প্রতিরোধক এবং প্রতিশোধক

আমার দোস্তরা একে একে বিবাহ করতেছে। শুক্রবার পার হয়া সপ্তাহ শুরু হইলেই দেখি নতুন কেউ ঝুলে পড়েছে। প্রথমে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে অমুক ম্যারিড টু তমুক, তারপর ছবি। আমি ছবি দেখি, স্ট্যাটাস দেখি, একটা লাইক দিয়া কর্ম শেষ করতে চাই, আরও একটু আগাইতে চাইলে কনগ্রেটস লিখা বিদায়। বেশী সময় থাকলে বুকে ব্যাথা শুরু হয়।
ঝামেলা শুরু হয় তারপর থেকে। একটু পর পর নোটিফিকেশন আসে। অমুক কমেন্টেড তমুক’স ফটো। আমি নোটিফিকেশনে ক্লিক কৈরা সেই ছবিতে যাই, তারপর বুকে ব্যাথা নিয়া ফেরত আসি। বুকের ব্যাথ্যার কোন প্রতিশেধক নাই, প্রতিরোধক হিসেবে কমেন্ট দেয়ার পর পরই ‘আনফলো’তে ক্লিক দিয়া আসি। তাতেও লাভ হয় না, অন্যান্য বন্ধুরা সবাই মিলা লাইক কমেন্ট দিয়া সেই ছবিকে বারবার জীবিত করে, তারপর আমার নিউজফিডে পাঠায়া দেয়, বুকের ব্যাথা আবার চিনচিন করে 🙁

দিন পাঁচেক আগে এক বন্ধু রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস চেঞ্জ করছে – অমুক গট এনগেজড টু তমুক। স্কাইপে তাকে নগদে অভিনন্দন জানিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ডানদিকে টিকারের পাশে একটা লাল রং এর কলিজা সহ সে এবং তার ‘সে’ – জ্বলজ্বল করছে। ব্যাথা না শুরু হয়ে যায় – এই শঙ্কায় গত তিনদিনে অন্তত পনেরোবার ডিলিট দেয়ার চেষ্টা করছি, যায় না – নোটিশ ধরায়া দেয় – Something went wrong. We’re working on getting it fixed as soon as we can.

জ্বালা! প্রতিরোধকে কাজ হচ্ছে না, প্রতিশেধক চাই :/

About দারাশিকো

আমি নাজমুল হাসান দারাশিকো। লেখালিখির প্রতি ভালোবাসা থেকে লিখি। পেশাগত এবং সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে অবশ্য এই ভালোবাসা এখন অস্তিত্বের সংকটে, তাই এই ওয়েবসাইটকে বানিয়েছি আমার সিন্দুক। যোগাযোগ - darashiko(at)gmail.com

View all posts by দারাশিকো →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *