নাস্তিক-আস্তিক নিয়া বিশাল ক্যাচাল চলতেছে দেশে। যা ক্যাচাল তার চেয়ে বেশী ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ, বেশীরভাগেরই টার্গেট খালেদা জিয়া, পাশে শাহবাগ বিরোধী মোল্লা-মৌলভীরাও আছে। বিষয়টা সম্পূর্ণই অনর্থক।
ব্যাকরণের সংজ্ঞানুযায়ী – যিনি বিশ্বাস করেন ঈশ্বর আছেন তিনি আস্তিক, যিনি বিশ্বাস করেন ঈশ্বর নাই তিনি নাস্তিক – এর বেশী কিছু নাই। ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন কিন্তু কোন ধর্মে বিশ্বাস করেন না এরকম মানুষ আছে – এদের কি বলা হবে? অধর্মী আস্তিক? ঈশ্বরের সাথে ধর্মের সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী। যেখানে ধর্মেই বিশ্বাস নাই সেখানে ঈশ্বরে বিশ্বাস থাকা না থাকায় প্রভাব কতটুকু? (বিতর্কে আগ্রহী নই)
ঈশ্বরে বিশ্বাসী, ধর্মেও বিশ্বাসী এরকম মানুষ প্রচুর, কিন্তু এদের কতজন ধর্মীয় কর্মে বিশ্বাসী সেটা নিয়ে একটা গবেষণাকর্ম হতে পারে। ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, ধর্ম হল ইসলাম কিন্তু শুক্রবার ছাড়া মসজিদে যাই না, রাত সাড়ে তিনটা চারটা পর্যন্ত কম্পিউটার গুতাই, পড়াশোনা করি বৈলা ফজরের নামাজ পড়তে পারি না মাসের পর মাস, রমজান মাসে সবগুলা রোজা রাখাও কষ্ট, পরীক্ষা থাকে, সেহরীতে উঠতে পারি না – এইরকম মানুষ কত? রেগুলার নামাজ-কালাম পড়ি কিন্তু উঠতে বসতে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ গালি দেই, কোরআন হাদীসে কি বলা আছে সেইটা পুরোটা না জেনেই নিজের মতকে ইসলামের মত হিসেবে জানায়া দেই – সেইরকম মানুষ কত?
সেইরকম মানুষ কত সেইটা গুরুত্বপূর্ণ কিছুই না, গুরুত্বপূর্ণ হল নিজে কি করতেছি সেইটা। আস্তিক-নাস্তিক দুই ভাগ কৈরা কোন লাভ নাই, লাভ যদি কিছু হয় তাহলে প্র্যাকটিসিং এবং নন প্র্যাকটিসিং – এই দুইভাগে ভাগ করা যাইতে পারে। নিজের ধর্মটা ভালো করে জানলে এবং মানলে – আস্তিক নাস্তিকের ঝগড়ায় যাওয়ার দরকার হয় না, খালেদা জিয়া বলেন আর মোল্লা মৌলভী বলেন – তাদের দেয়া সংজ্ঞায়ও কিছু আসে যায় না।