বাচ্চাবেলার একটা ছোট্ট নোটবুক খুঁজছি ইদানিং।
সেই নোটবুকে কিছু মানুষের নাম তালিকা করে লিখেছিলাম। তালিকার মানুষগুলো আমার শত্রু। চিরজীবনের শত্রু। যখন বড় হব এবং অনেক ‘পাওয়ার’ হবে তখন তালিকার এই মানুষগুলোকে একে একে ‘কঠিন শাস্তি’ দেবো, শাস্তি দেয়ার পর তালিকা থেকে নামগুলো লাল কালিতে কেটে দেবো – বড় হতে হতে যেন নাম ভুলে না যাই, তাই নোটবুকে লিখে রাখা। শাস্তি এমনভাবে দিতে হবে যেন কে-উ টের না পায়, কোন পুলিশও আমাকে ধরতে না পারে। তালিকায় আমার বন্ধু বান্ধব খেলার সাথী থেকে শুরু করে মুরুব্বী আংকেল, আত্মীয় স্বজনও ছিল – কিন্তু পবলেম হল – এত বছর বাদে সেই নোটবুকটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে তো না-ই, নামগুলোও মনে পড়ছে না। অথচ, এদিকে চোখের সামনে শাস্তি দেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পার হয়ে যাচ্ছে। খুব গোপনে শাস্তি দেয়া কঠিন ব্যাপার, বরং চোখের সামনেই তুলে নিয়ে মেরে ফেলে লাশ কোন ক্ষেতে বা ডোবায় ফেলে রাখলেই হবে। যে হারে লাশ পড়ছে দেশে, তাতে আমার তালিকার সেই লোকগুলোরও ‘রাজনৈতিক’ পরিচয় বের হয়ে যাবে নিশ্চিত! ড়্যাব-পুলিশ নিজেরাই মারার কাজে যেভাবে ব্যস্ত, আমাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা যে করবে না, সে সম্পর্কেও নাইন্টি নাইন পার্সেন্ট নিশ্চিত!
সুতরাং? আমার বাচ্চাবেলার বন্ধু-বান্ধব-খেলার সাথী এবং আত্মীয়-স্বজন – যারা আমার সাথে কোন না কোন সময় অন্যায়-বেয়াদবী করেছো/করেছেন, সতর্ক হয়ে যান – আমি কিন্তু সেই নোটবুকটার খোঁজ শুরু করেছি!