ধরেন, আপনার খালার সাথে আপনার আম্মার কোন গ্যাঞ্জাম নাই। ফোনে তো রেগুলার কথাবার্তা হয়ই, বছরে দুই একবার আসা-যাওয়াও হয়। মানে, আপনার আম্মার প্রতি তার কোন ক্ষোভ নাই বৈলা আপনি যদি তারে আপনার বাড়িতে দাওয়াত দেন তাইলে সে না করবে ক্যান? কিংবা, আপনি যদি তারে দাওয়াত না দেন, তাইলে কি সে কোনদিন আপনার বাড়িতে আসবে না?
কিন্তু যদি ধরেন আপনার মামা যে কিনা আপনার আম্মারে নানার সম্পত্তি থেকে কোনভাবে বঞ্চিত করছে বৈলা ভাইয়ে-বোনে এখন আর সেই বাল্যকালের সম্পর্ক বজায় নাই এবং দুই বাড়িতে আসা-যাওয়া তো বন্ধই, তৃতীয় কোন বাড়িতেও দেখা-শোনার সম্ভাবনা দেখা যায় না। অনেকটা চুম্বকের বিকর্ষন শক্তির মত ব্যাপার স্যাপার, মানে নানার বাড়িতে আপনার আম্মা বেড়াইতে গেলে মামা অবশ্যই সেইখানে থাকবেন না, হয়তো অন্য কোন খালার বাসা কিংবা রাজধানীতে বেড়াইতে যাবেন এবং ভাইস-ভার্সা। সেইক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার মামারে আপনার বাসায় বেড়াইতে আসার দাওয়াত দেন, তাইলে কি উনি তা কবুল করবেন? বলা যায় না, হয়তো সেই দাওয়াতের চিঠি কোনদিন পোস্টম্যান ডেলিভারিও করবে না। তো যেই চিঠি আপনার মামা পানই নাই, সেই চিঠির দাওয়াত উনি কিভাবে কবুল করবেন বলেন? আর যদি ঘটনাচক্রে আপনার মামা চিঠিটা পাইয়াও যান, আপনার আম্মার সাথে তার উদ্ভুত পরিস্থিতির কথা চিন্তা কৈরা তিনি কি সেই দাওয়াত কবুল কৈরা চিঠির উত্তর দিবেন?
পুনশ্চ: অনেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর শীর্ষেন্দুর ‘সেতু চাহিয়া পত্র’ সংক্রান্ত ঘটনার পাশাপাশি ইলিয়াস আলীর কন্যার চিঠির তুলনা করছেন, এই স্ট্যাটাসের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।