মিরপুরের সেরা খাবার চেখে দেখার মিশন চলছে গত কয়েকদিন ধরে। দুদিন আগেই #শওকত_কাবাব_ঘর এ ষাড়ের অন্ডকোষের কাবাব টেস্ট করা হয়েছে। আজ হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী খাওয়ার ইচ্ছা। বাসা থেকে বের হয়েছি প্রস্তুতি ছাড়াই। হেটে যাচ্ছি, এক রিকশাওয়ালা ডাক দিয়ে বলল – চলেন যাই, অনেক্ষন বসে আছি, আমিও চলেন ছয় নাম্বারে যাই বলে উঠে পড়েছি রিকশায়।
মিরপুরে হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী কোথায় পাওয়া যায় আমার ধারনা নেই। হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী এর আগে ঢাকায় খাওয়া হয়েছে একবার, নিকেতন এক নাম্বার গেটের বাহিরে #ফুড_প্যালেস এ। জব্বর (স্টিভ না) জিনিস, কিন্তু মূল্য ৩৯৫ টাকা দেয়ার সময় কলিজায় টান লাগে। চট্টগ্রামে#জামান_হোটেল এর হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানীও খাওয়া হয়েছে। একজনের বিরিয়ানী দুজন খেতে পারে, খেতেও মন্দ না। এছাড়া খেয়েছি সিলেটের#উন্দাল_রেস্টুরেন্ট এ। কোনটা যে বেস্ট – ঠাওর করতে পারি না, তবে ফুড প্যালেসের কথা বেশী মনে পড়ে।
মিরপুরের খাবার সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে #এক্সপ্রেস_ক্যাফে ‘র কথা জেনেছিলাম। এই রেস্টুরেন্টের হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী নাকি অত্যন্ত উচু মানের। মিরপুর ছয় নাম্বারের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা একটাই – এক্সপ্রেস ক্যাফে খুঁজে বের করে বিরিয়ানী খাওয়া। খুঁজতে খুঁজতে এক্সপ্রেস ক্যাফে পাওয়া গেল অরিজিনাল দশ এ – শরমা হাউজের বিল্ডিঙ এ কোনায়। ছোট্ট রেস্টুরেন্ট – মুর্গি ভাজা বিক্রি হয় এ ধরনের রেস্টুরেন্টে, বিরিয়ানী পাবো – বিশ্বাস হচ্ছিল না। ধারনা সত্যি – হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী নেই। আগে ছিল, সম্প্রতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এখন কেবল ফ্রাইড রাইস আর ফাস্টফুড।
বের হয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটতে গিয়ে চোখ পড়ল #রেড_কারিরেস্টুরেন্টের দিকে। বাহিরের দিকে স্টিকারে হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানীর কথা লেখা আছে দেখে ঢুকে পড়লাম। আলো আঁধারী পরিবেশ, তা’সানের গান বাজছে। মেনুতে হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী পাওয়া গেল। ২২০ পার প্লেট। আধাঘন্টা বসতে হবে। অর্ডার দিলাম। কপাল মন্দ, ওয়েটার ঘুরে এসে জানালো – শেফ চলে গেছে, মাটন বিরিয়ানী দেই স্যার?
হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানীর ক্ষুধা কি মাটনে মিটে? রাস্তার ওপারে#উপভোগ_কাবাব_এন্ড_বিরিয়ানী। ছুটলাম। হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী? নাই স্যার – কেবল কাবাব। অহ, ঠিকাসে, আরেকদিন!
সাড়ে দশটা বাজে। হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানীর খোঁজে কি এখন হায়দ্রাবাদেই যেতে হবে? সম্ভব না। বরং বাসায় ফেরত যাই। আরেকদিন নতুন উদ্যমে খোঁজা যাবে।