অ্যাটাকড বাই গাঞ্জুট্টি!

কারওয়ানবাজারে ফলের দোকানগুলার কোন কোনটার সামনে মোটা ত্রিপল দিয়ে ছাউনী দেয়া থাকে, বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য। আমড়া কেনার জন্য গতকাল এরকম একটি দোকানে শেডের নিচে ঘোড়া নিয়ে ঢুকে পড়লাম। ঘোড়ায় বসেই দরদাম করছি – হঠাৎ দুম করে মাথার উপরের ছাউনীতে একটা ইট পড়ল। চমকে গিয়েছিলাম, কিন্তু চমক কাটতে না কাটতেই আরেকটা পড়ল, তারপর আরও একটা। ছাউনী না থাকলে তার প্রত্যেকটাই আমার মাথা অথবা শরীরে পড়ত!

দোকানদার ছেলেটার দিকে পশ্নের দৃষ্টিতে তাকালাম। ‘গাঞ্জুট্টি। নেশা করে মাতাল হলে এরকম করে। আপনি বের হয়েন না, ভিতরে ঢোকেন আরও’ – আমি আরেকটু ভিতরে চেপে দাড়ালাম। ‘কিছু বলতেও পারি না – বললেই সমস্যা করে’ – ছেলেটা হতাশ স্বরে বলল।

বিপরীত দিকের দোকানে বসা এক বৃদ্ধ ‘অ্যাই অ্যাই থাম থাম’ বলে থামানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু লাভ হচ্ছিল না। ছোট বড় আকারের ইটের টুকরা পড়ছিল। ভয় পেয়ে গেলাম – আমাকে মারার চেষ্টা করছে নাকি!

আমড়া কেনা শেষ। ঘোড়া ঘুরিয়ে প্রস্তুত হলাম। দুটো ইট পড়ার মাঝে সামান্য একটু সময় পাওয়া যাবে, ওই সময় ছুটতে হবে। একটা ইট পড়ল, আমিও ছুটলাম – এক টানে কয়েকটা দোকান পার হয়ে নিরাপদ জায়গায়। তারপর ঘুরে ছাদের দিকে তাকালাম।

ধুর! গাঞ্জুট্টি কই? বছর তিনেক বয়সের দুটো ন্যাংটা সেখানে – ইট জমা করে ছুড়ছে শেডের উপরে!

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *