২০০৪ সালে দ্য বাটারফ্লাই ইফেক্ট সিনেমাটা মুক্তি পায়। সাইকোলজিক্যাল ড্রামা, থ্রিলার। পরিচালক এরিক ব্রেস এবং জে ম্যাকি গ্রাবার। বাটারফ্লাই ইফেক্ট একটা বিশেষ টার্ম। বলা হয়ে থাকে একটা প্রজাপতির ছোট্ট দুটি পাখার দ্রুত নড়াচড়ার ফলে যে বাতাস সৃষ্টি হয় তা দূরে কোথাও একটা ঝড় তৈরী করে। সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা আছে এর পেছনে, সে দিকে যাচ্ছি না। সোজা কথায়, কোন ঘটনার সামান্য একটি দিক পরিবর্তন করে দিলে পুরো ফলাফলই পাল্টে যেতে পারে – এই থিম নিয়েই সিনেমাটা।
বাচ্চাকালে ইভান কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল যা তাকে এক প্রকার মানসিক রোগীতে পরিণত করে। উত্তেজিত অবস্থায় সে এক ঘোরের মধ্যে চলে যায় যেখানে কি ঘটে সেটা মনে করতে পারে না। এভাবে তার তৈরী হয় বেশ কিছু ঘটনা, যৌবনে এসে সেই ঘটনাগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করে সে, কিন্তু প্রত্যেকটা পরিবর্তনের ফলে পুরো ফলাফল পাল্টে যায়, নতুন কোন অনাকাঙ্খিত ফলাফল তৈরী হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইভান সফল হয়েছিল।
যত সরল ভাবে কাহিনীটা বলে ফেলা গেল উপস্থাপনটা ততটা সরল নয়। এটা একপ্রকার টাইম ট্রাভেল, এবং পরিচালক সিনেমায় বেশ স্পষ্ট করে দেখিয়েছেন যে ইভান এক সময় থেকে অন্য সময়ে স্থানান্তরিত হচ্ছে। ফলে যতটা দ্বান্দ্বিকতা তৈরী হবার কথা ছিল ততটা হয় নি। ‘আ বিউটিফুল মাইন্ড” সিনেমায় পরিচালক এটা বেশ সাফল্যের সাথেই করেছিলেন। সবশেষে, পরিচালক একটা সমাধানের রাস্তা দেখিয়েছেন ইভানকে এবং সমাধান হয়েওছিল, আমার কাছে মনে হয়, একারনে সিনেমার আবেদন কিছুটা পরে গিয়েছে। সাইকোলজিক্যাল ড্রামার শেষে যদি এত সরল সমাধান থাকে সেটা খুব তৃপ্তির সাথে মেনে নেয়া যায় না।
অ্যাস্টন কুচার প্রধান চরিত্র। চলনসই। দ্য বাটারফ্লাই ইফেক্ট সিনেমাটা ব্যবসা করেছিল কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ক্রিটিকদের সমালোচনায় সিনেমাটা পুরোটাই ব্যর্থ। রোটেন টম্যাটোস এই সিনেমাটিকে ‘রোটেন’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
মুভিটা দেখে খুব একটা ইমপ্রেসড না ।
বিউটিফুল মাইন্ডের সাথে তুলনার অংশটুকু বুঝলাম না ।
বিউটিফুল মাইন্ডেও রাসেল ক্রো এরকম কিছু কৃত্রিম পৃথিবী তৈরী করেছিল
এই মুভির সাথে বেশি রিলেটেড মুভিটার নাম হতে পারে জেট লী অভিনীত দ্যা ওয়ান। প্যারালাল ইউনিভার্স ধারনাকে বেইজ করেই এই মুভি, টাইমট্রাভেল না । এছাড়াও সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া সোর্স কোড ও কাছাকাছি।
অন্য যেকোন ’ওয়ান টাইম’ দেখার মুভির তুলনায় এটা বেশ ভাল ছবি। তবে লংটার্মে মনে রাখার মতো না।