সেভেন মুভিটির নাম শুনেছি অনেক আগে। বোধহয় নাম শোনার কারনেই যতবার নাম শুনেছি মনে হয়েছে দেখে ফেলেছি কিন্তু নাফিস ইফতেখার ভাইয়ের কমেন্ট পরার পর মনে হল বোধহয় দেখা হয় নাই। তাই তাড়াতাড়ি ডাউনলোড দিলাম। আজকে দেখেও ফেললাম।
সেভেন একটা ক্রাইম মুভি। কাহিনিটাকে গতানুগতিক বলা যায়, আবার বলা যায় না। কেন সেটা বলি। মুভিটা দেখার সময় পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাবেন সুতরাং গতানুগতিক কাহিনী (শর্ত হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই প্রচুর হলিউডি মুভি দেখতে হবে) কিন্তু পরবর্তীতে যখন দেখবেন যে অপনার ধারনার কিছুটা মিলে গেলেও বাকীটা মিলেনি বরং নতুন দিকে মোড় নিয়েছে তখনই বুঝবেন যে কাহিনীটা গতানুগতিক না। তবে ইন্টারেস্টিং!
সাতদিন পরে রিটায়ার্ড করবেন এমন একজন ডিটেকটিভের সাথে (মরগ্যান ফ্রিম্যান) পার্টনার হয়ে যোগ দেয় অল্পতেই রেগে যাওয়া তরুন ডিটেকটিভ ডেভিড (ব্রাড পিট). সাতদিনে ঘটে যায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর খুন। প্রত্যেক খুনের সাথে একটি করে বড় পাপের নাম। যেমন গ্লুটোনি, গ্রিড, প্রাইড, লাস্ট ইত্যাদি। বাংলায় ষড়রিপু বলে একটি কথা আছে – ছয়টি বড় পাপ- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মাৎসর্য বা হিংসা। কিন্তু ইংরেজিতে এই পাপের সংখ্যা সাতটি। আমাদের ছটির সাথে যোগ হয়েছে গ্লুটোনি বা অতিভোজন।
বোঝা যায় যে সাতটি খুন হবে এবং ডিটেকটিভসদের চেষ্টা খুনিকে খুজে বের করা। ঘটনা মোড় নেয় যখন খুনি নিজেই এসে ধরা দেয় অথচ সার্কেল পূরন করতে আরও দুটো খুন বাকী। তখন আপনি সন্দেহ করতেই পারেন যে, শেষটা আপনি ধরে ফেলেছেন কিন্তু আপনাকে ভুল প্রমান করতেই ঘটবে অন্য ঘটনা। এবং এ জন্য দেখা উচিত মুভিটি।
Se7en ডেভিড ফিঞ্চারের পরিচালনা যিনি আরও কয়েকটি বিখ্যাত মুভি পরিচালনা করেছেন, এলিয়েন, প্যানিক রুম এবং হাল আমলের দ্য কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন।
আমার কাছে অতটা ভালো লাগেনি…যতটা আশা করেছিলাম। হতে পারে কারনটা সাইকোলজিক্যাল, আগে থেকেই হাই এক্সপেক্টেশন তৈরী হয়ে গিয়েছিল। তবে ক্লিন্ট ইস্টউডের অভিনয়ে ইন দ্যা লাইন অব ফায়ার মুভির সাথে কিছুটা মিল পেয়েছি। নাম মনে নাই এরকম আরও দুএকটা মুভির সাথেও মিলে যায়।
নাফিস ভাই কিছু বলতে চেয়েছিলেন এই মুভি নিয়ে। এবার শুরু করতে পারেন, হয়তো তাল মেলাতে পারবো।
valo lageni to lickcho ken?
ei question ta Roger Ebert ke jigges kora jete pare, sei beta valo laga na laga sob movie nia likhte likhte bikhhato hoya gese
হু। এইটা সর্ব কালের সেরা ১০টা সিরিয়াল কিলিংমুভির লিস্ট থাকবে, কোন সন্দহ নাই। তবে ভালো লাগা, না লাগা – ব্যাপারটা অনেক সময়, বুমেরাং হইয়া যাইতে পারে। অনেক সময় এক জনের কাছে শুনলাম, আসাধারণ মুভি, বাট, আমার দেখে খুব একটা জুইত লাগলো না, এমনও হয়। তাই বোলে কি আর মুভি দেখা থেমে রয়। তবে, রিভিউ হিসাবে – এই রিভিউটা আমার জুইত লাগে নাইক্কা। ;)।
সত্যিই এইটা কোন জাতের রিভ্যু না, তখন লিখসিলাম, কারন নাফিস ইফতেখারের সাথে একটা ডিস্কাস করার ইচ্ছা ছিল … আপনারে ধইন্যা।
এক্কেবারে আমার মনের কথাটা লিখসেন ভাই!! মুভিটা আমি অনেক আশা ভরসা নিয়া দেখতে বসছিলাম! কিন্তু মনের সাথে মিলল না!! বোধহয় বেশী আশা করার কুফল!
মুভির অর্ধেক দেখেই বুঝে ফেলছিলাম ফিনিসিং কি হবে! আর দেখা শেষে বার বার মনে হচ্ছিল এই রকম ফিনিসিং কোথায় কোথায় যেন আগে দেখেছি!!! শুধু একটা বিষয় ভাল লেগেছে মুভির – ৭ টা ভয়ংকর পাপের কন্সেপ্টা !
কোন বিচারেই আমি এইটারে এত হাইলি রেটেড করতে পারতেসি না! বোধহয় আমার অল্পবিদ্যার কুফল!!
অল্প বিদ্যা কিনা জানি না, তবে রেটিঙ খুব হাই বলে মনে হচ্ছে না। আইএমডিবি তে ইউজারদের রেটিঙ বেশ প্রভাবিত করে সত্যি, কিন্তু রোটেন টম্যাটোসে কিন্তু রেটিঙ ৮৫ পার্সেন্ট ফ্রেশ বলতেসে .. তাদের রেটিঙ কে কোনভাবেই অবিশ্বাস করা যায় না কারন তাদের রেটিঙটা শুধু জ্ঞানসম্পন্ন ক্রিটিকদের উপর ভিত্তি কর তৈরী হয়
ধন্যবাদ বাপী 🙂
ভাই আমি একজন মুভি পাগল মানুষ। পাগলামী থেকেই একটা facebook page খুলেছি ART FILM । আপনার লেখাটা ভাল লাগলো তাই আমার page a আপনার লেখার কিছু অংশ শেয়ার করতে চাইলাম। আপনার অনুমতি প্রাথি’
দারাশিকো’র ব্লগে স্বাগতম সৌরভ। পোস্টেই লেখক এবং মূল লেখার লিংক সহ যা খুশি শেয়ার করতে পারেন, সমস্যা নেই। তবে লিংক ছাড়া কিছু শেয়ার না করার অনুরোধ।
ভালো থাকবেন।
আর হ্যা, পেইজের লিংক দিয়েন প্লিজ। পেজটা খুজে পেলাম না।