কেট উইন্সলেট আর ডিক্যাপ্রিও কে চিনেন না এমন লোক খুজে পাওয়া দুস্কর। টাইটানিক মুভির কল্যাণে সারা বিশ্বের মুভিপ্রেমি থেকে শুরু করে সকলের পরিচিত হয়েছে এই দুই তারকা। ১৯৯৭ সালে টাইটানিক মুভির পর অনেকেই আশা করেছিল এই দুজনকে নিয়ে নতুন কোন মুভি নির্মিত হবে, কিন্তু সে আশা শীঘ্রই পূরন হয় নি। ২০০৮ সালে রেভল্যুশনারী রোড ছবির মধ্য দিয়ে এই দুই তারকা আবার পর্দায় উপস্থিত হলেন আর তাদের এই মিলনের কৃতিত্ব স্যাম ম্যান্ডেস এর।
টাইটানিক মুভিতে এই দুই তারকা প্রণয়ে আবদ্ধ হয়েছিলেন আর রেভল্যুশনারী রোড মুভিতে তারা বিবাহবদ্ধ। এমনকি দু’বাচ্চার গর্বিত পিতা মাতাও বটে। অফিসের এক কলিগের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে ফ্রাঙ্ক এর (ক্যাপ্রিও) কারণটা গতানুগতিক যে আবেগ আর প্রেমের বশে তারা পরস্পরকে বিয়ে করেছিল সেখানে এখন সন্দেহ আর বিরক্তি বাসা গেড়েছে।
গৃহিনী এপ্রিল সেদিক দিয়ে বেশ সৎ এবং প্রেমময় দিনগুলোর একটি স্থির ছবি এপ্র্রিলকে আবার নতুন করে সম্পর্ক মজবুত করতে উৎসাহিত করে। আর তাই ফ্রাঙ্কের স্বপ্নের জায়গা ফ্রান্সে গিয়ে বসবাসের পরিকল্পনা করে। চলতে থাকে সে অনুযায়ী সকল প্রস্তুতি। কিন্তু কোন একদিনের উদ্যম ভালোবাসার জোয়ারে এপ্রিল প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে। অনিশ্চিত হয় স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আবার তিক্ততার দিকে মোড় নেয় সম্পর্ক।
জটিল এক স্ক্রিপ্ট ছবিটির। তার চেয়ে জটিল এপ্রিল চরিত্রে কেট এর অভিনয়। সত্যি কথা হলো মুভিতে ফ্রাঙ্ক কোন গুরুত্বপূর্ন চরিত্র নয়, অবশ্য তাকে বাদ দিয়ে সিনেমার কাহিনী গড়ানো মুশকিল। কিন্তু তারপরেও এপ্রিলের ভুমিকা সব কিছুকে ছাপিয়ে উঠেছে। কেট তার অভিনয় প্রতিভার শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়েছেন এই মুভিতে। ঝগড়ার দৃশ্যে কেটের যে অভিনয় তা শুধুমাত্র অনুভব করা যাবে, বোঝানো যাবেন না।
মুভিতে বাড়িওয়ালার মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলে জন, যে কিনা একজন সাবেক গণিতবিদ, উপস্থিত হয়েছে ‘বিবেক’ রূপে। ঘটনার মোড় ঘোড়াতে এবং বক্তব্য তুলে ধরতেই যেনো এই চরিত্রের উপস্থিতি। সব কিছুর কৃতিত্ব গিয়ে পড়ে পরিচালক স্যাম মেন্ডেস-এর উপর। অবশ্য তিনি পরিচালক হিসেবে এর আগে শ্রেষ্ঠ ডিরেক্টরের অস্কার পুরস্কার বাগিয়েছেন আমেরিকান বিউটি মুভির জন্য। সব মিলিয়ে পাঁচটি সিনেমার পরিচালকের চারটি সিনেমাই খুব পরিচিত – আমেরিকান বিউটি, রোড টু পার্ডিশন, রেভল্যুশনারী রোড আর জারহেড। মুভিতে পরিচালক রং আর আলো নিয়ে খেলেছেন দক্ষ হাতে। বিশেষ করে রোদ আর ছায়ায় কেটের চেহারার যে পরিবর্তন তা অসাধারণ।
দাম্পত্য জীবনের জটিলতা আর মুক্তির উপায় জানতে (!!) হলে কেন দেখবেন না এই মুভিটি?
valo likhecho vai….u know what tmar sob likhar sathe moter mil na holeo ami tmar likhar ekjon vokto…..film tao khub valo legechilo…..and sorry English font e comment debar jonne….amar Bangla typing ta ektu durbol (and er jonne ami lojjito).
Thanks Dada.আরগুমেন্ট করবেন এইটাই স্বাভাবিক। মন্তব্য করছেন সেজন্য খুব ভালো লাগলো… আপনার এই কাজটাই সাইটটাকে সামান্য হলেও এগিয়ে দিচ্ছে।
দেখি নাই। দেখা লাগবে। যখন বের হইসিল তখন ঝগড়া ঝাটি দেখার মুড ছিল না। :S
হে হে হে … দেখার আগেই বুঝে ফেলেছিলেন যে ঝগড়া ঝাটি আছে 😉