ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি-টা যেন কি? উইকিপিডিয়া বলে, In politics and sociology, divide and rule (or divide and conquer) is gaining and maintaining power by breaking up larger concentrations of power into pieces that individually have less power than the one implementing the strategy. The concept refers to a strategy that breaks up existing power structures and prevents smaller power groups from linking up. এই বাংলায় ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতিমালার সবচে বড় উদাহরণ ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গ সংক্রান্ত কর্মকান্ড যা শেষ পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশকে কয়েক টুকরা করে ব্রিটিশ শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করেছিল। ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসির সাম্প্রতিক প্রয়োগ এফডিসিতে দেখা গেল।
এফডিসি কলাকুশলী ও কর্মচারী ইউনিয়ন একটা মাত্র সংগঠন। কাজ করেছে দীর্ঘ ৩৭ বছর। কি কারণ জানি না, এই সংগঠনকে ভেঙ্গে তিন টুকরো করা হয়েছে।
১. এফডিসি কলাকুশলী ও কর্মচারী ইউনিয়ন
২. এফডিসি কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগ
৩. জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন কলাকুশলী ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি শামসুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শামীম, এফডিসি কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগের সভাপতি মশিউল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন। নবগঠিত জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি হচ্ছেন হান্নান মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক জিএম সাঈদ।
কেন এই ডিভিশন? অভিযোগটা এমডি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। বলা হচ্ছে – এফডিসি এমডির পরোক্ষ মদদেই ইউনিয়ন বিভক্ত হয়েছে, যাতে কলাকুশলী কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে না পারেন। তাদের মধ্যে বিভক্তি হলেই এফডিসির দুর্নীতিবাজ-কর্মকর্তাদের অবৈধ কাজগুলো করতে সহজ হবে। এমডির পক্ষেও একটি মহলের বক্তব্য রয়েছে – পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিব্রত করার জন্যই একটি মহল ইউনিয়নকে বিভক্ত করে জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়নকে রেজিস্ট্রেশন পেতে সহায়তা করে।
একটা কৌতুক মনে পড়ে যাচ্ছে। এগারোজন ব্রাজিলিয়ান একত্রিত হলে একটা ফুটবল টিম হয়, এগারোজন ইংলিশ একত্রিত হলে হয় একটা ক্রিকেট টিম আর এগারোজন বাংলাদেশী একত্রিত হলে হয় দুটো রাজনৈতিক দল – আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি। ভারতীয় সিনেমা আমদানী নিয়ে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর যখন তোড়জোর শুরু করেছেন তখন শিল্পী সমিতির এই বিভেদ মোটেও ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। কি হবে বোঝা যাচ্ছে – বর্তমান সরকারের যে কোন উদ্যোগে এখন থেকে এফডিসি কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগ চোখ-কান-মুখ বুজে সমর্থন দেবে, সাথে থাকবে হয়তো কলাকুশলী ও কর্মচারী ইউনিয়ন, অন্যদিকে বিরোধিতা করবে জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এই সুযোগে ভারতীয় সিনেমা চলবে বাংলাদেশে, লুটপাট হবে এফডিসি ও অন্যান্য। ব্রিটিশদের ডিভাইড অ্যান্ড রুল নীতিতে সহযোগিতা করেছিল এই ভারতবর্ষবাসীরাই, বাংলাদেশী চলচ্চিত্রকে ডোবাতেও সহযোগিতা করবে বাংলাদেশীরাই। মন্দ কি! সুখে আছি, ভূতের কিল একটাও মাটিতে পড়ছে না।
সূত্র:
১. মানবজমিন
২. উইকিপিডিয়া
ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি-টা যেন কি? এই কোশ্চেনটার এন্সারই তো পেলাম না।
ডিভাইড এন্ড রুল পলিসিটা বঙ্গভঙ্গ-এর সাথে জড়িত ছিল। বাংলাকে ভেঙ্গে দুইভাগ করো, তারপর শাসন করো। এই লিংকটা দেখতে পারেন।
https://www.quora.com/How-did-the-British-implement-the-%E2%80%98Divide-and-Rule%E2%80%99-policy-in-India
আরও বিস্তারিত জানার জন্য উইকিপিডিয়ায় এই সংক্রান্ত পোস্টটা পড়তে পারেন।