রুহুল্কার বরাতে জানা গেল – স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার তানজিলা খান এবং ওয়াটার ডেভলপমেন্ট বোর্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বাংলাদেশের ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ে গবেষনা করে দেখিয়েছেন – বছরে ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয় শুধু ট্রাফিক জ্যামের কারণে। দুর্ঘটনাচক্রে আজকে সকালে আমি নিজেও এই ট্র্যাফিক জ্যামের শিকার। সোয়া আটটায় সদরঘাট থেকে বাসে উঠেছিলাম মহাখালীর উদ্দেশ্যে। শান্তিনগর থেকে বড় মগবাজারের মোড়ের একটু আগ পর্যন্ত আসতে পঞ্চাশ মিনিট লেগে গেল বলে শেষ পর্যন্ত বাস থেকে নেমে পৌনে এক কিলো হেটে রিকশায় করে সোয়া একঘন্টা লেটে অফিস পৌছেছি। কপাল ভালো, শুধু লাল দাগ খেয়েছি, ঝাড়ি খেতে হয় নি।
তো, রুহুল্কা এই ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে নয়টা পথ বাতলে দিয়েছে – যার ফলে ট্র্যাফিক জ্যামকে কিছুটা হলেও বুড়ো আঙ্গুল দেখানো যায় – এর নয় নাম্বারটা হল বাইসাইকেল ব্যবহার করা। গত সেপ্টেম্বর ২০১২ থেকে মে ২০১৪ পর্যন্ত প্রতিদিন কমপক্ষে সাড়ে বারো কিলো সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে জানি – ঢাকা শহরে এটাই বেস্ট ট্রান্সপোর্ট (স্বল্প দুরত্বের জন্য)। সাইকেল শুরুর আগে বই পড়তাম, শেষেও বই পড়ি। আগে পড়তাম কাগুজে বই, এখন পড়ি ইলেকট্রনিক।
তবে, রুহুল্কার এই নয়টা বুদ্ধি কয়জন গ্রহণ করবে সেইটাও প্রশ্ন। এই বুদ্ধি নেয়ার জন্য খুব বেশী লোক প্রস্তুত নাই – মানুষজন এখন গাড়িতে উঠলেই মোবাইলে ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি ওপেন করে গুতায়, চ্যাটায়। সময়কে কাজে লাগানোর এই যদি হয় উপায়, তাহলে ট্র্যাফিক জ্যাম সময়কে কাজে লাগানোর জন্য আদর্শ সময়।
যারা ট্রাফিকজ্যামকে জয় করতে চান তারা রুহুল্কার দেয়া নয়টা বুদ্ধি সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। লিংক এখানে।