২০১৩ সাল চলে এসেছে দশ দিন হয়ে গেল। ২০১২ সাল নানা ঘটনার মাধ্যমে দেশের বঞ্চিত দর্শকশ্রেণীকে কিছু আশার আলো দেখিয়েছে। বিশেষ করে, ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে চোরাবালি-র মুক্তি অনেক দর্শককে আবারও হলে নিয়ে গিয়েছে, এদের বিশাল একটা অংশ হল তরুন সমাজ, যারা ছোট স্ক্রিনে ভিনদেশী সিনেমা দেখে অভ্যস্ত।
বছরে একবার সিনেমা হলে গেলেই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি পাল্টে যাবে না, এই দর্শককে বারবার সিনেমা হলে নিয়ে যেতে তো হবেই, পাশাপাশি আরও দর্শক যারা দীর্ঘদিন যাচ্ছেন না, বা কখনোই যান নি তাদেরও নিয়ে যেতে পারলেই দেশের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাড়াতে পারে, লোকসানি একটি প্রতিষ্ঠান এফডিসি হয়তো লাভের মুখ দেখাবে তখন। দর্শককে হলে নিয়ে যাওয়ার একটাই উপায়- সেটা হল সিনেমা। বছরের একদম শুরুতেই তাই দেখা যাক – কি কি নতুন সিনেমা আসার সম্ভাবনা আছে এ বছরে এবং তা দর্শককে সত্যিই হলে নিয়ে যেতে পারবে কিনা।
নতুন সিনেমা
১. টেলিভিশন
আগামী ২৫ জানুয়ারী মুক্তি পাবে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘টেলিভিশন’। (সূত্র: বাংলানিউজ)। সিনেমাটি এর মধ্যেই আলোচনা তৈরী করেছে পুসান চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। ফারুকীর ছবির প্রতি আগ্রহ অনেকের, এই ছবিও ভালো ব্যবসা করবে, অনেক দর্শক হলে নিয়ে যাবে স্বাভাবিকভাবেই।
‘টেলিভিশন’ চলচ্চিত্রের গল্প হচ্ছে নতুন দিনের সঙ্গে পুরনো দিনের সংঘাতপূর্ণ সম্পর্ক এবং এই সম্পর্কের লেনদেনের মধ্য দিয়ে নতুন দিনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলা। পাণ্ডুলিপি রচনায় আনিসুল হক এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, তিশা, শামীম শাহেদ প্রমুখ।
২. পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী
ছোট পর্দার জনপ্রিয় নাট্যকার রুম্মন রশীদ খানের গল্পে সাফিউদ্দিন সাফি’র পরিচালনায় তৈরী হচ্ছে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনি’। নামের মতই এই সিনেমার কাস্টিংও চমৎকার – শাকিব খান ও জয়া আহসান। রুম্মান রশিদের কথা থেকেই জানা যাচ্ছে, গল্প অনেকটা এফডিসি মার্কা। (সূত্র: সংবাদ২৪.নেট) সাফিউদ্দিন সাফি গেল বছরে শাকিব খান অভিনিত ‘ঢাকার কিং’ সিনেমার নির্মাতা। শেষ পর্যন্ত কি সিনেমা তৈরী হবে তা সিনেমা মুক্তির আগ পর্যন্ত বোঝা সম্ভব নয়। জয়া আহসানের কারনে অনেক দর্শকই মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে গিয়ে সিনেমা দেখার জন্য, তবে প্রথম দুই-তিনদিনের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবেন এমন দর্শকও কম নয়।
৩. পারলে ঠেকা
‘পারলে ঠেকা’ সিনেমায়ও জয়া আহসান। এর মধ্যেই একটি টিজার গান এবং অদ্ভুত পোশাকের কারণে ছবিটা আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এই সিনেমার পরিচালকের নাম সামুরাই মারুফ। ৩০১৩ সালের এর ক্ষিপ্র নারী চোরের সাথে ২০১২ সালের এক প্রতিভাবান বিজ্ঞানির প্রেম কাহিনী নিয়ে সিনেমাটি তৈরী হচ্ছে। এখন পর্যন্ত একটি গান শ্যুটিং হওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে – শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে এই সিনেমা মুক্তি পাবে কিনা এখনি বলা যাচ্ছে না।
৪. প্রিয়তমা আমি দাঁড়ি তুমি কমা
এই ছবির পরিচালকের নাম মোহাম্মদ আলী পারভেজ, নায়কের নাম নিলয়। এই দুজন পরিচিত না হলেও এখন অনেকেই নায়িকা আইরিনের নাম জানেন। আইরিন একজন র্যাম্প মডেল। ছবির শ্যূটিং শুরু হয়েছে গেল বছরের প্রথমভাগে। সাম্প্রতিক আপডেট জানা নেই। দেখা যাক র্যাম্প মডেলের নতুন সিনেমা কেমন হয়। (সূত্র: প্রবাসবার্তা)
৫. এ কেমন প্রেমের গল্প
এই সিনেমাও আইরিনের। বিপরীতে আছেন আরেফিন শুভ। পরিচালনায় ফয়সাল রাব্বি। সব ছবির মতই এই ছবির গল্প ভিন্নরকম – কতটা ভিন্নরকম হবে সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে সিনেমা মুক্তি পর্যন্ত – যদি এ বছরে সিনেমাটি মুক্তি পায়। এবছর জানুয়ারীতে সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা। তথ্যসূত্র: লাইভপ্রেস
৬. রান
অভিনেত্রী আফসানা মিমি পরিচালিত নতুন সিনেমার নাম ‘রান’ যা প্রথম অবস্থায় ‘ক্যাম্প’ নামে পরিচিত ছিল। মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপন্যাস অবলম্বনে এই সিনেমার গল্প মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক। সিনেমার শ্যূটিঙ শুরু হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের ছবি বলে হয়তো বিজয় দিবস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৭. ফেরা (রিটার্ন অব দ্য সেইন্ট)
এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য বাছাই করা হয়েছে ভারতের টিভি সিরিয়াল অভিনেত্রী রিতাভারিকে। ছবি পরিচালনা করবেন জুনায়েদ মোস্তফা চৌধুরী। জানা গিয়েছিল এই সিনেমার অন্যান্য শিল্পী নির্বাচন করা হয় নি। সুতরাঙ, এ বছর মুক্তি পাওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। (তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ)
৮. নি:স্বার্থ ভালোবাসা
এম এ জলিল অনন্ত’র প্রথম পরিচালিত ছবি। ইতোমধ্যেই ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারীর দ্বিতীয় সপ্তাহে মুক্তির তীব্র সম্ভাবনা আছে। ট্রেলার দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই ছবিও বাকী ছবিগুলোর মত অনেক কৌতুকের জন্ম দেবে, যদিও নতুন সিনেমার জন্য অনন্তর প্রচেষ্টা দেখে ভালো লাগছে।
৯. না-মানুষ
অনিমেষ আইচ বানাচ্ছেন ছবি, নাম ‘না-মানুষ’। শ্যুটিং শুরু হয়ে গেছে। অনিমেষ আইচ ভালো নির্মাতা, তার ছবির প্রতি আগ্রহ থাকবেই। আশা করা যায় এ বছরই ছবিটি মুক্তি পাবে।
১০. পদ্ম পাতার জল
তন্ময় তানসেন বানাচ্ছেন ‘পদ্ম পাতার জল’। নায়ক ইমন, নায়িকা বিদ্যা সিনহা মীম। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন বিখ্যাত গীতিকার লতিফুল ইসলাম শিবলী। একজন কবির সাথে একজন বাঈজীর প্রেম নিয়ে এই ছবি নির্মিত হচ্ছে। প্রথম পর্বের শ্যুটিং ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এ বছর মুক্তি দেয়ার জন্য দ্রুতগতিতে ছবি নির্মানের কাজ চলছে। ইমন-মীম কতটুকু ভালো অভিনয় করবে তার উপর সিনেমার সাফল্য নির্ভর করলেও দর্শক হিসেবে আশা করছি ছবিটি ভালো হবে।
আরও যত চলচ্চিত্র
আরও অনেক চলচ্চিত্রের নাম শোনা যায় যাদের কোনটা এ বছর মুক্তি পাবে, কোনটা আগামী বছর। একনজরে এরকম কিছু সিনেমার নামের মধ্যে লালটিপ ছবির নির্মাতা স্বপন আহমেদ এর মিশন প্যারিস এবং পরবাসিনী, মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ছায়া-ছবি’, শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘হ্যালো অমিত’, বিজ্ঞাপন নির্মাতা সৈয়দ নাবিল আশরাফ পরিচালিত ত্রিভুজ প্রেমের ছবি ‘ভালোবাসার রংধনু’, বাংলাদেশ ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘সীমারেখা’, তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘জীবনঢুলি’, সোহেল আরমান পরিচালিত ‘এই তো প্রেম’, সাইদুর রহমান মানিক এর ‘দেহরক্ষী’, সরদার সানিয়াত পরিচালিত ‘অল্প স্বল্প প্রেমের গল্প’, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি পরিচালিত ‘টু বি কন্টিনিউড’ ইত্যাদি। এদের মাঝে ‘হ্যালো অমিত’, ‘সীমারেখা’, ‘এই তো প্রেম’, ‘দেহরক্ষী’ খুব শীঘ্রই মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এফডিসি নির্ভর চলচ্চিত্র
২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার সংখ্যা কমেছে। ২০১২ সালে এই সূচক আবার উপরের দিকে মুখ ঘুরিয়েছে। ২০১৩ সালে সে উপরের দিকেই যাত্রা অব্যাহত রাখবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অনেকগুলো সিনেমা নির্মিত হওয়ার পরও মুক্তি দেয়া হয় নি, এদের বেশ কিছু এ বছর মুক্তি পাবে। এছাড়া নির্মানাধীন অনেক ছবির কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ধরনের ছবির তালিকায় আছে দেবদাস, সৌভাগ্য, জোর করে ভালবাসা হয় না, জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার, দুই পৃথিবী, অপমানের জ্বালা, স্বপ্নের বিদেশ, বিচার আমি করবো, মনের ঠিকানা, জান তুমি প্রাণ তুমি, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু, নিঃস্বার্থ ভালবাসা, ইভটিজিং, জলরং, আদরের ভাই, এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এইবার।
আরও আছে জান, অবুঝ ভালবাসা, পুত্র এখন পয়সাওয়ালা, এমনও তো প্রেম হয়, এই তো ভালবাসা, দুখু মিয়া, লীলামন্থন, এলিয়েন এখন ঢাকায়, পৌষ মাসের পিরিতি, শর্টকাটে বড় লোক, শিরি ফরহাদ, কাছের শত্রু, নষ্ট ছেলে, বউপাগল, ছলনাময়ী নারী, কেন আমি সন্ত্রাসী, কালো বিড়াল, তুষের আগুন, পাগলের বিয়ে, লড়াকু সন্তান, ট্রাম কার্ড, কাঁকন দাসী, মন যারে চায়, কাঁটা দাগ, মিশন সিআইডি, সাহসী কন্যা, নমুনা, পাগল তোর জন্য রে, কমিশনার, জনতার ডাক, মাটির পিঞ্জিরা, কষ্ট আমার দুনিয়া, আদম, নীলাঞ্জনা, তোমার মাঝে আমি, সুন্দরী গুলবাহার, শোয়াচান পাখি, অনিশ্চিত যাত্রা।
মুক্তি পেতে পারে সূচনা রেখার দিকে, রূপগাওয়াল, সবুজ কেন অপরাধী, ছোট্ট একটা ভালবাসা, মুক্তি, জটিল প্রেম, ক্ষোভ, শিখন্ডী কথা, জোনাকির আলো, আয়না কাহিনী, কিস্তির জ্বালা, প্রেম মানেই পাগলামী, হেডমাস্টার, পোড়া মন, জোর করে ভালবাসা যায় না, মায়ের মতো বোন, ১০১ দিনের চ্যালেঞ্জ, রক্তাক্ত প্রেম, প্রেমের নদী, প্রতিবাদী সন্তান, মন খোঁজে বন্ধন, লাবু এলো শহরে, অন্তরে প্রেমের আগুন, কাছে এসে ভালবাসো, বিয়ে হলো বাসর হলো না, পাগল প্রেমিক, নষ্ট হওয়ার কষ্ট, আসবো না ফিরে, টিম বাংলাদেশ, লাভ ইউ প্রিয়া, তবুও তুমি আমার, সংগ্রাম, না বলা ভালবাসা, আমি তুমি সে এবং এই তো সময় ভালবাসার। (সূত্র: মানবজমিন)
আসবে ভারতীয় ছবিও
নয়টি হিন্দী ছবি আসবে বলে কথা শোনা যাচ্ছে গত বছরের পুরোটা ধরেই। এই ছবিগুলো মুক্তি পাবে এ বছর। এগুলো হল শোলে, থ্রী ইডিয়টস, তারে জামিন পার, কাভি খুশি কাভি গাম, কুছকুছ হোতা হ্যায়, ওয়ান্টেড, দিল তো পাগল হ্যায়, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লেযায়েঙ্গে এবং ধুম টু। এ সকল ছবির সবগুলোই এদেশের দর্শকের কাছে পরিচিত হলেও শুধুমাত্রা বড় পর্দায় দেখার আগ্রহে অনেক দর্শকই হলমুখী হবে।
২০১৩: আশার বছর, আশঙ্কার বছর
এত এত সিনেমার নাম দেখে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে আতঙ্কিত হবার মত বিষয়ও। ডিজিটাল সিনেমার অনুমোদন এবং ডিজিটাল সিনেমা হলের প্রভাব ইতোমধ্যেই টের পাওয়া যাচ্ছে। স্বল্প ব্যায়ে অখাদ্য ডিজিটাল ছবি নির্মিত হয়ে মুক্তি দেয়া হয়েছে হলগুলোতে। এধরনের আরও ছবি নির্মানাধীন। খারাপ ছবি দর্শক দেখবে না, ভালোগুলোই দেখবে – এমন ধারনা করা গেলেও তা কতটুকু বাস্তব হবে সেটা ভেবে দেখবার বিষয়। ছবির প্রযোজক এবং পরিবেশক যে দর্শকের কাছ থেকে পয়সা উসুলের চেষ্টা করবেন সেই দর্শকেরই চাহিদা পূরনের চেষ্টা চালাবেন, ফলে জাজ মাল্টিমিডিয়া পরিবেশিত সাম্প্রতিক ও সম্ভাব্য মুভি তালিকা দেখলে আশংকার পাল্লাই ভারী হয়।
আবার, আগের বছরগুলোতে নির্মিত অনেক চলচ্চিত্র এ বছর মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে, প্রয়োজনে ডিজিটালে রূপান্তর করে হলেও। এ সকল ছবি কতটুকু চাহিদা পূরণ করবে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ। পাশাপাশি, দর্শকদের যারা হল বিমুখ এবং যারা হলে ফিরতে শুরু করেছেন তাদের চাহিদা পূরনের জন্য নির্মিত ছবির সংখ্যা কম, শোরগোল বেশী। তার উপর, এই দর্শকের আগ্রহের ছবিগুলোর নির্মাতা নতুন, অভিনেতা অভিনেত্রীরা নতুন। ছবির গল্প যদি আকর্ষনীয় না হয় তবে দর্শক টানতে কষ্টই হবে অনেক নির্মাতার।
আশংকার বিষয় আরও থাকছে। গেল বছরে সরকারের ঘোষনা বাস্তবায়িত হলে এ বছর চলচ্চিত্রে সেন্সরবোর্ড পরিবর্তিত হয়ে যাবে ফিল্ম সার্টিফিকেশন বোর্ডে। সেন্সরবোর্ড থাকা অবস্থায়ই ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত যে নোংরা ছবি নির্মিত হয়েছে, সার্টিফিকেশন বোর্ডের কল্যাণে সেগুলো আবারও তৈরী হবে না এমন ভরসা করার মত কোন খবর পাওয়া যায় নি। ভারত থেকে আমদানীকৃত ‘আইটেম সং’ এর প্রচলনও আশংকা জাগানিয়া।
সর্বশেষ, আজকের খবরে জানা যাচ্ছে কোলকাতা থেকে তারকা চলচ্চিত্র নির্মাতা-অভিনেতাদের একটি দল এসেছেন বাংলাদেশে তাদের ছবির বাজার নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশে ভারতীয় ছবির বাজার তৈরী হলে চলচ্চিত্র শিল্প আয়ের কিছু নতুন উপায় খুজে পাবে সত্যি, কিন্তু ঘুরে দাড়ানোর প্রচেষ্টারত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প কতটুকু মজবুত হয়ে দাড়াতে পারবে তা ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।
এত এত আশংকা সত্যেও আকড়ে ধরার জন্য অদৃশ্য একটি খুঁটি থেকেই যায়। এই খুঁটি বাংলাদেশের খুঁটি যাকে আকড়ে ধরে ঝড়-বন্যা-তীব্র শীতের বাধাকে উপেক্ষা করে মানুষগুলো টিকে থাকে, দেশ এগিয়ে যায় সামনের দিকে। চলচ্চিত্র শিল্পও ঘুরে দাড়াবে, বিশ্বমানের সিনেমা তৈরী হবে এদেশেই – এমন বিশ্বাস তো করাই যায় – চলচ্চিত্রের কলাকুশলীরা সবাই তো বাংলাদেশেরই মানুষ, নাকি?
গুডলাক বাংলা সিনেমা, গুডলাক বাংলাদেশ।
পোস্টের শিরোনামই যা বলার বলে দিয়েছে।
যাই হোক গুডলাক বাংলা সিনেমা, গুডলাক বাংলাদেশ।
🙂
ধন্যবাদ রুশো ভাই 🙂
গুডলাক বাংলা সিনেমা, গুডলাক বাংলাদেশ, গুডলাক দারাশিকো।।
গুডলাক ওয়াহেদ সুজন। ২০১৩ বছরটা আপনার জন্যও গুরুত্বপূর্ন 🙂
বিশ্বমানের সিনেমা তৈরী হবে এদেশেই ….
হতেই হবে।আমার দেশ হেরে যাওয়ার দেশ নয়।সেদিন আর দূরে নয়।আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি …
সেদিন আর দূরে নয় !
সেদিন আর দূরে নয় !
সেদিন আর দূরে নয় !
একটু দেরী হয়ে গেল স্বাগতম জানাতে 🙁
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম রাশিদা (স্পেলিং অকে?)
এবং,
সেদিন আর দূরে নয়, সেদিন আর দূরে নয়, সেদিন আর দূরে নয়।
ভালো থাকুন।
“Na manush” er jonno onek din dhore wait kortesi…accha vai apni ki bolte parben “Na manush” kon formate a toiri…35 mm a kora naki tv camera…aro akta kotha Giasuddin selim er akta chobi nam may be “Nokshi kathar math” namta amar thik mone portesena shunsilam producer pacchen na otar ki khobor?
সুমন ভাই,
না-মানুষের ফরম্যাট সম্পর্কে ক্লিয়ার তথ্য নাই আমার কাছে। সম্ভবত এটা ডিজিটাল ফরম্যাটে হচ্ছে, টিভি ক্যামেরা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আর গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ছবির নাম তো কাজল-রেখা জানতাম। নকশী কাথার মাঠ সিনেমার কথা শুনি নাই। স্যরি। তাই প্রোডিউসার এর খবরও বলতে পারছি না। কাজলরেখায় শিল্পী সংকটের খবর পেয়েছিলাম, প্রোডিউসার সংকটের কথা জানা নাই।
দেহরক্ষী’র পরিচালক তো ইফতেখার…সাইদুর রহমান মানিকরে নিয়া আসলেন কেন?
যারা হলবিমুখ অথবা যারা সিনেমা হলে আসতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সিনেমা খুব কম…সত্যি কথা…নতুন নায়ক নায়িকা নতুন পরিচালক…সবই সত্যি…
কিন্তু এটাই তো সবাই চাচ্ছে তাইনা?
পুরাতনদের মুভি তারা দেখতে চায়না…হলে যায়না…
তাহলে নতুন যারা আসছে তাদেরটা তো দেখতে যাওয়া দরকার…এখন যদি সেসব মুভিও ফ্লপ মারে?
দোষ হইব আমাদের সিনেমার…আমরা নিষ্পাপ হয়ে যাব তখন…
সিনেমা দেখার অভ্যাস দুয়েকটা সিনেমা বছরে দেখলে হবেনা…রেগুলার সিনেমা দেখতে হবে…নতুনদের উৎসাহের ও তো দরকার আছে।
যদিও আমি নতুন মুভিগুলি নিয়ে আশাবাদী।
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়…
অনন্ত’র মুভিকে কৌতুক বলার মানে খুঁজে পেলামনা বস…
ফেসবুক আর ব্লগ দিয়া মুভির বিচার করলে তো অসুবিধা…এখানে জ্ঞানিলোকের সংখ্যা বেশী…তাদের কথাকে কিন্তু আমি হিসেবে ধরিনা…যদিও তাদের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর দর্শকের সিনেমাতে আগ্রহ তৈরীর সম্ভাবনা অনেক…কিন্তু এদের অনেকের মাঝেই নাক সিটকানো ভাবটা দূর হয়নাই এখনো…
অনন্ত’র পরিচালক হিসবে নাম লেখানের খায়েশ হইছে খায়েশ পূরণ করুক…রিলিজের পরে দেখা যাবে সেই মুভি কেমন হইছে…যদিও মুরুব্বীরা বলে যে মুভির বেশীরভাগ কাজ ই অনন্য মামুন করে দিয়েছে…
সত্যি হয়ে থাকলে আমি আশাবাদী…
আর গতানুগতিক মুভি থেকে তো চোরাবালিও বের হয়ে আসেনাই…কিন্তু সবাই চোরাবালিকে বাচাইতে চাইতেছে…
আর বাকিদের ধোলাই দিতে চাইতেছে…
অস্বীকার করিনা চোরাবালি হয়ত ঢাকাইয়া মুভির মেকিং এর ষ্টাইলে একটু ভিন্নতা এনে দিয়েছে…
কিন্তু এরকম আরো কয়েকটা মুভির মেকিং ও কিন্তু ভালো ছিল…তারপরেও সেসব এফডিসি কেন্দ্রিক হওয়ার কারনে ধোলাইর মুখে পড়েছে…
এখন দেখার বিষয় আপনের লিষ্টের মুভিগুলিকে ভবিষ্যতে কে কতটুকু ছাড় দেয়…
আর এফডিসির মুভিগুলিকে কে কতটুকু ধোলাই করে…
সামনের বছরটা আমার নজর অনেকটা সেদিকেই থাকবে…
আর জাজের কাজকর্মে আমিও ভালোই নাখোশ…
ডিজিটালের নামে মিউজিক ভিডিও’র অভিনেতা অভিনেত্রিদের দিয়ে যেভাবে মুভি বানিয়ে ৪০/৪৫ টা হলে রিলিজ দিচ্ছে…
ভালো মুভির বাজার খারাপ করতে…দর্শকের রুচি বদলাতে সেসব কম ভুমিকা রাখবেনা কিন্তু…
সেসব মুভি যেসব হলে চালাইবে সেসব হলে ভালো মুভি চালাইলেও ভদ্রশ্রেনীর দর্শক সেসব হল ত্যাগ করবে বলেই আমার মনে হয়…
আরো কিছু কথা আছে…যেসব সবার সামনে বলতেও শরম করবে আমার…ওরা যদি এরকম চালাতে থাকে তাহলে গ্রেড সিষ্টেম ছাড়া বাঁচার উপায় থাকবেনা…
ধন্যবাদ!
কপি পেস্টে এইটাই সমস্যা, ইফতেখারের জায়গায় মানিক আইসা পড়ে 🙁
দুইটাই সত্যি তবে সামান্য ‘কিন্তু’ আছে। পুরান কিন্তু ভালো হইলে দেখার আগ্রহ একদম মিইয়ে যায় না। নতুনরা কেমন করলো সেই টেস্ট করার আগ্রহ সবার থাকে না, এবং, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নতুনরা বেশ জঘন্য কাজ করে। সিনেমায় অভিনয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ন, নতুন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চেহারা ছাড়া আর কিছুকে গুরুত্ব দেয়া হয় বলে মনে হয় নাই 🙁
তারপরও আশাবাদী আমি 🙂
সিনেমা দেখা যেমন অভ্যাসের ব্যাপার, হলে দেখাও তেমনি। নতুন/পুরান বলে দেখলাম না, পুরান/নতুন তাই দেখবো – এইটা অভ্যাস তৈরী করে না।
মুভিকে কৌতুক বলি নাই – বলছি অনন্তর এক্সপ্রেশনকে। ট্রেলারেই সে কিছু দেখাইছে, ফেসবুকে লাইক কামানোর জন্য এগুলাই যথেষ্ট হবে মনে করছি। নাক সিটকানো অভ্যাস তৈরী হইছে বছরের পর বছর ধরে। একদিনে যাবে না, যাওয়া ঠিকও হবে না।
চোরাবালি ভিন্ন কোন গল্প বলে নাই। বাংলা সিনেমায় এই গল্প পুরাতন, বলার স্টাইলটা ভিন্ন – এবং ওয়েল মেড মুভি। ধোলাই দেয়ার উদ্দেশ্য একেক জনের একেকরকম।
এইতো। একটু দিরং হইল রিপ্লাই দিতে 🙂
Darashiko vai amare mone hoi apni avoid kortesen…amar last onekgula comment er kono ans paini…amar kothagula hoito onek shadharon maner…cinema somporke khub akta janina…at least apnar bloger akjon shadharon pathok hisebe to aktu sara dite paren taile valo lagto jai hok bepar na….valo thaiken…joy hok bangla cinemar
অনেক গুরুতর অভিযোগ করছেন গো .. মাফ চাই অনিচ্ছাকৃতভাবে ‘অ্যাভয়েড’ করার জন্য।
ব্যাখ্যা করি।
এই পোস্টে মন্তব্যগুলোর রিপ্লাই দিয়েছি মাত্র গতকাল। ব্যস্ততার কারণে রিপ্লাই দেয়া হচ্ছিল না। আপনার মন্তব্যের রিপ্লাই দেয়া হয় নি কারণ ‘নকশি কাথার মাঠ’ নামটা নিয়ে খটকা লাগছিল। একটু ঘাটাঘাটি করে উত্তর দেয়ার দরকার ছিল। কিন্তু বিশ্বাস করেন – দীর্ঘদিন পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে গতকাল অসুস্থ্য বোধ করছিলাম, বিকেল থেকে রাত সোয়া আটটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে আবার বের হলাম, দশটার দিকে ফিরে খেয়ে রিপ্লাইগুলো দিয়ে আবার ঘুম। আপনি যে বাদ পড়ে গেছেন সেটা ইচ্ছাকৃত না, আজ রিপ্লাই দেবো এমন চিন্তা ছিল – কিন্তু আপনি এই মন্তব্যটা করে ফেললেন।
আপনার আগের মন্তব্যগুলোর রিপ্লাই করেছি কিনা এখনো জানি না – এই মন্তব্যের জবাব দেয়ার পর খুজে দেখবো কোনটা বাদ পড়ে গেছে কিনা। যদি বাদ পড়ে যায় – প্লিজ – ইচ্ছাকৃত নয় সেটা বিশ্বাসে রাখুন। কি এমন ব্যস্ততা যার জন্য রিপ্লাই দিতে পারি নি, সেটা হয়তো মাস কয়েক পরে জানাতে পারবো। ততদিন ভালো থাকুন। অক্কে?
অফটপিক: বাংলা লেখাটা শিখে নিন না – এখন তো সব্বাই লিখছে 🙂
Vai kisudin dhore kono sara pacchilam na to tai aktu likhlam…mind a niyen na….r 1 masher moddhe asa kortesi good news shunbo…jodi seta film related hoi tobe asa kortesi bangladesh akjon valo film maker pete choleche…congrates brother…selimer “kajol rekha” aibar mone porse…tobe akta talk show te may be sunsilam je producer pacchen na jai hok vul hote pare….thanks boss
ফিল্মমেকিং এর যোগ্যতা নাই ভাই। এইরকম আশা কৈরেন না, হতাশ হওয়া লাগবে 🙂