কোলকাতার সিনেমা ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’-র প্রভাব

পাত্র কিছু না জানলেও, পাত্রীর বাবা দেরী করতে রাজী ছিলেন না, সুতরাং তিনি জীবন-বিত্তান্ত হাতে পাওয়ার দুদিন পরই সপ্তাহের প্রথম দিনে পাত্রের অফিসে চলে এলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাত্র সেদিন ছুটিতে। পাত্রীর বাবা পাত্রের বসদের সাথে পাত্রী এবং প্রস্তাব বিষয়ে বিশেষ আলোচনা শেষ করে দুদিন পর পুনরায় আসার ঘোষনা দিয়ে বিদায় নিলেন।

পাত্রীর বাবা যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে নানাবিধ বিষয়ে কথা বার্তা বললেন। পাত্রের বিষয়-সম্পত্তি, বেতন-বোনাস ইত্যাদির খোঁজ-দ্যা সার্চ নিলেন, নিজ থেকেই পাত্রীর পরিবার পরিজন নিয়ে বিস্তারিত বললেন। পাত্র-পাত্রী একই ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থী, তবে ডিপার্টমেন্ট আলাদা। আলোচনার শেষ পর্যায়ে পাত্র প্রশ্ন করল – ‘ ইযে .. উনি কোন ব্যাচ?’

পাত্রীর বাবা উত্তর সরাসরি দিলেন না। ‘পাত্রী পড়াশোনায় আপনার থেকে তিন বছরের বড় হলেও বয়সে মাত্র মাস ছয়েক বড় … …’

পাত্র স্তম্ভিত! কোলকাতার সিনেমা ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’-র প্রভাব এতদূর?

 

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *