নদীর মৃত্যুতে ফলাফল

এক মাস আগেও নন্দকূঁজা নদীতে পানি ছিল। জেলেরা নৌকায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।এখন পানি না থাকায় জেলেদের জীবিকার বাহন নৌকা ও খড়া জাল শুকনায় পড়ে রয়েছে। ছবিটি বৃহস্পতিবার শুরুদাসপুর পৌরসভার কাচারিপাড়া থেকে তোলা : নয়া দিগন্ত
নন্দকুঁজা, গুমানী, গুড়, বড়াল, তুলসী চেঁচিয়া, ভাদাই, চিকনাই, বানগঙ্গা – এই শব্দগুলো কিসের পরিচায়ক বলতে পারেন? এগুলো নদীর নাম, বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় নদীগুলোর কয়েকটি। এই নদীগুলো চলনবিল এলাকায় অবস্থিত। বিলুপ্তপ্রায় এই নদীগুলোর সাথে আরও দুটো নদীর নাম আছে – ওগুলো অপেক্ষাকৃত বেশী পরিচিত – আত্রাই এবং করতোয়া! এই নদীগুলো সহ মোট ১৬টি নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নৌযানের অভাবে বন্ধ হয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো নৌবন্দর – গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড়, নাজিরপুর, সিংড়ার, বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর, তাড়াশের ধামাইচ, নাদোসৈয়দপুর, চাটমোহরের ছাইকোলা, অষ্টমণিষা, মির্জাপুর ভাঙ্গুড়া ইত্যাদি।
একটা নদী মরে গেলে সাথে সাথে আরও কতকিছু মরে যায় – খাল, নদীবন্দর, নৌকা, মাঝি, নৌকাবাইচ, বেদেবহর আরও কত কি। আর মারা যায় গান – মাঝি বাইয়া যাও রে ….
নদীর গান মরে গেলে সেখানে ভ্যাকুয়াম তৈরী হয় – সেই খালি জায়গায় বাজে আকনের ‘ছাম্মোক ছালো’, ‘আই ওয়ানা ফাক ইউ!’

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *