ছবি কৃতজ্ঞতা: |
ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেট করেছি দুই সপ্তাহ হল। গত ২৮ মার্চ শুক্রবার ফেসবুক থেকে বিদায় নিয়েছি, সাময়িক এবং অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সাময়িক, কারণ প্রয়োজনে আবারও ফিরবো, অনির্দিষ্ট – কারণ কবে ফিরবো এখনো জানি না। ছোট ছোট কিছু ফাইন্ডিংস আছে ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভেশনের –
১. ফেসবুকে আমি নেই – এটা আবিস্কার করার পর আমাকে ফোন /এসএমএস / মেইল করে কারণ জানতে চাবে, এমন আশা আমি করিনি কখনো। কারণ আমার বিশ্বাস – বেশীরভাগ মানুষই সহসা খেয়াল করবে না তার ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে একজনের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেটেড। যদি নিয়মিত অ্যাকটিভিটি থাকে এমন কেউ হয়, তবেও সেটা নজরে পড়তে পড়তে সপ্তাহখানেক লেগে যাওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত এই বিশ্বাসে অটল আছি – আমার ধারনা অল্প কিছু মানুষ ছাড়া কেউ-ই এখনো বুঝতে পারে নি যে দারাশিকো’র ফেসবুক প্রোফাইল বন্ধ! ব্যাপারটা তৃপ্তিদায়ক – অনেক মানুষের মধ্য থেকে টুপ করে ডুব দেয়ার একটা মজা আছে – সেই মজা পাচ্ছি এখন।
২. ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভেট করে দিয়েছি – এই খবর শোনার পর বেশীরভাগ মানুষই ধারনা করে কোন ‘একজনের’ জন্য অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছি, কিছু ‘একটার’ জন্য নয়। ছোটভাইবন্ধু একজন তো সরাসরি জিজ্ঞেস করে ফেলল – ভাবী চলে গেছে নাকি? ভাবী কালচারে যে আমার আগ্রহ নাই – অন্যরা সেটা জানে না বা বিশ্বাস করে না।
৩. ফেসবুক বন্ধ করার পরে টুইটারে অনেক বেশী অ্যাকটিভ হয়েছি। তবে টুইটারে ফেসবুকের মত সারাদিন বসে থেকে সময় নষ্ট করার সুযোগ তুলনামূলকভাবে কম, অন্ততঃ এখন পর্যন্ত। আগে ফেসবুকের স্ট্যাটাস ইত্যাদি লেখাগুলো দারাশিকো’র সিন্দুক ব্লগস্পটে সংরক্ষন করে রাখা হত, এখন ব্লগস্পটের জন্যই লেখা হচ্ছে। মাঝ থেকে সারাদিন ফেসবুকে বসে থাকার, কিছুক্ষন পর পর লাইক/কমেন্ট নোটিফিকেশন চেক করার গ্যাঞ্জাম নেই। পাঠক কম, এবং ব্লগস্পটে বেশী লোক আসে না সুতরাং গ্যাঞ্জাম তৈরীর সুযোগও কম।
৪. নিজের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার কারণে আমার পরিচালিত দুটো পেজ কিভাবে আপডেট করা হবে সে চিন্তায় ছিলাম প্রথম দুইদিন, সে ব্যবস্থা হয়ে গেছে। তবে, ফেসবুকের মাধ্যমে মেইল কমিউনিকেশনের এখন পর্যন্ত কোন বিকল্প পাওয়া যায় নি। এই সমস্যার সমাধান জরুরী।
৫. ফেসবুক বন্ধ করার পর কেমন আছি? অনেক পরিচিত, ভালোলাগার, আগ্রহের মানুষের ছবি, পোস্ট ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বঞ্চিত হওয়ার পর উপলব্ধি করেছি – এই বঞ্চনা আসলে খুব বেশী প্রভাব ফেলছে না। প্রি-ফেসবুক যুগে তো এত মানুষের এত এত কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতাম না, এখনও জানছি না – খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলে মনেও হচ্ছে না। ফেসবুক বন্ধ করার ফলে অপছন্দনীয়, কষ্টদায়ক, অস্বস্তিদায়ক, লোভনীয় অনেক ব্যাপার থেকে দূরে থাকা যাচ্ছে – এটাও একটি ভালো দিক।
সব দিক বিবেচনা করে মনে হচ্ছে বেশ ভালো আছি, তৃপ্তিতে আছি। তবে এটা কি নিজেকে নিজে বুঝ দেয়ার ভন্ডামি কিনা – সে সিদ্ধান্তে পৌছাতে আরেকটু সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত নাহয় টুইটিং আর ব্লগিংই চলুক!
হুমায়ূন ফরীদি বলেছেন : পালাবি কোথায়?<br /><br />snigdho
পুরাটা আর পাল্টাইতে পারলাম কই? যতটুকু পারা যায় আরকি 🙂
bhaloto bhalo na???????????????? I also figured it our facebook prochur valuable time noshto kore huda kamei.
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম ম্যাম – কিপ ভিজিটিং 🙂 🙂