়ীকে পরাস্ত করা সহজ নয়। কিবরিয়া তাই সাহায্য নেয় তার ব্যবসায়িক পার্টনার মাফিয়া সন্ত্রাসী অ্যান্ড্রু’র।
অ্যান্ড্র্র্রুর সত্যিকারের পরিচয় সে একজন বাংলাদেশী শ্যুটার। পঁচিশ বছর আগে কোন এক গেমসে অংশগ্রহনের সুযোগে পালিয়ে যায় এবং নিজেকে মাফিয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে নাম-চেহারা ইত্যাদি পাল্টে নেয়। অন্যদিকে, অনন্যর কোম্পানির জিএম এর ছোট বোন সন্ধ্যা (পারভিন) ইংল্যান্ড থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিঙ এ পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে একই কোম্পানীতে চাকরী নেয়। দৃষ্টি সন্ধ্যাকে খুবই পছন্দ করে এবং অনন্য সন্ধ্যাকে বিয়ে করে। কিন্তু সুখের সংসারে অ্যান্ড্রু হামলা চালায়, তছনছ করে এবং দৃষ্টিকে হত্যা করে। এই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশ পর্ব শেষ করে কিবরিয়া খানের তৈরী করা যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করতে সস্ত্রীক মালয়েশিয়ায় আসে অনন্য – শুরু হয় মালয়েশিয়ান অধ্যায়।
সিনেমার এ পর্যন্ত কাহিনীতে কোন নতুনত্ব নেই। নতুনত্ব রয়েছে এর নির্মানে। ইলিয়াস কোবরা অনন্যকে হত্যার জন্য আক্রমন চালায়, অস্ত্র হিসেবে সে ব্যবহার করে বাজুকা। রাস্তার মাঝখানে দুই পাশে চলন্ত গাড়ির ফাঁক-ফোকরে খালি হাতে লড়াই করে অনন্ত ও ইলিয়াস কোবরা। অনন্য’র বাসা-অফিস-ইন্ডাস্ট্রি বাস্তবসম্মত ভাবে উপস্থাপন গতানুগতিক বাংলাদেশী সিনেমার চেয়ে অনেক উন্নত। বিশেষ করে এফডিসির সেটে তৈরী চিরপরিচিত স্বল্প আসবাবপত্রে সজ্জিত ডুপ্লেক্স বাড়িকে নায়কের বাড়ি আর কারখানার গোডাউনকে অফিস-কারখানা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে নি পরিচালক। মালয়েশিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে চিত্রায়িত ‘আমি রোমিও তুমি জুলিয়েট’ গানের চিত্রায়নের জন্যও বাহবা পাওয়া উচিত।
অনন্যকে মালয়েশিয়ায় হত্যার জন্য রীতিমত কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে পরিকল্পনা করে কিবরিয়া খান-অ্যান্ড্রু। তাদের আক্রমনে বুকে গুলিবিদ্ধ হয় অনন্য, অপহৃত হয় স্ত্রী সন্ধ্যা। কিবরিয়া খান-অ্যান্ড্রু তার স্ত্রীকে এমন একটি কাচ-সদৃশ ঘরে আবদ্ধ করে যেখানে মাত্র পাঁচ দিনের অক্সিজেন রয়েছে এবং যা প্রতিনিয়তই কমছে। পাঁচজনের আইকন্টাক্টেই এই ঘর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিবরিয়া গঙ তাই একটি হাতঘড়ি পাঠায় অনন্যকে যেন অনন্য শেষ চেষ্টা অন্তত করতে পারে। সিনেমার এ পর্যায়ে অনন্য সহায়তা পায় মালয়েশিয়ান তরুনী ক্রিস্টিনার এবং স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে চলে।
অ্যাকশন সিনেমার বৈশিষ্ট্য অনুসারে এই অধ্যায়েও বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে যার প্রায় সবগুলোতেই আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার গুরুত্ব পেয়েছে। ভিলেনের তালিকায় মালয়েশিয়ান, আফ্রিকান বডিবিল্ডাররা যুক্ত হয়েছে, কিবরিয়া গঙ এর আমোদ-প্রমোদে এসেছে বেলী ড্যান্সার। ছবির মত শহর মালয়েশিয়ার বিভিন্ন লোকেশনে আরও একটি গান বেশ উপভোগ্য এখানে।
সব মিলিয়ে দ্য স্পিড খুব নতুন কিছু যোগ করতে পারে নি। সিনেমার প্রাণ গল্প আর অভিনয়ের ফাঁক-ফোকর অ্যাকশন দৃশ্য আর গাড়ি-স্পিডবোট উড়িয়ে দিয়ে পূরণ করা যায় না। বাংলাদেশী বাণিজ্যিক সিনেমার পুরানো রূপই নতুনভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। ব্যবসায়িক কর্মকান্ড, প্রতিদ্বন্দ্বীতা, পরিবার ও সংসার ইত্যাদি যথাযথ গুরুত্বেবে অভাবে ভারসাম্যহীনভাবে এগিয়েছে। অনন্ত তার তৃতীয় সিনেমায় প্রথম সিনেমার তুলনায় খুব বেশী উন্নতি করতে পারে নি। শুধু আকর্ষনীয় চেহারা নয়, সিনেমায় সংলাপ সফলভাবে বলাটাও সিনেমায় সাফল্যের অন্যতম উপকরণ।
দ্য স্পিড পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান এই সব দিক থেকেই বেশ হতাশ করেছেন। গতানুগতিক বাংলা সিনেমার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নি তিনি। গানগুলোর প্রতিস্থাপন যথাযোগ্য নয় যদিও চিত্রায়ন বেশ আকর্ষনীয়। গল্প ও অভিনয়ের বিশাল খানা-খন্দের জন্য দ্য স্পিড সিনেমার সাধারণ মানের সিনেমা থেকে ভালো কিছু হতে পারে নি। বাংলাদেশী সিনেমাকে পাল্টে দেয়ার যে উদ্যোগ অনন্ত নিয়েছেন তার জন্য তাকে সাধুবাদ, একই সাথে প্রত্যাশা এই উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শুধু কারিগরী প্রযুক্তিই প্রয়োজন নয়, মানসম্মত গল্প ও অভিনয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েও এগিয়ে আসা উচিত।
অভিনেতা অনন্ত’র জন্য কিছু পরামর্শ:
১. স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। অ্যাকশন হিরোদের পেশীবহুল শরীর হতে হয়, চর্বিবহুল নয়। পেশীবহুল শরীর তৈরীর পূর্ব পর্যন্ত টাইট টি-শার্ট আপনার জন্য নয়।
২. অভিনয়ের দিকে মনযোগ দিন। বিশেষ করে এক্সপ্রেশনের দক্ষতা অর্জন করুন। যদি দুঃখী এক্সপ্রেশন ডেলিভারী দিতে না পারেন, তবে গল্প থেকে এই ধরনের দৃশ্য ছাটাই করুন।
৩. ডায়লগ ডেলিভারী দেয়ার ব্যাপারে আপনাকে আরও দক্ষ হতে হবে। আপনার সংলাপ আপনাকে অ্যাকশন হিরো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বাধা দিচ্ছে বারংবার।
৪. সংলাপে ইংরেজি শব্দ রাখবেন না। যদি রাখতেই হয়, তবে এমন শব্দ রাখুন যা উচ্চারনে আপনার ভুল হয় না। অ্যাকশন সিনেমার হিরো-র সফলতার জন্য এটা খুবই জরূরী।
৫. আপনার সিনেমায় আপনার পাশাপাশি অন্য নায়কদেরও উঠে আসার সুযোগ করে দিন। ইন্ডাস্ট্রি আপনাকে মনে রাখবে অনেক দিন।
ধন্যবাদ।
দৈনিক সমকাল ১৭ মে তারিখে সম্পাদিতরূপে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে।
দারুন বস।দেখার ইচ্ছা আছে মুভিটা…
অবশ্যই বস। সিনেমাটা হলে গিয়ে দেখা উচিত হবে। সম্ভব হলে বন্ধু বান্ধব মিলে যান – আরও বেশী উপভোগ্য হবে।
ধন্যবাদ 🙂
চমৎকার লিখেছেন। খোঁজ- দ্যা সার্চের সমালোচনা শুনে অনন্ত এই মুভিতে সেগুলো শুধরে নেবে আশা করেছিলাম, দেখা যাচ্ছে আশায় গুড়েবালি। তিনি বার বার নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে গিয়ে শুধুই সমালোচনা কুড়াচ্ছেন। দারাশিকো ভাই, মুভি ডাউনলোড আর কিনে দেখা, এই দুয়ের যা পারস্পরিক বিরোধ, সহজ বাংলায় পাইরেসি, এটা নিয়ে কিছু একটা লেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। অথবা যদি আগে লিখে থাকেন, লিঙ্ক দিন।
অনন্ত শুধরে নিবে এমন আশা আমারও ছিল। কিন্তু তিনি যে আগের চে উন্নতি করেন নি তা নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালোই এগিয়েছেন – বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যগুলো খোজ-দ্য সার্চের মত বিচ্ছিন্ন নয়।
গানের চিত্রায়ন বেশ ভালো লেগেছে। অ্যাকশন সিনেমার মিউজিক হিসেবে ব্যকগ্রাউন্ড স্কোরও প্রশঙসা পাওয়ার দাবী রাখে।
তবে, এই সিনেমাটা হলে গিয়ে দেখার পরই সমালোচনার দাবী রাখে। সম্ভব হলে দেখে ফেলুন অরীত্র 🙂
সময়ে কুলাতে পারছি না দারাশিকো ভাই। তবে মনে হচ্ছে ডিভিডি কিনেই দেখতে হবে !
অনন্ত’র জন্য পরামর্শগুলো ভালো লাগলো।
আমার অবশ্য সাফ কথা, অনন্ত অভিনয় ছাড়ুন, প্রযোজক হিসেবেই আপনাকে মানায় ভালো।
ছবিটা দেখার ইচ্ছে আছে। আজকেই যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পার্টনার পেলাম না। আর একলা যেতে ইচ্ছেও করছেনা।
অনন্তকে এখনই অভিনয় ছাড়তে বলছি না বস। আমার মনে হচ্ছে তাকে দিয়ে এখনো কিছু করিয়ে নেয়া সম্ভব – হয়তো সেটা অ্যাকশন সিনেমার হিরো নয়, অন্য কিছুও হতে পারে। সেই পরিচালকটিকে দরকার। অবশ্য অনন্তর অ্যাকশন হিরো ছাড়া আর কিছু হবার ইচ্ছা আছে কিনা কে জানে।
সাহস করে চলে যান, হলের মুখেই আরও লোক পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। আমি গেছিলাম একা, গিয়া দেখি আরও ৫ জন 🙂
ভালো থাকুন রুশো ভাই 🙂
কাহিনি শুইনা তো মনে হইতেছে তামিল SHIVA -THE BOSS এর নকল।
তামিল সিনেমা দেখা হয় না, তাই বলতে পারবো না। যদি দেখে থাকেন তবে বলুন। নকল ছবির বিরুদ্ধে আমরাও প্রতিবাদ জানাই।
স্বাগতম তুষার দারাশিকো’র ব্লগে 🙂
কিপ কামিং 🙂 🙂
ইশটপ
আমি রোমিও, তুমি জুলিয়েট- প্রেম করিতে আজ করব না ত লেট
পিথিবি (পৃথিবী)
দাস্টিক (drastic)
এয় রকম বিভিন্ন রকম ভুল ডায়লগ দিয়ে ব্যাপক বিনোদন দিয়েছে অনন্ত
হুম
দ্রুত রিভিউয়ের লেখার দক্ষতার জন্য সাধুবাদ।
ভালো লেগেছে।
আমার মনে হয় ডিপজল বাংলা মুভির অভিনয় আর বাণিজ্য যতটুকু বুঝে অনন্ত তার কিছুই বুঝে না।
টাকা আছে নিজের চেহারা দেখাইয়া উড়াইতেছে। সে বুদ্ধিমান হইলে অন্যভাবে নিজেকে আলোচনায় রাখতে সক্ষম হইত। আপনার পাচ নাম্বার পয়েন্টের সাফাই গাইতেছি।
মুভিকে যদি বাণিজ্যিক জায়গা থেকে সফল করা না যায়- অনন্ত একশ কোটি টাকা ইনভেস্ট করলেও ইন্ডাষ্ট্রির কোন লাভ হবে না।
দারাশিকো ভাইয়ের জন্য অশেষ শুভ কামনা।
ধন্যবাদ সুজন ভাই। আপনার শুভকামনা সত্যি হোক।
রিভিউটি পড়ে ভাল লাগল। মুভিটি দেখার ইচ্ছা আছে।
অনন্তের প্রতি আপনার পরামর্শ গুলো ভাল।
বিশেষ করে
৫. আপনার সিনেমায় আপনার পাশাপাশি অন্য নায়কদেরও উঠে আসার সুযোগ করে দিন। ইন্ডাস্ট্রি আপনাকে মনে রাখবে অনেক দিন।
ভাল থাকবেন 🙂
ধন্যবাদ বস 🙂
অনন্ত শুধু নিজের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে আসে নি – এমনটি সত্যি হলেই ভালো। সেক্ষেত্রে আমরা অনন্ত থেকে কিছু নতুন জিনিস পাবো। ইতোমধ্যে দুজন নতুন নির্মাতাকে পেয়েছি। কিছু নতুন অভিনেতা আসার দরকার এখন।
ভালো থাকুন 🙂
Ekmot Apnar Sathe…
ধন্যবাদ রঞ্জু। আপনাকে স্বাগতম দারাশিকো’র ব্লগে 🙂
কিপ কামিঙ
অনন্তরে এই রিভিউ পড়ানো দরকার…তাও যদি একটু ঠিক হয়…
যদি পারেন তো জানানোর ব্যবস্থা করেন – সত্যিই কিছু উপকার হয় তবে।
ধন্যবাদ 🙂
SHIVAJI THE BOSS এর সাথে এই মুভির কোন মিল পাইলামনা……সুতরাং নকলের প্রসংগ আপাতত বাদ।
আপনার রিভিউতে অনেক পজেটিভ দিক উইঠা আসছে যা আমজনতার জন্য আনন্দদায়ক।তারা এটাকে লুফে নেবেই…কারন এরচেয়ে বড় দুর্বল অভিনেতার মুভিও তারা গাটের পয়সা খরচ করে দেখে।
তাছাড়া অনন্ত কে আমি সুদর্শন ই বলব।পেশীবহুল বডি যদি সে বানাতে পারে তাইলে তো আমি মহাখুশি!
কারন শাকিব একশন মুভি যা করছে তা অশ্লিলতার সময়ে করছে…রিসেন্ট ভাল কোন একশন মুভি শাকিব করেনাই…
অথচ শাকিবকে একশনে দারুন মানায়!
আপনি সমালো
বাকী কমেন্টঃ
আপনি সমালোচনা করেছেন তারপর অ খুব বেশী খারাপ বলেন নাই।
এটাকেই আপনি যখন আরেকটু ভাল বলবেন তাহলে দেখবেন অনেকের দৃষ্টি ই ঘুরে গেছে।
যারা সমালোচনা করতেছে তারা আপনার কথার উপরেই করতেছে…অথচ যেইদিক গুলিকে আপনি ভাল বলেছেন সেসব নিয়ে আলোচনা করছেনা…এই হল আমরা!
কেউ একজন বলেছিল “আমি বাংলা মুভিকে বাংলা মুভি’র মতই দেখতে চাই”
সেই হিসেব করলে এটা বাংলা মুভি’র মত ই হয়েছে…
তবে আশা করব একদিন বাংলা মুভি ই আন্তর্জাতিক মানের হবে…যখন এই সময়ের তরুন যুবারা আমাদের মুভির হাল ধরবে।যারা আজ সমালোচনা করছে তারা যখন তাদের মেধা নিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রে সম্পৃক্ত হবে।
ততদিন পর্যন্তঃ
গুডলাক বাংলাদেশ!
গুডলাক বাংলাদেশী মুভি!
thnx 4 ur review. apnar sob positive chinta gula valoi lage. but apni ektu vul korsen. the spd anantar 2nd mve jetar khoj muktir agei pray shesh hoe geasilo. only post production er kaj ta baki silo. but khoj e ananta onk gali khaur por ei mve ta mukti dite late kore. eita 2010 ei kaj shesh hoise. apni jodi hridoy vanga dheu dekhen taile kisu jinis chng paben like dubbing, impression, action. jai hok next mve te aro valo korbe inshallah nd again thnx for this good review. 🙂
ওহ – এই সংবাদটা জানা ছিল না যে খোজ মুক্তির আগেই এর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমি সিনেমা মুক্তির উপর নির্ভর করে তালিকা তৈরী করেছি এবং বলেছি স্পিড তৃতীয় সিনেমা।
হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ দেখা হয় নাই, তবে ওখানে ডাবিঙ করা হয়েছে সেটা জানা ছিল। ভেবেছিলাম, উন্নতি করেছে তাই এই সিনেমায় ডাবিঙ প্রয়োজন হয় নি।
ধন্যবাদ শোভন। ভালো থাকুন 🙂
আজকে সন্ধ্যা ৭ টার শো দেখেছি স্টার সিনেপ্লেক্সে।
এই লোকের সমস্যা কি?? অভিনয়ের “অ” ও জানে না! ডায়লগ শুনে মনে হয়েছে মুখে মার্বেল রেখে কথা বলছে।কোন এক্সপ্রেশন নাই ফেসে।দিঘী যে দৃশে মারা যায় ঐ রকম একটা ট্র্যাজিক সিনেও দর্শক ওনার কথা শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি।
পুরো মুভিতে যত বার আব্দুল জলিল সাহেব কথা বলেছে তত বার দর্শক চিৎকার করে হাসছে। সাথে তালি ও ছিল।
এত টাকা খরচ করেছে ডাবিং আরেকজনরে দিয়া করাইলে কি এমন ক্ষতি হইত??
এই একটা লোকের কারনে পুরটা সিনেমা নষ্ট হয়ে গেসে।
এই ছবি দেখার পর বুঝেছি শাকিব খান আসলেই শাকিব খান। শাকিব কে নিয়ে যতই মজা করিনা ক্যান ও থাকলে এইটা একটা দেখার মত মুভি হইত।
1.amar mone hoy hall a giye hotash e hobo.tarporo chesta korbani.
2.borsha koi? 😛
3.anonter kache k apnar tips p0uche debe?
4.single handedly onontoke diye kono movie tana s0mvb na ekhon porjonto.eita tarek bujhabe?
6.kichu taka khroch kre ekta valo thrilar kahini kine neowa jaito na?(bolod konhaner.jibone masud ranao bodhoy pore nai aise action her hoite.:- @)
7.ononter poramorshogula nijer jonn0 rakhlam. 😉
8.গুডলাক
বাংলাদেশ!
গুডলাক
বাংলাদেশী মুভি!
আমি আপনার ব্লগ এর নতুন পাঠক। আপনার পুরানো পোস্ট গুল পড়লাম। ভাল লেগেছে। এই পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ।অনেক তথ্য বহুল একটা পোস্ট ছিল। তবে অধিক ধন্যবাদ যারা comments করেছেন। comments গুল অনেক মজা করে পড়েছি। যে জিনিষটা ভাল লেগেছে তা হছে আমাদের মত আম জনতার দৃষ্টি ভঙ্গি। অনেক সুগঠিত এবং ভাষা গত দিক থেকে অনেক সচেতন। দা স্পীড ছবিটি কতটা সফল এটা আপেক্ষিক। কিন্তু at least মানুষ (বাঙ্গালী) নতুন করে ভাবছে এটা আমার দৃষ্টি ভঙ্গি তে একটা বড় পাওনা। ভবিষ্যতে এর সুফল পাবো বলে আশা রাখি।
দেখার ইচ্ছা আছে।
lyrics gulo ke lekhese??
eita vai ami jani na 🙁
darashiko’r blog e apnake shagotom 🙂
আশা করছি কোন এক সময় এই কথা গুলো জলিল ভাইয়ের কানে যাবে-
জলিল ভাইকে বলছি –
-আপনার কথার উচ্চারনে অনেক বাজে সমস্যা তা অতি দ্রুত ঠিক করুন।
– মেদ বিহীন শক্ত শারীরীক গঠন করার চেষ্টা করুন।
– সব সময় অতি ক্লিন শেভ না করে দাড়ির মাধ্যমেও নিজের পৌরষত্বকে ফুটিয়ে তুলুন ( লিওনার্দো এর “ব্লাড ডায়মন্ড” মুভিটা এর জন্য দেখুন।
– অভিনয়ের এক্সপ্রেশন ঠিক করুন।
কিছু দ্বিমুখী নীতি হিসেসে দেখানো হয়েছে এই মভিতে যা যথেষ্ঠ নিন্দনীয়।
– সিনেমার ভাষ্য মতে, যে সমস্ত নারীরা বক্ষ বাহির করিয়া আটোসাটাো টিশার্ট জিন্স পরিধান করিয়া চলাফেরা করে তাহারাই এক মাত্র সুন্দরী নারী। কারন তাদের দেখিয়া পুরুষদের কামভাব জাগিয়া উঠে।
– জলিল মিয়ার পড়াশোনা কতদ্দুর তা সম্পের্কে যথেষ্ঠ প্রশ্ন রয়েছে। আশা করি তিনি তাহার পরবর্তী মুভিতে উনার শিক্ষাগত সার্টিফিকেটগুলো দেখাবেন।
অনেক লজিক্যাল একটা সমালোচনা।
তবে শুধুমাত্র অনন্ত আর সোহান এর সমালোচনাতেই গিয়ে ঠেকেছে। অন্যান্য অভিনেতাদের সমালোচনা দেখলাম। থাকলে আরো ভালো হত।
বিঃদ্রঃ আমিও প্রথম দিন দেখেছি সবাই মিলে হাসাহাসি করার জন্য। 🙂
স্বাধীনতার বার্তা কি এই প্রথম এলেন দারাশিকো’র ব্লগে? স্বাগতম আপনাকে 🙂
সত্যিই একপেশে ভাবে অভিনেতা আর পরিচালকের সমালোচনা করেছি। সিনেমায় এই দুইজনের প্রাধাণ্যই বেশী – একজন অভিনয়ে, আরেকজন পরিচালনার মাধ্যমে। আমি একটু হতাশ ছিলাম – যতটা না অনন্তর অভিনয়ে তারচে বেশী সোহানুর রহমান সোহানের পরিচালনায়। এই ভদ্রলোক ফিল্মের একটা কোর্স শেষে আমার ভাইভা বোর্ডে ছিলেন। তখন থেকেই এই ভদ্রলোকের কাছ থেকে আমি অন্যদের তুলনায় একটু বেশী আশা করি। এইজন্যই হয়তো হতাশা।
আপনার গঠনমূলক সমালোচনা-মন্তব্য ভালো লাগল। নিয়মিত পেলে আরও ভালো লাগবে স্বা-বা 🙂
ভালো থাকুন সবসময়।
নারে ভাই। এর আগে আরো অনেকবার এসেছি। :\
আজিব!
আপনার দুইটা কমেন্টই স্পামবক্সে গিয়া ঢুকছে। এই কারণেই মনে করলাম এইবারই প্রথম কিনা 🙂
আপনাকে ধন্যবাদ স্যার। কিপ কামিঙ 🙂 🙂
সময় হচ্ছে না। নয়ত দেখে ফেলতাম। 🙁
..khahini jetai hok ai je ekta notunnotto anar uddog niechen etakei ami shadubad janabo…uni jodo din jabe oto PORINO hobe, r porinito hoile besh balo maner movie je amra pabo tate kono sondeho nei, ekhon dekhar biosy holo uni kotho khani dedicated for making movie…agrohe vata porle seta amader ai cholochitoro shilper jonno khubi hotasa jonok hobe..
shuvo kamona thaklo
Jai hok,, Shakib er sinema theke valo… I think…
স্বাগতম রাজু।
আপনার মন্তব্যে শ্রদ্ধা জানাই, তবে বোধহয় শাকিব খান এই একই সিনেমায় অনেক ভালো করতেন, কারণ সিনেমা করতে করতে তিনি যতটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, অনন্তর তা নাই 🙂
আবার আসবেন রাজু 🙂
ভালো থাকুন 🙂
Facebook এ The Speed এর একটা Fanpage আছে। এটা দেখতে পারেন……..
https://www.facebook.com/TheSpeedMovie
ধন্যবাদ জাহিদ হাসান 🙂
ঘুরে এলাম ফ্যানপেইজ 🙂
সিনেমাটা দেখার ইচ্ছা রইলো।
দারাশিকো ভাই,
আমি একজন চুরা পাঠক। চুপিচুপি আসি, এসে আপনার পোষ্টগুলো পড়ি, তারপর আবার চুপিচুপি বেরিয়ে যাই। আপনি টের পাবার আগেই।
যাইহোক, বর্তমানে আমি ফেসবুকে “মুভি এন্ড সিরিজ এডিক্টেড” নামে একটা গ্রুপে যুক্ত আছি। সেখানে, সবাই ইংরেজী ও অন্যান্য ভাষার মুভির উপরেই বেশী রিভিউ পোষ্ট করে। বাংলা মুভির রিভিউ হয় খুবই কম। তাই, আমি চাইছিলাম, বাংলা মুভির উপরে নিয়মিত রিভিউ লিখতে। কিন্তু, আমার এ বিষয়ে বিদ্যার দৌড় খুবই কম।
তাই, আমি রিভিউ লেখার ব্যপারে আপনার আইডিয়া ধার করতে চাই। মানে, আপনি যেটা লিখেন, সেইটার ছায়া অবলম্বনে রিভিউ দিতে চাই (অবশ্যই, আপনার আপত্তি না থাকলে)।
দয়া করে রাগ করবেন না। জানি, সৃষ্টি সবসময়ই সন্তানের মত।
ভালো থাকবেন। দোয়া করবেন, যেন একদিন লিখতে পারি।
আপনার গুণমুগ্ধ
সুমন আহমেদ
গাজীপুর।