লুঙ্গি বিষয়ক

২০০২/০৩ সালে আমাদের বাসায় একজন সুইস ভদ্রলোক বেড়াতে এলেন, নাম ফেলিক্স স্টিকেল। তিনি বাংলাদেশ ঘুরতে এসেছিলেন তার বাংলাদেশী বন্ধুর সাথে (নাম ভুলে গেছি)। সেই বন্ধুটি তাকে লুঙ্গি পড়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। স্টিকেলের দৃষ্টিতে লুঙ্গি হল অদ্ভুদতম পোষাক। বেল্ট নাই, বোতাম নাই – সেই পোশাক গায়ে থাকে কেমনে? বলা বাহুল্য, তার গায়েও থাকতো না, একটু পর পর উঠে দাড়িয়ে তাকে লুঙ্গি ঠিক করতে হত। আন্ডারওয়্যারের কারনে তেমন কোন বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী হয় নি।

সাম্প্রতিক সময়ে লুঙ্গির একটা বিজ্ঞাপন সবার নজরে চলে এসেছে। বাংলাদেশের জাতীয় পোশাক, একমাত্র এয়ারকন্ডিশনড পোশাক লুঙ্গি পড়ে একদল লোক মার্চ করে যাচ্ছে। বিনোদনমূলক আইডিয়া। উপমহাদেশে লুঙ্গি পুরুষের পোশাক হলেও শ্রীলঙ্কায় নামি মেয়েদেরও পোশাক, তবে পুরুষের লুঙ্গির সাথে তার পার্থক্য আছে। কদিন আগে ফেসবুকের কল্যাণে তামিল বা তেলেগু দুজন নারী পুরুষ মডেলের ছবি দেখলাম। দুজনেই লুঙ্গি পড়া, অবশ্য লুঙ্গি নারীর পেট ঢাকতে ব্যর্থ। ক্যাপশনে লেখা – প্যান্ট নিছে, শার্ট নিছে, এইবার লুঙ্গি নিয়া টানাটানি।

বেশ কয়েক বছর আগে, ফরহাদ মজহার বেশ আলোচনায় চলে এসেছিলেন। ঢাকা ক্লাবের এক প্রোগ্রামে তিনি লুঙ্গি পড়ে এসেছিলেন। তাকে ঢুকতে দেয়া হয় নি – ফেরত যেতে হয়েছিল। লুঙ্গির পক্ষে এবং বিপক্ষে তখন বিশাল ঝড় উঠেছিল মিডিয়ায়।

আজকের ডেইলি স্টারে ছাপা হয়েছে নিচের ছবিটি। এখানেও লুঙ্গি ফ্যাক্টর। বারিধারা বাড়ি মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে সেখানে লুঙ্গি পড়ে বাইরে বেরুনো নিষেধ।

কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়
আমি যেদিকে তাকাই
দেখে অবাক হয়ে যাই
আমি অর্থ কোনো খুঁজে নাহি পাই …

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *