সপ্তাহ দেড়েক আগে – চুল কাটানোর জন্য সেলুনে বসেছি। একে সক্কালবেলা, তার উপর আমিই প্রথম কাস্টমার। সেলুনে তখন ‘ওয়াজ’ পিরিয়ড চলছে। ওয়াজ শেষে হিন্দী গান পিরিয়ড শুরু হবে। ওয়াজ পিরিয়ডের আগে কোরআন তেলাওয়াত পিরিয়ড হয়েছে কিনা জানি না।
ওয়ায়েজিন ঈমান নিয়ে ওয়াজ করছিলেন। চলে গেলেন গল্পে। এক পিঁপড়া হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ পথ-চলতি এক গাধা প্রস্রাব করে ভাসিয়ে দিয়েছে। ভাসতে ভাসতে পিঁপড়া মনে করতেছে – আটলান্টিক মহাসাগরের কথা পড়েছিলাম। এইটা বোধহয় সেইটাই। এমনসময় গাছ থেকে শুকনা পাতা পড়েছে প্রস্রাবে। পিঁপড়া উঠে বসে ভাবছে – ইতিহাস বইতে টাইটানিকের কথা পড়েছিলাম, নিজে যে উঠে পড়বো সেইটা তো ভাবি নাই। ভাসতে ভাসতে গিয়ে পাড়ে ভিড়েছে – পাতা থেকে নামতে নামতে পিঁপড়া বলে – আমেরিকা মহাদেশ আবিস্কার করে ফেললাম নাকি!
ওয়াজের কনটেক্সট আলাদা। তবে ঘটনা সত্য। একই উদাহরণ দিয়েছিল বন্ধু কোপা সামশু। তাকে ‘হাতি’ বলার জবাবে জানিয়েছিল – কেউই বেশী খায় না – হাতি খায় হাতির পেটের মাপে, পিপঁড়া খায় পিঁপড়ার।
এইসব আবোল-তাবোলের উপস্থাপন কারণ কোন এক পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিউজ। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন শাকিব-অপু – এই শিরোনামের সংবাদে অপু বিশ্বাস জানিয়েছেন –
“যেভাবে ঢেউ আমাদের শিপের উপর আঁছড়ে পড়ছিলো ভয় পাওয়াটাই স্বভাবিক। কারণ শিপ যেভাবে দুলতে ছিলো ,আমার জীবনেও এতো ভয় পাইনি। এমনটাও মনে হচ্ছিলো শিপটা মনে হয় এবার ডুবেই যাবে। যদিও সেসময় শাকিব চুপ করে ছিলো। সিনেমার হিরো। বাস্তবেও সে হিরো। কিন্তু তার চেহেরা দেখে মনে হয়েছিলো সে কিছুটা ভয় পাচ্ছে কিন্তু সেটার মনে মনে রেখেছে। প্রকাশ করেনি।”
শাকিব খান তখন নিজেকে জ্যাক স্প্যারো ভাবছিলেন কিনা এই খবর পত্রিকাটি জানান নি। এমনকি এই সংবাদ প্রকাশের সময় পত্রিকাটি নিজেকে ডেইলি মেইল বা হাফ-পোস্ট ভেবেছিল কিনা সেটাও জানা যায় নি।