কাকরাইল মসজিদ পার হয়ে একটু সামনের দিকে এগোলে একটা চক্কর আছে, সেখানে একটা গোলাকার বিশ্ব, তার উপর পাখি উড়ছে। চক্করটা পার হয়ে সাইকেলে কাকরাইলের দিকে এগোচ্ছিলাম, হঠাৎ নজর পড়ল ফুটপাতে বসে থাকা এক ভিখারী মা আকুল হয়ে সামনের দিকে হাত বাড়িয়ে ধরতে চেষ্টা করছেন তার ছেলেটিকে। মা’টি-কে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বলে মনে হয়। ছেলেটির খালি গা, বয়স দেড় বছরের বেশী না, ঢুলে ঢুলে সামনের দিকে হাটছিল। ফুটপাত থেকে পড়ে গেলে মাথা ফাটবে নির্ঘাৎ। বসে থাকা মা-টি যে তাকে ধরতে পারবে না সেটা বোঝা যাচ্ছিল। কি ঘটবে বুঝতে পেরে বুকের ভেতরটা ঠান্ডা হয়ে গেল।
ফুটপাতের বাইরে রাস্তায় দাড়িয়ে একটি লোক, বাচ্চাটা তার হাত থেকে দুটাকার একটি নোট নিয়ে হাসিমুখে আবার ফিরতি পথ ধরল। সব মিলিয়ে তিন/চার সেকেন্ডের ঘটনা। দেড় বছর বয়সী বাচ্চাটা হাসিমুখে যে টাকাটা হাত বাড়িয়ে নিল সে কবে এই ভিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে জানি না, কিন্তু আমার দু বছর বয়সী ভাতিজির কথা মনে পড়ে গেল।
সব শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে উঠুক।