
আল পাচিনোর অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই, তবে তার অন্যতম বেস্ট অভিনয় দেখার জন্য ‘সেন্ট অব আ ওম্যান‘ দেখা যেতে পারে।
কাহিনীটা যদিও আল পাচিনো অভিনীত কর্নেল স্লেড সম্পর্কিত, এর সাথে জড়িয়ে আছে প্রিপেরটরী স্কুলের ছাত্র চার্লি সিমস (ক্রিস ও’ডোনেল অভিনীত)। স্কলারশিপের টাকায় পড়াশোনা করা ছাত্র চার্লি কর্নেল স্লেডের দেখাশোনা করার দায়িত্ব পায় উইকএন্ডে, উদ্দেশ্য উপার্জিত টাকা দিয়ে সে ক্রিসমাসের ছুটিতে বাসায় যেতে পারবে। কর্নেল স্লেড একজন রিটায়ার্ড অন্ধ আর্মি অফিসার, আপাত দৃষ্টিতে রগচটা, খেয়ালী । অথচ উইকএন্ডের আগেই স্কুলের প্রিন্সিপালের নতুন জাগুয়ারের উপর রং ঢেলে অপমানিত করার জন্য দায়ী ছেলেদের নাম প্রকাশ না করার অভিযোগে শাস্তি পাওনা হয় চার্লির।
এদিকে কর্নেল উইকএন্ডে তার প্ল্যান অনুযায়ী চার্লিকে নিয়ে হাজির হয় নিউইয়র্কে, তারপর জমানো টাকা দিয়ে দামী হোটেলে থাকা, ডিনার করা, লিমোতে ঘুরে বেড়ানো চলে । আসলে ব্যাক্তিজীবনে কোন কারনে হতাশ কর্নেল তার সুপ্ত কিছু বাসনা পূরন করার চেষ্টা করে চার্লির সহায়তা নিয়ে। অসাধারন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কর্নেল চার্লিকে মুগ্ধ করেন অন্ধ অবস্থায় ১২০ কিমি গতিতে ফেরারী চালিয়ে, এবং রেস্টুরেন্টে ট্যাঙ্গো নেচে।
ঘটে যায় নানা ঘটনা।
মুভিতে আল পাচিনোর অভিনয় মুগ্ধ করার মতো। অন্ধ চরিত্রে এত জীবন্ত অভিনয় আর কখনো দেখা হয় নি। মুভিটা ১৯৯২ সালে নির্মিত, শ্রেষ্ঠ মুভির জন্য অস্কার লড়াই করেও হেরে যায় আনফরগিভেন মুভির কাছে, তবে আল পাচিনো হারেন নি, জিতে নিয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারটি।
একটু বোরিং লাগতে পারে, তবে দেখার জন্য একটি ভালো সিনেমা।
গডফাদার ট্রিলজি বাদে পাচিনোর যে তিনটি মুভি না দেখলেই নয় তা হলো-
এ ডগ ডে আফটারনুন, সেন্ট অফ এ ওমেন এবং স্কারফেস
এ ডগ ডে আফটারনুন বাদে সবগুলোই দেখা। 😛
বালের রিভিউ হইসে :@
হা হা হা হা … আপনিই কি সেই প্রভা? এত ক্ষেইপছেন ক্যান? 😀