চিঠি লেখা

১৯২৮ সালে একজন বাবা তার দশ বছর বয়সী কন্যাকে ত্রিশটি চিঠি লিখেছিলেন, পৃথিবী সম্পর্কে ধারনা দিয়ে। অনেক বছর বাদে সেই চিঠিগুলো নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল, নাম Letters from a Father to His Daughter। চিঠিগুলো লিখেছিলেন জওহরলাল নেহেরু, প্রাপকের নাম ইন্দিরা গান্ধী।

চিঠি সাধারণভাবে ব্যক্তিগত বিষয় হলেও বিখ্যাতদের চিঠি সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে সব সময়ে। ঈদ সংখ্যা, পূজা সংখ্যা বিখ্যাত সাহিত্যিকদের লেখা অপ্রকাশিত চিঠি প্রকাশিত হয়। সেই সব চিঠির পরতে পরতে ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতির পরিচয় পাওয়া যায়, কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে যায় লেখকের সাহিত্যিক প্রতিভা। ফলে, চিঠি সবসময়ই সাহিত্য কর্ম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

বর্তমান সময়ে যারা লিখছেন, বিশ বছর পরে যারা বিখ্যাত হয়ে যাবেন তাদের কোন অপ্রকাশিত চিঠি কি পাওয়া যাবে? মোবাইল-ইন্টারনেটের এই যুগে চিঠি কি চালাচালি হয়? নাকি সেসময় অমুকের অপ্রকাশিত এসএমএস/ফেসবুক স্ট্যাটাস তখন গুরুত্ব নিয়ে প্রকাশিত হবে?

হতেও পারে – এমন অনেক কিছুই হবে যা কেউ দেখেনি আগে।

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *