“একটা দুষ্ট গান ঢোকান না দাদা একটা দুষ্ট গান ঢোকান
একটা দুষ্ট গান ঢোকালে দেখিয়ে দেবো সব্বাইকে ভালো ছবিটাও চলে”
বলিউডে এখন দুষ্টু গানের জয়জয়কার। বিশেষ করে গত কিছু দিনে মুন্নি বা শীলার নাম এত বেশীবার উচ্চারিত হয়েছে যে দুষ্টু গান সম্পর্কে যার ধারণা ছিল না সেও এখন দুষ্টুগানের মাস্টার্স ডিগ্রি নিতে পারে। দুষ্টু গান কথাটার মধ্যে এক প্রকার আহ্লাদ আছে, বাদ দেয়াই ভালো। দুষ্টু গানের প্রচলিত নাম ‘আইটেম সঙ’, সঠিক ভাষায় ‘আইটেম নাম্বার’।
দুষ্টু গান বা আইটেম নাম্বার কি?
দুষ্টু গান বা আইটেম সঙ এর ‘আইটেম’ শব্দটি কেন আইটেম সেটা এখনো পরিস্কার না। হিন্দীতে ‘আইটেম’ বলতে ‘পতিতা’দেরকে অথবা খুব সেক্সী মেয়েদেরকেও ইঙ্গিত করা হয়। সে অর্থে আইটেম এর বাংলা আমরা ‘মাল’ করতে পারি। আইটেম গান এর শাব্দিক অর্থ যাই হোক না কেন, আক্ষরিক অর্থে আইটেম সঙ বলতে বোঝায় এমন গান যেখানে সিনেমার মূল চরিত্র ব্যাতিরেকে অন্য কোন স্বল্পবসনা উদ্ভিন্নযৌবনা নারী/পুরুষ সিনেমার কাহিনীর সাথে আপাতসম্পর্কহীন যৌন উত্তেজক গান গায় এবং নৃত্য পরিবেশন করে।
বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল করুন – মূল চরিত্র ব্যাতিরেকে অন্য কেউ অর্থাৎ সিনেমার মূল নায়ক কিংবা নায়িকা নয়, সাধারনত দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ক্যাটাগরীর কোন নায়িকা, অথবা শুধু গানের জন্য বিশেষ কোন নর্তকী বা মডেল। এরাই আইটেম গার্ল হিসেবে জনপ্রিয়তা পায়, নায়িকা হিসেবে নয়। ইদানিং সময়গুলোতে অবশ্য প্রথম সারির নায়িকারাও গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স হিসেবে আইটেম সঙ এ অভিনয় করছেন।
দ্বিতীয়ত, স্বল্পবসনা উদ্ভিন্নযৌবনা – অন্যতম গুরুত্বপূর্ন উপাদান। মূলত এই বৈশিষ্ট্যই দুষ্টু গানকে পরিচিতি দান করে। সেই সাথে যুক্ত হয় আকর্ষনীয় নৃত্য।
তৃতীয়ত, সিনেমার সাথে আপাতসম্পর্কহীন – সাধারণত কোন পার্টিতে কিংবা কোন বারে/নাইটক্লাবে ক্যাবারে ড্যান্সার হিসেবে এরকম কোন আইটেম সঙ উপস্থিত হয়। যদি এরকম একটা দুষ্টু গান সিনেমার গল্প থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয় তবে কোন প্রভাবই পড়ে না, কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে এই গানটাই সিনেমার মূল আকর্ষন হিসেবে আবির্ভূত হয়।
চতুর্থত, যৌন উত্তেজক গান এবং নৃত্য – উপমহাদেশীয় সিনেমার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো নাচ এবং গান। এদের মধ্যে আলাদা করে আইটেম নাম্বার তৈরী হয় উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে। দুষ্টু গানের কথা এবং শারীরি অঙ্গভঙ্গি – দুটোই কামনাকে জাগ্রত করে তোলে।
খুব বেশী অবাক হওয়া উচিত হবে না যদি আপনি পড়েন নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও আইটেম নাম্বারে অংশগ্রহন করে। শাহরুখ খান ‘কাল’ সিনেমায় কিংবা সত্যিকার অর্থে ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমার ‘দারদি ডিস্কো’ গানে আইটেম বয় ছিলেন।
সেই নার্সারী থেকে শুরু
আইটেম নাম্বার এর ইতিহাসটা মোটেও নতুন নয়, বিশেষ করে দুষ্টু গানের সাথে হেলেন এর নাম যখন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। হেলেন সিনেমায় রাজত্ব করেছেন ৬০ থেকে ৮০-র দশক পর্যন্ত। হালের আইটেম নাম্বার এর পূর্বপুরুষ ছিল ক্যাবারে, ক্নাব বা পার্টি ড্যান্সাররা। সেসময় আইটেম গার্লদের উপস্থাপন ছিল ভিন্ন রকম। অনেক গানে আইটেম গার্লের সাথে নায়িকাদের সম্মিলিত নাচে দুজনকে দুভাবে উপস্থাপন করা হতো যেখানে নায়িকা আইটেমের তুলনায় অনেক ভদ্রপোষাকে থাকতো। মূলত: এর উদ্দ্যে ছিল নায়িকার প্রতি দর্শকের যে শ্রদ্ধাবোধ তা যেন বজায় থাকে। অবশ্য বর্তমানে দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে নায়িকাদের স্বল্প পোষাক আর উৎকট দেহবল্লরী বেশ সহনীয়, অনেক ক্ষেত্রে কাম্য।
কাক্কু আর হেলেনের নাম সবচে’ বেশী উচ্চারিত হয় সেই যুগের দুষ্টু গানে। কাক্কু (Cuckoo) এদের মধ্যে পায়োনিয়ার, তার নৃত্যদক্ষতা আইটেম নাম্বারের অন্যতম উপকরন ছিল অ্যাঙলো বার্মিজ মেয়ে কাক্কু ১৯৪৬ থেকে অভিনয় করা শুরু করলেও প্রথম আলোচনায় আসে ১৯৫১ এ ‘সাবিস্তান’ এবং ১৯৫২ সালে ‘আন’ সিনেমার মাধ্যমে। ‘আন’ মেহবুব খান পরিচালিত, অভিনয় করেছেন কিংবদন্তী অভিনেতা দিলিপ কুমার। প্রথম টেকনিকালার মুভি হিসেবে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে।
কাক্কু পরবর্তী যুগ হেলেনের। একচেটিয়া রাজত্ব করেছেন হেলেন। সিনেমা মানেই আইটেম নাম্বার, আর নাম্বার মানেই হেলেন। অনেকগুলো হিট দুষ্টু গানের সাথে হেলেনের নাম জড়িত। সিনেমায় হেলেনের আগমন কাক্কুর হাত ধরে, সাবিস্তান সিনেমার মধ্য দিয়ে। ‘মেরা নাম চিন চিন চু’ – শক্তি সামন্তর সিনেমা ‘হাওড়া ব্রিজ’ এর সুপারহিট গান দিয়ে হেলেন সবার কাছে বেশ পরিচিত হয়ে উঠে। ‘ক্যারাভান’ সিনেমায় Piya Tu Ab To Aaja, শোলে সিনেমায় Mehbooba Mehbooba, ডন সিনেমায় Yeh Mera Dil Pyar Ka Diwana ছাড়াও তার হিট গানের সংখ্যা কম নয়।
হেলেনের সাথেই এবং পরে আরও কিছু আইটেম গার্ল বলিউডের সিনেমায় নেচেছেন। তাদের মধ্যে অরুনা ইরানী, বিন্দু, পদ্মা খান্না এবং বিজয়ান্তিমালা অন্যতম। বিন্দুর Mera Naam Shabnam Hai (Kati Patang), Dil Jalon Ka Dil Jalaa Ke (Zanjeer), Aa Ke Dard Jawaan Hai (Pran Jaye Par Vachan Na Jaye) ইত্যাদি জনপ্রিয় আইটেম নাম্বারের অন্যতম। অন্যদিকে Main Shayar Toh Nahin (Bobby), Sham-e-furqat Ka Dhal Gayaa (Sanyasi), Kahin Se Koi (Bhoola Bhatka), Thoda Resham Lagtaa Hai (Jyoti) অ্রুনা ইরানীকে দর্শকেদের মনে স্থান দিয়েছে।
৭০ এর দশকের শেষ পর্যন্ত হেলেন একচ্ছত্র রাজত্ব করেছে। অবশ্য বিন্দু, অরুনা ইরানী, পদ্মা খান্না এসময় কিছু ভাগ বসিয়েছিলেন, কিন্তু হেলেন রাজ্যহারা হন নায়িকাদের অধঃপতনের মাধ্যমে। ৭০ দশকের শেষ দিকে প্রধান নায়িকা হিসেবে পরিচিত চরিত্ররাই আইটেম নাম্বারে অংশ নেয়া শুরু করে। এদের মধ্যে জিনাত আমান, পারভীন ববি, রেখা অন্যতম। ৮০র দশকে প্রধান নায়িকারাই দুষ্টু গানের আকর্ষন হয়ে উঠেন। এসময় একটা নতুন ধরনের গান শুরু হয় যাকে আইটেম নাম্বারও বলা যেতে পারে। আদিবাসী এবং জঙলী গানের আয়োজন – যেখানে স্বল্প পোষাকে নায়িকারা উদ্যম নৃত্য প্রদর্শন করে। ১৯৭৮ এ শালিমার সিনেমায় এ ধরনের আইটেম নাম্বার লক্ষ্যনীয়। এ সময়ের আইটেম নাম্বার এর জন্য জিনাত আমানের ‘শালিমার’, ‘কুরবানী’, পারভীন ববির ‘শান’, ‘নামাক হালাল’, রেখার ‘জানবাজ’ আদর্শ।
দুষ্টু গানকে সিনেমার অন্যতম দর্শনীয় উপাদানে নিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিত। চিত্র পরিচালকরাও এ সময় উপলব্ধি করতে সক্ষম হন, একটি আইটেম নাম্বারের ভালো চিত্রায়ন অনেক দর্শককে একাধিকবার হলে টেনে আনতে সক্ষম। ১৯৮৮ সালে তেজাব সিনেমায় ‘এক দো তিন’ এবঙ ‘বেটা’ সিনেমায় ‘ধাক ধাক’ আইটেম নাম্বারে মাধুরী দিক্ষিত দর্শকদের কাপিয়ে দেন।
বছর চারেক পরে ‘খলনায়ক’ সিনেমায় ‘চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়’ গানটি অন্যতম সমালোচিত এর শব্দচয়নের কারণে। খোদ পার্লামেন্টে এই গানটি ব্যান করার জন্য আবেদন করা হয়, মজার ব্যাপার হলো, ব্যান হবার পরিবর্তে গানটি সুপারহিট হয়ে যায়, একটা রিপোর্টে দেখা যায়, অনেক দর্শকই দুই এর বেশীবার হলে গিয়ে সিনেমাটি ‘চোলি কি পিছে ক্যায়া হ্যায়’ গানটি পর্যন্ত দেখেছেন এবং গান শেষে হল ত্যাগ করেছেন। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, চোলি কি পিছে ক্যায়া হ্যায় – এর বাংলা হলো, ‘ব্লাউজের নিচে কি?’ তবে, দর্শক হিসেবে আপনি যা কল্পনা করছেন, চোলির নিচে কিন্তু তা ছিল না, ছিল ‘মন’ !
মাধুরি দিক্ষিতের দেখানো পথ ধরে উর্মিলা মাতন্ডকর, সোনালী ব্রেন্দ্রে, শিল্পা শেঠি, রাভীনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে হালের কারিশমা কাপুর, টাবু, মনিশা কৈরালা, সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই, কারিনা কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফও আইটেম নাম্বারে যোগ দিয়েছেন। এখানে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ্য যে, আইটেম নাম্বারের সংজ্ঞা কিন্তু শুরু থেকেই ছিল না, বরং এসব গান ক্যাবারে বা পার্টি সঙ হিসেবে পরিচিত ছিল। ‘আইটেম নাম্বার’ শব্দটি শিল্পা শেঠির সাথে বেশ জড়িত। ‘শূল’ সিনেমায় Main Aai Hoon UP Bihar Lootne গানের মাধ্যমে আইটেম নাম্বার শব্দের ব্যবহার শুরু হয়।
গত এক দশক ধরে দুষ্টু গানে প্রতিযোগিতা লক্ষ্যনীয়। সিনেমা হিট হবে কিনা তার চে’ আইটেম নাম্বার হিট হবে কিনা সে বিষয়ে পরিচালকরা প্রতিযোগিতায় নামছেন। বছরে কমপক্ষে ৮/১০ টি হিট আইটেম সঙ মুক্তি পাচ্ছে, সব শেষে টিকে থাকছে দু-একটি। একটি গানকে টপকে যা্ওয়ার জন্য আরও মেধা এবং অর্থ খরচ করে নির্মান করা হচ্ছে আরেকটি আইটেম নাম্বার। আইটেম নাম্বারের নর্তকীরা এখন নিজ নামে পরিচিত হচ্ছেন, মুন্নি-শীলা এরই অংশ। আবার মুন্নি-শীলাকে টপকে যাওয়ার জন্য ‘দিল্লি কি বিল্লি’ আইটেম নাম্বারের প্রচারণা শুরু হয়েছে এখনই যদিও গানটি দর্শকের সামনে আসতে ঢের বাকি।
হেলেন, কাক্কু, অরুনা ইরানী, পদ্মা খান্না, বিন্দু-রা ক্যাবারে গানের বিশেষায়িত অভিনেত্রী ছিলেন, তাদের এই যোগ্যতাকে টপকে যান প্রধান অভিনেত্রীরা ক্যাবারে-আইটেম গানে অংশগ্রহন করার মাধ্যমে এবং অবশ্যই দর্শকদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা তৈরীর মাধ্যমে। প্রধান অভিনেত্রীদের কাছে এধরনের পার্শিয়াল নর্তকীরা দাড়াতে পারবে না – এমন ধারণাকে গুড়িয়ে দিয়ে মালাইকা আরোরা খান, ইয়ানা গুপ্তা, রাখি সানওয়ান্ত বেশ টিকে আছেন। শোনা যায়, এদের কেউ কেউ সিনেমার নায়িকা হবার প্রয়োজনীয়তাকে উড়িয়ে দিয়েছেন এই বলে যে, একটি আইটেম গানই একটি সিনেমার অর্থ তাদেরকে এনে দিতে সক্ষম বলে। এদের সেরা আইটেম গানের মধ্যে Chaiyyan chaiyyan, Babuji dheere chalo, Dekhta Hai Tu Kya অন্যতম।
শিল্পায়ন সহযোগী আইটেম নাম্বার
সিনেমা একটি শিল্প – শিল্পের ইংরেজী দুটো – আর্ট এবং ইন্ডাস্ট্রি। সিনেমার ক্ষেত্রে দুটোই প্রযোজ্য হতে হয়। শিল্পের (আর্ট) মাধ্যমে শিল্প (ইন্ডাস্ট্রি) তৈরী করার দায়িত্ব সিনেমার হাতে। এ কারণেই আইটেম নাম্বারের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপেক্ষা থাকে। এক সময়ে ধর্ষনদৃশ্য কিংবা বৃষ্টিতে ভেজা গানের দৃশ্যের চাহিদা অনেকটাই মিটিয়েছে আইটেম নাম্বার। দর্শকদের কাছে গ্রহনযোগ্য হিসেবে একটা জায়গা তৈরী করার ফলে আইটেম গান সিনেমার অংশেই পরিণত হয়েছে। কিন্তু অনেক বাজেট আর ঢাকঢোল পিটিয়ে যে দুষ্টু গান নির্মান হচ্ছে তার স্থায়ীত্ব তুলনামূলক ভাবে বেশ কমই বটে। ‘মেরা নাম চিন চিন চু’র তুলনায় হালের এত এত আইটেম নাম্বার খুব কমই দাড়াতে পারে।
আইটেম নাম্বার সিনেমাকে সিনেমাকে শিল্পের (ইন্ডাস্ট্রি) পর্যায়ে উন্নীত করে অনেক ক্ষেত্রে সত্যি, কিন্তু শিল্পের (আর্ট) এর মূল্যমান কমিয়েও দেয়। শুধু অর্থের জন্য যতটা মনযোগ দিয়ে একটি আইটেম নাম্বার নির্মান করা হয়, ততটা মনযোগ সিনেমা পায় না অনেক সময়।
তাছাড়া, অনেক ক্ষেত্রেই গানটি সিনেমার চে গুরুত্বপূর্ন হয়ে পড়ে। একটু নজর দিলে দেখা যায়, ‘বাবুজি জারা ধিরে চালো’ গানের ‘রিকল রেট’ মূল সিনেমা ‘দম’ এর তুলনায় অনেক বেশী। এটা এক প্রকার সিনেমার ব্যর্থতাও বটে। তাছাড়া একটি সিনেমায় পরিচালকের সমস্ত যোগ্যতা আর মেধাকে ছাপিয়ে কোরিওগ্রাফারের মেধা এবং যোগ্যতার বিকাশকে পরিচালকের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরে। এর বাইরে, ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনের জন্য স্বল্প থেকে স্বল্পতম কাপড়ের ব্যবহার কতটুকু নৈতিক সমর্থনযোগ্য সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখা জরুরী।
মনে রাখা উচিত, সব কিছু মিলিয়েই সিনেমা, আইটেম নাম্বারই সিনেমা নয়।
এই লেখাটার সম্পাদিত হয়ে ‘বলিউডে অন্য গান ‘শিরোনামে দৈনিক সমকাল ঈদ বিশেষ আয়োজন ‘ঈদ আনন্দ’তে ছাপা হয়েছে গত ২৬ আগস্ট, ২০১১ তারিখে।
হা হা হা……………..
অসাধারন লিখেছেন ………….
হিন্দী মুভিতে ১-২ টা আইটেম গান থাকলেও আমাদের বাংলা মুভির সব গানই কিন্তু আইটেম গান….. 😛
এখানে কি ১ নং কমেন্ট আমার নাকি……………………
ইয়েস বস, এক নং কমেন্টা আপনারই 🙂
ওয়াও……………. ধন্য হয়ে গেলাম । হা হ হা…….
ধন্যবাদ বস । 🙂
আইটেম গান এত আদিম কালের!! আমি ভেবেছিলাম এটা গত ৪/৫ বছরের আবিষ্কার।
দারাশিকো ব্লগে স্বাগতম স্বাধীনতার বার্তা। গত ৪/৫ বছরে আসলে সিনেমার চে আইটেম গানের আয়োজন বেশী হয়েছে 😉
কয়বার স্বাগতম জানাবেন ভাই? 😐 😐
ক্ষেইপেন না বস, আসলে কেউ প্রথমবার কমেন্ট করলে তার কমেন্ট অ্যাপ্রুভ করা লাগে, পরের বার একই অ্যাড্রেস থেকে কমেন্ট করলে অটোমেটিক কমেন্ট আপ হয়ে যায় – আপনার এই কমেন্টাও অ্যাপ্রুভ করা লাগসে – সুতরাং আমি মুখস্ত বলে ফেলসি – দারাশিকো ব্লগে স্বাগতম স্বাধীনতার বার্তা। 😉
আইটেম সং পুরোই অমুলোক। একটুও মিল নেই পুরো সিনেমার সাথে।
নি:সন্দেহে … বাস্তবতার সাথে কোনই মিল না থাকলে ইদানিং আইটেম সং কে সিনেমার কাহিনীর পাখনা হিসেবে জুড়ে দেয়া যায় – আর কিছু না হোক, এতে ব্যবসা ভালো হয় 🙂
দারাশিকোর ব্লগে আপনাকে স্বাগতম জাকির 🙂
boss aita to mante hobe ai “item “ganer jonno kintu onek somoy cinemar babosa digun hoye jai..ai jemon dhoren “tees mar khan”amar dekha atttonto joghonno akta movie kintu oi” shila ka jawani” na thakle kintu cinema bod hoy tar muldhon o uthate parto na,,,,arom aro example ase bollywood a….cinema akdik diye jemon shilper bishoy onno dik diye kintu ar commercial aspect o ache….ar jodi takai na uthe taile kemne chobi hoibo……amader commercial fil maker ra jodi bollywood ke ak siki vag nokol korte parto taileo to hoito….
বিন্দুমাত্র দ্বিমত নেই বস। আমি শুধু বলতে চাই, আইটেম গান সিনেমা নয়, সিনেমার একটা অংশ মাত্র। সুতরাং, আইটেম গান ব্যবসার প্রয়োজনে থাকতে পারে, কিন্তু তাই বলে সিনেমার প্রাপ্য গুরুত্বকে হেলা করা যাবে না, উচিত নয়। 🙂
সিনেমা প্রথমে শিল্প, পরে ব্যবসা….. তাই যার শিল্পমানই থাকল না তা নিয়ে ব্যবসা করা আর পতিতাদের দালাল হওয়া একই কথা…
হক কথা 🙂
cinemar khetre shilpo r babosa..ai duta jiniser combination obossoi dorkar….prithibir bohu desher film industry ai dutu k balance korei akhon onek dur agiee gache……kintu dukkho jonok amra keno babosa bolte potitader dalali ke bujhlam……
বস, পতিতাদের দালালির উপমা ব্যবহারের জায়গাটা দেখেন – শিল্পমানবিহীন ব্যবসাই হলো দালালি। ব্যবসা আর শিল্প অবশ্যই এক সাথে চলতে পারে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে একসাথে চলাটাই প্রয়োজন, রীতি। কিন্তু যদি শিল্পটাকে এড়িয়ে ব্যবসাটাই মুখ্য হয়ে দাড়ায়, তখন ?
এইটাই তো বলতে চেয়েছি, বস… ধন্যবাদ ।।
got it boss…dhonnobad
I was seeking the item songs, fortunately or unfortunately u linked such like song Mr. Pundit of cinema.
Welcome to Darashiko Blog, Zubair vai. and thanks a lot for ur appreciation 😀
লেখাটা ভালো লাগল। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
এতো এতো আইটেম গান’র মধ্যে নাচা-গানা মিলে একটাই ভালো লেগেছে ‘মুন্নী বদনাম হুয়ে…’। সে রকম!
আইটেম গানগুলা মাঝে মাঝে ভালোই লাগে তবে সিনেমায় যত্রতত্র আইটেম গানের ব্যবহার সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ও বিরক্তিকর