বিশ বছর পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যারা থাকবেন তারা কিরকম হবেন? – এই প্রশ্নটা মাঝে মাঝে ভাবি।
ভাবলে কিছু বিষয় পাওয়া যায়। আশা করা যায়, স্বল্প শিক্ষিত লোকজন এমপি নির্বাচনে দাড়াবেন না। তবে, ভুয়া সার্টিফিকেট এবং পড়াশোনা না করে পাওয়া সার্টিফিকেটধারী লোকজন নির্বাচনে দাড়াবেন না তা বলা যায় না। নির্বাচনে জিতে যাওয়া এবং হেরে যাওয়া লোকগুলো কেমন হবেন? তারা কি উল্টা পাল্টা কথা বলবেন? তারা কি তাদের মতকে বিশ্বাস করানোর জন্য অসম্ভব মিথ্যার প্রচার করবেন? দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয় – কিন্তু দলের জন্য মঙ্গলজনক, কিংবা দলের প্রধান সিদ্ধান্ত দিয়েছেন – তাই দেশের অমঙ্গলজনক কাজকেও সাপোর্ট দিয়ে যাবেন তারা? ‘মানবতা’ নিয়ে তারা কি ব্যবসা করবেন?
আরও অনেক প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে। একের পর এক। উত্তর চিন্তা করলে পাওয়া যায় না, কারণ চিন্তা করার সময় মন বিশেষ রকম প্রভাব ফেলে – অনেক আশা জোগায়, বিশ বছরে এই দেশটা পাল্টে যাবে সেই স্বপ্ন দেখায়।
কিন্তু এই আশা-স্বপ্ন ধুলীস্যাত হয় ফেসবুকে আসামাত্র। বিশ বছর পরে যে লোকগুলো নেতৃত্বে যাবে সেই লোকগুলোই এখন ফেসবুক চালায়। সুতরাং, ভবিষ্যত দেখা যায় ফেসবুকেই।