১.
ব্লগার থাবা বাবাকে যারা হত্যা করেছে তারা ইসলামকে ভালোবেসে হত্যা করেছে এমন সিদ্ধান্তে আসার মত কোন ঘটনা বোধহয় ঘটে নি এখনো। সমগোত্রীয় বা ভিন্ন কোন ঘটনার কারণে আক্রমনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও কম নয় যেহেতু ছবির হাটে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের উপর আক্রমনের ঘটনাও জানা আছে এবং তাকে কোপানোর ঘটনার জন্য কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি।
ইসলাম বিদ্বেষীর সাথে শত্রুতা শুধু ইসলাম প্রেমিকের নয়। মানুষ হিসেবেও তার শত্রু থাকার সম্ভাবনা কম নয়!
২.
বাংলাদেশের পুলিশ বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধী গ্রেফতারের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। থাবা বাবা হত্যার ঘটনায় তারা সাগর-রুনি হত্যার ঘটনার মত গোজামিলের আশ্রয় না নিয়ে এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য না দিয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করে যোগ্যতার পরিচয় দিবে সেই কামনা করছি। থাবা বাবা হত্যার ঘটনায় জামাত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ শুধু যুদ্ধাপরাধীদের ফাসীর দাবীকেই নয়, জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার দাবীকে আরও জোরালো করবে। এই ইস্যুতে জনগন যেভাবে একত্রিত, সাগর-রুনি হত্যা সহ আর কোন ইস্যুতেই তেমন ছিল না। এই দাবী উপেক্ষা করা বোকামী হবে।
৩.
দৃষ্টি আকর্ষন করছি শাহবাগ আন্দোলনের লিডারশিপের প্রতিও। ব্লগার থাবা বাবার হত্যাকান্ডের বিরোধিতা করে শাহবাগের আন্দোলন জোরদার হবে, কিন্তু ব্লগার থাবা বাবার মৃতদেহকে শাহবাগে নিয়ে আসলে বা তাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকে জোরদার করার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা বিভক্ত হবে নিশ্চিত। রাসূল (স) এবং ইসলামকে ভালোবাসে এমন অনেকেই আন্দোলনে যোগদান করেছে। ব্লগার থাবা বাবার উপস্থিতির কারণে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা কমানোর মত কাজ বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
৪.
শাহবাগের অহিংস আন্দোলন সহিংসতার দিকে এবং নির্দলীয় আন্দোলন সর্বদলীয় আন্দোলনের দিকে টার্ন করছে। মনে রাখা প্রয়োজন – এদেশের বেশীরভাগ মানুষ সহিংসতা এবং পলিটিক্স পছন্দ করে না। আন্দোলনে সহিংসতার স্লোগান সম্পর্কে লেখক সাহিত্যিক আনিসুল হকের স্ট্যাটাসের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছি।