বেড়ালকে মানুষ করা

ছেলে-পেলে মানুষ করার পর আব্বা-আম্মা এবার বেড়ালের বাচ্চা মানুষ করার দায়িত্ব নিয়েছেন।

মাস দেড়েক আগে বাহির থেকে ফেরার পথে দেয়ালের উপর একাকী করুণ স্বরে ডাকছে শুনে আব্বা যখন বাচ্চাটাকে বাসায় নিয়ে এসেছিল তখন বয়স বোধহয় সপ্তাহখানেক। গায়ে সাদা ছাড়া আর কোন রং নেই এবং লোমগুলো খাড়া। হাটতে গেলে টুপ টাপ করে পরে যায়।

এখন দেড় মাস পর এই বিড়াল বাসার মনযোগের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বাসায় বাথরুম করবে বলে সিড়ি ঘরে বড় প্লাস্টিকের গামলায় লিটার সাজিয়ে টয়লেট বানানো হয়েছে। পানি খাবে বলে বাসার দুই বাথরুমে ছোট ছোট দুটো বাটিতে সবসময় পানি রাখা হয়েছে। ঘুমাবে বলে কাঠের আলনার নিচের তাকে জুতার বাক্স সাজিয়ে রাখা হয়েছে। খাবার দেয়ার জন্য দুটো সিলভারের ছোট বাটি বরাদ্দ করা হয়েছে – একটি দুধ খাবার জন্য, অপরটি ভাতের।

বেড়ালের খাবারের স্টাইলও দারুন। প্রথমে তরকারীর আলু দেয়া হয়। তারপর তরকারীর মাছ বা মাংসের টুকরো, তারপরে হাড্ডি বা কাটা চিবিয়ে নরম করে দেয়া হয়। সবশেষে তরকারীর ঝোল মেখে ভাত। এই ভাত তার সারারাতের খাবার। প্রথম দিকে চিকা এসে খেয়ে গেছে খাবার, এখন তার প্রটেকশন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বেড়ালের নাম রাখা হয়েছে মিনি।

পোলাপাইন মানুষ করার চ্যালেঞ্জে আব্বা-আম্মা বিজয়ী, বেড়ালের বাচ্চা মানুষ করা তাদের কাছে দুধভাত!

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *