শিশুসাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ভৌতিক গল্প ‘প্রেত’ নিয়ে অকালপ্রয়াত নির্মাতা আহির আলম তৈরী করেছিলেন হরর সিরিজ ‘প্রেত’। মূল বইয়ের তুলনায় নাটকটি বেশী জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। নাটকের দ্বিতীয় ভাগে গল্প হরর থেকে মিস্ট্রিতে রূপ নিয়েছিল। পথশিশুদের লাশ পাওয়া যাচ্ছিল হঠাৎ করেই। অনুসন্ধান শেষ পর্যন্ত একজন প্রতিষ্ঠিত চিত্রশিল্পীর কাছে নিয়ে যায় যে তার শিল্পচর্চার জন্য পথশিশুদের ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করতো!
‘প্রেত’ কোন সত্যি ঘটনা নয়, প্রেত একটি কল্পিত কাহিনী।
কিন্তু ‘প্রেত’ প্রচারিত হবার প্রায় চৌদ্দ বছর পর পথশিশুদের ব্যবহার করে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন শিশুসাহিত্য লিখে পরিচিতি পাওয়া একজন লেখক – টিপু কিবরিয়া। পথ শিশুদের ব্যবহার করে তিনি পর্ণছবি নির্মান করতেন এবং ইউরোপের কিছু দেশে বাজারজাত করে টাকা কামাই করতেন।
টিপু কিবরিয়ার এই ঘটনাটি ‘প্রেত’ এর মত কল্পিত নয়, কঠিন বাস্তব। ‘প্রেত’র সাথে এর মিলের জায়গা একটি – দুটোই ঘৃণিত। দরিদ্র পথশিশুদের এক্সপ্লয়েট করে ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়, ঘৃণার্হ। তবে কিছূক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমও হতে পারে।
দরিদ্র শিশুদের এক্সপ্লয়েট করে আপনি নিন্দিত না হয়ে নন্দিত হবেন না যদি আপনি রবি’র মত কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী না হন। পথ শিশুদের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য লাখ টাকা ব্যয় করার উদ্দেশ্যে কোটি টাকার প্রমোশন চালিয়ে (প্রায়) শত কোটি টাকা আয় করে শিশুদের সেই জামা উপহার হিসেবে দেয়া যা পড়ার মাধ্যমে সেইসব দরিদ্র শিশুরা আরও কয়েকমাস বিনামূল্যে আপনার কোম্পানীর প্রমোশন চালিয়ে যাবে – বেঁচে যাবে আরও কয়েক লক্ষ টাকা প্রমোশন ব্যয়! হেইল মার্কেটিং!
প্রেত গল্পের চিত্রশিল্পী, শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া আর রবি – আপনার দৃষ্টিভঙ্গী কেমন হবে সে সিদ্ধান্ত আপনার!